The Unani Medicare & Hijama Center

The Unani Medicare & Hijama Center The Unani Medicare & Hijama Center. Our services are Hijama, Cupping, FASD, Acupuncture, Panchakarma

সুন্নাহ চিকিৎসা হিজামা সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেল পড়তে পারেন...হিজামা: নবী (স:) এর চিকিৎসা ড. মোহাম্মদ আবু তাহেরহিজামা (...
18/02/2025

সুন্নাহ চিকিৎসা হিজামা সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেল পড়তে পারেন...

হিজামা: নবী (স:) এর চিকিৎসা

ড. মোহাম্মদ আবু তাহের

হিজামা (حِجَامَة ) একটি নববী চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটি আরবী শব্দ ‘আল-হাজম’ থেকে এসেছে। যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। আধুনিক পরিভাষায় Cupping (কাপিং)। হিজামার মাধ্যমে দূষিত রক্ত (Toxin) বের করা হয়। এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভিতরের অরগান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।

হিজামা বা Wet Cupping অতি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে আরব বিশ্বে জনপ্রিয়। নির্দিষ্ট স্থান থেকে সূঁচের মাধ্যমে নেগেটিভ প্রেশার দিয়ে (টেনে/চুষে) নিস্তেজ প্রবাহহীন দূষিত রক্ত বের করে আনা হয়।

এ হিজামা থেরাপী ৩০০০ বৎসরেরও পুরাতন চিকিৎসা পদ্ধতি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে উৎপত্তি হ’লেও চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে চীন, ভারত ও আমেরিকায় বহু পূর্বে থেকেই এটি প্রচলিত ছিল। ১৮ শতক থেকে ইউরোপেও এর প্রচলন রয়েছে।

হিজামা তিবেব নববী : হিজামা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হিজামার উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত করেছেন, নিজে ব্যবহার করেছেন এবং হিজামা ব্যবহারে উৎসাহিত করেছেন। হিজামার ব্যবহার রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)-এর মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হিজামা করেছেন তাঁর মাথা ব্যথার জন্য[1], পায়ে[2], পিঠে, পিঠের ব্যথার জন্য দুই কাঁধের মধ্যে[3], ঘাড়ের দু’টি রগে[4] ও হাড় মচকে গেলে।[5]

আমর বিন আমির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, নবী করীম (ছাঃ) হিজামা লাগাতেন এবং কোন লোকের পারিশ্রমিক কম দিতেন না।[6]

হিজামার ফযীলত : হিজামার ফযীলত সম্বলিত বহু হাদীছ রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু হাদীছ উল্লেখ করা হ’ল।-

عَنْ حُمَيْدٍ قَالَ سُئِلَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَنْ كَسْبِ الْحَجَّامِ فَقَالَ احْتَجَمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَجَمَهُ أَبُو طَيْبَةَ فَأَمَرَ لَهُ بِصَاعَيْنِ مِنْ طَعَامٍ وَكَلَّمَ أَهْلَهُ فَوَضَعُوا عَنْهُ مِنْ خَرَاجِهِ وَقَالَ إِنَّ أَفْضَلَ مَا تَدَاوَيْتُمْ بِهِ الْحِجَامَةُ أَوْ هُوَ مِنْ أَمْثَلِ دَوَائِكُم-

হুমাইদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, আনাস বিন মালিক (রাঃ)-এর নিকট হিজামার উপার্জন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হিজামা লাগিয়েছেন। আবু তায়বা তাকে হিজামা করেছেন। তিনি তাকে দুই ছা‘ (প্রায় ৫ কেজি) খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং তার মালিকদের সাথে আলোচনা করেন। এতে তারা তার উপর ধার্যকৃত কর কমিয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও হিজামা সেগুলোর মধ্যে উত্তম ব্যবস্থা অথবা (বলেছেন) এটি তোমাদের ঔষধের মধ্যে অধিক ফলদায়ক’।[7]

عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رضى الله عنهما عَادَ الْمُقَنَّعَ ثُمَّ قَالَ لاَ أَبْرَحُ حَتَّى تَحْتَجِمَ فَإِنِّىْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ إِنَّ فِيْهِ شِفَاءًٌ-

আছেম বিন ওমর বিন ক্বাতাদা থেকে বর্ণিত আছে যে, জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) অসুস্থ মুকান্নাকে দেখতে যান। এরপর তিনি বলেন, আমি সরব না, যতক্ষণ না তুমি শিঙ্গা লাগাবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই এর (হিজামার) মধ্যে নিরাময় রয়েছে’।[8]

ইবনু আববাস (রাঃ)-এর সূত্রে নবী করীম (ছাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে নিহিত। শিঙ্গা লাগানো, মধু পান করা এবং আগুন দিয়ে গরম দাগ দেয়ার মধ্যে। তবে আমি আমার উম্মাতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি’।[9]

عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قَالَ جَاءَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ فِي أَهْلِنَا وَرَجُلٌ يَشْتَكِي خُرَاجًا بِهِ أَوْ جِرَاحًا فَقَالَ مَا تَشْتَكِي قَالَ خُرَاجٌ بِي قَدْ شَقَّ عَلَيَّ فَقَالَ يَا غُلَامُ ائْتِنِي بِحَجَّامٍ فَقَالَ لَهُ مَا تَصْنَعُ بِالْحَجَّامِ يَا أَبَا عَبْدِ اللهِ قَالَ أُرِيدُ أَنْ أُعَلِّقَ فِيهِ مِحْجَمًا قَالَ وَاللهِ إِنَّ الذُّبَابَ لَيُصِيبُنِي أَوْ يُصِيبُنِي الثَّوْبُ فَيُؤْذِينِي وَيَشُقُّ عَلَيَّ فَلَمَّا رَأَى تَبَرُّمَهُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنْ كَانَ فِي شَيْءٍ مِنْ أَدْوِيَتِكُمْ خَيْرٌ فَفِي شَرْطَةِ مِحْجَمٍ أَوْ شَرْبَةٍ مِنْ عَسَلٍ أَوْ لَذْعَةٍ بِنَارٍ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا أُحِبُّ أَنْ أَكْتَوِيَ قَالَ فَجَاءَ بِحَجَّامٍ فَشَرَطَهُ فَذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ-

আছেম বিন ওমর বিন ক্বাতাদা হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) আমাদের বাড়ীতে আসেন। বাড়ির একজন লোক তার ক্ষত রোগের কথা বলল। জাবির (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি সমস্যা? সে বলল, ক্ষত হয়েছে যা আমার কাছে অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাবির (রাঃ) বলেন, বৎস! আমার কাছে একজন হিজামাকারী ডেকে নিয়ে এসো। সে বলল, হে আবু আবদুল্লাহ! হিজামাকারীকে দিয়ে কি করবেন? তিনি বললেন, ক্ষতস্থানে শিঙ্গা লাগাতে চাই। সে বলল, আল্লাহর শপথ! মাছি আমাকে উত্যক্ত করবে কিংবা (ক্ষতস্থানে) কাপড় লেগে গেলে আমার কষ্ট হবে। হিজামা করাতে তার অসম্মতি দেখে জাবির (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যদি তোমাদের কোন ঔষধে কল্যাণ থেকে থাকে তাহ’লে তা আছে (১) হিজামা করানো (২) মধু পান করা এবং (৩) আগুনের টুকরা দিয়ে দাগ দেয়া’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আগুন দিয়ে দাগ লাগানো পসন্দ করি না। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি হিজামাকারীকে আনালেন। অতঃপর সে তাকে হিজামা করল। এতেই সে আরোগ্য লাভ করল’।[10]

হিজামার গুরুত্ব : জাবির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত যে, নবী করীম (ছাঃ)-এর (পায়ে) যে ব্যথা ছিল, তার জন্য তিনি ইহরাম অবস্থায় হিজামা লাগিয়েছিলেন।[11]

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِيْنَ عُرِجَ بِهِ مَا مَرَّ عَلَى مَلَإٍ مِنْ الْمَلاَئِكَةِ إِلاَّ قَالُوْا عَلَيْكَ بِالْحِجَامَةِ-

ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মি‘রাজে যাওয়ার সময় তিনি ফিরিশতাদের যে দলের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন তারা বলেন, ‘আপনি অবশ্যই হিজামা করাবেন’।[12]

عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ حَدَّثَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ لَيْلَةَ أُسْرِىَ بِهِ أَنَّهُ لَمْ يَمُرَّ عَلَى مَلإٍ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ إِلاَّ أَمَرُوْهُ أَنْ مُرْ أُمَّتَكَ بِالْحِجَامَةِ-

ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, মি‘রাজের রাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন যে, এই রাতে ফিরিশতাদের যে দলের সম্মুখ দিয়েই তিনি যাচ্ছিলেন তারা বলেছেন, ‘আপনার উম্মতকে হিজামার নির্দেশ দিন’।[13]

হিজামা ফেরেশতাদের দ্বারা সুফারিশকৃত : হিজামা একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যা আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তাঁর উম্মতের জন্য এটি ফেরেশতাদের দ্বারা সুপারিশকৃত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এজন্য কেউ বলতে পারে না যে, এই প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি বর্তমান আধুনিক যুগে অচল। বরং এটি সাফল্যপূর্ণ প্রতিষেধক সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে।[14]

হিজামার পদ্ধতি : হিজামার পূর্বে গোসল করে নেওয়া উত্তম। যদি গোসল না করেন, তবে হিজামার পূর্বে ঘণ্টা খানেক বিশ্রাম নেওয়া ভালো।

খালি পেটে হিজামা করা বা শিঙ্গা লাগানো ভাল : ইবনে ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘বাসি মুখে শিঙ্গা লাগালে তাতে নিরাময় ও বরকত লাভ হয় এবং জ্ঞান ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়’।[15]

হিজামার উত্তম সময় : সাধারণত হিজামার জন্য উত্তম সময় হচ্ছে চান্দ্র মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখ। আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘাড়ের দুই পাশের শিরায় এবং ঘাড়ের কাছাকাছি পিঠের ফুলা অংশে হিজামা করাতেন। তিনি মাসের সতের, ঊনিশ ও একুশ তারিখে হিজামা করাতেন।[16] যদি অসুস্থতা বা ব্যথা অনুভূত হয় তবে উক্ত তারিখের অপেক্ষা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হিজামা করানো যাবে।

হিজামার জন্য উত্তম দিন হচ্ছে সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার।

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ ... فَإِنِّيْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ فَاحْتَجِمُوْا عَلَى بَرَكَةِ اللهِ يَوْمَ الْخَمِيسِ وَاجْتَنِبُوا الْحِجَامَةَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ وَالْجُمُعَةِ وَالسَّبْتِ وَيَوْمَ الْأَحَدِ تَحَرِّيًا وَاحْتَجِمُوْا يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالثُّلاَثَاءِ-

ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর বরকত লাভের আশায় তোমরা বৃহস্পতিবার হিজামা করাও এবং বুধ, শুক্র, শনি ও রবিবার বেছে নেওয়া থেকে বিরত থাক। আর সোম ও মঙ্গলবারে হিজামা করাও’।[17]

উল্লেখ্য যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হিজামা করেছেন মাসের বিভিন্ন সময়ে। যেমন হজ্জের সময়, চান্দ্র মাসের প্রথমে। কারণ তিনি খারাপ মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এতে বুঝা যায়, প্রয়োজনে যে কোন সময় হিজামা করা যায়।

হিজামা থেকে বিরত থাকা : অসুস্থ, হায়েয, অন্তঃসত্তা, নেফাস এবং দুর্বল শরীরের অধিকারীদেরকে শিঙ্গা লাগানো থেকে বিরত থাকা উচিত।

ছিয়াম বা ইহরাম বাধা অবস্থায় হিজামা লাগানো : আব্দুল্লাহ বিন আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইহরাম অবস্থায় আধ কপালির কারণে তাঁর মাথায় শিক্ষা লাগান।[18]

ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছায়েম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছিলেন।[19]

হিজামা থেরাপী : রোগীকে আরামদায়ক অবস্থায় শুইয়ে অথবা বসিয়ে রাখতে হবে। যে স্থানে হিজামা করতে চান তা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে। হাতে গ্লাবস পরে নেয়া উত্তম। অতঃপর হিজামার স্থানে ধারালো সুঁচ বা ব্লেড দ্বারা হালকাভাবে ছিদ্র করে নিতে হবে। অতঃপর কাপ সেট করে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এভাবে দূষিত রক্ত বের হয়ে কাপে জমতে থাকবে।

হিজামার পর সাধারণত ঐ স্থানে গোল চিহ্ন বা ফোলা অনুভব করবেন। যা সর্বোচ্চ এক, দুই বা তিন দিন থাকতে পারে। এটা দূষিত রক্ত বের হওয়ার চি‎হ্ন।

হিজামার মাধ্যমে যেসব রোগ প্রতিরোধ হয় : ব্যাক পেইন, উচ্চ রক্তচাপ, পায়ে ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, মাথাব্যথা (মাইগ্রেইন), ঘাড়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, জয়েন্টে পেইন, আর্থ্যাইটিজ, যাদু, বাত, ঘুমের ব্যাঘাত, থাইরয়েড ব্যঘাত, জ্ঞান এবং স্মৃতিশক্তিহীনতা, ত্বকের বর্জ্য পরিষ্কার, অতিরিক্ত স্রাব নিঃসরণ বন্ধ করা, অর্শ, অন্ডকোষ ফোলা, পাঁচড়া, ফোঁড়া ইত্যাদি প্রতিরোধ হয়।

মাথাব্যথায় হিজামা : সালমা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, ‘যখন কেউ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে এসে মাথাব্যথার কথা বলত, তখন তিনি তাদের হিজামা করার কথা বলতেন’।[20]

জ্ঞান এবং স্মৃতিবর্ধক : ইবনে ওমর (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘খালি পেটে হিজামা লাগানো উত্তম। এতে শিফা ও বরকত রয়েছে। এতে জ্ঞান এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়’।[21]

বিষ বা ব্যথা : আব্দুল্লাহ বিন আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, এক ইহুদী মহিলা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বিষযুক্ত গোশত খেতে দিয়েছিল। তিনি তাকে সংবাদ পাঠিয়ে বললেন, কেন তুমি এ কাজ করলে? মহিলাটি উত্তরে বলল, যদি তুমি সত্যিই আল্লাহর রাসূল হও, তবে আল্লাহ তোমাকে জানিয়ে দিবেন। আর তুমি যদি তাঁর রাসূল না হও, তবে আমি মানুষকে তোমার থেকে নিরাপদ রাখব! যখন আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) এর যন্ত্রণা অনুভব করতে লাগলেন, তিনি হিজামা ব্যবহার করলেন। একদা ইহরাম অবস্থায় তিনি ভ্রমণে বের হ’লেন এবং ঐ বিষের যন্ত্রণা বোধ করলেন, তখন তিনি হিজামা ব্যবহার করলেন’।[22]

যাদু : ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন যাদু দ্বারা পীড়িত হন তখন তিনি মাথায় শিঙ্গা লাগান এবং এটাই সবচেয়ে উত্তম ঔষধ, যদি সঠিকভাবে করা হয়।[23]

হিজামা করার স্থানসমূহ : আনাস বিন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তিন স্থানে ঘাড়ের দু’টি রগে এবং কাঁধে হিজামা করিয়েছেন।[24]

আব্দুল্লাহ বিন আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর মাথায় হিজামা লাগিয়েছিলেন।[25]

আবু কাবশাহ আনমারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) মাথার মাঝখানে এবং দুই কাঁধের মাঝে হিজামা করতেন এবং বলতেন, যে ব্যক্তি নিজ শরীরের এ অংশে হিজামা করাবে, সে তার কোন রোগের চিকিৎসা না করালেও কোন ক্ষতি হবে না।[26]

জাবির (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাড় মচকে গেলে তিনি এর জন্য হিজামা করান।[27]

আনাস বিন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ব্যথার কারণে ইহরাম অবস্থায় তাঁর পায়ের উপরিভাগে হিজামা করিয়েছেন।[28]

ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেছেন, ‘দাঁতে, মুখে এবং গলায় ব্যথা হ’লে থুতনির নীচে হিজামা লাগালে উপকার পাওয়া যায়, যদি তা সঠিক সময়ে করা হয়। এটা মাথা ও চোয়াল শোধন করে।

পায়ের সাফিনায় (যা গোড়ালির বড় শিরা) পাংচারিং করার পরিবর্তে পায়ের পাতার সম্মুখে হিজামা লাগানো যেতে পারে। থাই এবং পায়ের পিছনের গোশতের আলসারের চিকিৎসায় এটি উপকারী। তাছাড়া রক্তস্রাবে বাধা ও অন্ড কোষের চামড়ার ক্ষতে তা ব্যবহারযোগ্য।

উরুতে ব্যথা, চুলকানী ও খোসপাঁচড়ার চিকিৎসা হিসাবে বুকের নিচে হিজামা লাগানো উপকারী। এতে পিঠের গেঁটে বাত, অর্শ, গোদ রোগ, খোসপাঁচড়ার প্রতিরোধে সাহায্য করে।[29]

মহিলাদের জন্য হিজামা : জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, উম্মে সালামা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে হিজামা করার জন্য অনুমতি চাইলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে হিজামা লাগিয়ে দিতে আবু তাইবা (রাঃ)-কে আদেশ দিলেন। জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বললেন, আমার মনে হয়, আবু তাইবা তার (উম্মে সালামার) দুধভাই অথবা একজন অপ্রাপ্তবয়ষ্ক বালক ছিলেন।[30]

পরিশেষে বলা যায়, হিজামা নববী চিকিৎসা। এর মাধ্যমে অল্লাহর রহমতে ব্যাক পেইন, উচ্চ রক্তচাপ, পায়ে ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, মাথাব্যথা (মাইগ্রেইন), ঘাড়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, জয়েন্টে পেইন, আর্থাইটিজ, যাদু, বাত, ঘুমের ব্যাঘাত, থাইরয়েড ব্যাঘাত, জ্ঞান এবং স্মৃতিশক্তিহীনতা, ত্বকের বর্জ্য পরিষ্কার, অতিরিক্ত স্রাব নিঃসরণ থামানো, অর্শ, অন্ডকোষ ফোলা, পাঁচড়া, ফোঁড়া ইত্যাদি রোগ ভাল হ’তে পারে।

* পি.এইচডি. গবেষক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

[1]. বুখারী হা/৫৭০০, ৫৭০১।

[2]. নাসাঈ হা/২৮৫২।

[3]. আবুদাঊদ হা/৩৮৫৯, সনদ ছহীহ।

[4]. আবুদাঊদ হা/৩৮৬০, সনদ ছহীহ।

[5]. আবুদাঊদ হা/৩৮৬৩, সনদ ছহীহ।

[6]. বুখারী হা/২২৮০।

[7]. মুসলিম হা/৩৯৩০।

[8]. বুখারী হা/৫৬৯৭।

[9]. বুখারী হা/৫৬৮১।

[10]. মুসলিম হা/৫৬৩৬।

[11]. নাসাঈ হা/২৮৫২।

[12]. ছহীহ তিরমিযী, হা/৩৪৬২।

[13]. ইবনু মাজাহ হা/৩৪৭৯; তিরমিযী হা/২০৫২; মিশকাত হা/৪৫৪৪, সনদ ছহীহ।

[14]. ছহীহ তিরমিযী হা/২০৫২, ২০৫৩; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৪৭৭।

[15]. ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৭, ৩৪৮৮, সনদ হাসান।

[16]. তিরমিযী হা/২০৫১, ২০৫৩; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৪৮৩; আবুদাঊদ হা/৩৮৬১, সনদ ছহীহ।

[17]. ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৭-৩৪৮৮, সনদ হাসান।

[18]. বুখারী হা/৫৭০১।

[19]. বুখারী হা/৫৬৯৪।

[20]. আবুদাঊদ হা/৩৮৫৮, সনদ হাসান।

[21]. ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৭, সনদ হাসান।

[22]. মুসনাদে আহমাদ ১/৩০৫, সনদ হাসান।

[23]. যাদুল মা‘আদ ৪/১২৫-১২৬।

[24]. আবুদাঊদ হা/৩৮৬০; ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৩, হাদীছ ছহীহ।

[25]. বুখারী হা/৫৬৯৯।

[26]. আবুদাঊদ হা/৩৮৫৯; ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৪, সনদ ছহীহ।

[27]. আবুদাঊদ হা/৩৮৬৩; ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৫, সনদ ছহীহ।

[28]. আবুদাঊদ হা/১৮৩৭, সনদ ছহীহ।

[29]. যাদুল মা‘আদ ৪/৫৮।

[30]. আবুদাঊদ হা/৪১০৫; ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮০, সনদ ছহীহ।

Medicinal Leech : Medicinal leech is also known as Hirudotherapy. It ia medical procedure that uses leeches to treat var...
15/12/2024

Medicinal Leech : Medicinal leech is also known as Hirudotherapy. It ia medical procedure that uses leeches to treat various health conditions.

Health Benefit of Leech Therapy:
1. Blood circulation: Blood Circulation increase.
2. Skin Disease : Leeches can help reduce allergies, eczema, psoriasis & other skin problem.
3. Pain Management : Leeches can help reduce pain without any conventional medicine.
4. Arthritis : Leeches can help reduce arthritis & other joint pain.
5. Wound Healing: Leeches can help with wound healing.
6. Diabetic Foot: Leeches can help with Diabetic foot & Gangrene.
7. Varicose Vein: Leeches can help with varicose vein.
8. Heart Disease : Leeches can help Heart disease & reduce cholesterol levels effectively.

To take Leech therapy & to Know more information about this. Please contact with us.
01791-581390
Dr. Abdul Hannan Sarker
BUMS Dhaka University
Govt. Unani & Ayurvedic Medical College
MSc Nutrition kusthia University
DGHS Reg. No U- 314
Unani Physician & Nutritionist

Chamber: The Unani Medicare & Hijama Center
Road No 01, Lane No 06, I Block, Halishahar Housing Society, Chittagong, Bangladesh.

06/10/2024

ঈদের ছুটি শেষে পূনরায় আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।আলহামদুলিল্লাহ। যারা হিজামা নিতে যোগাযোগ করেছেন দ্রুত এপোয়েন্...
22/06/2024

ঈদের ছুটি শেষে পূনরায় আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।আলহামদুলিল্লাহ।
যারা হিজামা নিতে যোগাযোগ করেছেন দ্রুত এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে নিন...
আগামী ২৬ শে জুন রোজ মঙ্গলবার হিজামার সুন্নাহ তারিখ।
সুন্নাহ তারিখে হিজামা নিন
সুস্থ থাকুন।
যোগাযোগ : 01791-581390

আপনি কেন হিজামা চিকিৎসা নিবেন..??? প্রোফেটিক মেডিসিন  বা তিববে নববী চিকিৎসা পদ্ধতির অন্যতম চিকিৎসা হচ্ছে হিজামা।  সুন্না...
29/05/2024

আপনি কেন হিজামা চিকিৎসা নিবেন..??? প্রোফেটিক মেডিসিন বা তিববে নববী চিকিৎসা পদ্ধতির অন্যতম চিকিৎসা হচ্ছে হিজামা।
সুন্নাহ আদায় ও চিকিৎসা হিসেবে
হিজামা গ্রহন করুন উচ্চ রক্তচাপ, ষ্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এর জটিলতা হতে নিজেকে নিরাপদ রাখুন

হিজামা একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি। প্রায় ৩০০০ বছর আগে থেকে এই চিকিৎসা পদ্ধতি চলে আসছে। প্রাচীন মিশরীয় ইতিহাসে প্যাপিরাসে এর উল্লেখ পাওয়া যায়।

আপনি কেন হিজামা গ্রহন করবেনঃ
আমাদেরকে হিজামার উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন স্বয়ং রাসূলে আকরাম ﷺ নিজে। নবীজী(সঃ) চিকিৎসা হিসেবে হিজামা ব্যবহার করেছেন এবং হিজামা চিকিৎসা নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। উৎসাহিত করেছেন স্বয়ং জিবরাঈল আলাইহিসসালাম।

নিম্নে কয়েকটি হাদিসের রেফারেন্স আমরা দেখে নিতে পারি।

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ হিজামা করতে চাইলে সে যেন আরবী মাসের ১৭, ১৯ কিংবা ২১ তম দিনকে নির্বাচিত করে।

রক্তচাপের কারণে যেন তোমাদের কারো মৃত্যু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৬
হিজামার ব্যবহার রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)-এর মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল।

ব্যাথার চিকিৎসায় হিজামাঃ
রাসূলুল্লাহ ﷺ হিজামা করেছেন তাঁর মাথা ব্যথার জন্য, পায়ে, পিঠে, দুই কাঁধের মধ্যে, ঘাড়ের দু’টি রগে ও হাড় মচকে গেলে।
(বুখারী হা/৫৭০০, ৫৭০১/ নাসাঈ হা/২৮৫২/আবুদাঊদ হা/৩৮৫৯/আবুদাঊদ হা/৩৮৬০/আবুদাঊদ হা/৩৮৬৩)

হজ্বের ইহরাম অবস্থায় হিজামাঃ
জাবির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত যে, নবী করীম ﷺ - এর (পায়ে) যে ব্যথা ছিল, তার জন্য তিনি ইহরাম অবস্থায় হিজামা লাগিয়েছিলেন। (নাসাঈ হা/২৮৫২), বুখারী হা/ ৫৭০১

ছিয়াম বা রোজা অবস্থায় হিজামাঃ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ছিয়াম অবস্থায় হিজামা লাগিয়েছেন।
বুখারী হা/৫৬৯৪

হিজামা ফেরেশতাদের দ্বারা সুপারিশকৃতঃ
ইবনু মাসউদ (রাঃ) হ'তে বর্ণিত, তিনি বলেন মিরাজের রাত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে, এই রাতে ফেরেশতাদের যে দলের সম্মুখ দিয়েই তিনি যাচ্চিলেন তারা বলেছেন, 'আপনার উম্মতকে হিজামার নির্দেশ দিন।
ইবনে মাজাহ হা/৩৪৭৯, তিরমিজি হা/২০৫২, মিশকাত হা/৪৫৪৪, সনদ সহীহ।

খালিপেটে হিজামা করানো সুন্নাতঃ
ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ' বাসি মুখে হিজামা লাগালে তাতে নিরাময় ও বরকত লাভ হয় এবং বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
ইবনে মাজাহ হা/ ৩৪৮৭,৩৪৮৮ সনদ হাসান

হিজামার সুন্নাহ তারিখঃ
প্রতি চাঁন্দ্র মাসের ১৭,১৯, ও ২১ তারিখ।

হিজামার সুন্নাহ বারঃ
সোম, মঙ্গল, বৃহস্পতিবার।
তিরমিজি হা/ ২০৫১, ইবনে মাজাহ হা/ ৩৪৮৩,৩৪৮৭,৩৪৮৮ সনদ হাসান, আবুদাউদ হা/ ৩৮৬১ সনদ সহীহ।

হিজামার সুন্নাহ পয়েন্ট সমূহঃ
১. মাথার উপরিভাগ তথা মধ্যভাগ।
২. মাথার ঠিক মাঝখানে।
৩. ঘাড়ের উভয় পাশে।
৪. ঘাড়ের নীচে উভয় কাঁধের মাঝখানে।
৫. উভয় পায়ের উপরিভাগে।
৬. মাথার নীচে চুলের ঝুটির স্থলে।

যে সকল সমস্যায় হিজামা বেশ উপকারী -
১. মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথা ব্যাথা
২. ঘাড় ব্যথা
৩. পিঠের ব্যথা
৪. কোমর ব্যথা
৫. পায়ের ব্যথা
৬.জয়েন্ট পেইন (আর্থ্রাইটিস)
৭. ব্যাক পেইন
৮. বাত ব্যাথা
৯.রক্তদূষণ
১০.উচ্চরক্তচাপ
১১.অতিরিক্ত ওজন
১২.চর্মরোগ
১৩.এলার্জি
১৪. চুলকানি
১৫.যাদু, কালো যাদু, ব্লাক মেজিক
১৬.জ্বিনের আসর,
১৭.অর্শ্ব বা পাইলস
১৮.অনিদ্রা বা ঘুমের ব্যাঘাত ১৯.স্মৃতিভ্রষ্টতা
২০. স্ট্রেস
২১.মানসিক সমস্যা
২২.স্পোর্টস ইনজুরি
২৩. থাইরয়েডের সমস্যা।
২৪. হরমোনাল সমস্যা
২৫.থ্যালাসেমিয়াতে আয়রন ওভারলোড কমাতে
২৬. PCOS, মাসি*কের সমস্যা সহ মেয়েদের অন্যান্য সমস্যা
২৭.দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ
২৮. চুল পড়া ( Hair fall)
২৯. ডায়াবেটিস
৩০. এ্যাজমা
৩১. খোস -পাচড়া
৩২. ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিস্কাশন
৩৩. ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান
৩৪. দীর্ঘ মেয়াদী চর্ম রোগ একজিমা, সোরিয়াসিস
৩৫.মুটিয়ে যাওয়া
৩৬. হৃদরোগ
৩৭. সাইনোসাইটিস
৩৮. মাংস পেশীর ব্যাথা

হিজামাহ কিভাবে এত রোগ ভাল করে???
👉 হিজামাহ মূলত একটি নাইট্রিক অক্সাইড (Nitric Oxide) বুস্টার থেরাপি।
আমাদের শরীলে প্রায় ১০০র সাথে আরেকটি যোগাযোগের মাধ্যমে হচ্ছে এই নাইট্রিক অক্সাইড( Nitric Oxide).
➡️সত্যি বলতে কী? এই নাইট্রিক অক্সাইড আমাদের শরীলের সকল ফাংশন (Function) কে প্রভাবিত করে।
হিজামাহ করার সময় যে ছোট ছোট স্ক্রেস করা হয়, এগুলো স্কিনের ঠিক নিচে বেচমেন মেমব্রেন (Basemen Membrane) ক্যাপিলারি গুলো পাংচার করে।
➡️এই স্ক্রেস গুলো এতই সূক্ষ্ম যে কোন ব্যথা লাগে না, একটু সুঁড়সুড়ি মত অনুভূতি হয়।
এই ক্যাপিলারি বা ছোট ছোট Blood vessel গুলো পাংচার এর ফলে এর এন্ড্রোথিলিয়াম থেকে নিঃসৃত হয় নাইট্রিক অক্সাইড (Nitric oxide)।
➡️ আর এই নাইট্রিক অক্সাইড মূলত রোগ নিরাময় প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের ইমিউন সিস্টেম ডেভেলপ করে।

এটা রোগের জন্য চিকিৎসা, সুস্থ ব্যক্তির জন্য রোগ প্রতিরোধ।

আমাদের এখানে বিইউএমএস ডাক্তার দ্বারা হিজামা করানো হয়।

মহিলা রোগীদের জন্য রয়েছে মহিলা হিজামা থেরাপিষ্ট।

ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক পর্দায় আবদ্ধ থাকা রুমে মহিলাদের জন্য মহিলা থেরাপিষ্ট দ্বারা হিজামা/কাপিং করানো হয়।

চেম্বারে আসার পূর্বে বুকিং নিয়ে কল করে আসবেন।
প্রতি কাপ বা পয়েন্ট ২০০ টাকা।

হিজামার পূর্বে করনীয়ঃ-

১.হিজামার পূর্বে গোসল করে আসতে হবে।
২.হিজামার পূর্বে খালি পেটে আসতে হবে।
তবে পানি খাওয়া যাবে।
৩. সকাল বেলা আসতে হবে।
৪. ভারি বা পরিশ্রম জাতীয় কোন কাজ করা যাবে না।
৫. হিজামার পূর্বে কোন ব্যায়াম করা যাবে না।

হিজামার পরে করনীয়ঃ-

১.হিজামার পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
২.হিজামার পর ডাবের পানি, ওরস্যালাইন,মধু,কালোজিরা খাবেন।
৩.হিজামার পর ২৪ ঘন্টা গোসল করা যাবে না।
৪. ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাম ঝোড়ানো পরিশ্রম করা যাবে না।
৫. ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্ত্রী-সহবাস করা যাবে না।

যোগাযোগ ঃ
হোয়াটসঅ্যাপ +8801791581390
ফেসবুক প্রোফাইল লিংক
https://www.facebook.com/profile.php?id=100090824312655&mibextid=ZbWKwL
ফেসবুক পেইজ লিংক
https://www.facebook.com/profile.php?id=100090525597776&mibextid=ZbWKwL
লিংকড ইন প্রোফাইল লিংক
https://www.linkedin.com/in/unanimedicare-info-b627a6267
ইন্সট্রাগ্রাম প্রোফাইল লিংক
https://www.instagram.com/invites/contact/?i=b4fv7qf9s9qj...
unanimedicareinfo@gmail.com
চেম্বার "লেইন ০৬, রোড ০১, আই ব্লক, হালিশহর হাউজিং এস্টেট, হালিশহর, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
এ্যাপয়েন্টমেন্টঃ +8801791581390

দ্য ইউনানী মেডিকেয়ার এন্ড হিজামা সেন্টার এ একজন দক্ষ রাক্কি ( রুকইয়াহ শারইয়াহ)  নিয়োগ দেওয়া হবে।বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে য...
18/05/2024

দ্য ইউনানী মেডিকেয়ার এন্ড হিজামা সেন্টার এ একজন দক্ষ রাক্কি ( রুকইয়াহ শারইয়াহ) নিয়োগ দেওয়া হবে।

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

যোগাযোগ :
হোয়াটসঅ্যাপ 01791-581390
চেম্বার : দ্য ইউনানী মেডিকেয়ার এন্ড হিজামা সেন্টার
দোকান ০৩, লেইন ০৬, রোড ০১, আই ব্লক, হাউজিং সোসাইটি, হালিশহর, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।

আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতায় নতুন দিগন্তে  দ্য ইউনানী মেডিকেয়ার এন্ড হিজামা সেন্টার। সমগ্র বাংলাদেশে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, ও হ...
17/05/2024

আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতায় নতুন দিগন্তে দ্য ইউনানী মেডিকেয়ার এন্ড হিজামা সেন্টার।

সমগ্র বাংলাদেশে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, ও হারবাল মেডিসিন কুরিয়ার ও ডাকযোগে প্রেরন করা হয়।

আমরা ইতিমধ্যেই ১৯.০৪.২০২৪ ইং তারিখে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ ও ০৩.০৫.২০২৪ ইং তারিখে সিরাজগঞ্জে দুটি সফল পারসেল ডেলিভারি করেছি।

আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।

দ্য ইউনানী মেডিকেয়ার এন্ড হিজামা সেন্টার এর পক্ষ হতে সকল বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী, ইউনানী চিকিৎসক, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, ইউনানী রেজিমেন্টাল থেরাপিষ্ট সহ সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও মোবারকবাদ।

আপনারা জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হবেন যে, দ্য ইউনানী মেডিকেয়ার এন্ড হিজামা সেন্টার সকল রোগের ইউনানী চিকিৎসা ও মেডিসিন প্রাপ্তি সহজতর করার লক্ষ্যে কুরিয়ার ও ডাকযোগে ইউনানী ঔষধ বুকিং দেওয়া হয়।

বি : দ্র: অনেক সময় ইউনানী চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিলেও সকল ঔষধ চেম্বারে বা ফার্মেসীতে পাওয়া যায় না, এতে রোগী ও রোগীর অভিভাবক বিরম্বনায় পরেন। এই বিরম্বনা এড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ।

আপনি যে কোন ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হারবাল ঔষধ পেতে আপনার নাম, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, কুরিয়ারের নাম, ঔষধের নাম বিস্তারিত লিখে আমাদের জানালে আমরা আপনার ঔষধ অতি দ্রুত সময়ে আপনার নিজ ঠিকানাতে পৌছে দিব। ইনশাআল্লাহ।
সেক্ষেত্রে ঔষধের মূল্য হিসেব করে ৫০% অগ্রিম পেমেন্ট করতে হবে।

যোগাযোগ :
হোয়াটসঅ্যাপ 01791-581390

চেম্বার : দ্য ইউনানী মেডিকেয়ার এন্ড হিজামা সেন্টার
দোকান ০৩, লেইন ০৬, রোড ০১, আই ব্লক, হাউজিং সোসাইটি, হালিশহর, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।

Address

Shop No 03, House No 14, Lane No 06, Road No 01, Halishahar Housing State, Halishahar, Chittagong
Chattogram
4216

Opening Hours

Monday 09:00 - 22:00
Tuesday 09:00 - 22:00
Wednesday 09:00 - 22:00
Thursday 09:00 - 22:00
Friday 09:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 22:00

Telephone

+8801791581390

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Unani Medicare & Hijama Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to The Unani Medicare & Hijama Center:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram