4R Adhunik Hospital

4R Adhunik Hospital ২৪ ঘন্টা খোলা

একটা সাসপেনশন কফি আছে?নরওয়ে।এই সাসপেনশন অর্থ রসায়ন বিদ্যার মিশ্রণকে বুঝায় না।এটা হল নরওয়ে একটি রেস্তোরাঁর ঘটনা। অন লাইন,...
20/01/2025

একটা সাসপেনশন কফি আছে?
নরওয়ে।
এই সাসপেনশন অর্থ রসায়ন বিদ্যার মিশ্রণকে বুঝায় না।
এটা হল নরওয়ে একটি রেস্তোরাঁর ঘটনা। অন লাইন, ফেবুর কল্যাণে তা আমরা অনেকই জানি।
আমি একটু মনে করিয়ে দিই, আপনাদের।
আমরা কি একটু ভেবে দেখতে পারি না?
জ্বী, আমরা ভেবেছি।
ফোর আর আধুনিক হাসপাতাল অনেক ভেবেছে।
ভাবনার শক্তি অনেক।
নরওয়ের রেস্তোরাঁয় ক্যাশ কাউন্টারে এক ভদ্রমহিলা এলেন ৫ টি কফির দাম পরিশোধ করলেন সাথে গিয়ে গেলেন ৩ টি। কিছুক্ষন পর আরও একজন এলেন ৪ টি লাঞ্চ প্যাকেটের দাম মিটিয়ে দিয়ে ২ টি সাথে করে নিয়ে গেলেন।
এরপর একজন বৃদ্ধ এসে সোজা কাউন্টারে জিজ্ঞেস করলেন কোন সাসপেনশন কফি আছে?
ক্যাশ ম্যানেজার বিনয়ের সাথে জানালেন জ্বী হাঁ আছে। তাকে পীম যত্নে গরম কফি দেওয়া হল, তিনি কফি পান করে চলে গেলেন।
এরপর এলেন দাড়িওয়ালা জুবু থুবু একজন, তিনি এসে আজ কোন সাসপেনশন লাঞ্চ আছে? জিজ্ঞেস করলেন।
যথারীতি উত্তর আছে।
তাকে একটা লাঞ্চ প্যাকেট ও একটি পানির বোতল সরবরাহ করা হল। তিনি তা নিয়ে চলে গেলেন।
এ ব্যাপারটা,সারাদিন ভর চলছে, চলছে তো চলছেই।
কিছু মানুষ নিজেদের কষ্টের অর্জিত রোজগার থেকে অজানা মানুষের খাবারেী জন্য পেমেন্ট করে যাচ্ছেন। আর কিছু গরীব, অসহায়, দুঃস্হ মানুষ বিনা পয়সায় নিশ্চিন্তে খাওয়া দাওয়া করতে পারছেন। অথচ, কেউ জানেনা কারো পরিচয়। না দাতা, না গ্রহিতা। আসলে প্রয়োজন নেই নিজের নাম জাহির করার, কিন্তু প্রয়োজন আছে দুঃস্হ, অসহায়, গরীব অভুক্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দেবার, সৃষ্টার সৃষ্টির কল্যাণ করার।
আমরা ভেবেছি, অনেক ভেবেছি আমরা এমন ধরণের একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত করতে চাই যেখান গর্ভবতী মায়েরা বা,রোগীরা সেবা নিয়ে সন্তষ্ট হয়ে নরওয়ের সাসপেনশন রেস্তোরাঁর মত আরও দচারজনের আগাম বিল পরিশোধ করে যাবেন। সেই পরিশোধিত টাকা দিয়ে আমরা যেন গরীব, অসহায়,দুঃস্হ, স্বল্প আয়ের রোগীদের নরমাল ডেলিভারি, সিজার বা,অপারেশন করে দিতে পারি।
আকাশ কুসুম কল্পনা কি???
আমরা বিশ্বাস করি হবে একদিন।
আজ ২৭ জন গর্ভবতী মায়েদের আল্ট্টাসনোগ্রাম, চেকআপ, রক্ত পরীক্ষা এবং ব্যবস্হা পত্র প্রদান করলাম।
আজ দুপুরে তাদের লাঞ্চ দিতে পারি নাই, কেক বিস্কুট কোকা কোলা খাইয়েছি।
মজার ঘটনা শুনবেন?
স্যার আমাদের গাইনী ডাক্তার কল করে আমাকে জানালেন, তোমরা যে যাদের ফ্রী আল্ট্রাসনো চেকআপ করে দিয়েছ তাদের চার জনের আজ সিজার করলাম বগুড়ার বিভিন্ন ক্লিনিকে।
আমি শুনে হাসলাম।
আমি ছাড়ছি না এ কার্যক্রম। চালিয়েই যাব ইনশাআল্লাহ।

ফোর আর আধুনিক হাসপাতাল। একটি বাড়ী। একটি সামাজিক, ব্যতিক্রমী, ব্যক্তিমুনাফাহীন হাসপাতাল।
গন্ডগ্রাম, বনানী, বগুড়া।

15/01/2025
চিকিৎসক ইগনাজ সেমেলওইজ। হাঙ্গেরিয়ান ডাক্তার।১৮ শতকে হাসপাতাল গুলো মৃত্যুর ঘর হিসাবে পরিচিত ছিল।কারণ তখন ডাক্তারেরা মৃতদে...
15/01/2025

চিকিৎসক ইগনাজ সেমেলওইজ। হাঙ্গেরিয়ান ডাক্তার।
১৮ শতকে হাসপাতাল গুলো মৃত্যুর ঘর হিসাবে পরিচিত ছিল।
কারণ তখন ডাক্তারেরা মৃতদেহ স্পর্শ করার পর হাত ধৌত না করে বা জীবাণু মুক্ত না হয়ে অন্য রোগীকে ধরতেন।
ইগনাজ সেমেলওইজ লক্ষ করলেন ডাক্তারেরা মৃতদেহ স্পর্শ করে হাত না ধোয়েই ডেলিভারী রুমে প্রবেশ করে বাচ্চা ডেলিভারী বা সিজার করতেন। ফলে বহু প্রসূতি মা ও বাচ্চা সংক্রামিত হয়ে মারা যেত।
মজার ব্যাপার হলো তিনি হাত ধোওয়া বা জীবাণুমুক্ত হবার পদ্ধতি গ্রহণের প্রস্তাব দেন। তখন তাঁর এই সুপারিশ গ্রহণ করা তো হয়নি বরং তাকে উম্মাদ বলে আখ্যায়িত করে মানসিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বাহ বা বেশ।
অথচ, পরবর্তীতে তাঁর পদ্ধতি গ্রহণ করে শুধু মাত্র হাত পরিস্কার করেই কত মৃত্যু রোধ করা,সম্ভব হয়েছে।

নতুন ভাবনা সহজে কেউ গ্রহণ করতে চায় না। অথচ
ভাবনার,শক্তি,অনেক।
ফোর আর আধুনিক হাসপাতাল ২০২৫ নতুন ভাবনায় মেতে উঠেছে।
শুরু হচ্ছে প্রতি ইংরেজী মাসের ২০ তারিখে ফ্রী আল্ট্রাসনোগ্রামের পাশাপাশি দুজন দুঃস্হ, গরীব,অসহায়, স্বল্প আয়ের গর্ভবতী মায়েরা এই হাসপাতালে সিজার করতে পারবেন মাত্র ৬৯০০/ টাকা ঔষধ পত্র,সহ।
মাত্র ৬৯০০/ সিজার।
কিভাবে সম্ভব?
আমি তাদের হয়ে ভিক্ষায় নেমেছি বাংলাদেশে শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হার কমানোর লক্ষে।
ছোট বাস্তব একটা কাহিনী শুনুন, বন্ধুরা।
একজনের অনুরোধে গরীব একজন গর্ভবতী মাকে সিজার করে দিলাম ৭৭০০/।
তিনমাস পর শিশু বাচ্চাকে নিয়ে বাচ্চার মা, নানী হাসপাতালে এলেন নরমালী চেক আপের জন্য।
হাসপাতালে আসার পথে কেউ একজন তাদের পথ আটকিয়ে বিস্তারিত জেনে নিয়ে বলল ৭৭০০/ টাকায় তোমার মেয়েকে সিজার করে দিয়েছে ঐ ডাক্তার তো তোমাদের কোন স্যালাইন দেয় নাই, পানি দিয়েছে?????
বেশ,
তিনি আমার চেম্বার ঢুকেই অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করলেন, কেন আমি তার রোগীকে স্যালাইন না দিয়ে পানি দিয়ে সিজার করে দিয়েছি। তার কৈফিয়ত দিতে।
বুঝেন ঠ্যালা কাহাকে কয়?

জ্বী ঐ টাকায় বর্তমানে সিজার করা যায় না। আমি কিভাবে করেছি। আমাকে বছরে ২০ জন গরীব গর্ভবতী মায়েদের সিজার করার জন্য চারজন বন্ধু একলাখ টাকা ডোনেট করেছিল। আমি ঐ ডোনেটকৃত টাকা থেকে প্রত্যেক মাকে ৪০০০/ টাকা দিয়েছি।
তাহলে কি দাঁড়াল?
৭৭০০+৪০০০= ১১৭০০ টাকা।
সার্জন ফি, ঔষধ পত্র, রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রামের ফি সব পরিশোধ করেছি।
হাসপাতাল এবং আমি শুন্য।
আমি সব সময় বলে এসেছি,, ফোর আর আধুনিক হাসপাতাল,, একটি বাড়ী। এটি একটি সামাজিক, ব্যতিক্রমি, ব্যক্তিমুনাফাহীন হাসপাতাল।
বন্ধুরা, গত পাঁচ বছর ধরে আমি অনবরত আপনাদের আমন্ত্রণ করে আসছি। প্লীজ, আপনারা আসুন সরেজমিনে দেখে যান আমাদের হাসপাতালটি। কি করি আমি আমরা???
আপনারা কিন্তু আসছেন না,,,,,
কিন্তু আমার ভালো কাজটাকেও এভাবে স্যালাইন না দিয়ে পানি দিচ্ছি বলে প্রচার করছেন এবং আমার দুর্ভাগ্য মানুষ তা বিশ্বাসও করছে।

আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বছর এটা প্রোগ্রামটা আরও জোড়দার করব, ইনশাআল্লাহ্‌।

আজ তিনজন নার্স হাসপাতালে যোগদান করল।
মমতা,মুক্তা, লুনা।
হাতভাঙ্গা রোগীটা আজ বিদায় নিল। তারা সন্তুষ্ট। আমিও সন্তষ্ট।
তবে, কেউ যদি ইন্টারেস্ট ফিল করেন তাহলে আসুন আমি দেখিয়ে দিব তারা সর্বমোট কত টাকা বিল দিয়েছে এবং আমি কত টাকা খরচ করেছি।
আছেন কোন আগ্রহী ভাই ও বোনেরা,,,,,

04/01/2025
আসসালামু আলাইকুম।ভালো ভাবুন, ভালো থাকুন।২য়,ছবিতে কালো হিজাব বা বোরকা বা জামা যাই হোক পড়া পুতুল মেয়েটি তিন বছর আগে আমার হ...
04/01/2025

আসসালামু আলাইকুম।
ভালো ভাবুন, ভালো থাকুন।

২য়,ছবিতে কালো হিজাব বা বোরকা বা জামা যাই হোক পড়া পুতুল মেয়েটি তিন বছর আগে আমার হাতে, ফোর আর আধুনিক হাসপাতালে জন্ম গ্রহণ করেছিল।
আমাকে দেখলেই দাদু দাদু আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলে আমি এখানেই হয়েছি।
আমি বলি কোথায়?
ও আবার ছোট হাতের আঙ্গুল বেকিয়ে মেঝে দেখিয়ে বলে এখানেই।
মহা খুশি সে আজ তার বড় আম্মুর ছেলেকে পেয়ে।
২০ সেপ্টেম্বর ২৪ থেকে শুরু হওয়া প্রতি মাসের ফ্রী আল্ট্রাসনোগ্রামের গর্ভবতী মা আজ তার বুকের ধন ছেলেকে নিয়ে হাসিমুখে বিদায় নিল।
তার বাড়ী বগুড়ার পাশের শহর নাটোরে।
সেখান থেকে এসেছে তার মা ও বড় বোন।
শাশুড়ি সহ তারা অনেক। এই তিন রাত ছিল।
আমার বগুড়ায় ফোর আর আধুনিক হাসপাতালে এই প্রথম এই গর্ভবতী মা এবং তার অ্যাটেনডেন্টদের জন্য কিছু লেখার ইচ্ছে হলো।
প্রসূতি মায়ের সিজার করার পর একবারও তার ব্যথা বা অন্য কোন অসুবিধার কথা বলেনি আমায়।
বর্তমান হাসপাতালে লোকবলের অভাব আছে। এরমধ্যেও মাঝে মাঝে নারায়ণগঞ্জ,, নকশার কর্ণধার জামালের মত সমস্যায় পড়ি। তাই সিজার করার পর পরবর্তী সেবা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম।
আল্লাহ মেহেরবান।
অবাক করা কান্ড। তাদের কোন অভিযোগ তো ছিলই না উপরন্তু নাটোর থেকে আসা মহিলারা প্রতিবেলায় আমি খেয়েছি কিনা? তাদের কোন হেল্প আমার লাগবে কিনা? রান্না করা লাগলে, রুটি ছেকে দিবে কি না? গরম পানি আমার লাগবে কি না অনবরত জিজ্ঞেস করতেছিল।
হাসপাতালেই আমার অবস্হান।
ভোরে তাদের হাসপাতাল থেকে বের হতে হয়। তাই বুয়ার কাছ থেকে গেটের চাবি তারা নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল যেন আমাকে না ডেকে নিজেরাই গেট খুলে বাইরে যাওয়া আসা করতে পারে।
আজকে যাবার সময় জানলাম ব্যাপারটা।
বলল, আপনি ঘুমিয়ে থাকেন, সেই সময় আপনাকে ডেকে
গেট খুলে নেওয়া,ঠিক না। তাই চাবিটা আমরা বুয়ার কাছ থেকে নিয়েছিলাম।
ভাবুন একবার।
ভালো দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ দেশে নাই।
ফোর আর
আধুনিক
হাসপাতাল।
একটি বাড়ী।
এখানে বাড়ীর মত থেকে চিকিৎসা নেওয়া যায়।
আমি এই গর্ভবতী মা,কে সেবা দিয়ে খুব তৃপ্তি পেলাম।
মনটা ভরে গেল।
জ্বী, এমনই স্বপ্ন আমার। এমন একটি ব্যতিক্রমী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। অনেক হোম ওয়ার্ক করে রেখেছি কিন্তু কোন সাড়া পাই না কারো কাছ থেকে।
তাই আসুন
সব সময়
ভালো ভাবি, ভালো বলি, ভালো করি, ভালো থাকি।
তাই প্রতিদিন
দশবার করে
উপরোক্ত কথাগুলো বলি।
সবাই যদি এটা চর্চা করতে পারি তাহলে,
আমরা ভালো মানুষ হয়ে যাব নিশ্চয়ই।
তখন,
ভালো মানুষ, ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ,, গড়ে উঠবে।

25/08/2024

ভালোবাসায় ভরপুর বক্তব্য।
আম জনতা বুঝলে হয়???

ধন্যবাদ,বাবলু ভাই।ক্ষমাও চাই হয়ত পুরাপুরি আপনার উপদেশটা রক্ষা করতে পারলাম না।নীচের ছবিগুলো আমার পেশাগত জীবনে দারুণ স্মৃত...
29/04/2024

ধন্যবাদ,
বাবলু ভাই।
ক্ষমাও চাই হয়ত পুরাপুরি আপনার উপদেশটা রক্ষা করতে পারলাম না।
নীচের ছবিগুলো আমার পেশাগত জীবনে দারুণ স্মৃতিময় হয়ে থাকবে। আমি চাই না এমন ছবি আরও আসুক আমার কাছে।
ঘটনার কিঞ্চিৎ বর্ণনা করি।
রাত ৯টায় গর্ভবতী মা এলেন।
সিসি টিভি দেখে মনে হল না, সিজার করতে এল।
স্যার আল্ট্রা করেন।
নাম কি আপনার?
দুই বার বলল, আমরা কেউ শুনতে পেলাম না এত আস্তে বলল।
আমি বললাম আজ খাওয়া দাওয়া করেন নি।
না।
আল্ট্রা করা শেষ হলো এবং রোগী ভর্তি হল সিজার করতে।
আমার হিসাব মিলে না।
রাত ১২ টায় গাইনী সার্জন ও অজ্ঞানকারী ডাক্তার এলেন, ওটিতে গেলন।
আমি আমার চেম্বারে বসা। ৩০ মিনিট চলে যায়, কেউ আসে না আমায় ডাকতে ওটিতে যেতে।
বাচ্চাটা আমি ম্যানেজ করি।
এরপর আমি ওটিতে গেলাম দেখতে কি হচ্ছে সেখানে?
গিয়ে দেখি সেই গর্ভবতী মা, ওটির টেবিলে বসে মুড়ি খাচ্ছে সাথে ডাক্তার স্টাফরাও খাচ্ছে।

ওটি করা গেল না সেদিন।

পরদিন প্রস্তুতি নিয়ে সিজার করা হল। বাচ্চা ধরার কেউ নাই। প্রসূতি মায়ের পাশে থাকার জন্য কেউ নেই।

চারদিন পর চলে গেলেন।

কেউ কি কিছু বুঝলেন?

গরীব,অসহায় গর্ভবতী মায়েদের জন্যই আমার এই হাসপাতাল, ফোর আর আধুনিক হাসপাতাল,।
এখানে গরীবেরা আসেন, পয়সা দেন না। স্বল্প আয়ের রোগীরা আসেন স্বল্প কিছু দেন। ধনীরা আসে না, নাক সিটকায়। তারা শহরের হাসপাতালে ৬ বাই ৭ ফুট কেবিনে থেকে অপারেশন করে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন। পর্যাপ্ত টাকা বিল দেয়ে অনুভব করে গর্ব।

একদম স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটছি। দুচার জনকে সাথে পেলে, তাদের সহযোগিতা পেলে তীরে উঠতে পারতাম।
আল্লাহ সহান হোন।
আবারও ধন্যবাদ বাবলু ভাই।

এটা বড় তাল নাকি ফুটবল?দুটোর কোনটাই না।এক বাচ্চার জননীর ৩ কেজি ওজনের ওভারিয়ান টিউমার। গতকাল বহুমুখী ধারাবাহিক নাটকের শেষ ...
02/10/2023

এটা বড় তাল নাকি ফুটবল?
দুটোর কোনটাই না।
এক বাচ্চার জননীর ৩ কেজি ওজনের ওভারিয়ান টিউমার। গতকাল বহুমুখী ধারাবাহিক নাটকের শেষ পর্বটা হয়ে গেল।
আলহামদুলিল্লাহ্‌।
ফোর আর আধুনিক হাসপাতালের স্লোগান," বাড়ীর মত যত্ন"।
গতকাল এই শেষ পর্বে দর্শক ছিলেন বিভিন্ন বয়সের মাত্র ২৫ জন। আমরা নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘন্টা পরে শুরু করতে পারলেও কোনরুপ জটিলতা বা অসুবিধার সম্মুখীন হই নাই।
জ্বী, আজও এখনও তার রক্ত শরীরে ঢুকছে। আরও এক ব্যাগ লাগবে। তবে, রোগীর কোন সমস্যা নাই। তিনি ভালো আছেন।
আমি ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম চেষ্টা করে চলেছি ব্যতিক্রমী একটা উন্নত আধুনিক মানের হাসপাতাল নির্মাণ করতে।
লোক দেখানো কোন কিছুই আমি করতে চাই না, পছন্দ করি না। আমি ব্যতিক্রমী। বগুড়ায় চার বৎসর ধরে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
পারিস্পারিক অবস্হা বিশ্লেষণ করলে এতদিনে দমে চেপ্টা হয়ে যাবার কথা
কিন্তু হইনি। দিব্যি দাঁড়িয়ে আছি।
বগুড়ার কয়েকটা হাসপাতালে দরদাম করে তারপর আমাদের হাসপাতালে এসেছে। আমাদের সেবা, সেবার মান, চিকিৎসক, নার্স আয়া বুয়ার সবার আন্তরিকতা অপূর্ব। তারা নির্ভার করছে আমাদের উপর।
বগুড়ার কেন্দ্র সাতমাথা থেকে তিনকিলো দূরে একটা গ্রামে আমাদের হাসপাতাস। এটাই নাকি আমাদের সবচেয়ে বড় দোষের। ভিতরে।গ্রামে। এক কোনায়। কত দোষ আমাদের।অথচ, সাতমাথা থেকে দিনরাত ২৪ ঘন্টা মাত্র ১০ টাকা ভাড়ায় এই হাসপাতালে আসা যায়।
বন্ধুরা, আমি বহুবার বলার চেষ্টা করি, আমাদের হাসপাতালটা নিরিবিলি, মনোরম পরিবেশে একদম কোলাহল মুক্ত, সামাজিক, ব্যক্তিমুনাফিহীন হাসপাতাল।
কে শোনে ধর্মের কাহিনী?
আমরা অনেকের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি।তাদের আদর্শ আমরা গ্রহণ করেছি।
হালের দিল্লীর জামে মসজিদের মালিক রেহমাত ভাইকে স্বরণ করছি তাঁর একটি হিন্দি বাক্য।
,,ইতনা পয়সা ক্যায়া করু ইয়ার, কাফন কাতো কোহি পকেট নেহি,,।
জ্বী, তিনি বলেছেন, দিল্লী মসজিদের ১ নং গেটের তাঁর খাবার হোটেল- রেহমতুল্লাহ এর সামনে সব সময় বিভিন্ন মুসাফির, ভবঘুরে জমজমাট থাকে এবং তিনি তাদের বিনামূল্য খাওয়ান যা হোটেল থেকে আয় করেন তার পুরাটাই।
নিজের জন্য কি রাখেন?
কাফন কাতো কোহি পকেট নেহি- তাঁর উত্তর।
আফ্রিকার সাধারণ মুদি দোকানদার আবু মুসা, স্পেনের দৌড়বিদ ইভান ফার্নাদোজ, সেনেগালে ফুটবলার সাদি মানে সহ বহুজনকে আমরা অন্তরে স্হান দিয়েছে, তাঁদের আদর্শ আমরা ধারণ করি।
আপনারাও আসুন আমাদের সাথে। এখানে প্রশান্তি আছে, সুখ আছে।

Address

বাড়ি নং-3396(1), মহল্লা-13, ডাক্তার বাড়ি, বনানী, গন্ডগ্রাম, বগুড়া।
Bogura
5800

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when 4R Adhunik Hospital posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to 4R Adhunik Hospital:

Share