Homoeo Health Care

Homoeo Health Care এখানে সকল রোগের চিকিৎসা নিতে পারবেন।

Gangrene কি?Gangrene (গ্যাংগ্রিন) হলো একটি গুরুতর অবস্থা যেখানে শরীরের কোনো অংশের টিস্যু মারা যায় এবং পচে যেতে শুরু করে...
26/04/2025

Gangrene কি?
Gangrene (গ্যাংগ্রিন) হলো একটি গুরুতর অবস্থা যেখানে শরীরের কোনো অংশের টিস্যু মারা যায় এবং পচে যেতে শুরু করে। এটি সাধারণত রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে বা ইনফেকশনের কারণে হয়।

#গ্যাংগ্রিনের ধরন:

🔵 Dry Gangrene – রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে ধীরে ধীরে টিস্যু শুকিয়ে কালো হয়ে যায়।

🔵 Wet Gangrene – ইনফেকশনসহ টিস্যু নষ্ট হয়, এটি খুব বিপজ্জনক এবং দ্রুত ছড়াতে পারে।

🔵 Gas Gangrene – এটি একটি গুরুতর ধরণের, যেখানে ব্যাকটেরিয়া গ্যাস তৈরি করে এবং টিস্যু ধ্বংস করে।

🔵 Internal Gangrene – শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে হয়।

#কারণঃ

♦️ রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়া – ডায়াবেটিস, ধমনী সংকোচন বা রক্তনালীর ক্ষতির কারণে।

♦️ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ – বিশেষ করে Clostridium perfringens নামে একটি ব্যাকটেরিয়া।

♦️ আঘাত বা দুর্ঘটনা – মারাত্মক ক্ষত যা রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়।

♦️ ডায়াবেটিস – উচ্চ রক্তে চিনি রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত করে।

♦️ অস্ত্রোপচারের পরে ইনফেকশন – বিশেষ করে যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখা হয়।

#লক্ষণ:

🔴 আক্রান্ত স্থানে ব্যথা, ফুলে যাওয়া

🔴চামড়া কালো বা সবুজ বর্ণ ধারণ করা

🔴 দুর্গন্ধযুক্ত তরল বা পূঁজ বের হওয়া

🔴 জ্বর বা দুর্বলতা

#পরামর্শ:

♦️♦️প্রতিরোধ (Prevention):

🔷 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা

🔷 ক্ষত বা কাটা-ছেঁড়া হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া

🔷 ধূমপান বন্ধ করা

🔷 রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ব্যায়াম করা।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ক যেকোনো পরামর্শ বা প্রয়োজনে health car পেজের ইনবক্সে মেসেজ দিতে পারেন।

📞 যোগাযোগ :01821632138(What's App)

★★  Shot   ( #সিফিলিনাম)★ One Shot Symptoms:★বংশগত উপদংশ বা উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা। ⚠️★রাত্রে বৃদ্ধি, অনিদ্রা ও অক্ষুধা।...
15/02/2025

★★ Shot ( #সিফিলিনাম)
★ One Shot Symptoms:
★বংশগত উপদংশ বা উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা। ⚠️
★রাত্রে বৃদ্ধি, অনিদ্রা ও অক্ষুধা। 🌙
★খর্বতা ও পক্ষাঘাত। 🧠
★ক্ষত ও দুর্গন্ধ। 💀

---

★ বিস্তারিত লক্ষণসমূহ:
★ - সিফিলিনাম একটি শক্তিশালী ঔষধ, যা সোরার সাথে মিলিত হয়ে সিফিলিস বা সাইকোসিসের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। 💊
★ - সিফিলিনাম তখন সবচেয়ে উপকারী, যখন সিফিলিস বা সাইকোসিস বংশগতভাবে প্রকাশ পায় এবং সঠিক ঔষধ ব্যর্থ হয়ে যায়। ⏳
★ - সিফিলিস সাধারণত জননেন্দ্রিয়ের ছোট ক্ষত দিয়ে শুরু হয়, এবং পরবর্তীতে তা বড় হয়ে যায়। 🔪
★ - ক্ষতের কারণে ফোড়া, চুল পড়া, দাঁত পড়া, হাড় ও গ্ল্যান্ডের সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি মস্তিষ্কের বিকৃতি বা পক্ষাঘাত দেখা দেয়। 🧠
★ - সিফিলিনাম শিশুর জন্যও উপকারী, যেমন: নাভি থেকে রক্তস্রাব, পায়ের তলা থেকে চর্ম উঠানো, চক্ষু প্রদাহ, আলোকাতঙ্ক, মুখে ঘা, প্লীহা ও যকৃতের বৃদ্ধি, শরীর শুকিয়ে যাওয়া, শারীরিক ও মানসিক খর্বতা ইত্যাদি। 👶

★ রাত্রে বৃদ্ধি, অনিদ্রা ও অক্ষুধা
★ - সিফিলিনামের রোগী রাত্রে সমস্যার সম্মুখীন হন। 🌜
★ - রোগী দিনে ভালো থাকলেও, সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত যন্ত্রণা তীব্র হয়ে ওঠে। 🌒
★ - সিফিলিনামের রোগী অনেক সময় ঘুমাতে পারে না বা ক্ষুধা অনুভব করে না। 😔

★ খর্বতা ও পক্ষাঘাত:
★ - সিফিলিসের সাথে পক্ষাঘাতের সম্পর্ক গভীর। ⚡
★ - পক্ষাঘাতের কারণে চোখের পাতা ঝুলে পড়া, মুখ বাঁকা হওয়া, জিহ্বা ঝুলে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, কোষ্ঠবদ্ধতা ইত্যাদি দেখা যায়। 🤕
★ - স্নায়ুবিক পক্ষাঘাতের কারণে বিভিন্ন ধরনের শূল, আক্ষেপ, মৃগী বা মানসিক খর্বতা হতে পারে। 🧠
★ - শারীরিক ও মানসিক খর্বতা যেমন: শিশুর শারীরিক গঠন অসমান, মাথার হাড় উঁচু-নীচু, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বক্র বা ক্ষতযুক্ত, ক্ষত দুর্গন্ধময়। 🦠
★ - মুখে ঘা, চক্ষে আলোক সহ্য না হওয়া, দাঁত ক্ষয়, কেরিজ, নিক্রোসিস, হাত ও পায়ের তলা থেকে চর্ম উঠানো ইত্যাদি লক্ষণ। 👀

★ ক্ষত ও দুর্গন্ধ:
★ - সিফিলিনামে বিভিন্ন ধরনের গভীর ক্ষত বা চর্মরোগ দেখা দেয়। 🩸
★ - ক্ষত হয়ে অস্থি আক্রান্ত করে, এবং পরবর্তীতে বাহিরে প্রকাশ পায়। 💀
★ - গলার বা ঘাড়ের চারপাশে ফোড়া বা ম্যাণ্ড ফুলে গিয়ে শক্ত হয়ে যায়, টনসিলের বৃদ্ধি বা নালী-ঘা দেখা দেয়। 💉
★ - মুখে ঘা, কানে পূজ, চক্ষু-প্রদাহ, নাকে দুর্গন্ধ দেখা যায়। 👃
★ - দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব: মল, মূত্র, ঘর্ম এমনকি নিশ্বাসও দুর্গন্ধময় হয়। 💩
★ - সিফিলিনাম রোগী কোষ্ঠবদ্ধ থাকে, মল ২-৩ দিন অন্তর হয়, এবং জোলাপ দিয়েও কোনো কাজ হয় না। 🚽
★ - মলদ্বার ফেটে যায়, রক্ত পড়ে, ক্ষত দেখা দেয়। 💔
★ - মুখে, নাকে, চোখে, মলদ্বারে, অস্থিতে ক্ষত ও দুর্গন্ধ। 😷

---

★ অতিরিক্ত লক্ষণসমূহ:
★ - সিফিলিনাম শিশুর জন্য কার্যকরী হতে পারে যদি তারা জন্মের পর ক্রমাগত কাঁদে এবং শারীরিক ও মানসিক খর্বতা প্রকাশ করে। 👶
★ - সিফিলিনামের রোগী মাদকদ্রব্য খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করে। 💊
★ - স্মৃতি-ভ্রংশ, পরিচিত লোকজনের নাম ভুলে যাওয়া, ভয় বা কাঁদা। 💭
★ - সিফিলিনামের রোগী চঞ্চল, ক্রুদ্ধ, প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না, এবং অবসন্ন থাকে। 😞
★ - মুখে পক্ষাঘাত, মুখ একপাশে বাঁকা হওয়া, বাক্যলোপ। 🧠
★ - চক্ষু-প্রদাহ, ঠাণ্ডা জলে উপশম, বাগী। 👁️
★ - মেরুদণ্ডের ক্ষয়, প্লীহা ও যকৃতের বৃদ্ধি। 🦠
★ - শ্বেত-প্রদর এবং হাঁপানি। 🌬️
★ - শীতকালে উদরাময় বৃদ্ধি পায়, শারীরিক শুকিয়ে যাওয়া। ❄️
★ - তীব্র শিরঃপীড়া, এবং শিরঃপীড়া উত্তাপে প্রশমিত হয়। 🌡️
★ - কোষ্ঠকাঠিন্য, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত মূত্র ও ঘর্ম, এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত ও দুর্গন্ধ। 😷

অসংখ্য ধন্যবাদ 🥰








ব্রণ বা এক্নি (Acne) হলো ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা, যা সিবাম গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল উৎপন্নের কারণে ঘটে। হোমিওপ্যাথিতে...
03/12/2024

ব্রণ বা এক্নি (Acne) হলো ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা, যা সিবাম গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল উৎপন্নের কারণে ঘটে। হোমিওপ্যাথিতে এর জন্য বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহৃত হয়, যেগুলো রোগীর উপসর্গ এবং শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। নিচে কিছু সাধারণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ উল্লেখ করা হলো, যা ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়:

1. সালফার (Sulphur): ব্রণের তীব্রতা ও চুলকানির জন্য প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। ত্বক শুকনা ও অস্বস্তি হলে এটি কার্যকর হতে পারে।

2. হেপার সালফ (Hepar Sulph): ব্রণ থেকে পুঁজ বের হলে, ত্বক স্পর্শে অতিরিক্ত সংবেদনশীল থাকলে এটি ব্যবহৃত হয়।

3. ক্যালি ব্রোমেটাম (Kali Bromatum): মুখে ও কপালে গভীর ব্রণ হলে এটি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে যদি ব্রণগুলো কালো দাগ ফেলে থাকে।

4. নাট্রাম মিউর (Natrum Muriaticum): তৈলাক্ত ত্বক ও মানসিক চাপের কারণে ব্রণ হলে এটি কার্যকর।

5. পালসাটিলা (Pulsatilla): হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে ব্রণ হলে, বিশেষ করে মাসিক চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলে এটি ব্যবহার করা হয়।

6. অ্যান্টিম ক্রুড (Antimonium Crudum): ত্বকে ঘন এবং পুঁজযুক্ত ব্রণ থাকলে এই ওষুধটি ব্যবহার করা যায়।

অনলাইনে যেকোনো রোগের চিকিৎসা ও মেডিসিন নিতে যোগাযোগ করুন 01821-632138


লিভার সিরোসিস নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি। 🍉🍉🍉🍉🍉🍉🍉🍉🍉লিভার সিরোসিস নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ব্যবহারিক প্রয়োগ সংকেত নিয়ে আজকের ...
17/09/2024

লিভার সিরোসিস নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি।
🍉🍉🍉🍉🍉🍉🍉🍉🍉
লিভার সিরোসিস নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ব্যবহারিক প্রয়োগ সংকেত নিয়ে আজকের নিবন্ধ।

এই রোগে লিভারের কোষগুলোর ক্রমশ অপকর্ষতা (প্রোগ্রেসিভ ডি-জেনারেশন) হতে আরম্ভ হয় এবং কোষগুলোর চতুঃপার্শ্বস্থ শ্বেততন্তু সমূহের বিবৃদ্ধি ঘটে। ইহার ফলস্বরূপ “পোর্ট্যাল ভেন” নামক সুবৃহৎ লিভার শিরার মধ্যে রক্ত চলাচলে বাধা জন্মে, লিভারটি শুকিয়ে ছোট হয়ে লিভার সেল নষ্ট হয়ে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার সৃষ্টি করে। এটি অকাল মৃত্যুর অন্যতম কারণ।

লিভার সিরোসিরের কারণ :

সাধারণত : ৩৫ বৎসর হতে ৫০ বৎসরের মধ্যে লিভারের সিরোসিস খুব বেশী দেখা যায়। ২৫ বৎসরের নিম্নে এই রোগ প্রায় দেখা যায় না। স্ত্রীলোক অপেক্ষা পুরুষগণ এই রোগে সমধিক আক্রান্ত হন। খালিপেটে অপরিমিত মদ্যপান, তাড়ি খাওয়া, অতিরিক্ত গরমমশলাযুক্ত গুরুপাক কোনও দ্রব্য আহার, রিকেট, গেঁটেবাত, উপদংশ, ম্যালেরিয়া স্থানে বাস, পুনঃ পুনঃ ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়া, স্কার্লেট ফিভার, টাইফয়েড-ফিভার, উপদংশ (পূর্ব পুরুষাগত বা নিজে অর্জিত), টিউবারকুলোসিস প্রভৃতি হতে লিভার সিরোসিস হয়।

লিভার সিরোসিসের লক্ষণ :

সিরোসিসের লক্ষণ নানা রকম হয় এবং নিচের বর্ণনার যেকোনো সংমিশ্রণে হতে পারে।

১. হেপাটোমেগালি : সিরোসিসের প্রথম দিকে লিভার বড় হয়, কিন্তু যতই দিন যেতে থাকে ততই লিভারের কোষগুলো ধ্বংস হয়ে ফাইব্রোস টিস্যু দ্বারা পূরণ হওয়ায় লিভারের সাইজ ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে।

২. জন্ডিস : জন্ডিস সিরোসিসের জন্য অপরিহার্য নয়। এটি নির্ভর করে লিভার কতটা কর্মক্ষম আছে তার ওপর। তাই জন্ডিস থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।

৩. এসাইটিস : লিভারের কোষের স্থলে ফাইব্রোস টিস্যু হলে পোর্টাল প্রেসার বেড়ে যায়, ফলে পেটে পানি জমে। জন্ডিস ও পেটের পানি লিভারের গুরুতর অবস্থা নির্দেশ করে এবং সিরোসিসের শেষ দিকে দেখা যায়।

৪. স্পাইডার টেলানজিসিটাসিয়া : বুকের উপর রক্তনালীর জাল দেখা যায়।

৫. যৌন ইচ্ছা কমে যায়, বুকের লোম পড়ে যায়, পুরুষের স্তন বৃদ্ধি, অন্ডকোষ শুকিয়ে যায়, যৌন অক্ষমতা ইত্যাদি হতে পারে।

৬. মেয়েদের স্তন ছোট হয়ে যায়, মাসিক অনিয়মিত কিংবা মাসিক বন্ধ হতে পারে।

৭. রক্তক্ষরণের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়

৮. পোর্টাল হাইপারটেনশন : প্লীহা বৃদ্ধি পায়, পেটের ত্বকের ওপর শিরাগুলো প্রকট হয়, ফ্যাক্টর হেপাটাইটিস লিভার রোগের গন্ধ শ্বাস পাওয়া যায়।

৯. হেপাটিক এনকেফ্যালোপ্যাথি : লিভারের কার্যের বিঘ্নজনিত কারণে মস্তিস্কের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া (হেপাটিক এনকেফ্যালোপ্যাথি) যার জন্য মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় যেখানে ভ্রান্তি থেকে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে।

১০. অন্যান্য : অল্প অল্প জ্বর, ত্বকে দাগ, ক্লাবিং ইত্যাদি থাকতে পারে।

প্রকারভেদ :

লিভার সিরোসিস সাধারণত ৪ প্রকার।

১. এট্রিফিক সিরোসিস : ইহাতে লিভারের আকার অতিশয় ক্ষুদ্র ও ওজনও তদানুপাতে হ্রাস হয়। লিভারের নিম্নপ্রান্তে হাত দিয়ে পরীক্ষা করলে লিভার এবড়ো থেবড়ো বুঝা যায়। অন্যান্য লক্ষণ মদ্যপান করে পীড়া হলে প্রথমে মদ্যপানজনিত পাকাশয় প্রদাহের লক্ষণ দেখা যায়। লিভারে স্বল্প বিস্তর রক্তাধিক্য হয়। ক্রমশ রোগীর চোঁঙা, ঢেকুর, অজীর্ণ ঢেকুর, অর্জীণ ভুক্তদ্রব্য বমন, ¤েøষ্মা রক্তবমন প্রভৃতি উপসর্গ সমূহ প্রকাশিত হয়। কোন কোন রোগীর এত অধিক পরিমাণে রক্ত বমি হয় যে তা মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে থাকে।

২. হাইপারট্রফিক সিরোসিস : এই পীড়ায় লিভার খুব বড় হয়। এত বড় হয় যে নিম্নাংশের নাভীর নিকট পর্যন্ত নেমে আসে। লিভারের মধ্যে অধিক পরিমানে রক্ত জমাই ইহার প্রধান কারণ।

৩. ফ্যাটি সিরোসিস : ইহাতে লিভারে খুব বেশী পরিমাণে চর্বি জমে, লিভার সংকুচিত ও ক্ষুদ্র হয়। (এট্রাফিক সিরোসিসে-লিভারে চর্বিতে কিছু অংশ থাকে)। এই জাতীয়ের পীড়ায় লিভার ক্ষুদ্র হয় না। লিভার বড় হয় পরীক্ষায় লিভার এবড়ো থেবড়ো দেখায় না, সমৃণ হয়। লিভারে অল্প রক্ত থাকে। যারা অতিরিক্ত বিয়ার মদ্যপান করে তাদের মধ্যে এই পীড়া অধিক হয়। অন্যান্য লক্ষণ-অধিকাংশই এট্রফিক সিরোসিসের মত।

৪. গøাইসোনিয়ান সিরোসিস : যারা স্ট্রং-এলকোহল পান করে ইহা প্রায় তাদেরই হয়। ইহাতেও লিভারের আকার ক্ষুদ্র ও লিভার বিকৃত হয়। কানেকটিভ টিস্যুসমূহ অতিশয় স্থুল ও তাদের বিবৃদ্ধি হয়। এই পীড়াতে ও এট্রফিক সিরোসিসের লক্ষণসমূহ থাকে।

৫. পথ্য : দুগ্ধই এই পীড়ার প্রধান পথ্য। যাদের দুগ্ধসহ্য হয় না, তারা এরারুট, কোয়েকার্স-ওট, সাগু বার্লী, শরীর পালো প্রভৃতি দুগ্ধে মিশিয়ে পান করবে। কোনও প্রকার মাদকদ্রব্য সেবন, গুরুপাক দ্রব্য পান ভোজন ইহাতে একেবারে নিষিদ্ধ।

৬. হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধান : লিভার সিরোসিস অত্যন্ত জঠিল রোগ। হোমিওপ্যাথি মতে অসুখ হল শরীরের স্বাভাবিক প্রাণশক্তিতে বাধাদান বা অসুস্থকারী এক অপশক্তি। এই রোগ প্রতিকারে হোমিওপ্যাথিতে যুগান্তকারী ওষুধ থাকলে তা সফল প্রয়োগের উপর আরোগ সাফল্য নির্ভর করবে। লক্ষণভেদে এ রোগে ব্যবহৃত ওষধের নাম নিম্নে প্রদত্ত হল। যথা ১) ম্যাগনেসিয়া মিউর ২) ব্রায়োনিয়া ৩) চেলিডোনিয়াম ৪) হাইড্রাসটিস ৫) কার্ডুয়াস মেরি ৬) এসিড নাইট্রোমিউর ৭) মার্কুরিয়াস ৮) পটোফাইলাম ৯) ক্যালিআয়োড ১০) হিপার সালফ ১১) এসিড নাইট্রিক ১২) এপিস ১৩) এপোসাইনাম ১৪) আর্সেনিক ১৫) ইলাটিরিয়াম ১৬) কুরারি ১৭) এসিড ফ্লোর ১৮) হাইড্রোকোটাইল ১৯) আয়োডিয়াম ২০) লাইকোপোডিয়াম ২১) ফসফরাস ২২) প্লম্বম ২৩) নাক্সভমিকা উল্লেখযোগ্য।

তারপরেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের
তত্ত্বাবধানে থেকে ওষুধ সেবন করা উচিত।

টনসিলাইটিস কী, এর লক্ষণ, ঝুঁকি ও কখন অস্ত্রোপচার দরকার, কখন অস্ত্রোপচার করা উচিত না সে সম্পর্কে আজকে আমি বিস্তারিত আলোচন...
14/07/2024

টনসিলাইটিস কী, এর লক্ষণ, ঝুঁকি ও কখন অস্ত্রোপচার দরকার, কখন অস্ত্রোপচার করা উচিত না সে সম্পর্কে আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব।

টনসিলের সমস্যা কী,?
মানুষের শরীরে গলার ভেতর দুই পাশে থাকা দুটি গ্রন্থিই হচ্ছে টনসিল। এটি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। খাবারের মাধ্যমে বা বিভিন্নভাবে শরীরে যে রোগজীবাণু প্রবেশ করে তা ধ্বংস করে দেয় টনসিল, মানবদেহে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

টনসিলের সমস্যা হচ্ছে টনসিলাইটিস অর্থাৎ টনসিলের কোনো ধরনের প্রদাহ যদি হয় তখন তাকে টনসিলাইটিস বলা হয়। কিছু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে এটি হয়ে থাকে। টনসিলাইটিস সমস্যা সব বয়সী মানুষের হতে পারে। তবে শিশুদের ৩ থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত সংক্রমণ ঝুঁকি বেশি থাকে।

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ছোঁয়াচে, এটি অন্য কারো কাছ থেকে সংক্রমণ হতে পারে। বিভিন্ন নাম না জানা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে টনসিলাইটিস হতে পারে। আর ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে স্ট্রেপটোকক্কাস নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আছে, যার সংক্রমণের ফলে টনসিলাইটিস হয়।

টনসিলাইটিস যেকোনো ঋতুতেই হতে পারে। তবে শীতকালে এর প্রকোপ বেশি হয়। শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খেলেও টনসিলের প্রদাহ শুরু হয়ে যায় অনেকের।

টনসিলাইটিস একিউট ও ক্রনিক এই দুই ধরনের হয়।

একিউট টনসিলাইটিস: হঠাৎ করে একদিন হতে পারে। ৫ থেকে ৭ দিন পর চলে যায়।

ক্রনিক টনসিলাইটিস: এটা ঘনঘন হয়। কিছুদিন পরপরই সংক্রমণ হবে, ব্যথা হবে।

টনসিলাইটিসের লক্ষণ

১. গলা ব্যথা হয়।

২. খেতে অসুবিধা হয়। পানি খাওয়ার সময়, ভাত খেতে, এমনকি মুখের লালা গিলতে কষ্ট হয়।

৩. লালাগ্রন্থি ফুলে যায়।

৪. জ্বর হয়।

৫. শরীর ম্যাজম্যাজ করে।

৬. ঠান্ডা, কাশি, নাক দিয়ে পানি ঝড়তে থেকে।

টনসিলের সঙ্গে যদি এডিনয়েড থাকে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে সেটা দেখা হয়। এডিনয়েডে যদি সংক্রমণ হয় এবং বেশি ফুলে যায় তাহলে শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। এডিনয়েড বড় হয়ে গেলে কানে পানি চলে আসতে পারে। ফলে শিশু কানে কম শুনবে, মনোযোগ কম হবে।

টনসিলের ঝুঁকি রয়েছে যাদের:

যাদের একিউট টনসিলাইটিস হয় তাদের একবার হয়েই সেরে যায় ওষুধ খাওয়ার পরে। তাদের ভয় বা ঝুঁকির কিছু নেই।

কিন্তু যাদের ক্রনিক টনসিলাইটিস তাদের ঝুঁকি রয়েছে। যেমন-

১. টনসিল যদি ঘনঘন হয় তাহলে টনসিলের মধ্যে এক ধরনের পুঁজ জমে যায় (প্যারিটনসিলার অ্যাবসেস)। সেটি অত্যন্ত মারাত্মক। পুঁজ হয়ে গেলে সার্জারির মাধ্যমে পুঁজ বের করে ওষুধ দিতে হয়।

২. দীর্ঘদিন ইনফেকশন থাকলে টনসিলের মধ্যে সাদা সাদা দাগ হয়। ভাতের মতো এক ধরনের দানাদার পদার্থ টনসিল থেকে বের হয়ে আসতে দেখা যায়।

৩. ক্রনিক ইনফেকশন হলে টনসিলের মধ্যে পাথরও হতে পারে।

৪. টনসিলার ক্যারাটোসিস নামক রোগও হতে পারে।

৫. বয়স্ক ব্যক্তি বিশেষ করে ৫৫ বছরের পরে যদি কারো হঠাৎ করে একটা টনসিল ফুলে যায়, ব্যথা হয় তাহলে তাদের দ্রুত চিকিৎসক পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এক্ষেত্রে ক্যানসার হওয়ারও আশঙ্কা থেকে যায়।

যদি টনসিলের রোগীদেরকে হোমিওপ্যাথিক সঠিক মেডিসিন প্রদান করা হয় তবে ইনশাআল্লাহ কোন ধরনের অপারেশন প্রয়োজন পড়ে না।
তবে যদি রোগীর অবস্থা অনেক বেশি জটিল হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

কখন টনসিলের অস্ত্রোপচার দরকার:

একিউট নাকি ক্রনিক টনসিলাইটিস সেটি চিহ্নিত করতে হবে প্রথমে। অস্ত্রোপচারের কিছু শর্ত আছে। যেমন-

১. যদি কারো বছরে ৭ বার বা তার বেশি টনসিলের ইনফেকশন হয়।

২. যদি ২ বছরে কারো ১০ বার টনসিলের ইনফেকশন হয়।

৩. প্রতি বছরে ৫ বার বা তারও বেশি হয়।

৪. ৩ বছরের মধ্যে প্রত্যেক বছর ৩ বার করে হয়।

৫. টনসিল যদি বেশি বড় হয়ে যায়, শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, খেতে অসুবিধা হয়।

৬. টনসিলের মধ্যে পুঁজ জমে গেলে।

৭. টনসিলে পাথর হলে।

#শিশুদের টনসিলের সঙ্গে যদি এডিনয়েডের সমস্যা হয়। এডিনয়েডের ফলে যদি রাতের বেলা হা করে শ্বাস নেয়, দাঁত উঁচু হয়ে যায়, অমনোযোগী হয়, ঘনঘন ঠান্ডা-কাশি হয় সেসব ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেডিসিন সেবন করলে, অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন পড়ে না।

কখন টনসিলের অস্ত্রোপচার করা যাবে না:

একিউট টনসিল হলে অনেক সময় ওষুধও প্রয়োজন হয় না। কুসুম গরম পানি, লবণ পানি গড়গড়া করলে সমস্যা চলে যায়। তাই একিউট টনসিলাইটিস হলে কখনই অস্ত্রোপচার করা উচিত না।

টনসিলের সমস্যা হলে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা নিতে হবে। টনসিলের অবস্থা বুঝে ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ তার জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক রোগীকে ওষুধ দেবেন। এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করলে ওষুধের মাধ্যমে টনসিলাইটিসের সমস্যাটি ভালো হয়ে যায় পুরোপুরি ভাবে। হোমিও চিকিৎসা করালে ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে আর অপারেশনের প্রয়োজন হয় না ।

রোগীকে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। যেমন-

১. গলায় ইনফেকশন বা টনসিলের সমস্যা যাদের আছে তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলা। কারণ সংক্রমিত ব্যক্তির লালা বা থুথুর মাধ্যমে অন্যরাও সংক্রমিত হতে পারেন।

২. ঠান্ডা আবহাওয়ায় সর্তকতা মেনে চলতে হবে।

৩. ঠান্ডা খাবার খাওয়ায় সর্তক হতে হবে।
৪.ব্যাথা বেশি হলে অবশ্যই ডাক্তারের ডাক্তার দেখাতে হবে।

সবাই সুস্থ থাকুন এবং ভালো থাকুন।

ডাঃমোঃ আল আমিন
ডি এইচ এম এস। (ঢাকা)
এম সি এইচ (বাংলাদেশ শিশু হসপিটাল, ঢাকা)
চেম্বার : পয়ালগাছা মধ্য বাজার
সোনালী ব্যাংকে নীচতলা।
বরুড়া, কুমিল্লা।


 #ডিপভিট_ট্যাবলেট ডিপভিট ট্যাবলেট,মাল্টিভিটামিন ও মাল্টিমিনারেলের সংমিশ্রণে তৈরি একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ঔ ষধ। ডিপভিট এ ...
04/07/2024

#ডিপভিট_ট্যাবলেট

ডিপভিট ট্যাবলেট,মাল্টিভিটামিন ও মাল্টিমিনারেলের সংমিশ্রণে তৈরি একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ঔ ষধ। ডিপভিট এ মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল সঠিক মাত্রায় রয়েছে। ডিপভিট ট্যাবলেট এর উপাদানসমূহের সুষম মিশ্রণ মানব শরীরের ভিটামিন ও মিনারেলের অভাবজনিত রোগসমূহ বিশেষভাবে ফলপ্রসু। ইহা শরীরের ভিটামিন ও মিনারেলের দৈনন্দিন চাহি দা পূরণ করে। প্রতি দিনের সুস্বাস্থ্য ও জীবনীশক্তি রক্ষায় ডিপভিট ট্যাবলেট অ্যামাইনো এসিড সরবরাহ করে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

রোগ নির্দেশনা

সাধারণ দুর্বলতা, প্রধান অঙ্গসমূহের দুর্বলতা, মানসিক অবসাদ, ক্লান্তি, সহজাত দেহ শক্তি হ্রাস, অকাল বার্ধক্য, বিপাকীয় গোলযোগ, বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ ও পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত

01/05/2024

ইজি ডেলিভারিন ঔষধ সেবন করুন।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন।
সিজার মুক্ত থাকুন ইনশাআল্লাহ 🖤

26/04/2024

অতিরিক্ত গরমে ঘন ঘন পানি পান করুন।

20/07/2023

বিষাক্ত মিল্কশেক খেয়ে ২ শিশুর মৃ ত্যু
বিস্তারিত কমেন্টে...

07/07/2023

Address

Payalgacha
Barura
1234

Telephone

+8801821632138

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Homoeo Health Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Homoeo Health Care:

Share

Category