19/07/2022
চিকিৎসকদের মতে, অ্যালোভেরা জেল নিরাপদ যখন এটি ওষুধ বা জেল হিসেবে চামড়ায় প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে যখন অ্যালোভেরার ভেতরের রসালো পদার্থটি বের করা হয় তখন এর সঙ্গে ভুলবশত ‘অ্যালো লেটেক্স’বের হতে পারে। যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই ল্যাটেক্স অ্যালোভেরার পাতার মধ্যেই থাকে। যার রঙ হলদে। যদি অ্যালোভেরার শাঁসের সঙ্গে এই ল্যাটেক্স শমশে যায় আর তা যদি খাওয়া হয় তবে এটি শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। অ্যালো ল্যাটেক্স পেট ব্যথা এবং ক্র্যাশ যেমন কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আর অজান্তেই যদি ল্যাটেক্স এর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার করা হয় তবে ডায়রিয়া, কিডনি সমস্যা, প্রস্রাব রক্ত, কম পটাশিয়াম, পেশী দুর্বলতা, ওজন হ্রাস এবং হৃদয় ব্যাঘাত ক্লেইন ল্যাটেক্সের উচ্চমাত্রা এমনকি কিডনি ফেইলির ঝুঁকির মধ্যে রাখতে পারে। এমনকি অ্যালো ল্যাটেক্স ব্যবহারের ফলে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে মায়ের বুকের দুধ সন্তানকে খাওয়ার মাধ্যমেও এর ক্ষতিকর প্রভাব মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রেও ত্বকে ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অ্যালো ল্যাটেক্স খাওয়ানোর মাধমে শিশুর পেট ব্যথা ও ডায়রিয়া হতে পারে।
ভারতীয় একটি হেলথকেয়ার সেন্টারের প্রধান এবং পুষ্টিবিজ্ঞানী ডা. দীপী বাগি বলেন, অ্যালোভেরা বিষাক্ততা এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। আমলা এবং অ্যালোভেরার শরবত এমন একটি পানীয় যাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি রয়েছে। যা মানবদেহের খাবার হজমে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আরেক পুষ্টিবিজ্ঞানী অমরদ্বীপ করের মতে, অ্যালোভেরা, আমলা এবং নীম শারীরিক জটিলতায় ঔষধ হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এগুলোর সঠিক প্রয়োগ না হলে এমনকি অতিরিক্ত প্রয়োগের ক্ষেত্রে শরীরে আরো রোগ ব্যাধির বিস্তার ঘটতে পারে।