চারখাই ডায়াবেটিক সেন্টার

চারখাই ডায়াবেটিক সেন্টার বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি স্বীকৃত
Temporar

29/05/2023

পৃথিবীর সবচেয়ে কমন রোগগুলোর মধ্যে একটি ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ। আান্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (আইডিএফ, ২.....

29/05/2023
ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা বহুমূত্র  রোগ একটি হরমোন সংশ্লিষ্ট মেটাবলিক ডিসওর্ডার বা বিপাক জনিত রোগ। আমাদের পেটের ভিতর অগ্নাশ...
11/05/2023

ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা বহুমূত্র রোগ একটি হরমোন সংশ্লিষ্ট মেটাবলিক ডিসওর্ডার বা বিপাক জনিত রোগ। আমাদের পেটের ভিতর অগ্নাশয় বা প্যানক্রিয়াস নামক একটি গ্রন্থি থেকে ইনসুলিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয় যা রক্তের গ্লুকোজ দেহের বিভিন্ন কোষের মধ্যে পৌছিয়ে শক্তি উৎপন্ন করতে সহায়তা করে। কোন কারণে যদি অগ্নাশয় থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ইনসুলিন নিঃসৃত না হতে পারে কিংবা ইনসুলিন অকার্যকর হয়ে যায় তাহলে যে রোগ হয় তা হলো ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ।

কীভাবে বুঝবেন ডায়বেটিস হয়েছে:

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন লক্ষণ বা উপসর্গ ছাড়াই ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। সেক্ষত্রে রুটিন টেস্ট এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় হয়ে থাকে।

সাধারণত যেসব উপসর্গ দেখা দেয় তা হল ---

১★ ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া : দিনের মধ্যে বারবার প্রস্রাব হওয়া কিংবা রাতে ঘুম থেকে উঠে প্রশ্রাব করতে, তাহলে প্রথমেই ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা চিন্তা করতে হবে।

২★অতিরিক্ত তৃষ্ণা : ডায়বেটিসে আক্রান্ত হলে গলা বারবার শুকিয়ে আসে। প্রস্রাবের সময়ে শরীর থেকে বেশি পরিমাণে জল বেরিয়ে যাওয়ায় পিপাসা বেড়ে যায়।

৩★খিদে বেড়ে যাওয়া : হঠাৎ করে কিছুদিনের মধ্যে ক্ষিদে বেড়ে গেলে সাবধান হোক। আপনার ব্লাডে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ আছে কিন্তু ইনসুলিন এর অভাবে শক্তি উৎপন্ন করতে পারতেছে না।

৪★মুখ শুকিয়ে যাওয়া : ডায়াবেটিস রোগে মুখের ভিতরের অংশ বারবার শুকিয়ে যায়।

৫★ ওজন কমে যাওয়া : কোনও কারণ ছাড়াই যদি দেখেন ওজন কমে গিয়েছে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, আর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে নিন।

৫★ ক্লান্তি : ডায়বেটিস হলে অল্পতেই অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়বেন আপনি। এছাড়া ঘুমের মধ্যে বারবার বাথরুমে যাওয়া, ঠিকমতো ঘুম না হওয়াও আপনাকে ক্লান্ত করে দেবে।

৬★ দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা : রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে তা চোখেরও ক্ষতি করে। দৃষ্টিশক্তি কমে যায়, ঝাপসা দেখতে শুরু করবেন আপনি।

৭★ মাথাব্যথা: ডায়বেটিসের ফলে মাথাব্যথার সমস্যাও হতে পারে। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গেলে মাথাব্যথা সঙ্গী হতে পারে।

৮★ কাটা-পোড়া সহজে শুকোবে না : ডায়বেটিস হলে কোন জায়গায় কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে সহজে তা শোকাবে না।

৯★ সহজেই সংক্রমণ হবে শরীরে : ডায়াবেটিসে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। ফলে যেকোনও রোগের সংক্রমণ সহজেই হতে পারে শরীরে। হতে পারে নিউমনিয়া, প্রস্রাবে ইনফেকশন।

১০★ হাত-পায়ে অসাড়তা : ডায়বেটিসের ফলে আমাদের নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে হাত-পা বা শরীরের নানা অঙ্গে জ্বালা-পোড়া-প্রদাহ দেখা দেয়।

১১★ চামড়ার রঙ বদলে যায় : গলা, কুঁচকি, বগল ইত্যাদি জায়গার চামড়ার রঙ গাঢ়় হয়ে যায়। ডায়বেটিস হলে নিম্নাঙ্গে, কুঁচকিতে চুলকানি অনুভব হয়, নারী-পুরুষ সবার ছত্রাক/ফাঙ্গাস আক্রমণ হয়।

১২★ যৌন অক্ষমতা : ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীর যৌন অক্ষমতা তৈরি হয়। সঙ্গীর প্রতি আকর্ষন কমে যেতে পারে।

তাই, বয়াস ৩০ কিংবা তার বেশী সবাইকে খালিপেটে একবার গ্লুকোমিটার দিয়ে হলেও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা দরকার।
আর যাদের বংশগত ডায়াবেটিস আছে তাদেরকে বছরে কমপক্ষে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে।

লেখক:
ডা. আবু কামরান রাহুল
মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

আগামীকাল শুক্রবার সিলেট জকিগঞ্জ (শাহগলী), বিয়ানীবাজার (চারখাই) এ চেম্বারে ডা. আবু কামরান রাহুল স্যার রোগী দেখবেন।☎️ বিস্...
04/05/2023

আগামীকাল শুক্রবার সিলেট জকিগঞ্জ (শাহগলী), বিয়ানীবাজার (চারখাই) এ চেম্বারে ডা. আবু কামরান রাহুল স্যার রোগী দেখবেন।
☎️ বিস্তারিত/সিরিয়ালের জন্য:
01717-674 674 (আব্দুল মুকিত)

আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের ডায়াবেটিক সেন্টারের ৫ হাজার ৫০ তম রোগীর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হল।(২০১৭ থেকে পথ যাত্রা ২০২৩ পর্যন্ত...
29/04/2023

আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের ডায়াবেটিক সেন্টারের ৫ হাজার ৫০ তম রোগীর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হল।
(২০১৭ থেকে পথ যাত্রা ২০২৩ পর্যন্ত) শত শত ডায়াবেটিক রোগী আল্লাহর রহমতে আমাদের চিপ কনসালটেন্ট ডা. আবু কামরান রাহুল স্যারের অধীনে চিকিৎসা নিয়ে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে রেখে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করছেন।
----Admin, CDC

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আবু কামরান রাহুলচারখাই ডায়াবেটিক সেন্টারের চীফ কনসালটেন্ট, ড. আব্দুল ওয়াদুদ (বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সম...
20/12/2022

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আবু কামরান রাহুল
চারখাই ডায়াবেটিক সেন্টারের চীফ কনসালটেন্ট,
ড. আব্দুল ওয়াদুদ (বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক) এর অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য হেলিকাপ্টারে পিরোজপুর নিয়ে যাচ্ছেন।

🔴🔴 প্রতি শুক্রবার ডা. আবু কামরান রাহুল স্যারের চেম্বারের শিডিউল :👇⭕ চেম্বার - ১: সকাল ৯ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত "ইসলাম...
25/10/2022

🔴🔴 প্রতি শুক্রবার ডা. আবু কামরান রাহুল স্যারের চেম্বারের শিডিউল :👇
⭕ চেম্বার - ১: সকাল ৯ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত "ইসলাম ফার্মেসী" শাহগলীবাজার, জকিগন্জ, সিলেট।

⭕ চেম্বার - ২: বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত "চারখাই ট্রেড সেন্টার" চারখাইবাজার পয়েন্ট (জুনেদ ফার্মেসী এর বিপরীত পাশে)

⚫🔴সিরিয়ালের জন্য:
01717-674 674 (আব্দুল মুকিত)

25/10/2022

প্রতি শুক্রবার সিলেট শাহগলী ও চারখাই এর চেম্বার শিডিউল ; যোগাযোগ : 01717-674 674 (আব্দুল মুকিত)।

🔴🔴 আগামীকাল শুক্রবার, ০৭/০১/২০২২ তারিখ চেম্বারের শিডিউল :👇⭕ চেম্বার - ১: সকাল ৯ টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত "ইসলাম ফার্মেস...
06/01/2022

🔴🔴 আগামীকাল শুক্রবার, ০৭/০১/২০২২ তারিখ চেম্বারের শিডিউল :👇
⭕ চেম্বার - ১: সকাল ৯ টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত "ইসলাম ফার্মেসী" শাহগলীবাজার, জকিগন্জ, সিলেট।

⭕ চেম্বার - ২ : দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত "নোমান ফার্মেসী" (মাইজগ্রাম ফুটবল মাঠ সংলগ্ন) মাইজগ্রাম, জকিগন্জ, সিলেট।

⭕ চেম্বার - ৩: বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত "চারখাই ট্রেড সেন্টার" চারখাইবাজার পয়েন্ট (জুনেদ ফার্মেসী এর বিপরীত পাশে)

⚫🔴সিরিয়ালের জন্য:
01717-674 674 (আব্দুল মুকিত)

ডা. আবু কামরান রাহুলমেডিসিন বিশেষজ্ঞ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শাহবাগ, ঢাকা।★★মেড...
03/02/2021

ডা. আবু কামরান রাহুল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
(সাবেক পিজি হাসপাতাল) শাহবাগ, ঢাকা।
★★মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ★★

রোগী দেখবেন -- প্রতি শুক্রবার

♦️আগ্রহী সকল রোগীদেরকে উক্ত তারিখের আগে সিরিয়াল নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

যোগাযোগ/সিরিয়ালের জন্য:
01717-674 674 (আব্দুল মুকিত)

🔻🔺এছাড়া ও আমাদের ফেইসবুক পেজে মেসেজ/কল দিয়ে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ও সময় কনফার্ম করতে পারেন: 👇

https://www.facebook.com/drabukamranrahul/

--Admin

05/05/2019

ডায়াবেটিস রোগীর রোজাঃ
রোজায় ডায়াবেটিসের ওষুধ সমন্বয়

ডা. এবিএম কামরুল হাসান
এমডি (এন্ডোক্রাইনোলজি এন্ড মেটাবলিজম),
সহকারী রেজিস্ট্রার, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

রোজায় খাবার গ্রহণের সময়, ধরণ এবং পরিমাণে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। এ অবস্থায় সঙ্গত কারণেই ডায়াবেটিসের ওষুধের সমন্বয় করা জরুরি। খাবার গ্রহণের সময়ের সঙ্গে মিল রেখে ওষুধ গ্রহণের সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের মাত্রা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওষুধের ধরণ পরিবর্তন করতে হয়।

রক্তে সুগারের আধিক্য বা স্বল্পতা কোনোটিই কাম্য নয়; রোজায় ডায়াবেটিসের ওষুধ সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সুগার-স্বল্পতার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকে। তাই যে সকল ডায়াবেটিস রোগীর হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বেশি—তাদের এমন ওষুধ দিতে হবে, যার হাইপোগ্লাইসেমিয়া করার প্রবণতা কম; এ কাজটি রোজার কয়েক সপ্তাহ পূর্বেই করতে হবে। আর রোজার ঠিক আগে সুগার কতটুকু নিয়ন্ত্রণে আছে, সে বিষয়টিও রোজায় ওষুধ নির্বাচন ও সমন্বয়ের সময় বিবেচনায় রাখতে হবে। রমজানের প্রথম ও শেষ দিনে ওষুধকে সমন্বয় করে নিতে হবে, কারণ এই দুদিনেই খাবার ও জীবনযাত্রার বিশেষ পরিবর্তন হয়ে থাকে।

মেটফরমিন:
মেটফরমিনে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি নেই বললেই চলে। রোজায় মেটফরমিনের ডোজ কমাতে হয় না। যারা রোজার আগে সারাদিনে একবার মেটফরমিন খেতেন (বিশেষ করে এক্সটেন্ডেড রিলিজ মেটফরমিন), তারা সমপরিমাণ ডোজ ইফতারের সময় খাবেন। দিনে দু’বার খেয়ে থাকলে তা ইফতার ও সেহরিতে খাবেন, দিনে তিনবার খেয়ে থাকলে সারাদিনে যে ডোজ লাগে রোজার সময় তার ২/৩ ভাগ ইফতারের পর এবং বাকি ১/৩ ভাগ সেহরির পর খেতে হবে।

সালফোনাইল ইউরিয়া:
সালফোনাইল ইউরিয়া গ্রুপের হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বেশি, বিশেষ করে প্রথম জেনারেশন (যেমন: গ্লিবেনক্ল্যামাইড) ওষুধের ক্ষেত্রে। আধুনিক সালফোনাইল ইউরিয়াতে (যেমন: গ্লিমেপেরাইড, গ্লিক্লাজাইড এমআর) হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম, তবে একেবারে ঝুঁকিমুক্ত নয়।
যারা দিনে একবার সালফোনাইল ইউরিয়া ওষুধ (যেমন: গ্লিমেপেরাইড, গ্লিক্লাজাইড এমআর) খান, তারা একই ওষুধ ইফতারের শুরুতে (রোজা ভাঙার সময়) একটু কম করে খেতে পারেন।
যারা দিনে ২ বার সালফোনাইল ইউরিয়া ওষুধ (যেমন: গ্লিক্লাজাইড এবং গ্লিপিজাইড) খান, তারা একই ওষুধ সকালের মাত্রাটি ইফতারের শুরুতে (রোজা ভাঙার সময়) এবং রাতের মাত্রাটি অর্ধেক পরিমাণে সেহরির আগে খেতে পারেন।

ডিপিপি-৪ ইনহিবিটরস বা গ্লিপ্টিন:
ভিলডাগ্লিপ্টিন, সিটাগ্লিপ্টিন ও লিনাগ্লিপ্টিন জাতীয় ওষুধ একই মাত্রায় রাতের যে কোনো সময়ে খেতে পারেন, তবে ইফতারের সময় খাওয়াই ভাল। এটি আহারের আগে বা পরে যে কোনো সময় সেবন করা যায়। এই ওষুধগুলোতে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি কম।

রিপাগ্লিনাইড, নেটিগ্লিনাইড:
এ ধরণের ওষুধ রোজার আগের সমপরিমাণ সকালের ডোজ ইফতারের শুরুতে ও রাতের ডোজের সমপরিমাণ (একটু কম খাওয়া যেতে পারে) সেহরির আগে খেতে পারেন। সন্ধ্যা রাতে খাবার খেলে তার আগেও এই ওষুধ খেতে হবে। এই ওষুধগুলোতে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি আছে, তবে তা সালফোনাইল ইউরিয়া জাতীয় ওষুধের তুলনায় কম।

পায়োগ্লিটাজোন:
এই ওষুধ একই মাত্রায় রাতের যে কোনো সময় খেতে পারেন, তবে ইফতারের সময় খাওয়াই ভালো; এটিও আহারের আগে বা পরে যে কোনো সময় সেবন করা যায়। এই ওষুধে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি নেই বললেই চলে।

ভগ্লিবোজ, একারবোজ:
এ ধরণের ওষুধ রোজার আগের ডোজের সমপরিমাণ রোজার সময় সেবন করা যায়। বিশেষ করে ইফতারের সময় বেশি খাওয়ার ক্ষেত্রে এ জাতীয় ওষুধ ভাল ভূমিকা রাখতে পারে। রোজার দুই মূল খাবার, ইফতার ও সেহরিতে এটি সেবন করা যেতে পারে।

ফ্লজিনস:
এম্পাগ্লিফজিন, ডাপাগ্লিফ্লজিন ও কানাগ্লিফ্লজিন জাতীয় ওষুধ পানিশূন্যতা করতে পারে, বিশেষ করে যারা একইসাথে ডাইইউরেটিক জাতীয় ওষুধ সেবন করেন। রোজায় এ ওষুধ ব্যবহারে নিষেধ নেই, তবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যাদের পানিশূন্যতার ঝুঁকি আছে, তাদের ব্যবহার না করাই ভালো। যারা সেবন করে যাবেন, তারা ইফতারের সময় এটি সেবন করবেন; ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত একটু বেশি পরিমাণ পানি ও অন্যান্য তরল পানীয় পান করতে হবে। এই ওষুধগুলোতে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি কম।

ইনসুলিন:
যে সকল রোগী ইনসুলিন গ্রহণ করেন, রোজার আগেই তাদের ইনসুলিনের ধরণ ও মাত্রা ঠিক করে নিতে হবে। ইনসুলিন গ্রহণকারী রোগীর হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আগের দিনের হিউম্যান ইনসুলিনের চেয়ে আধুনিক এনালগ ইনসুলিনগুলোর হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম। তাই রোগীর আর্থিক সামর্থ থাকলে রোজার সময় হিউম্যান ইনসুলিনের পরিবর্তে এনালগ ইনসুলিন ব্যবহার করা যেতে পারে। রোজায় বিভিন্ন ধরণের ইনসুলিনের মাত্রা বিভিন্নভাবে সমন্বয় করতে হয়।

ব্যাজাল (দীর্ঘমেয়াদি) ইনসুলিন:
এর মধ্যে রয়েছে: ডিগ্লুডেক (ট্রেসিবা), গ্লারজিন (ল্যান্টাস), ডেটিমির (লিভেমির), এনপিএইচ (ইনসুলাটার্ড)। যারা দিনে একবার এই ধরণের ইনসুলিন নেন, তারা রোজার আগের ডোজের ১৫-৩০% কম ডোজ ইফতারের সময় নিবেন। যারা দিনে দুইবার এই ধরণের ইনসুলিন নেন তারা রোজার আগের সকালের ডোজের সমপরিমাণ ইফতারের সময় এবং রাতের ডোজের ৫০% সেহরির সময় নিবেন। এ ধরণের ইনসুলিন খাবার গ্রহণের সময়ের সাথে সম্পর্কিত নয় এবং আহারের আগে বা পরে যে কোনো সময় নেয়া যায়।

রেগুলার ইনসুলিন (একট্রাপিড) ও অতিদ্রুত কার্যকরি ইনসুলিন এনালগ, যেমন: এসপার্ট (নভোর‍্যাপিড), লিসপ্রো (হিউমালগ), গ্লুলিসিন (এপিড্রা) প্রতিবার খাবার আগে নিতে হয়। রোজার আগের সকালের ডোজের সমপরিমাণ ইনসুলিন ইফতারের শুরুতে এবং রাতের ডোজের ২৫-৫০% কম ডোজ সেহরির শুরুতে নিতে হবে। ইফতারের পর আগের রাতে খাবার খেলেও তার আগে এ ধরণের ইনসুলিন নিতে হবে। এক্ষেত্রে ডোজ নির্ভর করবে খাবারের পরিমাণ ও ধরণের উপর। তবে সেটা রোজার আগের দুপুরের ডোজের চেয়ে একটু কম হতে পারে।

প্রি-মিক্সড ও কো-ফরমূলেশন ইনসুলিন, যেমন: হিউম্যান প্রি-মিক্সড ৩০/৭০ বা ৫০/৫০ (মিক্সটার্ড), এনালগ প্রি-মিক্সড (নভোমিক্স ৩০, হিউমালগ মিক্স ২৫/৭৫ বা ৫০/৫০), কো-ফরমুলেশন ইনসুলিন রাইজোডেগ। যারা দিনে একবার এই ধরণের ইনসুলিন নেন, তারা রোজার আগের ডোজের সমপরিমাণ ইফতারের আগে নিবেন। যারা দিনে দুইবার এই ধরণের ইনসুলিন নেন, তারা রোজার আগের সকালের ডোজের সমপরিমাণ ইফতারের আগে এবং রাতের ডোজের ২৫-৫০% কম সেহরির আগে নিবেন।

প্রি-মিক্সড, রেগুলার, এবং অতিদ্রুত কার্যকরি এনালগ ইনসুলিন অবশ্যই আহারের আগে নিতে হবে। অতিদ্রুত কার্যকরি ইনসুলিন, এনালগ প্রিমিক্সড ও কো-ফরমূলেশন ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই খাওয়া শুরু করা যায়, তাই রোজায় এটি অধিক গ্রহণযোগ্য।

হিউম্যান প্রি-মিক্সড ও রেগুলার ইনসুলিন আহারের অন্তত ৩০ মিনিট আগে ইঞ্জেকশন নিতে হয়, যা ইফতারের সময় একটু কঠিন মনে হতে পারে। অনেকেই রোজা রেখে ইনসুলিন নিতে চাইবেন না, যদিও চামড়ার নিচে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না বলে আলেমগণ ফতোয়া দিয়েছেন। আবার ইফতারের বেশি আগেই ইনসুলিন নিয়ে ফেললে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ইফতারের সময় শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে এ ধরণের ইনসুলিন নিয়ে পানি ও অন্য পানীয় পান করে মাগরিবের নামাজ পড়ে তারপর বাকি খাবার খাওয়া যেতে পারে।

প্রথম যে রাতে সেহরি খেতে হবে অর্থাৎ ১ম রোজার আগের দিবাগত রাতের ডিনারের আগে ইনসুলিন অন্যদিনের চেয়ে একটু কম করে নিতে হবে (অর্ধেক নেয়া যেতে পারে), আর সেহরির সময় রোজার সময় নির্দেশিত ডোজ নিতে হবে, যা আগেই আলোচনা করা হয়েছে।

রোজায় সুগার টেস্ট ও ইনসুলিন দেয়া নিয়ে বিজ্ঞ আলেমদের অভিমত:
ডায়াবেটিস রোগীরা দিনের বেলাতেও প্রয়োজনে সুগার টেস্ট করতে পারবেন এবং চামড়ার নিচে ইনসুলিন নিতে পারবেন। সারা বিশ্বের ইসলামী চিন্তাবিদগণ এটিকে বৈধ বলে ফতোয়া দিয়েছেন; এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।

কখন সুগার পরীক্ষা করতে হবে?
দিনে-রাতে কতবার সুগার পরীক্ষা করতে হবে তা অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। মুখে খাওয়ার ওষুধের খাওয়ার চেয়ে ইনসুলিন ইঞ্জেকশনের ক্ষেত্রে বেশি ঘনঘন সুগার পরীক্ষা করতে হয়। ইফতারের ১ ঘণ্টা আগে ও ২ ঘণ্টা পর, সেহরির ১ ঘণ্টা আগে ও ২ ঘণ্টা পর, দিনের আগের ভাগে, এবং দুপুরের পর রক্তের সুগার পরীক্ষা করা যেতে পারে। যখনই হাইপোগ্লাইসেমিয়ার উপসর্গ দেখা দিবে, তখনই সুগার পরীক্ষা করতে হবে।

রোজা ভেঙে ফেলতে হবে, যদি:
১. সুগারের পরিমাণ কমে যায় (৩.৯ মিলিমোল/লিটার বা তার কম),
২. সুগারের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে গেলে (১৬.৭ মিলিমোল/লিটার বা তার বেশি) প্রস্রাবে কিটোন বডি পরীক্ষা করতে হবে এবং জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে,
৩. হঠাৎ অসুস্থতায়, যা জীবনহানির কারণ হতে পারে,
৪. হাইপোগ্লাইসেমিয়ার উপসর্গ দেখা দিলে এবং যদি গ্লুকোমিটারে সুগার মাপার ব্যবস্থা না থাকে,
৫. অতিরিক্ত পানিশূন্যতা দেখা দিলে।

Address

চারখাই বাজার, বিয়ানীবাজার, সিলেট
Charkhai
3100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চারখাই ডায়াবেটিক সেন্টার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to চারখাই ডায়াবেটিক সেন্টার:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category