08/07/2025
🩺লিভার আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যার অনেকগুলো কাজ রয়েছে। এর অন্যতম প্রধান কাজ হলো পিত্তরস তৈরি করা। এই পিত্তরস আমাদের খাওয়া তৈলাক্ত খাবার হজমে সাহায্য করে। পিত্তরসে থাকা বিলিরুবিন নামে একটি পদার্থ মলের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, যার রং হলুদ। এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নিঃসৃত হয় বলেই আমাদের শরীর সুস্থ থাকে।
লিভারের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন হরমোন তৈরির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এটি কোলেস্টেরল তৈরি করে, যা থেকে সেক্স হরমোন তৈরি হয়। যেমন, ছেলেদের শরীরে বেশি থাকে টেস্টোস্টেরন, আর মেয়েদের শরীরে বেশি থাকে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন। এই হরমোনগুলো যৌন ক্ষমতা ও প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, কোলেস্টেরল থেকেই শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি তৈরি হয়, যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
লিভার থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। থাইরয়েড গ্রন্থি দুটি হরমোন তৈরি করে — T4 ও T3। এর মধ্যে T3 সক্রিয়ভাবে কাজ করে, আর T4 কে T3-তে রূপান্তর করার কাজটি করে লিভার। তাই থাইরয়েড হরমোন ঠিকমতো কাজ করতেও একটি সুস্থ লিভার প্রয়োজন।
এছাড়া, লিভার শরীরে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রোটিন তৈরি করে। এর মধ্যে একটি হলো ক্লোটিং ফ্যাক্টর, যা রক্তপাত হলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। অন্যটি হলো অ্যালবুমিন, যা রক্তের পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরে পানির অনুপাত ঠিক রাখে।
আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই, তার মধ্যে অনেক সময় কৃত্রিম রং বা রাসায়নিক উপাদান (যেমন ইউরিয়া) মেশানো থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর বা বিষাক্ত। এই টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থগুলো লিভার নিজ দায়িত্বে ধ্বংস করে দেয়। তাই লিভারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো শরীরকে বিষমুক্ত বা ‘ডিটক্সিফাই’ করা।
যে কোনো ওষুধ যেন শরীরে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে, তার জন্য লিভারের সুস্থতা অপরিহার্য। লিভার ওষুধকে ভেঙে শরীরের উপযোগী করে তোলে। একইভাবে, আমরা খাবার খেয়ে যে শক্তি অর্জন করি, তা লিভার নিজের মধ্যে সঞ্চয় করে রাখে। যখন আমরা না খেয়ে থাকি, তখন লিভার সেই জমাকৃত শক্তি শরীরকে সরবরাহ করে, যাতে আমরা সহজে দুর্বল না হই।
কিন্তু যদি কোনো কারণে লিভার অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। পিত্তরস তৈরি বন্ধ হয়ে গেলে তৈলাক্ত খাবার হজম হয় না। এতে করে খাবার উপরে উঠে আসে, বমি বমি ভাব হয়, পেট ভরা ভরা লাগে ও খাবারে অরুচি আসে — যা লিভারের অসুখের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। বিলিরুবিন যদি পায়খানা দিয়ে বের না হয়ে রক্তে মিশে যায়, তাহলে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যায়, তখন জন্ডিস নামক রোগ দেখা দেয়।
লিভার ঠিকভাবে কাজ না করলে কোলেস্টেরল তৈরি হয় না, ফলে সেক্স হরমোন তৈরিতেও সমস্যা হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের অভাবে বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয় এবং উলটোভাবে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন বেড়ে গিয়ে তাদের স্তনের আকার বেড়ে যেতে পারে, যা স্বাভাবিক নয়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও হরমোনের ঘাটতির কারণে সহবাসের ইচ্ছা কমে যায় এবং প্রজননে সমস্যা দেখা দিতে পারে। একইসঙ্গে কোলেস্টেরল না থাকলে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না, যার ফলে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং ক্ষয় হতে শুরু করে।
অবশেষে, থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যেহেতু T4 থেকে T3 রূপান্তরের কাজ লিভার করে, তাই লিভার দুর্বল হলে এটি ঠিকভাবে হয় না এবং শরীরে হাইপোথাইরয়ডিজম নামে একটি সমস্যা তৈরি হয়, যা বিপাকীয় গতি ধীর করে দেয় এবং ওজন বেড়ে যাওয়া, দুর্বলতা, বিষণ্নতা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
সব মিলিয়ে, শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে লিভারের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি শরীরের শক্তি, হরমোন, হজম, বিষনাশ ও রোগ প্রতিরোধ — সব কিছুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
🩸এত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গকে সুস্থ রাখতে প্রাচীন ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি হিজামা থেরাপি (বা "wet cupping therapy") অত্যন্ত কার্যকর ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন উপায় হিসেবে বিবেচিত। হিজামা থেরাপি হলো একটি নিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে নির্দিষ্ট স্থানে কেটে দিয়ে কিছু পরিমাণ "স্টেজ ব্লাড" বা জমে থাকা দূষিত রক্ত বের করে দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়া শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং লিভার সহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। বিশেষ করে পিঠের নিচের দিকের নির্দিষ্ট হিজামা পয়েন্টে নিয়মিত হিজামা করলে লিভারের কাজ উন্নত হয়, ফ্যাট জমা কমে এবং লিভারের এনজাইম ব্যালেন্সে থাকে। এটি ইনশাআল্লাহ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সম্পন্ন করা যায়, যদি অভিজ্ঞ ও প্রফেশনাল হিজামা থেরাপিস্টের মাধ্যমে করা হয়।
🩸নিয়মিত হিজামা করলে শুধু লিভার নয়, বরং শরীরের সামগ্রিক ইমিউন সিস্টেমও শক্তিশালী হয়, মানসিক প্রশান্তি বাড়ে, এবং ওষুধের উপর নির্ভরতা অনেকাংশে কমে আসে। তাই, লিভারকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হিজামা থেরাপিকে একটি নিরাপদ, সুন্নাতসম্মত ও কার্যকর বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
**✨ মনে রাখবেন:** লিভার আপনার শরীরের "সাইলেন্ট ওয়ার্কার"। একে সুস্থ রাখলে ৮০% রোগ থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ!**
📍 **ঠিকানা:** [বহদ্দারহাট চট্টগ্রাম ]
📱 **ফোন:** [ 01675526478 ]
**✅ পোস্টটি শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ দিন!**
#হিজামা #হিজামা_থেরাপি
#হিজামা_চিকিৎসা #সুন্নাহ_চিকিৎসা #হিজামা_বাংলাদেশ