Health is Wealth

  • Home
  • Health is Wealth

Health is Wealth Your Mission Our Vision.I'll listen your Mind.Feel Free. I am an international pharmacist with over 10 years of experience in the field.

I have worked in various settings including retail pharmacies, hospitals, and clinics. My expertise includes medication therapy management, drug interactions, and patient counseling. I have successfully produced medicine with hospitals and clinics. I have also published several articles in reputable medical journals on topics such as drug interactions and medication therapy management. I am passio

nate about providing high-quality care to my patients and ensuring that they receive the best possible outcomes from their medications. In my free time, I enjoy volunteering at local health clinics and staying up-to-date with the latest developments in the field of pharmacy

প্রখ্যাত ভারতীয় কার্টুনিস্ট ইসমাইল লাহারির আঁকা এ ছবিটি ক'দিন আগে আন্তর্জাতিক মাতৃদিবসে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভেসে বেড়াত...
25/10/2024

প্রখ্যাত ভারতীয় কার্টুনিস্ট ইসমাইল লাহারির আঁকা এ ছবিটি ক'দিন আগে আন্তর্জাতিক মাতৃদিবসে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভেসে বেড়াতে দেখেছি। শুধু একটি কার্টুন ছবির মাধ্যমে তিনি যেন একজন অসহায় মায়ের সামনে তার সন্তানদের মোবাইলের চোরাবালিতে ডুবে যেতে দেখিয়েছেন। আমি নিজেও মনে করি আমাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের সামনে মোবাইল, নেট... একটা সামাজিক সমস্যা। লেখা পড়ার বাইরে যেটুকু সময় তারা পায় মোবাইলে ডুবে থাকে। এর ক্ষতিকর দিক বাবা মা'রা বোঝেন না এমন নয়। কিন্তু তারা যেন অসহায়। একজন শিক্ষক হিসাবে এমন অভিজ্ঞতাও হয়েছে অভিভাবক আমাদের অনুরোধ করছেন তার ছেলেমেয়ে যেন মোবাইল ব্যবহার না করে সেটা একটু বুঝিয়ে বলতে। তারা বাবা মা হয়ে সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে শিক্ষকের শরণাপন্ন হচ্ছেন! এটা অসহয়তা নয়।
আমাদের ছোটবেলায় যখন মোবাইল স্বপ্নেও ছিল না, তখন পড়ার বাইরে আমাদের খেলা ছিল। আর ছিল গল্পের বই পড়া। আমি ক্লাসে যারা ভালো রেজাল্ট করে তাদেরও জিজ্ঞাসা করে দেখেছি, পড়ার বই এর বাইরে কোন বই তারা পড়ে না। চাঁদের পাহাড়, সবুজ দ্বিপের রাজা, ফেলুদা, ব্যোমকেশ ছাড়াই, শুধু মোবাইলকে সঙ্গী করে স্কুল জীবন পেরিয়ে কলেজে পৌঁছে যায়।

পৌঁছে যায়, কিন্তু কোথাও যেন একটা ফাঁক থেকে যায়। সে ফাঁকটা সব থেকে বেশি বুঝতে পারছেন একজন মা। তিনি যেন ডুবতে দেখছেন সন্তানদের কিন্তু তিনি অসহায়।

এই অসহয়তা থেকে মুক্তির উপায় আমার জানা নেই। কিন্তু ভাবতে হবে সবাইকে।
শেয়ার দিন....
#সংগৃীত #বাংলাদেশকে #ভালোবাসুন #শিক্ষা

Beautiful
19/09/2024

Beautiful

একি বিপদ ডেকে আনলাম আমরা!উনার প্রাপ্ত অ্যাওয়ার্ডগুলো মুখস্থ করতেই তো জীবন ত্যানাত্যানা হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। চাকরি পাওযা ত...
10/08/2024

একি বিপদ ডেকে আনলাম আমরা!
উনার প্রাপ্ত অ্যাওয়ার্ডগুলো মুখস্থ করতেই তো জীবন ত্যানাত্যানা হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। চাকরি পাওযা তো আরও কঠিন হয়ে গেলো দেখছি। 😂🤣😄😁

চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য জেনে রাখা ভালো!!
ডঃ মুহাম্মদ #ইউনূস এর জীবনবৃত্তান্ত:

জন্মঃ ২৮ জুন, ১৯৪০

অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক। অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার সহ আরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।

