29/08/2025
আসলেই কি ৭ দিনে চুল কিংবা দাড়ি গজানো সম্ভব?
প্রথমে বলি, সাত দিনে চুল বা দাড়ি গজানো অসম্ভব। এটি শুধু মিনোক্সিডিলের ক্ষেত্রেই নয়, অন্য কোনো চিকিৎসা বা পদ্ধতির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। চুল ও দাড়ির বৃদ্ধির একটি নির্দিষ্ট জৈবিক প্রক্রিয়া আছে, যা রাতারাতি পরিবর্তন করা যায় না।
মিনোক্সিডিল নিয়ে গবেষণা কী বলে?
মিনোক্সিডিল মূলত উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু পরে গবেষকরা লক্ষ্য করেন যে, এর একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো শরীরে অতিরিক্ত চুল ও লোম গজানো। এরপর এটি চুল গজানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়।
গবেষকদের মতে:
কার্যকারিতা: মিনোক্সিডিল বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত একটি ওষুধ, যা চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এটি চুলের ফলিকলে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের ফলিকলকে পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং এর ফলে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
সময় লাগে: গবেষকরা জোর দিয়ে বলেন যে, মিনোক্সিডিলের ফলাফল দেখতে দীর্ঘ সময় লাগে। সাধারণত, নিয়মিত ব্যবহারের ২ থেকে ৪ মাসের মধ্যে নতুন চুল গজানোর লক্ষণ দেখা যায়। তবে উল্লেখযোগ্য ফলাফল পেতে ৪ থেকে ৬ মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
সাত দিনের কোনো ম্যাজিক নেই: কোনো গবেষণা বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সাত দিনের মধ্যে চুল বা দাড়ি গজানোর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যারা এই ধরনের দাবি করেন, তারা ভুল তথ্য দেন।
দাড়ির ক্ষেত্রে: যদিও মিনোক্সিডিল প্রাথমিকভাবে মাথার চুলের জন্য তৈরি, কিছু গবেষণা এবং ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় যে এটি দাড়ির বৃদ্ধির জন্যও কার্যকর হতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, 5% মিনোক্সিডিল সল্যুশন ব্যবহার করে ১৬ সপ্তাহ পর দাড়ির ঘনত্বে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে এটি এখনো FDA দ্বারা দাড়ির জন্য স্বীকৃত নয়, অর্থাৎ এর ব্যবহারকে "অফ-লেবেল" (off-label) ধরা হয়।
সংক্ষেপে, মিনোক্সিডিল একটি কার্যকর ওষুধ, কিন্তু এটি কোনো দ্রুত সমাধান নয়। এটি ব্যবহার করলে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে । সাত দিনে চুল বা দাড়ি গজানোর ধারণাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
Contact : 01629-295679