11/02/2024
হোমিওপ্যাথি একটি অকার্যকর, অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা ব্যাবস্থা।
কত বড় স্পর্ধা আবার তাদের, হোমিওপ্যাথির বাহিরের টোটাল মডার্ন মেডিকেল সায়েন্স কে অবজ্ঞা করে তারা বলে " এলোপ্যাথি "
পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানের প্রত্যেকটা মূলনীতির সাথে হোমিওপ্যাথির মূলনীতি সাংঘর্ষিক।
১৭৯৬ সালে জার্মান স্যামুয়েল হ্যানিম্যান তৎকালীন তার সীমিত জ্ঞান দিয়ে কিছু ধারণাপ্রসূত প্রপঞ্চ দিয়ে একটা কবিরাজি টাইপ চিকিৎসা ব্যাবস্থা দাড় করিয়েছিলেন যা বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের কাছে হাস্যকর বিষয়। যেমন তার প্রথম মূলনীতি ছিল " সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টর" -- মানে যে উপাদান একজন সুস্থ মানুষের দেহে যে অসুখ তৈরি করে ঠিক সেই অসুখে ঐ উপাদান প্রয়োগ করলে নাকি সে অসুখ সেরে যাবে😆😆 মানে বিষে বিষক্ষয়😆 ধরা যাক কারো Plasmodium vivax দিয়ে ম্যালেরিয়া হয়ে গেছে, এখন হ্যানিম্যান সাহেবের থিউরি অনুসারে এই ম্যালেরিয়া রুগীর শরীরে আবার Plasmodium vivax প্রয়োগ করলে ম্যালেরিয়া ভাল হয়ে যাবে🙄 Does it make any sense🤔 সেইটা আবার প্রয়োগ করতে হবে পানিতে অনেকবার পাতলা দ্রবণ করে ( Dilution with water), আবার ধরা যাক কাউকে রাসেল ভাইপার সাপ কামড় দিয়েছে, বিষক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, এখন আরেকটা রাসেল ভাইপার থেকে বিষ এনে পানিতে ডাইলুট করে প্রয়োগ করলে সুস্থ হয়ে যাবে?
"সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টর " এই মূলনীতির কোন ভিত্তিই নেই।
এবার আসা যাক তাদের আরেক মূলনীতি পানিতে ওষুধ কে বারংবার দ্রবণ ( repeated dilution with water)এভাবে বার বার পানিতে দ্রবীভূত করলে মূল ওষুধের ঘনত্ব কমতে কমতে খুবই নগন্য হয়ে যায়, তারা একটা ওষুধকে সর্বোচ্চ 30X পর্যন্ত ডাইলুট করে, যেখানে একটা ওষুধকে 24X ডাইলুট করলে ঐ ওষুধের আর একটা অনুও অবশিষ্ট থাকে না, এখানে তারা আবার আরেক আজব থিউরির অবতারণা করেছে Water memory 😆 পানির নাকি স্মৃতিশক্তি আছে, বার বার পানিতে ঝাকিয়ে মিশালে ওষুধের ঘনত্ব কমে নি:শেষ হয়ে গেলেও পানি নাকি আবার ওষুধের স্মৃতি মনে রাখে🤨
হ্যানিম্যান সাহেব বিশ্বাস করতেন রোগের পিছনে মূল কারণ হচ্ছে মায়াজম ( Miasm) যা আসলে শুধু অবান্তরই নয় এটা আজগুবিরও চুড়ান্ত।
এবার আসা যাক কিছু রুগীরা বলে তার হোমিওপ্যাথি খেয়ে কাজ হয়েছে, এটার কারণ হচ্ছে Placebo effect, রোগ ভাল হয়ে যাবে বিশ্বাস করে কেউ যদি ওষুধ মনে করে পানিও খায় সেও কিছুটা সুস্থ বোধ করতে পারে, আবার কিছু কিছু রোগ আছে আমাদের শরীরের ন্যাচারাল ইমিউনিটির কারণে নিজে নিজেই ভাল হয়ে যায় একটা সময় পরে, এই রুগীর ক্ষেত্রে যদি অনেক লম্বা সময় ধরে হোমিও প্রয়োগ করা হলে ন্যাচারাল ইমিওনিটির কার্যকারিতার ক্রেডিট নিয়ে নেয় হোমিওপ্যাথি। আবার হোমিও ওষুধে চুরি করে তারা আবার Steroid মিশায়, Steroid সব রোগেই কিছু সাময়িক আরাম দেয় রুগীকে।
এত কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে দুই একটা রুগীর ক্যান্সার খুব প্রাথমিক অবস্থায় ডায়গনসিস করে ঢাকা রেফার করি খুব ভাল কাউন্সেলিং করে, ঐ সময় ঢাকায় গেলে ক্যান্সার এর Curative treatment পসিবল ছিল, কিন্তু রুগীরা হোমিওর পাল্লায় পড়ে ( গ্যারান্টি সহকারে ভাল করে দিবে) আর ঢাকা যায় নি, এক বছর পর আবার যখন আমার কাছে আসল ততদিনে ক্যান্সার সারা শরীরে ছড়িয়ে গেছে ( Distant metastasis), জিজ্ঞেস করলাম কত টাকার ওষুধ খেয়েছেন, বলল স্যার প্রতিদিন ১ হাজার টাকার হোমিও ওষুধ। আমি নিষ্পলক তাকিয়ে থাকি😥