
29/04/2025
রাতে ঘুম নেই!
রাত বাড়তেই শুরু হয় অসহ্য চুলকানি।
নাভির চারপাশে, আঙুলের ফাঁকে, কোমরে — চুলকাতে চুলকাতে ঘুম ভেঙে যায় রাফির।
প্রথমে ভাবলো এলার্জি, পরে দেখা গেল — ওর স্কাবিস হয়েছে!
স্কাবিস কী?
স্কাবিস (Scabies) হলো এক ধরনের ছোঁয়াচে চর্মরোগ, যা Sarcoptes scabiei নামের একটি অতি ছোট জীবাণু দ্বারা হয়।
এরা ত্বকের নিচে গর্ত করে বাসা বাঁধে আর ডিম পাড়ে, ফলে ত্বকে প্রচণ্ড চুলকানি ও র্যাশ হয়।
---
স্কাবিস কেন হয়?
আক্রান্ত ব্যক্তি বা তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র (কাপড়, বিছানাপত্র, তোয়ালে) ব্যবহার করলে।
ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শে এলে (পরিবারের সদস্য, শিশু বা সঙ্গীর মাধ্যমে)।
স্কুল, হোস্টেল, নার্সিং হোমের মতো ভিড়ের জায়গায় সহজে ছড়ায়।
---
স্কাবিসের লক্ষণ
অতি তীব্র চুলকানি (বিশেষ করে রাতে বেশি)।
ত্বকে লাল ছোট ছোট ফোসকা বা দানা দেখা যায়।
আঙুলের ফাঁক, কবজি, কনুই, কোমর, নাভির চারপাশ, নিতম্ব — এসব জায়গায় বেশি হয়।
অনেক সময় আঁচড়ের কারণে ত্বক কেটে সংক্রমণও হতে পারে।
---
স্কাবিস প্রতিকার ও চিকিৎসা
১. চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবহার করুন, যেমন:
পারমেথ্রিন ৫% ক্রিম — রাতে পুরো শরীরে মেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন।
বেনজিল বেনজোয়েট লোশন।
জটিল ক্ষেত্রে আইভারমেক্টিন ট্যাবলেট খেতে হতে পারে।
২. আক্রান্ত ব্যক্তির পাশাপাশি পরিবারের সবাইকে চিকিৎসা করাতে হবে।
৩. ব্যবহৃত কাপড়চোপড়, বিছানা, তোয়ালে গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে।
৪. নখ ছোট করে কেটে পরিষ্কার রাখুন।
৫. চিকিৎসার পরেও কিছুদিন হালকা চুলকানি থাকতে পারে — তখন অ্যান্টিহিস্টামিন খাওয়া লাগতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শে।
---
মনে রাখবেন:
স্কাবিস কোনো লজ্জার বিষয় নয়। দ্রুত চিকিৎসা নিলে খুব সহজে ভালো হয়।
অন্যকে রক্ষা করতে হলে, নিজের চিকিৎসার পাশাপাশি আশেপাশের সবাইকে সতর্ক করুন।
সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন!
---
#চুলকানি