27/05/2025
আমি নাক্স ভমিকা বলছিঃ
ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান আমাকে প্রুভিং করেছেন।
আজ আমি আপনাদের আমার সম্পর্কে বলছি কারন আমার সম্পর্কে না জেনে অনেকে আমাকে অপব্যবহার করেন।
আমি যখন জন্ম নেই তার কিছু সময় পর থেকেই মূলত আমার সমস্যা শুরু হয়,
এই ছোট্ট বাবু হয়েও আমার নাকটা বন্ধ হয়ে আছে নিশ্বাস নিতে পারছি না, নাভি থেকেও পাতলা পানির কিছু একটা মতো বের হচ্ছে আর কয়েকদিন পরে মনে হলো নাভিটা ফুলে যাচ্ছে (Umbilical hernia) আর এতো ব্যথা সহ্য করতেই পারছিনা।
কিছুদিনের মধ্যে মেজাজটাও খিটখিটে হয়ে গেছে, শান্ত থাকতে পারছি নাহ তবে কোলে চড়ে বেড়াইলে ভালো লাগে আমার। মাঝে মাঝে কারও স্পর্শ ভালো লাগে না। আর ইদানিং কেমন জানি বমি বমি লাগছে, খেতে পারছিনা কিছুই, মনেহয় যেন বমি করলেই আমার শান্তি হবে তাই গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করার চেষ্টা করি।
এখন আমি বেশ বড় হয়ে গিয়েছি, রীতিমতো স্কুলে যাই। তবে আমি অনেক হিংসুটে হয়ে গিয়েছি কারো ভালো সহ্য করতে পারি না, এমনকি আমার ভাইবোনদের যদি আমার বাবা মা আমার থেকে বেশি আদর করে ওটাও আমার সহ্য হয় না।
স্কুলে ফাস্ট বয় আমি, পড়াশোনার প্রতি আলাদা নেশা হয়ে যাচ্ছে দিনদিন, হবেনা কেন আমি চাই না কেউ আমার থেকে ভালো করুক। সবার থেকে আমি উপরে থাকতে চাই। একবার হয়েছিলো কি জানেন!! আমি পরিক্ষায় ২য় হয়েছিলাম আর তাতেই আমার মেজাজ এতো খারাপ হয়েছিলো এবং ফাস্ট বয়কে অনেক প্রলোভন দেখিয়েছি, না মানাতে পরে ভয় দেখিয়ে তাকে বাধ্য করেছি যাতে পরেরবার আর ফাস্ট বয় না হয়। আরেকটা কথা আমি খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করি, এলোমেলো একদম অপছন্দ করি এজন্য বাসায় আমার কোন জিনিসপত্রে কেউ ভয়ে হাত দেয় না।
আমার HSC পরিক্ষা চলছে এজন্য রাত জেগে অনেক পড়তে হয়, এর মধ্যে কফি খাওয়ার প্রতি অনেক আকর্ষণ বেড়ে গেছে কারন কফি খেলে ভালকরে পড়তে পারি। আর তৈলাক্ত এবং মশলা জাতীয় খাবার তোহ আমার কাছে অমৃতের মতো।
যাইহোক ভালো রেজাল্ট করে ভর্তি হলাম ভার্সিটিতে, নতুন মানুষ নতুন বন্ধু আর নতুন জীবনের শুরু। হঠাৎ একদিন আমাদেরই ক্লাসের এক সুন্দরী মেয়ের প্রেমে পড়ে যাই। আপনারা তোহ জানেনই আমার যা চাই তা পেতেই হবে তাই ওই মেয়ের আশেপাশে কোন ছেলেকে দেখলে তাকে শায়েস্তা করি চুপিসারে, ভয় হয় যদি তাকে হারিয়ে ফেলি। যাইহোক আমি ভালো ছাত্র হওয়ার কারনে মেয়েটার সাথে আমার ভালো বন্ধুত্ব হয়, আর সেখান থেকেই প্রেম।
বেশ ভালোই চলছিল। এর মাঝে ওকে নিয়ে লিটনের ফ্লাটেও যাওয়া আসা হচ্ছে। ওখানে না যেতে পারলে হস্তমৈথুন করতে হয়। প্রতিদিন কয়েকবার হস্তমৈথুন করলে শরীর স্বাস্থ্য খারাপ এবং দুর্বল হয়ে যাই । তাই মেয়েটাকে ফ্লাটে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করি।
বদমেজাজি আর জোর করা স্বভাবের কারনে অনেক কিছুই তাকে মেনে নিতে হয়।
ইদানিং ছোট ছোট বিষয়ে মেজাজ খারাপ করছি, খুব সন্দেহ করছি মেয়েটাকে, এক পর্যায়ে আমাদের দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বাঁধলো এবং দুজনে সম্পর্কের ইতি টানলাম, তার থেকে আরও ভালো মেয়ে এবং ভালো কিছু করার জেদ চাপলো মাথায়।
অনেকদিন তোহ হতে চললো এখন আমার নতুন অনেক বন্ধু হয়েছে, ছেলে বন্ধু, মেয়ে বন্ধু এবং বেড পার্টনার। তাদের পাল্লায় পড়ে সিগারেট খাওয়া শিখেছি, শুধু কি সিগারেট!! এখন রীতিমতো মদ খাওয়া ধরলাম।
অনেক দিন এভাবেই চলছে, এখন সিগারেট বা মদ খেতে গেলে শ্বাসকষ্ট এবং পেটের সমস্যা দেখা দেয়।
অতিরিক্ত তৈলাক্ত এবং মশলা জাতীয় খাবার অনেকবছর ধরে খাওয়ার কারনে পেটে আলসার ধরা পড়লো, সাথে পেটজ্বালা পোড়া, মনে হচ্ছে যেন পেট থেকে জ্বলতে জ্বলতে গলা পর্যন্ত উঠে।
পুরাতন কোষ্ঠকাঠিন্য তোহ আছেই, বার বার মলত্যাগের চেষ্টা করলেও যেন হতেই চায়না, এজন্য বারবার টয়লেটে যেতে হয়।
মেজাজটা আরো কড়া হয়ে গেছে, সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করি, এমনকি কেউ ভালো কথা বললেও মোজাজ খারাপ হয়ে যায়, মনেহচ্ছে ঝগড়া করাটাই আমার মূল পেশা, অনেক ভালোও লাগে শুধু শুধু ঝগড়া করতে।ঝগড়া করার এক পর্যায়ে ভার্সিটির কত মানুষকে যে বিনা কারনে মেরেছি।
বয়স মোটামুটি ৩০ পার হয়ে গেছে ছোটখাটো একটা ব্যবসা করছি, কারো অধিনে চাকরি করতে আমার ভালো লাগে না। আমি একটু অধৈর্য স্বভাবের মানুষ, সব কিছু তাড়াহুড়া করেই শেষ করতে পারলেই যেন বাঁচি, কাজ শেষে বাসায় যখন আসি দরজা খুলতে একটু দেরি হলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
বিয়ে করেছি কিছুদিন হলো, এখন অনেক যৌন ইচ্ছা থাকলেও লিঙ্গ তেমন একটা শক্ত হয়না সময়ও পাইনা ঠিক মতো। এজন্যেই সংসারে অশান্তি, বউ প্রতিদিন রাগারাগি করে বিধায় আমিও মেজাজ খারাপ করি এবং তাকে খুব মারধর করি। পরে অনুশোচনাও হয়।
সবার অভিশাপ আছে মনে হয় আমার উপর। কত পাপ করেছি জীবনে তাই আর
বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করছে না, মনেহয় যেন আত্মহত্যা করে ফেলি কিন্তু আত্মহত্যা করার সাহস পাইনা ।
কয়েকদিন হলো নতুন একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে, পায়খানার রাস্তায় গোটার মতো কিছু একটা লাগতেছে, ব্যথাও করছে, পেটের গোলমাল অনেক বাড়ছে দেখে আল্ট্রাসাউন্ড করালাম। রিপোর্টে আসলো পিত্তথলিতে পাথর সাথে লিভারও বড় হয়ে গেছে।
কিছুদিন পর ডানপাশের কুছকিতে মাংশের বৃদ্ধি (ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া) অনুভব করছি।
এখন আর কিছু লিখতে পারছি না, মোবাইলের আলো চোখে লাগছে এবং চোখেও ঝাপসা দেখছি তাই আজকের মতো বিদায় নিবো। পরে সময় হলে আরও বিস্তারিত জানাবো আপনাদেরকে।
তবে বন্ধুরা একটা কথা না বললেই নয়, আমাকে ব্যবহার করতে হলে লক্ষ্মণ ভিত্তিক ব্যবহার করবেন, কোন ভাবেই অপব্যবহার করবে না।
আমি সর্ট একটিং এন্টিসোরিক ঔষধ
আমার কমপ্লিমেন্টারি ঔষধ হচ্ছে ঃ সিপিয়া, সালফার
ডাঃ ক্লার্কের মতে আমার ক্রিয়াকাল ঃ এক থেকে সাতদিন।
Clctd