23/10/2024
✅শিশুর দাঁতের যত্নে করণীয়?
দাঁত আমাদের শরীরের এক অমূল্য সম্পদ, যার সঠিক যত্ন না নিলে ভবিষ্যতে নানা রকম জটিলতায় পড়তে হয়। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে দাঁতের যত্ন শুরু থেকেই নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমাদের দেশে শিশুদের মধ্যে দাঁতের সমস্যা খুবই সাধারণ একটি বিষয়, যা অনেক সময়ই অবহেলিত থেকে যায়। দাঁতের সমস্যা যেমন দাঁত ক্ষয়, ক্যাভিটি বা মাড়ির রোগ শিশুর দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। শিশুর দাঁত সুস্থ রাখার দায়িত্ব মূলত মা-বাবার উপরই থাকে। তাদের নিয়মিত ব্রাশ করানো, সঠিক খাদ্যাভ্যাস শেখানো এবং ডেন্টাল চেকআপে নিয়ে যাওয়া উচিত। প্রাথমিক ভাবে দাঁতের প্রতি যত্নশীল হলে, পরবর্তীতে বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় না।
✅শিশুর দাঁতের যত্ন নিতে হবে তার জন্মের পর থেকেই, যদিও দাঁত দেখা দেয় ছয় মাস বয়স থেকে। গর্ভাবস্থাতেই দাঁতের বিকাশ শুরু হয়, আর মাড়ি ভেদ করে দাঁত বের হতে সময় লাগে। দাঁত দেখা না গেলেও মাড়ির যত্ন নিতে হবে, কারণ মাড়িই ভবিষ্যতের দাঁতের ভিত্তি। নিয়মিত মাড়ি পরিষ্কার এবং দাঁত ওঠার পর সঠিক পরিচর্যা শিশুর দাঁতকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
✅শিশুকে প্রতিবার বুকের দুধ খাওয়ানোর পর নরম কাপড় বা গজ দিয়ে মাড়ি পরিষ্কার করা খুবই জরুরি, কারণ এটি দাঁতের ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। দাঁতের ক্ষয়রোগ হলো এমন একটি সমস্যা, যা প্রায়শই শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। দাঁতে কালো দাগ, গর্ত, বা দাঁতের অংশ ভেঙে যাওয়া এর সাধারণ লক্ষণ। গ্রামে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, অনেকেই একে "পোকায় দাঁত খাওয়ার" ফল বলে মনে করেন, তবে এটি মূলত দাঁতের ক্ষয়রোগের কারণেই ঘটে। গবেষণায় জানা গেছে, ৮ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ৫৩-৭৭ ভাগই এ সমস্যায় ভুগে থাকে। নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেওয়া এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ক্ষয়রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
✅শিশুরা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে ভালোবাসে, কিন্তু অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে দাঁতের ক্ষয়রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মিষ্টি খাবার খেলে মুখে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় বেশি, যা দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণার সাথে মিশে দাঁতের চারপাশে প্লাক তৈরি করে। এই প্লাকের ব্যাকটেরিয়া মিষ্টিকে এসিডে রূপান্তরিত করে, যা দাঁতের এনামেল নষ্ট করে দাঁতের ক্ষয়রোগ সৃষ্টি করে। তাই শিশুদের নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করানো এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার কম খেতে দেওয়া জরুরি। চকলেট, আইসক্রিম, পেস্ট্রি, জ্যাম, কোমল পানীয়, এবং মিষ্টি জাতীয় অন্যান্য খাবার পরিমিত খাওয়ানোই দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
✅শিশুর দাঁত ওঠার সাথে সাথে ব্রাশ করা শুরু করতে হবে, অর্থাৎ ছয় মাস বয়স থেকেই টুথপেস্ট ও ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। যদিও অনেকে মনে করেন শিশুর কিছু খাওয়ার প্রয়োজন হয় না, তাই ব্রাশেরও প্রয়োজন নেই, এটি ভুল ধারণা। নিয়মিত ব্রাশ না করলে দাঁতের ক্ষয়রোগ হতে পারে। শিশুদের জন্য ছোট, নরম টুথব্রাশ এবং ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা উচিত, কারণ ফ্লোরাইড দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। তবে বেশি পরিমাণে ফ্লোরাইড হলে দাঁতে হলদে ভাব দেখা দিতে পারে। শিশুর জন্য চার ভাগের তিন ভাগ টুথব্রাশে টুথপেস্ট ব্যবহার করে দিনে অন্তত দুইবার, সকালে নাস্তার পর ও রাতে খাবারের পর, দাঁত ব্রাশ করাতে হবে।
✅ঐতিহ্যগতভাবে আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করি, কিন্তু রাতে খাবারের পর ব্রাশ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাতে খাবারের পর দাঁতে জমে থাকা খাদ্যকণা থেকে ব্যাকটেরিয়া দাঁত ক্ষয় করতে পারে, তাই শিশুকেও এ অভ্যাস শেখাতে হবে। ব্রাশ করার সময় ১-২ মিনিট ধরে সব দাঁতে ব্রাশ পৌঁছাতে হবে, ওপর-নিচ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ব্রাশের উল্টো পিঠ দিয়ে জিহ্বা ও তালু পরিষ্কার করা উচিত। অনেক শিশু টুথপেস্ট গিলে ফেলে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ব্রাশ শেষে কুলকুচি করে টুথপেস্ট ফেলে দিতে শেখান। শিশু ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ করছে কিনা, তা মা-বাবার নিয়মিত নজরদারি করতে হবে।
✅অনেকেই একই টুথপেস্ট বছরের পর বছর ব্যবহার করেন, যা উচিত নয়। বিভিন্ন কোম্পানির টুথপেস্ট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ব্যবহার করা ভালো, কারণ এতে দাঁতের পরিচর্যায় ভিন্নতা আসে। এছাড়া, একটি টুথব্রাশ ২-৩ মাসের বেশি ব্যবহার না করাই শ্রেয়, কারণ দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ব্রাশ কার্যকারিতা হারায়। অনেক শিশুর দাঁতে হলদে ভাব দেখা যায়, যা অতিরিক্ত ফ্লোরাইড বা কিছু ওষুধের, যেমন টেট্রাসাইক্লিন, প্রভাবে হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় মায়েদের এই ওষুধ সেবন এড়িয়ে চলা উচিত।
✅দাঁতের যত্নে দন্ত্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়া খুবই জরুরি, যা আমরা প্রায়শই ভুলে যাই। আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী, শিশুকে তার প্রথম জন্মদিনের আগেই দন্ত্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। এরপর বছরে অন্তত দুইবার দাঁত চেকআপ করানো আবশ্যক। যদি দাঁতে ব্যথা, কালচে বা হলুদ ভাব দেখা দেয়, তবে দেরি না করে দ্রুত দন্ত্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিয়মিত চেকআপ ও সচেতনতা থাকলে শিশুর দাঁত অনেক দিন সুস্থ থাকবে।
👨🏻⚕️আমাদের ডেন্টাল এক্সপার্টঃ
🩺ডাক্তার শামস-উল ইসলাম (জাকারিয়া)
🩺বিডিএস(রংপুর ডেন্টাল কলেজ )
🩺পিজিটি(ঢাকা ডেন্টাল কলেজ )
🩺বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নংঃ ৯৪৮৯
অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন কনসালটেন্ট ডেন্টাল সার্জন। তিনি অর্থোডন্টিক ট্রিটমেন্ট, ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি এবং ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্টে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
➥আমাদের ক্লিনিকের ঠিকানাঃ নামিরা ওরো-ডেন্টাল কেয়ার জামিল মাদ্রাসার দক্ষিণ পার্শ্বে, কলোনি (জেলা শিক্ষা অফিস সংলগ্ন রোড) ফুলদিঘী রোড, বগুড়া।
গুগল ম্যাপ লোকেশন: ডেন্টাল কেয়ারের লোকেশন জানতে এখানে ক্লিক করুন: https://maps.app.goo.gl/SviEXwHpKkkf6T219
সরাসরি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে কল করুনঃ 01713-631312
✅আমাদের সেবাসমূহঃ Namira oro-dental care Bogura আমরা নিম্নলিখিত ডেন্টাল চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকিঃ
✅ফিক্সড ব্রেসেসের মাধ্যমে আঁকাবাঁকা দাঁত সোজা করাঃ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্রেসেস ব্যবহারের মাধ্যমে দাঁতের সমস্যা সমাধান করা হয়।
✅ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্টঃ দাঁত হারানোর পরে প্রাকৃতিক দাঁতের মতো ইমপ্ল্যান্ট স্থাপন।
✅রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্টঃ দাঁতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান।
✅জিরকোনিয়া ক্রাউনঃ টেকসই এবং সুন্দর কৃত্রিম দাঁত।
✅ক্যাপ ও ব্রীজঃ দাঁত পুনঃস্থাপনের জন্য ক্যাপ ও ব্রীজ ব্যবহৃত হয়।
✅ফ্লেক্সিবল ডেনচারঃ স্বাভাবিক দাঁতের মতো ব্যবহারযোগ্য।
✅টুথ এক্সট্রাকশনঃ দাঁত উঠানো (সাধারণ এবং সার্জিকেল পদ্ধতিতে)।
✅লাইট কিউর ফিলিংসহ সব ধরণের ফিলিংঃ বিভিন্ন ধরণের দাঁতের ফিলিং।
✅স্কেলিং ও পলিশিংঃ দাঁত পরিষ্কার এবং মসৃণ করা।
✅টুথ হোয়াইটেনিংঃ দাঁত সাদা করার জন্য আধুনিক পদ্ধতি।
✅মুখের ও মাড়ির ক্ষত/ঘা এর চিকিৎসাঃ মাড়ির এবং মুখের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান।
✅দাঁত ও মুখ গহব্বরের সার্জারীসহ সকল চিকিৎসাঃ বিভিন্ন ধরণের ওরাল সিস্ট এবং টিউমার সার্জারি।
✅আমরা ব্যাবহার করে থাকি সারজিকেল ডায়াথারমি মেশিন। ফলে যে কোন অপারেশনে রক্তক্ষরণ হয়না বললেই চলে।