Stroke Rehab. & Unique Physiotherapy Services, Chattogram.

Stroke Rehab. & Unique Physiotherapy Services, Chattogram. Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Stroke Rehab. & Unique Physiotherapy Services, Chattogram., Family medicine practice, Chittagong.

Stroke Rehab. & Unique Physiotherapy services is a trusted organization in chittagong which provides quality services among the Stroke pt. & other various Orthopedic /Neurological pt.rehabilitation.We have indoor, outdoor, & home care services as well.

 #হাঁটু  #ব্যাথার সমাধানে আমরা আছি আপনার পাশে...             #ফিজিওথেরাপি নিন  #ব্যাথাকে না বলুন...!!!
23/12/2024

#হাঁটু #ব্যাথার সমাধানে আমরা আছি আপনার পাশে...



#ফিজিওথেরাপি নিন #ব্যাথাকে না বলুন...!!!

ডিস্ক হার্নিয়েশনের লক্ষণ ও চিকিৎসালেখা:ডা. হারাধন দেবনাথ🔴অনেককে বলতে শোনা যায়, তাঁর মেরুদণ্ডের হাড় সরে গেছে। আসলে হাড় নয়...
23/12/2024

ডিস্ক হার্নিয়েশনের লক্ষণ ও চিকিৎসা
লেখা:
ডা. হারাধন দেবনাথ

🔴অনেককে বলতে শোনা যায়, তাঁর মেরুদণ্ডের হাড় সরে গেছে। আসলে হাড় নয়, মেরুদণ্ডের কশেরুকার মধ্যবর্তী নরম ডিস্ক নানা কারণে সরে যেতে পারে। ফলে ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। একে বলে ডিস্ক হার্নিয়েশন।

আমাদের মেরুদণ্ডে ৩৩টি কশেরুকা রয়েছে। এসব কশেরুকা পরস্পরের ওপর উল্লম্বভাবে সজ্জিত থাকে। দুটি কশেরুকার মধ্যে অস্থিসন্ধিতে থাকে গোলাকার চাকতির মতো একটি অংশ।

এগুলোকে ডিস্ক বলা হয়। এসব ডিস্ককে কশেরুকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে অ্যান্টেরিয়র লঙ্গিটিউডিনাল লিগামেন্ট, পস্টেরিয়র লঙ্গিটিউডিনাল লিগামেন্ট। কোনো কারণে পস্টেরিয়র লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ডিস্ক নিউক্লিয়াস স্পাইনাল ক্যানালে বেরিয়ে আসে, একে বলা হয় ডিস্ক হার্নিয়েশন বা স্লিপড ডিস্ক।

⭕ডিস্ক হার্নিয়েশনের লক্ষণ
ডিস্ক হার্নিয়েশনের ব্যথা সাধারণত শরীরের এক দিকে হয়। মেরুদণ্ডের লাম্বার অংশের (পিঠের নিচের দিক) স্লিপ ডিস্কের সাধারণ উপসর্গগুলো হচ্ছে—পিঠে ব্যথা, শরীর বাঁকানোর সময়ে তীব্র ব্যথা, বসা অথবা নড়াচড়ার সময় হঠাৎ ব্যথা, পায়ে ব্যথা। একটি পা বা একটি হাতে অসারতা।

ব্যথা পা বেয়ে নিচের দিকে যায়। নিতম্ব এলাকায় বা কাফ পেশি বা পায়ের তলায় ব্যথা অনুভব। ডিস্ক হার্নিয়েশনের অবস্থান মেরুদণ্ডের সারভাইকাল এলাকায় হলে ঘাড়ে ও হাতে ব্যথা অনুভব হয়। একই সঙ্গে আঙুলে রিনরিন অনুভব হয়।

ডিস্ক হার্নিয়েশন মূলত বয়সজনিত রোগ। মেরুদণ্ডসংলগ্ন পেশি দুর্বল থাকলে বা বেশি বয়সে হাড় ক্ষয়ে পেশি দুর্বল হওয়ায় সামান্য চাপ পড়লেই ডিস্ক স্থানচ্যুত হতে পারে। সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা এই সমস্যায় পড়তে পারেন। এতে মেয়েদের তুলনায় পুরুষেরা বেশি আক্রান্ত হন। কোনোভাবে আঘাত পাওয়া, টানা ডেস্কে বসে কাজ বা ভারী জিনিস তুলতে হয়—এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ডিস্ক হার্নিয়েশনের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এই রোগের আরেকটি ঝুঁকি ওবেসিটি বা বাড়তি ওজন।

▶️▶️চিকিৎসা
সাধারণ ব্যথা হলে চিকিৎসকেরা চিরাচরিত প্রথায় চিকিৎসা করেন। যাঁদের হার্নিয়েশন চূড়ান্ত পর্যায়ে যায়নি, তাঁদের কিছুদিন বিশ্রাম, কিছু ব্যায়াম, শক্ত বিছানায় ঘুমানো, নিচু হয়ে ভারী কিছু না তোলা ও ভারী কাজ না করা, পাতলা বালিশে ঘুমানো, বিছানা থেকে ওঠার সময় কাত হয়ে ওঠা, অতিরিক্ত ভ্রমণ পরিহার, মোটরসাইকেল না চালানোর মতো কিছু বিষয় অনুসরণের পরামর্শ দেওয়া হয়...!

⛔⛔⛔বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের তত্বাবধানে ফিজিওথেরাপি নিলে ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার প্রতিকার মিলে...!!!

তবে মারাত্মক স্লিপড ডিস্ক, মাংসপেশি ও স্পাইনাল কর্ডের চূড়ান্ত দুর্বলতা (মায়ালোপ্যাথি) থাকলে অস্ত্রোপচারের কথা ভাবা হয়। বিশেষ করে রোগীর প্রস্রাব, পায়খানার নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হলে বা যৌনাঙ্গের নার্ভ ড্যামেজ হলে বা শরীরের কোনো অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হলে। এই অবস্থাকে বলে কৌডা ইকুইন সিনড্রোম। এটা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অস্ত্রোপচার করতে হয়।

অধ্যাপক ডা. হারাধন দেবনাথ, নিউরোসার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়...!!

বাসায় ফিজিওথেরাপি সেবার জন্য অভিজ্ঞ এবং  রেজিস্টার্ড ফিজিওথেরাপিষ্ট খুঁজছেন ?                       তাহলে  আপনার জন্য, ...
23/12/2024

বাসায় ফিজিওথেরাপি সেবার জন্য অভিজ্ঞ এবং রেজিস্টার্ড ফিজিওথেরাপিষ্ট খুঁজছেন ?
তাহলে আপনার জন্য, আপনার নিজ এলাকায় আমাদের তালিকা ভুক্ত ডিপ্লোমা এবং বি,এস,সি- সনদধারী অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিষ্টগণ পৌঁছে যাবে আপনার বাসায়।
🔰চট্টগ্রাম শহরে আমরাই প্রথম পূর্ণাঙ্গ হোম কেয়ার সার্ভিস দিয়ে থাকি🔰
✳️ যে সকল রোগের ফিজিওথেরাপি সেবা নিতে পারবেনঃ-
❇️আমাদের সেবা সমূহঃ❇️
১) স্ট্রোক পরবর্তী প্যারালাইসিস ।
২) পারকিনসন্স ডিজিজ।
৩) সেরিব্রাল পলসি বা প্রতিবন্ধী ।
৪) PLID বা কোমর ব্যাথা।
৫) হাঁটু ব্যাথা।
৬) ঘাড়ে ব্যাথা।
৭) ফ্রোজেন শোল্ডার বা কাঁধে ব্যাথা।
৮) বেলস পলসি বা মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া।
৯) স্পাইনাল অপারেশন পরবর্তী ফিজিওথেরাপি ।
১০) অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা বাঁত ব্যথা।
১১) হাত-পা অবশ বা ঝিনঝিন হওয়া।
১২) মাংশ পেশিতে ব্যথা।
১৩) জি বি এস ভাইরাসে আক্রান্ত।
১৪) লিগামেন্ট,টেন্ডন,সফট টিস্যু ইন্জুরি।
১৫) পায়ের গোড়ালী ব্যথা।
১৬) PLANTER FASCITIS
১৭)কারপাল টানেল সিনড্রোম।
১৮) টেনিস এলবো।
১৯) CLUB FOOT/ FOOT DROP
২০)ANKYLOSING SPONDYLITIS

✅✅আপনি কেন আমাদের সেবা নিবেন? ✅✅
কারণঃ
✅আমরা আছি চট্টগ্রাম শহর-এর সব এরিয়াতে ।
✅আমাদের সকল ফিজিওথেরাপিষ্ট মিনিমাম ডিপ্লোমা এবং বি,এস,সি ডিগ্রিধারী ।
✅অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও আন্তরিক ফিজিওথেরাপিষ্ট টিম ।
✅কম খরচে- বিশ্ব মানের সেবা ।
✅ সাশ্রয়ী এবং ইমার্জেন্সি কল এ কাছে পাবেন ২৪/৭।
✅ রোগীর সুবিধা মতো সময়ে ফিজিওথেরাপি দেওয়ার ব্যবস্তা।
✅ আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, আমরা সবরকম তথ্য যাচাই বাছাই করে ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ করে থাকি।
তাই বিশ্বমানের ফিজিওথেরাপি সেবা পেতে এখনই যোগাযোগ করুন-
0️⃣1️⃣3️⃣0️⃣3️⃣🔸0️⃣3️⃣4️⃣5️⃣3️⃣1️⃣

🔰আমাদের অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট পৌছে যাবে আপনাদের ঠিকানায়।
🔰হোম সার্ভিস চার্জ – আলোচনা সাপেক্ষে / প্রতি সেশন ( নুন্যতম ৪৫মিনিট)।

🔴🔴🔴 কোমর ব্যাথা থেকে বাঁচার ১০ উপায় ৷⭕গবেষনায় দেখা যায় পৃথিবীর সবাই ই জীবনের কোন না কোন সময়ে কোমর ব্যাথায় ভোগে ৷ আর এই ক...
23/12/2024

🔴🔴🔴 কোমর ব্যাথা থেকে বাঁচার ১০ উপায় ৷

⭕গবেষনায় দেখা যায় পৃথিবীর সবাই ই জীবনের কোন না কোন সময়ে কোমর ব্যাথায় ভোগে ৷ আর এই কোমর ব্যথায় কারো কারো জীবন হয়ে যায় একেবারেই অতীষ্ঠ ৷ আজ জেনে নিন কোমর ব্যথা প্রতিরোধের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস ৷

🔼১৷ হাটুর নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমানো: চিৎ হয়ে ঘুমালে কোমরের মেরুদন্ডের উপর প্রেসার পড়ে ৷ পা কিছুটা উচুঁ করে ঘুমালে কোমরের উপর চাপ কম পড়ে ৷ দুই হাটুর নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমালে কোমরের উপর প্রেসার অর্ধেক পর্যন্ত কমে যায় ৷ এতে কোমর ব্যথা কম অনুভব হয় এবং কোমরের মাংসপেশি ইনজুরির নিরাময় দ্রুত হয় ৷

🔼২৷ কোমরের মাংসপেশির শক্তি বাড়ানো: নিয়মিত কোমরের শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম কোমরের মাংসপেশির ইনজুরি এবং মাংসপেশি শক্ত হওয়ার ঝুকি কমায় ৷ সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার পেট ও কোমরের ব্যায়াম কোমরকে আরো শক্তিশালী এবং নমনীয় রাখে যা কোমর ব্যাথা প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের জন্য বড় ভূমিকা রাখে ৷ তবে ব্যায়াম হতে হবে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ৷

🔼৩৷ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-ডি: বৃদ্ধ বয়সে বিশেষ করে বৃদ্ধা মহিলাদের কোমর ব্যাথার সবচেয়ে বড় কারন হাড্ডি ক্ষয় ৷ নিয়মিত ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-ডি যুক্ত খাবার খেয়ে আপনার হাড্ডিকে শক্তিশালী রাখুন ৷ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারগুলো হলো -
দুধ, দই, সবুজ শাক, চর্বিযুক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, গরুর কলিজা, পনির ইত্যাদি ৷

🔼৪৷ জুতা নির্বাচন: কোমর ব্যাথা প্রতিরোধ করতে আরামদায়ক এবং নিচু হিলের জুতা পড়ুন ৷

🔼৫৷ সঠিক অঙ্গবিন্যাস: সঠিক অঙ্গবিন্যাসে (good posture) শুধু আপনাকে স্মার্টই লাগে না বরং আপনাকে ঘাড়, পিঠ এবং কোমড় ব্যাথা থেকেও মুক্ত করে ৷ মাথা ও কোমর ঝুকে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন এবং মেরুদন্ড সোজা করে বসার অভ্যাস গড়ুন ৷

🔼৬৷ চেয়ারে বসুন নিয়ম মেনে: চেয়ারে সুন্দর করে বসুন যাতে হাটু ৯০° ভাজ অবস্থায় থাকে এবং পা মেঝেতে লেগে থাকে ৷ ভালো চেযার ব্যাবহার করুন যাতে কোমরে কিছুটা হলেও সাপোর্ট থাকে ৷ বসার সময় নিশ্চিত হন যে হাটু কোমরের চেয়ে কিছুটা উচুঁতে আছে ৷

🔼৭৷ ধুমপান বন্ধ করুন: ধূমপায়ীরা সাধারনত অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি কোমর ব্যাথায় আক্রান্ত হয় ৷ কারন হলো নিকোটিন মেরুদণ্ডের ডিস্কে রক্ত পরিবহনে বাধা প্রদান করে ৷ এতে ডিস্ক শুকিয়ে যায়, ফেটে যায় অথবা ছিড়ে যায় ৷ ধূমপান রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এতে মাংসপেশি এবং টেনডন ঠিকমতো পুষ্টি পায়না ৷ একটা দুর্বল কোমর ব্যাথায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য বেশি ঝুকিপূর্ণ থাকে ৷

🔼৮৷ ভারী বস্তু তুলুন সঠিক উপায়ে: ভুল পদ্ধতিতে ভারী বস্তু উত্তোলন কোমর ব্যাথার অন্যতম বড় কারন ৷ সামনে ঝুকে ভারী জিনিস না তুলে হাটু ভাজ করে নিচু হয়ে তুলুন যাতে তোলার সময় কোমর সোজা থাকে ৷ ভারী স্যুটকেস বা ব্যাগ বহন কোমরের মাংসপেশি ইনজুরির কারন হতে পারে ৷ একহাতে বেশি ভারী বস্তুু বহন না করে জিনিসপত্র ভাগ করে দুইহাতে সমান ওজন বহন করুন ৷ একহাতে দীর্ঘক্ষণ ভারীবস্তু বহন না করে কিছুক্ষণ পর পর হাত পরিবর্তন করুন ৷

🔼৯৷ স্ট্রেচিং: একই যায়গায় দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে, বসে বা শুয়ে থাকা কোমড়ের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয় ৷ দীর্ঘক্ষণ বসে না থেকে কিছুক্ষণ পরপর চেয়ার ছেড়ে উঠুন, দুই এক মিনিট হাটাচলা করুন এবং হালকা কিছু স্ট্রেচিং ব্যায়াম করুন ৷ এতে কোমরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে এবং জড়তার জন্য কোমরে যে স্ট্রেইন বা ব্যাথা হয়, সেগুলোও নিরাময় করে ৷

🔼১০৷ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: অতিরিক্ত ওজন আমাদের কোমরের মেরুদন্ডের উপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করে এবং মেদ ভুড়ি কোমরের মেরুদন্ডেকে সামনের দিকে টানতে থাকে ফলে কোমরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয় যা কোমর ব্যাথার অন্যতম বড় কারন ৷ তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করে ফিট রাখুন নিজেকে ৷

©️

⛔⛔   #শীতে বেড়ে যায়  #স্ট্রোকের  #ঝুঁকি স্ট্রোক হয় মস্তিষ্কের রক্তনালী ব্লক হয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে। অথবা রক্তনাল...
23/12/2024

⛔⛔ #শীতে বেড়ে যায় #স্ট্রোকের #ঝুঁকি

স্ট্রোক হয় মস্তিষ্কের রক্তনালী ব্লক হয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে। অথবা রক্তনালী ছিড়ে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে। সে হিসেবে স্ট্রোক দুই ধরনের। ১. ইস্কেমিক স্ট্রোক ২. হেমোরেজিক স্ট্রোক। স্ট্রোক বেশ ভয়াবহ রোগ। সারাবিশ্বে মৃত্যুর ২য় কারণ স্ট্রোক।
আসলেই কি শীতে স্ট্রোক বাড়ে?
শীতে স্ট্রোক বাড়ে এটা কি ভয় দেখানোর জন্য না, আসলেই বাড়ে? গবেষণা কি বলে?
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক সেমিনারে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে শীতে স্ট্রোকের হার বাড়ে। তারা বলেছেন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি কমার জন্য স্টোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার বাড়ে শতকরা ৬ ভাগ।
ইস্কেমিক স্ট্রোকে হাসপাতালে ভর্তি এক লাখ ৭২ হাজার রোগীর মধ্যে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। এতে দেখা গেছে শীতের দিনে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। এ তথ্য ২০১৬ সালে জার্নাল অব স্ট্রোক অ্যান্ড সেরেব্রোভাস্কুলার ডিজিজে প্রকাশিত হয়েছে।
জার্মানিতে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তাপমাত্রা ২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ১১ শতাংশ বাড়ে। আর যাদের স্ট্রোকের অন্যান্য রিস্ক ফ্যাক্টর আছে তাদের এ হার আরো বেশি। ইউরোপিয়ান জার্নাল অব এপিডেমিওলজিতে ২০১৬ সালে এ গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে তাপমাত্রা কমার কারণে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার হার বেশি, বিশেষ করে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের। স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৬৫ হাজার ব্যক্তির ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে ব্রাজিলের সাওপাওলোতে।

📌শীতে কেন বাড়ে স্ট্রোক?
আমরা সবাই জানি উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। তাপমাত্রা কমার কারণে শরীরে নরএড্রেনালিন নিঃসরণ হয়। এটি রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করা হয়। এতে রক্তচাপ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তচাপের কারণে রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
তাপমাত্রা কমার কারণে রক্তের মধ্যে প্লাটিলেট নামক যে কণিকা থাকে তা জমাট বাধার সম্ভাবনা বাড়ে। রক্ত জমাট বাঁধলে রক্তনালী ব্লক হয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় স্ট্রোক।

📌শীতকালে শারীরিক পরিশ্রম বেশ কম হয়। এতে করে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। অনেকে শীতের মধ্যে অ্যালকোহল বেশি পান করেন। তাদের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
শীতকালে মানসিক অবসাদ বাড়ে। একাকী লাগে বেশি। মনের ওপর এ চাপে হতে পারে স্ট্রোক।

📌স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে করণীয়
স্ট্রোকে একবার আক্রান্ত হলে বারবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই স্ট্রোক থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই।

📌শীতকালে নিয়ন্ত্রণে রাখুন উচ্চ রক্তচাপ। নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করুন। অনিয়ন্ত্রিত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডায়াবেটিস ও স্ট্রোক একই মায়ের সন্তান।
📌তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন কঠোরভাবে।
ধূমপান ও মদপানে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।
📌শীতে ধূমপান একেবারেই বন্ধ করুন।
হার্ট অ্যাটাক, অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন, হার্ট বড় হয়ে গেলে, ভাল্বের সমস্যা ইত্যাদি কারণে রক্তজমাট বেঁধে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। তাই এ রোগগুলোর চিকিৎসা করান।
পুষ্টিকর খাবার খান : প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খান। প্রতিদিনের খাবারে পাঁচ ভাগের এক ভাগ ফলমূল ও শাকসবজি খান। রেড মিট যেমন- গরু, ছাগল, ভেড়ার গোশত কম খান। চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। এতে বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যেটা ধমনীতে চর্বির আস্তরণ পড়তে সহায়তা করে। লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। লবণ খাবেন না। আঁশযুক্ত খাবার বেশি বেশি করে খান।

📌কমিয়ে ফেলুন শরীরের অতিরিক্ত ওজন : নিয়মিত ব্যায়াম করুন। গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ ব্যায়াম করে তাদের রক্তচাপ, রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কমে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

📌হাঁটা ভালো ব্যায়াম। হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় মেনে হাঁটুন। সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ মাইল হাঁটুন।
মানসিক চাপ কমান : রাগ কমান, কমিয়ে ফেলুন মানসিক চাপ। জোর করে হলেও হাসুন প্রাণ খুলে। মেডিটেশন করতে পারেন। এত কমবে মানসিক চাপ, বাড়বে আত্মবিশ্বাস।
রক্তে কোলস্টেরল কমিয়ে ফেলুন : রক্তে কোলস্টেরল বেশি হলে রক্তনালীতে চর্বি জমে রক্তনালী বন্ধ হয়। নিয়ন্ত্রণে রাখুন কোলস্টেরলের মাত্রা।

আজকের মত এ পর্যন্তই
আল্লাহ হাফেজ। 🌻🌻

24/10/2022

🔆চিকিৎসা বিজ্ঞানের আশীর্বাদঃ ফিজিওথেরাপি

ফিজিওথেরাপি হলো একটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর সব কথা শুনে-বুঝে, রোগীকে ভালোভাবে দেখে এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর সঠিক রোগ, আঘাত বা অঙ্গ বিকৃতির ধরন নির্ণয় করে রোগীকে বিভিন্ন ধরনের ফিজিক্যাল মেথড যেমন ম্যানুয়াল টেকনিক, তাপ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা করে থাকেন।

আমরা যত আধুনিক প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে চলছি তত বেশি পরিমাণ স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছি। দেখা গেছে শরীরের বিভিন্ন রোগ শুধু ওষুধ দিয়ে নিরাময় করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে যে সব রোগের উৎস বিভিন্ন মেকানিক্যাল সমস্যা, সেসব ক্ষেত্রে ওষুধের ভূমিকা তুলনামূলকভাবে কম। যেমন- বাত, কোমর ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, আঘাতজনিত ব্যথা, হাড় ক্ষয়জনিত রোগ, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, মুখ বেঁকে যাওয়া, সেরিব্রাল পালসি, স্পোর্টস ইনজুরি ইত্যাদি।

✅✅অর্থপেডিক সমস্যা ও ব্যথার রোগীদের জন্য ফিজিওথেরাপি

নানা ধরনের বাত, যেমন—স্পন্ডিলাইটিস, স্পন্ডাইলোসিস, স্পন্ডিলিসথেসিস; অর্থাৎ ঘাড়, কোমর ও মেরুদণ্ডের ব্যথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বেশ কাজে দেয়। পাশাপাশি অস্থিসন্ধির বাত, হাঁটুর ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডার বা কাঁধে ব্যথা এবং পায়ের গোড়ালির সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অপরিহার্য। হাড়ের রোগ অস্টিওপোরোসিস, মাংসপেশির রোগ সারকোপেনিয়াতে ফিজিওথেরাপির বিকল্প নেই।

✅✅স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যায় ফিজিওথেরাপি

স্ট্রোক, স্পাইনাল কর্ড ও নার্ভ ইনজুরির কারণে সৃষ্ট প্যারালাইসিস এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার বিকল্প নেই। এ ধরনের সমস্যায় নিউরোলজিক্যাল ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম। আঘাত অথবা শল্যচিকিৎসায় স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতায় ভুগে পঙ্গুত্ববরণ করে অনেকে। এ ধরনের রোগীর শরীর অবশ হয়ে যায় বা মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়। এসব রোগীর শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ানো এবং অস্থিসন্ধি সচল রাখা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে। তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় সক্ষম করে তুলতেও ফিজিওথেরাপির বিকল্প নেই।

✅✅ক্যান্সার ও ফিজিওথেরাপি

ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী অসুস্থতার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি। চিকিৎসাধীন অনেক ক্যান্সার রোগী দুর্বলতা ও ক্লান্তি বোধ করে। ফিজিওথেরাপি ক্যান্সার রোগীকে সামগ্রিক পেইন ম্যানেজমেন্ট করতে পারে, দীর্ঘস্থায়ী নিষ্ক্রিয়তা কমাতে পারে, ক্যান্সারের ওষুধ ও কেমোথেরাপির কারণে স্নায়ুর ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারে এবং এর জন্য রোগীর বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে ডি-কন্ডিশনের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। ক্যান্সার রোগীদের বিশেষ প্রয়োজনীয়তাগুলো বোঝে এমন একটি উন্নত স্বাস্থ্যসম্মত পুনর্বাসন ক্লিনিক খোঁজা এবং রিহ্যাবিলিটেশনের জন্য ক্যান্সার রোগী চিকিৎসা দিয়ে অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট খুঁজে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

✅✅শিশুরোগ ও ফিজিওথেরাপি

অনেক শিশু জন্মগতভাবে প্যারালাইসিস বা সেরিব্রাল পালসি, ডাউন সিনড্রোম, অটিজম ও মেরুদণ্ডের সমস্যা নিয়ে জন্মায়। ফলে তাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত হয়। আবার দেখা যায়, অনেক শিশুর হাত-পা বেঁকে যায় কিংবা বিকলাঙ্গতা দেখা দেয়। এসব শিশুর ফিজিওথেরাপি অত্যাবশ্যক এবং তা অবশ্যই শিশু ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে হওয়া বাঞ্ছনীয়।

✅✅স্পোর্টস ইনজুরি ও ফিজিওথেরাপি

খেলা ও ফিজিওথেরাপি যেন অবিচ্ছেদ্য। একে অন্যের পরিপূরক। খেলাধুলা করলে ইনজুরি হতেই পারে। তাই স্পোর্টস ইনজুরি প্রতিরোধ এবং ইনজুরিতে পড়া খেলোয়াড়কে বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে খেলার উপযোগী করতে স্পোর্টস ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞরা ভূমিকা রাখছেন।

✅✅হৃদরোগ, শল্যচিকিৎসার পর ফিজিওথেরাপি

বুকে কফ জমা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদেরও ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন পড়ে। হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে রোগীর অক্সিজেন ধারণক্ষমতা ঠিক রাখতে ফিজিওথেরাপি দিতে হয়। রোগীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় এ ক্ষেত্রে অ্যারোবিক এক্সারসাইজের প্রেসক্রিপশন মেনে ফিজিওথেরাপি করতে হয় এবং ভুল হলে রোগীর জীবন হুমকির মুখে পড়ে। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) রোগীদেরও ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন হয়।

অন্যান্য শল্যচিকিৎসা বা অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে মাংসপেশি ও অস্থিসন্ধির স্বাভাবিক ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হয়, এমন রোগীদের সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপি ভালো কাজ দেয়। এর জন্য শল্যচিকিৎসার ওপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।

✅✅পোড়া রোগীদের ফিজিওথেরাপি

আমাদের দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। আগুনে পোড়া রোগীর দীর্ঘদিন ধরে মাংসপেশি সংকুচিত হয়ে থাকে, অস্থিসন্ধির স্বাভাবিক ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় যদি নিয়মিত ফিজিওথেরাপি নেওয়া হয়, ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা যায়।

✅✅পুনর্বাসন ও বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ফিজিওথেরাপি

⭕দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রবীণ, যাঁরা হাড়ের জয়েন্ট ও মাংসপেশির ব্যথা, শারীরিক দুর্বলতাসহ বিভিন্ন রকম বার্ধক্যজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। বার্ধক্যে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হয়। মাংসপেশি ক্ষয় হয়। এ কারণে অনেকে চলাফেরার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। এসব মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের ক্ষমতা বজায় রাখতে ফিজিওথেরাপির বিকল্প নেই।

⭕সড়ক দুর্ঘটনার কারণে হাত-পা হারানো ব্যক্তির কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজনের প্রয়োজন হয়। গাছ কিংবা ওপর থেকে পড়ে গিয়ে কিংবা কোনো দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডের স্পাইনাল কর্ড ইনজুরিজনিত কারণে অনেকেই পঙ্গুত্বের শিকার হয়। এসব মানুষের চলাফেরা স্বাভাবিক করতে ফিজিওথেরাপি একমাত্র পদ্ধতি। অর্থোপেডিক ও নিউরোলোজি ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেওয়া বেশি কার্যকর।

✅✅নারীস্বাস্থ্য ও ফিজিওথেরাপি

দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠী নারী। হরমোন, স্ট্রাকচারাল মেকআপ, গর্ভাবস্থা ও প্রসবের কারণে নারীদের শরীরে ব্যথা এবং নানা ধরনের সমস্যায় ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন হয়। জেনিটাল অঙ্গে ব্যথা ও দুর্বলতা, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হওয়া, প্রসবপূর্ব ও প্রসবোত্তর পেশির ব্যথা, স্তন ক্যান্সারে অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন, লিম্ফেডেমা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সমস্যায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা কার্যকর। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে পেলভিক ফ্লোরকে শক্তিশালী করলে গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের সময় ও পেলভিক ফ্লোর সম্পর্কিত সমস্যা প্রতিকার ও প্রতিরোধে নারীদের জন্য অনেক কার্যকর ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে মেনোপজের পর স্বাভাবিকভাবেই হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। এ ক্ষেত্রে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট হাড় শক্তিশালী করতে এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারেন।

ক্যান্সার এবং এর বিভিন্ন চিকিৎসা বিভিন্ন ধরনের কষ্টদায়ক শারীরিক ও মানসিক প্রভাবের সাথে যুক্ত, যা চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর বছরের পর বছর ধরে রোগীদের প্রভাবিত করতে পারে। ব্যায়াম করা ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের তাদের অসুস্থতার ফর্ম এবং পর্যায় নির্বিশেষে তাদের জীবনের মান উন্নত করবে। ক্যান্সারের পথের মধ্যে ব্যায়াম-চালিত ফিজিওথেরাপির অন্তর্ভুক্তি বৈকল্য কমাতে এবং প্রতিরোধ করতে পারে। বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি লিম্ফোডিমা এবং ক্লান্তির মতো কষ্টদায়ক উপসর্গগুলিও উপশম করতে পারে, যা ক্যান্সারে আক্রান্ত সমস্ত রোগীদের 75-95% দুর্বল করে দেয়।

প্রমাণ দেখায় যে ব্যায়াম ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করে। পাকস্থলী, স্তন এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারে মৃত্যুহার যথাক্রমে 50 শতাংশ, 40 শতাংশ এবং 30 শতাংশ হ্রাস করা যেতে পারে। এছাড়াও, প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে রোগের প্রকোপ 57% কমে গেছে যারা সপ্তাহে তিন ঘন্টা মাঝারি-তীব্র ব্যায়াম করেছিলেন।

অত্যধিক ওজন বৃদ্ধি এবং হ্রাস অনেক রোগীর জন্য সমস্যা হতে পারে, তাদের ক্যান্সার নির্ণয়, পর্যায় এবং ফর্মের উপর নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট একটি ভাল ওজন বজায় রাখা এবং ক্যান্সার রোগীদের পেশী নষ্ট হওয়া এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ।

ফিজিওথেরাপি ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে, শরীরকে শক্তিশালী করে এবং একজন ব্যক্তির কাজে ফিরে যাওয়ার ক্ষমতা উন্নত করতে পারে। কিছু ক্যান্সারের থেরাপি হাড়ের সামঞ্জস্য কমাতে পারে যা অস্টিওপোরোসিস, ভঙ্গুরতা, ব্যথা এবং অক্ষমতার ঝুঁকি বাড়ায়। ফিজিওথেরাপি ব্যায়াম করা হাড়ের ক্ষয় এবং কম হাড়ের ঘনত্বের রোগীদের ঝরে পড়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।

ক্যান্সার রোগীদের শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক ব্যথা নিয়ন্ত্রণের সমস্যা থাকতে পারে। ফলস্বরূপ, ব্যথা উদ্বেগ, নিষ্ক্রিয়তা এবং আরও দুর্বলতার একটি দুষ্ট চক্রের দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং তাই হাসপাতালে থাকার সময়কাল বাড়িয়ে দেয়। ফিজিওথেরাপিকে দেখানো হয়েছে যে একজন ডাক্তার হিসাবে কম রাতের সাথে হাসপাতালে থাকার সংখ্যা কমিয়ে দেয় যা জীবনের বৃহত্তর মানের প্রতিনিধিত্ব করে এবং খরচ সাশ্রয় করে এবং তাই ক্যান্সার রোগীদের জন্য ফিজিওথেরাপির বিভিন্ন সুবিধা প্রমাণ করে।

ফিজিওথেরাপির প্রধান উপায়গুলির মধ্যে একটি হল ক্যান্সার-সম্পর্কিত ক্লান্তির চিকিত্সা করা, যারা থেরাপির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি। একজন ফিজিওথেরাপিস্ট একজন রোগীকে মূল্যায়ন করতে পারেন, এবং ঠিক করতে পারেন তারা ঠিক কোন সমস্যার সম্মুখীন হন। এই সমস্যাগুলিকে মোকাবেলা করার মধ্যে যেকোন পেশী বা হাড়ের অবনতির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য শক্তি প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে; গতিবেগ এবং শ্বাসকষ্ট সম্পর্কিত শক্তি সমস্যা সমাধানের জন্য বায়বীয় প্রশিক্ষণ; কার্ডিওভাসকুলার এবং সহনশীলতা প্রশিক্ষণ; বা কাইনসিওলজি, আন্দোলন বিজ্ঞান যা রোগীদের কীভাবে দুর্বলতাগুলি সমাধান করতে হয় এবং তাদের শারীরিক ক্ষমতার সবচেয়ে দক্ষ ব্যবহার করতে শিখতে সাহায্য করতে পারে।

ব্যথা ব্যবস্থাপনা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যেখানে ফিজিওথেরাপিস্ট প্রায় যেকোনো রোগীকে সহায়তা করতে পারেন। ক্যান্সার শারীরিক যন্ত্রণার কারণ হতে পারে এমন অনেক উপায় রয়েছে। সেখানেই ক্যান্সার নিজেই পাওয়া যায়। গতিশীলতা হ্রাসের ফলে জয়েন্ট বা পেশীতে শক্ত হয়ে যেতে পারে তা অন্য। পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি হল স্নায়ুর কর্মহীনতা যা ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ুর কারণে ব্যথা হয়। ফিজিওথেরাপির এই সমস্যাগুলিকে ম্যাসেজ বা মবিলাইজেশন থেরাপির মতো থেরাপির মাধ্যমে চিকিত্সা করা এবং রোগীদের কীভাবে ব্যথা প্রতিরোধ করা যায় তার পরামর্শ দেওয়া উচিত।

লিম্ফেডেমা, তরল জমার কারণে শরীরের অঙ্গগুলির ফুলে যাওয়া, কিছু ক্যান্সারের চিকিত্সার আরেকটি পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। সাধারণত এটি বাহুতে বা ক্যান্সার-আক্রান্ত শরীরের অংশে ঘটে। লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই তরলটি ধরে রাখা হয়, যা সার্জারি বা রেডিয়েশন থেরাপি, সংক্রমণ বা ক্যান্সারের কারণে ঘটতে পারে। ফিজিওথেরাপিস্টরা নিজেরাই তরল নিষ্কাশন করে, রোগীকে বিভিন্ন ব্যায়াম শেখান এবং ব্যান্ডেজ করার জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে এর সমাধান করতে পারেন।

যদিও ফিজিওথেরাপি নিজেই ক্যান্সারের সাথে মোকাবিলা করার জন্য ব্যবহার করা হয় না, এটি রোগীদের তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করার জন্য একটি খুব দরকারী উপায় হতে পারে। এটি শুধুমাত্র তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং তাদের শক্তি ও স্বাধীনতা দিয়ে ক্যান্সারের সাথে মোকাবিলা করার কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করার ক্ষমতা দেয়। যদিও ক্যান্সারের সাথে মোকাবিলা করার সম্ভাব্য পথের সংখ্যা প্রায়শই ভয়ঙ্কর বলে মনে হতে পারে, ফিজিওথেরাপি রোগীদের যতটা সম্ভব এই বিকল্পগুলির মধ্যে অনেকগুলি অনুসরণ করার জন্য শক্তির ভিত্তি তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে, যা তাদের রোগকে পরাজিত করার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত পথ খুঁজতে সক্ষম করে।

কার্ডিওলজী বা হার্ট বা হৃদপিন্ড – এর চিকিৎসা বা অপারেশনের আগে ও পরে রোগীর ফুসফুসের অক্সিজেন ধারণক্ষমতা প্রয়োজন মত আছে কিনা বা কফ্ জমা আছে কিনা বা অপারেশনের পরে যে সকল শারীরিক অসমর্থতা বা অক্ষমতা দেখা দেয় যার কারণে শারীরিক বিকলঙ্গত্ব হয়ে থাকে।

এমন কি ফিজিওথেরাপির অভাবে একজন রোগী অপারেশন পরবর্তী সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পুর্ণ ব্যবহার করায় বাধাগ্রস্থ হতে পারে। অপারেশন পরবর্তী পর্যায়ে রোগী যখন ‘ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে’ (আই.সি.ইউ. অথবা সি.সি.ইউ-তে) থাকে তখন যদি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা প্রদান করা না হয় তাহলে সেই রোগীর অবশ্যই পরবর্তী সময়ে বক্ষব্যধি (শ্বাসকষ্ট) বা শারিরীক বিকলঙ্গত্ব বা ডিফরমিটি স্থায়ীভাবে দেখা দেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে এবং সেইজন্য ফিজিওথেরাপি অনস্বীকার্য চিকিৎসা।

অপারেশনের পরবর্তি সময়ে রোগীর হাটা-চলা, অপারেশনের অংশ বা সেই সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কোনওধরণের বিকলাঙ্গত্ব ব্যতীতই যাতে সঠিকভাবে সুস্থ্যভাবে ব্যবহার করিতে পারে তাহার নিশ্চয়তার জন্য অবশ্যই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা প্রয়োজন।

✅✅স্ট্রোকের রোগীর ক্ষেত্রে একজন ফিজিওথেরাপিস্টের ভুমিকা হল – স্ট্রোক আক্রান্ত একজন রোগীকে সর্বচ্চো পরিমান শারিরীক ভাবে স্বচ্ছল এবং তার কাজকর্মে স্বাধীন করা ।

আর এইসব অর্জন করা হয় চারটি ধাপে –

১। কিছু টেকনিক ব্যবহার করে পুনরায় মুভমেন্ট শিখানোর মাধ্যমে,
২।কিছু স্ট্যাটেজি ব্যবহার করে যা তাদের খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে ,
৩। পরবর্তী সমস্যা প্রতিরোধ করে এবং
৪। সক্ষমতা ও ফাংশন ধরে রাখার মাধ্যমে ।

তবে স্ট্রোক রোগীকে ভাল করতে হলে, শুধু ট্র্যাডিশনাল ফিজিওথেরাপি দিলেই হবে না । অনেকগুলো ইভিডেন্স বেইজড ট্রিটমেন্ট এপ্রোচ আছে, সবগুলোর উপরই ভাল ধারনা রাখতে হবে ।

⭕স্ট্রোকের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা কয়েকটি মূলনীতির উপর ভিত্তি করে করতে হয়, যেমন —–

১। আই সি এফ (ICF – Internation classification of functioning , Disability and Health ) গাইডলাইন ফলো করা গুরুত্বপূর্ন। ২০১১ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা আইসিএফকে তুলে ধরে । আইসিএফ মূলত তিনটি বিষয়ের উপর ফোকাস করা হয় Body Function ( Impairment) , Individual (Activity Limitation) & Societal ( Participation Restriction ) । যেমম একজন স্ট্রোক রোগীর ব্রেইনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারনে হাত পা নড়াতে পারে না এটাই হল তার Impairment , এর ফলে সে হাটা চলা করে না এটা হল Activity Limitation অর্থাৎ Disability , হাটাচলা না করার কারনে সামাজিক কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হয় এটা Participation Restriction । এই তিনটি বিষয় মাথা রেখে এসেস করতে হয় এবং সমস্যা বের করতে হয় ।

২। স্ট্রোকের চিকিৎসা অবশ্যই টিম ওয়ার্ক হতে হবে । ফিজিওথেরাপিস্ট ওই টিমের একজন গুরুত্বপূর্ন চিকিৎসক । টিমে নিউরোলজিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, স্পীচ থেরাপিস্ট এবং নার্স সহ আরও অনেকে থাকতে পারে ।

৩। স্ট্রোক রোগীকে রিহ্যাবিলেটেশন সেন্টার কেন্দ্রীক ফিজিওথেরাপি দেওয়া উচিত । রিহ্যাবিলিটেশন আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল গুলোতে সম্ভব না ।

৪। নিউরোপ্লাস্টিসিটি ঃ একজন মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে সাধারন ব্রেইনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়, এই ক্ষতি কোনভাবেই পুনরায় আর ভাল করা যায় না । তাই শরীরের যেকোন এক পাশের হাত পা , এমন কি মুখও অবশ হয়ে যায় অর্থাৎ প্যারালাইসিস বা চলাচলে অক্ষম হয়ে যায় । তখন ফিজিওথেরাপিস্ট ওই ব্যক্তির ব্রেইনের ক্ষতি গ্রস্ত অংশের কাজ ব্রেইনের ভাল অংশ দিয়ে শিখিয়ে দেয় অর্থাৎ ভাল অংশে তখন নতুন নিউরাল পথ তৈরি হয় । এইভাবে রোগী আবার চলাচলে সক্ষম হয় । এটাকে নিউরোপ্লাস্টিসিটি বলে । এই কাজটা একজন ফিজিওথেরাপিস্ট খুব ভাল্ভাবে স্ট্রোক রোগীদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ন করতে হয় ।

৫। ফাংশনাল মুভমেন্ট গুলো পুনরায় শিখানো হয়, যেমন বসা, শোয়া থেকে বসা, দাঁড়ানো , হাঁটা ।

৬। সেলফ ম্যানেজম্যান্ট ঃ রোগী যেন নিজে ম্যানেজ করতে পারে অনেক কিছু , সেই ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হয় ফিজিওথেরাপিস্ট কে ।

©️

21/10/2022

✅✅✅ Neck Pain ✅✅✅

Those ✅ Exercise will help you to strengthen your neck muscle...✅
✅ You will relieve from Neck Pain also...✅

বাসায় ফিজিওথেরাপি সেবার জন্য অভিজ্ঞ এবং  রেজিস্টার্ড ফিজিওথেরাপিষ্ট খুঁজছেন ?                       তাহলে  আপনার জন্য, ...
14/10/2022

বাসায় ফিজিওথেরাপি সেবার জন্য অভিজ্ঞ এবং রেজিস্টার্ড ফিজিওথেরাপিষ্ট খুঁজছেন ?
তাহলে আপনার জন্য, আপনার নিজ এলাকায় আমাদের তালিকা ভুক্ত ডিপ্লোমা এবং বি,এস,সি- সনদধারী অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিষ্টগণ পৌঁছে যাবে আপনার বাসায়।
🔰চট্টগ্রাম শহরে আমরাই প্রথম পূর্ণাঙ্গ হোম কেয়ার সার্ভিস দিয়ে থাকি🔰
✳️ যে সকল রোগের ফিজিওথেরাপি সেবা নিতে পারবেনঃ-
❇️আমাদের সেবা সমূহঃ❇️
১) স্ট্রোক পরবর্তী প্যারালাইসিস ।
২) পারকিনসন্স ডিজিজ।
৩) সেরিব্রাল পলসি বা প্রতিবন্ধী ।
৪) PLID বা কোমর ব্যাথা।
৫) হাঁটু ব্যাথা।
৬) ঘাড়ে ব্যাথা।
৭) ফ্রোজেন শোল্ডার বা কাঁধে ব্যাথা।
৮) বেলস পলসি বা মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া।
৯) স্পাইনাল অপারেশন পরবর্তী ফিজিওথেরাপি ।
১০) অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা বাঁত ব্যথা।
১১) হাত-পা অবশ বা ঝিনঝিন হওয়া।
১২) মাংশ পেশিতে ব্যথা।
১৩) জি বি এস ভাইরাসে আক্রান্ত।
১৪) লিগামেন্ট,টেন্ডন,সফট টিস্যু ইন্জুরি।
১৫) পায়ের গোড়ালী ব্যথা।
১৬) PLANTER FASCITIS
১৭)কারপাল টানেল সিনড্রোম।
১৮) টেনিস এলবো।
১৯) CLUB FOOT/ FOOT DROP
২০)ANKYLOSING SPONDYLITIS

✅✅আপনি কেন আমাদের সেবা নিবেন? ✅✅
কারণঃ
✅আমরা আছি চট্টগ্রাম শহর-এর সব এরিয়াতে ।
✅আমাদের সকল ফিজিওথেরাপিষ্ট মিনিমাম ডিপ্লোমা এবং বি,এস,সি ডিগ্রিধারী ।
✅অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও আন্তরিক ফিজিওথেরাপিষ্ট টিম ।
✅কম খরচে- বিশ্ব মানের সেবা ।
✅ সাশ্রয়ী এবং ইমার্জেন্সি কল এ কাছে পাবেন ২৪/৭।
✅ রোগীর সুবিধা মতো সময়ে ফিজিওথেরাপি দেওয়ার ব্যবস্তা।
✅ আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, আমরা সবরকম তথ্য যাচাই বাছাই করে ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ করে থাকি।
তাই বিশ্বমানের ফিজিওথেরাপি সেবা পেতে এখনই যোগাযোগ করুন-
0️⃣1️⃣3️⃣0️⃣3️⃣🔸0️⃣3️⃣4️⃣5️⃣3️⃣1️⃣

🔰আমাদের অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট পৌছে যাবে আপনাদের ঠিকানায়।
🔰হোম সার্ভিস চার্জ – আলোচনা সাপেক্ষে / প্রতি সেশন ( নুন্যতম ৪৫মিনিট)।

✅কার্পাল টানেল সিনড্রোম ✅(CARPAL TUNNEL SYNDROME) 🟢রোগের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গুরুত্বঃকার্পাল টানেল সিনড্রোম এক...
14/10/2022

✅কার্পাল টানেল সিনড্রোম
✅(CARPAL TUNNEL SYNDROME)

🟢রোগের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গুরুত্বঃ
কার্পাল টানেল সিনড্রোম একটি অতি পরিচিত রোগ। সাধারনত এ ক্ষেত্রে হাতের কব্জি এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি থেকে মধ্যমা পর্যন্ত তিন আঙুল পর্যন্ত ব্যথা হবে, ঝিন ঝিন বা শির শির করবে,অবশ অবশ মনে হবে এবং দুর্বল হয়ে যাবে। তবে কনিষ্ঠ আঙুল কখনো আক্রান্ত হয় না।রাতের বেলায় রক্ত সঞ্চালন কম হওয়ার কারণে ব্যথা বৃদ্ধি পায়। বুড়ো আঙুলের গোড়ার মাংসপেশি ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায় ও আঙুল দুর্বল হয়ে যায়, কাজ করলে ব্যথা বাড়ে। হাত মৃদু ঝাঁকালে বা ঝুলিয়ে রাখলে একটু আরাম অনুভব হয়। ব্যথা কব্জি থেকে ওপরের দিকে উঠতে পারে।
রাতে এ রোগের বেশি যন্ত্রণা হতে পারে।

🔴কারনঃ
এটি মূলত কার্পাল টানেলের মিডিয়ান নার্ভের উপর চাপ পরার কারনে হয়ে থাকে।এই চাপ বিভিন্ন কারনে পরতে পারে।
যেমনঃ হাইপোথাইরয়েডিজম, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, গাউট, নিয়মিত মদ্যপান, গর্ভধারণ করা , ওজন বাড়া, প্রভৃতি কারণের জন্য এই কার্পাল টানেল ছোট হয়ে যায়। এ ছাড়াও কব্জির হাড় ভেঙে সঠিকভাবে জোড়া না লাগলে বা দীর্ঘদিন প্লাস্টার করে রাখার ফলে কার্পাল টানেলে চাপ পড়তে পারে।তবে মধ্যবর্তী বয়সের মহিলারাএ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
🟢চিকিৎসাঃ
কার্পাল টানেল সিনড্রোম রোগের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
১।প্রাথমিক অবস্থায় কবজির বিশ্রাম খুবি গুরুত্বপূর্ণ ।
২। ব্যথার ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।
৩। UST
৪। TENS
৫। IRR
৬।হট কমপ্রেসন।
৭। স্টেরয়েড ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে।
৮। রাতে ঘুমানোর সময় সিপ্রন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
৯। সর্বশেষ সার্জারী করতে হবে।
------------------------------------------------
🟥🟥🟥 এ ছাড়াও কব্জির ওপরে চাপ পড়ে এমন কাজ না করাই উচিত।
🚫 যেমন:
কাপড় ধোয়া
টিউবওয়েল চাপা
একটানা লেখালেখি না করা না,
দা কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কিছু কাটাকাটি না করা,
ড্রিল মেশিন ব্যবহার না করা ,
হাতে ভারী ওজন বহন করা না ।
কোনো ভারী জিনিস টানা যাবে না,
হাত দিয়ে ইট বহন করা যাবে না,
হাতের কব্জি বেশি নাড়া চারা করা যাবে না।

14/10/2022
14/10/2022

Address

Chittagong

Telephone

+8801303034531

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Stroke Rehab. & Unique Physiotherapy Services, Chattogram. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram