23/07/2025
#হৃদরোগ_নিয়ে_যত_ভুল_ধারণা--------------
হার্ট নিয়ে আমরা সবাই কম-বেশি চিন্তিত। কখনো বুকে চিনচিন ব্যথা করে উঠলে দুশ্চিন্তায় ডুবে যাই—হার্টে সমস্যা হচ্ছে না তো? আবার কেউ বলেন, আরে, তুমি এত স্লিম, তোমার কি আর হার্টের রোগ হবে?
আসলে হৃদ্রোগ নিয়ে আমাদের সবার আছে নানা ভ্রান্ত ধারণা।
দেখা যাক এগুলো কী।
#বুকে_তো_ব্যথা_নেই !
কখনোই বুকে ব্যথা হয়নি, বুকে চাপ ধরে আসেনি, মোট কথা কোনো লক্ষণই নেই। তারপরও কিন্তু আপনার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। ডায়াবেটিসের রোগীদের সাধারণ উপসর্গগুলো প্রায়ই হতে দেখা যায় না। তাদের সাইলেন্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা বেশি। স্নায়ুজনিত সমস্যায়ও তাই।
অনেকে কিছু ওষুধ খান, যা হৃদ্রোগের উপসর্গগুলোকে ঢেকে দেয়। কখনো হার্টের ব্যথাকে পেট ব্যথা, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বা বদহজম বলে ভ্রম হয়। তাই হৃদ্রোগ থাকলে সব সময় বুকে ব্যথা হবেই এমন কোনো কথা নেই।
#দুটো_বিষয়_খেয়াল_রাখবেন।
১) চল্লিশের পর যেকোনো বুক ব্যথাকে আমলে নেবেন, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বলে উড়িয়ে দেবেন না।
২) কোনো উপসর্গ না থাকলেও যদি আপনার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকে, রক্তে চর্বি বেশি থাকে, পরিবারে হৃদ্রোগের ইতিহাস থাকে বা আপনি ধূমপায়ী হোন, তবে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কিন্তু রয়েই গেছে।
#ইসিজি_স্বাভাবিক_তাই_নিশ্চিন্ত ?
মাঝে মাঝে বুক ব্যথা হয় বা চাপ ধরে আসে। একটু পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠেন। সন্দেহ হলে ইসিজি করেছেন। ইসিজির রিপোর্ট স্বাভাবিক, তাই নিশ্চিন্ত হয়ে আছেন। আপনার হৃদ্রোগ নেই? এটাও ভুল ধারণা। হৃদ্যন্ত্রে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে বা হৃদ্যন্ত্রের রক্তনালিতে ব্লক থাকলে সব সময় ইসিজিতে ধরা পড়বে তা নয়। ঠিক ব্যথার সময় ইসিজি না করা হলে তা স্বাভাবিকও পাওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার ঝুঁকি প্রবল থাকলে ও উপসর্গ থাকলে চিকিৎসক আপনাকে ইটিটি বা এনজিওগ্রামের পরামর্শ দিতে পারেন। দেখা গেল ইসিজি স্বাভাবিক থাকলেও এনজিওগ্রামে রক্তনালিতে বাধা দেখা যাচ্ছে।
#স্লিম_মানুষের_ভয়_নেই ?
রোগা ও স্লিম মানুষের রক্তে চর্বি বেশি থাকার কথা নয়। এদের হৃদ্রোগই-বা কেন হবে। এই ধারণাও ভুল। স্থূলতায় ঝুঁকি আছেই, রোগাদেরও উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকতে পারে বা হৃদ্রোগ হতে পারে।
#মেয়েদের_হার্টের_অসুখ_হয়_না
মেয়েদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা কম—আজকাল এ ধারণাও ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা, রক্তে চর্বির আধিক্য নারীদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। মেনোপজের পর একজন নারীর হৃদ্রোগের ঝুঁকি পুরুষদের সমানই হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত বয়স্ক নারীদের (৬৫ বছরের বেশি) মৃত্যুর সবচেয়ে প্রধান কারণ হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক।