Rose Homeo & Physiotherapy

Rose Homeo & Physiotherapy নারী, শিশু এবং জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করা হয়। মহিলাদের ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়। নারী, শিশু এবং জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করা হয়

রিংওয়ার্ম (Ringworm) দাদ: একটি পরিচিত চর্মরোগ,এক প্রকার ছত্রাক সংক্রমণ।দাদ মূলত ডার্মাটোফাইট (Dermatophyte) নামক ছত্রাক...
07/07/2025

রিংওয়ার্ম (Ringworm) দাদ: একটি পরিচিত চর্মরোগ,এক প্রকার ছত্রাক সংক্রমণ।
দাদ মূলত ডার্মাটোফাইট (Dermatophyte) নামক ছত্রাকের কারণে হয়। এই ছত্রাকগুলো মাটি, প্রাণী এবং মানুষের ত্বকে বাস করে।
এটি শরীরের যেকোনো স্থানে হতে পারে, যেমন - ত্বক, নখ ও চুল।
এই ছত্রাকগুলো উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তাই শরীরের ভাঁজযুক্ত স্থান, যেমন - কুঁচকি, বগল এবং পায়ের আঙুলের ফাঁকে এর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।

দাদের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:
গোলাকার লালচে ফুসকুড়ি: এটি দেখতে অনেকটা আংটির মতো, যার কিনারা উঁচু ও লালচে হয় এবং মাঝখানটা পরিষ্কার বা হালকা রঙের থাকে।
তীব্র চুলকানি: আক্রান্ত স্থানে প্রচণ্ড চুলকানি হয়, বিশেষ করে রাতে বা উষ্ণ পরিবেশে।
ত্বকের শুষ্কতা ও আঁশ: আক্রান্ত স্থানের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং আঁশের মতো উঠতে পারে।
জ্বালা পোড়া: অনেক সময় আক্রান্ত স্থানে জ্বালাপোড়ার অনুভূতি হয়।
নখে দাদ: নখ মোটা ও বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে।
মাথার ত্বকে দাদ: মাথার ত্বকে হলে চুল পড়তে পারে এবং টাক পড়ে যেতে পারে।

দাদ সংক্রমণের কিছু সাধারণ কারণ:
সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ: দাদ আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে এলে।
সংক্রমিত পোষা প্রাণী: দাদ আক্রান্ত পোষা প্রাণী (যেমন - কুকুর, বিড়াল) থেকে সংক্রমণ হতে পারে।
নোংরা পরিবেশ: অপরিষ্কার বা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বসবাস করলে।
ভেজা পোশাক: দীর্ঘক্ষণ ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে পোশাক পরলে।
দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের দাদ হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
আর্দ্রতা ও উষ্ণতা: উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ছত্রাকের বৃদ্ধি সহজ হয়।

দাদ রোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ
হোমিওপ্যাথি দাদ রোগের চিকিৎসায় একটি সুপরিচিত পদ্ধতি। এটি রোগের মূল কারণকে লক্ষ্য করে কাজ করে এবং শরীরের নিজস্ব নিরাময় ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করে। দাদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. আর্সেনিকাম অ্যালবাম (Arsenicum Album)
যদি দাদ শুষ্ক, আঁশযুক্ত হয় এবং চুলকানি, জ্বালাপোড়া থাকে যা রাতে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাড়ে। রোগী অস্থির এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে।
বৈশিষ্ট্য: চুলকানি এবং জ্বালাপোড়ার পর জ্বালা অনুভূত হয়। উষ্ণ প্রয়োগে উপশম হয়।
২. টেলুরিয়াম (Tellurium)
দাদ যদি গোলাকার হয়, বিশেষত কানের পিছনে বা মাথার ত্বকে দেখা যায়। এতে তীব্র চুলকানি থাকে এবং আক্রান্ত স্থান থেকে দুর্গন্ধযুক্ত রস নিঃসৃত হতে পারে।
বৈশিষ্ট্য: চুলকানি সন্ধ্যায় এবং রাতে বৃদ্ধি পায়। আক্রান্ত স্থানে ফোলা ও লালচে ভাব দেখা যায়।
৩. গ্রাফাইটিস (Graphites)
দাদ যদি ত্বকের ভাঁজে, যেমন - কুঁচকি বা আঙুলের ফাঁকে হয়। আক্রান্ত স্থান থেকে আঠালো, মধু রঙের রস নিঃসৃত হয় এবং শুকালে শক্ত আঁশ তৈরি হয়। ত্বক শুষ্ক ও ফন্ডলযুক্ত হয়।
বৈশিষ্ট্য: শীতকাতর রোগীদের জন্য বেশি কার্যকর। চুলকানি রাতে বাড়ে।
৪. সেপিয়া (Sepia)
বাদামী বা কালো রঙের দাদ, যা ঋতুস্রাবের সময় বাড়ে। এটি শরীর ও হাত-পায়ে বেশি দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য: রোগীর মধ্যে বিরক্তি ও উদাসীনতা দেখা যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাড়ে এবং উষ্ণ প্রয়োগে উপশম হয়।
৫. থুজা অক্সিডেন্টালিস (Thuja Occidentalis)
দাদ যদি আর্দ্র এবং ওয়ার্টস বা আঁচিলের মতো হয়। এটি বিশেষত যৌনাঙ্গের আশেপাশে বা শরীরের অন্যান্য গোপন অংশে হতে পারে।
বৈশিষ্ট্য: ত্বক তৈলাক্ত এবং সংবেদনশীল হয়। টিকা বা ভ্যাকসিনেশনের পরে সমস্যা দেখা দিলে এটি কার্যকর।
৬. রাস টক্স (Rhus Tox)
দাদ যদি ভেজা বা আর্দ্র হয় এবং ছোট ছোট জলযুক্ত ফুসকুড়ি থাকে। চুলকানি, জ্বালাপোড়া এবং অস্থিরতা থাকে।
বৈশিষ্ট্য: ঠান্ডায় বাড়ে এবং উষ্ণতায় আরাম লাগে। নড়াচড়ায় উপশম হয়।
৭. নেট্রাম মিউর (Natrum Mur)
দাদ যদি চুলকানিযুক্ত হয়, বিশেষত চুলের গোড়ায় বা শরীরের অন্যান্য স্থানে। আক্রান্ত স্থানে শুকনো আঁশ থাকে।
বৈশিষ্ট্য: মানসিক চাপ বা দুঃখের কারণে দাদ বৃদ্ধি পেতে পারে। লবণাক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
৮. সালফার (Sulphur)
যেকোনো ধরনের দীর্ঘস্থায়ী দাদ, যেখানে তীব্র চুলকানি থাকে এবং চুলকানোর পর জ্বালা হয়। ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ এবং নোংরা দেখায়।
বৈশিষ্ট্য: রাতে বা গরমে চুলকানি বাড়ে। স্নানের পর চুলকানি বাড়ে।

গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য: হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নির্বাচনের জন্য রোগীর শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ, জীবনযাপন পদ্ধতি এবং রোগের বিস্তারিত ইতিহাস বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি। তাই নিজে নিজে ঔষধ সেবন না করে একজন অভিজ্ঞ রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। সঠিক ঔষধ নির্বাচনের মাধ্যমে দাদ রোগের কার্যকর ও স্থায়ী নিরাময় সম্ভব।

ডাঃ রাজিয়া সুলতানা।

19/06/2025

ঔষধ মাত্রই বিষ। ঔষধ এবং বিষের মধ্যে পার্থক্য হলো মাত্রা। মাত্রার মধ্যে থাকলেই ঔষধ আর মাত্রার চাইতে বেশী হলেই সেটি হয়ে যায় বিষ। আবার মাত্রা নিয়েও আছে মানুষ ভেদে পার্থক্য। একই মাত্রার ঔষধে একজন মানুষের রোগ সারাতে পারে আরেকজনের উল্টো ক্ষতি করতে পারে। এটা হয়ে থাকে ঔষধের প্রতি মানুষের সেনসিটিভিটির তারতম্য অনুযায়ী। একটি ঔষধের প্রতি কোন একজন মানুষ কম সেনসেটিভ হতে পারে আবার অন্য একজন বেশী সেনসিটিভ হতে পারে। এক্ষেত্রে যে ঔষধের প্রতি একজন মানুষ বেশী সেনসেটিভ, সেই ঔষধ সঠিক মাত্রায় খেলেও সেই ব্যক্তির বড় ধরণের সর্বনাশ হতে পারে ; এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। অধিকাংশ মানুষের ঔষধ খাওয়ার বদভ্যাস দেখলে মনে হয়, এ যেন ঔষধ নয় বরং পহেলা বৈশাখের পান্তা ভাত। এমনভাবে তারা ঔষধ খায় যেন, মনে হয় ঔষধ কেবল উপকারই করে ; কস্মিনকালেও ক্ষতি করে না। ঔষধ যে ক্ষতি করতে পারে, এ যেন তাদের কল্পনার বাইরে। আর বিশেষ করে মাগনা পেলে তো কথাই নাই।
এলোপ্যাথিক কৃমির ঔষধগুলি কিভাবে কৃমি হত্যা করে ? এসব ঔষধকে বলা হয় বলা হয় স্পিন্ডল বিষ (spindle poison) । এগুলো কৃমির শরীরকে অবশ বা প্যারালাইজড করে দেয়। ফলে কৃমিরা নড়াচড়া করতে পারে না। এমনকি তারা কিছু খেতে পারে না এবং যা খেয়েছে তাও হজম করতে পারে না। ফলে কৃমিগুলো মরে পায়খানার সাথে বেরিয়ে যায়। একইভাবে এই ঔষধগুলো শিশুদের হৃৎপিন্ড এবং মস্তিষ্ককে প্যারালাইজড করে হত্যা করতে পারে। এজন্য ডাক্তাররা গর্ভবতী মহিলাদেরকে কৃমির ঔষধ খেতে নিষেধ করেন। কেননা এগুলো গর্ভস্থ শিশুকে হত্যা করতে পারে।
বর্তমান সময়ে এলোপ্যাথিক কৃমির ঔষধ খেয়ে আমাদের দেশের অনেকগুলি নিষপাপ শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। এলোপ্যাথিক কৃমির ঔষধ খেলে কেনো প্রায়ই শিশুদের মৃত্যু ঘটতে দেখা যায়, তার কারণ আমাদের অনেকেই জানি না। প্রথম কথা হলো কৃমিও একটি প্রাণী, আবার শিশুরাও প্রাণী। কাজেই যে ঔষধের কৃমি হত্যা করার ক্ষমতা আছে, সে ঔষধ শিশুদেরকেও হত্যা করার ক্ষমতা রাখে। সুস্থ-সবল শিশুকে না পারলেও অসুস্থ-দুর্বল শিশুকে খুন করার ক্ষমতা তার আছে। এই সহজ সত্যটি আমাদের বুঝতে হবে।
Worm earthworm, flatworm, roundworm, invertebrate, creepy-crawly (informal), glow-worm, glowworm, grub , larva.(কৃমি, চিড়) : সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ক্রিমি একটি বড় বাধা। ক্রিমির কারণে এলার্জি বা চুলকানি, রক্তশূণ্যতা, কোষ্টকাঠিন্য বা শক্ত পায়খানা, পেট ব্যথা, দুর্বলতা, পেট ফাঁপা, বদমেজাজ প্রভৃতি রোগ হয়ে থাকে। শিশুরা যখন পায়খানার রাস্তায় আঙুল দিয়ে খোচাতে থাকে, তখন তাকে ক্রিমির ঔষধ খাওয়ানো উচিত। ক্রিমি থাক বা না থাক, শিশুদের প্রতি ছয়মাস পরপর অবশ্যই ক্রিমির ঔষধ খাওয়ানো উচিত। ক্রিমির ঔষধ এক বা দুই মাত্রা খাওয়ানোই যথেষ্ট, তবে প্রয়োজনে আরো কয়েক মাত্রা খাওয়ানো যেতে পারে।
পরিশেষে সকলের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, কৃমির হাত থেকে নিজেকে এবং আপনার সন্তানকে বাঁচানোর জন্য হোমিও ঔষধ খান।

টিউক্রিয়াম (teucrium), স্যাবাডিলা (Sabadilla), নেট্রাম ফস (Natrum phos) প্রভৃতি হোমিও ঔষধগুলো কৃমি দূর করতে খুবই কার্যকরী এবং নিরাপদ ঔষধ। এমনকি এগুলো গর্ভবতীদেরকেও খাওয়ানো যায় ; কোনো বিপদের সম্ভাবনা নাই। হোমিও ঔষধগুলো কৃমিকে প্যারালাইজড করে না, তাই আপনার শিশুকেও প্যারালাইজড করে মেরে ফেলার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নাই। হোমিও ঔষধে সম্ভবত কৃমিদের শরীরে জ্বালা-পোড়ার সৃষ্টি হয়ে থাকে ; ফলে কৃমিরা মারা পড়ে না বরং জীবিতই পায়খানার সাথে বেরিয়ে যায়। এই ঔষধগুলোর যে-কোন একটিকে ৩০ (ত্রিশ) শক্তিতে খেতে পারেন এবং প্রতিবার এক ফোটা করে অথবা বড়িতে খেলে ১০ (দশ) টি বড়ি করে খাওয়া উচিত। প্রয়োজনে রোজ দুইবেলা করে দুই-তিন দিন খেতে পারেন। সাধারণত একমাত্রাই যথেষ্ট। হ্যাঁ, এই হোমিও ঔষধগুলোর তেমন কোন ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নাই ; কারণ এগুলোতে ঔষধের পরিমাণ থাকে খুবই কম। এমনটি ভুলবশত যদি নির্দিষ্ট মাত্রার চাইতে দশ গুণ বেশীও কেউ খেয়ে ফেলেন, তাতেও কোন ক্ষতির আশঙ্কা নাই।
আবার অনেকে এমন আছেন যে, তাদের সারাজীবনই কৃমির সমস্যা লেগে থাকে এবং কিছুদিন পরপরই তাদের কৃমির ঔষধ খেতে হয়। এসব ক্ষেত্রে একজন হোমিও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কেননা কিছু হোমিও ঔষধ আছে, যেগুলো রোগীর শারীরিক-মানসিক গঠন বুঝে প্রয়োগ করলে বেশী বেশী কৃমি হওয়ার টেনডেন্সী সারাজীবনের জন্য চলে যায়।

Teucrium Marum verum : গুড়া ক্রিমি বা সুতা ক্রিমির সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ ঔষধ হলো টিউক্রিয়াম। পায়খানার রাস্তায় ভীষণ চুলকানি থাকে।

Spigelia anthelmia : এটি সব ধরনের কৃমি, এমনকি ফিতাকৃমি পযর্ন্ত নিমূর্ল করতে পারে। অবশ্য কৃমির সমস্যা ছাড়াও হোমিওপ্যাথিতে এটি আরও অনেক রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। তার মধ্যে একটি বড় রোগ হলো মাইগ্রেন বা অর্ধেক মাথা ব্যথা।

Sabadilla officinarum : স্যাবাডিলাকে বলা যায় ক্রিমির সবচেয়ে উৎকৃষ্ট একটি ঔষধ। স্যাবাডিলা ঔষধটি ছোট মেয়ে শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়; কেননা সেবাডিলা ঔষধটি খাওয়ার পরে কৃমিরা পাগলের মতো দৌঁড়াতে শুরু করে এবং এসময় তারা মেয়েদের যোনী এবং জরায়ুতে ঢুকে পড়ে মারাত্মক বিপদের সৃষ্টি করতে পারে।

