
16/08/2025
★ অবাঞ্ছিত লোম কি? কেন হয়?
শরীরের বিভিন্ন স্থানে অপ্রয়োজনে লোম হওয়ার বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বা অবাঞ্ছিত লোম বলা হয়। সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে পুরুষালি হরমোন অ্যান্ড্রোজেন বেশি থাকলে এ সমস্যা হয়।
বর্তমানে অবাঞ্ছিত লোমের বেশ ভালো চিকিৎসা রয়েছে। বর্তমানে আপনার প্রিয় শহর বগুড়া তে পেয়ে যাচ্ছেন অবাঞ্ছিত লোমের কার্যকর সমাধান।
অবাঞ্ছিত লোমের পরিমাণ কিন্তু একেবারেই কম নয়। ১০০ জনে ১০ জন মেয়েদের এই অবাঞ্ছিত লোম হতে পারে। অবাঞ্ছিত লোম নিয়ে অনেক নিজেকে অনেকভাবে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। কারণ, অবাঞ্ছিত লোম যাদের হয়, তারা মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বল থাকে, এই ভেবে যে কেউ দেখে ফেলে কি না। মানসিকভাবে সে বিপর্যস্ত হয়ে যায়। এই জন্য সে লুকানোর চেষ্টা করে।
প্রথমে কাউকে বলতে চায় না। পরে যদিও বলে, তারপরও নিজে নিজে চেষ্টা করে কেটে ফেলে রাখার, ছেঁটে ফেলে দেওয়ার। এরপরও যখন হচ্ছে না, তখন হয়তো চিকিৎসকের কাছে যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় অন্যদের পরামর্শ শুনতে থাকে। এভাবে অনেকে চলতে থাকে। চিকিৎসা যদি ঠিকমতো না করা যায়, তাহলে কিন্তু এটি দেখে পরিত্রাণ পাওয়া বেশ মুশকিল হয়ে যায়।
★ চিকিৎসাঃ
অবাঞ্ছিত লোম এর খুব ভালো চিকিৎসা রয়েছে। চিকিৎসা করলে শুধু যে ভালো হয়ে যায় সেটি নয়, মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়া থেকেও পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
প্রথমে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনটা পরিমাপ করা হয়। সহজ একটি রক্ত পরীক্ষায় এটি পাওয়া যায়। যদি দেখা যায় অ্যান্ড্রোজেন হরমোনটা বেশি, সেই আন্দাজ করে চিকিৎসা দেয়া হয়। অ্যান্টিঅ্যান্ড্রোজেন হরমোন একটি চিকিৎসা রয়েছে, ওষুধ রয়েছে, এটি দিয়ে থাকি।
পরিমাপের পরে এ ধরনের ওষুধগুলো দেয়া হয়। সুবিধা হলো যেভাবে নতুন নতুন চুল আসছিল, সেটি আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায়। এখন বাকি রইল যেগুলো রয়েছে. সেগুলো নষ্ট করা। নষ্ট করার জন্য রোগী নিজে নিজে একে ছেঁটে রাখতে পারে। কিছু ওষুধ রয়েছে লাগিয়ে ব্যবহার করতে হয়, সেগুলো লাগালে চুলগুলো পড়ে যায়। ছেঁটে রাখাটা তো স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। এখন পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রচলিত লেজার। এই লেজার দিয়ে দেখা যায় চিকিৎসাতে অবশিষ্ট লোমগুলোতে পড়ে যায়। অর্থাৎ সূক্ষ্ম পশম সেটি ফেরত আসে। একেবারে পরিষ্কার হয়ে চকচকে হয়ে যায় না লেজারে। যেটা স্বাভাবিক সেটি চলে আসে। এ জন্য লেজার করে মেয়েরা মানসিকভাবে অত্যন্ত পরিত্রাণ পায়। এটি হলো চিকিৎসাবিজ্ঞানের সফলতা। আগে যেটি হতো না সেটি হচ্ছে।
এখন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বগুড়ায় এই অবাঞ্ছিত লোম এর লেজার ট্রিটমেন্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। ডাঃ ফারাহ সাফা হক যিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই অবাঞ্ছিত লোম এর জন্য লেজার ট্রিটমেন্ট দিয়ে থাকেন।
আর দুশ্চিন্তা না করে আপনার এই সমস্যার সহজ সমাধান পেতে যোগাযোগ করুনঃ
___________________
ডাঃ ফারাহ সাফা হক
চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ
পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বগুড়া
সিরিয়ালঃ ০১৯০৮-০০৭০০৭