27/08/2023
#বিষয়ঃ পর্নোগ্রাফি আসক্তি কি?
#যৌন উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যৌনসংক্রান্ত বিষয়বস্তুর প্রতিকৃতি বা ঘটনা ক্রমান্বয়ে বিবরণ দেওয়াই হলো পর্নোগ্রাফি।
#সহজভাবে বলতে গেলে- অভিনয়ের মাধ্যমে যৌনচারণ ও যৌনসঙ্গম খোলামেলা প্রদর্শন করা অথবা উগ্র ছবি, ভিডিওই হলো পর্নোগ্রাফি। আর এই পর্নোগ্রাফি দেখার যে তীব্র বাসনা, অভ্যাস সেটাই হলো পর্নোগ্রাফি আসক্তি।
#পর্নোগ্রাফি আসক্তি সম্পূর্ণ মাদকের মতো যা একবার দেখলে বারবার দেখতে ইচ্ছে করে এবং মাদকের ন্যায় শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নানাধরণের ক্ষতি করে।
#পর্নোগ্রাফি আসক্তি এর কারণঃ পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি হওয়ার নানাবিধ কারণ রয়েছে। যার কারণে খুব অল্প সময়েই যে কেউ এতে আসক্ত হয়ে পড়তে পারে। চলুন কিছু কারণ দেখা যাক-
১) ধর্মীয় শিক্ষা চর্চা না করার অভ্যাস।
২) ইন্টারনেটের সহজলভ্যতাঃ ইন্টারনেটের এই যুগে পুরো বিশ্ব এখন একজনের নিজ হাতের মুঠোয়। তাতে একজন ইচ্ছে করলেই যেকোনো পর্নো সাইট থেকে পর্নো ভিডিও,অডিও, স্থির চিত্র নামাতে পারে।
৩) একাকিত্বঃ পরিবারের লোকজন বিশেষ করে বাবা মা থেকে সন্তানেরা নির্দিষ্ট সময় না পাওয়ার কারণে তারা একাকিত্বে ভোগে। যেসময় তারা পর্নোগ্রাফিসহ নানারকম অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও, স্বামী -স্ত্রী নিজেরা নিজেদেরকে সময় না দেওয়ার কারণে হয়ে থাকে।
৪) চারপাশের অসামাজিক পরিবেশের প্রভাব।
৫) ব্যাক্তিত্বের ধরণ।
৬) সুস্থ -স্বাভাবিক বিনোদনের অভাব।
৭) মানসিক চাপ।
৮) সমবয়সীদের প্রভাব।
৯) অল্প বয়স থেকে অত্যাচার, মারধরের শিকার হওয়া।
১০) অসৎ সঙ্গ দোষে।
১১) পরিবারের সদস্যদের সাথে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর অভাব।
১২) মাদকাসক্ত হওয়া।
#চিকিৎসা পরামর্শঃ
১) শুরুতেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে পর্নোগ্রাফিকে না বলুন।
২) ভালো ভালো বই পড়ুন।
৩) নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
৪) পর্নোগ্রাফির কথা সহজেই মাথায় না আনুন।
৫) ধর্মীয় চর্চা করুন।
৬) একা একা থাকা পরিহার করুন।
৭) পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটান। এক্ষেত্রে, বাবা -মায়েরও উচিত সন্তানদের সময় দেওয়া
৮) পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হওয়ায় হীনমন্যতায় ভুগগবেন না।
৯) অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করুন। এক্ষেত্রে, পরিবারের বাকি সদস্যদেরও নজরে রাখা উচিত কার সাথে আসক্তসম্পন্ন ব্যাক্তিটি মেলামেশা করছে।
১০) একা একা ঘুমোবেন না, নির্জন নিরিবিলি এলাকায় থাকবেন না। তাতে মুহূর্তেই আপনার পর্নো দেখার ইচ্ছে জেগে উঠতে পারে।
১১) ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন।
১২) ইন্টারনেট ব্যব