10/01/2024
হার্টের সমস্যা যে কোন সময় দেখা দিতে পারে। এটি একটি জটিল সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপ,ধূমপান,ডায়াবেটিস, ইত্যাদি হার্ট অ্যাটাকের কারণ। পাশাপাশি ব্যথাটি হাতে বাঁ কাঁধে ছড়িয়ে পড়তে পারে, প্রচন্ড ঘামও হতে পারে এসময়। ঠিক সময় চিকিৎসা না নিলে হার্ট বিকল হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি শরীর চর্চার দিকেও নজর দিতে হবে।
এছাড়া হার্ট অ্যাটাক হলে প্রত্যেকেরই কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কেও ধারণা থাকা দরকার। আপনি একা থাকা অবস্থায় আপনার যদি হার্ট অ্যাটক হয় কিংবা অন্য যে কোন সময় যদি হার্ট অ্যাটাক হয় তাহলে আপনি কি করবেন? জেনে নিন এর বিস্তারিত-
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ:
অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণ বুকের বাম দিকের একেবারে মাঝে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়। হার্ট অ্যাটাকের এটাই সবচেয়ে প্রাথমিক লক্ষণ। সাধারণভাবে প্রায় ২০ মিনিট ব্যথা থাকে।
বুকে বাম দিকে ক্রমাগত ব্যথা অনুভব হওয়া, ব্যথা বাড়তে বাড়তে ছড়িয়ে পড়তে পারে কাঁধ, চোয়াল, গলা, দাঁত ও হাতে
হঠাৎ পালস রেট খুব বেড়ে যায় বা একেবারে কমে যায়
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
বুকের মাঝখানে ভারি ভারি ভাব, অস্বস্তিকর চাপ অনুভব করা
নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
মাথা ঘোরা বা জ্ঞান হারানো
ধীরে ধীরে চারদিক অন্ধকার মনে হতে থাকে।
বমি বমি ভাব হওয়া
সাধারণভাবে প্রায় ২০ মিনিট ব্যথা থাকে।
এসব লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি। একা থাকলে এরকম কোন লক্ষণ বুঝলে কখনই অবহেলা করবেন না। তাই পরিচিতদের সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে রাখুন। হার্টের রোগীদের সবসময় অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি পরিসেবার নম্বর হাতের কাছে রাখা উচিৎ যেকোন মুহূর্তে দরকার পড়তে পারে। বাইরে রাস্তায় কোথাও থাকলে সঙ্গে সঙ্গে পাশের কারও সাহায্য নিন।
এসময় মাথা ঠাণ্ডা রাখাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। ঠাণ্ডা মাথায় রোগীকে ফার্স্ট এইড দিতে পারবেন ঝুঁকি তত কমবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন রোগীর সাথে সারাক্ষণ কেউ থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত যদি জ্ঞ্যান ধরে রাখতে না পারলে তার মৃত্যু অবধারিত। কাজেই হার্ট অ্যাটাক হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে যাতে ডাক্তারের কাছ না নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তিনি বেঁচে থাকেন।
১। প্রথমেই রিল্যাক্সড ঠাণ্ডা কোন অবস্থায় যেয়ে বসুন। দেওয়ালে হেলান দিয়ে মাটিতে বসুন। ঘাড়, কাঁধ, মাথা হেলান দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসলে রক্তচাপ কমবে।
২। অ্যাসপিরিন সবসময় সাথে রাখুন হার্ট অ্যাটাকের সময় অ্যাসপিরিন নিলে অনেকটা উপকার হয়। প্রাথমিকভাবে একা থাকা অবস্থায় অ্যাসপিরিন যদি নেয়া যায় অনেকটা সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।
৩।জোরে জোরে শ্বাস নিন। চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন, জোরে জোরে শ্বাস নিলে হার্ট অ্যাটাকের সময় অনেকটা রিলাক্সেশন পাওয়া যায়।
৪। হার্ট অ্যাটাকের সময় দুই হাত দিয়ে বুকে উপরে চাপ দিন। চিকিৎসকরা এই পদ্ধতি অবলম্বন করে যাতে হৃকম্পনের স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আসে।
৫। অনেক সময় হার্টের সমস্যায় জোরে জোরে কাশলে কোনো জায়গায় সামান্য ব্লক থাকলে তা খুলে যায়।
যদি বুঝতে পারেন যে হার্টের কোন সমস্যা হচ্ছে, তাহলে দেরি না করে ধারের কাছের চিকিৎসককে দেখাতে পারেন বা যেকোন কাছাকাছি একটি হাসপাতালে যেতে হবে। হাসপাতালে যেয়ে দ্রুত নিশ্চিত হতে হবে যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না এবং দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। নাহলে যেকোন সময় হার্ট ফেইল হয়ে যেতে পারে যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।