
21/07/2025
বাংলাদেশ পোষ্ট ডেটেড প্রেগ্ন্যাসি বা আপনাদের ভাষায় ডেট ওভার হয়ে যাওয়া প্রেগ্নেন্সির সংখ্যা ক্রমান্বয়েই বাড়ছে। এর একটা বড় কারন অতিরিক্ত রেষ্টে থাকা অতিরিক্ত শুয়ে বসে থাকা বা সিডেন্টারি লাইফস্টাইল।
সাধারণত আমাদের দেশের মেয়েদের একটা অংশ বা তাদের পরিবারের মানুষজন গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে গিয়ে প্রেগন্যান্সিতে স্বাভাবিক হাটাচলা কাজকর্ম থেকে ও বিরত রাখে। যা মায়ের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি করে এমনকি স্বাভাবিক প্রসব হতেও বাধা সৃষ্টি করে।
এতে সাধারণত মা এবং বাচ্চা দুজনেরই কিছু জটিলতা হয়।
মায়ের ক্ষেত্রে
-মায়ের মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়
-ডেলিভারির সময় পোষ্ট পার্টাম হেমোরেজ বা ডেলিভারির পর রক্তপাত হতে পারে যা মায়ের জন্য জীবন ঝুঁকির ও হতে পারে।
- এছাড়াও প্রলং লেবার বা ডেলিভারির সময় দীর্ঘ হয়। যেমন প্রথম মায়েদের ক্ষেত্রে ২০ ঘন্টার অধিক সময় লাগতে পারে। দ্বিতীয় বার মা হওয়া মায়েদের ক্ষেত্রে ১৪ ঘন্টার অনেক বেশি লাগতে পারে।
এতে মা বাচ্চা দুজনেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
বাচ্চার জটিলতা গুলো
একটা সময় পর প্লাসেন্টাল ইনসাফিশিয়েন্সি ডেভলপ করে (মানে হলো গর্ভফুল থেকে পুষ্টি পাওয়া কমতে থাকে।
মিউকোনিয়াম এস্পিরেশন সিন্ড্রোম হয়. মানে বাচ্চা তার প্রথম টয়লেট পেটেই করে দেয় যা বাইরে এসে করার কথা এবং সেটা তার লাংসে যায় ( নিজ চোখে অনেক বাচ্চাকে এই সিন্ড্রোমে মারা যেতে দেখেছি )।
সো ডেট পার হওয়ার পর ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একদিন ও অপেক্ষা নয়। আর প্রেগ্ন্যাসিকে অসুখ নয় একটা জার্নি মনে করে স্বাভাবিক হাটাচলা ,ব্যয়াম অব্যাহত রাখুন।