09/05/2025
(ঔষধ পর্ব - ০১Ñ
** নির্দেশনা **
ম্যাক্সপ্রো মাপ্স নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি)
NSAID ওষুধ দ্বারা চিকিৎসার ফলে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিক আলসার
হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি চিকিৎসায় (ট্রিপল থেরাপী)
জলিঞ্জার ইলিশন সিনড্রোম।
** উপাদান **
ইসোমিপ্রাজল মাস ২০ ট্যাবলেট: প্রতিটি মাপ্স ট্যাবলেটে ১৩৩.৩৩৩ মিগ্রা (১৫% ডব্লিও/ডব্লিও) ইসোমিপ্রাজল এন্টারিক কোটেড পিলেট রয়েছে যা ২০ মিগ্রা ইসোমিপ্রাজল (ইসোমিপ্রাজল ম্যাগনেসিয়াম ট্রাইহাইড্রেট ইউএসপি হিসাবে) এর সমতুল্য।
ইসোমিপ্রাজল মাক্স ৪০ ট্যাবলেট প্রতিটি মাপ্স ট্যাবলেটে ২৬৬.৬৭ মিগ্রা (১৫% ডব্লিও/ডব্লিও) ইসোমিপ্রাজল এন্টেরিক কোটেড পিলেট রয়েছে যা ৪০ মিগ্রা ইসোমিপ্রাজল (ইসোমিপ্রাজল ম্যাগনেসিয়াম ট্রাইহাইড্রেট ইউএসপি হিসাবে) এর সমতুল্য।
** বিবরণ **
মাস হচের মাল্টিপল ইউনিট পিলেট সিস্টেম এর সংক্ষিপ্ত রুপ। তবে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি এবং রিসার্চ এর দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, মডিফাইড রিলিজ কোটেড পিলেটস দ্বারা গঠিত ট্যাবলেটই হচ্ছে মাক্স। মাঙ্গ একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যা একই সাথে ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল এর উপকারি দিকগুলো প্রদান করে।
** ফার্মাকোলজি **
ইসোমিপ্রাজল একটি প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর যা গ্যাষ্ট্রিক প্যারাইটাল কোষে অবস্থিত H'/K' ATPase এনজাইম সিস্টেমের সাথে কোভালেন্ট বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত এসিড নিঃসরণের প্রধান ধাপকে বাধাগ্রস্থ করে। ইসোমিপ্রাজল (ওমিপ্রাজলের ১-আইসোমার), প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরের প্রথম একক অপটিক্যাল আইসোমার যা রেসিমিক প্রোটন পাম্প অপেক্ষাকৃত অধিকতর এসিড নিয়ন্ত্রণ করে।
** ঔষধের মাত্রা **
ইরোসিভ ইসোফ্যাগাইটিস-
পূর্ণবয়স্ক (২১৮ বছর): ৪০ মি.গ্রা. প্রতিদিন একবার করে ৪ সপ্তাহ
শিশু (১২-১৮ বছর): ৪০ মি.গ্রা. প্রতিদিন একবার করে ৪ সপ্তাহ
ইরোসিভ ইসোফ্যাগাইটিস এর মেইনটেন্যান্স ডোজ-
পূর্ণবয়স্ক (২১৮ বছর): ২০ মি.গ্রা. প্রতিদিন একবার
শিশু (১২-১৮ বছর): ২০ মি.গ্রা. প্রতিদিন একবার
NSAID ওষুষ দ্বারা চিকিৎসার ফলে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিক আলসার-
পূর্ণবয়স্ক (২১৮ বছর): ২০ মি.গ্রা. প্রতিদিন একবার করে ৪-৮ সপ্তাহ
হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি চিকিৎসায় (ইসোমিপ্রাজল মান্স ট্যাবলেট, ১০০০ মিগ্রা এমোক্সিসিলিন এবং ৫০০ মিগ্রা ক্লারিথ্রোমাইসিন)-
পূর্ণবয়স্ক (২১৮ বছর): ২০ মি.গ্রা. প্রতিদিন দুইবার করে ৭ দিন।
শিশু (১২-১৮ বছর): ২০ মি.গ্রা. প্রতিদিন দুইবার করে ৭ দিন
জলিঞ্জার ইলিশন সিনড্রোম-
পূর্ণবয়স্ক (২১৮ বছর): ৪০-৮০ মি.গ্রা. প্রতিদিন দুইবার।
শিশু (১-১১ বছর)-
ইরোসিভ ইসোফ্যাগাইটিস: ওজন ২২০ কেজি: ১০ মিগ্রা প্রতিদিন একবার করে ৮ সপ্তাহ। ওজন ২২০ কেজি: ১০-২০ মিগ্রা প্রতিদিন একবার করে ৮ সপ্তাহ
ইরোসিভ ইসোফ্যাগাইটিস এর মেইনটেন্যান্স ডোজ: ২০ মিগ্রা প্রতিদিন একবার।
১ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে: ইসোমিপ্রাজল মাপস ট্যাবলেট নির্দেশিত নয়।
** রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষ্য সেবন করুন **
** সেবনবিধি **
ইসোমিপ্রাজল মান্স ট্যাবলেটটি এক গ্লাস পানি দিয়ে গিলে ফেলুন। ট্যাবলেটটি চুষে অথবা কামড়ে খাওয়া উচিৎ নয়। যদি রোগীর ওষুষ গিলে খেতে অসুবিধা হয় তাহলে ট্যাবলেটটি আধা গ্লাস পানিতে রাখুন। তারপর ট্যাবলেটটি গুলে যাওয়া পর্যন্ত পানি ঠিকমত নাড়ুন। মিশ্রণটি সাথে সাথে অথবা ৩০ মিনিট এর মধ্যে যেতে হবে।
** ঔষধের মিথস্ক্রিয়া **
ইসোমিপ্রাজল ব্যবহারের সময় ফেনিটয়েন, ওয়ারফেরিন, কুইনিডিন, ক্লারিথ্রোমাইসিন, এমোক্সিসিলিন এর মিথস্ক্রিয়ার কোন প্রমাণ নেই। তবে ডায়াজিপামের সাথে ইসোমিপ্রাজল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডায়াজিপামের নিঃসরণ প্রক্রিয়া বিলম্ব হতে পারে। ইসোমিপ্রাজল কিটোকোনাজল, ডিপোক্সিন এবং লৌহ জাতীয় ওষুধের শোষণের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
** প্রতিনির্দেশনা **
ইসোমিপ্রাজলের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীর ক্ষেত্রে এর ব্যবহার পরিহার করা উচিত।
** পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া **
মৃদু ও অস্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যথা, কোষ্টকাঠিন্য ইত্যাদি।
** গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে **
গর্ভাবস্থায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে মাতৃদুগ্ধের সাথে ইসোমিপ্রাজল নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা যায়নি।
** সতর্কতা **
ইসোমিপ্রাজল গ্যাস্ট্রিক আলসারে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ম্যালিগ্ন্যান্সির সম্ভাব্যতা যাচাই করে নিতে হবে। তা না হলে ইসোমিপ্রাজল রোগের লক্ষণসমূহকে ঢেকে দিয়ে রোগ নিরুপণে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
** সংরক্ষণ **
আলো থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে ২৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রার নীচে সংরক্ষন করুন। সকল প্রকার ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুম।