Dr. Anam & Dr. Priya

Dr. Anam & Dr. Priya Your health our priority

২য় বারের মত বাংলাদেশ স্বাধীন (০৫/০৮/২০২৪)
05/08/2024

২য় বারের মত বাংলাদেশ স্বাধীন
(০৫/০৮/২০২৪)

নারীদের শরীরের চামড়া ঝুলে যায় যে রোগেলাইপেডিমা একটা অপরিচিত রোগ, যেটিকে প্রায়ই স্থূলতার (ওবেসিটি) সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়।...
26/07/2024

নারীদের শরীরের চামড়া ঝুলে যায় যে রোগে

লাইপেডিমা একটা অপরিচিত রোগ, যেটিকে প্রায়ই স্থূলতার (ওবেসিটি) সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়। প্রধানত নারীদেরই এই রোগ হয়ে থাকে। এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা হিসেবে তাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেওয়া হয়।

যদিও লাইপেডিমা স্থূলতার থেকেও অনেক বেশি গুরুতর রোগ। শুধুমাত্র ওজন কমিয়ে এই রোগ থেকে মুক্তি মেলে না।

এই রোগ সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত আমরা কী জানি? কীভাবে এই রোগ মোকাবেলা করা সম্ভব?

রোগবিদ্যা বা প্যাথলজিতে এটি লাইপোডিসট্রফিস নামে পরিচিত।

লাইপেডিমায় শরীরের চর্বির ভারসাম্য পরিবর্তন হয়। একইভাবে তা ফ্যাটি টিস্যুর ব্যাপক অসামঞ্জস্যপূর্ণ বৃদ্ধি ঘটায়।

যদিও এটা সচরাচর পায়ে হয়, এ রোগে নিতম্ব এবং বাহুও আক্রান্ত হতে পারে। এর ফলে কোমর এবং অন্যান্য অঙ্গের মধ্যে অসামঞ্জস্য দেখা দেয়।

বর্তমানে এই রোগ নির্ণয়ের জন্য কোন অভ্রান্ত পরীক্ষা নেই। অর্থাৎ এই রোগ নিশ্চিতভাবে নির্ণয় করা যাবে, এমন কোনও পরীক্ষা নেই।

রোগীর চিকিৎসার ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষার ফলাফল, যে কোনও ধরনের ক্লিনিক্যাল উপসর্গ এবং একই সাথে রোগীর শরীরে একটি বা দুইটি রোগের উপস্থিতি অথবা এর সাথে জড়িত যে কোনও উপসর্গ - সব কিছুর উপর ভিত্তি করে এই রোগ নির্ণয়ের জন্য একটি মূল্যায়ন করতে হয়।

২০১৮ সাল পর্যন্ত চিহ্নিতই করা হয়নি!

যদিও ১৯৪০ সালে এই রোগটি সম্পর্কে প্রথম জানা যায়, কিন্তু তারপরও বিগত দশকগুলোতে এই রোগটি সবার অগোচরে রয়ে গেছে।

সত্যিকার অর্থে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগটিকে রোগের আন্তর্জাতিক শ্রেণী বিভাজনে অন্তর্ভুক্ত করেনি।

ওই বছরই স্পেনে প্রথম সর্বসম্মতভাবে লাইপেডিমা রোগের নথি তৈরি করা হয়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল এ রোগের কারণে শরীরে ফ্লুইড তৈরি হয়। অথবা শরীরের টিস্যুতে তরল জমা হয়ে ফুলে ভারি হয়ে যায়, যেটি ফোলা রোগ নামে পরিচিত।

তবে এখনও পর্যন্ত এ রোগের কারণে শরীরের টিস্যুতে তরল জমে ভারি হওয়ার কারণে বিভিন্ন অঙ্গের বৃদ্ধি অথবা ব্যথা বা অন্য উপসর্গ দেখা দেওয়ার কোনও প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এই কারণে ‘লাইপেডিমা’ টার্মটিকে ‘লিপালজিয়া সিনড্রোম’-এ (অস্বাভাবিক ফ্যাটি টিস্যু জমে ব্যথা হওয়া) রূপান্তর করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

লাইপেডিমা রোগের একটি বৈশিষ্ট্য হল টিস্যুর যেখানেই স্পর্শ করা হয় সেখানেই ব্যথা বোধ হয়।

স্বাস্থ্যের অন্যান্য সমস্যার সাথেও এই রোগটি হয়। যেমন, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে অত্যধিক গতিশীলতা, পেশী শক্তি হ্রাস এবং ঘুমের ব্যাঘাত হলেও লাইপেডিমা রোগের উপসর্গগুলি দেখা দেয়।

এছাড়াও এ রোগ শিরা, ধমনী বা লসিকা তন্ত্রের (লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম) পরিবর্তনের মতো অবস্থাতেও একই সাথে হতে পারে।

নারীদের হরমোন পরিবর্তনের সাথে জড়িত

রোগবিদ্যা বলে এই রোগের উৎপত্তি নানা কারণে হতে পারে। এসব কারণের একটি হল হরমোন। প্রধানত নারী সেক্সকে এটি প্রভাবিত করে।

বেশ কিছু গবেষণায় এটা দেখা গেছে যে, প্রতি দশজনে একজন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়।

যদিও এ রোগ নির্ণয়ের মানদণ্ডের অভাব, লাইপেডিমা সম্পর্কে জ্ঞানের অজ্ঞতা প্রমাণ করে যে প্রকৃত অর্থে কত শতাংশ নারী এই রোগে আক্রান্ত হন, তা আমরা জানতে পারি না।

তবে যা জানা যায় সেটি হল, এ রোগের রূপ বা বিকাশ কীভাবে হয় তা মহিলাদের হরমোনের পরিবর্তনের সময়কালের সাথে মিলে যায়।

যেমন: বয়ঃসন্ধিকাল, গর্ভাবস্থা, সন্তান জন্ম দেওয়া, মেনোপজ অথবা হরমোনাল গর্ভ-নিরোধক ব্যবহারের সময় এ রোগটির বিকাশ দেখা যায়।

এইসব পরিস্থিতিতে নারীদের হরমোন বিশেষ করে অ্যাস্ট্রোজেন হরমোন ওঠানামা করে।

এই বৈশিষ্ট্যের সাথে অবশ্যই নির্দিষ্ট জিনগত প্রবণতাকেও যুক্ত করতে হবে আমাদের।

কীভাবে মোকাবেলা করা যাবে এ রোগ ?

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে লাইপোডিমা রোগের বৈশিষ্ট্যের প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে।

নিশ্চিতভাবেই সামনের দিনগুলিতেও এটি অব্যাহত থাকবে।

এই রোগের চিকিৎসা হিসেবে অস্ত্রোপচার বহুল প্রচলিত। লাইপোসাকশনের মতো কৌশল এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

লাইপোসাকশনই অস্ত্রোপচারের একমাত্র কৌশল, যাতে শরীরের নির্দিষ্ট অংশের ফ্যাটি টিস্যু নির্মূল করা হয়। তবে কিছু 'রক্ষণশীল' চিকিৎসক এর চিকিৎসায় আরো অনেক কিছু পরামর্শ দেন।

এছাড়াও এর নানা জটিলতার কারণে, ২০২০ সালে ইউরোপীয়ান লাইপেডিমা ফোরাম সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই রোগের 'বহুমাত্রিক ব্যবস্থাপনা' নিতে হবে। কারণ স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাথে এটি জড়িত।

কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এখানে তুলে ধরা হল।

সক্রিয় ভূমিকা

এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, রোগীকে নিজের চিকিৎসার জন্য অতি আগ্রহী হতে হবে।

যে সব রোগের প্রতিকার নেই এমন অন্যান্য অসুস্থতার জন্য এটা সাধারণ যে রোগী নিজেই অভ্যাস গড়ে তুলবে।

একই সাথে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে দীর্ঘমেয়াদে রোগের লক্ষণ এবং স্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নতি হবে।

ফিজিওথেরাপি

এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের স্ট্রেচার প্রয়োজন হতে পারে।

লাইপেডিমায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা যাতে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্যে ফিজিওথেরাপিস্টরা কাজ করেন।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের শিক্ষিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাতে তারা রোগটি সম্পর্কে জানে যে এটা কী এবং কী নয়।

একইসাথে কোন অভ্যাসগুলো উপকারী এটাও জানা তাদের জন্য জরুরি।

ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে রোগী তার দৈনন্দিন জীবনে ধীরে ধীরে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অভ্যাস গড়ে তোলে।

একই সাথে তাদের বৈশিষ্ট্যের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মত ব্যায়ামের নির্দেশিকা তৈরি করা হয়।

কমপ্রেশন থেরাপি

এই কমপ্রেশন থেরাপির মাধ্যমে পায়ে রক্তপ্রবাহ বাড়ানোর জন্য নিয়ন্ত্রিত চাপ প্রবাহের কৌশল ব্যবহার করা হয়।

কমপ্রেশন মোজা পরলে এই ফ্যাটি টিস্যু কমবে না। অথবা আপনার ওজন বাড়লেও পায়ে চর্বি বৃদ্ধি রোধ করবে না।

যাই হোক, সুস্থ ব্যক্তিদের উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে ত্বকের নিচের টিস্যুতে প্রদাহজনক প্রক্রিয়ার উপর এই নিয়ন্ত্রিত চাপ প্রবাহের থেরাপি বেশ উপকারী প্রভাব ফেলে।

এই ধরনের মোজা অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক পরামর্শ দিলেই কেবল এটি ব্যবহার করা যাবে।

ওজন ব্যবস্থাপনা

যদিও লাইপেডিমা নিজেই একটি রোগ, তবুও এ রোগের একটা বিশাল অংশের রোগীরা এমনিতে আগে থেকেই অনেক মোটা হয়। এবং আরো ওজন বৃদ্ধি হলে লাইপেডিমার খারাপ অবস্থা হয়।

যদিও ওজন কমানো এই রোগের চিকিৎসায় প্রাধান্য পায় না। এটা স্থূলতা বা অন্য গুরুতর রোগের রোগীদের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা উচিত।

মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা

সৌন্দর্যের যে প্রচলিত আদর্শ সেটি অনুযায়ী অনেক রোগীরই তাদের শরীর, শারীরিক গঠন নিয়ে সামাজিক চাপের কারণে হতাশায় ভুগতে পারে।

অন্যান্য রোগীরাও অতি মাত্রায় মানসিক চাপে ভুগতে পারে। যেটা ব্যথার উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কোন রোগীরা এই মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে উপকৃত হতে পারে সেটা চিহ্নিত করা স্বাস্থ্যসেবা দানকারী চিকিৎসকদের উপর নির্ভর করে।

পুষ্টি

এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা জরুরি।

একই সাথে তাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। অর্থাৎ প্রদাহজনক ও প্রদাহবিরোধী প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে তাদের।

একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য এক্ষেত্রে পুষ্টিবিদদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের পছন্দের জন্য দিকনির্দেশনা তারা দিয়ে থাকেন।

শেষ পর্যন্ত এই রোগ নির্ণয়ের প্রক্রিয়া খুবই জটিল।

কারণ এখনো অনেক চিকিৎসকই এই লাইপেডিমা রোগ সম্পর্কে জানেন না। অন্য রোগীদের সাথে যোগাযোগ করে অভিজ্ঞতা ভাগ করা একটি প্রথম ধাপ হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, স্পেনে লাইপেডিমা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংগঠন ‘এডালাইপে’ অথবা স্প্যানিশ ফেডারেশন অফ লিম্ফেডিমা এবং লাইপেডিমা অ্যাসোসিয়েশনে মানুষ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন।

রোগী সনাক্ত করা এবং তাদের সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এ রোগের কারণ এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়া অবশ্যই বৈজ্ঞানিকদের উপর নির্ভর করে।

কতটুকু গরুর মাংস খাওয়া নিরাপদ, আর স্বাস্থ্যসম্মত উপায়েই বা কিভাবে খাবেন?বছরজুড়ে মাংস খাওয়ার পরিমাণ আমাদের সীমিত থাকল...
17/06/2024

কতটুকু গরুর মাংস খাওয়া নিরাপদ, আর স্বাস্থ্যসম্মত উপায়েই বা কিভাবে খাবেন?

বছরজুড়ে মাংস খাওয়ার পরিমাণ আমাদের সীমিত থাকলেও কোরবানির ঈদে প্রায় প্রত্যেক ঘরে লাল মাংস বা রেড মিট খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।

আসুন জেনে নেই রেড মিট কি?

গরু, ছাগল, খাসি অথবা উটের মাংসকে রেডমিট বা লাল মাংস বলা হয়। এতে থাকা ভিটামিন আর মিনারেল একদিকে যেমন শরীরের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে আবার অপরদিকে রেড মিটে থাকা কোলেস্টেরল, চর্বি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি করে।

বিশেষ করে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা স্থূলতায় আক্রান্ত মানুষদের জন্য এসব লাল মাংস বিপদের কারণ হতে পারে।

গরুর মাংস খাওয়া কি বাদ দিতে হবে?

অবশ্যই না, কিছু নিয়ম মেনে চললে সবাই কম বেশি গরুর মাংস বা যেকোনো ধরনের রেড মিট স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে খেতে পারবেন।

লাল মাংসের উপকারিতা কি?

গরুর মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। এসব উপাদান আমাদের দাঁত, হাড় ও মাংসপেশি সুগঠিত করে। এছাড়াও লাল মাংস আমাদের ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি আমাদের দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গরুর মাংস রক্তস্বল্পতা দূর করে শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। এর পাশাপাশি শরীরের বৃদ্ধি এবং বুদ্ধি দুটোই বাড়াতে ভূমিকা পালন করে বলেই বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

লাল মাংসের অপকারি দিক কি?

বহু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই লাল মাংস অতিরিক্ত এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে না খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম যা আমাদের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যেটি পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যব্যাধি যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক ও কিডনি জটিলতার কারণ হতে পারে।

গরুর মাংসে যে কোলেস্ট্রল থাকে তা যদি আমাদের শরীরে বেড়ে যায় তাহলে তা হার্টের শিরায় জমতে থাকে এবং রক্তের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। যার ফলে হার্ট পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ সম্ভব হয় না এবং হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে।

এছাড়াও গরুর মাংস অতিরিক্ত খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিক্স, আর্থাইটিস, হজমের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পাইলসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য লাল মাংস বেশি খেলে সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।

কতটুকু রেড মিট খাওয়া স্বাস্থ্যকর?

কোরবানির ঈদ, বা যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠান বা ভুরিভোজ পার্টি যেখানেই হোক না কেন কখনোই একটানা মাংস খাওয়া যাবে না। সম্ভব হলে রাতের বেলা মাংস খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে।

পুষ্টিবিদদের মতে একজন স্বাভাবিক মানুষের গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা সপ্তাহে দুই দিন যেখানে মাংসের মোট পরিমাণ হবে ১৫৪ গ্রাম। অর্থাৎ সপ্তাহের ওই দুই দিন প্রতিবেলায় মাংস খেতে হবে ১৬ থেকে ২৬ গ্রাম। সহজ ভাষায় প্রতিবেলায় ঘরে রান্না করা মাঝারি সাইজের মাংসের ২ থেকে ৩ টুকরার বেশি খাওয়া যাবেনা।

তবে কিডনি রোগ, ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রে মাংস খাওয়ার পরিমাণ চিকিৎসকের কাছে জেনে নিতে হবে। এক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওই ব্যক্তির ওজন, বয়স ও শারীরিক পরিস্থিতি বুঝে এই পরিমাণ ঠিক করে দেবেন।

সাধারণত সপ্তাহে এক থেকে দুই বেলা মাংস খেলে তেমন ঝুঁকি নেই তবে চিকিৎসকের বিধি নিষেধ থাকলে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

গরুর কোন অংশের মাংস খাওয়া ভালো?

বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় গরুর শরীরে দুটি অংশে চর্বির পরিমাণ অনেক কম থাকে।
যার একটি হলো গরুর পেছনের রানের উপরের ফোলা অংশের মাংস যাকে রাউন্ড বলে এবং অপরটি পেছনের দিকের উপরের অংশ যাকে সেলনয়েড বলে।

অপরদিকে গরুর মাংসের মগজ, কলিজা এবং ঝোলে সবচেয়ে বেশি চর্বি থাকায় এগুলো এড়িয়ে চলাই উত্তম।

গরুর মাংস কাটার সঠিক পদ্ধতি কি?

সাধারণত মাংস কাটা, সংরক্ষণ পদ্ধতি এবং রান্না করার ওপর নির্ভর করে মাংসটি কতটা স্বাস্থ্যকর হবে। এজন্য কোরবানির মাংস বা বাজার থেকে কিনে আনা মাংস বাড়িতে নিয়ে আসার সাথে সাথেই তা ভালোমতো ধুয়ে রক্ত পরিষ্কার করে নিতে হবে। মাংস কাটার সময় যদি মাংসের বাইরের চর্বি ফেলে দেয়া হয় তবে এতে থাকা কোলেস্টেরলের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে। মাংস অবশ্যই ছোট ছোট পিস করে কাটা উচিত এতে করে চর্বির অংশ অনেকখানি কাটা পড়ে।

এরপর কাটা মাংস ভালোভাবে ধুয়ে কিছুক্ষণ পানিতে সিদ্ধ করলে এর ভেতর থেকে চর্বি গোলে পানির উপরে উঠে আসে এই পানি ফেলে দিলেও চর্বির পরিমাণ কমবে। তবে এর সাথে মাংসের ভিটামিনস ও মিনারেলস এটিও বের হয়ে যাবে। ফলে মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেকখানি কমে যাবে।

এছাড়াও সেদ্ধ মাংস বা কাঁচা মাংসে ভিনেগার, লেবুর রস, টক দই দিয়ে মেরিনেট করে রাখলে একদিকে যেমন মাংসটি কম সময় সেদ্ধ করা সম্ভব হবে অপরদিকে এর ক্ষতিকর চর্বির প্রভাব অনেকটাই কাটানো যাবে।

গরুর মাংস রান্নার সঠিক পদ্ধতি?

চর্বি ছাড়ানো সিদ্ধ করা গরুর মাংসে যতটুকু না দিলেই না ততটুকু তেল দিয়ে রান্না করাই ভালো। আর রান্না করার সময় সোয়াবিন তেল, ঘি, মাখন বা ডালডার পরিবর্তে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

বেশি করে তেল মসলা দিয়ে কষে গরুর মাংস রান্না করার চাইতে ঝোল ঝোল করে মাংস রান্না করা ভালো। আর খাওয়ার সময় এসব ঝোল বাদ দিয়ে শুধু মাংস খেতে হবে যাতে করে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এড়ানো যায়।

রেড মিট অবশ্যই উচ্চতাপে ভালো করে সিদ্ধ করে নরম করে খেতে হবে। কারণ আধা সেদ্ধ বা কাঁচা মাংসে খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। সবচেয়ে ভালো হয় আগুনে ঝলসে এসব মাংস খেতে পারলে। কারণ এর ফলে এতে থাকা তেল, চর্বি কোলেস্টেরল অনেকটাই ঝরে যায়।

আবার মাংসের তৈরি ভাজা আইটেম যদি তেল তেলে মনে হয় খাওয়ার আগে টিস্যুতে বাড়তি তেল শুষে নেওয়া যেতে পারে।

রেড মিট সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি কি?

এদেশের আবহাওয়ায় মাংস বেশিক্ষণ বাহিরে রাখলে তাতে খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে। এ কারণে মাংস বাসায় আনার সাথে সাথে তা কেটে ভালো মতো ধুয়ে সমস্ত রক্ত পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর যে অংশ রান্না করা হবে তা রান্না করে নিতে হবে আর বাকি অংশ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে কখনোই সাধারণ মানের সস্তা পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। এক্ষেত্রে মাংসগুলো ফুড গ্রেডেড সিপ ব্লক ব্যাগ বা ফুড গ্রেডেড সিপ ব্লক পাত্রে রাখা স্বাস্থ্যসম্মত।

আবার মাংস জাল দিয়েও অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়। এক্ষেত্রে মাংসটি ৬ ঘন্টা পর পর গরম করতে হয়।

মাংসের সাথে আর কি খাওয়া যেতে পারে?

কোরবানির ঈদের সময় দেখা যায় সকাল-বিকাল- রাত শুধু গরুর মাংসের নানা পদ খাওয়া হয় যা আমাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এ কারণে মাংসের পাশাপাশি প্রতিবেলা বিভিন্ন ধরনের সবজি যেমন- মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে অথবা টমেটো, শসা, গাজর, লেবু দেয়া সালাত রাখা যেতে পারে। সবজিতে থাকা ফাইবার মাংসের চর্বি হজমে সাহায্য করবে। আবার এতে করে প্রতিবেলা মাংস খাওয়ার পরিমানও কমবে এবং খাদ্যাভ্যাসে একটা নিরাপদ ভারসাম্য তৈরি হবে।

বেশি মাংস খেয়ে ফেললে করণীয় কি?

কখনো যদি বেশি মাংস খাওয়া হয়ে যায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে যা এড়াতে প্রচুর পরিমাণে পানি, শরবত, ফলের রস, ইসুবগুলের ভুষি সহ অন্যান্য তরল খাবার খাওয়া যেতে পারে।

এছাড়া মাংসের অতিরিক্ত ক্যালরি পোড়াতে প্রতিদিন নিয়মিত হাটা বা ব্যায়ামের অভ্যাস করা যেতে পারে। তবে খাওয়ার পর পরই অবশ্যই ব্যায়াম করা যাবে না, খাওয়া-দাওয়ার পর কিছুটা বিরতি দিয়ে ব্যায়াম করতে হবে।

এভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাংস রান্না করে পরিমিত পরিমাণে খেলে যে কোন স্বাস্থ্যঝুকি এড়ানো সম্ভব।

নিজে জানুন, অন্যকে জানান।
নিয়মিত স্বাস্থ্য টিপস পেতে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন।

"Heat Wave"তাপমাত্রা- ৪০°-৫০° সে.।করণীয় ও পরিত্যজ্য১) যখন তাপমাত্রা ৪০°সে-এ পৌঁছে তখন খুব ঠান্ডা পানি পান করতে নিষেধ করে...
20/04/2024

"Heat Wave"

তাপমাত্রা- ৪০°-৫০° সে.।

করণীয় ও পরিত্যজ্য

১) যখন তাপমাত্রা ৪০°সে-এ পৌঁছে তখন খুব ঠান্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকগণ। কারণ এতে রক্তনালী হঠাৎই সঙ্কুচিত হয়ে
হঠাৎই স্ট্রোক হতে পারে।

২) যখন বাহিরের তাপমাত্রা ৩৮°সে অতিক্রম করে তখন ঘরে চলে আসুন বা ছায়ায় অবস্থান করুন। ঠান্ডা পানি পান করবেন না। স্বভাবিক তাপের পানি পান করুন বা ঈষৎ গরম পানি।
তাও ধীরে ধীরে।

৩) ঘরে এসেই হাত-পা-মুখ ধুবেন না।হাত-মুখ ধোয়ার আগে একটু অপেক্ষা করুন। দেহকে ঘরের তাপের সাথে খাপ খেতে দিন।
অন্ততঃ আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন হাত-মুখ ধোযার আগে বা গোসলের আগে।

৪) অল্প অল্প করে বারে বারে স্বাভাবিক পানি পান করুন।জ্যুস বা এজাতীয় পানিয় পরিহার করুন। স্বাভাবিক শরবত,ডাব বা লবণ পানির শরবত পান করতে পারেন যদি তা আপনার জন্য অন্য কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে।তবে তাও স্বল্প পরিমানে।

★★প্রচন্ড গরমে বা যদি আপনি খুবই ক্লান্ত থাকেন তবে ভুলেও বরফ মিশ্রিত পানি বা ফ্রিজের পানি পান করবেন না,যদিও ওইসময় ঠান্ডা পানি খুব ভালো লাগে।এটা শরীরে প্রশান্তি ভাব এনে দেয়।কিন্তু এতে হঠাৎই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

নিজে জানুন,অন্যকে জানান।

Your health our priority
17/04/2024

Your health our priority

17/04/2024

🌟 Welcome to our official page🌟

👩‍⚕️ Dr. Anam and Dr. Priya are thrilled to extend a warm welcome to each and every one of you 👨‍⚕️

At "Your Health, Our Priority", we're dedicated to providing you with the highest quality healthcare and guidance to help you lead a healthier, happier life. Whether you're seeking medical advice, health tips, or simply a supportive community, you've come to the right place.

Here, we'll be sharing valuable insights, latest medical updates, and practical tips to empower you to take charge of your well-being. From preventive care to managing chronic conditions, we're here to support you every step of the way.

Feel free to engage with us, ask questions, and share your experiences. Together, let's embark on a journey towards better health and wellness.

Remember, your health is our top priority. 🌿💙

Stay tuned for regular updates, and let's make every day a step towards a healthier tomorrow.

Warm regards,
Dr. Anam & Dr. Priya

Address

Mirzapur, Sherpur
Bogura

Telephone

+8801910251046

Website

https://www.facebook.com/anamurrahman.ar?mibextid=ZbWKwL

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Anam & Dr. Priya posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Anam & Dr. Priya:

Share

Category