হোমিও নিকেতন

হোমিও নিকেতন ক্লাসিকাল হোমিওপ্যাথির সেবা নিন, সুস্থ থাকুন
(4)

ইনজুরি বা আঘাত পেলে সাধারণত আমরা পেইনকিলার জাতীয় ঔষধসমূহ খেয়ে থাকি। আঘাতের কারণে কেটে বা ফেটে গেলে অনেক ক্ষেত্রে এন্টিবা...
15/04/2025

ইনজুরি বা আঘাত পেলে সাধারণত আমরা পেইনকিলার জাতীয় ঔষধসমূহ খেয়ে থাকি। আঘাতের কারণে কেটে বা ফেটে গেলে অনেক ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকেরও প্রয়োজন পড়ে।

এতে দ্রুত ব্যথা কমলেও আঘাতপ্রাপ্ত কোষসমূহ উক্ত ঔষধসমূহ দ্বারা রিকভার খুব কম ক্ষেত্রেই হয়। ফলে পেইনকিলারের এ্যকশন শেষ হওয়ার পরপরই আবার ব্যথা শুরু হয়। এক্ষেত্রে আঘাতের তীব্রতা অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যথানাশক খেয়ে গেলে মানবদেহ নিজে নিজেই কোষগুলোকে রিকভার করে নেয়। ফলে আমরা সুস্থ হয়ে উঠি।

সবক্ষেত্রে মানবদেহ নিজে নিজেই কোষগুলোকে পরিপূর্ণ রিকভার করতে পারে না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আঘাতের ব্যথাগুলো বছরের পর বছর থেকে যায়, যেগুলো অনেককে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কষ্ট দিয়ে থাকে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম। হোমিও ঔষধসমূহ আঘাতের ব্যথা দ্রুত (ক্ষেত্রবিশেষে ১ থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে) কমানোর পাশাপাশি কোষগুলোকে একইসাথে রিকভার করতে থাকে। ফলে উক্ত আঘাতসমূহের জন্য দেহে দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা অবশিষ্ট থাকে না।

শুধুমাত্র নতুন আঘাতের ক্ষেত্রেই নয়, বরং যুগ যুগের পুরনো আঘাতের ব্যাথার ক্ষেত্রেও হোমিওপ্যাথিক ঔষধসমূহ সমানভাবে কার্যকরী।

হোমিওপ্যাথিতে ব্যথার ঔষধসমূহ-

১. আর্নিকা মন্টানা:- আর্নিকাকে আঘাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঔষধ বলা হয়। আঘাতের পাশাপাশি ছড়ে বা ছিলে গেলে অথবা ফেটে গেলেও আর্নিকা ভাল সুফল দেয়।

২. রাস টক্সিকোডেন্ড্রন:- আঘাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ এটি। আঘাত পাওয়ার পাশাপাশি শরীরের যেকোনো অঙ্গ মচকে গেলে রাস টক্স বিশেষভাবে প্রয়োজন হয়।

৩. ব্রায়োনিয়া এলবাম:- বিশেষ করে আঘাত কিছুটা পুরনো হয়ে গেলে এবং নড়াচড়ায় ব্যথা অনুভব হলে ব্রায়োনিয়ার প্রয়োজন হয়।

৪. হাইপেরিকাম পারফোরেটাম:- হাত বা পায়ের আঙ্গুলের মাথায় আঘাত পেলে অবশ্যই হাইপেরিকাম দিতে হবে।

৫. হেলিবোরাস নাইজার:- মাথায় আঘাত পাওয়া এবং এর পরবর্তী বিপর্যয়ে হেলিবোরাস বিশেষভাবে কার্যকরী।

রুটা গ্রাভিওলেন্স:- হাড়ে আঘাত লাগা এবং এর পরবর্তী বিপর্যয়ে রুটা প্রয়োজন।

৬. সিম্ফাইটাম:- চোখের অক্ষিগোলকের আঘাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঔষধ। এছাড়া সিম্ফাইটাম দ্রুত থেকে দ্রুততম সময়ে ভেঙে যাওয়া হাড় জোড়া লাগাতে পারে।

৭. নেট্রাম সালফ:- মাথায় আঘাতের পরবর্তীতে যেকোনো শারীরিক অথবা মানষিক বিপর্যয়ে নেট্রাম সালফ আরোগ্য প্রদান করে।

৮. ক্যালেন্ডুলা অফিসিনালিস:- ক্যালেন্ডুলা যেকোনো ধরনের ক্ষতে এন্টিসেপটিক লোশন হিসাবে কাজ করে।

এছাড়াও পরিস্থিতি ও লক্ষণভেদে অন্যন্য ঔষধও আসতে পারে।

সতর্কতা:-
১. আঘাতপ্রাপ্ত স্থান কেটে বা ফেটে গেলে এন্টিসেপটিক দিয়ে পরিষ্কার করে দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে সেলাইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

২. প্রয়োজনভেদে সঠিক শক্তি এবং মাত্রায় ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।

৩. অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।

৪. মারাত্মকভাবে আহত ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে রেফার করতে হবে।

সকল ধরনের জটিল ও পুরাতন রোগের সুচিকিৎসা করা হয়।
11/02/2025

সকল ধরনের জটিল ও পুরাতন রোগের সুচিকিৎসা করা হয়।

একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার কোনো রোগীর ঔষধ কিভাবে নির্ণয় করেন?এই ক্ষেত্রে ঔষধ নির্বাচনের বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে স...
19/02/2024

একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার কোনো রোগীর ঔষধ কিভাবে নির্ণয় করেন?

এই ক্ষেত্রে ঔষধ নির্বাচনের বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কমন নিয়ম হলো মেটিরিয়া মেডিকার যে ঔষধটির লক্ষণের সাথে কোনো রোগীর কষ্টদায়ক লক্ষণসমূহ মিলে যাবে, ঐ ঔষধটিই তাকে প্রয়োগ করা যাবে। হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় মেটিরিয়া মেডিকা বলতে এমন সব বইসমূহকে বুঝায়, যেসব বইয়ে ঔষধসমূহের লক্ষণসমূহ বিস্তারিতভাবে লেখা রয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো, মেটেরিয়া মেডিকা কোথা থেকে আসলো! কে লিখলো এমন বিস্তারিতভাবে ঔষধসমূহের বর্ণনা!

আসলে মেটেরিয়া মেডিকার বইগুলো লিখে থাকে বিশ্বস্ত এবং অভিজ্ঞ সব হোমিওপ্যাথিক ডাক্তাররা। যারা মূলত হোমিওপ্যাথিক ঔষধসমূহ প্রুভিং করে থাকেন।

কোনো ঔষধ প্রোভারই নিজের মনগড়া মতো মেটেরিয়া মেডিকা লিখতে পারে না। কারণ প্রত্যেকটি ঔষধের লক্ষণসমূহ মেটেরিয়া মেডিকার বইয়ে লিখার আগে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। অনেকগুলো সুস্থ মানব শরীরে অত্যন্ত সাবধানতার সাথে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শারীরিক এবং মানষিক লক্ষণসমূহ সংগ্রহ করা হয়। ফলে ২০০+ বছর আগেও যেসব ঔষধসমূহ পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেসব ঔষধসমূহ এখন পরীক্ষা করলেও একই লক্ষণসমূহ পাওয়া যায়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হলো, হোমিওপ্যাথি ঔষধসমূহ কোনো ইতর প্রাণীর উপর পরীক্ষা না করে সরাসরি মানুষের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলে এসব লক্ষণসমূহ অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং সুফলদায়ক। বিষয়টা বুঝতে হয়তো অনেকের কাছে কঠিন মনে হতে পারে। তাই একটা উদাহরণ দেওয়া যাক।

আমরা যদি কারো চোখের সামনে ঝাঁঝালো কাঁচা পেঁয়াজ কচলাতে থাকি অথবা বেশি মাত্রায় খাইয়ে দেই, তখন তার ঝাঁঝ লাগার পাশাপাশি নাক চোখ দিয়ে পানি আসতে থাকবে। তাছাড়া ক্রমাগত হাঁচি আসা সহ আরো অনেক শারীরিক এবং মানসিক লক্ষণ দেখা দেবে। এসব লক্ষণসমূহই মূলত অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মেটেরিয়া মেডিকার বইয়ে বিস্তারিতভাবে লিখা হয়েছে।

পেঁয়াজ থেকে যে ঔষধ তৈরি করা হয়, তাকে হোমিওপ্যাথির ভাষায় এলিয়াম সিপা বলে। এখন কোনো রোগীর প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন রোগের লক্ষণ
যদি এলিয়াম সিপার প্রুভিংকৃত লক্ষণের সাথে মিলে যায়, তাহলে ঐ রোগীকে এলিয়াম সিপা শক্তিকৃত এবং সুক্ষ্ণমাত্রায় প্রয়োগ করলে তার কষ্টদায়ক লক্ষণসমূহ দূরীভূত হয়ে সে আরোগ্য লাভ করবে। বিষে বিষ কাটে বলতে যা বুঝায়, এটা অনেকটা তাই।

এভাবেই মূলত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কাজ করে এবং ডাক্তাররা কোনো রোগীর জন্য ঔষধ নির্বাচন করে থাকে।

30/01/2024

হোমিও নিকেতন এ আপনাদের স্বাগতম

Address

হোমিও নিকেতন
Brahmanbaria
3440

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হোমিও নিকেতন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to হোমিও নিকেতন:

Share

Category