পেখম মেলা - Pekhom Mela

পেখম মেলা - Pekhom Mela আপনার শিশু, আমাদের পরিচর্যা

আপনার শিশুকে স্বাধীন খেলাধুলা করতে দিন..শিশুদের যখন তাদের ইচ্ছামত খেলার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে তখন তাকে স্বাধীন খেলাধুলা ব...
24/01/2024

আপনার শিশুকে স্বাধীন খেলাধুলা করতে দিন..

শিশুদের যখন তাদের ইচ্ছামত খেলার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে তখন তাকে স্বাধীন খেলাধুলা বলা হয়। বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে সাজিয়া জামান বলেন, “তারা নিজেরাই সবকিছু বেছে নিতে পারে। খেলার উপকরণ, আগ্রহের বিষয়, এমনকি কোনো ঘটনা বেছে নেয়ার স্বাধীনতাও তাদের রয়েছে।” স্বাধীনভাবে খেলার সময়, দিন, এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে শিশুরা যেভাবে বিষয়গুলো বেছে নেয়, তার মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের প্রকাশ করতে পারে। ফেরদৌসি খানম বলেন, “এই ধরনের সুযোগ শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রতিটি শিশুই স্বতন্ত্র এবং তাদের নিজেদের প্রকাশ করার স্বতন্ত্র ও ভিন্ন ভিন্ন উপায় রয়েছে। তিনি বলেন, “আপনার এমন এক শিশু থাকতে পারে যে আঁকতে চাইতে পারে, আবার অন্য এক শিশু একটি ধাঁধা জাতীয় খেলা খেলতে পছন্দ করতে পারে। প্রতিটি শিশুই তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন উপায় বেছে নেয়।”

ফেরদৌসি খানম জানান, “কিছু কিছু সময় আছে যখন বাচ্চাদের একা বা স্বাধীনভাবে খেলা ভাল। কারণ একা একা খেললে তারা অধিকতর সৃজনশীল হতে পারে” জামান বলেন, “যখন একটি শিশু একা খেলে, তখন নিজের কল্পনার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করছে। এবং শৈশব থেকেই সে স্বাধীন হয়ে উঠছে।” অল্প বয়সে এমন স্বাধীন হয়ে গড়ে উঠা তার পরবর্তী জীবনের জন্য বেশ উপকারী।

সমস্যা সমাধানের দক্ষতা শেখার জন্য স্বাধীনভাবে খেলাও গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “খেলার সময় তারা একটি সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করতে পারে বা নিজেরাই সমাধান তৈরি করে ফেলতে পারে। তাদের নিজস্ব চিন্তাধারা প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত হয়। স্বাধীনভাবে খেলার সময় একটি শিশুর মধ্যে এই দক্ষতা এবং সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে।”

© ইউনিসেফ

17/01/2024

ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিউমোনিয়া হয়। এই সংক্রমণের ফলে ফুসফুসের বায়ুথলি আক্রান্ত হয়। ফলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত হয়।

পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া পরিবেশগত কারণে অর্থাৎ বাড়ির বায়ুদূষণ, জরাজীর্ণ বাড়িতে বসবাস, পরোক্ষ ধূমপান ইত্যাদি শিশুর নিউমোনিয়ায় রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা শতভাগ বাড়িয়ে দেয়।

ঝুঁকি রোধে করণীয়

১. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ।

২. মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো।

৩. শিশুর বয়স ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো। মায়ের বুকের দুধে সকল পুষ্টি বিদ্যমান থাকে, যা শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।

৪. জাতীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী শিশুকে টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা।

৫. শিশুর টিকাদান ব্যাপারে মায়েদের সচেতনতা বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া।

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি, সুষম খাদ্যগ্রহণ, টিকাদান কর্মসূচির সম্প্রসারণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ রোগের প্রার্দুভাব কমিয়ে আনা সম্ভব।

© লেখক: ড. আফরিদা ইসলাম, প্রভাষক, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল

সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট নিউজ

16/01/2024

বর্তমানে অভিভাবকদের অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিশুর কথা বলতে দেরি হওয়া। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: গোপেন কুমার কুন্ডুর ভাষ্যে, "সাধারণত শিশুরা চার থেকে ছয় মাস বয়সের মধ্যে 'মামা-বাবা'র মতো বাবলিং সাউন্ড করে, এক বছরে এক-দুইটা করে অর্থবহ শব্দ বলতে শেখে, দুই বছরে ছোট ছোট বাক্য গঠন করতে পারে, তিন বছরে ছড়া বলতে শেখে, এর কোথাও ব্যত্যয় ঘটলে মা-বাবাকে বুঝে নিতে হবে শিশুর বিকাশে সমস্যা হচ্ছে। সম্প্রতি আমাদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের মধ্যে কথা বলতে সমস্যা হওয়ার ঘটনা খুব সাধারণ।"

বিশেষজ্ঞ এই ডাক্তারের মতে, শিশুদের কথা বলতে দেরি হওয়ার পেছনে মূলত দুই ধরনের কারণ থাকতে পারে। প্রথমটি জেনেটিক, দ্বিতীয়টি পরিবেশগত। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রভাব শিশুর বিকাশে বিঘ্ন ঘটার পরিবেশগত কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম।

শিশুর এক বছর পূর্ণ হওয়ার পরপরই সাধারণত বাবা-মায়েরা তাকে মোবাইল বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে দেয়, দীর্ঘদিনের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা থেকে জানান ডাক্তার গোপেন কুমার। অভিভাবকের সময় স্বল্পতায় শিশুকে ব্যস্ত রাখতে সহজ সমাধান হিসেবেই এসব ডিভাইসকে বেছে নেওয়া হয় অধিকাংশ পরিবারে। কিন্তু এই সহজ সমাধান কঠিন সমস্যা হিসেবে ধরা পড়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই।

মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে আসক্তির কারণে ধীরে ধীরে শিশু হয়ে ওঠে অন্যমনস্ক। সরাসরি কারো সঙ্গে কথা বলতে চায় না সে, অন্য কোনো খেলাধুলায় আগ্রহী হয় না, সময়মতো ঘুমাতেও চায় না। একপর্যায়ে পুরোপুরিই কথা বলা বন্ধ করে দিতে পারে শিশু।

মোবাইলে হিন্দি-ইংরেজি নানান ভাষার কার্টুন দেখতে দেখতে কখনো কখনো নিজের বানানো অর্থহীন শব্দে কথা বলার চেষ্টাও করতে পারে সে। এছাড়াও চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, ঘাড় ব্যথা, মাথা ব্যথার মতো নানা শারীরিক সমস্যারও শিকার হয় শিশু। ডিভাইসের প্রতি আসক্তি থেকে 'স্ক্রিন ডিপেন্ডেন্সি ডিজঅর্ডারে'ও ভুগতে শুরু করে শিশু।

শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য প্রথম পাঁচ বছর বয়সকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে বাচ্চার মস্তিষ্কের ৮০ শতাংশ বিকাশ ঘটে তিন বছর বয়স পর্যন্ত। বাকি ২০ শতাংশ বিকাশ ঘটে তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সে। তাই এই বয়সেই শিশুদের দিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখতে হয় বাবা-মায়ের।

ডা: গোপেন কুমার কুন্ডু বলেন, "প্রথম তিন বছর বয়সটা শিশুদের বিকাশের জন্য 'গোল্ডেন উইন্ডো পিরিয়ড' হিসেবে ধরা হয়। এই সময়ে শিশু যে পরিবেশে বড় হবে সেটা তার সারাজীবনের উপর প্রভাব ফেলবে। এই সময়টায় কোনো কারণে শিশুর ব্রেনের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সারিয়ে তোলা কষ্টকর।"

শিশুর এই বিকাশকালীন সময়ে কোনো সমস্যা খেয়াল করলে দেরি না করে সাথে সাথেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেন এই চিকিৎসক। শিশুর কথা বলতে না চাওয়া, ইলেকট্রনিক ডিভাইসে আসক্তি, ঘুম কম হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখলে জানাতে হবে ডাক্তারকে।

'আমাদের কাছে সাধারণত দুই-তিন বছর বয়সী বাচ্চাদের নিয়ে মা-বাবারা বেশি আসেন। দুই বছর বয়স বা তার আগে বাচ্চাকে নিয়ে এলে আমরা একটু বেশি সময় পাই সাহায্য করার। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চার ব্রেইনের নিউরনের বিকাশ ঘটানোর জন্য আমরা চেষ্টা করতে পারি বিভিন্ন থেরাপি দিয়ে। কিন্তু যদি কোনো বাচ্চাকে পাঁচ বছর বয়সের পর নিয়ে আসা হয় তাহলে নিউরনের বিকাশের আর সময় থাকে না,' বলেন ডা: গোপেন কুমার।

শিশুর কোনো জেনেটিক জটিলতা না থাকলে সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করে অনেকাংশেই সারিয়ে তোলা যায় কথা না বলার সমস্যা। চিকিৎসার জন্য সহায়তা করতে পারেন শিশু নিউরোলজিস্ট বা সাইকিয়াট্রিস্ট্ররা। এছাড়া নির্দিষ্ট সরকারি হাসপাতালের শিশু বিকাশ কেন্দ্রেও সহজে পাওয়া যাবে চিকিৎসা।

শেহেরীন আমিন সুপ্তি
The Business Standard

15/01/2024

সন্তানের সঙ্গে যা করবেন না..

>> কখনো নেতিবাচক কথা বলবেন না। সন্তানকে গর্দভ, অপদার্থ ইত্যাদি বলে গালি দিবেন না। পিতামাতার নেতিবাচক কথা সন্তানের মনোজগতে স্থায়ীভাবে গেঁথে যায়।

>> দুর্বলতা বা অক্ষমতা নিয়ে কখনো উপহাস করবেন না। এর ফলে সন্তান হীনমন্মতায় ভুগতে পারে।

>> এক সন্তানকে আরেক সন্তানের সাথে তুলনা করবেন না। যদি করেন, আপনি নিশ্চিত থাকেন, সন্তানদের মধ্যে ভবিষ্যতে সু-সম্পর্ক বা মিল থাকবে না। এর জন্যে আপনিই দায়ী থাকবেন।

>> সন্তানদের মধ্যে কোন বৈষ্যম করবেন না। কোন সন্তানের প্রতি আপনার মমতা একটু বেশি থাকতেই পারে, কিন্তু বস্তু দিয়ে তা দৃশ্যমান করতে যাবেন না। ছেলে আপন, মেয়ে পর- এই জাতীয় চিন্তাভাবনা থেকে বিরত থাকুন।

>> শিশুর সামনে স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করবেন না। এসব শিশুরা নানা ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগে। যদি কোন কারণে মতপার্থক্য বা কথা কাটাকাটি হয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই সন্তানের সামনেই তা মীমাংসা করবেন।

>> স্বামী বা স্ত্রী একে অন্যেকে জব্দ করার জন্যে সন্তানকে কখনো সাক্ষী করতে যাবেন না।

>> সন্তানের সামনে উচ্চস্বরে চিৎকার চেঁচামেচি করে কথা বলবেন না। যে পরিবারে সবাই আস্তে কথা বলে, সেখানে শিশুরাও আস্তে কথা বলে।

>> আপনি নিজে যা পালন করেন না, তা সন্তানকে উপদেশ দিতে যাবেন না।

>> শিশুকে মিথ্যা আশ্বাস দিবেন না। যদি আশ্বাস দেন তবে অবশ্যই তা পূরণ করবেন।

>> সন্তানের সামনে কারো গীবত বা বিদ্রুপ করবেন না। আপনি মিথ্যা বললে, সন্তানও এক সময় পাকা মিথ্যাবাদীতে পরিণত হবে।

>> অফিসে যাওয়ার সময় অবশ্যই শিশুর সামনে দিয়ে বের হবেন। শিশু কান্নাকাটি করলেও, কখনো লুকিয়ে বের হবে না।

>> গুন নয়, বরং সন্তানের প্রয়াস বা পরিশ্রমের প্রশংসা করুন।

>> অতি আদর বা অতি শাসনের মধ্যে দিয়ে শিশুকে বড় করবেন না। প্রয়োজন আদর ও শাসনের সুন্দর সমন্বয়।

>> শাসনের নামে শিশুকে প্রহার করবেন না। শারিরীক প্রহার শিশুর মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করে এবং অন্য সমস্যাগুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলে।

>> স্বামী অথবা স্ত্রী একজন শাসন করলে, আরেকজনকে চুপ থাকবেন। দুজন একসাথে শাসন করতে যাবেন না। এই সময়ে তাকে আদর, সান্ত্বনা, সমর্থন অথবা বুঝানো- কোনটিরই দরকার নেই। আপনার দায়িত্ব হলো শুধু চুপ থাকা।

>> ছোট শিশুর হাতে মোবাইল/ ট্যাব/ ল্যাপটপ কিংবা অন্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস তুলে দিবেন না। পাঁচ বছরের আগে টিভি কিংবা কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে যত দূরে রাখতে পারবেন, তা শিশুর জন্যে ততই কল্যাণকর। শিশুকে কার্টুন এবং ভিডিও গেমস থেকে দূরে রাখুন- কার্টুন অথবা গেমস আসক্ত শিশুরা সাধারণত মারামারিতে অভ্যস্ত হয়। এছাড়া স্ক্রিন আসক্ত শিশুরা সহজে মানুষের সাথে মিশতে পারেনা এবং বাস্তবতা বিবর্জিত হয়।

>> শিশুর সামনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার রোমান্টিক আলোচনা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে শিশুর কোমল মনে বিরূপ প্রভাব পরতে পারে।

>> সন্তানের সাথে কোন ভুল হয়ে গেলে নির্দ্বিধায় স্বীকার করুন, দুঃখিত বলুন। অযথা জাস্টিফাই করতে যাবেন না।

>> আদেশ বা উপদেশের ক্ষেত্রে- মা ও বাবা দুজনকে অবশ্যই এক সুরে কথা বলতে হবে। নির্দেশনা দুইরকম হলে সন্তান বিভ্রান্ত হয়। কোনটি পালন করবে তা বুঝে উঠতে পারে না।

>> সন্তান ভুল করলে সবার সামনে সমালোচনা করতে যাবেন না। যদি বলতে হয়, তবে একান্তে আড়ালে ডেকে বলুন। যখন মানসিকভাবে প্রশান্ত বা স্থির থাকে তখন বলুন।

>> আদরের নামে শিশুকে শারিরীক বা মানসিক নির্যাতন করবেন না। জংলি আদর থেকে বিরত থাকুন। এমন কিছু করবেন না যাতে শিশু বিরক্ত হয়।

>> শিশু কোন কাজে চেষ্টারত থাকলে, সহযোগিতার নামে তার প্রয়াসকে ভন্ডুল করবেন না। শিশু যখন মনোযোগ দিয়ে কোন কাজ করে, তাকে বাহাবাও দিতে যাবেন না।

>> আপনি যদি বুঝতে পারেন সন্তান দাবী আদায়ের জন্য আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করছে, তাহলে তার এই কৌশলের কাছে আত্ম-সমর্পণ করবেন না। দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে সে যদি নাছোড়বান্দা হয়, তাহলে তাকে বুঝাতে যাবেন না, ধমক দিবেন না, এমনকি তার দিকে তাকাবেনও না। ছোট বেলা থেকেই তাকে এইভাবে অভ্যস্ত করাতে হবে, তা না হলে ভবিষ্যতে তা আপনার জন্য বিপদজনক হবে।

>> শিশুর সামনে সমস্যা নয় বরং সমাধান নিয়ে কথা বলুন। তাকে বুঝতে দিন- সমস্যা যত কঠিনই হোক, তা সমাধান করার যোগত্যা সৃষ্টিকর্তা মানুষকে দিয়েছেন।

>> শিশুদেরকে জ্বিন-ভূত কিংবা ভয়ের গল্প বলবেন না। হরর মুভি দেখা থেকে বিরত রাখবেন।

>> আশেপাশের মানুষের আচরণ দেখেই সন্তানের মধ্যে ভয় সঞ্চারিত হয়। তাই কুকুর/ তেলাপোকা/ টিকটিকি দেখলে ভয়ে দৌড় দিবেন না, সন্তানের সামনে যেকোন ব্যাপারে আতংকিত হবেন না।

>> শিশুদের সাথে জোর জবরদস্তি করতে যাবেন না। তাদের সাথে জবরদস্তি করলে তারাও বড় হয়ে অন্যের সাথে জবরদস্তি করবে।

>> শিশুকে মায়ের বুকের দুধ থেকে বঞ্ছিত করবেন না। যদি সম্ভব হয়, দুই বছর বুকের দুধ দিবেন।

>> শিশুকে জোর করে খাওয়াতে যাবেন না। খাওয়া নিয়ে আহ্লাদ করার দরকার নেই। সময় হলে সে নিজেই খাবে।

>> চিপস/ কোল্ড ড্রিংক/ ফাস্টফুড/ ভাজাপোড়া খাবার থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।

>> সন্তানের কাছ থেকে প্রতিদান প্রত্যাশা করবেন না। মনে রাখবেন, সন্তান আপনার সম্পত্তি নয়, তাদের মানুষ করা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এক মহান দায়িত্ব।


লেখক: শ্যামল আতিক, সমাজকর্মী ও গবেষক

© THE BUSINESS STANDARD

অনেকে যোগাযোগ করেছিলেন। দিতে পারিনি। চলে এসেছে ট্যানগ্রামের নতুন কালেকশন। কার কার লাগবে, ইনবক্সে নক করুন...
12/01/2024

অনেকে যোগাযোগ করেছিলেন। দিতে পারিনি। চলে এসেছে ট্যানগ্রামের নতুন কালেকশন। কার কার লাগবে, ইনবক্সে নক করুন...

জন্মদিন পালন বিষয়ে ইসলাম কী বলে?- ত্বরিক বিন মুতালিব আমার আশেপাশের মানুষেরা অনেকেই জন্মদিন পালন করেন। সন্তানের জন্মদিনে...
12/01/2024

জন্মদিন পালন বিষয়ে ইসলাম কী বলে?
- ত্বরিক বিন মুতালিব

আমার আশেপাশের মানুষেরা অনেকেই জন্মদিন পালন করেন। সন্তানের জন্মদিনে অনুষ্ঠান করেন, কেক কাটেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে বন্ধুদের জন্মদিনে উইশ করেন। কেউ কেউ আবার এই দিনটাকে ইসলামিক ফ্লেভার দিতে দুআ-মোনাজাত আয়োজন করে থাকেন। তাই অনেকদিন ধরে জন্মদিন নিয়ে কিছু লিখবো ভাবছি।

প্রথমেই বলে রাখি, আমি কোনো আলেম নই। ফিকহ শাস্ত্র নিয়ে আমার খুব একটা জ্ঞান নেই। কাজেই জন্মদিন পালন করা হারাম না হালাল, এই বিষয়ে নিজে থেকে কিছু বলার সাধ্য আমার নেই। তবে আলেম সমাজের জন্মদিন বিষয়ক কিছু স্বীকৃত ফতোয়ার উল্লেখ করছি এখানে।

ফতোয়া বিষয়ক সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট IslamQA.info-তে জন্মদিন বিষয়ক এক প্রশ্নোত্তরে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে: ইবাদত হিসেবেই হোক বা প্রথা ও ঐতিহ্য হিসেবে হোক, কোনো ব্যক্তির জন্মদিন উদযাপন করা হারাম (haraam to celebrate)। এখানে, জন্মদিন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, অনুষ্ঠানের মিষ্টান্ন খাওয়া এবং উপহার নেওয়া থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। (1)

ইসলামকিউএ বাংলা ভার্সনে বলা হয়েছে: ইসলামে যেহেতু জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন করার অস্তিত্ব নেই সেহেতু অমুসলিমদের সাদৃশ্য অবলম্বনে জন্মদিবস পালন করার সুযোগ নাই। সুতরাং এ উপলক্ষে কাউকে উইশ করা, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো, গিফট দেয়া, কেক কাটা, মোমবাতি জ্বালানো বা ফুঁ দিয়ে নিভানো, বিশেষ খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা, জন্ম দিনের পার্টি করা সবই হারাম। (2)

জন্মদিন পালনকে বিদআত বলে ফতোয়া দিয়েছেন সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া কমিটি (3), শায়েখ বিন বায রহিমাহুল্লাহ (4) ও শায়েখ উসাইমীন রহিমাহুল্লাহ (5)। এ প্রসঙ্গে শায়েখ উসাইমীন রহিমাহুল্লাহ উল্লেখ করেছেন: কোন ব্যক্তি নিজের বা সন্তানের জন্মদিন উদযাপন, বিবাহবার্ষিকী পালন বা এধরনের অনুষ্ঠান, এর কোনোটাই অনুমোদিত নয়।

এবার দেখি দারুল উলুম দেওবন্দ কী বলেন? জন্মদিন বিষয়ে দারুল ইফতা ফতোয়া দিয়েছে যে: জন্মদিন পালন করা হারাম (unlawful), এটা পাশ্চাত্যের ঐতিহ্য এবং ইসলামে এর কোন গুরুত্ব নেই। দাওয়াতকারী মুসলিম হোক বা অমুসলিম হোক, এই ধরনের ননসেন্স অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াটাই ভুল। (6)

মাসিক আল কাউসারের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বলা হয়: জন্মবার্ষিকী-মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা এবং একে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ইসলামের শিক্ষা নয়। এগুলো বিজাতীয় সংস্কৃতি। এসকল অহেতুক কাজ থেকে মুসলমানদের বিরত থাকা আবশ্যক। (7)

শায়েখ আহমাদুল্লাহ (হাফি:) এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন: একজন মুসলমান, তিনি জন্মদিবস উদযাপন করবেন না। জন্মদিবস উদযাপন করা, এটা প্যাগানদের থেকে এসেছে। এটা ভিনধর্মী মানুষদের থেকে এসেছে। জন্মদিনকে কেন্দ্র করে যে কাজগুলো হয়ে থাকে.. মোমবাতি জ্বালানো, কেক কাটা.. এই সবগুলো হুবহু এসেছে অনেকগুলো ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে। (8)

আশা করি, একজন মুসলমানের সীদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এই ফতোয়াসমূহই যথেষ্ট। তবে কারো মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে যে, অমুক হুজুর কিংবা তমুক বিখ্যাত দাঈ বলেছেন- হারাম উপকরন বাদ দিয়ে জন্মদিন পালন করা যাবে। উনারা কী কম বোঝেন?

এক্ষেত্রে আমাদের বুঝতে হবে, জন্মদিন উদযাপন নিষিদ্ধ হওয়ার পেছনে দুটো প্রেক্ষাপট আছে:

প্রথমত, জম্মদিন উদযাপনের পদ্ধতিতে বিভিন্ন হারাম উপকরণের সংমিশ্রন, যেমন: মিউজিক, পর্দার খেলাফ, কেক কাটা, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ইত্যাদি।

দ্বিতীয়ত, জম্মদিন উদযাপনের সাথে ভিন্ন ধর্মের যোগসূত্র, যেমন: স্যাটানিক রিচুয়াল বা প্যাগান ধর্মে জম্মদিন উদযাপন করার প্রাচীন প্রথা।

যারা জন্মদিন পালনকে শর্ত সাপেক্ষে জায়েজ বলতে চান, তারা শুধু প্রথম পয়েন্টে মনোনিবেশ করেছেন বলে ধারনা করি। দ্বিতীয় পয়েন্টটি সম্পর্কে ধারণা থাকলে তারা কখনোই এটার পক্ষে মত দিতেন না বলে আমার বিশ্বাস (আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন ভালো জানেন)।

আর যে বিষয়ে দেওবন্দ মাদ্রাসা, সৌদি স্থায়ী ফতোয়া কমিটি, বিন বায (র:), উসাইমীন (র:), আবদুল মালেক (হাফি:), আহমাদুল্লাহ (হাফি:) এবং ইসলামকিউএ সুস্পষ্ট ফতোয়া দিয়েছেন, সে বিষয় পরিহার করতে অজুহাত খোঁজার কোনো কারণ আছে কী?

শেষের আগে, জন্মদিন উদযাপনের সাথে অন্যান্য ধর্মের সংযোগ নিয়ে কিছু আলোকপাত করছি:

ফেরাউন বেশ ঘটা করে জন্মদিন পালন করতো এবং এর সঙ্গে ঐশ্বরিক ক্ষমতা প্রাপ্তির একটা যোগসূত্র আরোপ করতো। ফেরাউনের জন্মদিন পালনের উল্লেখ রয়েছে ওল্ড টেস্টামেন্টে: তৃতীয় দিনটি ছিল ফেরাউনের জন্মদিন। ফেরাউন তার সব কর্মকর্তাদের জন্য ভোজের আয়োজন করে। ফেরাউন তার মদ-পরিবেশক ও রুটি প্রস্তুতকারককে ক্ষমা করে। (9) জন্মদিন পালনের রিচুয়াল ফেরাউনের উদ্ভাবন কিনা, সেটা জানা না গেলেও সে যে খুব গুরুত্বের সাথে জন্মদিন পালন করতো এবং এটাকে তার প্রভুত্ব দাবীর সাথে একীভূত করেছিল, তা মোটামুটি নিশ্চিত।

আরো ভয়ঙ্কর বিষয় হল, জম্মদিন উৎসব শয়তানের ধর্মের সাথে সরাসরি জড়িত। লুসিফার নামক শয়তানের পূজার ধর্মকে Satanic Religion বলা হয়। শয়তানের চার্চের প্রতিষ্ঠাতা এন্টন লেভি Satanic Bible-এ লিখেছে: শয়তানের ধর্মে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল নিজের জন্মদিন পালন। (10)

প্রাচীন গ্রীক পৌত্তলিকরা বিশ্বাস করতো জন্মদিনে মানুষের উপর খারাপ আত্মা ভর করে। এর থেকে পরিত্রান পেতে তারা চাঁদের আদলে গোলাকার কেক বানাতো এবং ছুরি দিয়ে কাটার মাধ্যমে চন্দ্রদেবী আর্তেমিসকে উৎসর্গ করতো। অর্থাৎ জন্মদিনে কেক কাটার আনুষ্ঠানিকতা মূলত একটি পূজা থেকে এসেছে, আর কেক হল এক্ষেত্রে পূজার প্রসাদ যা চন্দ্রদেবীকে উৎসর্গ করা হয় খারাপ আত্মা থেকে নিরাপত্তা পেতে। মোমবাতি জ্বালানো হয়, কারণ ধারণা করা হতো যে, এই উজ্জ্বলতা সব অশুভ অন্ধকারকে দূর করে দেবে! এসময় গ্রীকরা মৃত আত্না ও দেবতাদের উদ্দেশ্যে উইশ করতো। তারপর ফুঁ দিয়ে মোমবাতি নেভাতো, যাতে ফুঁ-এর ধোঁয়া আকাশের দেবতার কাছে তাদের উইশ পৌঁছে দিতে পারে। কেক কাটার সময় জন্মদিনের ব্যক্তিকে সবাই ঘিরে রাখতো, যাতে শয়তান তার উপর ভর করে ক্ষতি করতে না পারে। উপরন্তু সবাই মিলে (হাততালি দিয়ে) হট্টগোল করতো, যাতে ভয় পেয়ে শয়তান চলে যায়। (11)

একটু ভেবে দেখুন প্রিয় ভাই, জন্মদিন উদযাপনের নামে যা করছেন, সেটা পূজা অর্চনা ছাড়া আর কি? পূজাকে পূজা মনে না করে করলেও তা হারাম, এ ব্যপারে কোন মতভেদ নেই। তাই একজন মুসলমান হিসেবে জন্মদিন পালন করা উচিৎ কিনা.. নিজেকে প্রশ্ন করুন।

[ফুটনোট:
১. জন্মদিন বলতে এখানে জন্মবার্ষিকী বোঝানো হয়েছে। রাসূল (সাঃ) উনার জন্মবার তথা প্রতি সোমবারে সাওম পালন করতেন, সেজন্য কেউ যদি নিজ সাপ্তাহিক জন্মবারে বা সোমবারে সাওম পালন করেন, সুন্নাহ্ হিসেবে সেটা তিনি করতেই পারেন। জন্মবারের সাথে জন্মদিন উদযাপনকে মেলাতে যাবেন না। দুটো এক নয়।
২. রেফারেন্স লিংক কমেন্টে দেওয়া আছে। বিস্তারিত জানার জন্য রেফারেন্সগুলো দেখতে পারেন।]

শিশুর নিয়মিত ঘুম::∆ শিশুরা কেন ঘুমাতে চায় না:- অনেক শিশু ঘরে বেশি আলো থাকলে ঘুমাতে চায় না।- ঘরে যদি টেলিভিশন চলে তাহলে ...
12/01/2024

শিশুর নিয়মিত ঘুম::

∆ শিশুরা কেন ঘুমাতে চায় না:

- অনেক শিশু ঘরে বেশি আলো থাকলে ঘুমাতে চায় না।
- ঘরে যদি টেলিভিশন চলে তাহলে ঘুমাতে চায় না।
- ডায়পার ভেজা থাকলে, কিংবা খুব আঁটসাঁট হয়ে আছে, তখন বাচ্চারা অস্বিস্ততে থাকে, এ অবস্থায় সে ঘুমাতে চায় না।
- রাত ১০ টা ১১ বাজলেও অনেক সময় শিশু ঘুমাতে চায় না, এর একটি কারণ হতে পারে শিশুর বাবা মায়ের সঙ্গে খেলতে চায়। সান্নিধ্য বা আদর পেতে চায়। এ সময় বুকে জড়িয়ে ধরে রাখা, আদর করাটা সে উপভোগ করতে চায়।
- অনেকেই বাচ্চাকে ছোট বেলায় দোলনায় বা কোলে দুলিয়ে ঘুম পাড়ান; এতে আরও অসুবিধা হয়। কারণ এতে সে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং বিছানায় শোয়ালেই জেগে ওঠে।
- বাচ্চার যদি সর্দির ভাব থাকে বা শরীর খারাপ থাকে, পেটে ব্যথা হলে শিশুদের ঘুমের সমস্যা হয়।
- যারা কোলে নিয়ে কিংবা কাঁধে নিয়ে বাচ্চাকে ঘুমিয়ে দেন তাহলে বাচ্চা সেভাবে অভ্যস্ত হতে শুরু করে, ফলে কাঁধ থেকে বিছানায় দিলে তখন তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে বা বারবার জেগে যায়।
- সকাল বেলা ১১ টা ১২ টায় ঘুম থেকে উঠলে বা সন্ধায় বেশিক্ষণ ঘুমালে বাচ্চা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবে না।
- অনেক শিশু ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে বারবার ঘুম থেকে উঠে যায়।

∆ শিশুর ঘুমের সমস্যা দূর করতে যা যা করবেন:

- শিশুর জন্য ঘুমের পরিবেশ তৈরি করতে হবে- তাকে প্রতিদিনই একটি নির্দিষ্ট ঘরে নির্দিষ্ট বিছনায় ঘুম পারাতে হবে। বিছানা যেন তার পরিচিত হয়।
- অবশ্যই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আরামদায়ক বিছানা দিতে হবে।
- শোবার ঘরটা কিছুটা অথবা হালকা অন্ধকার রাখতে হবে। অন্তত ঘুমানোর আধা ঘণ্টা আগে থেকে রুমে আলো কমিয়ে ফেলতে হবে।
- শিশুরা ঘুমনোর সময় ঘরে অন্য সমস্যদের উচ্চস্বরে কথা বলা যাবে না।
- রাতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। শিশুদের জন্য ঘুমানোর আদর্শ সময় রাত সাড়ে ৮ টা থেকে সাড়ে ৯টা। এই সময় ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
- দুপুরের দিকেও নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
- শিশুকে দিনে খেলাধুলার অভ্যাস করাতে হবে। তাতে শরীর যথেষ্ট ক্লান্ত বোধ করবে। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবে।
- গরমের দিনে বাচ্চার ঘুমানোর আগে হালকা নরম সুতি কাপড় বা গামছা দিয়ে পুরো শরীর মুছে দিলে শরীরে আরাম বোধ করবে। ভালো ঘুম হবে।
- ঘুমানোর সময় মোটা কাপড় বা সিনথেটিক কাপড় পরিহার করতে হবে। পাতলা সুতি কাপড় পরাতে হবে।
ঘরে পর্যাপ্ত ফ্যানের বাতাস অথবা জানালা দিয়ে বাতাস প্রবেশ করে সে রকম ব্যবস্থা করতে হবে।
- ঘরে এসি চললে মাঝারি তাপমাত্রায় রাখতে হবে।

শিশুর বুকে কফ জমলে যা করবেন, ঘরোয়া ৭টি কার্যকরী উপায়:১. গরম পানির সঙ্গে এক চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ান। ২. স...
11/01/2024

শিশুর বুকে কফ জমলে যা করবেন, ঘরোয়া ৭টি কার্যকরী উপায়:

১. গরম পানির সঙ্গে এক চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ান।

২. সর্দি, জ্বরে শিশুকে ঘুমানোর সময় মাথা কিছুটা উঁচু করে রাখুন।

৩. ঠাণ্ডায় শিশুকে টমেটো এবং রসুনের স্যুপ খাওয়ান।

৪. একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে সেটি দিয়ে শিশুটিকে ভাপ দিন।

৫. প্রতিদিন কুসুম গরম পানিতে শিশুটিকে গোসল করান। এতে সর্দি বুকে বসতে পারে না।

৬. এসময়টা শিশুর পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন। এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যোগায়।

৭. চার চা চামুচ গরম পানির সঙ্গে আধা চা চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে জ্বাল দিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এটি নাকের ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করুন।

প্রিয় ছড়া ❤️❤️❤️
11/01/2024

প্রিয় ছড়া ❤️❤️❤️

শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ(ডা. গোপেন কুন্ডু)শিশুদের দেরিতে কথা বলার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কিছু রোগের কারণে অনেক শিশু...
10/01/2024

শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ
(ডা. গোপেন কুন্ডু)

শিশুদের দেরিতে কথা বলার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কিছু রোগের কারণে অনেক শিশু দেরিতে কথা বলে। যেমন-

১. ডাউন সিনড্রোম: ডাউন সিনড্রোমে শিশুর শরীর তুলতুলে নরম ও মুখমণ্ডলের ধরন আলাদা থাকে। এই শিশুদের বুদ্ধি হয় না, হাঁটা, বসা, চলাফেরা করতে পারে না এবং তারা কথাও দেরিতে বলে।

২. সেরিব্রাল পালসি: জন্মের সময় কান্না করতে দেরি হওয়ার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন কমে যায়, মস্তিষ্ক কাজ করে না। যার ফলে হাঁটা ও বসার মতো কথা বলাও দেরিতে হয়, শিশুর বুদ্ধি কমে যায়।

৩. অটিজম: এক্ষেত্রে হাঁটতে, বসতে বা চলতে অসুবিধা নেই, কিন্তু কথা বলতে দেরি হয়। আচরণগত অসুবিধা দেখা যায়। শিশু এক জায়গায় বসে থাকে না, নিজের মতো চলে। অন্য শিশুদের সঙ্গে মেশে না, কথা বলে না, কিছু আচরণ করে যা অন্য বাচ্চারা করে না।

৪. কনজেনিটাল বা জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম: জন্মের পর যেসব শিশুর জিহ্বা বড় থাকে, জিহ্বা বের করে থাকে, পেট ফোলা থাকে, হাঁটতে ও বসতে দেরি করে সেসব বাচ্চার থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের সমস্যা থাকে। হরমোনজনিত সমস্যার কারণে বাচ্চা দেরিতে কথা বলে।

৫. জন্মগতভাবে শিশু যদি কানে কম শোনে, কাছ থেকে ডাকলেও সাড়া না দেয়, এমন শিশুদের কথা বলতে দেরি হয়।

৬. শিশুর জিহ্বা যদি তালুর সঙ্গে লাগানো থাকে।

৭. শিশুর ঠোঁট কাটা, তালু কাটা থাকলে কথা বলা দেরি হতে পারে।

কার কার পছন্দ এই ছড়াটি?
10/01/2024

কার কার পছন্দ এই ছড়াটি?

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when পেখম মেলা - Pekhom Mela posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to পেখম মেলা - Pekhom Mela:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram