Dr.Mahmud Ullah Faruquee-ENT Specialist & Head Neck Surgeon

Dr.Mahmud Ullah Faruquee-ENT Specialist & Head Neck Surgeon এমবিবিএস(ডিএমসি_কে৬২), বিসিএস(স্বাস্থ্য),এমএস(ইএনটি)
নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ও হেড নেক সার্জন

আশেপাশে খেয়াল করলেই দেখা যায়, পরিচিতদের মধ্যে কেউ না কেউ সাইনোসাইটিসে ভুগছেন। মানুষের মুখমণ্ডলের নাকের আশেপাশে থাকা হাড়ে...
02/09/2025

আশেপাশে খেয়াল করলেই দেখা যায়, পরিচিতদের মধ্যে কেউ না কেউ সাইনোসাইটিসে ভুগছেন। মানুষের মুখমণ্ডলের নাকের আশেপাশে থাকা হাড়ের মধ্যে একটি ধরনের গহ্বর বা কুঠুরি রয়েছে, যা বাতাসে পূর্ণ থাকে। এই গহ্বরগুলোকে সাইনাস বলা হয়। নাকের দুইপাশ থেকে মাথার উপরের অংশ পর্যন্ত মোট চারটি প্রধান সাইনাস থাকে: ম্যাক্সিলারি সাইনাস, স্পেনয়েড সাইনাস, ইথময়েড সাইনাস এবং ফ্রন্টাল সাইনাস। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে ম্যাক্সিলারি সাইনাস।

সাইনাসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ রয়েছে। শ্বাস নেওয়ার সময় বাতাসের আর্দ্রতা বজায় রাখা, গরম আবহাওয়ায় বাতাসকে ঠান্ডা করা এবং শীতল আবহাওয়ায় তা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় শরীরে প্রবেশ করানো সাইনাসের কাজ। এছাড়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় নাকের মধ্যে প্রবেশ করা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ধুলাবালি থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাইনাস থেকে মিউকাস বা শ্লেষ্মা উৎপন্ন হয়। সাইনাস কণ্ঠস্বরের রেজোন্যান্স তৈরিতেও ভূমিকা রাখে এবং বাতাসে পূর্ণ থাকার কারণে মাথার ওজন হালকা মনে হয়।

যখন কোনো কারণে এই সাইনাসগুলো সংক্রমিত হয় বা প্রদাহিত হয়, তখন তা সাইনোসাইটিস নামে পরিচিত। সাইনোসাইটিসের ফলে বিভিন্ন উপসর্গ যেমন মাথাব্যথা, নাক বন্ধ, মুখ ও নাক থেকে দুর্গন্ধ, চোখ ফোলা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

🩺 সাইনোসাইটিসের লক্ষণ

সাইনোসাইটিস হলে বেশ কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখা যায়:

🤕 মাথাব্যথা বা চাপ অনুভব

🤧 নাক বন্ধ থাকা বা ঘন সর্দি হওয়া

👃 মুখ বা নাক থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া

👀 চোখ ফোলা বা চোখের চারপাশে ব্যথা

💤 রাতে ঘুমের সমস্যা হওয়া

🛑 সাইনোসাইটিসের কারণ

সাইনোসাইটিসের প্রধান কয়েকটি কারণ হলো:

🌬️ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ

🌼 ধুলাবালি, ধোঁয়া বা অ্যালার্জি

🧱 নাকের ভেতরে বাঁকা হাড় (Deviated Nasal Septum)

💨 দীর্ঘসময় ঠান্ডা পরিবেশে থাকা

💊 সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা

সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা নির্ভর করে এর ধরণ ও তীব্রতার ওপর। সাধারণত চিকিৎসায় যা করা হয়:

💧 নাক পরিষ্কার রাখতে স্যালাইন ওয়াটার ব্যবহার

💊 প্রয়োজন হলে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন

🌡️ গরম পানির ভাপ নেওয়া

😴 পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম

🧑‍⚕️ দীর্ঘস্থায়ী বা জটিল ক্ষেত্রে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া

🛡️ প্রতিরোধের উপায়

সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে কিছু সহজ অভ্যাস অনুসরণ করা যেতে পারে:

🚭 ধূমপান ও ধোঁয়াযুক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলুন

💦 পর্যাপ্ত পানি পান করুন

🧼 নিয়মিত হাত-মুখ পরিষ্কার রাখুন

🌸 অ্যালার্জির উৎস যেমন ধুলা বা পোষা প্রাণীর লোম থেকে দূরে থাকুন

🏃 সুস্থ জীবনযাপন ও ব্যায়াম করুন

❓ FAQ (Frequently Asked Questions)

১. সাইনোসাইটিস কি পুরোপুরি ভালো হয়?
👉 হ্যাঁ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওষুধ ও নিয়ম মেনে চললে সাইনোসাইটিস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তবে ক্রনিক সাইনোসাইটিস দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

২. কতদিন সাইনোসাইটিস থাকলে ডাক্তার দেখানো উচিত?
👉 যদি দুই সপ্তাহের বেশি নাক বন্ধ, মাথাব্যথা ও চোখের সমস্যা থাকে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৩. শিশুদের কি সাইনোসাইটিস হতে পারে?
👉 হ্যাঁ, শিশুদেরও সাইনোসাইটিস হতে পারে, বিশেষত যারা বারবার ঠান্ডায় ভোগে বা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়।

গলার পেছনে দুই পাশে অবস্থিত দুটি উপবৃত্তাকার লসিকা গ্রন্থিকে টনসিল বলা হয়। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার গুরুত্বপূ...
26/08/2025

গলার পেছনে দুই পাশে অবস্থিত দুটি উপবৃত্তাকার লসিকা গ্রন্থিকে টনসিল বলা হয়। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। টনসিল শরীরে প্রবেশকারী ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে আটকে রাখে এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলে। টনসিলের প্রদাহকেই টনসিলাইটিস (Tonsillitis) বলা হয়।

টনসিলের টিস্যুতে থাকা লিম্ফোসাইট (রোগ প্রতিরোধকারী কোষ) সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। তবে প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রথম স্তরে অবস্থান করার কারণে টনসিলেই প্রদাহ বা সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

🙎 টনসিল ইনফেকশনের কারণ

টনসিল ইনফেকশনের জন্য ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া উভয়ই দায়ী হতে পারে। বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের মধ্যে বিটা হেমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাস অন্যতম।
এ ছাড়া—

👉ঘন ঘন ঠান্ডা-সর্দি হওয়া
👉অপুষ্টি
👉দূষিত পরিবেশ
👉দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
👉অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় পান
👉ঋতু পরিবর্তন

এসব কারণে টনসিল ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

টনসিলাইটিস সাধারণত শিশু ও কিশোরদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও, যে কোনো বয়সের মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারেন।

⛄কেন শীতে টনসিলের সমস্যা বেশি হয়?

শীতে টনসিল সমস্যা তুলনামূলকভাবে বেশি হয় কারণ—

👉ঠান্ডা আবহাওয়া ও গরম-ঠান্ডা তাপমাত্রার পার্থক্যে সংক্রমণ বাড়ে
👉শ্বাসতন্ত্রে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বেড়ে যায়
👉শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে
👉ঘরে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বেশি সময় কাটানো হয়
👉গলা শুষ্ক হয়ে যায় বা ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে সমস্যা বাড়ে

🤒টনসিল ইনফেকশনের সাধারণ লক্ষণ

✔️ গলা ব্যথা ও অস্বস্তি (বিশেষত খাবার গিলতে কষ্ট)
✔️ টনসিল ফোলা ও লালচে হওয়া (কখনও সাদা/হলুদ দানা দেখা যায়)
✔️ ঘাড়ের লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া
✔️ জ্বর (সাধারণত ১০১°F বা তার বেশি)
✔️ মাথা ব্যথা ও শরীর ব্যথা
✔️ সর্দি-কাশি বা নাক বন্ধ হওয়া
✔️ মুখে দুর্গন্ধ

✋🚫ঘরোয়া প্রতিকার

শীতে টনসিলের ব্যথা কমানোর জন্য কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় হলো—

🌿 লবণ পানি গার্গল – কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে দিনে ৩–৪ বার গার্গল করুন।
🌿 আদা চা – আদায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান প্রদাহ কমায়।
🌿 লেবু-মধু-লবণের মিশ্রণ – গলায় আরাম দেয় ও সংক্রমণ কমায়।
🌿 গ্রিন টি ও মধু – অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জীবাণু ধ্বংস করে।
🌿 হলুদ মিশ্রিত গরম দুধ – প্রদাহ কমাতে সহায়ক।

🍱 টনসিলের সময় কী খাবেন?

🥣 গরম স্যুপ (চিকেন, ভেজিটেবল, ডাল)
🥣 খিচুড়ি, ওটস, নরম পুডিং বা কাস্টার্ড
🥣 সেদ্ধ ডিম, ম্যাশড পটেটো
🥤 গরম চা (আদা/তুলসী/মধু মিশ্রিত)
🥤 ফল ও সবজির রস (কমলা, আপেল, গাজর)

❌ শক্ত, মশলাদার ও ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

টনসিলের চিকিৎসা ও অ্যান্টিবায়োটিক

যদি ব্যাকটেরিয়াজনিত টনসিলাইটিস হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক—

👉পেনিসিলিন
👉অ্যামোক্সিসিলিন
👉সেফালোস্পোরিন
👉ম্যাক্রোলাইড (অ্যাজিথ্রোমাইসিন, ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন)
👉এরিথ্রোমাইসিন
👉ক্লিনডামাইসিন

➡️☠☢ মনে রাখবেন, অ্যান্টিবায়োটিক অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে এবং পুরো কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।

🩺কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?

👉জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হলে
👉শ্বাসকষ্ট হলে
👉বারবার টনসিল ইনফেকশন হলে
👉খাবার গিলতে কষ্ট হলে
👉টনসিলে সাদা দাগ থেকে না গেলে
👉প্রয়োজনে টনসিলেক্টোমি (টনসিল অপসারণ) করা হতে পারে।

🛡️প্রতিরোধের উপায়

✅ ঠান্ডা বা ধুলাবালি থেকে দূরে থাকুন
✅ নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখুন
✅ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন
✅ ঠান্ডা পানি ও আইসক্রিম এড়িয়ে চলুন
✅ সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে একই জিনিসপত্র ব্যবহার করবেন না

শীতে টনসিলের ব্যথা সাধারণ হলেও তা অবহেলা করা উচিত নয়। ঘরোয়া প্রতিকার যেমন লবণ পানি গার্গল, আদা চা, লেবু-মধু মিশ্রণ অনেকটা আরাম দিলেও, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা বা গুরুতর ইনফেকশনের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিয়মিত যত্ন ও সচেতনতা টনসিলের যন্ত্রণা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

ঘুমের অন্যতম সাধারণ ব্যাধি হলো স্লিপ অ্যাপনিয়া। এতে ঘুমের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাস বারবার ব্যাহত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখ...
20/08/2025

ঘুমের অন্যতম সাধারণ ব্যাধি হলো স্লিপ অ্যাপনিয়া। এতে ঘুমের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাস বারবার ব্যাহত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (OSA)। নাক ডাকা এ রোগের প্রধান উপসর্গ, তাই এটিকে কখনো হেলাফেলা করা উচিত নয়।

মানুষ কেন নাক ডাকে?

যাঁরা নিয়মিত নাক ডাকেন, তাঁদের শ্বাসপ্রশ্বাস সঠিকভাবে চলাচল করে না। অক্সিজেন প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়, ফলে নাক দিয়ে শব্দ হয়। এতে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহও কমে যেতে পারে।

সাধারণ লক্ষণসমূহ

🔹 দিনে অতিরিক্ত ঘুম বা অস্বাভাবিক ক্লান্তি
🔹 ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বা দম বন্ধ হয়ে যাওয়া
🔹 শুষ্ক মুখ বা গলা ব্যথা নিয়ে জেগে ওঠা
🔹 সকালের দিকে মাথাব্যথা
🔹 মনোযোগ কমে যাওয়া
🔹 বিরক্তি, হতাশা বা মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া
🔹 উচ্চ রক্তচাপ

এসব উপসর্গ ফ্লু বা সাধারণ ঠান্ডার মতো সাময়িক কারণেও হতে পারে। তবে যদি এগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়, অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

যাঁদের ঝুঁকি বেশি

⚡ স্থূলতা (অতিরিক্ত চর্বি শ্বাসনালিতে চাপ ফেলে)
⚡ বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে
⚡ সরু শ্বাসনালি থাকা
⚡ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস
⚡ দীর্ঘস্থায়ী সর্দি, নাক বন্ধ থাকা বা হাঁপানি
⚡ ধূমপানের অভ্যাস

রোগ নির্ণয়

🩺 চিকিৎসক প্রথমে গলা, নাক ও মুখ পরীক্ষা করেন এবং রক্তচাপ পরিমাপ করেন। এরপর বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হয়:

- পলিসমনোগ্রাফি (Sleep Study): শ্বাসপ্রশ্বাস, শরীরের নড়াচড়া, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, হৃদ্‌যন্ত্র ও মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হয়।
- হোম স্লিপ অ্যাপনিয়া টেস্ট: এটি ঘরে বসেই করা যায়। এতে বায়ুপ্রবাহ, শ্বাসের ধরন, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা এবং নাক ডাকার তীব্রতা মাপা হয়।

চিকিৎসাঃ

স্লিপ অ্যাপনিয়ার চিকিৎসা মূলত রোগীর অবস্থা ও তীব্রতার ওপর নির্ভর করে। হালকা ক্ষেত্রে সাধারণ পরিবর্তনই যথেষ্ট হতে পারে, তবে জটিল অবস্থায় বিশেষ চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচার দরকার হয়।

🟢 জীবনধারার পরিবর্তন

- ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন কমালে শ্বাসনালির ওপর চাপ কমে যায়, ফলে নাক ডাকা ও অ্যাপনিয়া দুটোই কমে।
- ঘুমের ভঙ্গি পরিবর্তন: অনেক সময় চিৎ হয়ে ঘুমালে সমস্যা বাড়ে। পাশ ফিরে শোয়া শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
- ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার: এগুলো শ্বাসনালিকে সংকুচিত করে এবং ঘুমের মান নষ্ট করে।
- নিয়মিত ব্যায়াম: শরীর চাঙা রাখে এবং অক্সিজেন সঞ্চালন বাড়ায়।

🟡 চিকিৎসা-সহায়ক যন্ত্র

- CPAP (Continuous Positive Airway Pressure) মেশিন: এটি একটি বিশেষ মাস্ক, যা ঘুমের সময় নাকে-মুখে লাগিয়ে রাখা হয়। এটি বাতাসের চাপ তৈরি করে শ্বাসনালি খোলা রাখে, ফলে দম বন্ধ হওয়া বা নাক ডাকা কমে।
- BiPAP (Bi-level Positive Airway Pressure): যাদের CPAP সহ্য করতে সমস্যা হয়, তাঁদের জন্য এই যন্ত্র ব্যবহৃত হয়। এতে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সময় ভিন্ন চাপ দেওয়া হয়।
- Oral Appliances (ডেন্টাল ডিভাইস): দাঁতের উপর বসানো বিশেষ যন্ত্র, যা জিভ বা চোয়ালকে সঠিক অবস্থানে রাখে এবং শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে।

🔴 সার্জিক্যাল চিকিৎসা

- যদি অন্যান্য চিকিৎসায় কাজ না হয়, তখন অস্ত্রোপচার বিবেচনা করা হয়:
- Uvulopalatopharyngoplasty (UPPP): গলার অতিরিক্ত টিস্যু কেটে শ্বাসনালি প্রশস্ত করা হয়।
- Tonsillectomy বা Adenoidectomy: শিশু বা প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে বড় হওয়া টনসিল বা অ্যাডেনয়েড অপসারণ করা হয়।
- Maxillomandibular advancement surgery: চোয়ালের হাড় সামান্য সামনে আনা হয়, যাতে শ্বাসনালি বড় হয়।
- Tracheostomy: খুব মারাত্মক অবস্থায় গলায় কৃত্রিম ছিদ্র করে শ্বাসনালি খোলা রাখা হয়। এটি একেবারে শেষ পর্যায়ের চিকিৎসা।

🌙 অতিরিক্ত পরামর্শ

- নিয়মিত ঘুমের সময় মেনে চলা
- বিছানায় যাওয়ার আগে ভারী খাবার বা সেডেটিভ ওষুধ এড়িয়ে চলা
- সর্দি বা নাক বন্ধ হলে চিকিৎসা নেওয়া
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা

নাক ডাকা শুধু বিরক্তিকর নয়, এটি স্লিপ অ্যাপনিয়ার সতর্ক সংকেতও হতে পারে। তাই উপসর্গগুলোকে হালকাভাবে না নিয়ে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কান ও নাকে গয়না পরার প্রচলন বহু পুরোনো। তবে অনেকেই কান ও নাক ফোঁড়ানোকে ভয় পান—কারণ এর সঙ...
18/08/2025

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কান ও নাকে গয়না পরার প্রচলন বহু পুরোনো। তবে অনেকেই কান ও নাক ফোঁড়ানোকে ভয় পান—কারণ এর সঙ্গে রয়েছে সংক্রমণের ঝুঁকি। তাই কান ও নাক ফোঁড়ানো, সম্ভাব্য সংক্রমণ ও প্রতিরোধ নিয়ে জানা জরুরি।

কান ও নাক ফোঁড়ানোর স্থান ও সংক্রমণের ঝুঁকিঃ

কান ও নাকের ভেতরে সংবেদনশীল টিস্যু থাকে, বিশেষ করে কার্টিলেজ (নরম হাড়)। কোন স্থানে ছিদ্র করা হচ্ছে তার ওপরই সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে নির্ভর করে।

✨ কানের লতি (Ear lobe): নরম, কার্টিলেজবিহীন ও রক্তসঞ্চালন ভালো হওয়ায় এখানে ছিদ্র করলে সাধারণত সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে এবং দ্রুত সেরে যায়।

✨ কানের কার্টিলেজ(যেমন ট্রেগাস): এই অংশে ছিদ্র করলে পেরিকন্ড্রাইটিস নামক জটিল সংক্রমণ হতে পারে। এতে তীব্র ব্যথা, ফুলে যাওয়া, পুঁজ জমা, এমনকি দীর্ঘমেয়াদে কান বিকৃত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

✨ নাক: নাকের এলায় বা পাশের নরম অংশে ছিদ্র করা তুলনামূলক নিরাপদ। তবে গভীরে কার্টিলেজে ছিদ্র করলে সংক্রমণ হতে পারে। সেপ্টামে (নাকের মাঝের অংশে) সঠিকভাবে ছিদ্র না করলে জটিলতা তৈরি হয়।

👉 সুতরাং, কানের লতি ও নাকের বাইরের নরম অংশই ছিদ্র করার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান।

ছিদ্র করার পদ্ধতি ও সতর্কতা:

ছিদ্র করার কৌশল ও পরিচ্ছন্নতা সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

✔️ চিকিৎসক, পেশাদার ও লাইসেন্সধারী ব্যক্তির মাধ্যমে কান/নাক ফোঁড়ানো উচিত।
✔️ সুঁই (Needle) ব্যবহার করা নিরাপদ; কারণ এটি একবার ব্যবহারযোগ্য ও সহজে জীবাণুমুক্ত করা যায়।
✔️ গান শট (Gun shot) পদ্ধতিতে টিস্যু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এটি পর্যাপ্ত জীবাণুমুক্ত না হওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
✔️ ছিদ্র করার আগে জীবাণুনাশক দিয়ে স্থান পরিষ্কার করতে হবে, এবং ছিদ্রকারীকে অবশ্যই স্টেরাইল গ্লাভস পরতে হবে।

গয়না নির্বাচনে সতর্কতা:

ছিদ্রের পর কোন গয়না পরা হচ্ছে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।
💎 সোনার গয়না বা সুতার দুল সাধারণত নিরাপদ ও কম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
⚠️ নিকেল বা ইমিটেশন গয়নায় অ্যালার্জি, প্রদাহ, গ্রানুলোমা (টিস্যু ফুলে ওঠা) হতে পারে।

কোন বয়সে কান-নাক ফোঁড়ানো উচিত:

➡️ খুব ছোট বয়সে শিশুদের কান-নাক ফোঁড়ানো নিরাপদ নয়। গয়না খুলে গিয়ে কানের বা নাকের ভেতরে ঢুকে যাওয়া, কাপড়ে আটকে যাওয়া বা সংক্রমণের কারণে জটিলতা হতে পারে।
➡️ যখন শিশু নিজে সচেতনভাবে যত্ন নিতে পারবে, সেই বয়সে ফোঁড়ানোই উত্তম।
➡️ গয়না শক্ত করে লাগানো উচিত, অযথা টানাটানি বা ময়লা হাত দিয়ে স্পর্শ করা যাবে না।

সংক্রমণ হলে করণীয়:

কান বা নাক ফোঁড়ানোর পর যদি ব্যথা, লালচে হয়ে যাওয়া, ফোলা, পুঁজ বা জ্বর দেখা দেয় তবে এটি সংক্রমণের লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে—

1️⃣ চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিসেপ্টিক মলম ব্যবহার করুন।
2️⃣ প্রয়োজন হলে ব্যথানাশক (যেমন প্যারাসিটামল) খাওয়া যেতে পারে।
3️⃣ পুঁজ জমলে চিকিৎসক সার্জারির মাধ্যমে তা বের করে দেবেন।
4️⃣ ছিদ্রের স্থান পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে।
5️⃣ অপরিষ্কার হাত দিয়ে স্পর্শ করা একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে।

কান ও নাক ফোঁড়ানো একটি প্রাচীন রীতি হলেও এটি করার সময় সতর্কতা না মানলে সংক্রমণ ও জটিলতা দেখা দিতে পারে। নিরাপদ স্থান নির্বাচন, সঠিক পদ্ধতি ও পরবর্তী যত্নই সুস্থভাবে গয়না পরিধানের নিশ্চয়তা দেয়।

     প্লিওমরফিক অ্যাডেনোমা: প্যারোটিড গ্রন্থির সবচেয়ে কমন টিউমার ---🧾 পরিচিতিঅন্য নাম: Benign mixed tumorকোথায় হয়: Pa...
15/08/2025





প্লিওমরফিক অ্যাডেনোমা:
প্যারোটিড গ্রন্থির সবচেয়ে কমন টিউমার

---

🧾 পরিচিতি

অন্য নাম: Benign mixed tumor

কোথায় হয়:

Parotid gland (৬০–৭০% সালিভারি গ্ল্যান্ড টিউমারের মধ্যে)

প্যারোটিডের superficial lobe এ বেশি হয়

প্রকৃতি: ধীরে বাড়ে, ব্যাথাহীন, বেনাইন কিন্তু ক্যাপসুল থাকলেও microscopic extension থাকে, তাই অপারেশনের পর পূণরায় হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

---

📌 কারণ ও ঝুঁকির কারণ

সঠিক কারণ অজানা

সম্ভবত জেনেটিক মিউটেশন (PLAG1, HMGA2 gene)

রেডিওথেরাপি নেয়ার ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি কিছুটা বাড়ে

---

🩺 লক্ষণ

কানের ঠিক নিচে বা সামনের দিকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা ব্যাথাহীন ফোলা

ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস থাকলে ক্যানসার সন্দেহ, যেখানে মুখমন্ডলের এক পাশ অবশ হয়ে যায়।

সাধারণত স্কিন বা গভীর টিস্যুর সাথে ফিক্সড নয়

দীর্ঘদিন থাকলে আকার বেশ বড় হতে পারে

---

🧪 ডায়াগনোসিস

1. Clinical examination – painless, firm, mobile lump in parotid

2. FNAC – বেনাইন সেল বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করতে

3. USG / MRI – টিউমার এর সঠিক বিস্তৃতি বোঝার জন্য

4. ফেসিয়াল নার্ভের পরীক্ষা– অপারেশনের আগে

---

💉 চিকিৎসা

অপারেশনই একমাত্র নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা

অপারেশনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাতে ফেসিয়াল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, কারণ এতে মুখ বাকা হয়ে যায়।

---

💡 মনে রাখবেন
প্লিওমরফিক অ্যাডেনোমা বেনাইন হলেও দীর্ঘদিন রাখলে ক্যান্সারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে (Carcinoma ex pleomorphic adenoma)। তাই যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন করাই উত্তম।

14/08/2025

কারও কারও হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। অনেকেই খুব ভয় পান। তবে এটি একটি উপসর্গ, কোনো রোগ নয়। নাক দিয়ে হঠাৎ রক্ত পড়ার কারণ, করণীয় জানুন 👇

রাইনোরিয়া বলতে বোঝায় নাক দিয়ে পানি বা শ্লেষ্মা নির্গত হওয়া। এটি কোনো নির্দিষ্ট রোগ নয়, বরং একটি উপসর্গ—বিশেষ করে নাকের ভ...
10/08/2025

রাইনোরিয়া বলতে বোঝায় নাক দিয়ে পানি বা শ্লেষ্মা নির্গত হওয়া। এটি কোনো নির্দিষ্ট রোগ নয়, বরং একটি উপসর্গ—বিশেষ করে নাকের ভেতরের মিউকাস ঝিল্লির প্রদাহজনিত কারণে এটি দেখা যায়। রাইনোরিয়া সাধারণত ঊর্ধ্ব শ্বাসনালির সংক্রমণ, অ্যালার্জি, কিংবা জীবাণুর সংস্পর্শে এসে হয়ে থাকে। সর্দি সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হলেও, কখনো কখনো তা দীর্ঘস্থায়ী বা ক্রনিক হয়ে উঠতে পারে।

📌 সম্ভাব্য কারণ
🔸 ভাইরাসজনিত কারণ

- সাধারণ রাইনোভাইরাস
- সাইনুসাইটিস
- তাপমাত্রা পরিবর্তন
- অ্যালার্জি
- নাকের সংক্রমণ বা পলিপ

🔸 নার্ভজনিত কারণ

- ভাসোমোটর রাইনাইটিস
- মস্তিষ্কের তরল (CSF) নাক দিয়ে পড়া, যাকে বলে CSF রাইনোরিয়া

⚠️ সাধারণ লক্ষণ

- নাক শিরশির করা
- বারবার পানি বা শ্লেষ্মা পড়া
- হাঁচি ও কাশি
- নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
- গলা খুসখুস করা
- চোখ দিয়ে পানি পড়া
- মাথা ভার অনুভব করা

🩹 চিকিৎসা

সাধারণ সর্দি হলে:

✅ বিশ্রাম নেওয়া
✅ বেশি পানি ও তরলজাতীয় খাবার খাওয়া
✅ গরম পানির ভাপ নেওয়া

অ্যালার্জিজনিত রাইনোরিয়া হলে:

- অ্যালার্জি-উদ্দীপক জিনিস এড়িয়ে চলা
- অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ গ্রহণ
- নাকে ব্যবহারের জন্য স্টেরয়েডযুক্ত নাকের স্প্রে
- প্রয়োজন অনুসারে মন্টেলুকাস্ট জাতীয় ট্যাবলেট (ডাক্তারের পরামর্শে)

⚠️ দীর্ঘদিন নাকের ড্রপ ব্যবহার করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

🛡️ প্রতিকার ও সাবধানতা
☑️ নিয়মিত ঘর, পর্দা ও বিছানার চাদর পরিষ্কার করুন
☑️ বাইরে গেলে মাস্ক পরুন
☑️ হাঁচি হলে শিষ্টাচার মেনে নিরাপদ দূরত্বে হাঁচি দিন
☑️ অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার (যেমন: আইসক্রিম, ঠান্ডা জুস) এড়িয়ে চলুন

10/08/2025

উনার টনসিলের অপারেশন হয়েছিল ১০ বছর আগে, একজন অভিজ্ঞ ইএনটি প্রফেসরের মাধ্যমে। অপারেশনে কোনো ভুল ছিল না, কিন্তু তবুও কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন ঘটে। আসলে প্রায় প্রতিটি অপারেশনেরই কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে, যা কোনোভাবেই পুরোপুরি এড়ানো যায় না।

তাই একজন চিকিৎসক হিসেবে অযথা কোনো অপারেশন করা উচিত নয়। আমি বলছিনা উনার অপারেশন অপ্রয়োজনীয় ছিল।

যিনি এই অপারেশনটি করেছিলেন তিনি অত্যন্ত দক্ষ সার্জন, কিন্তু তারপরও এমন একটি জটিলতা হয়েছে—যা উনার কোনো ভুলের জন্য ছিল না।

এই ঘটনাটি থেকে বোঝা যায়, কোনো অপারেশন করার আগে অন্তত ১০ বার ভেবে দেখা উচিত—অপারেশনটি সত্যিই অপরিহার্য কি না।

প্রথমবারের মত কক্সবাজারে গাড়ী ড্রাইভ যাওয়াটা ছিল বেশ রোমাঞ্চকর।যতবারই যাওয়া হোকনা কেন, সমুদ্রে নেমে ঢেউয়ের তালে আনন্দ উপ...
06/08/2025

প্রথমবারের মত কক্সবাজারে গাড়ী ড্রাইভ যাওয়াটা ছিল বেশ রোমাঞ্চকর।

যতবারই যাওয়া হোকনা কেন, সমুদ্রে নেমে ঢেউয়ের তালে আনন্দ উপভোগ করার চিরাচরিত স্বভাব মনে হয় সবসময় থেকেই যাবে।

এই যান্ত্রিক জীবনে সাময়িক স্বস্থিটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।

জেনে রাখা ভাল:কাওয়াসাকি ডিজিজঃ শিশুর হৃদযন্ত্রের জন্য এক নীরব হুমকি!🧠 কারণস্পষ্টভাবে জানা যায়নি, তবে এটি একটি অটোইমিউন...
31/07/2025

জেনে রাখা ভাল:

কাওয়াসাকি ডিজিজঃ শিশুর হৃদযন্ত্রের জন্য এক নীরব হুমকি!

🧠 কারণ

স্পষ্টভাবে জানা যায়নি, তবে এটি একটি অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া (শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজের শরীরের বিপরীতে কাজ করে) বলে ধারণা করা হয়।

🩺 রোগ নির্ণয় (ডায়াগনোসিস)

✅ রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ অনুযায়ী মূল্যায়ন
✅ ইকোকার্ডিওগ্রাফি (হৃদপিণ্ডের ধমনীগুলোর অবস্থা দেখার জন্য)
✅ ইসিজি (হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পরিমাপ)
✅ রক্ত পরীক্ষা (যেমন: সিআরপি, সিবিসি)

---

⚠️ উপসর্গ (লক্ষণ)

✔ দীর্ঘদিন ধরে জ্বর (৫ দিনের বেশি)
✔ চোখ লাল হয়ে যাওয়া
✔ শরীরে ফুসকুড়ি বা চুলকানি
✔ হাত-পা লাল ও ফুলে যাওয়া
✔ জিভ লাল ও ছোট ছোট গুটি (স্ট্রবেরি টাং)
✔ গলার গ্রন্থি ফুলে যাওয়া (সারভাইকাল লিম্ফ্যাডেনোপ্যাথি)

---

💊 চিকিৎসা
➡ শিরায় ইমিউনোগ্লোবুলিন (IVIG) দেওয়া
➡ অ্যাসপিরিন (শুরুতে উচ্চ মাত্রায়)
➡ কিছু ক্ষেত্রে কর্টিকোস্টেরয়েড
➡ পরবর্তীতে ইকোকার্ডিওগ্রামের মাধ্যমে হৃদপিণ্ডের অবস্থা পর্যবেক্ষণ

শেষ কথাঃ

☠️ ৫ দিন বা তার বেশি জ্বর, চোখ লাল, ঠোঁট ফাটা, র‍্যাশ, গলা ফুলে গেলে অবহেলা নয়!

💉 সময়মতো চিকিৎসা দিলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

গলায় মাছের কাঁটা আটকে যাওয়া: কারণ, করণীয় ও সতর্কতাকাঁটা কোথায় আটকায়?ছোট বা বড় মাছের কাঁটা সাধারণত গলার ভেতর, জিভের গোড়ায়...
30/07/2025

গলায় মাছের কাঁটা আটকে যাওয়া: কারণ, করণীয় ও সতর্কতা

কাঁটা কোথায় আটকায়?

ছোট বা বড় মাছের কাঁটা সাধারণত গলার ভেতর, জিভের গোড়ায় বা গলবিল (ফ্যারিংস)-এ আটকে যেতে পারে। সাধারণত ০.৫ থেকে ৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত কাঁটা আটকে যাওয়ার ঘটনা বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে ছোট কাঁটা আটকে যাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। রুই, পোনা, ভেটকি, ইলিশ, তেলাপিয়া, পুঁটি, টাকি, গুলশা ইত্যাদি মাছের কাঁটা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

🕒 কতদিন আটকে থাকতে পারে?
চিকিৎসা ইতিহাসে দেখা গেছে, একজন রোগীর গলায় ৯ মাস পর্যন্ত কাঁটা আটকে ছিল। ঘাড়ে ব্যথা শুরু হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে কাঁটার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। তাই দীর্ঘ সময় অবহেলা করা বিপজ্জনক। তবে এটা খুব বিরল ঘটনা। সাধারনত কাটা লম্বা সময় গলার মধ্যে আটকে থাকেন থাকেনা, তার আগেই বিভিন্ন উপসর্গ তৈরি করে যা রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিতে বাধ্য করে।

👥 কারা বেশি ঝুঁকিতে?
গলায় কাঁটা আটকে যাওয়া যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। তবে ২১-৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়, কারণ তারা দ্রুত খাওয়া বা কাজে ব্যস্ততার সময় অসতর্ক থাকে।

বিশেষ ঝুঁকির তালিকায় রয়েছেন:

- শিশু
- বয়স্ক ব্যক্তি
- যাঁরা নকল দাঁত ব্যবহার করেন
- সেরেব্রাল পালসি রোগী
- মাসকুলার ডিস্ট্রফি রোগী
- যারা খুব দ্রুত বা অতিরিক্ত খাবার খান

🏠 ঘরোয়া করণীয়

গলায় কাঁটা আটকে গেলে নিচের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি কাজে আসতে পারে:

🪺 হাইড্রোজেন পারক্সাইড মাউস ওয়াস।

🍚 সাদা ভাত গেলা
২-৩ বার ভাত গিলে দেখুন। এতে কাঁটা নেমে যেতে পারে।

🍌 পাকা কলা খাওয়া
পিচ্ছিল কলা কাঁটাকে গলা দিয়ে নামাতে সাহায্য করে। বড় কামড় দিয়ে কিছুক্ষণ মুখে রেখে গিলে ফেলুন।

🤧 জোরে কাশি দেওয়া
জিভের পেছনে কাঁটা থাকলে জোরে কাশলে বের হয়ে যেতে পারে।

🫒 অলিভ অয়েল খাওয়া
গলার ভিতর পিচ্ছিলতা তৈরি করে, কাঁটা সহজে নিচে চলে যেতে পারে।

🍋 ভিনেগার বা লেবুর রস
অ্যাসিডিক উপাদান কাঁটাকে নরম করে নামিয়ে দিতে সাহায্য করে। সরাসরি না খেয়ে পানিতে মিশিয়ে গ্রহণ করুন।

🌊 লবণপানির গার্গল
কুসুম গরম লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার পেশি রিল্যাক্স হয়ে কাঁটা আলগা হতে পারে।

🚫 কী করবেন না

❎গলার ভেতরে আঙুল বা অন্য কিছু ঢোকানো যাবে না।
❎বারবার গলার নড়াচড়া বা গিলতে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
❎কুসংস্কার (যেমন বিড়ালের পা ধরা) থেকে দূরে থাকুন।
❎ঝাড়ফুঁক বা অপেশাদার চিকিৎসায় ঝুঁকি নেবেন না।

🆘 কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাজ না হয় বা নিচের লক্ষণগুলো দেখা দেয়, তাহলে বিলম্ব না করে নিকটস্থ হাসপাতাল বা নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যান:

- তীব্র ব্যথা
- রক্তপাত
- গলার ভেতর ফুলে যাওয়া
- অতিরিক্ত লালা ঝরা
- শ্বাসকষ্ট
- বুকে ব্যথা
- খাবার/পানি গিলতে অসুবিধা

⚠️ অতিরিক্ত সতর্কতা

অনেক সময় মনে হয় গলায় কাঁটা আটকে আছে, কিন্তু সেটি নামার পরও অস্বস্তি থেকে যায়। এ ধরনের ক্ষেত্রে বারবার ঢোক গেলার চেষ্টা করুন ও ব্যথার উৎস নির্ধারণ করুন।

যদি সন্দেহ থাকে, তবে দেরি না করে পরীক্ষা করান। কারণ বেশি সময় কাঁটা গলায় থাকলে ইনফেকশন বা বড় জটিলতা তৈরি হতে পারে।

কুসংস্কার নয় চিকিৎসাই সমাধান।
অতএব, সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন।

 #এন্ডোস্কোপিক_টিমপেনোপ্লাস্টি  / এন্ডোস্কোপীক পদ্বতিতে কানের পর্দার অপারেশনএটি কানের পর্দার ফুটো বা পারফোরেশন বন্ধ করার...
29/07/2025

#এন্ডোস্কোপিক_টিমপেনোপ্লাস্টি /

এন্ডোস্কোপীক পদ্বতিতে কানের পর্দার অপারেশন

এটি কানের পর্দার ফুটো বা পারফোরেশন বন্ধ করার জন্য একটি আধুনিক ও মৃদু (minimally invasive) সার্জারী পদ্ধতি।

---

✅ কী হয় এই সার্জারিতে?

এন্ডোস্কোপের মাধ্যমে, অর্থাৎ একটি ক্যামেরা ব্যবহার করে, কানের ভিতরের অংশ স্পষ্টভাবে দেখা হয়। এরপর কানের পর্দার ফুটো ঢাকতে টিস্যু গ্রাফট (সাধারণত টেম্পোরাল ফাশা) ব্যবহার করা হয়।

---

🎯 এই পদ্ধতির সুবিধাসমূহ:

👉কানের পিছনে কাটা লাগেনা (no postauricular incision)

👉কম ব্যথা ও কম রক্তপাত

👉দ্রুত রিকভারি

👉কম সময় লাগে অপারেশনে

👉নাক, গলা বা অন্যান্য কমরবিডিটি থাকলেও সহজে করা যায়

---

🧑‍⚕️ কাদের জন্য উপযুক্ত?

👉যাদের কানের পর্দায় ছোট থেকে মাঝারি আকারের ফুটো রয়েছে

👉কানে বারবার পানি পড়ে বা ইনফেকশন হয়

👉শ্রবণশক্তি কিছুটা কমে গেছে

_ডাঃ মাহমুদ উল্লাহ ফারুকী
এমবিবিএস (ঢাকা মেডিকেল কলেজ)
এমএস (ইএনটি) বিএসএমএমইউ
বিসিএস (স্বাস্থ্য)
কনসালটেন্ট (ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারী),
পার্কভিউ হসপিটাল, চট্টগ্রাম ও
এপিক হেল্থ কেয়ার(মেডিকেল পূর্ব গেইট শাখা)

#শহরে_চেম্বার:

১। পার্কভিউ হাসপাতাল,
পাঁচলাইশ,চট্টগ্রাম।
সময়:
রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার
বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা।

রুম নং: ২২১ (লিফটের ২)

সিরিয়ালের জন্যঃ
#০১৮৪১৭৫০৫৭৩

২। এপিক হেল্থ কেয়ার (মেডিকেল পূর্ব গেইট শাখা, চিটাগাং গ্রামার স্কুলের পাশে)
শিডিউলঃ
শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যা ৬.৩০ টা থেকে রাত ৯.৩০ টা (শুক্রবার ও সোমবার বন্ধ)
শনিবার রাত ৮ টা থেকে ১০টা

রুম নংঃ ৭১৩ (লিফট এর ৭)

সিরিয়ালের জন্যঃ
#০১৮৪৬৮৫০৫৮৫ (সহকারী), ০১৯৮৪-৪৯৯৭০০, ০১৮৯৪-৭১৩২১০

#পটিয়া_চেম্বার:

পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিপরীতে, পটিয়া পৌরসভা।

শিডিউলঃ
প্রতি শুক্রবার ও সোমবার
বিকাল ৪ টা থেকে ৭ টা

সিরিয়ালের জন্যঃ
#০১৮৮৬৯০০০৫২,
০১৮৮৬-৯০০০৫৩

#সীতাকুন্ড_চেম্বার:

পদ্মা ক্লিনিক্যাল ল্যাব,
আলিয়া মাদ্রাসা মার্কেট, সীতাকুন্ড পৌরসভা ডিটিরোড, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম।

শিডিউলঃ
প্রতি শনিবার বিকাল
৩.৩০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ টা

সিরিয়ালের জন্যঃ
#০১৮৭৭৭৬০৫০১,
০১৮৭৭৭৬০৫০২

নাক-কান-গলার বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে জানতে পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন
https://www.facebook.com/entspecialistfaruquee

#নাক_কান_গলা_বিশেষজ্ঞ_চট্টগ্রাম







https://www.youtube.com/

Address

Parkview Hospital
Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Mahmud Ullah Faruquee-ENT Specialist & Head Neck Surgeon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Mahmud Ullah Faruquee-ENT Specialist & Head Neck Surgeon:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram