IMT Globals

IMT Globals IMT GLOBALS is a medical tourism company, works with top International Hospitals all over the world

বাচ্চাদের পেটের সমস্যা? জানুন এর লক্ষণ ও প্রকারভেদ. ❤👉 বাচ্চাদের পেটের সমস্যা হলে যে সাধারণ উপসর্গ দেখা যায়:🔴 পেটে ব্যথা...
17/03/2025

বাচ্চাদের পেটের সমস্যা? জানুন এর লক্ষণ ও প্রকারভেদ. ❤

👉 বাচ্চাদের পেটের সমস্যা হলে যে সাধারণ উপসর্গ দেখা যায়:

🔴 পেটে ব্যথা বা পেটে ক্র্যাম্প
🔴 বাচ্চা তার প্রিয় খাবার খেতে চায়না
🔴 পেট ফুলে যাওয়া
🔴 বমি বা বমি ভাব হওয়া
🔴 কোষ্ঠকাঠিন্য
🔴 ঘুমের সমস্যা হওয়া
🔴 জ্বর
🔴 শিশু বারবার কান্নাকাটি করে বা বিরক্তি দেখায়

👉বাচ্চাদের পেটের সমস্যা ও তার ধরন:

🔴 বদহজম

এটি শিশুদের পেটের সমস্যা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ। যখন শিশুরা অতিরিক্ত খায় বা এমন কিছু খায় যা তাদের উপযুক্ত নয়, তখন বদহজম হয়। যেমন, মশলাদার খাবার ও কার্বনেটেড পানীয়।
বদহজমের অন্যান্য কারণ হল দ্রুত খাওয়া, অসময়ে খাওয়া বা মানসিক চাপ। বদহজম হলে বাচ্চারা সাধারণত পেটের মাঝখানে পেটে ব্যথার অভিযোগ করে, যার সাথে সে অস্থিরতা প্রকাশ করে এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাচ্চার পেট ফুলে যায়। তারা খাবার খেতে অস্বীকার করতে পারে। বদহজমের ব্যথা সাধারণত গ্যাস বা মল ত্যাগের পরে চলে যায়।

👉 বদহজমের প্রতিকার

🟢 ধীরে ধীরে খাওয়া এবং সঠিকভাবে চিবানো
🟢 কার্বনেটেড পানীয় এবং অন্যান্য চর্বিযুক্ত এবং মশলাদার খাবারের মতো খাবার শিশুকে না দেওয়া
🟢 শিশুকে অতিরিক্ত খাবার না খাওয়ানো
🟢 সঠিক বিশ্রাম এবং নিয়মিত মলত্যাগ নিশ্চিত করা

🔴 পাকস্থলীর ঘা
যদিও অস্বাভাবিক, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে পেটের আলসার বা পেপটিক আলসার বাচ্চাদের মধ্যে হতে পারে। পেপটিক আলসার হলে হঠাৎ পেট ব্যথা শুরু করে, বা কখনও কখনও শিশু খাবার খাওয়ার 2-3 ঘন্টা পরে ঘটে। শিশু পেটের কেন্দ্রীয় অংশে ব্যথার অভিযোগ করতে পারে।

👉 পেটের আলসারের অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছেঃ

🔴 বুকের হাড়ের নিচে তীব্র ব্যথা
🔴 বমি বমি ভাব এবং বমি
🔴 ক্ষুধামন্দা
🔴 গাঢ় রঙের মল
🔴 কফি রঙের বমি

🔴 এধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে। 🔴

🔴 পেটের ফ্লু

পেটের ফ্লু বা গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস ছোট বাচ্চাদের আরেকটি সাধারণ ভাইরাল সংক্রমণ। এটি ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট এবং পাকস্থলী ও অন্ত্রকে প্রভাবিত করে।

এই সমস্যায় যে লক্ষণ দেখা দেয় তা হল ডায়রিয়া, বমি, পেট ব্যথা, জ্বর, শরীরের ব্যাথা, কান্নাকাটি এবং বিরক্তি।
পাকস্থলীর ফ্লু সময়ের সাথে সাথে নিজে থেকেই কমে যায়। যেহেতু এটি একটি ভাইরাল সংক্রমণ, তাই শিশুদের কোনো অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয় না। সংক্রমণের লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চিকিত্সা দেওয়া হয়।

🔴 খাবারের এলার্জি
এ বিষয়টি প্রায়শই অবহেলিত থাকে। কিছু নির্দিষ্ট খাবারে অ্যালার্জি যেমন দুগ্ধজাত, গম, বাদাম ইত্যাদি ছোট বাচ্চাদের পেটে ব্যথার কারণ হতে পারে। এটি প্রায়শই নির্ণয় করা যায় না তবে বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় সর্বদা বিবেচনা করা উচিত। একটি নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পর শিশুটি পেটে ব্যথা বা ফোলা ভাবের অভিযোগ করলে তা লক্ষ্য করুন।

খাবারে অ্যালার্জির অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি, ত্বকে চুলকানি বা লাল ফুসকুড়ি, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পরও শিশুর শরীরে বৃদ্ধি না হওয়া এবং ক্রমাগত দুর্বলতা অনুভব করা।

🔴 অ্যাপেন্ডিসাইটিস

অ্যাপেন্ডিসাইটিস একটি গুরুতর অবস্থা যা অ্যাপেন্ডিক্সে সংক্রমণের কারণে ঘটে। আপনার শিশুটি যদি কিছু দিন ধরে পেটের ডানদিকে তীব্র ব্যথার অভিযোগ করে, তবে এটি অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অন্যান্য লক্ষণ ও উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে ক্ষুধামন্দা, বারবার গ্যাস হওয়া, মল ত্যাগ করতে অসুবিধা, বমি বমি ভাব এবং বমি।
পেটের আল্ট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নির্ণয় করা হয়। এটি শুধুমাত্র অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিত্সা করা হয়।

🔴 ইন্টুসাসেপশন বা অন্ত্রে প্যাঁচ

শিশুদের মধ্যে ঘটছে আরেকটি গুরুতর সমস্যা হল intussusception। এটি ঘটে যখন অন্ত্রের একটি অংশ অন্যটির ভিতরে প্রবেশ করে। এটি সাধারণত তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রভাবিত করে। এর লক্ষণগুলি হল হঠাৎ পেটে ব্যথা, পেট শক্ত হওয়া, বাচ্চা পেটের দিকে তার হাঁটু টানছে, রক্ত ও শ্লেষ্মা ভর্তি মল, বমি ও দুর্বলতা। ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের আন্ত্রিক প্যাঁচের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে দেখা গেছে, ৬ মাস পূরণ হওয়ার আগেই যেসব শিশুর দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা হয় বা পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খাওয়ানো হয়, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে অন্ত্রে পলিপ, ডাইভারটিকুলাম (অন্ত্রের প্রাচীরে পিণ্ড), অ্যাপেন্ডিসাইটিস ইত্যাদি।

সময় নষ্ট না করে একজন শিশু সার্জনের পরামর্শ নিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফির মতো একটি সহজ পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো। এই পরীক্ষাতেই রোগটি নির্ণয় করা যায়। সময় মতো চিকিত্সা শুরু করলে কনজারভেটিভ চিকিৎসাতেই শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ হয়।

রোজায় স্বাস্থ্যসম্মত সেহেরি ও ইফতার | কী খাবেন আর কী খাবেন না? 🤔👉 রোজায় স্বাস্থ্যসম্মত সেহেরি কেমন হওয়া চাই ? ❤🟢 যারা ওজ...
10/03/2025

রোজায় স্বাস্থ্যসম্মত সেহেরি ও ইফতার | কী খাবেন আর কী খাবেন না? 🤔

👉 রোজায় স্বাস্থ্যসম্মত সেহেরি কেমন হওয়া চাই ? ❤

🟢 যারা ওজন নিয়ে একটু ঝামেলা পোহাচ্ছেন তারা সেহেরি খাওয়া শুরু করার আগে এক গ্লাস লেবুর শরবতের সাথে ১ চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে করে খাওয়া অতিরিক্ত হবে না। তবে যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তারা লেবু বাদ দিতে পারেন।

🟢 সেহেরিতে অবশ্যই লাল চালের বা একটু নরম ভাত রাখার চেষ্টা করবেন। তবে ভাতের সাথে রাখতে হবে উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন- মাছ, মাংস বা ডিম। সাথে মসুর বা মুগের ডালও রাখতে পারেন।

🟢 কম মসলা দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খেতে পারেন। এতে সব ধরনের সবজি, মুরগির মাংস যুক্ত করতে পারেন। এতে করে আপনি আপনার চাহিদা মত সকল পুষ্টি উপাদান একসাথে পাবেন। সেহেরির খাদ্য তালিকায় সবজি হিসেবে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, পেঁপে, আলু, টমেটো, পটল, ঢেঁড়স ইত্যাদি রাখতে পারেন।

🟢 হজমে সমস্যা হয় এমন কোনও খাবার সেহেরিতে খাওয়া উচিত নয়। যাদের গ্যাসের সমস্যা বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স নেই তারা চিনি ছাড়া ১ গ্লাস হালকা গরম দুধ পান করতে পারেন। তবে খুব ঘন দুধ পান না করাই ভালো।

🟢 খাবার শেষ করার কিছুক্ষণ পরে প্রয়োজন মতো পানি পান করে নিন। একবারে অতিরিক্ত পানি খাবেন না।

🟢 যারা ক্যালরি মেপে খাবার খেতে চান, তারা ওটস খিচুড়ি বা পাতলা লাল আটার রুটির সাথে সবজি খেতে পারেন। প্রোটিন সোর্স হিসেবে মাছ বা মাংস খাবেন, সাথে সালাদ।

🟢 সেহেরি শেষ করার ৫-১০ মিনিট পরে কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে করে খাবার সহজে হজম হবে।

👉 রোজায় স্বাস্থ্যসম্মত ইফতারের মেন্যু কেমন হবে ? ❤

🟢 শুরুতেই শরবতঃ দিনভর রোজা পালন শেষে ইফতার শুরু করুন শরবত দিয়ে। শরবতে যেন আর্টিফিশিয়াল রং, অতিরিক্ত চিনি না থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে। চিনির বদলে গুড়ের শরবত খেতে পারেন।

🟢 ইফতারে ফলের রসঃ শরবতের পরিবর্তে ফলের রস খেতে পারেন। ইফতারে ফলের রস বেশ উপকারী। ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ, যা আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখবে।

🟢 খাবার হোক সহজপাচ্যঃ সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় পাতলা স্যুপ, অল্প পরিমাণ ছোলা ও মুড়ি খেতে পারেন। দই-চিড়াও খেতে পারেন। এটি শরীরে শক্তি জোগাবে এবং হজমে সাহায্য করবে।

🟢 ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলুনঃ বেগুনি,পেঁয়াজু ইত্যাদি তেলে ভাজা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। খেলেও খুব অল্প পরিমাণে খান। ইফতারের পর থেকে শুরু করে যতক্ষণ জেগে থাকবেন পানি,তরল জাতীয় খাবার,শরবত খাওয়ার চেষ্টা করুন।

👉 রোজায় বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে বিষয়গুলো ❤

🟢 শর্করা ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, আঁশ জাতীয় সবজি, ফল খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।

🟢 নির্ধারিত ক্যালরির বাইরে খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করুন।

🟢 ইফতার করে সাথে সাথেই চা, কফি বা কোমল পানীয় পান করবেন না। এ ধরনের পানীয় পানিশূন্যতা বাড়ায়।

🟢 রোজার সময় হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন সন্ধ্যার দিকে নিয়মিত ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।

🟢 সেহেরির পরও ১৫-২০ মিনিট হাঁটতে পারেন।

বাচ্চাদের পেটের সমস্যা? 😭জানুন এর লক্ষণ ও প্রকারভেদ.... ❤👉 বাচ্চাদের পেটের সমস্যা হলে যে সাধারণ উপসর্গ দেখা যায়:🔴 পেটে ব...
27/02/2025

বাচ্চাদের পেটের সমস্যা? 😭
জানুন এর লক্ষণ ও প্রকারভেদ.... ❤

👉 বাচ্চাদের পেটের সমস্যা হলে যে সাধারণ উপসর্গ দেখা যায়:

🔴 পেটে ব্যথা বা পেটে ক্র্যাম্প

🔴 বাচ্চা তার প্রিয় খাবার খেতে চায়না

🔴 পেট ফুলে যাওয়া

🔴 বমি বা বমি ভাব হওয়া

🔴 কোষ্ঠকাঠিন্য

🔴 ঘুমের সমস্যা হওয়া

🔴 জ্বর

🔴 শিশু বারবার কান্নাকাটি করে বা বিরক্তি দেখায়

👉 বাচ্চাদের পেটের সমস্যা ও তার ধরন:

🔴 বদহজম

এটি শিশুদের পেটের সমস্যা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ। যখন শিশুরা অতিরিক্ত খায় বা এমন কিছু খায় যা তাদের উপযুক্ত নয়, তখন বদহজম হয়। যেমন, মশলাদার খাবার ও কার্বনেটেড পানীয়।
বদহজমের অন্যান্য কারণ হল দ্রুত খাওয়া, অসময়ে খাওয়া বা মানসিক চাপ। বদহজম হলে বাচ্চারা সাধারণত পেটের মাঝখানে পেটে ব্যথার অভিযোগ করে, যার সাথে সে অস্থিরতা প্রকাশ করে এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাচ্চার পেট ফুলে যায়। তারা খাবার খেতে অস্বীকার করতে পারে। বদহজমের ব্যথা সাধারণত গ্যাস বা মল ত্যাগের পরে চলে যায়।

👉 বদহজমের প্রতিকার

🟢 ধীরে ধীরে খাওয়া এবং সঠিকভাবে চিবানো
🟢 কার্বনেটেড পানীয় এবং অন্যান্য চর্বিযুক্ত এবং মশলাদার খাবারের মতো খাবার শিশুকে না দেওয়া
🟢 শিশুকে অতিরিক্ত খাবার না খাওয়ানো
🟢 সঠিক বিশ্রাম এবং নিয়মিত মলত্যাগ নিশ্চিত করা

🔴 পাকস্থলীর ঘা

যদিও অস্বাভাবিক, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে পেটের আলসার বা পেপটিক আলসার বাচ্চাদের মধ্যে হতে পারে। পেপটিক আলসার হলে হঠাৎ পেট ব্যথা শুরু করে, বা কখনও কখনও শিশু খাবার খাওয়ার 2-3 ঘন্টা পরে ঘটে। শিশু পেটের কেন্দ্রীয় অংশে ব্যথার অভিযোগ করতে পারে।

👉 পেটের আলসারের অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছেঃ

🔴 বুকের হাড়ের নিচে তীব্র ব্যথা

🔴 বমি বমি ভাব এবং বমি

🔴 ক্ষুধামন্দা

🔴 গাঢ় রঙের মল

🔴 কফি রঙের বমি

🟢 এধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে।

🔴 পেটের ফ্লু

পেটের ফ্লু বা গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস ছোট বাচ্চাদের আরেকটি সাধারণ ভাইরাল সংক্রমণ। এটি ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট এবং পাকস্থলী ও অন্ত্রকে প্রভাবিত করে।

🔴 এই সমস্যায় যে লক্ষণ দেখা দেয় তা হল ডায়রিয়া, বমি, পেট ব্যথা, জ্বর, শরীরের ব্যাথা, কান্নাকাটি এবং বিরক্তি।

🟢 পাকস্থলীর ফ্লু সময়ের সাথে সাথে নিজে থেকেই কমে যায়। যেহেতু এটি একটি ভাইরাল সংক্রমণ, তাই শিশুদের কোনো অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয় না। সংক্রমণের লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চিকিত্সা দেওয়া হয়।

🔴 খাবারের এলার্জি

এ বিষয়টি প্রায়শই অবহেলিত থাকে। কিছু নির্দিষ্ট খাবারে অ্যালার্জি যেমন দুগ্ধজাত, গম, বাদাম ইত্যাদি ছোট বাচ্চাদের পেটে ব্যথার কারণ হতে পারে। এটি প্রায়শই নির্ণয় করা যায় না তবে বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় সর্বদা বিবেচনা করা উচিত। একটি নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পর শিশুটি পেটে ব্যথা বা ফোলা ভাবের অভিযোগ করলে তা লক্ষ্য করুন।

👉 খাবারে অ্যালার্জির অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি, ত্বকে চুলকানি বা লাল ফুসকুড়ি, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পরও শিশুর শরীরে বৃদ্ধি না হওয়া এবং ক্রমাগত দুর্বলতা অনুভব করা।

🔴 অ্যাপেন্ডিসাইটিস
অ্যাপেন্ডিসাইটিস একটি গুরুতর অবস্থা যা অ্যাপেন্ডিক্সে সংক্রমণের কারণে ঘটে। আপনার শিশুটি যদি কিছু দিন ধরে পেটের ডানদিকে তীব্র ব্যথার অভিযোগ করে, তবে এটি অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অন্যান্য লক্ষণ ও উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে ক্ষুধামন্দা, বারবার গ্যাস হওয়া, মল ত্যাগ করতে অসুবিধা, বমি বমি ভাব এবং বমি।

🟢 পেটের আল্ট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নির্ণয় করা হয়। এটি শুধুমাত্র অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিত্সা করা হয়।

🔴 ইন্টুসাসেপশন বা অন্ত্রে প্যাঁচ

👉 শিশুদের মধ্যে ঘটছে আরেকটি গুরুতর সমস্যা হল intussusception। এটি ঘটে যখন অন্ত্রের একটি অংশ অন্যটির ভিতরে প্রবেশ করে। এটি সাধারণত তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রভাবিত করে। এর লক্ষণগুলি হল হঠাৎ পেটে ব্যথা, পেট শক্ত হওয়া, বাচ্চা পেটের দিকে তার হাঁটু টানছে, রক্ত ও শ্লেষ্মা ভর্তি মল, বমি ও দুর্বলতা। ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের আন্ত্রিক প্যাঁচের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে দেখা গেছে, ৬ মাস পূরণ হওয়ার আগেই যেসব শিশুর দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা হয় বা পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খাওয়ানো হয়, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে অন্ত্রে পলিপ, ডাইভারটিকুলাম (অন্ত্রের প্রাচীরে পিণ্ড), অ্যাপেন্ডিসাইটিস ইত্যাদি।

🔴 সময় নষ্ট না করে একজন শিশু সার্জনের পরামর্শ নিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফির মতো একটি সহজ পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো। এই পরীক্ষাতেই রোগটি নির্ণয় করা যায়। সময় মতো চিকিত্সা শুরু করলে কনজারভেটিভ চিকিৎসাতেই শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ হয়।

IMT Globals

রান্নায় বেঁচে যাওয়া তেল পুনর্ব্যবহার করা কতোটা স্বাস্থ্যসম্মত! 🤔🔴 রান্নায় বেঁচে যাওয়া তেল পুনর্ব্যবহার করলে যে ক্ষতি হতে...
23/02/2025

রান্নায় বেঁচে যাওয়া তেল পুনর্ব্যবহার করা কতোটা স্বাস্থ্যসম্মত! 🤔

🔴 রান্নায় বেঁচে যাওয়া তেল পুনর্ব্যবহার করলে যে ক্ষতি হতে পারে
👉 বিষাক্ত যৌগ তৈরি হয়ঃ একই তেল বারবার গরম করলে খাবারে বিষক্রিয়া হতে পারে। যা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বারবার গরম করা তেল থেকে বাজে গন্ধ হয়, তেলে HNE নামক ক্ষতিকর উপাদান সৃষ্টি হয় যা কোলেস্টেরল লেভেল বাড়িয়ে দেয়, এ থেকে অনেকের হার্টের সমস্যাও হতে পারে।

👉 পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাওয়াঃ পোড়া তেল ব্যবহারের সময় আগের রান্নার কিছু অদৃশ্য কণা সেই তেলে থেকে যায়। একই তেলে রান্না করতে গেলে তাই বিভিন্ন রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে থাকে, ফলে ফ্রেশ খাবার রান্না করলেও খাবারের স্বাদ আর বিশেষ করে পুষ্টিগুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। আর শরীরের জন্য তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

👉 হজমে সমস্যা: পুরনো তেল ব্যবহার করলে হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি ও পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া হতে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে লিভারের সমস্যা ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

👉 ট্রান্স ফ্যাট তৈরি হয়: তেল বারবার গরম করলে এতে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

👉 ফ্রি র‍্যাডিক্যাল বৃদ্ধি পায়: ব্যবহৃত তেলে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল তৈরি হয়, যা কোষের ক্ষতি করে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।

রান্নায় বেঁচে যাওয়া তেল আবারও ব্যবহার করতে হলে করণীয় কী? 🤔

রান্নায় বেঁচে যাওয়া তেল পুনর্ব্যবহার করা অনুচিত হলেও কখনো কখনো আমরা এই তেল আবারও রান্নায় ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু ব্যবহৃত তেল পুনর্ব্যবহার করার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। চলুন সে সম্পর্কে জেনে নিই।

👉 কোন কিছু ভাজার পর বেঁচে যাওয়া তেল প্রথমে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিতে হবে এবং পরে তা এয়ারটাইট বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে এতে যেন কোনও খাদ্য কণা না থাকে।

👉 পূর্বের তেল ব্যবহার করার আগে খেয়াল করুন তেলের রঙ আর তরল ভাব ঠিক আছে কিনা! যদি মনে হয় তেলের রঙ পরিবর্তন হয়েছে আর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আঠালো ও ঘন হয়েছে তবে সেই তেল ব্যবহার করা যাবে না।

👉 কোনো কিছু ডুবো তেলে ভাজা হলে সেই তেল আবার ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে তেলের মান, ভাজার সময়, তাপমাত্রা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে আবার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কোন খাবার ভাজার জন্য নয় বরং খাবার রান্নায় সেই তেল ব্যবহার করে ফেলতে পারেন।

মনে রাখতে হবে, খাদ্য শুধু পেট ভরানোর উপকরণ নয়, এটি আমাদের শরীরের জ্বালানি। তাই রান্নার প্রতিটি উপাদান নিয়ে আমাদের সচেতন থাকা প্রয়োজন। বারবার গরম করা বা পুনর্ব্যবহৃত তেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে, যা হৃদরোগ, হজমের সমস্যা, এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য আমাদের উচিত তেল পুনর্ব্যবহার না করা, বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা এবং সচেতন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা। আমাদের একটুখানি সতর্কতাই হতে পারে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতার চাবিকাঠি ।

ছবি- সাটারস্টক

লিখেছেন- পুষ্টিবিদ সাদিয়া ইসরাত স্মৃতি

(Collected)

゚viral

👉 ৩টি কার্যকরী পদ্ধতিতে সহজেই হবে শিশুর ঘুমের সমস্যার সমাধান! 😍শিশুর ঘুমের সমস্যার প্রধান কারণ 🤔বাচ্চার রাতে ঘুম না হওয়া...
19/02/2025

👉 ৩টি কার্যকরী পদ্ধতিতে সহজেই হবে শিশুর ঘুমের সমস্যার সমাধান! 😍

শিশুর ঘুমের সমস্যার প্রধান কারণ 🤔
বাচ্চার রাতে ঘুম না হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে তিনটি কারণ উল্লেখযোগ্য।

🔴 ক্ষুধা বা অন্য কোনও কারণে ঘুমাতে না পারা
🔴 কোনও ধরনের শারীরিক অস্বস্তি বোধ করা
🔴 হঠাৎ মায়ের সান্নিধ্য বা স্পর্শ না পাওয়া

ঘুমের এই শিডিউল-বিপর্যয় মা বাবার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। তাই শিশুর রাতের ঘুমকে আরও আরামদায়ক ও নিয়মিত করার জন্য আজ আলোচনা করবো কিছু কার্যকরী পদ্ধতি। আশা করি এতে সহজেই সমাধান হবে শিশুর ঘুমের সমস্যার।

❤ ফার্বার পদ্ধতি
ফার্বার পদ্ধতি শিশুকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘুমাতে অভ্যাস করানোর একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি চিলড্রেনস হসপিটালের পেডিয়াট্রিক স্লিপ ডিসঅর্ডার সেন্টারের ডিরেক্টর রিচার্ড ফার্বারের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিশু নিজে নিজে ঘুমিয়ে পড়তে অভ্যস্ত হয়।

❤ যেভাবে এই পদ্ধতি কাজ করে
এই পদ্ধতিতে শিশুরা নিজে নিজেই কিছু নির্দিষ্ট কর্মকাণ্ড বা ঘটনাকে ঘুমের সাথে সম্পর্কযুক্ত মনে করে এবং রাতে জেগে ওঠার পর আবার ঘুমানোর জন্য একইরকম ঘটনা খোঁজে। যেমন ধরুন, শিশুকে প্রতিরাতে ঘুমানোর জন্য যদি দোল দিতে হয়, বা বুকের দুধ খাওয়াতে হয় তাহলে আপনার শিশু পুনরায় ঘুমানোর জন্য সেই একই জিনিসের অপেক্ষা করবে। ফার্বার পদ্ধতিতেও এভাবে কিছু সুনির্দিষ্ট ঘটনার সাথে শিশুর ঘুমের প্যাটার্নকে সম্পর্কিত করতে হবে।

👉 প্রথমে আপনার শিশুকে তার দোলনা বা বিছানায় শুইয়ে শুভরাত্রি বলুন এবং ঘর থেকে বেরিয়ে যান। যদি শিশু কান্না শুরু করে, তবুও ৫ মিনিট বাইরে অপেক্ষা করুন। পাঁচ মিনিট পর ঘরে ঢুকে তাকে দোলনা থেকে না উঠিয়েই শান্ত করুন। তারপর আবার ঘরের বাইরে চলে যান।
👉এবার ১০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন তারপর ঘরে ঢুকে তাকে শান্ত করুন। এভাবে প্রতিবার সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে বাড়িয়ে শিশুকে অভ্যস্ত করুন। এতে করে শিশুর ঘুমের সাথে দোলনা বা বিছানাটি সম্পর্কযুক্ত হয়ে ওঠে আর সে বুঝতে শুরু করে যে তাকে এখানে ঘুমাতে হবে। ফলে কিছুদিন পর শিশু ওই নির্দিষ্ট বিছানায় গেলেই ঘুমিয়ে পড়তে অভ্যস্ত হয়।

ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে ফার্বার পদ্ধতি প্রায় তিন থেকে সাত দিনের মধ্যেই কার্যকর হতে পারে। এই পদ্ধতিতে শিশু ঘুমানোর সময় প্রথম কয়েকদিন কাঁদলেও এতে শিশুর উপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।

🔴 অসুবিধা
শিশুর কান্না সহ্য করা যদি আপনার পক্ষে কঠিন হয় তবে এই পদ্ধতিটির মাধ্যমে সুবিধা পাওয়া আপনার জন্য কঠিন হতে পারে। কিছু শিশু ফার্বার পদ্ধতিটিতে সাড়া দেয় না। যদি আপনার শিশু ১৫ দিনের মধ্যে এটিতে সাড়া না দেয়, তবে আপনাকে অন্য পদ্ধতি বেছে নিতে হবে।

নির্দিষ্ট সময় পর জাগিয়ে তোলা
👉 এই পদ্ধতিতে প্রথমে এক সপ্তাহের জন্য আপনার শিশুর ঘুমের প্যাটার্ন পর্যবেক্ষণ করতে হয়। শিশু যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে, সেই সময়ের প্রায় ১৫ মিনিট আগে তাকে জাগিয়ে তুলুন।

👉 ধীরে ধীরে এই সময় বৃদ্ধি করুন, যেন শিশুর ঘুমের সময়কাল দীর্ঘ হয় এবং রাত জাগা কমে যায়। এই পদ্ধতিতে শিশু কান্নাকাটি কম করে এবং বাচ্চার ঘুমানো ও জেগে ওঠার প্যাটার্নের উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে।

👉 বাচ্চাকে জাগিয়ে তুলতে গিয়ে নিজে দ্বিধাগ্রস্থ হবেন না। বেশিরভাগ বাবা-মা শান্তভাবে ঘুমাতে থাকা বাচ্চাকে জাগিয়ে তুলতে মন থেকে সায় পান না। এই পদ্ধতিটি কিছুটা সময় সাপেক্ষ। এটি কার্যকর হতে প্রায় তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সুতরাং, অধৈর্য হয়ে পড়বেন না।

❤ পারিবারিক বিছানায় ঘুমানোর পদ্ধতি
শিশুর ঘুমের সমস্যার সমাধানে এই পদ্ধতিটি আমাদের দেশে খুবই সাধারণ। এই পদ্ধতিতে শিশু প্রতি রাতে বাবা মায়ের সঙ্গে ঘুমায়। এতে শিশু নিরাপদ বোধ করে। ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে উঠলেও শিশু বাবা-মাকে তার পাশে দেখতে পায় এবং স্বস্তি বোধ করে। এই পদ্ধতিটি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য সুবিধাজনক। সেই সাথে এটি শিশুর নিরাপত্তা ও শান্তির অনুভূতি বাড়ায়।

🔴 অসুবিধা
অনেক সময় বাবা মায়ের মাঝে শোয়ার কারণে শিশুর দমবন্ধ লাগতে পারে। বিছানা যথেষ্ট প্রশস্ত না হলে ঘুমে বিঘ্নতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হলে প্রশস্ত বিছানা হতে হবে যেন সবাই আরামের সাথে ঘুমাতে পারে।

এসব পদ্ধতির পাশাপাশি শিশুর ঘুম নিয়মিত করতে কিছু সাধারণ টিপস ফলো করতে পারেন।

টিপস
👉 একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করে শিশুকে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম পাড়ান যাতে সে একই সময়ে ঘুমাতে অভ্যস্ত হয়।

👉 ঘুমানোর আগে শিশুর পেট ভর্তি রয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করুন। শিশু যেন পেটে ক্ষুধা নিয়ে না ঘুমায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

👉 সন্ধ্যায় শিশুকে বিভিন্ন খেলায় ব্যস্ত রাখুন, যেন রাতে গভীর ঘুম হয়।

👉 মাঝরাতে আপনার শিশু জেগে উঠলে তাকে কোলে না তুলে বরং আদর করে পিঠে চাপড় দিয়ে বা মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে আবার ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করুন।

শিশুর ঘুমের প্যাটার্ন রাতারাতি রুটিনে আনা সম্ভব নয়। শিশুকে ঘুম পাড়ানোর জন্য এখানে আলোচিত প্রতিটি পদ্ধতির কার্যকারিতাই সময় সাপেক্ষ। তাই শিশুর ঘুমের ধরন বুঝতে এবং তার প্রয়োজন অনুযায়ী পদ্ধতি বেছে নিতে সময় দিন। ধৈর্য ধরে, ধাপে ধাপে শিশুর জন্য একটি নিরাপদ ও আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, প্রতিটি শিশুই আলাদা। তাদের জন্য যে পদ্ধতিটি কার্যকর হবে, সেটি খুঁজে পেতে সময় লাগতেই পারে। এজন্য শিশুকে কোনও ধরনের চাপ প্রয়োগ করবেন না। অভিভাবক হিসেবে আপনার ভালোবাসা, যত্ন ও সহানুভূতিই আপনার শিশুর ঘুমের সমস্যা দূর করে একটি সুন্দর রুটিন গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

লেখা-
ডা: তাজরিনা রহমান জেনি
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

(Collected)

゚viral

শিশুর গ্রোথ পেইন নিয়ে আপনি চিন্তিত? জেনে নিন করণীয় কী 🤔👉 গ্রোথ পেইন কী?শিশুরা যখন বড় হতে থাকে, বিশেষ করে ৩ থেকে ১২ বছর ব...
18/02/2025

শিশুর গ্রোথ পেইন নিয়ে আপনি চিন্তিত? জেনে নিন করণীয় কী 🤔

👉 গ্রোথ পেইন কী?
শিশুরা যখন বড় হতে থাকে, বিশেষ করে ৩ থেকে ১২ বছর বয়সের মধ্যে, অনেক সময় তাদের পায়ের পেশি বা সন্ধিতে ব্যথা অনুভূত হয়। এই ব্যথাকে বলা হয় “গ্রোথ পেইন”। এটি কোনো গুরুতর রোগ নয়, বরং একটি সাধারণ শারীরবৃত্তিক প্রক্রিয়া। গ্রোথ পেইনের সময় ব্যথা সাধারণত দিনের চেয়ে রাতের বেলা বেশি অনুভূত হয় এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেক সময় ব্যথা থাকেই না।

👉 যে কারণে গ্রোথ পেইন হয়ঃ
গ্রোথ পেইনের সঠিক কারণ সম্পর্কে এখনও বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি নিশ্চিত নন। তবে কিছু কারণকে সম্ভাব্য বলে ধরা হয়:

🔴 পেশির ওপর অতিরিক্ত চাপ:
শিশুরা সাধারণত দিনব্যাপী খুবই সক্রিয় থাকে। দৌড়ঝাঁপ, খেলাধুলা বা লাফালাফির কারণে তাদের মাংসপেশি ও জয়েন্টে চাপ পড়ে। এই অতিরিক্ত চাপ অনেক সময় ব্যথার কারণ হতে পারে।

🔴 দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধি:
শিশুর শরীরের হাড় ও পেশি যখন দ্রুত বাড়তে থাকে, তখন পেশি ও হাড়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে কিছুটা সমস্যা হয়। ফলে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

🔴 সঠিক ভঙ্গিতে চলাফেরা না করা:
যদি শিশু সঠিক ভঙ্গিতে না বসে বা না হাঁটে, তবে পেশি এবং হাড়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা ব্যথার কারণ হতে পারে। যেমন: ঘাড় ঝু্ঁকে পড়া বা মোবাইল দেখা, কুঁজো হয়ে বসা ইত্যাদি।

👉 গ্রোথ পেইনের কিছু সাধারণ লক্ষণ:
ব্যথা পায়ের উরু, কাফ মাসল (পায়ের পেছনের অংশ) বা হাঁটুর আশপাশে অনুভূত হয়।
ব্যথা সাধারণত রাতের বেলা বেশি হয় এবং সকালে কমে যায়।
ব্যথা কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় নাও থাকতে পারে।
ব্যথা এত তীব্র হয় না যে শিশু স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারে না।
গ্রোথ পেইন থেকে পরিত্রাণের উপায়:
গ্রোথ পেইন কোনো গুরুতর সমস্যা নয়, তবে শিশুর ব্যথা কমানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:

🔴 ম্যাসাজ:
ব্যথা কমানোর জন্য হালকা ম্যাসাজ খুবই কার্যকর। শিশুর পায়ের ব্যথার জায়গায় ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন।

🔴 গরম সেঁক:
গরম পানির ব্যাগ বা হিটিং প্যাড দিয়ে ব্যথার জায়গায় সেঁক দিন। এটি পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে।

🔴 ব্যায়াম:
শিশুকে হালকা স্ট্রেচিং বা ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করুন। এতে পেশি মজবুত হয় এবং ব্যথা কমে। প্রয়োজনে একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন।

🔴 পেইন রিলিফ ক্রিম:
কিছু ক্ষেত্রে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।

🔴 পর্যাপ্ত বিশ্রাম:
শিশুর শরীরের পেশি ও হাড় পুনর্গঠনের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি।

👉 চিকিৎসকের কাছে কখন যাবেন?
যদি ব্যথার সাথে নিচের কোনও লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
ব্যথা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে।
ব্যথা এত তীব্র হয় যে শিশুর চলাফেরা বন্ধ হয়ে যায়।
ব্যথার সঙ্গে অন্য শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, যেমন জ্বর, ফুলে যাওয়া, বা লালচে হয়ে যাওয়া।
গ্রোথ পেইন কমাতে শিশুর সঠিক যত্নঃ
🔴 সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা:
শিশুর খাবারে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও প্রোটিন নিশ্চিত করুন।এগুলো হাড় ও পেশি মজবুত করতে সাহায্য করে।

🔴 সক্রিয় জীবনযাপন:
শিশুকে খেলার মাধ্যমে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখতে উৎসাহিত করুন। তবে অতিরিক্ত পরিশ্রম যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশু যেন পর্যাপ্ত ঘুমায় এবং বিশ্রাম করে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

🔴 সঠিক ভঙ্গি:
শিশু যেন সঠিকভাবে বসে, হাঁটে ও দৌড়ায়, তা নিশ্চিত করুন।

🔴 জুতার সঠিক নির্বাচন:
শিশুর জুতা আরামদায়ক ও সঠিক মাপের হওয়া উচিত যেন তা পায়ে ব্যথার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।

গ্রোথ পেইন একটি সাধারণ ও সাময়িক বিষয়, যা শিশুর বেড়ে ওঠার অংশ। যদিও এটি শিশুদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে, তবে সঠিক যত্নের মাধ্যমে সহজেই এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। শিশুকে প্রয়োজনীয় ভালোবাসা ও সমর্থন দিন এবং তাদের আরামদায়ক রাখতে সচেতন থাকুন। প্রতিটি শিশুই বেড়ে উঠুক স্বাস্থ্যবান, সুরক্ষিত ও সুখী পরিবেশে।

লিখেছেন- মাহমুদা আক্তার রোজী
জেরিয়াট্রিক ফিজিওথেরাপিস্ট

(Collected)

゚viral

নবজাতকের চর্মরোগ হলে বাবা-মায়ের করণীয় কী? 🤔👉 নবজাতকের চর্মরোগ ও এর প্রতিকার🔴 প্রিকলি হিট বা ঘামাচিদিনের তাপমাত্রা বেশি থ...
17/02/2025

নবজাতকের চর্মরোগ হলে বাবা-মায়ের করণীয় কী? 🤔

👉 নবজাতকের চর্মরোগ ও এর প্রতিকার

🔴 প্রিকলি হিট বা ঘামাচি
দিনের তাপমাত্রা বেশি থাকা অবস্থাতেও আমাদের দেশে দাদী নানীরা নবজাতককে অনেক সময় চারদিক থেকে গরম কাপড়ে জড়িয়ে রাখেন। এর থেকে সাদা অথবা লাল রং বিশিষ্ট পানি আকারে ঘামাচির দানা দেখা দেয়। এ জাতীয় ঘামাচি চেনার উপায় হচ্ছে, ঘামাচি কখনো লোমের গোড়াতে হয় না। ঘামাচিকে যদিও মনে হতে পারে সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু এ থেকে অনেক জটিল সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যেমন—এ থেকে শরীরে অনেক ফোঁড়ার সৃষ্টি হতে পারে। এটি সাড়ানো একটু কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। আবহাওয়া যদি গরম থাকে, তবে জন্মের পর শিশুকে একটু খোলামেলা রাখা উচিত। ঘরের জানালা খোলা থাকা উচিত। ঘামাচিতে যেকোনো ট্যালকম পাউডারের ব্যবহার উপকারে আসে।

🔴 এরিথেমা টক্সিকাম নিউন্যাটোরিয়াম বা মাসিপিসি
গ্রামের মা-চাচিরা এ জাতীয় চর্মরোগকে মাসিপিসি বলে থাকেন এবং এটি নবজাতকদের হয়েই থাকে বলে তাদের ধারণা। সত্যিই এটি খুব সাধারণ ব্যাপার। জন্মের তিন থেকে চার দিনের দিন শিশুর শরীরে লাল লাল র‍্যাশ দেখা দেয়। এর সঙ্গে জ্বর বা অসুস্থতার অন্য কোনো উপসর্গ থাকে না। ১০ দিনের দিন কোনো ধরনের ওষুধ ছাড়াই এটি ভালো হয়ে যায়।

🔴 ডায়াপার র‍্যাশ বা ন্যাপকিন র‍্যাশ
ডায়াপার বা ন্যাপি পরানোর কারণে নবজাতকের ত্বকে লাল লাল ভাব নিয়ে অ্যালার্জির মতো র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এ জাতীয় র‍্যাশ শরীরের যে সব স্থান কাপড়ের সংস্পর্শে আসে, সেই জায়গায় হয়ে থাকে। অর্থাৎ উরুতে হবে, তবে উরুর ভাঁজ বা কুঁচকির ভাঁজে হবে না। এমন অবস্থায় কাপড় সাময়িকভাবে বর্জন করা উচিত। যেসব বাচ্চার ন্যাপি বা ডায়াপার সারা রাতে একবারও বদলানো হয় না, তাদেরই এ সমস্যাটি বেশি হয়। প্রস্রাবের ইউরিয়া থেকে অ্যামোনিয়া তৈরি করে ত্বকে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি সৃষ্টি হয়।

🔴 ক্যানডিডিয়াসিস বা ফাঙ্গাস
নবজাতকের মুখের ভেতর, বিশেষ করে জিহ্বাতে দুধের সরের মতো আস্তরণ দেখা দেয়। যে সমস্ত জায়গা সব সময় ভিজা থাকে, যেমন কুঁচকি, পায়ুপথের আশপাশ, গলার ভাঁজ, সে সমস্ত জায়গাতেও ক্যানডিডা দিয়ে সংক্রমণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানের চামড়া লাল লাল ভাব হয়ে যায় এবং এর ওপর সাদা সাদা ছোপ দেখা দেয়, সাথে প্রচণ্ড চুলকায়। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে আক্রান্ত স্থানকে অবশ্যই শুকনো রাখতে হবে।

🔴 ক্যারাডাল ক্যাপ
কোনো কোনো নবজাতকের মাথায় চামড়া পুরু হয়ে জমতে দেখা যায়। এগুলো অনেকটা খুশকির মতো। সাধারণত হলুদ অথবা বাদামি রঙের হয়। কখনো কখনো বাজে গন্ধ হয় এবং তেলতেলে ভাব দেখা যায়। এটি ছয় মাস বয়সে নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। সাময়িকভাবে পরিষ্কারের জন্য অলিভ অয়েল রাতে মেখে সকালে গোসল করাতে পারেন।

🔴 স্ক্যাবিস বা পাঁচড়া চুলকানি
খোসপাঁচড়া ছোঁয়াচে রোগ। এটি নবজাতকের চর্মরোগ গুলোর মধ্যে তুলনামূলক জটিলতম। প্রতিটি আঙুলের ভাঁজে ভাঁজে, কব্জিতে, হাত ও পায়ের তালুতে, বগলে, নাভি, যৌনাঙ্গে, গলা এমনকি সমস্ত শরীরে ছোট ছোট গোটা আকারে চুলকানি দেখা দেয়। তাই দ্রুত একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের অধীনে এর চিকিৎসা নেওয়া উচিত। কারণ, খোস পাঁচড়াগুলো পেকে যেতে পারে এবং এ থেকে কখনো কখনো কিডনি আক্রান্ত হতে পারে।

যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডা: এর পরামর্শ নিবেন।

লিখেছেন- ডা: তাজরিনা রহমান জেনি, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

(Collected)

゚viral

👉 সাইনোসাইটিস সমস্যা | ১০টি ঘরোয়া উপায়ে হবে মোকাবেলা!! 🔥সাইনোসাইটিস সমস্যা আমাদের মাঝে অনেকেরই আছে। অনেকেই এর ব্যথাতে ...
05/02/2025

👉 সাইনোসাইটিস সমস্যা | ১০টি ঘরোয়া উপায়ে হবে মোকাবেলা!! 🔥

সাইনোসাইটিস সমস্যা আমাদের মাঝে অনেকেরই আছে। অনেকেই এর ব্যথাতে কষ্ট পান। অথচ এ ব্যথা সাইনোসাইটিস-এর নাকি মাইগ্রেইন-এর এই নিয়ে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। সাইনোসাইটিস আসলে কি? আমাদের দেহের যে সকল জায়গা ফাঁপা বা ছিদ্রযুক্ত হয়ে থাকে তাকেই মূলত সাইনাস বলে। এই সাইনাসগুলোতে যখন কোনো কারণে ঘা বা প্রদাহ হয়ে থাকে তখন এই ঘা বা প্রদাহকেই সাইনোসাইটিস বলা হয়। 🤔

👉 সাইনোসাইটিসের লক্ষণসমূহ
এ ব্যথাটির প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হলো মাথা ব্যথা। তার সাথে জ্বর জ্বর ভাব থাকে ও নাক বন্ধ থাকে। সাধারণত সকাল থেকে দুপুরের দিকে সাইনোসাইটিস- এর ব্যাথার তীব্রতা বেড়ে বিকেলের দিকে কমে যেতে পারে। তবে সাইনাসগুলো চোখ ও ব্রেনের পাশে বেশি থাকে বলে মাথা ব্যাথার সাথে সাথে চোখ ও নাকের পার্শ্ববর্তি অঞ্চলেও ব্যাথা হতে পারে।

সাইনোসাইটিস সমস্যা থেকে পরিত্রাণের সহজ উপায়সমূহ
🔴 কাঁচা সবজির জুস সাইনোসাইটিসের প্রভাব কমানোর জন্য অনেক উপকারী। ৩০০মিলি. গাজরের জুস, ১০০মিলি. শশার জুস, ১০০মিলি. বিটের জুস এবং ২০০ মিলি. পালং শাকের জুস ভালো ভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।

🔴 সাইনোসাইটিসে ভুগলে ভিটামিন-এ যুক্ত খাবার যেমন আম, কুমড়ো, ডিমের হলুদ অংশ, টমেটো, পেঁপে, গাজর, দুধ ও দই খাওয়ার চেষ্টা করুন।

🔴 ১০০ গ্রাম জিরা টেলে ২০০ গ্রাম ঘি এর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করুন। এটি সাইনোসাইটিস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়।

🔴 ১ টেবিল চামচ কালো জিরা একটা পাতলা কাপড়ে বেঁধে নিয়ে তার গন্ধ নিতে পারেন।

🔴 এক টেবিল চামচ মেথি এক গ্লাস পানিতে জ্বাল দিয়ে নিন যতক্ষণ না অর্ধেক হয়। প্রতিদিন ৩/৪ গ্লাস সেবন করলে সাইনোসাইটিসের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।

🔴 পেঁয়াজ এবং আদার গন্ধ শুঁকলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই দুটি উপাদানের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণ আছে।

🔴 আদা অথবা দারুচিনির চা হালকা গরম অবস্থায় পান করুন।

🔴 ঠাণ্ডা ও তৈলাক্ত জাতীয় খাবার অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

🔴 শুনে হয়ত অবাক হবেন যে ব্যায়ামের মাধ্যমে সাইনোসাইটিসের প্রভাব কমিয়ে আনা যায়। ব্যায়াম করার ফলে শরীরে অ্যাড্রেনালিন বেড়ে যায়, যা বেড়ে যাওয়া সাইনাস টিস্যুকে কমিয়ে দেয়।

🔴 আমরা সবাই কম বেশি ভিনেগারের সাথে পরিচিত। এই ভিনেগার মিউকাস উৎপন্ন কমিয়ে আমাদেরকে সাইনোসাইটিস থেকে মুক্তি দান করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে দুই চা চামচ ভিনেগার দিয়ে প্রতিদিন ৩ বার সেবন করতে হবে।

👉 সাইনোসাইটিস-এর প্রতিকার

সাইনোসাইটিস-এর জন্য মাথা ব্যথা হচ্ছে মনে হলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তার প্রাথমিক পর্যায়ে মূলত সাইনোসাইটিস-এর মাত্রা বুঝে ঔষধ ও নাকের ড্রপ দিয়ে থাকেন। এর চেয়ে বেশি মাত্রায় সাইনোসাইটিস হলে তা ওয়াশ-এর ব্যবস্থা করতে হয়।

゚viral

যেসব খাবার মেদ কমাতে সাহায্য করে 😍যেসকল ফল প্রাকৃতিক ভাবে মেদ কমাতে সাহায্য করে তার মধ্যে আপেল, ব্লু-বেরি, তরমুজ, কমলা,আ...
15/01/2025

যেসব খাবার মেদ কমাতে সাহায্য করে 😍

যেসকল ফল প্রাকৃতিক ভাবে মেদ কমাতে সাহায্য করে তার মধ্যে আপেল, ব্লু-বেরি, তরমুজ, কমলা,আঙ্গুর, লেবু, পেঁপে, মাল্টা এবং টমেটো অন্যতম। এ সবগুলোই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যাদের আছে মেদ কমানোর ক্ষমতা। 💪

আপেলে রয়েছে পেক্টিন ( pectin) নামক উপাদান যা কোষকে চর্বি বা মেদ শোষণে বাঁধা দেয়।বেশীরভাগ ফলের মত আপেলও একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে মেটাবলিক সিন্ড্রম (metabolic syndrome) নামক রোগ প্রতিরোধ করে। সাধারণত মেটাবলিক সিন্ড্রম রোগটি শরীরের অতিরিক্ত মেদের কারণে হয়ে থাকে।

অনেক ধরণের সবজির ও মশলার মধ্যেও আছে মেদ কমানোর গুণাগুণ। যেমন- অ্যাস্পারাগাস, বিটমুল, ব্রকলি, বাধাকপি, গাজর, সীম, সয়াবিন । আর মসলার মধ্যে আছে মরিচ, কারিপাতা, রসুন, এলাচ ইত্যাদি।

যেসব খাবারে মরিচ থাকে সেসব খাবার মেদ কমাতে সাহায্য করে। মরিচে রয়েছে ক্যাপ্সাইসিন (capsaicin) যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। ক্যাপ্সাইসিন একটি থার্মোজেনিক এজেন্ট রয়েছে যা তাপ তৈরিতে সাহায্য করে। এটি খাবার গ্রহণের ২০ মিনিট পর থেকেই শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি ভাঙতে সাহায্য করে।

রসুনে আছে এলিসিন (allicin) যা কোস্ট্রল কমাতে সাহায্য করে। এলাচও একটি থার্মোজেনিক এজেন্ট যা মেদকে ভেঙে দেয়।

দুগ্ধজাত সামগ্রীর মধ্যে দুধ, টকদই অতিরিক্ত চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। আমিষ ও আঁশযুক্ত খাবারে পেটের মেদ কমে। আমিষ জাতীয় খাবার যেমন ডাল, বিনস ইত্যাদি খাবার হজম করতে আমাদের শরীরের বেশী শক্তি ব্যয় হয় তাই যত খুশি তত কম ক্যালোরিযুক্ত বিনস খাওয়া যেতে পারে।

গ্রিন টি হজমে সাহায্য করার সাথে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টি তে ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। মাছের তেল ও মধু শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। 💥

অতিরিক্ত লবন ও চিনি এড়িয়ে চলুন। পরিমিত খাবার খান। বেশী করে পানি পান করুন। ❤

স্বাস্থ্যকর ডায়েটে সবজির ভূমিকা 💪 ❤শরীরকে ফিট রাখতে সবজির ভূমিকা অপরিসীম। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন আট-নয় রকম সবজি খ...
12/01/2025

স্বাস্থ্যকর ডায়েটে সবজির ভূমিকা 💪 ❤

শরীরকে ফিট রাখতে সবজির ভূমিকা অপরিসীম। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন আট-নয় রকম সবজি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়। আসুন জেনে নেই হরেক রকম সবজির মধ্যে কোন কোন সবজি আমাদের শরীরের জন্যে বেশী উপকারী।

🔴 টমেটোঃটমেটো যেমন অসাধারণ একটি সবজি তেমনি ফল হিসাবেও খাওয়া যায়। টমেটোতে আছে লাইকোপিন (lycopene) এবং রেড অর্বস (red orbs)যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী। এছাটা রয়েছে ভিটামিন A ও k যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

🔴 ব্রকলিঃ যদি বলা হয় কোন সবজি রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশী কার্যকর তাহলে ব্রকলির নাম আসবে সবার আগে। এটাকে এন্টি অক্সিডেন্টের ষ্টোর হাউস বলা হয়। মলদ্বার, ফুসফুস ও পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্রকলি খুবই উপকারী। একটু দুঃপ্রাপ্য হলেও খাদ্য তালিকায় মাঝে মাঝে ব্রকলি রাখা উচিৎ।

🔴 বাঁধাকপিঃ গর্ববতী মায়েদের জন্য বাঁধাকপি খুবই উপকারী কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন B ও ফলিক এসিড যা uteral tube defects প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন C ও K ।

🔴 গাজরঃ চোখ, চুল ও ত্বকের জন্য গাজরের তুলনা নেই। গাজর প্রো ভিটামিন ও এ ক্যারোটিনের উৎস যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায়তা করে। এছাড়াও গাজরে থাকে ভিটামিন C ও A যা রক্তে সুগারের পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে।

🔴 আস্পারাগাসঃ গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ফাইবার,ফোলেট,ভিটামিন বি-৬ এছাড়াও রয়েছে অধিক মাত্রার পটাশিয়াম আর অল্প মাত্রায় সোডিয়াম যা শরীরের জন্যে খুবই উপকারী । বৃহদান্ত্র রক্ষায়ও আস্পারাগাস একটি কার্যকরী একটা সবজি।

🔴 মিষ্টিআলু ঃ মাটির নিচে জন্মানো মিষ্টি আলুতে রয়েছে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এতে রয়েছে manganese,ভিটামিন এ, ভিটামিন সি যা digestive system এর জন্য খুব ভালো। এছাড়া রয়েছে আয়রণ ও ফাইবার যা শরীরে প্রচুর শাক্তি জোগায়।

🔴 বেগুনঃ নাম বেগুন হলেও বেগুনের রয়েছে অনেক গুন। এতে আছে এক প্রকার বিরল এন্টি অক্সিডেন্ট nasunin(একটি complex compound)যা আমাদের brain cell কে সুরক্ষা দেয়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বেগুন খেলে স্ট্রোক ,dimentia (ভুলে যাওয়া )এর মতো রোগে আক্রান্ত হবার প্রবণতা কমে আসে। এছাড়া এতে কালোরির পরিমান কম যা হার্ট এর জন্য ভালো।

🔴 কাপ্সিকাম ঃ হার্টের জন্য লাল,সবুজ,হলুদ রংএর কাপ্সিকাম উপকারী। এতে রয়েছে ফলিক এসিড ও lucopene যা কান্সার রোধে কার্যকর।

🔴 পুঁইশাকঃ বিখ্যাত কার্টুন “popeye the sailor” দেখেছেন পুঁইশাক খেলে পপাইয়ের শক্তি বেড়ে যেতো। আসলেই পুঁইশাকে রয়েছে অনেক শক্তি। আরো রয়েছে flavonoid যা ক্যান্সার ,হৃদরোগ ও osteoporosis থেকে রক্ষা করে ।

🔴 পেঁয়াজঃ নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। পেঁয়াজে রয়েছে gpcs নামক peptide যা শরীরের ক্যালশিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। 😍

゚viral

Address

Epic Ittehad Point, 4th Floor ( Beside Metropool Community Center) Love Lane, Chattogram
Chittagong
4000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when IMT Globals posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to IMT Globals:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram