Wellbeing Clinic

Wellbeing Clinic Provide Mental health services such as counselling, therapy, consultancy etc.
(1)

মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায়আমরা গভীরভাবে শোকাহত।এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ...
21/07/2025

মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায়
আমরা গভীরভাবে শোকাহত।

এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা ও শ্রদ্ধা।
পরিবারগুলোর প্রতি রইল আমাদের আন্তরিক সহানুভূতি।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আসুন, আমরা সবাই এই শোকের সময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়াই।


#মাইলস্টোন_বিমানদুর্ঘটনা
#শোকাহত

" রাত ২.৫০, হঠাৎ হুড়মুড় করে ঘুম থেকে উঠেই ল্যাপটপ খুলে বসলো নিরা, চেক করে নিলো আগামী দিনের অফিস টাস্ক গুলো, মেয়েটার জ...
10/10/2024

" রাত ২.৫০, হঠাৎ হুড়মুড় করে ঘুম থেকে উঠেই ল্যাপটপ খুলে বসলো নিরা, চেক করে নিলো আগামী দিনের অফিস টাস্ক গুলো, মেয়েটার জ্বর কমেছে, কি যেন ভাবতে ভাবতে আবার শুয়ে পড়লো। হয়তো একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবলো বড্ড কাজের চাপ যাচ্ছে"
" বিয়ের দুই সপ্তাহের মাথায় রাশেদ এর সাথে রুমির ঝগড়া শুরু। রুমির অভিযোগ রাশেদ তাকে সময় দেয় না, সারাক্ষণ ফোনের মেইল চেক করতে থাকে , পাছে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল মিস করে প্রমোশন টা না আটকে যায়, আর বসের কল তো আছেই। বেচারা রুমি সারাদিন অপেক্ষা করার পর রাশেদ কে পেয়েও যেন পায় না। এক রাশ অভিমান নিয়ে দুই জন পাশ ফিরিয়ে শুয়ে পড়ল। বেচারা কর্পোরেট রাশেদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবলো কাকে বুঝাই আজকাল বড্ড কাজের চাপ যাচ্ছে"
" রোজিনা বেশ বড় একটা গার্মেন্টস এ কাজ করেন। গ্রাম থেকে শহরে এসেছেন জীবিকার তাগিদে। দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাই ওভার টাইম করতে হয়। তার ওপর সামান্য ভুল হলেই সুপারভাইজর এর অকথ্য ভাষা তো আছেই। সব সহ্য করে বাসায় গিয়ে মন মেজাজ আর ভালো থাকে না, রাগের বশে হয়তো বাচ্চা ছেলে কে দুটো কথাও শুনিয়ে দেয় সে। পর দিন আবার এক রাশ কষ্ট মনে চেপে কাজে যায় আর কি যেন এক ভাবনায় ডুবে যায়।"

বাংলাদেশে এইসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা প্রতিনিয়ত আমার আপনার চারপাশে ঘটে যাচ্ছে । ডিপ্রেশন, স্ট্রেস , anxiety এর ফলে প্রতিনিয়ত হচ্ছে বার্ন-আউট। এদেশের প্রেক্ষাপটে কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবা বলতে কেবল শারীরিক স্বাস্থ্য কেই বুঝানো হয়। অথচ গবেষণায় দেখা যায় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মীর উৎপাদনক্ষমতার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এজন্য মানসিক স্বাস্থ্য কে কর্মক্ষেত্রে সাইলেন্ট ফোর্স বলা হয়ে থাকে।

আজ ১০ অক্টোবর ২০২৪ , বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য : It is time to prioritize mental health in workplace.

এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৭ দিন well being clinic এর পেইজে কর্মক্ষেত্রে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার বিভিন্ন কৌশল পোষ্ট করা হবে। জানতে হলে চোখ রাখুন well being clinic এর পেইজে। আপনার কর্মক্ষেত্রে কি ধরনের মানসিক চাপ অনুভব করেন আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এছাড়াও আগামী সাত দিন আমাদের app এ এভেইলেবল যেকোন সাইকোলজিক্যাল টেস্ট ঘরে বসে বিনামূল্যে করাতে পারবেন।
App link
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.sofolit.wellbeingclinic

On World Su***de Prevention Day, we are reminded that even small action can make a big difference.   Su***de affect coun...
10/09/2024

On World Su***de Prevention Day, we are reminded that even small action can make a big difference. Su***de affect countless lives, but it is preventable with awareness, empathy and support. Together, let's work to prevent su***de and create care culture.


***depreventionawareness

সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা~
16/06/2024

সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা~

১৭ বছর বয়সী লিজা শপিংএ গেলে প্রায়ই দোকান থেকে এটা সেটা চুরি করে। গত তিন বছর ধরেই সে এ ধরনের কাজ করছে। অনেকসময় সে স্কুলে ...
29/05/2024

১৭ বছর বয়সী লিজা শপিংএ গেলে প্রায়ই দোকান থেকে এটা সেটা চুরি করে। গত তিন বছর ধরেই সে এ ধরনের কাজ করছে। অনেকসময় সে স্কুলে তার সহপাঠীদের খাতা, কলম, পেনসিল ইত্যাদি চুরি করে। এ কাজ সে কেন করছে তা না বুঝলেও তার মধ্যে এক অদম্য উত্তেজনা কাজ করে সে জিনিস পাওয়ার। এমন না যে এসব জিনিস তার প্রয়োজন। তবুও হাতে পাওয়ার তৃপ্তির জন্য এ ধরনের কাজ করে।
ইদানীং সে এ প্রবৃত্তিকে দমন করতে পারছে না আর প্রতিবারই চুরির পর সে অপরাধবোধে ভুগছে। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ ক্লেপ্টোম্যানিয়া(kleptomania).
ক্লেপ্টোম্যানিয়া বলতে কোনো বস্তু চুরি করার আকাঙ্ক্ষা দমন না করতে পারাকে বুঝায়। আক্রান্ত ব্যক্তি কোনো কিছু আর্থিক মূল্য দেখে বা প্রয়োজনের জন্য চুরি করে না। বরং চুরি করার অনিয়ন্ত্রিত ইচ্ছা থেকে করেন। এই চুরি করা বস্তু সেফটিপিন থেকে শুরু করে দামী যন্ত্রপাতি আসবাবও হতে পারে। এ রোগের প্রবণতা ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মধ্যে প্রকট।
ধরুন আপনি কোথাও গেলে, সেখানে কিছু পছন্দ হলে আপনি কি তা চুরি করার কথা ভাবতে পারেন? সম্ভবত না। পারলেও লোকলজ্জার ভয়ে তা করবেন না। কিন্তু অনেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। সামর্থ থাকার পরও ধরার পড়ার ভয় না পেয়ে তারা চুরি করে ফেলে। মজার ব্যাপার হল বিখ্যাত শিল্পী ব্রিটনি স্পিয়ার্স এবং অভিনেত্রী লিন্ডসি লোহানও ক্লেপ্টোম্যানিয়ায় আক্রান্ত।

সাধারণত কিশোর বয়সে এ রোগের লক্ষণ সুস্পষ্ট হয় এবং আজীবন ভোগায়। অনেকসময় শৈশবে বা প্রাপ্তবয়স্কে দেখা গেলেও বেশি বয়সে দেখা গিয়েছে এমন শোনা যায় নি।

ক্লেপ্টোম্যানিয়া বনাম চুরি:
আপনি যদি ক্লেপটোম্যানিয়াতে ভুগে থাকেন, আপনি ব্যক্তিগত লাভের জন্য চুরি করবেন না। আপনি একটি অনিয়ন্ত্রিত এবং হঠাৎ চুরি করার ইচ্ছা থেকে চুরি করবেন। আপনি একজন দোকানদার বা একজন ডাকাত থেকে আলাদা যে তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে চুরি করে এবং আপনি একটি আবেগপ্রবণ নিয়ন্ত্রণ ব্যাধিতে ভুগছেন।
ক্লেপ্টোম্যানিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যের জিনিস চুরি করা থেকে নিজেকে দমন করতে পারেন না। অন্যদিকে চুরির করার পিছনে কারণ থাকে অন্যের জিনিস আত্মসাৎ করা।
ক্লেপ্টোম্যানিয়াকরা প্রধানত দোকান এবং শপিংমলের মত পাবলিক জায়গা থেকে চুরি করে। এমনকি তারা বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে চুরি করে।
কাজেই দেখতে শুনতে একই মনে হলেও, দুটি বিষয় পার্থক্য আছে।
একজন ক্লেপ্টোম্যানিয়াক সাধারণত অপরাধবোধ এবং লজ্জার জীবন যাপন করে কারণ সে অপমানিত হওয়ার ভয়ে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা পরামর্শদাতার কাছে যেতে ভয় পায়।

ক্লেপটোম্যানিয়ার লক্ষণ:
১. অপ্রয়োজনীয় জিনিস চুরি করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা।
২. চুরি করার আগে অত্যধিক চাপ ও উদ্বেগ।
৩. চুরি করে আনন্দ পাওয়া।
৪. চুরি করার পর অপরাধবোধ এবং লজ্জায় ভোগা।
৫. চুরিগুলো আত্মসাৎ বা রাগের বশে কিংবা প্রতিশোধ স্পৃহায় না করা।
৬. কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরাধবোধের ফলে জিনিস ফেরত দেওয়া বা দান করে দেওয়া।

ক্লেপ্টোম্যানিয়ার কারণ :
ক্লেপ্টোম্যানিয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনো পাওয়া যায় নি। তবে মনোবিদ বিশেষজ্ঞরা তিনটি ফ্যাক্টরকে দায়ী করেছেন।
* জিনগতকারণে অনেক সময় ক্লেপ্টোম্যানিয়া দেখা দিয়ে পারে।
* অত্যধিক মানসিক চাপ, উদ্বেগ, OCD বা মুড ডিসঅর্ডারের সাথে ক্লেপ্টোম্যানিয়া দেখা দিতে পারে।
* ফ্রন্টাল লোব ডিসফাংশনও ক্লেপ্টোম্যানিয়ার কারণ হতে পারে।

চিকিৎসা :
একজন ব্যক্তির ক্লেপ্টোম্যানিয়া সারাজীবন ধরে থাকতে পারে। পরিণতির ভয়ে অনেকে এ বিষয়ে আলোচনাও করেন না। তবে ওষুধ, সাইকোথেরাপি এবং কাউন্সেলিং এর সমন্বয়ে লক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
ওষুধ : Antidepressant, mood stabilizer এবং নেশা কাটানোর ওষুধ সেবনে সুবিধা পাওয়া যায়।
সাইকোথেরাপি: সাইকোথেরাপিউটিক বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন প্রচ্ছন্ন সংবেদনশীলতা, বিতৃষ্ণা পদ্ধতি ইত্যাদির ফলেও সুফল পাওয়া যায়।

ক্লেপ্টোম্যানিয়া নিয়ে আমাদের সমাজে এখনো অনেক কুন্ঠা বা লজ্জা বিদ্যমান। যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এ বিষয়ে কথা বলতে ভয় পান। তবে পুরোপুরি নির্মূল না করা গেলেও এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই আমাদের উচিত কেউ এধরনের সমস্যায় ভুগলে তাকে সচেতন করে চিকিৎসার আওতায় আনা।

In the digital age, social media has become an integral part of our lives, shaping how we communicate, consume informati...
22/05/2024

In the digital age, social media has become an integral part of our lives, shaping how we communicate, consume information, and perceive the world around us. While social media platforms offer countless benefits, from connecting people globally to facilitating social movements, there's a growing concern about its impact on mental health. This article delves into the intricate relationship between social media and mental well-being, examining both the positive and negative effects while providing strategies for healthier digital engagement.
The Advantages:

1. Connection and Support: Regardless of location, social media enables people to connect with friends, family, and communities. It can provide essential networks of support, particularly for underprivileged populations or individuals dealing with mental health issues.

2. Knowledge and Awareness: Websites such as Instagram and Twitter provide central locations for sharing materials related to mental health, increasing knowledge, and lowering the stigma associated with mental diseases.

3. Creative Outlet: Social media offers a forum for individual development, self-expression, and creativity. Users may locate communities or people who share their interests, share their experiences, and display their abilities.

The Adverse Outcomes:

1. jealousy and Comparison: Social media's highlight reel format frequently encourages unhealthy comparisons, which feed feelings of jealousy, inadequacy, and poor self-worth.

2. Cyberbullying: Because of social media's anonymity and remoteness, cyberbullying can occur more frequently, resulting in severe emotional pain and exacerbating mental health conditions including anxiety and depression.

3. FOMO and Addiction: The fear of missing out (FOMO) drives excessive use of social media which can have an adverse influence on mental health by causing sleep disorders and reduced productivity, among other addiction-like behaviors.

Techniques for Increasing Healthier Participation:

1. Establish Limits: Set aside certain times to use social media, and give priority to offline pursuits that enhance both physical and mental health.

2. Manage Your Feed: Unfollow accounts that make you feel bad or that push arbitrary ideals. Rather, adhere to accounts that motivate, enlighten, and encourage you.

3. Engage in Mindfulness Practice: When browsing social media, pay attention to your feelings. When you're feeling overwhelmed, take breaks and center yourself by practicing mindfulness.

4. Seek Support: If social media is having a detrimental effect on your mental health, don't be afraid to confide in close friends or family members or seek professional assistance.

5. Set an Example: Encourage a culture of digital wellness in your community by supporting social media usage that is appropriate and encouraging positive online habits.

Social media's impact on mental health is multifaceted, influenced by individual usage patterns, platform dynamics, and societal norms. While it presents both opportunities and challenges, fostering a balanced and mindful approach to digital engagement is crucial for safeguarding mental well-being in an increasingly interconnected world. By understanding the potential risks, implementing healthy habits, and prioritizing genuine connections, we can harness the power of social media while preserving our mental health and overall well-being.


বর্তমান যুগে সবাই নানা প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা হয়তো বুঝতেই পারি না যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা কেবল আমা...
18/05/2024

বর্তমান যুগে সবাই নানা প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা হয়তো বুঝতেই পারি না যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা কেবল আমাদের অভ্যাসই নয়, ধীরে ধীরে এটি আসক্তিতে পরিণত হচ্ছে। যুব সমাজ, প্রধানত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই আসক্তি বেশি দেখা যাচ্ছে। ইন্টারনেট আসক্তি হচ্ছে ইন্টারনেটের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার যার ফলে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এ আসক্তির কারণেই আমরা সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে মানসিক ব্যাধির অত্যধিক বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি। এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক নির্ভরতা, যা জীবনের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। শুধু ইন্টারনেট আসক্তি নয়, ইন্টারনেট গেমিং ডিজঅর্ডার (IGD) আমাদের মনস্তাত্ত্বিক ক্রিয়াকলাপের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিঃসঙ্গতা-একাকিত্বের অনুভূতিও আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী শিক্ষার মান খারাপ হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট আসক্তিকে দায়ী করেছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, ইন্টারনেট আসক্তি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অনীহার প্রধান কারণ। এর ফলে বাড়ছে একাকিত্ব, যা হতাশাগ্রস্ত করছে শিক্ষার্থীদের। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক শিক্ষার ওপর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমাদের তরুণদের ব্যস্ত রাখার মতো কোনো ব্যবস্থা আমরা রাখছি না। বিনোদন বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোরও এখন তেমন সুযোগ নেই। ঢাকা শহরে খেলার মাঠ নেই, ফলে তরুণরা ইন্টারনেটে সময় কাটাচ্ছে। এটা একসময় তাদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করে। তারা বাস্তব দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভার্চুয়াল জগতের বাসিন্দা হয়ে উঠছে। এতে তাদের মানসিক ও শারীরিক দুই ধরনের সমস্যাই হচ্ছে।’

কয়েক বছর আগে চীনের উয়ানে চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সের অধ্যাপক হাও লেইর তত্ত্বাবধানে একটি গবেষণা করা হয়। যেখানে দেখা যায় প্রায় ৫০% তরুণ-তরুণীর ইন্টারনেট অ্যাডিকশন ডিজঅর্ডার (IAD) আছে। তাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা গেছে। এছাড়াও মস্তিষ্কের যে অংশটি আবেগ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত সেই অংশের সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের যোগাযোগে একটা বিঘ্ন ঘটার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সুতরাং, এটি খুবই স্পষ্ট যে ইন্টারনেট আসক্তিতে শিক্ষার্থীরা এত বেশি বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে যে অধিকাংশই এখন নানা মানসিক ও শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ইন্টারনেট অ্যাডিকশন এমন একটি ব্যাধি, যা প্রথমে শনাক্ত করা একটু কঠিন হলেও কতিপয় লক্ষণ দেখে বোঝা যায় যে তারা ইন্টারনেট আসক্ত। বিশেষ কয়েকটি লক্ষণের মধ্যে নিম্নোক্তগুলো অন্যতম।
১. অবসাদগ্রস্ত ২. একাকিত্ব ৩. সময়জ্ঞানের অভাব ৪. মিথস্ক্রিয়ার অভাব ৫. দৈনন্দিন কাজে অনীহা ৬. কাজে বিলম্ব করা ৭. সময়ের কাজ সময়ে না করা ৮. ঘন ঘন মেজাজ বিগড়ে যাওয়া ৯. অস্বাভাবিক আচরণ করা ১০. অপ্রয়োজনে নেট ব্যবহার ১১. লেখাপড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলা এবং ১২. কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি। এছাড়া ইন্টারনেট আসক্তির কারণে যেমন মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে, তেমনি শারীরিক স্বাস্থ্যেরও অনেক ঝুঁকি রয়েছে। এখানে উল্লেখিত কয়েকটি লক্ষণ দেখে তা সহজে বোঝা যাবে। ১. পিঠে ও ঘাড়ে ব্যথা ২. কারপাল টানেল সিনড্রোম ৩. হাত ও বাহুতে অসাড়তা এবং দুর্বলতা ৪. ঘন ঘন মাথাব্যথা ৫. অনিদ্রা ও ঝিমুনি ৬. পুষ্টির অভাব ৭. স্ক্রিন টাইম বাড়ানোর কারণে চোখ শুষ্ক এবং অন্যান্য দৃষ্টি সমস্যা ৮. ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস এবং ৯. শারীরিক অক্ষমতা ও দুর্বলতা সৃষ্টি হওয়া।

দেশে বিনোদনের ক্ষেত্রগুলো সংকীর্ণ থাকায় পর্নো দেখা, অনলাইনে গেম খেলা, অনলাইনে জুয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও দেখার কাজে শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ যুক্ত থাকছে। ফলে পড়াশোনায় যেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তেমনি সামাজিক সম্পর্কেও পিছিয়ে পড়ছে তারা।
আমাদের মনে রাখতে হবে, ইন্টারনেট ব্যবহার করলেই যে শিক্ষার্থীরা খারাপ হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। এর জন্য দরকার ইন্টারনেট লিটারেসি। এটা পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র সবার দায়িত্ব। আরেকটি বিষয় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে আমরা ডিজিটাল যুগে বাস করছি এবং আমরা প্রযুক্তি দিয়ে বেষ্টিত। শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্ত রাখতে বা এর অধিক ব্যবহার রোধ করতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পরিশেষে, ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত কাউন্সেলিং, জনসচেতনতা, প্রচার-প্রচারণা, ইচ্ছাশক্তি, চেষ্টা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা। ইন্টারনেট আমাদের সার্বিক জীবনে অভিশাপ নয়, আশীর্বাদ হোক—এটাই আমাদের সবার প্রত্যাশা।

কখনো কি মনে হয়েছে, আপনার জরুরী কাজটি না করে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করছেন? আপনি একা নন। টালবাহনা বা প্রোক্রাস্টিন...
13/05/2024

কখনো কি মনে হয়েছে, আপনার জরুরী কাজটি না করে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করছেন? আপনি একা নন। টালবাহনা বা প্রোক্রাস্টিনেশন, অর্থাৎ কাজ শেষ মিনিট পর্যন্ত ছেড়ে রাখার প্রবণতা, মানব অভিজ্ঞতার একটি সাধারণ অংশ। কিন্তু এর পেছনের মানসিকতা টা কী?

গবেষণায় দেখা গেছে, টালবাহনা বা দীর্ঘসূত্রতা আসলে আমাদের স্বল্পমেয়াদী আবেগ এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের মধ্যে দ্বন্দ্বের ফল। এই মুহূর্তে, আপনার ট্যাক্স রিটার্ন করার চেয়ে নেটফ্লিক্সের (Netflix) সেই ডকুমেন্টারি দেখা বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়। কিন্তু গভীরভাবে ভাবলে আমরা জানি, পরে আমাদের চাপ বাড়বে ও তাড়াহুড়া করতে হবে।

মানুষ কেন টালবাহনা করে, তার কিছু সাধারণ কারণ এখানে দেওয়া হলো:

** ভয়:** পারফেকশনিস্টরা (perfectionist) প্রায়শই টালবাহনা করে কারণ তারা ভয় পায় যে তাদের কাজ যথেষ্ট ভালো হবে না। এই ভয় এতটা বেশি অনুভব হয় যে তারা তাদের কাজ শুরুই করতে পারে না।

**চিন্তা: ** কোনো লম্বা উপস্থাপনা বা কঠিন আলোচনা আমাদের মধ্যে উদ্বেগ জাগিয়ে তুলতে পারে, ফলে আমরা পরিস্থিতি এড়াতে কাজটি ছেড়ে রাখি।

** আত্মসচেতনতার ঘাটতি:** আপনি যদি নিজের দক্ষতায় বিশ্বাস না করেন, তাহলে আপনার নিজের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার হতাশা এড়াতে টালবাহনা করতে পারেন।

**কার্য-বিরুদ্ধতা: ** সহজ কথায়, কিছু কিছু কাজ শুধুই বিরক্তিকর বা অপ্রীতিকর। আমরা আরামদায়ক কাজের পক্ষে এগুলোকে ছেড়ে রাখি।

টালবাহনা কখনো কখনো বিষণ্নতা বা ADHD এর মতো গভীর সমস্যারও একটি লক্ষণ হতে পারে। আপনি যদি নিজেকে ক্রমাগত টালবাহনা করতে দেখেন এবং এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলছে, তাহলে একজন ডাক্তার বা থেরাপিস্টের সাথে কথা বলা জরুরী।

# # টালবাহনা জয় করার কৌশল :

টালবাহনা বা গড়িমসি ঠিক না করলে গুরুত্বপূর্ণ কাজে পিছিয়ে পড়া, চাপ বাড়া এবং মানসিক চাপের সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু এই অভ্যাস পরিবর্তন করা সম্ভব! টালবাহনা রোধ করার কিছু কৌশল এখানে দেওয়া হলো:

**কাজকে ছোট টুকরা করুন ** বড় প্রকল্প আছে? এটিকে ছোট, সহজে সামলাতে পারা যায় এমন টুকরো টুকরো করে ফেলুন। এতে কাজটি কম ভীতিপ্রদর্শক মনে হবে এবং শুরু করতে সাহায্য করবে।

**বাস্তববাদী হোন ** সুপারহিরো হওয়ার চেষ্টা করবেন না। এমন সময়সীমা নির্ধারণ করুন যা অর্জন করা সম্ভব, যাতে আপনি একটু নিঃশ্বাস নিতে পারেন।

**নিজেকে পুরস্কার দিন ** একটি কাজ শেষ করলেন? উৎযাপন করুন! এটি আপনাকে উৎসাহিত রাখবে।

**একজন বন্ধু বা সহযোগী খুঁজুন **
আপনার লক্ষ্যগুলি সম্পর্কে কোন বন্ধুকে বলুন এবং তাদেরকে মাঝে মাঝে খোঁজ নিতে বলুন। কেউ লক্ষ্য রাখছে জানা একটি শক্তিশালী প্রেরণা হতে পারে।

টালবাহানা বা দীর্ঘসূত্রতার মনোবিজ্ঞান বুঝে এবং এই টিপস গুলি ব্যবহার করে, আপনি শেষ মিনিটের ঝামেলা এড়িয়ে আপনার লক্ষ্য জয় করতে পারবেন সহজেই।

শুভ নববর্ষ ১৪৩১
14/04/2024

শুভ নববর্ষ ১৪৩১

জয়িতার দাদাভাইয়ের ইদানীং হাত পায়ে কাঁপুনি হয়। তিনি সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটেন। তিনি ঠিকঠাক কথা বলতে পারেন না। দিনদিন এসব ব...
11/04/2024

জয়িতার দাদাভাইয়ের ইদানীং হাত পায়ে কাঁপুনি হয়। তিনি সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটেন। তিনি ঠিকঠাক কথা বলতে পারেন না। দিনদিন এসব ব্যাপার বেড়েই যাচ্ছে। তাঁর পরিবারের ধারণা এটা বয়সের কারণে হচ্ছে।
আসলেই কি এসব বয়সের কারণেই হচ্ছে?

আমাদের চারপাশে অনেক বয়স্ক লোক আছেন যারা পারকিনসন ডিজিজে আক্রান্ত। কিন্তু আমরা এ সম্পর্কে সঠিক না জানার ফলে তাদের শনাক্ত করতে পারি না। ফলে তাদের অনেকেই যথাযথ চিকিৎসা পায় না।
প্রতিবছর ১১ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী "পারকিনসন্স ডে" পালিত হয় এবং সারা এপ্রিল মাস জুড়ে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ১৮১৭ সালে জেমস পারকিনসন্স তার লিখা বইয়ে পারকিনসন্স ডিজিজের আদ্যপান্ত বর্ণনা করেন। তাঁর স্মরণেই এই মাসব্যাপী আয়োজন হয়ে থাকে।
পারকিনসন একটি নিউরোডিজেনারেটিভ অর্থাৎ স্নায়ুতন্ত্রের ক্রমাগত অবনতির ফলে হওয়া ডিসঅর্ডার। মস্তিস্কে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ঘাটতির কারণে এই রোগ দেখা দেয়।
মস্তিষ্কে 'সাবস্ট্যানশিয়া নাইগ্রা' নামক ছোট একটা অংশ রয়েছে। এই অংশের স্নায়ু কোষ বা নিউরোন শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার (এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ) নষ্ট হয়ে যায় অথবা এর ঘাটতি দেখা দেয়। স্বাভাবিক অবস্থায় মস্তিস্কে ব্যাজাল গ্যাংলিয়া নামের একটি অংশ মানুষের চলাফেরা এবং গতির সমন্বয় করে থাকে, ডোপামিনের অভাবে সেই সমন্বয়ের প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়। তখন একজন মানুষ আক্রান্ত হয় পারকিনসন রোগে।

ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল এর একজন চিকিৎসক হুমায়ুন কবির হিমু তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, স্নায়ুর নানা সমস্যা নিয়ে আসা ৪০ জন রোগী যদি তিনি দেখেন, তার মধ্যে গড়ে কমপক্ষে পাঁচজন থাকে পারকিনসন রোগে আক্রান্ত।

এ রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হলো-
> হাত এবং পায়ে কাঁপুনি হয়।
> শরীরের একপাশের হাত এবং পা স্বাভাবিকের তুলনায় শক্ত হয়ে যায়।
> চলাফেরার গতি ধীর হয়ে যায়।
এছাড়াও আরো কিছু উপসর্গ হল-
> কেউ আক্রান্ত হলে শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পারায় সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটে।
> কণ্ঠ বা কথার স্বর নীচু হতে পারে বা কমে যেতে পারে।
> এমনকি চোখের পাতার নড়াচড়াও কমে যেতে পারে।
> শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে সমস্যা হওয়ায় আক্রাত ব্যক্তি বার বার পড়ে যেতে পারেন।
> এছাড়া হতাশা, উদ্বেগ, উদাসীনতা ঘুম কমে যাওয়া- এধরনের লক্ষণ দেখা দেয়।
> কোষ্ঠ কাঠিন্য এবং প্রস্রাব আটকে যাওয়ার মতো সমস্যাও হয়ে থাকে।

পারকিনসন রোগে ভুগলে একপর্যায়ে গিয়ে কিছুটা স্মৃতিভ্রম হতে পারে। যদিও ডিমেনশিয়া বা ভুলে যাওয়া ব্যাপারটা সাধারণত হয় না।

চিকিৎসা-
পারকিনসন সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়। কিন্তু ডায়াবেটিক রোগীদের মত সারাজীবন চিকিৎসাধীন থাকলে দীর্ঘসময় স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়।
পাশাপাশি হতাশা কাটাতে এবং ভারসাম্য ঠিক রাখতে বিভিন্ন ব্যায়াম করা, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, মাইন্ডফুলনেস চর্চা করা ইত্যাদি করা উচিত। এছাড়াও এ রোগে হতাশ না হয়ে আশাবাদী থাকা প্রয়োজন যাতে করে সাধারণ জীবনে সুবিধা পাওয়া যায়।

আসুন আমরা পারকিনসন নিয়ে জানার চেষ্টা করি এবং পরিবারের সদস্যদের খেয়াল রাখি। এই পারকিনসন এর মাসে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে Wellbeing Clinic আছে আপনার পাশে।

ঈদ মোবারক! সবাইকে জানাই ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
10/04/2024

ঈদ মোবারক! সবাইকে জানাই ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা

তিনবছরের ছোট্ট ছেলে নাঈম। বয়স তিনবছর হলেও সে ঠিকমত কথা বলতে পারে না। দুটি শব্দ ব্যবহার করে সে নিজ থেকে কোন অর্থপূর্ণ বাক...
02/04/2024

তিনবছরের ছোট্ট ছেলে নাঈম। বয়স তিনবছর হলেও সে ঠিকমত কথা বলতে পারে না। দুটি শব্দ ব্যবহার করে সে নিজ থেকে কোন অর্থপূর্ণ বাক্য বলতে পারেনা। তবে মাঝে মাঝে অন্যের বলা কথা বারবার বলতে থাকে। নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয়না, সমবয়সীদের সাথে খেলে না। কারো চোখে চোখ রেখে তাকায় না। প্রতিদিন নিজস্ব রুটিন মেনে চলতে ভালোবাসে। রুটিনের ব্যতিক্রম হলে সে মন খারাপ করে বা রেগে যায়। মাঝে মাঝে সে কোন কারণ ছাড়াই উত্তেজিত হয়ে উঠে। নাঈম এর মধ্যে দেখা যাওয়া এই লক্ষনগুলো অটিজম এর দিকে নির্দেশ করছে।
অটিজম বা ASD ( Autism spectrum disorder) বলতে একটি মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ততাকে বোঝায়, যা বয়স তিন বছর হবার পূর্বেই প্রকাশ পায়। অটিস্টিক শিশুদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ, সামাজিক আচরণ, সামাজিক কল্পনা ইত্যাদি ক্ষেত্রসমূহে বেশ সমস্যা লক্ষ করা যায়।

অটিজমের সাধারণ লক্ষণসমূহ:
১। শিশুর ভাষা শিখতে সমস্যা
২। একবছর বয়সের মধ্যে আধো আধো কথা (যেমন বাবা, দাদা) উচ্চারণ করতে না পারা।
৩। দুই বছর বয়সের মধ্যে অর্থপূর্ণ দুটি শব্দ দিয়ে কথা বলতে না পারা।
৪। চোখে চোখ রেখে কথা না বলা বা চোখে চোখ না রাখা
৫। নাম ধরে ডাকলে সাড়া না দেয়া
৬। অন্যের সাথে মিশতে সমস্যা এবং আদর নিতে বা দিতে সমস্যা
৭। হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে উঠা
৮। অন্যের বলা কথা বার বার বলা
৯। বার বার একই আচরণ করা
১০। শব্দ, আলো, স্পর্শ ইত্যাদি বিষয়ে কম বা বেশি প্রতিক্রিয়া দেখানো
১১। একটি নিজস্ব রুটিন মেনে চলতে পছন্দ করা, আশেপাশের কোন পরিবর্তন সহ্য করতে না পারা।
১২। নিজেকে আঘাত করার প্রবণতা
১৩। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে না পারা

গবেষণায় দেখা গেছে যে শৈশবে ব্যবস্থা নেওয়া গেলে অটিজম নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশু প্রাপ্তবয়সে অনেকটাই স্বাভাবিক হতে পারে। শৈশবে ব্যবস্থা নেওয়া বলতে বোঝায় জন্মের ১৮ মাস থেকে ৩৬ মাস বয়সের মধ্যে অটিজম শনাক্তকরণ ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে শিক্ষা পরিকল্পনার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শিশুকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া। এ ধরনের শিশুর প্রধান চিকিৎসা স্পিচ থেরাপি, নিওরোবিহেভিওরাল থেরাপি। অতিরিক্ত আচরণগত সমস্যা, ঘুমের সমস্যা ও শারীরিক সমস্যার জন্য মেডিকেল চিকিৎসা এবং বিশেষ স্কুলে শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে।
২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর আজকের দিনে Autism Awareness Day পালিত হয়। যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অটিস্টিক শিশুদের সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকার স্বীকৃতি।
একই উদ্দেশ্য নিয়েই আপনাদের সঙ্গে আছে Wellbeing Clinic. আসুন আমরা এ সম্পর্কে জানি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করি। এতে একজন অটিস্টিক শিশুও পেতে পারে আমাদের মতই স্বাভাবিক জীবন।

Address

Chittagong
4330

Website

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.sofolit.wellbeingclinic

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Wellbeing Clinic posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram