20/09/2025
বিপদ সংকেত ☠️☠️☠️☠️☠️☠️☠️☠️☠️☠️
৪০ হাজার টন কত বড়?
৪০ হাজার টন প্রায় ৮ হাজারটা আফ্রিকান হাতির ওজনের সমান!
এই ওজন প্রায় ৫ কোটি কেজি চালের সমান, যা লক্ষ লক্ষ মানুষের মাসব্যাপী খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট।
বাংলাদেশে মাত্র ১ বছরে ব্যবহার করা হয়েছে ৪০ হাজার টনেরও বেশি পেস্টিসাইড!
GMOs এর কারণে, ১৯৭০ থেকে হার্বিসাইডের ব্যবহার ১০০ গুণ বেড়েছে! কারণ সুপার পেস্ট এবং সুপার উইডের উদ্ভব ঘটায় বছর বছর বেশি মাত্রায় গ্লাইফোসেট স্প্রে করতে হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, প্রতিবছর ৪০ হাজার টন কীটনাশক বাংলাদেশের কৃষিজমিতে প্রয়োগ করা হয়!
গত ২০২১ থেকে ২০২২ সালে এদেশে ৪২ হাজার টন পেস্টিসাইড ব্যবহার করা হয়েছে!
সমস্ত বাণিজ্যিক ফসলে হার্বিসাইডের ব্যবহার হয়, যেখানে শ্রমিক দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করা ব্যয়বহুল।
ফসলের মাঠ, সবজি ক্ষেত এবং গুদামজাত খাদ্যে প্রয়োগের জন্য সব মিলিয়ে মোট ৫৩৫৯ রকমের পেস্টিসাইড বাজারে পাওয়া যায়! এগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই চরম বি/ষা/ক্ত, যা বাইরের অনেক দেশে ব্যান করা আছে!
এদেশে কীটনাশকের প্রায় ৯৮ শতাংশই বিদেশ নির্ভর। এতে ব্যবসা করে ট্রান্সন্যাশনাল কোম্পানিগুলো লাভবান হচ্ছে। এদের মধ্যে সবার উপরে আছে সিনজেন্টা কোম্পানি। বাকি অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে বায়ার ক্রপ, ইউপিএল, বিএএসএফ, হাইছেম, ইন্ডোফিল ইত্যাদি।
বাংলাদেশ ক্রপ প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ স্ট্যাটিস্টিক্স ব্যুরো এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে পেস্টিসাইডের প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। আমদানি, ডিলার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা সহ সব মিলিয়ে দেশে পেস্টিসাইডের মার্কেট সাইজ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার!
এছাড়াও, অবৈধভাবে যে পেস্টিসাইড আমদানি ও উৎপাদন হয় তার হিসাব এখানে নেই।
আর সামনের দিনে এই বাজার আরো বড় হচ্ছে ক্রমাগত!
বাংলাদেশের বাজারে প্রচুর পরিমাণে গ্লাইফোসেট বিক্রি হয়। মনসান্টোর রাউন্ডআপ ১৯৮৯ সাল থেকে নানান নামে বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রমে এই অঞ্চলে সবরকম কৃষি/বি/ষের বাজার সম্প্রসারণ চলছে। এসবের ব্যবসা অন্যান্য দেশে যত সংকুচিত হচ্ছে, বাংলাদেশে তা ক্রমেই বাড়ছে। পাশাপাশি ষড়যন্ত্র ও কারসাজি চলছে সমানে। গ্লাইফোসেটের ব্যবহার ও প্রভাব নিয়ে তথ্য গোপন করা হচ্ছে।
যে ভ/য়া/বহ পরিমাণে ক্যান্সার হচ্ছে এর বড় কারন জমিতে গ্লাইফোসেটের ব্যবহার।
কোনোরকম মনিটরিং ছাড়াই সর্বত্র পেস্টিসাইড বিক্রি হয়। কৃষকরা দেদারসে এসব ব্যবহার করছে।
পুরাই মুড়িমুড়কি কান্ড!
কৃষিজমিতে এত বিশাল পরিমানে পেস্টিসাইড প্রয়োগের ফলে মাটি, পানি, বাতাস সবখানে বি/ষা/ক্ত কেমিক্যাল ছড়িয়ে গেছে।
ভ/য়া/নক ব্যাপার হলো, এগুলো প্রকৃতিতে কোনোভাবেই নষ্ট হয় না। যুগ যুগ ধরে এদের বি/ষা/ক্ততা বজায় থাকে!
Roundup (Glyphosate), Basta (Glufosinate), Neonicotinoids, Atrazine, DDT, Agent Orange, Cropstar, Dioxin1 সহ অসংখ্য কীটনাশক ও আগাছানাশকের কারণে মাটি, বাতাস, পানি নষ্ট হয়েছে, মৌমাছি হারিয়ে যাচ্ছে, বিকলাঙ্গ শিশু জন্মহার বেড়ে গেছে, মানুষের প্রজননক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে!
বি/ষা/ক্ত কীটনাশকের প্রভাবে গত ৫০ বছরে মানুষের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা ৪২ পার্সেন্ট কমে গেছে।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনও বলছে, বিশ্বে প্রতি বছর ৩০ লাখ মানুষ কীটনাশকের বি/ষা/ক্ততায় আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্রনিক ডিজিজ, যেমন কিডনি রোগ, লিভারের রোগ, ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয়।
জিএমও জীবের জন্য অনিরাপদ।
এই কারণেই বিশ্বে অনেক দেশ জিএমও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে!
ভুটান, ভেনেজুয়েলা, কিরগিজস্তান, আলজেরিয়া, মাদাগাস্কার, রাশিয়া, সৌদি আরব প্রভৃতি দেশে সবরকম জিএমও আমদানি ও চাষ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইতালি, পোল্যান্ড প্রভৃতি দেশে জিএমও চাষ নিষিদ্ধ।
বর্তমানে জিএমও ফসলের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনতার প্রতিরোধ সূচকীয় হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিন্তু এদিকে চুপিসারে বাংলাদেশকে গ্রাস করতে যাচ্ছে জিএমও। এদেশের জনতা কি তা জানে?
সংগৃহীত ঃ