12/07/2025
1. সিটি স্ক্যান (CT Scan):
কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি স্ক্যান, এক্স-রে রশ্মি ও কম্পিউটার প্রযুক্তির সমন্বয়ে শরীরের ক্রস-সেকশনাল ইমেজ তৈরি করে।
ব্যবহার: হাড়ের ফ্র্যাকচার, টিউমার, রক্তপাত, ফুসফুসের সমস্যা, পেটের অঙ্গের পরীক্ষা ইত্যাদি।
সুবিধা: দ্রুত, বিস্তারিত ইমেজ, জরুরি রোগ নির্ণয়ে কার্যকর।
সীমাবদ্ধতা: বিকিরণের ঝুঁকি রয়েছে, নরম টিস্যুর বিস্তারিত ছবি এমআরআই-এর মতো স্পষ্ট নয়।
2. এক্স-রে (X-ray):
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রশ্মি ব্যবহার করে শরীরের অভ্যন্তরের (মূলত হাড় ও ঘন টিস্যু) সমতল ছবি তোলে।
ব্যবহার: হাড় ভাঙা, দাঁতের সমস্যা, ফুসফুসের ইনফেকশন (যেমন নিউমোনিয়া), বিদেশী বস্তু শনাক্তকরণ।
সুবিধা: দ্রুত, সহজলভ্য এবং কম খরচে।
সীমাবদ্ধতা: কম বিস্তারিত, নরম টিস্যু ভালোভাবে দেখা যায় না, বিকিরণের স্বল্প ঝুঁকি রয়েছে।
3. এমআরআই (MRI - Magnetic Resonance Imaging):
শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র ও রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে শরীরের নরম টিস্যুর অত্যন্ত বিস্তারিত 3D ইমেজ তৈরি করে।
ব্যবহার: মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের রোগ, মাংসপেশি, লিগামেন্ট, টিউমার, হার্ট ও লিভারের সমস্যা ইত্যাদি।
সুবিধা: বিকিরণমুক্ত, নরম টিস্যুর জন্য সেরা ইমেজিং, উচ্চ রেজোলিউশন।
সীমাবদ্ধতা: দীর্ঘ সময় লাগে, ব্যয়বহুল, ধাতব ইমপ্লান্ট (পেসমেকার, মেটাল স্ক্রু) থাকলে সমস্যা হতে পারে।
মূল কথা:
----------------------
হাড় বা ফুসফুস দেখতে → এক্স-রে (দ্রুত ও সস্তা)।
জরুরি ট্রমা বা অভ্যন্তরীণ রক্তপাত → সিটি স্ক্যান (দ্রুত ও বিস্তারিত)।
মস্তিষ্ক, স্পাইন বা নরম টিস্যু → এমআরআই (বিকিরণ ছাড়াই সর্বোচ্চ বিস্তারিত)।