#পরিবার-Family

মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর, এবং মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিনী ডঃ আফরোজী ইউনুস। ব্যক্তিগত জীবনে মুহাম্মদ ইউনূস দুই কন্যার পিতা। মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব।

#শিক্ষা জীবন

তাঁর প্রথম বিদ্যালয় মহাজন ফকিরের স্কুল। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় মুহাম্মদ ইউনূস মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অধিকার করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। কলেজে তিনি নাটকে অভিনয় করে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগ দেন এবং বয়েজ স্কাউটসের পক্ষ থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।

#কর্ম জীবন

১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ব্যুরো অব ইকোনমিক্স -এ যোগ দেন গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি লাভ করেন। ইউনূস বাংলাদেশে ফিরে আসার আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গড়ে তোলা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন।
ইউনুস দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময়। তিনি বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। সেই সময়ে তিনি গবেষণার লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। ১৯৭৪ সালে মুহাম্মদ ইউনুস তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা

মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন গরিব বাংলাদেশীদের মধ্যে ঋণ দেবার জন্য। তখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ৫.৩ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করে। ঋণের টাকা ফেরত নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক “সংহতি দল” পদ্ধতি ব্যবহার করে। একটি অনানুষ্ঠানিক ছোট দল একত্রে ঋণের জন্য আবেদন করে এবং এর সদস্যবৃন্দ একে অন্যের জামিনদার হিসেবে থাকে এবং একে অন্যের উন্নয়নে সাহায্য করে। ব্যাংকের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে গরিবকে রক্ষা করার জন্য ব্যাংক অন্যান্য পদ্ধতিও প্রয়োগ করে। ক্ষুদ্রঋণের সাথে যোগ হয় গৃহঋণ, মৎস খামাড় এবং সেচ ঋণ প্রকল্প সহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা। গরিবের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য উন্নত বিশ্ব এমন কি যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশসমূহকে গ্রামীণের এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ

Banker to the Poor:Micro-lending and The battle against World Proverty. (১৯৯৮)
Three Farmers of Jobra; Department of Economics, Chittagong University; (১৯৭৪)

#সম্মাননা

ডঃ ইউনুস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৮টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডাল গ্রহণ করেছেন। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা দেয়া হলো ইউনূসকে, যিনি এই পদক পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি ও মুসলিম।
বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্পদশালী দুই শতাধিক ব্যক্তির সম্মেলনে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। ২০১৩, ৫ মে বুধবার জাতিসংঘ ভবনে এ সম্মাননা জানানো হয়। জাতিসংঘে বিশ্বের সম্পদশালী ব্যক্তিদের এ সমাবেশের আয়োজন করে বিশ্ববিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন। একজন সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে ইউনূসকে এ ‘আজীবন সম্মাননা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়।

