মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ঘর

মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ঘর Let's change ourselves by changing negative thoughts to positive.

শিশুর মোবাইল আসক্তি: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিবর্তমানে অনেক শিশু অতিরিক্ত সময় মোবাইল ফোনে ব্যয় করছে, যা তাদের মানস...
29/03/2025

শিশুর মোবাইল আসক্তি: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি

বর্তমানে অনেক শিশু অতিরিক্ত সময় মোবাইল ফোনে ব্যয় করছে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ফলে তাদের একাগ্রতা কমে যায়, মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় এবং সামাজিক দক্ষতা হ্রাস পায়।

এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে অভিভাবকদের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি:

✔ শিশুর জন্য নির্দিষ্ট স্ক্রিন টাইম নির্ধারণ করুন।
✔ বিকল্প বিনোদন, যেমন বই পড়া, খেলাধুলা ও সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন।
✔ পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর ব্যবস্থা করুন।
✔ বাসায় মোবাইল ব্যবহার সীমিত করুন যাতে সন্তান আপনার দ্বারা প্রভাবিত না হয়।

সতর্কতা ও সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে শিশুকে মোবাইল আসক্তির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

17/09/2024

বিশ্বাসীদের অগাধ বিশ্বাস এই যে মহান আল্লাহ আদম সন্তানকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছেন। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এমন আজিব ও সূক্ষ্ম কিছু বিষয় দৃষ্টিগোচর হয় তা বিশ্বাসীদের বিশ্বাসের সাথে গভীরভাবে মিলে যায়।
মানব মস্তিষ্কের সাথে মৃত্তিকার এক নিবিড় ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মস্তিষ্ককে যতই মাটির নিকটবর্তী করা যায় মস্তিষ্ক ততই শান্তি পায়। এই এক আজীব শান্তি। হতাশা বা বিষন্নতার বেড়াজালে পতিত ভাইবোনদের জন্য নি:সন্দেহে এটি অনেক বড় ঔষধ।

01/07/2024

শিশুর ইতিবাচক আচরণ :

শিশুর ইতিবাচক আচরণ প্রতিটি বাবা মার কাম্য। আর এই ইতিবাচক আচরনের শিক্ষা পায় শিশু তার পরিবার থেকে। শিশুর আচরণে গঠনমূলক পরিবর্তন সাধন করে তাকে সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ্য রুপে গড়ে তোলা সকল পিতা-মাতারই একটি অন্যতম দ্বায়িত্ব। এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। কারণ আপনার সন্তানের ভবিষ্যত সাফল্য অনেকাংশেই তার উত্তম ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল।

আপনার সন্তানের ভাল আচরণকে কীভাবে উৎসাহিত করবেন :

▪️ আপনি নিজেকে আপনার সন্তানের জায়গায় চিন্তা করুন।তার সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করুন।আপনি যদি আপনার সন্তানের ঘনিষ্ঠ হতে পারেন তবে আপনি যা বুঝিয়ে বলেন না কেন, সে আপনার কথার প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দিবে। আপনার কথাগুলো মেনে চলতে চেষ্টা করবে।
▪️ আপনি যদি চান যে আপনার সন্তান চিৎকার না করুক বা শান্ত ভাবে কথা বলুক তাহলে আপনার নিজের কণ্ঠ স্বরকে নিচু করুন এবং শান্তভাবে কথা বলুন।মনে রাখবেন আপনার আচরণই শিশু অনুকরণ করবে।
▪️ আপনার শিশু যখন আপনার পছন্দ মাফিক ভাল আচরণ করবে, তখন তার প্রসংশা করুন, কিছু ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া করার মাধ্যমে উৎসাহিত করুন। যেমন -‘বাহ, তুমি এত সুন্দর করে খেলছো। তাকে বলুন " এলো মেলো খেলার চেয়ে গুছিয়ে খেললে বেশি সুন্দর দেখায় "।
▪️ আপনার শিশু ছোট হলেও তার ভিতরে কিন্তু বোধ শক্তি রয়েছে। তার কাছে করা সকল প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার চেষ্টা করুন। আপনি যখন আপনার প্রতিশ্রুতিগুলি পুরণ করবেন, তখন আপনার শিশু আপনাকে বিশ্বাস করবে এবং সম্মান করতে শিখবে। সে বুঝতে পারবে যে, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা একটা ইতিবাচক মনোভাব।
▪️ কোন ব্যাপারে আপনার শিশুকে “ না ”বলার আগে নিজেকে শান্ত করুন। তার সাথে বিরুপ ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঠান্ডা মাথায় তাকে বুঝিয়ে বলুন, তার বায়না কেন পূরণ যোগ্য নয়।
▪️ শিশুর সকল জেদ পূরণ করা উচিৎ নয়। এতে সে আরো বেশি জেদি হয়ে উঠবে। এজন্য যখন আপনার শিশু কোনও কিছুর জন্য জেদ করতে থাকে, আর আপনি যদি না বলে থাকেন, তবে আপনার সিদ্ধান্তে অটল থাকুন।
▪️ শিশুর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাকে কিছু দায়িত্ব দিন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে দ্বায়িত্বটি যেন বয়স মাফিক হয়। দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তার পরিণতি অনুভব করার সুযোগও তাকে দিন। উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনার শিশু স্কুল এ যাচ্ছে এবং স্কুল ব্যাগ গুছানোর দায়িত্ব তার নিজের। অসতর্কতার কারনে যদি সে কোন বই নিতে ভুলে যায়, তবে তাকে বই ছাড়া স্কুলে গেলে কি হয় সেটা উপলব্ধি করতে দিন। এতে আপনার শিশু দ্বায়িত্ব পালনে আরও বেশি যত্নশীল হবে।
▪️ আপনার শিশু পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই ধারণা দৃঢ় ভাবে প্রতিষ্ঠিত করুন। তার মতামতকে গুরুত্ব দিন।
▪️ শিশুর দেখাশুনা করার সময় বিভিন্ন প্রকার চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আপনি যদি এইসব চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিগুলি সম্পর্কে আগে থেকে চিন্তা করেন তবে আপনি আপনার সন্তানের প্রয়োজনগুলি সম্পর্কে পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা গ্রহন করতে পারবেন।

একটি ইতিবাচক এবং গঠনমূলক পদ্ধতি হতে পারে আপনার সন্তানের আচরণের দিকনির্দেশনা প্রদানের সেরা উপায়। এর অর্থ হল যখন আপনার শিশু কোন অপছন্দনীয় আচরণ করবে তখন তাকে শাস্তি দিয়ে নয় বরং আপনার সন্তান ভাল আচরণ করলে তাকে প্রশংসা ও পুরস্কৃত করার মাধ্যমে উৎসাহিত করা।
শিশুর ইতিবাচক আচরন শিক্ষা তাকে সুনাগরিক হতে সাহায্য করবে। আজকের শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ।
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকল সহযোগিতামূলক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের পেইজে।

22/06/2024

শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে পিতামাতার সচেতনতা প্রয়োজন।

25/10/2023

আমাদের সন্তানরা আমাদের প্রাণ। তাদের মেধা ও মনন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বিকশিত হোক প্রত্যেক পিতামাতার চাহিদা। আমরা চাই যে আমাদের সন্তান একজন ভাল মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক এবং আমার চেয়ে সমৃদ্ধি লাভ করুক। মোটকথা আমরা সবাই চাই আমার সন্তান সুস্থ পরিবেশে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠুক।

বিভিন্ন মাধ্যমের কল্যাণে আমরা দেখতে পাচ্ছি বেশিরভাগ অভিভাবক তাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানদের সুস্থ ও স্বাভাবিক বেড়ে উঠা নিয়ে চিন্তিত ও শঙ্কিত।

# সন্তানদের হাইপার অ্যাক্টিভিটি
# অনিয়ন্ত্রিত আবেগ(রাগ)
# কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি আসক্তি
# চাওয়া মাত্রই কোন কিছু না পেলে তার অস্বাভাবিক আচরণ
এমন অনেক কিছু পরিলক্ষিত হয় যা নিয়ে বাবা-মা তাদের সন্তানের সুস্থ মানসিকতার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। আজকের এই আলোচনায় তাদের জন্য কিছু পরামর্শ থাকবে।

প্রতিরোধমূলক প্রস্তুতিঃ
আমাদের সন্তানদের এই ধরনের আচরণ আসলে একদিনে গড়ে ওঠেনি। অপ্রিয় হলেও সত্য যে অনেক ক্ষেত্রে হয়তো এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। অনেক ক্ষেত্রে আমরা আমাদের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। ঘরের পরিবেশে আমাদের এই ত্রুটিপূর্ণ আচরণ থেকেই আমাদের সন্তানেরা অনেক কিছু শিখে।

শিশুরা অনুকরণ করতে পছন্দ করে। সে যদি দেখে বাবা অফিস থেকে এসে মার সাথে রাগারাগি করছে অথবা মা সবসময় বাবার সাথে রাগারাগি করে, চিৎকার করে করে কথা বলে, ফলে সন্তানের মধ্যে কাওকে সহ্য করতে না পারা, তুচ্ছ বিষয়ে রাগ করা, অস্থির হয়ে ওটা এই সব আচরণ বিকশিত হতে থাকে।
স্পষ্ট কথা! আমার সন্তান আমার পরিবেশে আমাকে দেখেই শিখে। আমি যদি সত্য বলি, সেও সত্য বলা শিখবে। আমি যদি অন্যকে সম্মান দিয়ে কথা বলি, তার মধ্যে অন্যকে সম্মান দিয়ে কথা বলার মূল্যবোধ তৈরি হবে। আর যদি আমার সন্তান আমাকে কাজের মেয়ের সাথে দুর্ব্যবহার করতে দেখে, প্রশ্নই আসে না সে কাজের মেয়েকে আপনি করে কথা বলতে শিখবে।
তাই আমাদের সবচেয়ে বেশি জরুরী আমাদের সন্তানদের সুষ্ঠু বিকাশের পরিবেশকে সুন্দর করে সাজানো।

প্রতিকারমূলক প্রস্তুতিঃ
শিশুরা আনন্দ পেতে পছন্দ করে। তাই তারা আনন্দ পাওয়ার জন্য মোবাইল হাতে নেয়। তারা গেমস খেলে আনন্দ পায়, ভিডিও দেখে আনন্দ পায়। মোটকথা মোবাইলে তাদের আগ্রহ আনন্দ পাওয়ার জন্য। এই আগ্রহ ধীরে ধীরে আসক্তিতে পরিণত হয়। তখন সে মোবাইল ছাড়া কিছুই বুঝেনা। একটু সময় পেলেই মোবাইল নিতে চায়। মোবাইল না পেলেই হাইপার হয়ে যায় এবং আচরণে অসংগতি পরিলক্ষিত হয়।

তাদের এই এডিকশন দূর করার জন্য এবং পড়ায় মনোযোগী করার জন্য তাদের সময়গুলো কাজে লাগাতে হবে।
কিভাবে কাজে লাগাবো??

# পিতা-মাতার তাদের সন্তানকে সময় দেওয়া খুবই জরুরী। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় পিতা-মাতা ঘরের সময়গুলোতেও নিজের মোবাইল, ল্যাপটপ বা অন্য ডিভাইস নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে যায়। সাথে সন্তান বিরক্ত না করার জন্য তাকেও অন্য কোন ডিভাইস নিয়ে বসিয়ে দেয়া হয়।(পরীক্ষিত)
তাই আমাদের অভিভাবকদের অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরে ডিভাইস ব্যবহারে সংযত হওয়া চাই।

# সন্তানদের বাসায় খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়া। যতটুকু সুযোগ থাকে ঘরের পরিবেশে কিছু ইনডোর গেমস এর ব্যবস্থা করে দেওয়া। এই গেমসগুলোতে নিজেও সন্তানদের সাথে অংশগ্রহণ করা।
এর ফলাফল দুটি।
১। সে দিনের একটি সময় বাবা-মাকে কাছে পেল। ফলে বাবা মা দুজনের সাথে একই সময়ে তার মিথস্ক্রিয়া হল।
২। তার সময়টা আনন্দে কাটল, যে সময়ে সে মোবাইলে ব্যাস্ত ছিল।

# মোবাইলের আসক্তি দূর করার জন্য বাসায় সুযোগ থাকলে পাখি, মাছ ইত্যাদি পোষা যেতে পারে। সাথে বারান্দায় ফুলের বাগানও করা যেতে পারে।
খাঁচায় কয়েক রঙের পাখি নিয়ে সন্তানদের ওই পাখিগুলোকে খাওয়ানোর দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। এটি একটি সুন্দর কৌশল যার দ্বারা আমাদের সন্তানদের ডিভাইসের প্রতি আসক্তি দূর করা যেতে পারে। একইভাবে একুরিয়ামে মাছ পালনের মধ্য দিয়েও আমরা এর সুফল পেতে পারি।

এই ধরনের কাজগুলোর সাথে আমাদের সন্তানদের এইজন্যই ইনভলভ করা যে তারা অবসর সময় গুলোতে এইগুলো নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখে।
মোটকথা আমাদের সন্তানের এই প্রবলেম দূর করার জন্য এক্টিভিটির কোন বিকল্প নেই। এই এক্টিভিটি গুলো যদি হয় প্রবলেম সলভিং রিলেটেড তবে তা আরো বেশি ফলপ্রসূ হবে।(বাজারে এই ধরনের অনেক কিছু পাওয়া যায়)
আসুন আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী আমাদের সন্তানের স্বাভাবিক বিকাশের পথকে তরান্বিত করি।

মোহাম্মদ রাশেদ রানা
শিক্ষক Al Hasanain
সাইকোথেরাপিস্ট এবং কাউন্সিলর
মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ঘর

08/07/2023

#পেরেন্টিং
শিশুর মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব, সুন্দর মানসিকতা ও বিভিন্ন মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে চাইলে সঠিক প্যারেন্টিং খুব জরুরি।
কিছু পরামর্শঃ
# সবার আগে নিজেকে ইতিবাচক আচরণে অভ্যস্ত করুন। কারণ শিশুরা তার বাবা-মাকে দেখেই রপ্ত করে বেশিরভাগ গুণাবলি। অন্যের সঙ্গে সুন্দর করে কথা বলা, বিনয় কিংবা হাসিখুশি থাকা শিশুর উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
# শিশুর সঙ্গে যখন অন্য কারোর সম্পর্কে কথা বলবেন, তখন সবসময় ইতিবাচক কথা বলুন।
# শিশুকে অন্য শিশুর সঙ্গে মেশার সুযোগ করে দিন। বাইরে ঘুরতে নিয়ে যান।
# শিশুর সামনে কখনোই অন্যের দুর্নাম করবেন না।
# শিশুর ভালো কাজের জন্য প্রশংসা করুন। অভিযোগ করার অভ্যাসকে কখনোই বাহবা দেবেন না।
# শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এতে তারা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে।
# উদারতা, সহমর্মিতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করুন।
# অন্যকে শ্রদ্ধা করতে শেখান।
# কখনও শিশুদের সঙ্গে অতিরিক্ত কঠোর আচরণ করবেন না কিংবা মারধর করবেন না।

30/06/2023
আমাদের সন্তানরা আমাদের প্রাণ। তাদের মেধা ও মনন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বিকশিত হোক প্রত্যেক পিতামাতার চাহিদা। আমরা চাই যে আমা...
26/06/2023

আমাদের সন্তানরা আমাদের প্রাণ।
তাদের মেধা ও মনন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বিকশিত হোক প্রত্যেক পিতামাতার চাহিদা। আমরা চাই যে আমাদের সন্তান একজন ভাল মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক এবং আমার চেয়ে সমৃদ্ধি লাভ করুক। মোটকথা আমরা সবাই চাই আমার সন্তান সুস্থ পরিবেশে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠুক।

বিভিন্ন মাধ্যমের কল্যাণে আমরা দেখতে পাচ্ছি বেশিরভাগ অভিভাবক তাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানদের সুস্থ ও স্বাভাবিক বেড়ে উঠা নিয়ে চিন্তিত ও শঙ্কিত।
# সন্তানদের হাইপার অ্যাক্টিভিটি
# অনিয়ন্ত্রিত আবেগ(রাগ)
# কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি এডিকশন
# চাওয়া মাত্রই কোন কিছু না পেলে তার অস্বাভাবিক আচরণ
এমন অনেক কিছু পরিলক্ষিত হয় যা নিয়ে বাবা-মা তাদের সন্তানের সুস্থ মানসিকতার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। আজকের এই আলোচনায় তাদের জন্য কিছু পরামর্শ থাকবে।

প্রতিরোধমূলক প্রস্তুতিঃ
আমাদের সন্তানদের এই ধরনের আচরণ আসলে একদিনে গড়ে ওঠেনি। অপ্রিয় হলেও সত্য যে অনেক ক্ষেত্রে হয়তো এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। অনেক সময় আমরা আমাদের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। ঘরের পরিবেশে আমাদের এই ত্রুটিপূর্ণ আচরণ থেকেই আমাদের সন্তানেরা অনেক কিছু শিখে।

শিশুরা অনুকরণ করতে পছন্দ করে। সে যদি দেখে বাবা অফিস থেকে এসে মার সাথে রাগারাগি করছে অথবা মা সবসময় বাবার সাথে রাগারাগি করে, চিৎকার করে কথা বলে, ফলে সন্তানের মধ্যে কাওকে সহ্য করতে না পারা, তুচ্ছ বিষয়ে রাগ করা, অস্থির হয়ে ওটা এই সব আচরণ বিকশিত হতে থাকে।

স্পষ্ট কথা! আমার সন্তান আমার পরিবেশে আমাকে দেখেই শিখে।
আমি যদি সত্য বলি, সেও সত্য বলতে শিখবে। আমি যদি অন্যকে সম্মান দিয়ে কথা বলি, তার মধ্যে অন্যকে সম্মান দিয়ে কথা বলার মূল্যবোধ তৈরি হবে। আর যদি আমার সন্তান আমাকে কাজের মেয়ের সাথে দুর্ব্যবহার করতে দেখে, প্রশ্নই আসে না সে কাজের মেয়েকে আপনি করে কথা বলতে শিখবে।
তাই আমাদের সবচেয়ে বেশি জরুরী আমাদের সন্তানদের সুষ্ঠু বিকাশের পরিবেশকে সুন্দর করে সাজানো।

প্রতিকারমূলক প্রস্তুতিঃ
শিশুরা আনন্দ পেতে পছন্দ করে। তাই তারা আনন্দ পাওয়ার জন্য মোবাইল হাতে নেয়। তারা গেমস খেলে আনন্দ পায়, ভিডিও দেখে আনন্দ পায়। মোটকথা মোবাইলে তাদের আগ্রহ আনন্দ পাওয়ার জন্য। এই আগ্রহ ধীরে ধীরে এডিকশনে পরিণত হয়। তখন সে মোবাইল ছাড়া কিছুই বুঝেনা। একটু সময় পেলেই মোবাইল নিতে চায়। মোবাইল না পেলেই হাইপার হয়ে যায় এবং আচরণে অসংগতি পরিলক্ষিত হয়।

তাদের এই এডিকশন দূর করার জন্য এবং পড়ায় মনোযোগী করার জন্য তাদের সময়গুলো কাজে লাগাতে হবে।
কিভাবে কাজে লাগাবো??

# পিতা-মাতার তাদের সন্তানকে সময় দেওয়া খুবই জরুরী। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় পিতা-মাতা ঘরের সময়গুলোতেও নিজের মোবাইল, ল্যাপটপ বা অন্য ডিভাইস নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে যায়। সাথে সন্তান বিরক্ত না করার জন্য তাকেও অন্য কোন ডিভাইস নিয়ে বসিয়ে দেয়া হয়।(পরীক্ষিত)
তাই আমাদের অভিভাবকদের অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরে ডিভাইস ব্যবহারে সংযত হওয়া প্রয়োজন।

# সন্তানদের বাসায় খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়া। যতটুকু সুযোগ থাকে ঘরের পরিবেশে কিছু ইনডোর গেমস এর ব্যবস্থা করে দেওয়া। এই গেমসগুলোতে নিজেও সন্তানদের সাথে অংশগ্রহণ করা।
এর ফলাফল দুটি।
১। সে দিনের একটি সময় বাবা-মাকে কাছে পেল। ফলে বাবা মা দুজনের সাথে একই সময়ে তার মিথস্ক্রিয়া হল।
২। তার সময়টা আনন্দে কাটল, যে সময়ে সে মোবাইলে ব্যাস্ত থাকতো।

# মোবাইলের আসক্তি দূর করার জন্য বাসায় সুযোগ থাকলে পাখি, মাছ ইত্যাদি পোষা যেতে পারে। সাথে বারান্দায় ফুলের বাগানও করা যেতে পারে।
খাঁচায় কয়েক রঙের পাখি নিয়ে সন্তানদের ওই পাখিগুলোকে খাওয়ানোর দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। এটি একটি সুন্দর কৌশল যার দ্বারা আমাদের সন্তানদের ডিভাইসের প্রতি আসক্তি দূর করা যেতে পারে। একইভাবে একুরিয়ামে মাছ পালনের মধ্য দিয়েও আমরা এর সুফল পেতে পারি।

এই ধরনের কাজগুলোর সাথে আমাদের সন্তানদের এইজন্যই ইনভলভ করা যে তারা অবসর সময় গুলোতে এইগুলো নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখে।
মোটকথা আমাদের সন্তানের এই প্রবলেম দূর করার জন্য এক্টিভিটির কোন বিকল্প নেই। এই এক্টিভিটি গুলো যদি হয় প্রবলেম সলভিং রিলেটেড তবে তা আরো বেশি ফলপ্রসূ হবে।(বাজারে এই ধরনের অনেক কিছু পাওয়া যায়)
আসুন আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী আমাদের সন্তানের স্বাভাবিক বিকাশের পথকে তরান্বিত করি।

মোহাম্মদ রাশেদ রানা
সাইকোথেরাপিস্ট কাউন্সিলর
মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ঘর

ডোপামিন এক ধরনের হরমোন (আল্লাহর দান) যা মনের প্রশান্তি বা সুখানুভূতি তৈরি করে। যখনি বিভিন্ন কারণে আমাদের সেডনেস কাজ করে ...
26/06/2023

ডোপামিন এক ধরনের হরমোন (আল্লাহর দান) যা মনের প্রশান্তি বা সুখানুভূতি তৈরি করে। যখনি বিভিন্ন কারণে আমাদের সেডনেস কাজ করে তখন বুঝতে হবে আমাদের মস্তিষ্ক কম ডোপামিন নিঃসরণ করছে। এই সেডনেস যখন দিন দিন বাড়তে থাকে তখনই মানুষ নিজেকে গুটিয়ে নেয়। ফলে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দেয়, একাকিত্ব বোধ কাজ করে, হতাশা যেন তাকে ঘিরে ফেলে। এই হতাসা থেকে তার মধ্যে আত্মহননের চিন্তা বার বার আসে। সে মনে করে তার জীবনটাই যেন বৃথা, তাকে দিয়ে এই জীবনে কিছুই হবে না। দিন দিন নাবোধক চিন্তা বাড়তে বাড়তে তার মস্তিষ্কে একটি নেগেটিভ চিন্তার বৃত্ত তৈরি হয়। যা থেকে সে নিজেকে আর বের করতে পারে না। ফলে তার মধ্যে কাজ করতে থাকে ডিপ্রেশন, এনেক্সাইটি এর মত মানসিক ব্যাধি।
যাই হোক, ডোপামিন থেকে এইসব কথা আসছে। কারো ডোপামিন নিঃসরণের পরিমাণ কমে গেলে ডাক্তাররা বিভিন্ন ঔষধ প্রেসক্রাইব করে। এসকল ওষুধগুলো গ্রহণের ফলে যে পরিমান ডোপামিন নিঃসরণ হয় ঠিক সেই পরিমান ডোপামিন আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে নিঃসরণ ঘটাতে পারি। এটি পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত।

# প্রকৃতির সাথে সময় কাটানো, যেমন- পাহাড়, নদী বা সমুদ্র দেখতে যাওয়া।

# বিভিন্ন পার্ক বা বিনোদনের যায়গাগুলোতে ঘুরে আসা।

# খুব কাছের মানুষগুলোর সাথে কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করা।

# পরিবারের সাথে সময় কাটানো, তাদেরকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়া।

# প্রিয় দল বা খেলোয়াড়দের খেলা দেখা, উত্তেজনাপুর্ণ ম্যাচগুলো দেখা।

ইত্যাদি আরও অনেক ধরনের উপায় থাকতে পারে যার দ্বারা মানুষ চাইলেই তার ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়াতে পারে।
যাইহোক!! আমরা সুখানুভূতির জন্য ডোপামিন নিঃসরনের প্রাকৃতিক উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারি।

Address

Chittagong

Opening Hours

Monday 16:00 - 21:00
Tuesday 16:00 - 21:00
Wednesday 16:00 - 21:00
Thursday 16:00 - 21:00
Saturday 16:00 - 21:00
Sunday 16:00 - 21:00

Telephone

+8801917661567

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ঘর posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ঘর:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram