08/08/2025
আমার দর্পন:
“মায়ের ভাষা মাতৃভাষা;
আর এখন মোবাইলের যুগে,
যন্ত্রের ভাষা-শিশুর প্রধান ভাষা”
আজকের শিশুরা মোবাইল নামের এক রেডিয়েশন ঘেরা পরিবেশের মধ্যে বড় হচ্ছে।শিশুদের মস্তিষ্ক মোবাইল থেকে নির্গত ক্ষতিকর তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল।শিশুদের মস্তিষ্ক এবং অস্থিমজ্জা বড়দের চেয়ে প্রায় দশ থেকে পনেরো গুণ বেশি তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ মোবাইলের মাধ্যমে শোষণ করে থাকে।
চলতি বছর বাংলাদেশে শিশুদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ প্রি-স্কুল শিশু স্মার্টফোনে আসক্ত।
গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের স্মার্টফোনে আসক্তির কারণ মূলত মায়েরা সন্তানকে খাওয়ানোর বড় মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ফোনকে বেচে নিয়েছেন ; এছাড়া সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সময় না কাটানো,খেলার মাঠের অভাব, খেলার সাথির অভাব, স্মার্টফোনে কার্টুন দেখা, স্মার্টফোনে গেম খেলা ইত্যাদি।
এসব স্মার্টফোনে ভার্চ্যুয়াল এন্টারটেইনমেন্ট দেখার সময়ে আমাদের মস্তিষ্কের কোষ থেকে ডোপামিন নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরিত হয় যা অন্যান্য নেশাজাত দ্রব্যের আসক্তির মতোই আসক্তি তৈরি করে।
মা বাবারা চেম্বারে এসে দুঃখ করে বলেন -“বাচ্চার বয়স ৩ বছর,অথচ কথা বলছে না”,এছাড়া মোবাইল আপনার শিশুর মস্তিষ্ক,কান,চোখের রেটিনা, কর্নিয়া এবং অন্যান্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
একটু বড় হতেই তারা ক্ষুধামান্দ্য, অনিয়মিত খাওয়া, স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাবা মাকে সতর্ক হতে হবে।বাচ্চাকে খাওয়াতে যেয়ে মোবাইল ফোনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না।
ডাঃ এ টি এম মাহমুদুর রহমান।
নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ
নবজাতক চিকিৎসায় উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত(সিঙ্গাপুর)
কনসালটেন্ট (শিশু),মিনিস্ট্রি অফ হেলথ,মালদ্বীপ(এক্স)
chamber:
“চিল্ড্রেন‘স স্পেশালিস্ট চেম্বার“
(বাসা:MUSKASH; ৫১ নং দক্ষিণ খুলশী,রোড #০১,চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ)