Udayan Pharmacy Homoeo & Dental Care

Udayan Pharmacy Homoeo & Dental Care Dr Rajib Chakraborty
Oral & Dental
MPH(RU),CMU(Ultra),
DHMS,CDV(Skin & Sex),
DDT,DDS(Dentistry)

আলকুশি একটি গুল্ম জাতীয় গাছ। বৈজ্ঞানিক নাম: Mucuna pruriens, ইংরেজি ভাষায়: Velvet bean, Cowitch, Cowhage, Kapikachu, N...
22/11/2024

আলকুশি একটি গুল্ম জাতীয় গাছ।
বৈজ্ঞানিক নাম: Mucuna pruriens, ইংরেজি ভাষায়: Velvet bean, Cowitch, Cowhage, Kapikachu, Nescafe, Sea bean.
এটি শিম পরিবারের একটি উদ্ভিদ।
ফল অনেকটা শিমের মতো, ৪ থেকে ৬ টা বীজ থাকে। শুকনো ১০০টি বীজের ওজন হচ্ছে ৫৫–৮৫ গ্রাম এবং বীজগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লোম দ্বারা আবৃত থাকে যা সহজেই পৃথক হয়ে যায়।
এগুলি ত্বকের সংস্পর্শে এলে প্রচণ্ড চুলকানি সৃষ্টি করে। এটিকে অনেকে বিলাই-চিমটি বা বিড়ালের-চিমটি নামেও চিনে থাকে। বানরের সঙ্গে এদের সম্পর্ক হল, যখন আলকুশি ফল পুষ্ট হতে থাকে তখন চুল্কানির ভয়ে বানরের দল ঐ এলাকা ছেড়ে চলে যায়, কারণ এর হুল বাতাসেও ছড়িয়ে পড়ে। বানরেরা ফিরে আসে যখন ফলগুলো মাটিতে পড়ে যায়। সেগুলো তারা খায় বিশেষ দৈহিক কারণে। কিছু আলকুশি আছে যার রোম নেই বললেই চলে সেটা কাকাণ্ডোল, Mucuna pruriens var. utilis নামে পরিচিত।

আলকুশি বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে বলে মনে করা হয়। যা মূলত এর উচ্চ এল-ডোপা (লেভোডোপা) সামগ্রীর জন্য দায়ী। নিচে আলকুশি বীজের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

১। পারকিনসন্স ডিজিজ: L-DOPA পারকিনসন্স রোগের উপসর্গগুলি পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হয়। কারণ এটি মস্তিষ্কে ডোপামিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। কম্পন এবং অনমনীয়তার মতো মোটর লক্ষণগুলি প্রশমিত করে।

২। মেজাজ ভালো রাখা: L-DOPA ডোপামিন বৃদ্ধি করে, সম্ভাব্য বিষণ্নতা এবং উদ্বেগের লক্ষণগুলি হ্রাস করে মেজাজের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৩। যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখে: আলকুশি বীজ, পাতার রস মানব দেহের উপকারে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি প্রজনন ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত খেলে শুক্রাণু বৃদ্ধি করে যা প্রজনন এর ক্ষেত্রে ভুমিকা পালন করে। গরম দুধে মিশিয়ে Alkushi Powder খেলে বীর্য ঘন হয়। তাছাড়া এটি টেস্টস্টরেন মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ফলে শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি ও গতিশীল করে। যার ফলে যৌন ক্ষমতা বহুগুনে বেড়ে যায়।

৪। ডায়বেটিস রোগ প্রতিরোধ করে: আলকুশি বীজের পাউডারে ডি চিরো ইনসিডল নামক একটি উপাদান থাকে। যা ইন্সুলিন এর প্রভাব অনুকরন করতে পারে। যা রক্তে সুগার এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ডায়বেটিস রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভুমিকা রাখে।

৫। ক্যান্সার প্রতিরোধ: পরিশোধিত ও বিশুদ্ধ আলকুশির বীজের পাউডার নিয়মিত খেলে তা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এটি সেবনে গ্লুটাথিয়ন ও ক্যাটালজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে এটি এন্টি অক্সিডেন্ট ও ফ্রি র‍্যাডিক্যাল এর আঘাত থেকে কোষ গুলোকে রক্ষা করতে পারে।

৬। প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বন্ধ্যত্ব দূরীকরণ: কম টেস্টস্টরেন বা ফলিকন স্টিমুলেটিং হরমোন ও পোল্যাক্টিং হরমোনের ঘাটতির ফলে বন্ধ্যত্ব দেখা দেয়। নিয়মিত Alkushi Powder খেলে এই সমস্যা সমধান পাওয়া যায়।

৭। স্ট্রেস হ্রাস করে: কিছু গবেষণা পরামর্শ দেয় যে আলকুশি স্ট্রেস কমাতে এবং স্ট্রেসের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

৮। উর্বরতা এবং লিবিডো: আলকুশির অ্যাফ্রোডিসিয়াক বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয় এবং ডোপামিন এবং অন্যান্য কারণের উপর প্রভাবের কারণে পুরুষের উর্বরতা বৃদ্ধি করতে পারে।

৯। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য: উদ্ভিদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালস দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে কোষগুলিকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

১০। নিউরোপ্রোটেক্টিভ প্রভাব: কিছু গবেষণা ইঙ্গিত করে যে আলকুশির যৌগগুলির নিউরোপ্রোটেক্টিভ প্রভাব থাকতে পারে, যা সামগ্রিক মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।

আলকুশি বীজের উপকারিতা এর পাশাপাশি অত্যধিক সেবনের ফলে বমি বমি ভাব, হজম সংক্রান্ত সমস্যা এবং উচ্চ L-DOPA মাত্রা সম্পর্কিত জটিলতা সহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। কোনো নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য উদ্বেগের জন্য এটি ব্যবহার করার আগে সর্বদা একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করুন।

ডা রাজীব চক্রবর্তী
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

17/05/2024

দন্ত চিকিৎসাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে এই প্রথম একদল অর্থোডন্টিস্ট দ্বারা পরিচালিত ক্লিয়ার এলাইনারের ল্যাব ”3D aligner” উদ্বোধন করা হয়। বিশ্ব অর্থোডন্টিক্স স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে এই ল্যাবটি উদ্বোধন করা হয়। সারা বাংলাদেশের অসংখ্য অর্থোডন্টিস্ট অংশগ্রহণ করেন এই আয়োজনে।

এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিধ্যালয়ের অর্থোডন্টিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. গাজী শামিম হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা.এম এ শিকদার। এছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশের অর্থোডন্টিক্স বিভাগের সনাম ধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন।

সেখানে উপস্থিত সকলের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা হেলাল উদ্দিন বলেন, এই রকম ভাবে দেশে আরও এলাইনারের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে দেশের সকল জন সাধারণকে এই চিকিৎসা ব্যবস্থার সুবিধা দেয়া সম্ভব।

দাঁত উঁচু নিচু আঁকা বাঁকা চিকিৎসায় বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটের অর্থোডন্টিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: ইসরাত মারুফা। তিনি জানান যে, দাঁত উঁচু নিচু আঁকা বাঁকা ফাকা দাঁতের চিকিৎসা বিশ্বব্যাপী অর্থোডন্টিস্টরা দিয়ে থাকেন। যা বাংলাদেশের অনেক জন সাধারণই অবগত নয়। ডেন্টালের এই বিভাগের চিকিৎসকগণ পোস্ট গ্রেজুয়েশন শেষ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা না হলে পরবর্তীতে নানা রকম জটিলতা দেখা যেতে পারে।

এই চিকিৎসা সাধারণত দাতে ব্রেসের মাধমে করা হতো। এখন ক্লিয়ার এলাইনারের মাধ্যমে সচ্ছ থার্মোপ্লাস্টিকের মেটেরিয়ালের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে ব্রেসের চিকিৎসার পাশাপাশি।
অবশ্যই এই উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা অর্থোডন্টিস্টরা জনগণের দন্ত চিকিৎসায় কাজে লাগবেন। বাংলাদেশের দন্ত সেবাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এই উদ্দ্যোগ।

3D এলাইনারের প্রতিষ্ঠাতা সহকারী অধ্যাপক ডা ইসরাত মারুফা জানান, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ক্লিয়ার এলাইনারের উপর কাজ করছেন। এই বিষয়ে অনেক গুলো ডিপ্লোমা করেছেন বিভিন্ন দেশে যেয়ে। তার এই যাত্রায় সহযোগিতা করেছেন নেপালের বিশিষ্ট অর্থোড্নটিস্ট কাঠমন্ডু ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিকেল সাইন্স এর অর্থোড্নটিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. দশরথ কাফলে। তিনি ঢাকা ডেন্টালেরই শিক্ষার্থী ছিলেন। তাই বাংলা ভাষা খুব ভালো বলেন এবং বুঝেন। বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি এই অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন।”

আয়োজনে অধ্যাপক ডা. দশরথ কাফলে’র নেতৃত্বে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ছিলো। প্রায় ৩০ জন অর্থোডন্টিস্ট হ্যন্ডস অনটিতে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা করেছে প্রফেসর কাজি মেহেদী উল আলম ফাইন্ডেশন।

হোমিওপ্যাথিকে একটি নিরাপদ এবং অত্যন্ত কার্যকর বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয় । অনেকে এর প্রভাবে বিশ্বাস কর...
10/04/2024

হোমিওপ্যাথিকে একটি নিরাপদ এবং অত্যন্ত কার্যকর বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয় । অনেকে এর প্রভাবে বিশ্বাস করে এবং সাধারণ সমস্যাগুলিতেও এটিকে অগ্রাধিকার দেয় । কিন্তু এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে । বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস প্রতি বছর 10 এপ্রিল হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আরও ভালো বোঝাপড়া এবং সচেতনতা তৈরি করার প্রচেষ্টা ও এই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টাকে উন্নত করার লক্ষ্যে পালিত হয় ।

হোমিওপ্যাথি নিরাপদ এবং কার্যকর (Homeopathy is safe and effective):
হোমিওপ্যাথিকেচিকিৎসা পদ্ধতিগুলির মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয় । হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার বিশেষত্ব, যা 'শরীর নিজেই নিরাময় করতে পারে’ এবং ‘রোগকে তার শিকড় থেকে নির্মূল করা যায়' এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে ৷ এটি সব বয়সের মানুষের চিকিৎসা করতে পারে ও এর খুব কম বা কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই । মোটেও ঘটবে না ।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থা শরীরের নিজস্ব নিরাময় প্রতিক্রিয়া ট্রিগার করার নীতির উপর ভিত্তি করে ৷ যা উদ্ভিদ এবং খনিজ পদার্থের মতো প্রাকৃতিক পদার্থের সাহায্যে শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষাকে তীব্র করার চেষ্টা করে । এটি লক্ষণীয় যে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ, যার 200 বছরেরও বেশি ইতিহাস রয়েছে ৷ বিশ্বের 100টিরও বেশি দেশে প্রচলিত রয়েছে ।

হোমিওপ্যাথিতে ব্যক্তির প্রধান সমস্যা, আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের প্রকৃতি, তার সাধারণ সমস্যা, জীবনধারা, বংশগত কারণ এবং ইতিহাসের কথা মাথায় রেখে চিকিৎসা করা হয় । তার রোগের এই পদ্ধতিতে ‘একই রোগ, একই চিকিৎসা’ ভাবনায় চিকিৎসা করা হয় । অর্থাৎ যদি কোনও পদার্থ কোনও সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে কোনও রোগের লক্ষণ সৃষ্টি করে, তবে একই পদার্থ তার শরীরে অল্প পরিমাণে দেওয়া হলে তিনি আরোগ্য লাভ করতে পারেন । যে কারণে এই চিকিৎসা ব্যবস্থায় ওষুধের পরিমাণ খুবই কম । তিনি ব্যাখ্যা করেন যে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শরীরের নিজেকে নিরাময় করার ক্ষমতা বাড়ায় ।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অনেক কম-বেশি কষ্টকর সমস্যা ও পরিস্থিতিতে খুবই কার্যকর বলে বিবেচিত হয় । কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই অ্যালার্জি, হালকা সংক্রমণ, শৈশব সম্পর্কিত রোগ, মাসিকের আগে সিনড্রোম এবং অন্যান্য অনেক গাইনোকোলজিক্যাল রোগ, জয়েন্টে ব্যথা, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, মাইগ্রেন, বিষণ্নতা, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি সিনড্রোম বা বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা, অ্যাসিডিটির মতো লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন । পেটের সমস্যা, অন্ত্রের রোগ ইত্যাদি এবং আরও অনেক সমস্যায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয় ।

বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবসের ইতিহাস এবং 2024 সালের থিম (History of World Homeopathy Day and Theme for 2024):
হোমিওপ্যাথি ওষুধ সম্পর্কে মানুষের বোঝাপড়া বাড়ানো, সাধারণ মানুষের কাছে এর প্রচার সহজতর করার প্রচেষ্টা করা, এই সম্পর্কে তাদের ভ্রান্ত ধারণা দূর করা এবং বিশ্বব্যাপী এই বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার প্রচারের লক্ষ্যে, প্রতি বছর 10 এপ্রিল হোমিওপ্যাথির প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের জন্মবার্ষিকীতে বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস পালিত হয় । প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানটি একটি ভিন্ন থিম নিয়ে পালিত হয় ।
এই বছর বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস 2024 ‘হোমিও পরিবার ! এক স্বাস্থ্য, একটি পরিবার’ থিমে পালিত হচ্ছে।

19/03/2024
শীত শুরুর এ সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খেজুরের রস বিক্রির ধুম দেখে দুশ্চিন্তায় জনস্বাস্থ্যবিদ ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা। সরকা...
25/12/2023

শীত শুরুর এ সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খেজুরের রস বিক্রির ধুম দেখে দুশ্চিন্তায় জনস্বাস্থ্যবিদ ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) নিপাহ ভাইরাসের বিস্তার নিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি করে।
সংস্থার দেওয়া তথ্য বলছে, বাংলাদেশে দুই দশকের বেশি সময় ধরে যতজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৭১ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর (মার্চ মাস পর্যন্ত) দেশে ১৪ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনই মারা গেছেন।
নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটলেও এ নিয়ে সচেতনতা কম। খেজুরের রস একেবারে না খাওয়াটাই যেখানে বাঁচার উপায়, সেখানে রীতিমতো উৎসব করে রস খাওয়ার আয়োজন করছে নানা প্রতিষ্ঠান। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার তো আছেই।
২০০১ সাল থেকে দেশে এ পর্যন্ত ৩৩৯ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৪০ জন মারা গেছেন। বাংলাদেশে ২০০১ সালে মেহেরপুর জেলায় নিপাহ ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব চিহ্নিত হয়।
আইইডিসিআরের গবেষণায় দেখা যায়, চলতি বছর দেশে একজন প্রসূতির বুকের দুধে নিপাহ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ওই মায়ের সন্তানের পরে মৃত্যু ঘটে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, নিপাহ ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে খেজুরের কাঁচা রস পান একেবারে বন্ধ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। অনেকেই মনে করেন, রস গরম করে খেলে বিপদ কাটবে। কিন্তু তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন। তিনি বলেন, ‘নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য কোনোক্রমেই খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া যাবে না। যেকোনো ফল ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে। গাছের নিচে পড়ে থাকা আধা খাওয়া কিংবা ফাটা ফল খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে শিশুদের এ বিষয়ে সতর্ক করতে হবে।
ডা রাজীব চক্রবর্তী
এমপিএইচ (ইউনিভার্সিটি অফ রাজশাহী)

স্কেলিং সম্পর্কে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণাগুলো হচ্ছে—♦ স্কেলিং করলে দাঁত শিরশির করে।♦ স্কেলিং করলে দাঁত নড়ে যায়।♦ স্কেলিং কর...
08/12/2023

স্কেলিং সম্পর্কে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণাগুলো হচ্ছে—
♦ স্কেলিং করলে দাঁত শিরশির করে।
♦ স্কেলিং করলে দাঁত নড়ে যায়।
♦ স্কেলিং করলে দাঁত ফাঁকা ফাঁকা হয়ে যায়।
♦ স্কেলিং করলে দাঁতে এনামেল উঠে যায়,এনামেলের ক্ষতি হয়।
♦ স্কেলিং করার সময় দাঁত ব্যথা হয়।
♦ মুখ দিয়ে রক্ত পড়লে দাঁত ব্রাশ করা উচিত নয়।

১) প্রচলিত ধারণা : স্কেলিং করলে দাঁত শিরশির করে।
বাস্তবতা : এটি সত্য। স্কেলিং করার পর দন্তপাথুরি পড়ে যাওয়ার কারণে দাঁত কিছুদিন শিরশির করে। কারণ দীর্ঘদিন পর দাঁতগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়। এটি সাধারণত সাত দিনের মধ্যেই চলে যায়।
(এ জন্য চিকিৎসকরা মাড়ির চিকিৎসার জন্য গাম অ্যাস্ট্রিনজেন্ট সাত দিন থেকে ১৫ দিনের জন্য দিয়ে থাকেন।)

২) প্রচলিত ধারণা : দাঁত স্কেলিং করলে দাঁত নড়ে যায়।
বাস্তবতা : এই ধারণা বাস্তবতার উল্টো দিক, যে দন্তপাথুরিগুলো দীর্ঘদিন দাঁতের গায়ে লেগে থাকে তথা সাধারণত ক্যালসিফায়েড আবরণ তৈরি করে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থানে লেগে থাকে। যখন স্কেলিং করা হয়, তখন ওই ডিপোজিটগুলো চলে যায়। এ কারণে রোগীদের মনে হয় দাঁত নড়ে গেছে। বাস্তবতা হচ্ছে, মাড়িতে ক্ষতি হয়ে দাঁত এমনিতেই নড়ে গিয়েছিল। শুধু দন্তপাথুরির কারণে দাঁতের নড়া বোঝা যায়নি। কিন্তু স্কেলিং করার পর দাঁতগুলো আবার মাড়ি দ্বারা পুনঃসংযোজিত হয় এবং দাঁত শক্ত হয়ে যায়।

৩) প্রচলিত ধারণা : স্কেলিং করলে দুই দাঁতের মাঝখানে ফাঁকা হয়ে যায়।
বাস্তবতা : দাঁতের যত্ন সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে না করলে মাড়ির রোগ বা পায়োরিয়া হয়। এই পায়োরিয়ার কারণে দাঁতের মাড়ি নষ্ট হয়ে যায় এবং দাঁতের মধ্যে ফাঁকা তৈরি হয়। সাধারণত এটি দন্তপাথুরির কারণে হয়ে থাকে। এই ফাঁকা সাধারণত অস্থায়ী হয়ে থাকে। পাথর পরিষ্কার করলে ফাঁকা বন্ধ হয়ে যায় যদি না অন্য কোনো সমস্যা থেকে থাকে।

৪) প্রচলিত ধারণা : দাঁত স্কেলিং করলে দাঁতের এনামেল উঠে বা সরে যায় (দাঁতের উপরিভাগ)।
বাস্তবতা : দাঁতের স্কেলিং করার সময় দাঁত অবশ করার জন্য কোনো ওষুধ দেওয়া হয় না। স্কেলিং যদি আলট্রাসনিক স্ক্যানার দ্বারা করা হয়, তখন মেকানিক্যাল ভাইব্রেশন হয়। এতে দাঁতের উপরিভাগে লেগে থাকা দন্তপাথুরিগুলোই শুধু চলে যায়, দাঁতের গঠনগত কোনো পরিবর্তন হয় না।

৫) প্রচলিত ধারণা : দাঁতের স্কেলিং একটি যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতি।
বাস্তবতা : বর্তমানে প্রযুক্তিগত অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে দাঁতের স্কেলিং পদ্ধতিতে। যদি একজন দক্ষ দন্ত চিকিৎসক দিয়ে দাঁতের স্কেলিং করা হয়, তাহলে দাঁতে যন্ত্রণা হওয়ার কোনো কারণ নেই।

৬) প্রচলিত ধারণা : মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে দাঁত ব্রাশ করা উচিত নয়।
বাস্তবতা : রক্ত পড়া হচ্ছে মাড়ির রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। অর্থাৎ জিনজিভাইটিস বা মাড়ির প্রদাহের প্রথম উপসর্গ। দন্তপাথুরি ও প্লাক যত বেশি দাঁতের গায়ে জমতে থাকবে, মাড়ি দিয়ে তত বেশি রক্ত পড়তে থাকবে। কিন্তু ব্রাশ করা বন্ধ করলে আরো বেশি রক্ত পড়বে মাড়ি দিয়ে। পরবর্তীতে মাড়িতে পকেট তৈরি হয়ে দাঁত নড়ে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ডা. রাজীব চক্রবর্তী
ওরাল এন্ড ডেন্টাল হাইজিনিস্ট

সাম এমাজিং ফ্যাক্টঃ১. ফিঙ্গার প্রিন্টের মত প্রত্যক মানুষের রয়েছে টাং প্রিন্ট। এই টাং প্রিন্ট বা জিহ্বা এর ছাপ ফিঙ্গার প্...
06/12/2023

সাম এমাজিং ফ্যাক্টঃ

১. ফিঙ্গার প্রিন্টের মত প্রত্যক মানুষের রয়েছে টাং প্রিন্ট। এই টাং প্রিন্ট বা জিহ্বা এর ছাপ ফিঙ্গার প্রিন্টের মতই ইউনিক। এক জনের জিহ্বা এর ছাপ আরেকজনের সাথে মিলে না। প্রত্যকের আলাদা।
প্রধান ব্যবহার ফরেনসিক আইডেন্টিটিতে। তবে, ম্যানুয়াল ব্যায়োমেট্রিক হিসেবে মেশিনের ব্যবহার না করে ফিঙ্গার বিহীন পারসনের ক্ষেত্রে এর রেয়ার ব্যবহার রয়েছে।

২. ফিংগার প্রিন্ট এর মত প্রত্যেক মানুষের সম্পুর্ণ দাঁতের ছাপ বা ডেন্টাল ইম্প্রেশন ইউনিক। একজনের সাথে আরেকজনের টা মিলবে না। যেটা ফরেন্সিক ডেন্ট্রিস্ট্রি বা ফরেন্সিক ওডোন্টোলজিতে পারসন আইডিন্টিফিকেশনে ব্যবহার করা হয়।

৩. একই ফার্টিলাইজড এগ থেকে যেসব টুইন হয় সেসব টুইন দের বা যমজ বাচ্চাদের জেনেটিক ব্লু প্রিন্ট সেইম। স্টান্ডার্ড ডিএনএ টেস্ট এ তাদের আলাদা করা যায়না।
কিন্তু ফিঙ্গার প্রিন্ট আলাদা। টাংপ্রিন্ট এবং ডেন্টাল ইম্প্রেশনও আলাদা। ইন ফ্যাক্ট, টুইন দের ডিএনএ টেস্ট এ আলাদা ভাবে আইডেন্টিফাই করা যায়না।

৪. দাঁতের এনামেল কাটার জন্য ডেন্টাল সার্জনরা যে ডেন্টাল হ্যান্ডপিস বা ডেন্টাল ড্রিল ব্যবহার করেন, এর আরপিএম প্রায় ৪ লাখ আরপিএম পর্যন্ত হতে পারে। আর জেট প্লেনের প্রায় ১০ হাজার আরপিএম এবং রকেটের টার্বাইনের শ্যাফটের প্রায় ৩৭ হাজার আরপিএম।উচ্চ আরপিএম জন্য জন্য ডেন্টাল হ্যান্ডপিসে মাইক্রোমোটর ব্যবহার করা হয়।
অর্থাৎ, সাধারণ জেট প্লেনের ইঞ্জিন থেকে ডেন্টাল হ্যান্ডপিস এর ঘুর্ণন প্রায় ৪০ গুণ বেশি।
এটি অনেকের কাছেই ভয়ের কারণ। এজন্য আগে একে ডেন্টাল ড্রিল বলা হলেও বর্তমানে ডেন্টাল হ্যান্ডপিস বলা হয়ে থাকে। কারন ড্রিল শব্দটির চেয়ে হ্যান্ডপিস শব্দটি কম ভীতিকর।
৫. রক্ত ছাড়াও ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় করা যায় মুখের লালার মাধ্যমে। এমনকি ব্লাড গ্রুপ যে সব সাবস্টেন্স দিয়ে নির্ধারণ করা হয় সেগুলোর ঘনত্ব রক্তের চেয়ে লালায় বেশি থাকে।
শরীরের ঘামে ব্লাড গ্রুপিং সাবস্টেন্স থাকে সবচেয়ে কম, সবচেয়ে বেশি থাকে লালায়।
(সাধারণ ভাবে ব্লাড থেকেই ব্লাড গ্রুপ নির্ধারণ হয়। লালা কিংবা ঘাম থেকে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় করা হয় ফরেনসিক ইনভেসটিগেশনে)(সোর্স : ডেন্টাল টাইমস)!!!

রাজীব চক্রবর্তী
ওরাল এন্ড ডেন্টাল হাইজিনিস্ট

03/12/2023

ফুসফুসের যক্ষার একটি যুগান্তকারী পরীক্ষা হচ্ছে জিন এক্সপার্ট পরীক্ষা যাতে যক্ষা সনাক্তকরণের হার অনেক বেশি,একই সাথে ঔষধ প্রতিরোধী জীবাণু কিনা সেটিও জানা সম্ভব অল্প সময়ে এবং তুলনামূলক কম খরচে!

প্রায়ই যে ভুলটি হয় তাহলে রক্তমিশ্রিত কফ জিন এক্সপার্ট পরীক্ষায় স্যাম্পল হিসেবে দেওয়া-কফের সাথে মিশ্রিত রক্ত ডিএনএ এমপ্লিফিকেশনে বাঁধা দিয়ে যক্ষা শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াটিকে অকার্যকর করে দেয়! গবেষণা বলছে রক্ত মিশ্রিত কফে শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে যক্ষার জীবাণু শনাক্ত করা যায় না এবং ২৭ ভাগ ক্ষেত্রে রিফামপিসিন রেজিস্ট্যান্স ও নির্ণয় করা কঠিন হয়!

কাশি বা কফের সাথে রক্ত যাওয়া বন্ধ হলে বা খুব অল্প হলে জিন এক্সপার্ট পরীক্ষা করা যেতে পারে!

Dr. Mushfiq Newaz Ahmed
বক্ষব্যধি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

11/01/2023
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসআজ ১৪ই নভেম্বর, এইদিন Insulin এর অন্যতম আবিষ্কারক Sir Frederick Banting এর জন্মদিন, সহ-আবিষ্কারক ছি...
14/11/2022

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস

আজ ১৪ই নভেম্বর, এইদিন Insulin এর অন্যতম আবিষ্কারক Sir Frederick Banting এর জন্মদিন, সহ-আবিষ্কারক ছিলেন Charles Best!!!
১৯২২ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়।

এ এক আজব অসুখ। মাথার চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে slow poisoning এর মাধ্যমে এর প্রতিহিংসা পরায়ণ জিঘাংসার হিংস্র থাবা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সে আবার একা থাকতে বা চলতে Lonely বা Bore Feeling (বিরক্ত বোধ) করে। তার সবচেয়ে পছন্দের cousin (পিসতুত ভাই) Hypertension বা উচ্চ রক্তচাপ। ফলে, দুইয়ে মিলে মানুষকে ভাতে মারে, পানিতে মারে, তীলে তীলে মারে আমৃত্যু পর্যন্ত।

পেটের উপরাংশের পেঁছনে (পিঠের দিকে) Pancreas বা অগ্নাশয় থাকে, যিনি Insulin নামক হরমোন তৈরী করেন। এই হরমোন তৈরীর অপর্যাপ্ত সক্ষমতা বা তৈরীর একেবারে অক্ষমতার উপর ডায়াবেটিসকে ২ ভাগে ভাগ করেছে।

- Insulin তৈরীতে সম্পূর্ণভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা Type I, যাদের কৃত্তিমভাবে তৈরী Insulin না দিলে বাঁচানো সম্ভব না।

- Type II এ অপর্যাপ্ত Insulin তৈরী হয় বা পর্যপ্ত তৈরী হলেও জায়গামত সুযোগ-সুবিধার অভাবে কাজ করতে পারে না।

আজ থেকে শতবর্ষ আগে (১৯২২ সালে) কানাডার টরেন্টোতে ১৪ বছরের এক বালকের উপর প্রথম Insulin প্রয়োগ করা হয়। জীবন রক্ষাকারী এই ঔষধ আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়।

১৮৮৯ সালে দুই জার্মান চিকিৎসা-বিজ্ঞানী এক গবেষণায় কয়েকটি কুকুরের দেহ থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি Islets of Langerhans সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর তারা দেখতে পান, সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে যে উপসর্গগুলো দেখা দেয় (রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, মূত্রের সমস্যা এবং Ketosis), অগ্ন্যাশয়হীন কুকুরগুলোর ক্ষেত্রেও সেই উপসর্গগুলো দেখা দিচ্ছে।

মূলত এই গবেষণার মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হন, অগ্ন্যাশয় থেকে এমন কোনো হরমোন উৎপন্ন হয়, যেটি আমাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। যখনই মানবদেহের অগ্ন্যাশয়ে সেই হরমোনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, তখনই রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায় এবং এক পর্যায়ে এটি ডায়াবেটিসে রূপ নেয়।

১৯২৩ সালে প্রথমবারের মতো আম্রিকান কোম্পানি Eli Lilly নামের একটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে বাজারে ইনসুলিন সরবরাহ করে।

১৯৭৮ সালের আগ পর্যন্ত ‘সিনথেটিক ইনসুলিন’ প্রস্তুত করা হতো গরু ও শূকরের দেহ থেকে প্রাপ্ত ইনসুলিন থেকে। ১৯৭৮ সালে E. coli (Bacteria) থেকে ইনসুলিন উৎপাদনে সফলতা পাওয়া যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে পুরো বিশ্বে ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪২ কোটি। সেই হিসেবে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রতি ২০ জনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের মূলমন্ত্র 3 D ও 2 E :

- Discipline বা নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন
- Diet
- Drug
- Education
- Exercise

শারীরিক কসরত সুস্বাস্থ্যের মূলমন্ত্র। দৌঁড়ানোর দরকার নেই, আমাদের রাস্তাঘাটের অবস্থা অত্যন্ত বন্ধুর। দৌঁড়াতে গেলে হোঁচট খেয়ে আহত হবার বা হাড্ডি-গুড্ডি ভাঙার ভয় থাকে। Jogging (faster running but more than walking) করারও তেমন প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র জোর কদমে হাঁটলেই হবে, যেন পর্যাপ্ত ঘাম বের হয়। হেসে-খেলে গল্প-গুজবে এই মনে করেন হাঁটলাম, এমনটি এতটা হালকা-পাতলা করলে হবে না।

প্রতিদিন "জোর কদমে ঘাম ঝড়িয়ে" হাঁটারও দরকার নেই, সপ্তাহে অন্তত বা সর্বোচ্চ ৫ দিন হাঁটলেই হবে, তবে কখনই যেন পর পর দুই দিন হাঁটা ছাড়া না হয়।

প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়। দৌঁড়াব না, জগিং করবো না, হাঁটব, তাহলে কতটা জোড়ে হাঁটব। সহজ উত্তর

Brisk walking যা বলতে সাধারণত প্রতি মিনিটে ১০০ কদম বুঝায় বা এমনটিও বলা যায়

- এক দমে দুই কদম

Talk Sing Sign মানে হল, এতটা সম্ভব জোরে হাঁটব যেন মনে মনে গুন গুন করে গান গাওয়ার মত দম অবশিষ্ট থাকে বা পাশের সঙ্গীর সাথে কথা বলার মত শক্তি-সামর্থ থাকে। এমন জোরে হাঁটার দরকার নেই যে, দম ফেলতে যেয়ে কুকুরের মত জিহবা বের হবার জোগাড় হয় আর হৃৎপিণ্ডটা হাতুড়ির মত বাড়ি মারতে থাকে বা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়

হাঁটার সময় হৃৎপিণ্ডের গতিবেগ heart rate 120 মত হলেই যথেষ্ট।

এই হাঁটা বা শারীরিক কসরতের ৪টি stage আছে। সবগুলো মিলিয়ে দৈনিক পৌনে এক ঘন্টা বা ৪৫ মিনিট হলেই যথেষ্ট, more than enough.

১) প্রথমে Warm-up ৫-১০ মিনিট। মানে ধীরে সুস্থে হালকা মেজাজে হাঁটা শুরু করা।

২) দ্বিতীয় দফায় হালকা Gentle Muscle Stretching মানে হাত-পা-গলা-মাজা ডানে-বাঁয়ে-সামনে-পেঁছনে নড়িয়ে হালকা-পাতলা ব্যয়াম করা আরো ৫-১০ মিনিট।

৩) তৃতীয় দফায় শুরু হবে আসল কসরত। এক দমে দুই কদম, সম্ভব হলে পূর্ণ বা প্রায় আধা ঘন্টা (৩০ মিনিট) হাঁটা। আমাদের স্বাভাবিক হাঁটার গতিবেগ ৫ কি,মি প্রতি ঘন্টায়। আধা ঘন্টায় অন্ততঃ প্রতিদিন ৩ কিলো হাঁটুন।

৪) Last but not least (Cool down) ধীরে ধীরে আরো ৫-১০ মিনিট ধরে নিজেকে শান্ত, স্থির করুণ, শীর্ষ সুখের প্রত্যাশায়।

সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের প্রত্যশায় প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত।

একান্তই নিজস্ব দীর্ঘমেয়াদী সুস্বাস্থ্যের জন্য আমৃত্যু এই কসরতের বিকল্প নেই।

ধন্যবাদ।

ডেঙ্গু এখন আতঙ্কের নাম!!! কারণ প্রতিদিন প্রচুর রোগী ভর্তি হচ্ছে নানা হাসপাতালে এই রোগের লক্ষণ নিয়ে। যেকোনো কারণেই হোক, এ...
03/11/2022

ডেঙ্গু এখন আতঙ্কের নাম!!!
কারণ প্রতিদিন প্রচুর রোগী ভর্তি হচ্ছে নানা হাসপাতালে এই রোগের লক্ষণ নিয়ে।
যেকোনো কারণেই হোক, এবার মশা নিধন বা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সফলতার মুখ দেখেনি।
ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণ যেসব থাকে তা অনান্য ভাইরাল রোগের মতোই। অনেকেই তাই নিজ উদ্যোগে চিকিৎসা নিয়েছেন এত দিন। কিন্তু এবার ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ পাল্টেছে। ২০০৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডেঙ্গু রোগের কিছু খারাপ লক্ষণ প্রকাশ করেছিল, সেগুলো হলো :
—তীব্র পেট ব্যথা।
—মাত্রাতিরিক্ত বমি হওয়া (২৪ ঘণ্টায় তিনবারের বেশি হলে)।
—শরীরে পানি জমে যাওয়া।
—মুখের ভেতরে, চোখের সাদা অংশে রক্তের ছাপ দেখা যাওয়া।
—প্রচণ্ড ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করা।
—লিভার দুই সেন্টিমিটারের চেয়ে বড় হয়ে যাওয়া।
—রক্ত পরীক্ষায় Hct বেড়ে যাওয়া, প্লাটিলেট কমে যাওয়া।
আমাদের শরীরের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, তাতে একবার যদি কোনো ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়, তবে তার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কাজ করার শক্তি অর্জন করে। ডেঙ্গু এত দিন যে ধরনের হতো তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে,কোনো কারণে সেই অ্যান্টিবডির সঙ্গে নতুন যোগ হওয়া ডেঙ্গুর ধরনের ক্রস রি-অ্যাকশন হলে তা খারাপ আকার ধারণ করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কম থাকে তা হয়ে যায় আরো ভয়াবহ।

সাবধানতা :
মশা নির্মূল যেহেতু সম্ভব নয়, তাই বেঁচে থাকাটাই এখন কার্যকর ব্যবস্থা। আবার মশা নিয়ে বেশি রক্ষণাত্মক হলে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়।
—মশা দূর করার যেসব ওষুধ আছে তার নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার আমাদের কিছুটা উপশম দিতে পারে।Mosquito Repellent নামের ওষুধ আছে, যা বাচ্চাদের জামার নির্দিষ্ট অংশে লাগিয়ে রাখা যায়, যাতে তাদের থেকে নিভৃত থাকে।
—দিনের বেলায় ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করা।
—মশারি ব্যবহার করা ইত্যাদি।

লক্ষণ :
বাচ্চা এবং বয়স্করা সাধারণত শারীরিকভাবে দূর্বল হয়ে থাকে। তাদের অনুভূতি প্রকাশও সাধারণের মতো নয়। তাই তাদের প্রতি আলাদা নজর রাখা দরকার।যেমনঃ
—স্বাভাবিক কার্যাবলি কমে গেলে।
—জ্বর চলে যাওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর অস্বাভাবিকভাবে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া।
—তীব্র ক্ষুধামন্দা দেখা যাওয়া।
—শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া।
—প্রস্রাব কমে যাওয়া স্বাভাবিকের চেয়ে।

প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত কাজে ব্যস্ত থাকেন বলে অনেক সময় বুঝতেই পারেন না তিনি কী আসলেই খারাপের দিকে যাচ্ছেন কি না। এমনটির নজির অনেক। মৃত্যুর হার দেখেই বোঝা যায় কতটা উদাসীন হয়ে পড়েছি আমরা। তাই কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন:
—জ্বরের সঙ্গে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাচ্ছে কি না।
—শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না।
—যাদের হার্টের সমস্যা ছিল তাদের হৃদরোগের কোনো উপসর্গ নতুন করে দেখা দিচ্ছে কিনা।
—হৃদরোগ ছিল না এমন ব্যক্তির হঠাৎ হৃদরোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে এমন হলে।
—স্বাভাবিকের চেয়ে শরীর বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে।
—দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে বা প্রেশার কম অনুভব হচ্ছে ইত্যাদি।

করণীয় :
প্রচুর পরিমাণে পানি, শরবত ইত্যাদি তরল খাদ্য পান করা উচিত।
—ভিটামিন-সি জাতীয় দেশি ফল বেশি করে খাওয়া উচিত। কারণ এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
—ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। কারণ এটি রক্তের উপাদানের তারতম্য করাসহ নানাবিধ ক্ষতি করে।
—জ্বর হলে নিজ থেকে চিকিৎসা শুরু করা ঠিক নয়।
—এই মৌসুমে ব্যথার ওষুধ খাওয়ার বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি।

বর্তমান সময়ে খুব কমন একটি রোগ হচ্ছে থাইরয়েড হরমোন জনিত রোগ। হাইপার থাইরয়েডিজম তার মধ্যে অন্যতম।Hyperthyroidism: Thyroid...
31/10/2022

বর্তমান সময়ে খুব কমন একটি রোগ হচ্ছে থাইরয়েড হরমোন জনিত রোগ।
হাইপার থাইরয়েডিজম তার মধ্যে অন্যতম।

Hyperthyroidism:
Thyroid Gland যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হরমোন (T3, T4) উৎপাদন করে তখন তাকে Hyperthyroidism বলে।
মূলত brain এর hypothalamus যখন বুঝতে পারে যে রক্তে Thyroid hormone এর পরিমান কমে গেছে তখন এটি TRH বা thyrotropin releasing hormone নিঃসরণ করে। TRH pituitary কে সংকেত পাঠায়। তখন pituitary gland TSH বা thyroid stimulating hormone নিঃসরণ করে যা Thyroid gland কে হরমোন নিঃসরণের জন্য সংকেত পাঠায়। এভাবেই রক্তে Thyroid hormone এর balance ঠিক থাকে।
কিন্তু কোনো কারণে যদি রক্তে Thyroid হরমোন এর পরিমান বেড়ে যায় তখন তাকে hyperthyroidism বলে।
hyper মানেই বেশি। তাই এই রোগীর গরম বেশি,ঘাম বেশি,ক্ষুধা বেশি, মেটাবলিজম বসে যার কারণে প্রচুর খাওয়া সত্বেও শুকিয়ে যায়। এ রোগীর রক্তচাপ বেশি, হৃৎস্পন্দন বেশি, ঋতুস্রাব ও বেশি।
লক্ষণ :
1. intolerance to heat - গরম সহ্য করতে পারে না।
2. Excess sweating - অতিরিক্ত ঘাম হয়।
3. ডায়রিয়া হতে পারে
4. শরীরের ওজন কমে যায়।
5. দুর্বলতা
6. ঘুম কম হওয়া
7. থাইরয়েড গ্ল্যান্ড বড় হয়ে যায়।
8. অশান্তি লাগে।
9. Oligomenorrhea or amenorrhea
10. Tachycardia
11. Systolic hypertension
12. Cardiac failure.

ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। রক্তের T3 এবং T4 এর পরিমাণ পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগ নির্ণয় করা হয়!!

Address

Dhaka-chattogram Highway, Barabkunda, Sitakunda
Chittagong
4312

Telephone

+8801674122507

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Udayan Pharmacy Homoeo & Dental Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Udayan Pharmacy Homoeo & Dental Care:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram