23/07/2025
#কিভাবে_মানসিক_ট্রমা_ম্যানেজনেন্ট_করবেন?
অনেক মানুষ গতকালের ঘটনার পর ট্রমাটাইজ হয়েছেন। এসব ব্যক্তির পরিবারের মানুষ, কাছের মানুষ, সমাজকর্মী নার্স, এনজিও কর্মী, ছাত্র—শিক্ষক যে কোন ব্যক্তিই এই সময়ে অল্প ট্রেনিং নিয়ে প্রাথমিক মানসিক সহায়তা দিতে পারেন।
#যে_কাজগুলো_করবেন:
এই সময়ে যাদের সহযোগিতা লাগতে পারে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন, তাদের চাহিদা এবং উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চান।
তাদের কথা শুনুন এবং তাদের শান্ত হতে সাহায্য করুন।
সহমর্মিতা প্রকাশ করুন।
তাদের কথা শোনার সময় মাঝে মাঝে নিরব থাকুন। নিরব থাকলে কী বলতে হবে তা ভাবতে সময় পাবেন, তাদের অনুভূতি অনুভব করার জন্য স্থান পাবেন, নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাবেন।
এই সময়ে মানুষের মৌলিক চাহিদা এবং সেবাসমূহ খুঁজে পেতে সহযোগিতা করা জরুরী।
সমস্যার সাথে মানিয়ে নিতে তাদের প্রয়োজনিয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন।
তাদের প্রিয়জন প্রিয়জন এবং সামাজিক সহায়তার সাথে সংযুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে।
তাদেরকে মনে করতে সাহায্য করুন যা করলে তারা একটু ভাল অনুভব করবে।
তাদের বয়স, লিঙ্গ এবং সংস্কৃতি অনুযায়ি সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে তার কাছাকাছি বসুন।
তাদেরকে বুঝতে দিন যে আপনি শুনছেন, যেমন:মাথা ঝাঁকান এবং “হুমম্ বলুন।
এই সময় আপনি যে কোন পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য ধরুন এবং শান্ত থাকুন।
এই সময়ে যথেষ্ট বিশ্রাম নেয়া, যতটা পারা যায় নিয়মিত খাদ্যগ্রহণ/আহার এবং পানি পান করা, পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে কথা বলা এবং সময় কাটানো, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং গোসল ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ব্যপারে অনুরোধ করতে পারেন।
তারা যেন প্রতিদিন নিজেকে শান্ত রাখতে রিলাক্সেশন ও দুইবার অনলাইন দেখে মাইন্ডফুলনেন্স মেডিটেশন প্রাকটিস করতে পারেন সেটাও খেয়াল রাখবেন।
তাদের নিজস্ব শক্তি এবং নিজেদের তারা কিভাবে সাহায্য করতে পারে তা স্বীকার করুন ।
়ে_যা_করা_যাবে_না:
এই সময়ে তাদের মানসিক সহায়তা নেয়ার জন্য কোনভাবেই জোর করা যাবেনা।
কাউকে তার ঘটনা বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করা যাবে না ।
কথা বলার সময় কারও ঘটনার মাঝে বাধাঁ দিবেন না বা তাড়া দিবেন না (যেমন—নিজের ঘড়ি দেখবেন না বা দ্রুত কথা বলবেন না )।
হুট করে ব্যক্তির অবস্থা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করবেন না, শুধু শুনুন, তারা কি করেছে এবং কি করেনি এবং কি বোধ করছে তা নিয়ে তাদের বিচার করবেন না।
কখনোই এটা বলবেন না: “আপনার এভাবে বোধ করা উচিত হচ্ছে না” অথবা “আপনার নিজেকে ভাগ্যবান মনে করা উচিত যে আপনি বেঁচে গেছেন”।
এই সময়ে যা আপনি জানেন না তা নিয়ে কিছু বলতে যাবেন না।
খুব বেশি কৌশলগত শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। অন্য কারোও গল্প তাদের কাছে করবেন না।
আপনার নিজের সমস্যার কথা বলবেন না।
মিথ্যা আশ্বাস দিবেন না বা ভরসা দিবেন না।
এটা ভাববেন না বা ভাব নিবেন না যে সকলের সব সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করবেন।
তাদের শক্তি এবং নিজেদের সাহায্য করার মানসিকতা কেড়ে নিবেন না।
এর পরেও যারা তিব্র মানসিক চাপে থাকবেন তাদের জন্য প্রফেশনাল মনোবিজ্ঞানীদের সহায়তা নিতে পারেন।
জিয়ানুর কবির
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিষ্ট।