02/10/2025
✅হিজামার মূল উদ্দেশ্য:
দেহের ক্ষতিকর পদার্থ ও বিষাক্ত রক্ত বের করে শরীরকে বিশুদ্ধ করা।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করা।
ব্যথা, চর্মরোগ, মানসিক চাপ এবং অন্যান্য সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান দেওয়া।
✅হিজামার দুইটি প্রধান ধরন রয়েছে:
ড্রাই হিজামা (Dry cupping) – শুধু কাপ দিয়ে ভ্যাকুয়াম তৈরি করে রক্ত টেনে ধরা হয়, কাটা হয় না।
ওয়েট হিজামা (Wet cupping) – ভ্যাকুয়াম দেওয়ার পর ত্বকে ছোট কাটা দিয়ে রক্ত বের করা হয়
#হিজামা ফেরেশতাদের দ্বারা সুফারিশকৃত : হিজামা একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যা আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তাঁর উম্মতের জন্য এটি ফেরেশতাদের দ্বারা সুপারিশকৃত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এজন্য কেউ বলতে পারে না যে, এই প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি বর্তমান আধুনিক যুগে অচল। বরং এটি সাফল্যপূর্ণ প্রতিষেধক সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে।
[ছহীহ তিরমিযী হা/২০৫২, ২০৫৩; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৪৭৭।]
হিজামার উপকারিতা ১০ টি
#হিজামা_কেন_করবে হিজামা বা কাপিং থেরাপি শুধু প্রাচীন কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি নয়; এটি বিজ্ঞানের আলোতেও কার্যকর এবং ইসলামের দৃষ্টিতে সুন্নাহ চিকিৎসা। নিচে হিজামার গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতাগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:
1️⃣. বিষাক্ত রক্ত ও টক্সিন দূর করে
হিজামার মাধ্যমে শরীর থেকে জমে থাকা বিষাক্ত রক্ত (Toxic Blood) বের করে দেওয়া হয়। এই রক্ত শরীরের বিভিন্ন জটিলতা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং রক্তচাপজনিত সমস্যার কারণ হতে পারে। হিজামা সেই জমে থাকা রক্ত অপসারণ করে শরীরকে করে তোলে হালকা ও সজীব।
2️⃣. রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে
হিজামা ত্বকের নিচে ভ্যাকুয়াম তৈরি করে, যার ফলে নতুন রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং দেহকোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছায় সহজে। ফলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হয়।
3️⃣. ব্যথা ও ইনফ্লেমেশন কমায়
পিঠ, ঘাড়, হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা, আর্থরাইটিস, ফাইব্রোমায়ালজিয়া প্রভৃতি রোগে হিজামা খুবই কার্যকর। এটি স্নায়ু চাপ (nerve pressure) কমিয়ে ইনফ্লেমেশন কমাতে সাহায্য করে, ফলে ব্যথা কমে যায়।
4️⃣. মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের আরামদায়ক সমাধান
অনেক সময় নিয়মিত মাইগ্রেন বা মাথাব্যথার কারণ হয় টক্সিন জমে থাকা বা রক্ত সঞ্চালনের অসামঞ্জস্য। হিজামা মাথার নির্দিষ্ট পয়েন্টে করে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
5️⃣. মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও নিদ্রাহীনতা হ্রাস করে
হিজামা থেরাপি শরীরের পাশাপাশি মনকে প্রশান্তি দেয়। এটি করালে শরীরে এন্ডরফিন (ভালো লাগার হরমোন) নিঃসরণ হয়, যা ডিপ্রেশন, টেনশন এবং ঘুমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
6️⃣. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউন সিস্টেম) বৃদ্ধি করে
হিজামার ফলে শরীর নিজে থেকে রোগ প্রতিরোধ করার শক্তি ফিরে পায়। এটি লসিকা (lymphatic system) ও প্রতিরক্ষা কোষগুলোকে সক্রিয় করে তোলে, যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
7️⃣. হরমোন ভারসাম্য রক্ষা করে
মহিলাদের জন্য হিজামা অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। এটি PCOS, অনিয়মিত মাসিক, হরমোনজনিত ব্রণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে শরীরের হরমোন সিস্টেমকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে সাহায্য করে।
8️⃣. চর্মরোগ ও এলার্জির উপশম
একজিমা, সোরিয়াসিস, চুলকানি, এলার্জি ইত্যাদি ত্বকের সমস্যায় হিজামা অত্যন্ত কার্যকর। এটি চর্মরোগের শেকড় ধ্বংস করে রোগমুক্তি ঘটায়।
9️⃣. পরিপাকতন্ত্র ও হজমে সহায়তা
যাদের গ্যাস্ট্রিক, বদহজম বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, হিজামা তাদের জন্য প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে। হজম শক্তি বাড়িয়ে খাদ্য শোষণে সহায়তা করে।
🔟. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে উপকারী
যদিও সম্পূর্ণ নিরাময় নয়, তবে হিজামা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
#মহিলাদের_জন্য_হিজামার_সুন্দর_ব্যবস্থা_রয়েছে
#নাইট্রিক_অক্সাইডঃ