27/07/2025
এই মুহূর্তে (২০২৫ সালে) বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাত উল্লেখ করা হলো, যেখানে সংস্কার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়:
১. শিক্ষা খাতে সংস্কার
★আধুনিক ও দক্ষতা-ভিত্তিক শিক্ষা: বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতি অনেকাংশেই মুখস্থভিত্তিক। প্রয়োজন হলো দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তি শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষার প্রতি জোর দেওয়া।
★শিক্ষকদের মানোন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ: দক্ষ শিক্ষক ছাড়া উন্নত শিক্ষা সম্ভব নয়।
★পরীক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার: সৃজনশীল ও বিশ্লেষণমূলক চিন্তার সুযোগ দেওয়া দরকার।
২. দুর্নীতি দমন ও প্রশাসনিক সংস্কার
★স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
★দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর তদন্ত ও শাস্তি নিশ্চিত করা।
★ই-গভর্নেন্স (ডিজিটাল প্রশাসন) সম্প্রসারণ করে হয়রানি কমানো।
৩. ন্যায়বিচার ও বিচারব্যবস্থা সংস্কার
★মামলার জট কমানো ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা।
★স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
★আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর জবাবদিহিতা বৃদ্ধি।
৪. রাজনৈতিক সংস্কার
★দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে কাজ করা।
★নির্বাচনী ব্যবস্থা শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য করা।
★তরুণদের জন্য রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি।
৫. অর্থনৈতিক সংস্কার
★এসএমই ও উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ ঋণ সুবিধা।
★বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নিয়ম ও কর নীতিতে স্থিতিশীলতা আনা।
★আয়বৈষম্য কমানো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
৬. স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার
★গ্রাম ও উপজেলা পর্যায়ে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।
★সরকারি হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধি।
★প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যশিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া।
৭. জ্বালানি ও পরিবেশ খাতে সংস্কার
★নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো।
★বায়ু, পানি ও শব্দদূষণ রোধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া।
★
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রস্তুতি।
৮. দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা
★বিদেশে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ।
★দেশে উৎপাদনশীল কর্মক্ষেত্র তৈরি করে মেধাপাচার রোধ।
বাংলাদেশের সামনে অনেক সম্ভাবনা আছে, কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা, দক্ষ নেতৃত্ব, এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ আবশ্যক। সংস্কার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে, কিন্তু দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নিতে হবে।