অ্যাওয়ার্ড

প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড। (১৯৭৮)
রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার। (১৯৮৪)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড। (১৯৮৫)
স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৭)
আগা খান অ্যাওয়ার্ড। (১৯৮৯)
কেয়ার পুরস্কার। (১৯৯৩)
নোবেল পুরস্কার (শান্তি)। (২০০৬)
মানবহিতৈষণা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র। (১৯৯৩)
মুহাম্মদ সাহেবুদ্দিন বিজ্ঞান (সামাজিক অর্থনীতি) পুরস্কার,শ্রীলঙ্কা (১৯৯৩)
রিয়াল এডমিরাল এম এ খান স্মৃতি পদক,বাংলাদেশ (১৯৯৩)
বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার,যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
পিফার শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
ডঃ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণ পদক, বাংলাদেশ (১৯৯৪)
ম্যাক্স সছমিধেইনি ফাউন্ডেশন ফ্রিডম পুরস্কার,সুইজারল্যান্ড (১৯৯৫)
ঢাকা মেট্রোপলিটন রোটারারি ক্লাব ফাউন্ডেশন পুরস্কার, বাংলাদেশ (১৯৯৫)
আন্তর্জাতিক সাইমন বলিভার পুরস্কার (১৯৯৬)
ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্ট আলামনাই পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৬)
আন্তর্জাতিক একটিভিটিস্ট পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭)
প্লানেটরি কনশিয়াশনেস বিজনেস ইনোভেশন পুরস্কার, জার্মানি (১৯৯৭)
হেল্প ফর সেলফ হেল্প পুরস্কার,নরওয়ে (১৯৯৭)
শান্তি মানব পুরস্কার (ম্যান ফর পিস এওয়ার্ড), ইতালি (১৯৯৭)
বিশ্ব ফোরাম পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭)
ওয়ান ওয়ার্ল্ড ব্রডকাস্টিং ট্রাস্ট মিডিয়া পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (১৯৯৮)বিশ্ব
দ্যা প্রিন্স অফ আউস্তুরিয়া এ্যাওয়ার্ড ফর কনকর্ড, স্পেন (১৯৯৮)
সিডনি শান্তি পুরস্কার, অস্ট্রেলিয়া (১৯৯৮)
অযাকি (গাকুডো) পুরস্কার, জাপান (১৯৯৮)
ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮)
জাস্টটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার,ফ্রান্স (১৯৯৮) ( Les Justes D’or )
রোটারারি এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়ার্ল্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৯)
গোল্ডেন পেগাসাস এ্যাওয়ার্ড, ইটালি (১৯৯৯)
রোমা এ্যাওয়ার্ড ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান, ইটালি (১৯৯৯)
রাথিন্দ্রা পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮)
অমেগা এ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্সি ফরব লাইফ টাইম এচিভমেন্ট, সুইজারল্যান্ড (২০০০)
এ্যাওয়ার্ড অফ দ্যা মেডেল অফ দ্যা প্রেসিডেন্সি,ইটালি (২০০০)
কিং হুসেইন হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড, জর্ডান (২০০০)
আই ডি ই বি গোল্ড মেডেল এ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ (২০০০)
আরতুসি পুরস্কার, ইটালি (২০০১)
গ্র্যান্ড প্রাইজ অফ দ্যা ফুকুওকা এশিয়ান কালচার পুরস্কার, জাপান (২০০১)
হো চি মীণ পুরস্কার, ভিয়েতনাম (২০০১)
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পুরস্কার ‘কাজা ডি গ্রানাডা’, স্পেন (২০০১)
নাভারা ইন্টারন্যাশনাল এইড এ্যাওয়ার্ড, স্পেন (২০০১)
মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০২)
বিশ্ব টেকনোলজি নেটওয়ার্ক পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (২০০৩)
ভলভো পরিবেশ পুরস্কার, সুইডেন (২০০৩)
জাতীয় মেধা পুরস্কার, কলম্বিয়া (২০০৩)
দ্যা মেডেল অফ দ্যা পেইন্টার অসওয়াল্ড গুয়ায়াসামিন পুরস্কার, ফ্রান্স (২০০৩)
তেলিছিনকো পুরস্কার, স্পেন (২০০৪)
সিটি অফ অরভিতো পুরস্কার, ইটালি (২০০৪)
দ্যা ইকোনমিস্ট ইনোভেশন পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
লিডারশীপ ইন সোশ্যাল অন্টাপ্রিনেয়ার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
প্রিমিও গ্যালিলীয় ২০০০ স্পেশাল প্রাইজ ফর পিস ২০০৪, ইটালি (২০০৪)
নিক্কেই এশিয়া পুরস্কার, জাপান (২০০৪)
গোল্ডেন ক্রস অফ দ্যা সিভিল অর্ডার অফ দ্যা সোশ্যাল সলিডারিটি,স্পেন (২০০৫)
ফ্রিডম এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৫)
বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি গোল্ড মেডেল, বাংলাদেশ (২০০৫)
প্রাইজ ২ পন্টে, ইটালি (২০০৫)
ফাউন্ডেশন অফ জাস্টিস, স্পেন (২০০৫)
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি নেউসতাদ এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
গ্লোব সিটিজেন অফ দ্যা ইয়ার এ্যাওয়ার্ড,যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট স্বাধীনতা পুরস্কার, নেদারল্যান্ড (২০০৬)
ইতু বিশ্ব তথ্য সংগঠন পুরস্কার, সুইজারল্যান্ড (২০০৬)
সিউল শান্তি পুরস্কার, কোরিয়া (২০০৬)
কনভিভেঞ্চিয়া (উত্তম সহকারিতা) সেউতা পুরস্কার, স্পেন (২০০৬)
দুর্যোগ উপশম পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৬)
সেরা বাঙালী, ইন্ডিয়া (২০০৬)
গ্লোবাল ট্রেইলব্লেজার পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
এ বি আই সি সি এ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশীপ ইন গ্লোবাল ট্রেড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
সামাজিক উদ্যোক্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
বিশ্ব উদ্যোগী নেতৃত্ব পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
রেড ক্রস স্বর্ণ পদক, স্পেন (২০০৭)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম শত বার্ষিকী স্মারক, ইন্ডিয়া (২০০৭)
ই এফ আর বাণিজ্য সপ্তাহ পুরস্কার,নেদারল্যান্ড (২০০৭)
নিকলস চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
ভিশন এ্যাওয়ার্ড, জার্মানি (২০০৭)
বাফি গ্লোবাল এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
রুবিন মিউজিয়াম মানডালা এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
সাকাল বর্ষ ব্যক্তিত্ব পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৭)
১ম আহপাডা গ্লোবাল পুরস্কার, ফিলিপাইন (২০০৭)
মেডেল অফ ওনার, ব্রাজিল (২০০৭)
জাতিসংঘ সাউথ- সাউথ সহযোগিতা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
প্রোজেক্ট উদ্যোগী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
আন্তর্জাতিক নারী স্বাস্থ্য মিশন পুরস্কার, নিউইয়র্ক (২০০৮)
কিতাকইয়ুশু পরিবেশ পুরস্কার, জাপান (২০০৮)
চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
প্রেসিডেন্স পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
মানব নিরাপত্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
বাৎসরিক উন্নয়ন পুরস্কার, অস্টিয়া (২০০৮)
মানবসেবা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
শিশু বন্ধু পুরস্কার,স্পেন (২০০৮)
এ জি আই আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
করিনি আন্তর্জাতিক গ্রন্থ পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
টু উয়িংস প্রাইজ,জার্মানি (২০০৮)
বিশ্ব মানবতাবাদী পুরস্কার, ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড ,ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
এস্টরিল গ্লোবাল ইস্যু’স ডিসটিনগুইশড বুক প্রাইজ, পর্তুগাল (২০০৯)
এইসেনহওয়ের মেডেল ফর লিডারশীপ অ্যান্ড সার্ভিস, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
গোল্ডেন বিয়াটেক এ্যাওয়ার্ড, স্লোভাকিয়া (২০০৯)
গোল্ড মেডেল অফ ওনার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
পি আই সি এম ই টি এ্যাওয়ার্ড, পোর্টল্যান্ড (২০০৯)
বৈরুত লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড (২০০৯)
সোলারওয়ার্ল্ড আইন্সটাইন এ্যাওয়ার্ড (২০১০)
©সংগৃহীত।

12/11/2023
like and follow my page
13/08/2023

like and follow my page

স্ত্রী যখন আট মাসের গর্ভবতী তখন আমার শাশুড়ি এসে স্ত্রীকে নিয়ে গেলো বাপের বাড়ি।ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, মেয়েকে নিয়ে যাওয়...
01/08/2023

স্ত্রী যখন আট মাসের গর্ভবতী তখন আমার শাশুড়ি এসে স্ত্রীকে নিয়ে গেলো বাপের বাড়ি।

ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার দুদিন পর শাশুড়ি স্ট্রোক করলো। এতে তার শরীরের বাঁ দিক অবশ হয়ে গেলো। যে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলো দেখাশোনা করার জন্য, সেই মেয়ে এখন উল্টো মাকে দেখাশোনা করতে লাগলো।

অসুস্থ শাশুড়িকে দেখতে গিয়ে স্ত্রীকে বললাম,"সন্তান জন্মের পরই বাড়িতে চলে এসো।"
স্ত্রী বললো,"বাবা সারাদিন চাকরিতে ব্যস্ত থাকেন। ছোটো ভাইও ভার্সিটি, টিউশনি নিয়ে দিনভর বাইরে থাকে। গোটা দিন মাকে দেখার কেউ নেই। এই অবস্থায় অসুস্থ মাকে রেখে কী করে যাই?"
"কী বলতে চাও তুমি?"

"মা নিজে নিজে উঠতে বসতে পারলে, এবং কিছুটা হাঁটতে পারলে আমি চলে যাবো। সেই পর্যন্ত আমাকে থাকতে দাও।"
বিরক্ত হয়ে বললাম,"তোমার মায়ের ঐ অবস্থায় আসতে ছয় মাস লাগবে। ততোদিন থাকবে এখানে?"
"ছয় মাস লাগবে না। ডাক্তার বলেছেন দু মাসের মধ্যে মা সুস্থ হয়ে যাবে।"

অসন্তুষ্ট হয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এলাম।
যথা সময়ে আমার একটা ছেলে সন্তান হলো।
স্ত্রী ঐ সদ্যজাত ছেলেকে নিয়ে মায়ের সেবা করে যেতে লাগলো।

এই সময় আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়লো। এবার তো স্ত্রীকে আনতেই হবে।

স্ত্রীকে যেদিন আনতে গেলাম সেদিন অসুস্থ শাশুড়ি বাচ্চাদের মতো কাঁদলো।
শাশুড়ি মেয়ের হাত ধরে বারবার বলছিলো,"তুই চলে গেলে আমি মরে যাবো।
একদম মরে যাবো।"
উত্তরে মেয়ে বললো,"মাগো, মেয়েদের জীবন এতো কঠিন কেনো...?
নিজের অসুস্থ মাকে ফেলে কেনো চলে যেতে হয়...?

মেয়ে চলে যাক এটা ওদের বাড়ির কেউ চাইছিলো না। কিন্তু আমি নিরুপায়। স্ত্রী যেমন তার মায়ের কথা ভাবছিলো, আমিও তেমনি আমার মায়ের কথা ভাবছিলাম।

স্ত্রীকে নিয়ে আসার পর শাশুড়ির শরীরের অবস্থার অবনতি হলো।
আমার মা কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে স্ত্রী একদিন আমাকে বললো,"আমাকে এবার মায়ের কাছে যেতে দাও।
তুমি তো জানোই মায়ের শরীর খুব খারাপ হয়ে গেছে।"

স্ত্রী চলে গেলে মায়ের সেবা যত্নের ঘাটতি হবে।
এতে মা'র অসুস্থতা বেড়ে যেতে পারে।
তাই বললাম,"অবশ্যই না। আমার মা পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তুমি যেতে পারবে না।

সে স্তব্ধ হয়ে আমার দিকে চেয়ে রইলো।
এর কিছু দিন পর আমার শাশুড়ি মারা গেলো।
সেদিন স্ত্রী আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো, যার অর্থ হলো, "তোমার জন্য আমার মা মারা গেলো।

জানি, মায়ের মৃত্যুর জন্য সে আজীবন আমাকে দায়ী করবে।
কিন্তু সে কখনোই আমার অবস্থার কথা ভাববে না।

তবে সাতাশ বছর পর এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, যখন আমি প্রমাণ করতে পারলাম, শাশুড়ির মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী নই ¡!¡

#ঘটনা_কী_হয়েছিলো_বলি।
আমার স্ত্রী তখন অসুস্থ। ছেলের বউ তার সেবা করছিলো। এই সময় আচমকা ছেলের শাশুড়িও অসুস্থ হয়ে পড়লো।
তাকে দেখাশোনা করার কেউ নেই।

ছেলের বউ তখন বাপের বাড়ি যেতে চাইলে ছেলে ঠিক আমার কথাটাই বললো,"অবশ্যই না। আমার মা পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তুমি যেতে পারবে না।

ছেলের বউ স্তব্ধ হয়ে তার স্বামীর দিকে তাকালো, ঠিক যেভাবে আমার স্ত্রী একদিন আমার দিকে তাকিয়েছিলো।

আমি সেদিন আমার স্ত্রীকে বললাম,তোমার মায়ের মৃত্যুর জন্য তুমি আমাকে দায়ী ভাবো।
কিন্তু এখন নিজের ছেলেকে দেখে বুঝলে তো, আমি পরিস্থিতির স্বীকার ছিলাম।
আমার মা যদি সে সময় অসুস্থ না থাকতো, তাহলে তোমাকে যেতে দিতাম। আমার কিছু করার ছিলো না।"
স্ত্রী শোয়া অবস্থায় বললো,"কিছু করার ছিলো না?"
--না--..?

সে তখন ছেলেকে আর ছেলের বউকে ডাকলো।
ওরা এলে প্রথমে ছেলেকে বললো,"তুই নিজের মায়ের কথা ভাবছিস, এটা মা হিসেবে আমার জন্য আনন্দের। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না, তোর শাশুড়ি হলো তোর স্ত্রীর মা।

তোর যেমন মন কাঁদছে মায়ের জন্য, তোর বউয়েরও তেমন মন কাঁদছে তার মায়ের জন্য।
ছেলে তখন বললো,"কিন্তু আমি কী করতে পারি...?

তোমাকে এই অবস্থায় রেখে বউকে তো আর বাপের বাড়িতে পাঠাতে পারি না।"

আমার স্ত্রী তখন যে কথা বললো তার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।
সে বললো,"তোর শাশুড়িকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়।

নতুবা আমাকে নিয়ে চল তোর শ্বশুরবাড়িতে।
তারপর ছেলের বউকে বললো, এক সাথে দুই অসুস্থ মায়ের সেবা করতে আপত্তি নেই তো তোমার...?

ছেলের বউ অপ্রত্যাশিত এই কথা শুনে আমার স্ত্রীর হাত ধরে কেঁদে দিলো।
এবং বললো,"কোনো আপত্তি নেই মা।
ছেলে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,"শাশুড়িকে এখানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছি।

খরচ নিয়ে ভাবতে হয় নি।
ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে সব খরচ বহন করা হয়েছিলো। এমনকি আমার স্ত্রীর চিকিৎসার খরচও তারা অনেকখানি দিয়েছিলো।

মেয়ের সান্নিধ্যে থেকে ছেলের শাশুড়ি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলো।
এবং যেদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলো, সেদিন থেকে অপরাধ বোধের কারণে স্ত্রীর চোখের দিকে আর তাকাতে পারি নি।
কেননা, অবশেষে শাশুড়ির মৃত্যুর জন্য দায়ী হয়ে গেলাম।

আমার স্ত্রী ছেলের শাশুড়িকে এনে যে সমাধান দিয়েছিলো সেটা আমার শাশুড়ির ক্ষেত্রেও করতে পারতাম।
কিন্তু করতে পারি নি, কারণ সেদিন শুধু আমার মায়ের কথা ভেবেছিলাম।
স্ত্রীর মায়ের কথা নয়।
আর তাছাড়া আমার স্ত্রী যদি সেদিন এই সমাধানের কথা বলতো, তবে ঝামেলা হবে ভেবে রাজি হতাম না।

আসলে অন্যের জন্য ভাবতে গেলে বড়ো মন লাগে।
যা আমার স্ত্রীর আছে। আমার নেই।

এই শেষ বেলায় চাওয়া এখন একটাই, ছেলে তার মায়ের মতো হোক। বাবার মতো নয়।

_Collected

01/08/2023

Like & follow
30/07/2023

Like & follow

ক্রমাগত লস খাওয়ার পর এক বাংলাদেশী পোল্ট্রি ব্যবসায়ী একবার ক্ষে''পে গিয়ে তার সকল মুরগী দের বললেন!'আগামীকাল থেকে যদি প্...
23/07/2023

ক্রমাগত লস খাওয়ার পর এক বাংলাদেশী পোল্ট্রি ব্যবসায়ী একবার ক্ষে''পে গিয়ে তার সকল মুরগী দের বললেন!

'আগামীকাল থেকে যদি প্রতিদিন ২টা করে ডিম না দিস তাইলে ধরে খে/য়ে ফেলব'!

এরপর থেকে প্রত্যেকটা মুরগীই প্রতিদিন ২টা করে ডিম দিতে লাগলো!

শুধু একটা বাদে! ঐটা প্রতিদিন একটা করেই ডিম পারতে লাগলো!

দেখে ব্যবসায়ী ক্ষে'পে গিয়ে বললেন:-

কিরে! তোর তো সাহস কম না! এতো বড় হু'ম'কি
দিলাম, এরপরও একটা করে ডিম পারতেসিস!

ভয়ে ভয়ে সে উত্তর দিলো: হুজুর! আপনার ভয়ে বহু কষ্টে একটা করে ডিম পারতেসি, আমি আসলে মোরগ!

সংগৃহীত

শশুর বাড়ি যাচ্ছি। মিতু রেগে গিয়ে বলল, খালি হাতে কেউ শশুর বাড়ি যায়? আমার জীবনে দেখিনাই।আমারও তাই মনে হলো, খালি হাতে শশুর ...
20/07/2023

শশুর বাড়ি যাচ্ছি। মিতু রেগে গিয়ে বলল, খালি হাতে কেউ শশুর বাড়ি যায়? আমার জীবনে দেখিনাই।

আমারও তাই মনে হলো, খালি হাতে শশুর বাড়ি যাওয়া ঠিক হবে না। কিছু তো নেওয়া দরকার। কিন্তু কি নেওয়া যায়!

ভাবতে ভাবতেই চোখে পড়ল, রাস্তার পাশে এক ব্যাক্তি বিক্রি কারার জন্য বড় সাইজের দুইটা কাঁঠাল নিয়ে বসে আছে। আমি দামাদামি করে খুব সস্তায় কাঁঠাল দুইটা কিনলাম।

মাথায় কাঁঠাল নিয়ে মিতুর কাছে আসতেই মিতু রেগে বলল, তোমার মত মানুষ জীবনে দেখিনাই। তুমি মাথায় কইরা কাঁঠালের বোঝা নিয়ে শশুর বাড়ি যাইবা! একটু লজ্জা নাই।

মিতুকে থামিয়ে বললাম,
দেখো, কাঁঠাল নিয়ে একদম বাজে কথা বলবা না। এটা জাতীয় ফল। আর এত বড় কাঁঠাল তোমার বাবা জীবনে দেখেনাই।

কাঁঠাল দুইটা বেশ নরম ছিল। কিছুক্ষন পর বুঝতে পারলাম, কাঁঠালের রস মাথা বেয়ে পড়ছে। আমি জিভ দিয়ে হালকা টেস্ট করলাম মিষ্টি কেমন। ভালই মিষ্টি।

শশুর বাড়ি পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। উঠানে শাশুড়ি দাড়িয়ে ছিল, আমার মাথায় কাঁঠাল দেখে তব্দা খেয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে আছে। হয়তো এত বড় কাঁঠাল আগে দেখেনি।

আমি ঘরে কাঁঠাল রেখে বাইরে আসতেই দেখি, দুই শালী ও তাদের জামাই আসছে। তারাও দুইটা করে কাঁঠাল নিয়ে আসছে।

ফ্রেশ হয়ে, সবাই মিলে গল্প করছিলাম। কার কাঁঠালের কত দাম। এরই মধ্যে রাতে খাবারের জন্য শাশুড়ি ডাক দিল.....

তিন ভায়রা ভাই খেতে বসতেই শাশুড়ি, নিজ মায়ের মতো মমতা ভরা কন্ঠে বলল,
"এত কষ্ট করে কাঁঠাল আনছ, নাও খাও। বলেই এক বাটি করে কাঁঠাল আমাদের সামনে দিল।"

আমরা কাঁঠাল খেতে শুরু করলাম। খাওয়া শেষ হতে না হতেই, আরেক বাটি করে কাঁঠাল দিয়ে শাশুড়ি বলল, অন্য আরেকটা কাঁঠালের আরেক বাটি। আলাদা করে দিলাম, যাতে স্বাদটা বুঝতে পারো"

দুইটা কাঁঠাল নিছি, তাই সকলকে নিজ নিজ কাঁঠালের দুই বাটি করে কাঁঠাল দিছে। আমি দ্বিতীয় বাটি থেকে কাঁঠাল খেতে লাগলাম।

দ্বিতীয় বাটি কাঁঠাল শেষ হতে না হতেই, শাশুড়ি আরেক বাটি কাঁঠাল দিয়ে বলল,
"এই নাও, এটা আমাদের বাড়ির গাছের কাঁঠাল।"

লজ্জায় কেউ না করতে পারছিনা, আবার খেতেও পারছিনা। কোন রকমের তৃতীয় বাটি থেকে কাঁঠাল খেতে লাগলাম।

আমার পেটে আর একদম জায়গা নেই। তৃতীয় বাটি কাঁঠাল শেষ হতে না হতেই, শাশুড়ি আরেক বাটি কাঁঠাল দিয়ে বলল,
"এই নাও, এটা আমাদের পশ্চিম পাশের গাছের কাঁঠাল। খুব মিষ্টি।"

আমরা তিন ভায়রা ভাই, একে অন্যের মুখের দিকে তাকাতাকি করলাম।

ইচ্ছে করছে কাঁঠালের ভেতর ঢুকে যাই। এদিকে আমার পেটের অবস্থাও কাঁঠালের মতো গোল হয়ে গেছে। কত ইচ্ছে ছিল, শশুর বাড়ি এসে পোলাও কুরমা খাবো, তা আর হলো না।

হঠাৎ করে আমার পেট মোচড় দিয়ে উঠল। আমি কোন রকমে উঠে টয়লেটের দিকে দৌর দিলাম। টয়লেটে বসে কাজ সারছিলাম....

এরই মধ্যে ছোট ভায়রার গলা শুনতে পেলাম।
বাইরে থেকে পাদছে,
গাচ্ছে গান, ওগো ভাইজান,
আমারও পরাণ যাহা চায়,
হাগু তাই, হাগু তাই।

একটু পরই মেঝ ভায়রার গলা শুনতে পেলাম,
খোলেন খোলেন দ্বার
বন্ধ করে রাইখেননা আর,
বাহিরে আমরা দাঁড়িয়ে।
আপনি কী বুঝেন না এ জ্বালা,
কেমনে আছি খাড়ায়ে!

রাতটা কিভাবে কেটেছে, তা বলে বুঝানো যাবে না।

পরদিন সকালে তিন ভায়রা মিলে গল্প করছি। পেটের অবস্থা সবারই খারাপ, থম থম হয়ে আছে। শাশুড়ি সকলের জন্য চা নিয়ে এসেছে। প্লেটে করে নিয়ে এসেছে, কাঁঠালের বিচি ভাজা। আমাদের সামনে প্লেট রেখে বলল,
"খালি পেটে চা খাওয়া ঠিক না। কাঁঠালের বিচি ভাজা খেয়ে, তারপর সবাই চা খাও।"

রাগে শরীরটা জ্বলে যাচ্ছে। দাঁত কিটমিট করে বসে রইলাম। কেউ কিছু খেলাম না। শুধু ছোট ভায়রা চা দিয়ে দুইটা কাঁঠালের বিচি খেল।

একটু পর সাকালের নাস্তার জন্য তিন ভায়রা বসে আছি। সবাই ভয়ে আছি, আবার না কাঁঠাল নিয়ে আসে। কাঁঠাল দেয়নি ঠিক, তবে যা দিছে কি আর বলব। ভুনা খিচুড়ি রান্না করছে কাঁঠালের বিচি দিয়ে, সাথে কাঁঠালের বিচি দিয়ে ভর্তা করা হয়েছে।

আমরা একজন আরেক জনের মুখের দিকে চেয়ে আছি। কি আর করব। উপায় না পেয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য কোন রকমে একটু খেলাম।

নাস্তা করার পর তিন জনেই মন খারাপ করে বসে আছি। শশুর বাড়ি এসে এসব খাবার খেতে হচ্ছে। দুই ভায়রা আমার প্রতি বেশ রেগে আছে। আমি হলাম সবার সিনিয়র। আমি সবার বড় হয়েও মুখবুজে কেন চুপ করে আছি। তাদেরকে সান্তনা দিয়ে বললাম, দুপুরের খাবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। তারপর কোন সিদ্ধান্ত নিব।

দুপুরে, প্লেটে ভাত নিয়ে বসে আছি। এমন সময় শাশুড়ি গোমরা মুখ করে বলল,
"মোরগ কাটতে গিয়ে হাত ফসকে ছুটে গেছে। কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডাল রান্না করছি। কষ্টকরে খেয়ে নাও।"

শাশুড়ি মায়ের মতো, তাই কিছু বললাম না। কোন রকমে খেয়ে উঠলাম।

দুই ভায়রা আমার উপর বেশ রেগে আছে। বিকালে কাঁঠাল বাগান দিয়ে তিনজনে হাটতেছিলাম, আর কি করা যায় তাই নিয়ে ভাবতে ছিলাম।

সন্ধ্যার একটু আগে। শশুর, শাশুড়ি, শালী, তিন ভায়রা সবাই মিলে গল্প করছি।

হঠাৎ করে শশুর বলল,
"তোমাদের তিন জামাইয়ের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা হোক। এই প্রতিযোগিতা একটু ভিন্ন নিয়মে হবে। এখান থেকে তিনজনে দৌড় দিবে। যে পেছনে পড়বে, তাকে একলা একটি কাঁঠাল খেতে হবে।"

এমন প্রতিযোগিতার কথা শুনে, আমার চোখ দিয়ে জল বের হবার উপক্রম। দুই ভায়রার মুখের দিকে চেয়ে দেখি, তাদেরও একই অবস্থা।

পাশ থেকে মিতু ও দুই শালী বলল, দারুন মজার প্রতিযোগিতা।

মনে মনে বললাম, হায় রে হারামজাদীর দল। সবাই মিলা এইভাবে কাঁঠাল খাওয়ানোর প্লান করছ।

কি আর করব। কোন উপায় না পেয়ে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিলাম।

তিন জনে লাইনে দাড়ালাম। পেছন থেকে শশুর হাতে তালি দেওয়ার সাথে সাথে, দিলাম দৌড়। এক দৌড়ে বাড়ি চলে আসছি। এরপর বহু বছর কেটে গেছে, কাঁঠালের সিজনে আর কোনদিন শশুর বাড়ি যাইনি।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Health is Wealth posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share