Natrum Phosphoricum : নেট্রাম ফস শিশুদের কৃমির জন্য সেরা ঔষধগুলোর অন্যতম। পাশাপাশি এটি শিশুদের অজীর্ণ, বদহজম, এলার্জি, চুলকানি, পেটে ব্যথা, সর্দি, চোখ ওঠা ইত্যাদি সমস্যার জন্যও একটি সেরা ঔষধ। এটি শিশুদের জন্য একটি ভিটামিন হিসেবেও কাজ করে থাকে। (এই ঔষধটিও ছোট মেয়ে শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়।)

Cina : বদমেজাজী শিশুদের ক্রিমির সমস্যায় সিনা একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। শিশুরা আঙুল দিয়ে নাক খোচাতে থাকে এবং ঘুমের মধ্যে দাঁত কটমট করে।

Santoninum : সেন্টোনিনাম গুড়া ক্রিমি এবং সুতা ক্রিমির সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ঔষধ।

Caladium seguinum : গুড়া ক্রিমি ছোট মেয়েদের যৌনাঙ্গে ঢুকে উৎপাত সৃষ্টি করলে ক্যালাডিয়াম খাওয়াতে ভুলবেন না।

Indigo : ইন্ডিগো কৃমির উৎপাতের ক্ষেত্রে একটি ভালো ঔষধ। কৃমির কারণে মৃগীর আক্রমণ, খিচুঁনি অথবা জ্বর হলে ইন্ডিগো ব্যবহার করতে পারেন।

Carcinosinum : যাদের ঘনঘন কৃমি হয় অর্থাৎ যাদের কৃমির সমস্যা খুব বেশী, তাদের কৃমি প্রবনতা দূর করার জন্য কার্সিনোসিন (শক্তি ২০০) পনের দিনে একমাত্রা করে চার বার খান। ক্যান্সারের ঔষধ কার্সিনোসিনে যেহেতু কৃমি নিরাময় হয়, সেহেতু বলা যায় মাত্রাতিরিক্ত কৃমির উৎপাত ক্যান্সারের একটি পূর্ব লক্ষণ।

Calcarea Carbonica : মোটা থলথলে শারীরিক গঠন, পা সব সময় ঠান্ডা থাকে, শিশুকালে দাঁত উঠতে বা হাঁটা শিখতে দেরী হয় থাকে, শরীরের চাইতে পেট বেশী মোটা, খুব সহজে মোটা হয়ে যায়, প্রস্রাব-পায়খানা-ঘাম সব কিছু থেকে টক গন্ধ আসে, হাতের তালু মেয়েদের হাতের মতো নরম (মনে হবে হাতে কোন হাড়ই নেই), মাথার ঘামে বালিশ ভিজে যায়, মুখমন্ডল ফোলাফোলা, ডিম খেতে খুব পছন্দ করে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ক্যালকেরিয়া কাব হবে তার সবচেয়ে উত্তম ক্রিমির ঔষধ।

Sulphur : সালফার একটি বহুমুখী ক্ষমতা সম্পন্ন ঔষধ। গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে রোগীকে সালফার খাওয়াতে পারেন।

Terebinthina : টেরিবিনথিনা ক্রিমির একটি সেরা ঔষধ। পাশাপাশি এটি সর্দি, গ্যাসট্রিক আলসার এবং লো প্রেসারেরও চিকিৎসায় সফলতার সাথে ব্যবহৃত হয়।
সু চিকিৎসা নিন , সুস্থ থাকুন। শুভকামনা।
ডাঃ রাজিয়া সুলতানা
01728338344

19/06/2025

নাকের পলিপাস কমাতে সহায়ক কিছু ঘরোয়া উপায়:
✅১. বাষ্প গ্রহণ (Steam Inhalation):
প্রতিদিন ২ বার গরম পানির ভাপ নিন।
এতে সাইনাস খোলে ও পলিপের কারণে হওয়া বন্ধভাব কিছুটা কমে।
✅২. লবণ পানি দিয়ে নাক ধোয়া (Saline Nasal Rinse):
১ গ্লাস উষ্ণ পানিতে ১ চা চামচ নন-আয়োডিনযুক্ত লবণ ও এক চিমটি বেকিং সোডা মিশিয়ে নাক ধুয়ে ফেলুন।
এটি নাকের ভেতরের মিউকাস পরিষ্কার করে এবং প্রদাহ কমায়।
✅৩. আদা ও মধু:
আদা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল।
প্রতিদিন ১ চা চামচ আদার রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
✅৪. আলোভেরা রস:
আলোভেরার রস অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি।
১ চা চামচ আলোভেরা জেল খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে, তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন তা বিশুদ্ধ হয়।
✅৫. হলুদ (Turmeric):
হলুদে রয়েছে কুরকুমিন, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি।
প্রতিদিন ১ গ্লাস হালকা গরম দুধে ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন।
✅৬. সেজ পাতার ভাপ (Eucalyptus Oil Steam):
গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে ভাপ নিন।
এটি নাক পরিষ্কার করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
ধুলো, ধোঁয়া ও অ্যালার্জি জাতীয় জিনিস থেকে দূরে থাকুন।
ধূমপান পরিহার করুন।
বি:দ্র: দীর্ঘ সময় পলিপ্যাস থাকলে বা সমস্যা বাড়লে অবশ্যই ভালো অভিজ্ঞ কোন লোকের থেকে চিকিৎসা নিবেন।
যার তার থেকে এসিড দিয়ে নাক পুরিয়ে ফেলবেন না।

19/06/2025

টনসিল (Tonsillitis) হলো গলার দুপাশে অবস্থিত টনসিল নামক গ্রন্থির সংক্রমণ বা প্রদাহ। এটি সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। হোমিওপ্যাথিতে রোগীর লক্ষণ ও শরীরের সামগ্রিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে ওষুধ নির্বাচন করা হয়। নিচে কিছু প্রচলিত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দেওয়া হলো, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
🧪 প্রচলিত হোমিওপ্যাথিক ওষুধসমূহ:
1. Belladonna
🔸হঠাৎ করে শুরু হওয়া তীব্র গলা ব্যথা।
🔸টনসিল লাল হয়ে ফুলে গেছে।
🔸গরম জ্বর, শরীর গরম।
🔸ব্যথা বেশি হয় গিলতে গেলে।
🔴 বৃদ্ধি: রাতে, হঠাৎ ঠান্ডা বাতাসে, স্পর্শ করলে।
🟢 হ্রাস: বিশ্রামে, ঘরে উষ্ণ পরিবেশে।
2. Hepar Sulph
🔸টনসিল পেকে গেছে, পুঁজের মতো সাদা দাগ।
🔸ঠাণ্ডা লাগলেই ব্যথা বেড়ে যায়।
🔸হালকা বাতাস সহ্য করতে পারে না।
🔴 বৃদ্ধি: ঠান্ডা বাতাসে, ঠান্ডা পানি পান করলে।
🟢 হ্রাস: গরমে, গরম পানীয় খেলে, ঢেকে রাখলে।
3. Mercurius Solubilis
🔸মুখে দুর্গন্ধ।
🔸অতিরিক্ত লালাভ টনসিল, মুখে লালা পড়ে।
🔸রাতের বেলায় গলা ব্যথা বাড়ে।
🔸ঘামে ভিজে যায় শরীর।
🔴 বৃদ্ধি: রাতের বেলা, ঘামে, ঠান্ডায়।
🟢 হ্রাস: উষ্ণ পরিবেশে, বিশ্রামে।
4. Phytolacca
🔸গলার ব্যথা কানে ছড়িয়ে পড়ে।
🔸টনসিল গাঢ় লাল বা বেগুনি রঙের।
🔸কিছু গিলে খেতে খুব কষ্ট হয়।
🔴 বৃদ্ধি: গিললে, ঠান্ডায়।
🟢 হ্রাস: গরম পানীয় পান করলে, গরম কাপড় জড়িয়ে রাখলে।
5. Baryta Carbonica
🔸শিশুদের টনসিল বড় হওয়া (Chronic Tonsillitis)।
🔸বারবার ঠাণ্ডা লেগে টনসিল ফুলে যাওয়া।
🔸দুর্বল ও ভীতু প্রকৃতির শিশুদের জন্য উপযুক্ত।
🔴 বৃদ্ধি: ঠান্ডা আবহাওয়ায়, বর্ষাকালে।
🟢 হ্রাস: গরমে, উষ্ণ পানি পান করলে।
6. Lachesis
🔸বাম দিকের টনসিল বেশি ফুলে।
🔸গলার কিছু গলায় আটকে আছে মনে হয়।
🔸গরমে খারাপ লাগে, ঠাণ্ডা পানিতে আরাম।
🔴 বৃদ্ধি: ঘুম থেকে উঠার পর, গরমে।
🟢 হ্রাস: ঠান্ডা পানীয় খেলে, চাপ দিলে।
৭. Lycopodium
🔸ডান পাশে টনসিল ফুলে।
🔸বিকেলের দিকে ব্যথা বাড়ে।
🔸গলা শুকিয়ে যায়।
🔴 বৃদ্ধি: বিকেলের দিকে (৪টা–৮টা), গরমে।
🟢 হ্রাস: ঠান্ডা পানীয় খেলে, হালকা খাবারে।
✅ সাধারণ পরামর্শ
▪️গরম পানি পান করুন।
▪️বরফ, ঠাণ্ডা পানি বা খাবার এড়িয়ে চলুন।
▪️গার্গল (লবণ পানিতে কুলকুচি) করুন।
▪️পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
⚠️সতর্কতা:
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সবসময় লক্ষণ ও মেন্টাল অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করা হয়। তাই একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া সর্বোত্তম। ওষুধ নিজের মতো করে খেতে যাবেন না, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
Dr.Razia Sultana

18/06/2025

নিচে Sulphur, Graphites, এবং Bacillinum এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে পার্থক্য দেওয়া হলো।
Sulphur:
মানসিক লক্ষণের পার্থক্য (Mental Symptoms)
----------------------------------
– অহংকারী, নিজেকে বড় ভাবা।
– সব বিষয়ে মতামত দেওয়া, তাত্ত্বিক ভাব।
– গরিব হলেও চিন্তা করে “আমি বড় হব।”
– নিজের শরীরের গন্ধ বা অবস্থা নিয়ে অযত্নশীল।
শারীরিক লক্ষণের পার্থক্য (Physical Symptoms)
----------------------------------
– ত্বকে চুলকানি, একজিমা, খোসপাঁচড়া।
– খালি পায়ে হাঁটতে চায়, পায়খানায় জ্বালা।
– দাঁড়িয়ে থাকলে শরীর খারাপ হয়।
খাদ্যপ্রিয়তা ও অপছন্দ (Food Desires & Aversions)
----------------------------------
– মিষ্টি ও চা পছন্দ।
– তেঁতো জাতীয় খাবারে আকর্ষণ।
– মসলাদার খাবার খেলে পায়খানায় সমস্যা হয়।
তাপমাত্রা সহনশীলতা (Heat / Cold Sensitivity)
----------------------------------
– গরম সহ্য করতে পারে না।
– শরীর সব সময় গরম থাকে, গরমে উপসর্গ বেড়ে যায়।
মডালিটিজ বা উপসর্গ কবে বাড়ে-কবে কমে (Modalities)
----------------------------------
– গরমে, খোলা হাওয়ায়, সকালে উপসর্গ বেড়ে যায়।
– ঠাণ্ডা জায়গায় কিছুটা আরাম পায়

Bacillinum:
মানসিক লক্ষণের পার্থক্য (Mental Symptoms)
----------------------------------
– একাকীত্বপ্রিয়, কারও সঙ্গে মিশতে চায় না।
– রূঢ়, রাগী, সন্দেহপ্রবণ।
– নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, ভয় এবং অস্থিরতা।
– ঘর ছেড়ে বাইরে যেতে চায় না।
শারীরিক লক্ষণের পার্থক্য (Physical Symptoms)
----------------------------------
– ক্রনিক ঠাণ্ডা, ঘন ঘন কাশি, ব্রঙ্কাইটিস প্রবণতা।
– শ্বাসকষ্ট, বুক ভারি লাগে, লাংস দুর্বল।
– অতিরিক্ত ঘাম, বিশেষ করে পায়ের তলায়।
খাদ্যপ্রিয়তা ও অপছন্দ (Food Desires & Aversions)
----------------------------------
– দুধ সহ্য হয় না।
– টক বা নোনতা খাবার ইচ্ছা হতে পারে।
– খাওয়ার ইচ্ছা অনিয়মিত বা অরুচি।
তাপমাত্রা সহনশীলতা (Heat / Cold Sensitivity)
----------------------------------
– ঠাণ্ডা একদম সহ্য করতে পারে না।
– মাঝে মাঝে গরমেও কষ্ট হয় – উভয় সংবেদনশীলতা দেখা যায়।
মডালিটিজ বা উপসর্গ কবে বাড়ে-কবে কমে (Modalities)
----------------------------------
– ঠাণ্ডা বাতাসে কাশি বেড়ে যায়, ভোরবেলায় খারাপ।
– গরম স্নান ও উষ্ণ পরিবেশে কিছুটা ভালো লাগে।

Graphites:
মানসিক লক্ষণের পার্থক্য (Mental Symptoms)
----------------------------------
– ভীরু, সিদ্ধান্তহীন, আত্মবিশ্বাসের অভাব।
– বিষণ্নতা, অতিসংবেদনশীল, সহজেই কেঁদে ফেলে।
– ছোট বিষয়ে মন খারাপ, নিঃসঙ্গতা পছন্দ করে।
শারীরিক লক্ষণের পার্থক্য (Physical Symptoms)
----------------------------------
– ত্বক মোটা, খসখসে, ফাটে, নিঃসরণ হয়।
– কানের পেছনে, যৌনাঙ্গে, স্তনে চর্মরোগ।
– কোষ্ঠকাঠিন্য, মোটা শরীর, অলসতা।
খাদ্যপ্রিয়তা ও অপছন্দ (Food Desires & Aversions)
----------------------------------
– মিষ্টি ও মাছ পছন্দ।
– দুধ সহ্য হয় না।
– গরম খাবার খেতে ভালোবাসে।
তাপমাত্রা সহনশীলতা (Heat / Cold Sensitivity)
----------------------------------
– ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারে না।
– গরম পরিবেশে আরাম পায়।
মডালিটিজ বা উপসর্গ কবে বাড়ে-কবে কমে (Modalities)
----------------------------------
– ঠাণ্ডা বাতাসে ও স্নানে উপসর্গ বেড়ে যায়।
– উষ্ণ পরিবেশে আরাম, ঋতুস্রাবের সময় খারাপ।

18/06/2025

একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের এ বিষয়গুলো জানতেই হবে:
১। হোমিওপ্যাথি বিরোধী:
"হোমিওপ্যাথিক ওষুধে তো কার্যকর কোনো রাসায়নিক উপাদান থাকে না! এত পাতলা করে দেওয়া হয় যে কিছুই থাকে না। কিভাবে তা কাজ করে?"
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:
আপনি ঠিকই বলেছেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ অনেক উচ্চমাত্রায় ডাইলিউট করা হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে—এই ওষুধে ন্যানোপর্যায়ে মূল পদার্থের কণিকা (nanoparticles) থেকে যায় যা কোষে গিয়ে কাজ করে।
২০১০ সালে IIT Bombay-এর গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এসব কণিকা সক্রিয় থাকে এবং জৈবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কাজেই, এটি কেবল জল নয়, বরং তথ্যবাহক (information carrier) হিসেবে কাজ করে।
২। হোমিওপ্যাথি বিরোধী:
"হোমিওপ্যাথি আসলে প্লাসেবো—মনস্তাত্ত্বিক ভরসা ছাড়া আর কিছু নয়।"
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:
এই বক্তব্য সঠিক নয়। যদি প্লাসেবো হতো, তাহলে শিশুরা, পশুপাখি কিংবা অচেতন রোগীদের ক্ষেত্রে ফলাফল কীভাবে আসে?
Arnica, Belladonna, Aconite ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহারে এমন রোগীদের মধ্যে দ্রুত আরোগ্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যেখানে কোনো মানসিক প্রত্যাশা ছিল না।
এছাড়া বহু ডাবল-ব্লাইন্ড ট্রায়াল এবং মেটা-অ্যানালাইসিসেও হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।
৩। হোমিওপ্যাথি বিরোধী:
"তবে তো গবেষণা কম। প্রমাণ তো বেশি নেই।"
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:
বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার হোমিওপ্যাথিক গবেষণা হয়েছে ও হচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, Swiss Health Technology Assessment (2011) রিপোর্টে হোমিওপ্যাথিকে নিরাপদ, কার্যকর এবং ব্যয়সাশ্রয়ী চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ভারত, জার্মানি, ব্রাজিল, ইউকে সহ বহু দেশে সরকারিভাবে হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।
৪। হোমিওপ্যাথি বিরোধী :
"হোমিওপ্যাথি ধীরে কাজ করে—তীব্র বা জটিল রোগে তো সময় নেই!"
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:
এটি একটি ভুল ধারণা। হোমিওপ্যাথি ধীরে কাজ করে ক্রনিক বা পুরনো রোগে, কারণ রোগ অনেক গভীরে যায়। আর এসব রোগ হোমিওপ্যাথিতে নির্মূল হয় কিন্তু এ্যালোপ্যাথিতে আরোগ্য হয়না শুধু উপশম হয় মাত্র। তাহলে কাজ দ্রুত কোন চিকিৎসা করলো? নিশ্চিয় হোমিওপ্যাথি। তাছাড়া একিউট রোগে (যেমন জ্বর, সর্দি, ব্যথা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, খাদ্যে বিষক্রিয়া) হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দ্রুত ফল দেয়।
যেমন: Colocynthis দিয়ে পেট ব্যথা ১০ মিনিটের মধ্যে উপশম হতে দেখা গেছে। Pantago দিয়ে কানের ব্যাথা ২মিনিটে আরোগ্য হতে দেখা গেছে।
৫। হোমিওপ্যাথি বিরোধী :
"তুমি বললে, এক রোগে একাধিক ব্যক্তির ভিন্ন-ভিন্ন ওষুধ হতে পারে। এতে তো চিকিৎসা পদ্ধতির নিশ্চয়তা নেই!"
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:
বরং এখানেই হোমিওপ্যাথির বৈজ্ঞানিক সৌন্দর্য। এটি Individualization-এর উপর ভিত্তি করে, যেটা আধুনিক Personalized Medicine-এর ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
উদাহরণস্বরূপ, তিনজন ডিপ্রেশনের রোগীকে তিনটি ভিন্ন ওষুধ (যেমন: Ignatia, Natrum Mur, Aurum Met) দেওয়া হতে পারে, কারণ তাদের মানসিক অবস্থা ও অভিজ্ঞতা আলাদা।
৫। হোমিওপ্যাথি বিরোধী:
"তবে হোমিওপ্যাথির নিজস্ব প্রতিরোধমূলক শক্তি তৈরির কোনো প্রমাণ আছে?"
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:
অবশ্যই। হোমিওপ্যাথিতে Nosodes নামক ওষুধ থাকে, যেগুলো রোগের জীবাণু থেকেই তৈরি—যেমন Tuberculinum, Psorinum, Influenzinum।
এটি অনেকটা ভ্যাকসিনের মতোই: জীবাণুকে ক্ষীণমাত্রায় প্রয়োগ করে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় করা হয়।
তফাৎ শুধু এতটুকু, হোমিওপ্যাথিতে এটা করা হয় potentization পদ্ধতিতে, ইনজেকশন বা কৃত্রিম রাসায়নিক নয়।
মোটকথা:
হোমিওপ্যাথি আধুনিক বিজ্ঞানের আলোয় তার যথাযথ যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে এবং বিজ্ঞান যত উন্নত হবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাই, প্রকৃত চিকিৎসা তার প্রমাণিত হবে। সত্যের পিছনে সর্বযুগে পুঁজিবাদীরা ষড়যন্ত্র করছে করবেই, তবে সত্য বিজয়ী হবেই হবে ইনশাআল্লাহ! ✌️💪
আপনাদেরকে কেউ কি এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক যুক্তি দেয়, তাহলে কমেন্ট করে জানান

18/06/2025

"ফোঁড়া" (Furuncle/Boil) বা ফোড়া হলো চামড়ার নিচে একটি পুঁজযুক্ত প্রদাহ বা সংক্রমণ, যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। হোমিওপ্যাথিতে, ফোঁড়া নিরাময়ে বেশ কয়েকটি ওষুধ ব্যবহৃত হয়, রোগীর লক্ষণ ও শারীরিক প্রকৃতি অনুযায়ী।
🧪 ফোঁড়ার জন্য ব্যবহৃত হোমিওপ্যাথিক ওষুধসমূহ এবং তাদের লক্ষণ:
1. Hepar Sulph
▫️ফোঁড়া পেকে যাচ্ছে বা পুঁজ হচ্ছে।
▫️অল্প স্পর্শেই তীব্র ব্যথা।
▫️ঠান্ডা বাতাসে ব্যথা বেড়ে যায়।
▫️চামড়ায় স্পর্শে অতি সংবেদনশীলতা।
2. Silicea
▫️ফোঁড়া পেকে না গেলে, পুঁজ গঠনে সহায়তা করে।
▫️দীর্ঘস্থায়ী ফোঁড়া বা বারবার হওয়া।
▫️ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষদের জন্য উপযোগী।
▫️শরীর থেকে পুঁজ বের হতে সময় লাগছে।
3. Belladonna
▫️ফোঁড়ার শুরুর দিকে, পুঁজ তৈরি হয়নি।
▫️তীব্র ব্যথা, লালচে রঙ, জ্বালাপোড়া।
▫️হঠাৎ শুরু হওয়া এবং দ্রুত অগ্রসর হওয়া ফোঁড়া।
4. Mercurius Solubilis (Merc Sol)
▫️ফোঁড়া হতে পুঁজ পড়ে যাচ্ছে এবং দুর্গন্ধযুক্ত।
▫️গরম এবং ঠান্ডা উভয় কিছুতে সংবেদনশীল।
▫️রাতের বেলা উপসর্গ বাড়ে, ঘাম বেশি হয়।
5. Myristica Sebifera
▫️হোমিওপ্যাথির "surgical knife" বলা হয়।
▫️পুঁজ বের করায় সহায়ক, ফোঁড়ার দ্রুত নিরাময়ে কার্যকর।
▫️চামড়ার নিচের ফোঁড়া বা চাকা।
6. Calcarea Sulph
▫️পুরনো বা বারবার ফোঁড়া হলে।
▫️ফোঁড়ার ক্ষত শুকাতে না চাওয়া বা দীর্ঘদিন পুঁজ হওয়া।
▫️হলদে বা সাদা পুঁজ।
7. Arsenicum Album
▫️ফোঁড়ার জায়গায় জ্বালাপোড়া, বিশ্রাম নিলেও ব্যথা কমে না।
▫️রোগী দুর্বল, ভয় পায় এবং উদ্বিগ্ন।
▫️রাত ১টা থেকে ৩টার দিকে উপসর্গ বাড়ে।
8. Sulphur
▫️বারবার ফোঁড়া হয়, দীর্ঘস্থায়ী চর্মরোগ।
▫️ফোঁড়া চুলকায়, জ্বলে, গরমে বাড়ে।
▫️অলসতা, অপরিষ্কার শরীরের চিহ্নযুক্ত।
📋 বিশেষ পরামর্শ:
▪️ফোঁড়া ফাটানোর চেষ্টা করবেন না।
▪️ওষুধ চলাকালীন চা, কফি, পুদিনা, মসলা, তামাকজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
▪️তাপ প্রয়োগ (hot compress) করলে উপশম পেতে পারেন।
▪️বারবার ফোঁড়া হলে শরীরের মিয়াজম্যাটিক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।
#সতর্কতা:
(হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নিজের মতো করে খেতে যাবেন না, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।)
করুন এবং পোস্ট & করে সাথে থাকুন।

13/06/2025

১০টি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এগুলো চোঁখের সমস্যার জন্য অসাধারণ ঘরোয়া মেডিসিন :-
(১) Euphrasia -
- তীব্র(Acute) শ্লেষ্মা(catarrhal) নেত্রপ্রদাহ ।
- চোখ ঘন ঘন পানি আসে এবং চোখ মিটমিট করার প্রবণতা থাকে ।
- চোখ থেকে জ্বালাকর স্রাব বের হয়, যাতে চোখের পাতার প্রান্তে ক্ষত হয়ে যায়।
- কর্নিয়ার অস্বচ্ছতার সাথে জ্বালাকর ঘন স্রাব নিঃস্বরণ হয়।
- কর্নিয়ায় ফুস্কুড়ি বা স্ফুটক হয়।
- বাতজনিত কারণে চোখের আইরিস প্রদাহসহ আংশিকভাবে চোখের পাতা প্যারালাইসিস (ptosis) এর ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে ভাল একটি অষুধ।
- প্রায় সবসময়ই চোখ থেকে অনবরত পানি ঝরতেই থাকে।
- চোখের পাতা ফোলাসহ জ্বলা থাকে, যা খোলা বাতাসে ভাল অনুভব করে।
- সন্ধ্যায়, গৃহমধ্যে , আলো, উষ্ণতায় বৃদ্ধি।
- মুক্ত বাতাস , কফি পানে, অন্ধকারে হ্রাস পায়।
- নেত্রপ্রদাহ সঙ্গে যুক্ত এলার্জিক রাইনাইটিস এর ক্ষেত্রে চোখ ও নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরাকে এলিয়াম সেপা (Allium cepa) সঙ্গে তুলনা করা যায়।
(২) Ambrosia -
- এলার্জিজনিত চোখের সমস্যা।
- চোখের পাতায় অসহনীয় চুলকানি।
- চোখে হালকা ব্যথা এবং জ্বলাসহ পানি ঝরতে পারে এবং নাক থেকে রক্ত আসতে পারে।
- প্রায় সবসময় চোখের সমস্যার সঙ্গে বুকে সাঁইসাঁই শব্দসহ কাশি থাকে।
- স্যাবাডিলা (Sabadilla), আরন্ডো (Arundo) সঙ্গে তুলনা করা যায়।
(৩) Ruta -
- চোখ টনটনানিসহ মাথাব্যথা।
- চোখে ব্যথাসহ লালচে গরম পানি আসে।
- বিশেষ করে সূক্ষ্ম মুদ্রণ সেলাই বা পড়ার সাথে সম্পৃক্ত।
- দৃষ্টিশক্তির সামঞ্জস্যের সমস্যা।
- মাথা ব্যাথা সঙ্গে চোখ শ্রান্তি।
- চোখের যন্ত্রণার সঙ্গে যুক্ত অত্যধিক দুর্বলতা (lassitude)।
- চোখের উপর থেতলানো মত এবং চাপ অনুভূতি।
- নেট্রাম মিউর (Natrum mur), আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম (Argentum nitricum) এর সঙ্গে তুলনীয়।
(৪) Pulsatilla -
- পালসেটিলা চোখের যন্ত্রণার জন্য হোমিওপ্যাথিতে সবচেয়ে অমূল্য একটি ওষুধ।
- চোখ থেকে অহেজাকর, ঘন, হলদে এবং সবুজাভ স্রাব নিঃস্বরণে এটিকে মনে রাখা উচিত।
- চুলকানি এবং জ্বালা অনুভুতি এর সঙ্গে যুক্ত।
- পৌনঃপুনিক অঞ্জনীতে ওষুধ সেবনকালীন অবশ্যই Pulsatilla এর একটি ডোজ প্রয়োজন।
- চোখের উপর পাতায় প্রদাহিত শক্ত গুটি থাকতে পারে।
- তীব্র নেত্রপ্রদাহের সাথে হজমজনিত সমস্যা থাকে।
- লক্ষণ সর্বদাই পরিবর্তনশীল, সেটা রোগজ হোক আর মানসিক হোক।
- স্কন্ধ এর শিরা বৃহদাকার।
- সব সমস্যা উষ্ণ রুমে খারাপ এবং খোলা বাতাসে ভাল।
(৫) Spigelia -
- চোখে স্নায়ুবিক যন্ত্রনা।
- চেপে ধরা মত ব্যথা যা এদেরকে ঘুরিয়ে ফেলে।
- চরম আলোকাতঙ্ক থাকে।
- গাঁটের ফোলা ও ব্যথাসহ চোখের প্রদাহ।
- চোখের মধ্যে গভীরে এবং চোখের চারপাশে ব্যাথা অনুভব অর্থাৎ চোখের বলে চাপ দেওয়া মত অসহ্য যন্ত্রনা।
- চোখের কোটরের অনুপাতে চোখ খুব বড় মনে হয়।
- স্পর্শে অত্যন্ত সংবেদনশীল, মাথার চারপাশে শক্ত বন্ধনী দেওয়া আছে মনে হয়।
- স্পর্শ, উত্তেজনা, গোলমাল বা কোলাহলপুর্ণ পরিবেশে এবং সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বৃদ্ধি।
- মাথা উচু করে শুয়ে থাকলে ভাল অনুভব করে।
(৬) Apis mellifica -
- জ্বালাযুক্ত ও চুলকানিসহ ফোলা এবং নিচের পাতায় শোথ ( উপরের পাতায়- কেলি কার্ব)।
- চোখ উজ্জ্বল লাল ফোলা থাকে।
- অঞ্জনীর পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করে।
- অক্ষিগোলকে ব্যথাসহ পাতলা তরল নিঃস্বরণ হয়।
- শোথ থাকে কিন্তু পিপাসাহীন ( শোথ কিন্তু পিপাসা থাকে-এপোসাইনাম, এসেটিক এসিড)।
- প্রস্রাবে সমস্যার সাথে চোখের সমস্যা থাকে।
- তাপ , স্পর্শ , চাপ, ডান দিকে বৃদ্ধি।
- ঠান্ডা পানিতে ধোওয়া , মুক্ত বায়ুতে হ্রাস।
(৭) Merc Sol -
- উপদংশ (Syphilis) রোগী চোখের সমস্যা।
- চোখের পাতা মোটা , লাল, ফোলা।
- প্রচুর জ্বলন্ত হেজাকর স্রাব নিঃস্বরণ।
- অগ্নি ইত্যাদি একদৃষ্টি মরেছে পরে আরম্ভ চোখের সমস্যা।
- আইরিস প্রদাহসহ ঘন হেজাকর নিঃস্বরণ হয়।
- অত্যন্ত গন্ধযুক্ত চোখের স্রাব নিঃস্বরণ।
- চোখে এবং এর চারপাশে ফুড়া হয় যা থেকে হলুদ পূঁজ বের হয়।
- রাতে, ভেজা স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, উষ্ণতায় বৃদ্ধি।
(৮) Silica -
- দিনের আলো চোখে ধারালো( Sharp) ব্যথা উৎপন্ন করে।
- চোখ বন্ধ বা চাপ প্রয়োগ করলে স্পর্শানুভুতি আরোও বেড়ে যায়।
- চোখের অগ্র অংশে পূঁজ তৈরী হয়, আইরিশ প্রদাহ।
- পড়ার সময় দৃষ্টি বিভ্রান্তের জন্য- সাজানো অক্ষরগুলো দৌড়াচ্ছে মনে হয়।
- চোখের পানিবাহিত (Lachrymal) নালী আক্রান্ত হয়।
- হোমিওপ্যাথিকভাবে নির্দেশিত হলে এটি কর্নিয়ার অস্বচ্ছতার পরিষ্কার করে।
- অফিসে কর্মীদের মধ্যে চোখের ছানি।
- অমাবস্যা , ঠান্ডা বৃদ্ধি।
- উষ্ণতায় হ্রাস পায়।
(৯) Hepar sulph -
- কর্নিয়ার ক্ষত।
- পূঁজযুক্ত চোখের সমস্যা , আইরিস প্রদাহসহ অগ্র স্তরে বা কক্ষে পূঁজ।
- নেত্রপ্রদাহ(Conjunctivitis) সঙ্গে পূঁজপুর্ণ নিঃস্বরণ।
- চোখের পাতা এবং কঞ্জাংটিভাতে লাল এবং প্রদাহ হয়।
- অক্ষিগোলকে ব্যথা।
- চোখের অক্ষিকোটর (eyeballs) ক্ষতবদ বেদনা (Soreness)।
- বস্তুসমূহ লাল এবং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত প্রদর্শিত হয়।
- দৃষ্টিক্ষেত্র অর্ধ-হ্রাস পায়।
- ব্যথা এবং পূঁজসহ অঞ্জনী।
- ঠান্ডা, স্পর্শ, ঠান্ডা আবহাওয়ায় বৃদ্ধি।
- উষ্ণতা , মাথা আবৃত রাখলে হ্রাস পায়।
(১০) Agaricus -
- চোখের সামনে ফুল্কি উড়ার সঙ্গে দ্বিত্ব দৃষ্টি।
- চোখের পাতা এবং অক্ষিগোলক এর ঝাঁকুনি ( Twitching)।
- স্নায়ুতন্ত্রের বেদনাসহ (Neuralgic) চোখের যন্ত্রনা।
- পড়ার সময় অক্ষরগুলো নড়াচড়া করে, সাঁতার কাটছে বলে মনে হয়।
- চোখের পাতার ভিতর প্রান্ত লালচে ও প্রদাহ, জ্বালাকর ব্যথা, প্রান্ত শক্ত গুটির মত।
- চোখের যন্ত্রণা মাথাঘূর্নণ এবং বরফতুল্য ঠান্ডা মাথার সঙ্গে যুক্ত।
- খোলা ঠান্ডা বাতাসে বৃদ্ধি।
পোস্টটা নবীন ডাক্তারদের জন্য লিখিত। সুতরাং হোমিওপ্যাথি অর্গানন অব মেডিসিন সম্পর্কে যাদের জ্ঞান নেই তাঁরা নাম জেনেই নিজে নিজে সেবন করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।

12/06/2025

অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ক্ষতি পূরনে লক্ষন ভিত্তিক ১০টি গুরুত্বপূ্র্ন হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নিয়ে আলোচনা করা হলো:✍️✍️
1. Staphysagria: অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারণে মানসিক অবসাদ ও দ্রুত বীর্যপাতের জন্য কার্যকর।
2. Agnus Castus: যৌন দুর্বলতা ও যৌন আগ্রহের অভাব থাকলে ব্যবহৃত হয়।
3. Calcarea Phosphorica: শারীরিক দুর্বলতা, ক্লান্তি এবং অনুপ্রেরণার অভাব থাকলে।
4. Phosphoric Acid: যৌন ক্ষমতা হ্রাস, স্মৃতিশক্তি দুর্বলতা ও অবসাদের জন্য উপকারী।
5. Lycopodium: আত্মবিশ্বাসের অভাব, মানসিক উদ্বেগ ও যৌন দুর্বলতার জন্য কার্যকর।
6. China Officinalis: অতিরিক্ত শারীরিক শক্তিক্ষয় ও দুর্বলতার জন্য ব্যবহৃত হয়।
7. Nux Vomica: মনোযোগের অভাব ও মানসিক চাপ কমানোর জন্য উপকারী।
8. Conium: যৌন উত্তেজনার সমস্যা ও দুর্বলতার জন্য কার্যকর।
9. Selenium: দ্রুত বীর্যপাত এবং যৌন শক্তি হ্রাসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
10. Acid Phos: মানসিক অবসাদ ও শারীরিক দুর্বলতার জন্য কার্যকর।
দ্রষ্টব্য: এই ওষুধগুলি নির্দিষ্ট লক্ষণ অনুযায়ী ব্যবহৃত হয়, তাই সঠিক চিকিৎসার জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Call now to connect with business.

12/06/2025

🔸🌵🌿 চুল পড়া (Hair Fall)-হোমিও ঔষধ :-
---
💊 Phosphorus 30
🔸 মাথার চুল এক মুঠ করে পড়ে যায় — বিশেষ করে কপালের দুই পাশে
🔸 আঁচড়ালে গুচ্ছ গুচ্ছ চুল উঠে আসে
🔸 মাথার তালু জ্বালা করে, ঠান্ডা পানি ঢাললে আরাম লাগে
🔸 মানসিকভাবে ভয়প্রবণ, দুর্বল, একা থাকতে ভয় পায়
🔸 রক্তস্বল্পতা, অতিরিক্ত রক্তক্ষয় বা ভয়-আতঙ্কের পর চুল পড়া শুরু
---
💊 Natrum Muriaticum 30
🔸 মানসিক কষ্ট বা দুঃখ থেকে চুল পড়া শুরু হয়
🔸 মাথার সামনের অংশ ও কপালের চুল পাতলা হয়ে যায়
🔸 মাথার তালুতে চুলকানি ও ত্বকের তৈলাক্তভাব
🔸 মানসিকভাবে চুপচাপ, একাকী থাকতে ভালোবাসে, পুরনো কষ্ট মনে রাখে
🔸 মাসিক অনিয়ম বা মুখে ব্রণসহ কিশোরীদের জন্য উপযোগী
---
💊 Fluoric Acid 30
🔸 দীর্ঘদিন ধরে চলা চুল পড়া, যা সহজে ভালো হচ্ছে না
🔸 মাথার সামনের দিক ও টাক পড়া অংশে বেশি প্রভাব
🔸 চুল রুক্ষ, ভঙ্গুর, দ্রুত বাড়ে কিন্তু আবার পড়ে যায়
🔸 মানসিকভাবে চঞ্চল, দায়িত্বহীন বা উদাসীন স্বভাব
🔸 সিফিলিস বা অন্য গভীর-স্থায়ী রোগের পরবর্তী ধাপে উপযোগী
---
💊 Lycopodium 30
🔸 চুল ধীরে ধীরে পড়ে, বিশেষ করে মাথার ডান পাশে বা টেম্পলে
🔸 রুক্ষ ও পাতলা হয়ে যাওয়া চুল, মাথার তালু শুষ্ক
🔸 মানসিকভাবে আত্মবিশ্বাসহীন, কিন্তু বাহ্যিকভাবে অহংকারী দেখায়
🔸 গ্যাস, হজমে সমস্যা ও চুল পড়া একসাথে থাকলে উপযোগী
🔸 শিশু বা তরুণ বয়সেই চুল পড়ে যাচ্ছে এমন কেসে কার্যকর
----
📌 সংক্ষিপ্ত পার্থক্য করার টিপস:
🟢 Phosphorus → আঁচড়ালে চুল উঠে যায় + ঠান্ডা পানি পছন্দ
🟡 Natrum Mur → দুঃখ-কষ্টের পর চুল পড়ে + চুপচাপ
🔴 Fluoric Acid → দীর্ঘস্থায়ী পুরনো চুল পড়া + রুক্ষ চুল
🟠 Lycopodium → গ্যাস, হজমে সমস্যা + ডান পাশে বেশি চুল পড়ে
----
---কমেন্ট করে জানান পরবর্তী পোস্ট
-মেডিসিন এর ক্লিনিক্যাল টিপস না
-রোগের ক্লিনিক্যাল টিপস কোনটা চান জানাবেন
---
লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করে উৎসাহ দেন

Call now to connect with business.

26/05/2025

🍒 ব্যথা শুরু হলে, কত শত ঔষধের কথা মনে পড়ে।কোন ব্যথায় কী ঔষধ ভাল কাজ করে?

𑁍সামান্য কিছু ঔষধের ধারণা দেওয়া হলো
❀ ব্যথা হঠাৎ আসে হঠাৎ যায় -- Belladonna / Kali B**h.

𖣘 ব্যথা হঠাৎ আসে কিছুক্ষণ থেকে চলে যায় --- Acid Carb.

𖧷 ব্যথা হঠাৎ আসে ধীরে ধীরে যায় --- Pulsatila.

☆ মাংশের ব্যথায় আর্নিকা এক নম্বর--Arnica

᯽ ব্যথা ধীরে ধীরে আসে হঠাৎ যায় ---Acid Sulph

𖣔 ব্যথা ধীরে ধীরে আসে ধীরে ধীরে যায় ---Platina/ Syphilinum.

☢︎︎ ব্যাথা উপর হতে নিচে নামে --- Kalmia Lat

✩ ব্যাথা নিচ হতে উপরে ওঠলে --- Ledum Pal.

☆ ব্যথা বাম দিকে শুরু হয়ে ডানে গেলে -- Lachesis

✵ ব্যথা ডান দিকে শুরু হয়ে বামে গেলে --- Lycopodium.

᯽ ব্যথা বাম দিকে শুরু হয়ে ডানে গেলে এবং পুনরায় বাম দিকে ফেরত আসলে -- Lac can.

𖣘 ব্যথা ডান দিকে শুরু হয়ে বামে গেলে এবং পুনরায় ডান দিকে ফেরত আসলে -- Sulphur.

𑁍 বুকের ব্যথা, বাতের ব্যথা প্রভৃতিতে ব্রায়োনিয়া সেব--Bryonia

𖧷 ব্যথা আড়াআাড়ি/কোনাকুনি উপর নিচ হলে অর্থাৎ, ডান হাত বাম পা অথবা বাম হাত ডান পা এরকম হলে -- Agaricus Mos.

𖧷 যতো ব্যথ্যা ততো শীত করে -Pulsatila.

᪥ যতো ব্যথ্যা ততো গরম লাগে -- Chamomila.

𑁍 যতো ব্যথা ততো গরম ঘাম -- Chamomila.

✪ যতো ব্যথা ততো ঠান্ডা ঘাম -- Merc Sol.

❁ যতো ব্যথা ততো বমি হলে -- Colocynth.

❀ যতো ব্যথা ততো স্রাব -- Actea Raci.

༆ আলপিন, তারকাটার আঘাতে ব্যথা -Ledum Pal

26/05/2025

🍀একক লক্ষনে হোমিওপ্যাথি।
🌺হোমিওপ্যাথি আয়ত্ব করতে যাদের কষ্ট হয়/বা আত্মস্ত করতে ইচ্ছুক তাঁদের জন্য পোষ্টটি গুরুত্বপূর্ন।এখান থেকে প্রাথমিক ধারনা নিয়ে বসে যান মেটেরিয়া মেডিকা নিয়ে।৫০টির ধারনা দেওয়া হল।প্রতিটি অন্তরে গেথে নিন।

1🎯 আঘাত পেয়ে যেকোন রোগ হলে- Arnica
2🎯 হঠাৎ আসা তরুণ বা যেকোন রোগে- Aconite
3. গলায় মাছের কাঁটা বিধলে-Silicia 200
4. ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে গেলে-Staphysagria
5. পিন, তারকাটা, পেরেক, লোহা বিধলে-Ledum Pal 200
6. অতিরিক্ত হাঁচি আসলে-Natrum Mur 30
7. যানবাহনে চড়ে বমি হলে-Cocculus Ind
8. ঘুমের মাঝে নাক ডাকলে- O***m
9. ঘুম না আসলে- O***m
10. অত্যধিক ঘুমের জন্য লেখা পড়ার ক্ষতি হলে-Ferrum Phos 3x
11. চোখের পাতায় বার বার অঞ্জলি/তেলেঙ্গা হলে-Staphysagria
12. যেকোন স্থানে, যেকোন ব্যথায়-Mag phos 6x
13. ক্ষুধা ও বলশক্তি বৃদ্ধির জন্য-Nux Vom Q
14. খাবারে রুচি না থাকলে-Amloki Q
15. শরীরের কোন স্থান কেটে রক্তপাত ঘটলে-Calendula Q (বাহ্যিক)
16. বর্ষা/বৃষ্টির কারণে যেকোন রোগ হলে-Rhus Tox
17. আমাশয় হলে-Merc Sol
18. আমাশয়ে রক্ত গেলে-Merc Cor
19. শরীরের যেকোন স্থান দিয়ে টাটকা লাল রক্ত স্রাব হলে-Sinaberis
20. কি ঔষধ প্রয়োগ করবেন না জানলে-NuxVom- 30
21. নড়াচড়া বা চাপলে আরাম-RhusTox
22. চুপচাপ থাকলে আরাম-Bryonia Alb
23. স্কুল কলেজ/অবিবাহিত যুবকদের কামরিপু দমনের জন্য Cantharis
24. গায়ক/বক্তার স্বর ভেঙ্গে গেলে-Custicum/Arg Nit
25. স্মরণশক্তি লোপ পেলে-Anacardium
26. খিটখিটে মেজাজ বদ-রাগি লোকদের যেকোন রোগে-Camomila
27. আগুন, গরম ও রৌদ্রজনিত যেকোনো রোগে বা সমস্যায়-Glonoine
28. শুঁচিপায়ি রোগির জন্য- Syphillinum-10m
29. বাচ্চারা বিছানায় প্রস্রাব করলে-Cina
30. মৌমাছি হুল ফুটালে-Apis Mel
31. চুন খেয়ে জিহ্বা পুড়লে/সমস্যা হলে-Causticum
32. পিঠে ব্যথায়-Lycopodium
33. ঘাড় ব্যথার জন্য-Conium
34. দুরগন্ধযুক্ত যেকোন স্রাব হলে-Achinesia
35. সোরাইসিসের জন্য-Gynocardium Q
36. যা খায় তাই বমি করে, কোন খাবার হজম হয়না-Symphoricur pus 30
37. মাথায় যন্ত্রনা বা ব্রেনের যেকোন সমস্যায়- Kali Phos 6x
38. মহিলাদের জরায়ু ঝুলে গেলে-Sipia 200
39. মহিলাদের তল পেটে ব্যথা হলে-Colophylom Q
40. প্রস্রাব ধারনে অক্ষমতা-Causticum 200
41. গুরুপাক খাবার খেয়ে অসুখ হলে-Pulsitilla

Address

Kawnia Branch Road, Section Road
Dhaka
8200

Opening Hours

Monday 17:00 - 21:00
Tuesday 17:00 - 21:00
Wednesday 17:00 - 21:00
Thursday 17:00 - 21:00
Friday 17:00 - 19:00
Saturday 17:00 - 21:00
Sunday 17:00 - 21:00

Telephone

01977024868

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rose Homeo & Physiotherapy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Rose Homeo & Physiotherapy:

Share