Prof. Dr. Gias Uddin Sagor

Prof. Dr. Gias Uddin Sagor মানসিক, ব্রেইন, মাথাব্যাথা ও মৃগী রোগ বিশেষজ্ঞ

16/07/2025

এই সমাজের মুখোশের আড়ালে: এক করুণ বাস্তবতা

আমরা এমন এক সমাজে বাস করছি, যেখানে সত্য বললে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে কারো ভালোবাসা বা সহানুভূতিকে দুর্বলতা মনে করা হয়। বিশ্বস্ততা? সেটার মূল্য এখন বিশ্বাসঘাতকতায় মেটানো হয়।
মানুষ এখন হাসির মুখোশ পরে ঘোরে, অথচ সেই হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকে অজস্র না বলা ব্যথা।

স্বপ্নগুলো অনেক সময় বাস্তবতার নিষ্ঠুর হাতে ভেঙে চূর্ণ হয়।
ন্যায়বিচার যেখানে থাকা উচিত, সেখানে এখনো অন্যায় নির্ভয়ে হাঁটে।

এই সমাজে—

ভালো মানুষদের উপেক্ষা করা হয়।
সবচেয়ে চেঁচানো মানুষটাই যেন বেশি গুরুত্ব পায়, জ্ঞানীরা হারিয়ে যায় শব্দের ভিড়ে।

অনেক সময় কঠোর পরিশ্রম করলেও মেলে না কাঙ্ক্ষিত সফলতা।
ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও অনেক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় শুধুমাত্র একপক্ষের চেষ্টা না থাকার কারণে।

অতীত ভুলে কেউ নতুন জীবন শুরু করতে চাইলেও, সমাজ সেটাকে বারবার টেনে আনে সামনে।

আর এখন, সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক আর শেয়ারই হয়ে উঠেছে ভালোবাসার পরিমাপ।

তবুও, এই অন্ধকার বাস্তবতার মাঝেই আছে এক রশ্মি আলো।
একটা ডাক—

কারো কষ্টের সময়ে তার পাশে দাঁড়ানোর।
অহংকার নয়, বেছে নেওয়ার সহানুভূতি।
ভয় পেলেও সত্যের পক্ষে কথা বলার।

স্বপ্ন দেখা বন্ধ না করার, নিজের হৃদয় সারিয়ে তোলার, আর বিশ্বাস রাখা—হ্যাঁ, সামনে ভালো দিন আসবেই।

কারণ আমরা হেরে যাওয়ার জন্য জন্মাইনি।
আমরা জন্মেছি আলো ছড়ানোর জন্য।
অন্ধকার যতই গভীর হোক না কেন, আশার একটা ক্ষীণ আলো ঠিকই পথ দেখায়।

13/07/2025

"নিজেকে বদলান, পরিবার বদলাবে; পরিবার বদলালে সমাজ বদলাবে; আর সমাজ বদলালেই দেশ বদলাবে।"

08/07/2025
26/05/2025

নারী-পুরুষের মানসিকতার পার্থক্য: সম্পর্ক বুঝতে শিখুন, দোষারোপ নয়

মানুষের সম্পর্ক যত গভীর, তত জটিল। বিশেষ করে নারী ও পুরুষের মাঝে চিন্তাভাবনা ও অনুভব করার ধরনে যে স্বাভাবিক পার্থক্য রয়েছে, তা যদি কেউ বোঝে না, তাহলে ভুল বোঝাবুঝি ও মন কষ্ট হওয়া খুব স্বাভাবিক। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে শুধু "ভালো মানুষ" হওয়াই যথেষ্ট নয়—প্রয়োজন বোঝার দক্ষতা, ধৈর্য, এবং পারস্পরিক সম্মান।

নারীরা সাধারণত আবেগপ্রবণ, সংবেদনশীল এবং মুহূর্তের অনুভূতিতে সাড়া দিয়ে থাকেন। পুরুষেরা অনেক সময় বিষয়গুলো বিশ্লেষণধর্মী ও যুক্তিভিত্তিকভাবে দেখতে অভ্যস্ত। এর মানে এই নয় যে একপক্ষ ভুল, অন্যপক্ষ ঠিক। বরং, এই ভিন্নতা স্বাভাবিক এবং মানবিক।

একজন পুরুষ যদি আশা করেন যে তার সঙ্গী সবসময় যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন, হয়তো তিনি মাঝে মাঝে হতাশ হতে পারেন। আবার, একজন নারী যদি তার সঙ্গীর আবেগ-ব্যবস্থাপনা না বোঝেন, তিনিও অবুঝ মনে করতে পারেন। এই জায়গাতেই দরকার বোঝাপড়া।

সম্পর্কে "খেলা" বা প্রতিযোগিতা নয়, দরকার আন্তরিকতা। নারী যদি কোনো কারণে দূরে সরে যান, সেটি হয়তো ব্যক্তিগত মানসিক চাপ, না বলা কিছু অনুভূতি, বা অনিরাপত্তার প্রকাশ—না যে তিনি প্রতারণা করছেন। আবার, পুরুষের নিঃশব্দতা বা আত্মনিয়ন্ত্রণ মানে এটি নয় যে তিনি অনুভব করেন না।

তাই, আমাদের উচিত একে অপরের মনস্তত্ত্ব শেখা। শুধু নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, সম্পর্ককে দৃঢ় করতে। আবেগে ভারসাম্য রাখা, প্রত্যাশা বোঝা এবং কথা বলার সাহস তৈরি করা—এই গুণগুলোই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখে।

যে পুরুষ নিজেকে সত্যিকারের শক্তিশালী মনে করেন, তার শক্তি বোঝাতে হয় না। সেটা প্রকাশ পায় তার ধৈর্য, শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ায়।
আর যে নারী ভালোবাসা খোঁজেন, তিনিও শ্রদ্ধা চান, নিরাপত্তা চান—শুধু দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে।

শেষ কথা হলো—শেখা কখনো থেমে থাকে না।

নিজের সঙ্গীকে বুঝতে শেখা মানে নিজেকেও ভালোভাবে জানা।
সম্পর্কে টিকে থাকার সবচেয়ে বড় অস্ত্র—পরস্পরের প্রতি সম্মান।
শিখুন। বুঝুন। এগিয়ে যান।

10/05/2025

একজন পুরুষের জন্য জানা প্রয়োজনীয় বাস্তব সত্য

জীবনের প্রতিটি ধাপে একজন পুরুষকে ভিন্নধর্মী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। সমাজ তার কাছ থেকে প্রত্যাশা করে দৃঢ়তা, দায়িত্বশীলতা ও নেতৃত্ব। কিন্তু এসব অর্জনের পেছনে থাকে অনেক ত্যাগ, শিক্ষা ও কঠিন বাস্তবতা। এই প্রবন্ধে তুলে ধরা হলো এমন কিছু জীবন-উপদেশ, যা একজন পুরুষকে পরিণত, শক্তিশালী ও আত্মনির্ভর হতে সাহায্য করবে।

১. টাকা কণ্ঠের জোর বাড়ায়

সবারই কথা বলার অধিকার আছে, কিন্তু টাকাই সেই কণ্ঠকে জোরদার করে তোলে। তাই শুধু স্বপ্ন না দেখে পরিশ্রম করুন, সম্পদ তৈরি করুন এবং নিজের নামের উপর সম্পদ রাখুন। অন্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে স্বাবলম্বী হোন।

২. ২৫-এর পরে দিক পাল্টান

২৫ বছর পার হওয়ার পর আপনার আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত ব্যবসা, বিনিয়োগ, শরীরচর্চা, ৮-৫ চাকরি থেকে বেরিয়ে আসা, আত্মউন্নয়ন এবং আর্থিক স্বাধীনতা। সময় নষ্ট করে আড্ডা বা ফাঁকা বিনোদনে না গিয়ে জীবনের গঠনমূলক দিকগুলোতে মনোযোগ দিন।সব সময় মনে রাখবেন ২৫শে বিদ্যা ৫০ শে ধন নইলে জীবন ঠনঠন ।

৩. জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র

জীবন কখনোই সহজ নয়। এটি নির্মম, কঠিন এবং অনির্দেশ্য। যত দ্রুত আপনি ঘাম ঝরাবেন (পরিশ্রম করবেন), তত কম রক্ত ঝরবে (কষ্ট পাবেন)। শক্তিশালী হতে হলে আপনাকে সময়ের আগেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

৪. কামনা-বাসনার দাস হবেন না

নিজের বাসনা ও আকর্ষণকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। এটি আপনার ভবিষ্যতের সঙ্গে এক ধরনের চুক্তি। আপনি যদি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারেন, তবে ভবিষ্যতও আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

৫. সবাই আপনার বন্ধু নয়

খারাপ সময়ে আপনি বুঝতে পারবেন, আসল বন্ধু কারা। সমাজ কিংবা বন্ধুরা আপনার দুর্দিনে পাশে না-ও থাকতে পারে। তাই আত্মনির্ভরশীল হন, এবং নিজের সবচেয়ে বড় বন্ধু হয়ে উঠুন।

৬. অন্ধকার কেটে যায়

কঠিন সময়ও কেটে যায়। জীবনে এমন সময় আসবে যখন আপনি একেবারে একা ও দিশেহারা অনুভব করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন—ভোরের আগে সবসময় সবচেয়ে বেশি অন্ধকার থাকে।

৭. ধৈর্য ও অধ্যবসায়ই আসল চাবিকাঠি

জীবন একটি ম্যারাথন দৌড়, এখানে দ্রুতগামী হওয়া নয়, ধৈর্য ধরাই মূল বিষয়। নিয়মিত চর্চা ও অধ্যবসায় একদিন আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে।
৮. কেউ আপনার জন্য কিছুই করে না

এই পৃথিবীতে কেউই আপনার জন্য কিছু করতে বাধ্য নয়। আপনি সফল হলে অনেকেই হিংসা করবে, আবার ব্যর্থ হলে অনেকেই আপনাকে ফেলে যাবে। তাই সবকিছু নিজের চেষ্টায় করতে শিখুন।

৯. লক্ষ্যহীন আনন্দ জীবনের লক্ষ্য নয়

যৌনতা, খাবার ও বিনোদনের পেছনে ছুটে জীবনের মূল লক্ষ্য হারিয়ে ফেলবেন না। এগুলোর মোহে পড়ে গেলে জীবনের মানে হারিয়ে ফেলবেন। মনেবরং অর্থপূর্ণ জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।

১০. নিজের মানসিকতা গঠন করুন

একজন পুরুষ যখন একা কথা বলে বা নিজের সঙ্গে আলোচনা করে, সে তখন নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার পরিকল্পনায় ব্যস্ত থাকে। নিজের ভেতরের শক্তিকে আবিষ্কার করুন এবং নিজের লক্ষ্য ও চিন্তাভাবনাগুলো পরিষ্কার রাখুন।

১১. জুয়া ,ও অজুহাত থেকে দূরে থাকুন

জুয়া ধ্বংসের পথ, এবং অজুহাত আজকের কাজ সহজ করলেও আগামীকালকে কঠিন করে তোলে। শৃঙ্খলা আজ কঠিন, কিন্তু কালকে সহজ করে। বেছে নেওয়ার দায়িত্ব আপনার।

১২. দায়িত্ব নিতে শিখুন

কারো সাথে রিলেশনে থাকলে দায়িত্ব নিতে পিছপা হবেন না। আপনি পরিণতির কথা জানতেন। দায়িত্বশীল পুরুষই সমাজে সম্মান পায়।

১৩. সময়ের সদ্ব্যবহার করুন

সময় কখনো ফেরত আসে না। তাই প্রতিটি মুহূর্তকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহার করুন। লক্ষ্য ঠিক করুন, প্রতিদিন শেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

১৪. পড়াশোনার চেয়ে দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ

গ্রেড নয়, দক্ষতা—এই যুগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে কাজ বা বিষয় আপনাকে আকর্ষণ করে, সেটাতেই মনোযোগ দিন। দক্ষতাই ভবিষ্যতের মূল মুদ্রা।

১৫. ব্যর্থতা থেকে শিখুন

ভুল করা মানেই শেষ নয়। বরং এগুলো শেখার সিঁড়ি। প্রত্যেকটি ব্যর্থতা আপনার লক্ষ্যকে আরেক ধাপ কাছে আনে—যদি আপনি শেখার মানসিকতা রাখেন।আপনি যদি ব্যর্থ হন, তবে ব্যর্থতা থেকে শিখুন। কিন্তু যদি হার মেনে নেন, আপনি শেষ।

১৬. অন্যকে সাহায্য করুন

আপনি যদি উচ্চ আসনে থাকেন, তাহলে যাদের যোগ্যতা আছে কিন্তু সুযোগ নেই, তাদের সহায়তা করুন। সমাজ তখনই গড়ে ওঠে যখন একে অপরকে টেনে তোলা যায়।

১৭. মন যদি দুর্বল হয়...
..তবে আপনার শরীর ও আত্মাও দুর্বল হয়ে পড়বে। মনকে শক্তিশালী করতে শৃঙ্খলা, ধৈর্য, ও আত্মবিশ্বাস চর্চা করুন।

উপসংহার

একজন পুরুষের জীবন পথে সংগ্রাম, দায়িত্ব ও আত্মউন্নয়নের গল্প। সমাজ তার কাছ থেকে সবসময় শক্তি, স্থিতি ও নেতৃত্বের প্রত্যাশা করে। এই প্রত্যাশা পূরণে আপনাকে জানতে হবে কাকে গুরুত্ব দেবেন, কী এড়িয়ে চলবেন, এবং কীভাবে প্রতিদিনের জীবনকে অর্থবহ করবেন। মনে রাখবেন, সাফল্য কোনো চটজলদি জাদু নয়—এটি ধৈর্য, পরিশ্রম ও সময়ের বিনিয়োগের ফল।

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ গিয়াস উদ্দিন সাগর
স্নায়ু ও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ

03/05/2025

সাফল্যের আসল চাবিকাঠি এখন মনোযোগ — মেধা নয়

একসময় আমরা বলতাম, "সবচেয়ে যোগ্য সেই, যে টিকে থাকবে।" কিন্তু সময় বদলেছে। এখনকার যুগে টিকে থাকাটা শুধু শারীরিক বা মানসিক শক্তির উপর নির্ভর করে না। এখনকার বাস্তবতা হচ্ছে— টিকে থাকবে সেই, যার মনোযোগ সবচেয়ে দৃঢ়।

এই প্রজন্মে প্রতিযোগিতা তীব্র। প্রতিটি মুহূর্তে নতুন কিছু আমাদের নজর কাড়ার চেষ্টা করছে— নতুন ট্রেন্ড, নতুন অ্যাপ, নতুন খবর। এই কোলাহলের ভেতরেও যারা নিজেদের লক্ষ্য ঠিক রেখে কাজ করে যেতে পারে, তারাই হচ্ছে সত্যিকারের বিজয়ী।

মনোযোগ বনাম মেধা

তুমি হয়তো খুবই মেধাবী। ক্লাসে প্রথম হও, অসাধারণ আইডিয়া আছে তোমার, অসংখ্য বই পড়ো। কিন্তু তবুও যদি তুমি প্রতিবার কাজ শুরু করে মাঝপথে থেমে যাও, তাহলে মেধা দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
একজন কম মেধাবী মানুষ যদি প্রতিদিন একটু একটু করে কাজ করে, নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখে এগিয়ে যায়— তবে সাফল্য তার কাছেই আসবে।

সবাই ব্যস্ত, কিন্তু কয়জন ফল পাচ্ছে?

আজকের দিনে সবাই ব্যস্ত। কিন্তু প্রশ্ন হলো— তুমি কী নিয়ে ব্যস্ত?
শুধু ব্যস্ত থাকলে হবে না, প্রোডাক্টিভ বা ফলদায়ক ব্যস্ততা দরকার।
মনোযোগ ছাড়া ব্যস্ততা মানে হলো— সারাদিন দৌড়ঝাঁপ, কিন্তু শেষমেশ কিছুই অর্জিত হচ্ছে না।

মনোযোগ নষ্টের প্রধান তিন উৎস:

১. বাইরের বিক্ষেপ (External Distractions)
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রল করা

অপ্রয়োজনীয় ফোনকল ও চ্যাটে সময় নষ্ট

বারবার ফোনের নোটিফিকেশন চেক করা

নতুন নতুন ট্রেন্ড ধরে রাখার চাপে থাকা

এক কোর্স শেষ না করেই আরেকটিতে ঝাঁপিয়ে পড়া

২. ভেতরের বিক্ষেপ (Internal Distractions)

নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ

“সবাই কী ভাববে?”— এই ভয়

অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা

নিখুঁত কাজের নামে কাজ শুরু না করা

“পরিকল্পনা করছি” বলে দেরি করা

আবেগের ভারে কাজ না করা

জীবনের লক্ষ্য স্পষ্ট না থাকা

৩. জীবনযাত্রার বিক্ষেপ (Lifestyle Distractions)
সময় ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা

নিয়মিত ঘুম বা বিশ্রামের অভাব

বিষাক্ত সম্পর্কের প্রভাব

একসাথে অনেক কিছু করার চেষ্টা, কিন্তু কিছুই শেষ না হওয়া

কোনো রুটিন না থাকা

মনোযোগই আসল শক্তি

আজকের দিনে টাকা, সময়, বা মেধা থাকলেই হবে না। মনোযোগই হলো নতুন যুগের মুদ্রা।
যারা মনোযোগ ধরে রাখতে পারে, তারাই এখন সাম্রাজ্য গড়ছে, প্রভাব তৈরি করছে এবং নিয়মিত অর্থ উপার্জন করছে।

তাহলে কী করণীয়?

চারপাশের কোলাহল থেকে নিজেকে দূরে রাখো

প্রতিদিনের একটি রুটিন তৈরি করো

নিজের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করো

অপ্রয়োজনীয় জিনিসকে 'না' বলতে শিখো

ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, চ্যাট — এগুলো নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করো

প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় নিজের লক্ষ্য পূরণের কাজে দাও

শেষ কথা:

তোমাকে সবকিছু করতে হবে না।
তোমাকে কেবল সঠিক কাজটি করতে হবে, নিয়মিত করতে হবে।
তোমার মনোযোগই তোমার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
তাই মনোযোগকে রক্ষা করো— ঠিক যেমন তুমি তোমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস রক্ষা করতে চাও।

অধ্যাপক

ডাঃ মোঃ গিয়াস উদ্দিন সাগর
স্নায়ু ও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ

06/04/2025

·
#স্মার্ট_রোগীরা_চি‌কিৎস‌কের_নিকট_কি_ক‌রে_বেস্ট_সা‌র্ভিস_পায়_জে‌নে_নিন?
ক) আপনার প্র‌য়োজন নি‌র্দিষ্ট কোন চি‌কিৎসক না‌কি স‌ন্তোষজনক চি‌কিৎসা~ আ‌গে ফিক্স ক‌রে নিন। ‌ছোটখাট জ্বর,কা‌শি, মাথা ব্যথা, ক‌য়েক ‌দি‌নের রো‌গের জন্য এম‌বি‌বি‌এস চি‌কিৎসক‌দের দেখান। তারাই য‌থেষ্ট। অধ্যাপক স্যার‌দের বা‌র্ডেন কর‌বেননা। প্র‌য়োজ‌নে তারাই আপনা‌কে স‌ঠিক চি‌কিৎস‌কের ‌নিকট রেফার কর‌বে। ন‌চেৎ এমনও হ‌তে পা‌রে আপ‌নি বিনা বা স্বল্প কার‌ণে অযথা বে‌শি কষ্ট কর‌ছেন।
খ) পছ‌ন্দের বি‌শেষজ্ঞ সম্প‌র্কে আ‌গেই খোঁজ নি‌য়ে যা‌বেন। এটাই স্মার্ট‌নেস। উ‌নি খুব ব্যস্ত কিনা ‌সেটাও ‌জে‌নে যা‌বেন, কারণ ‌সি‌নিয়ররা ব্যস্ত থাক‌বেন, এটাই স্বাভা‌বিক। স্বল্প সম‌য়ে স‌ঠিক চি‌কিৎসার বিষয়‌টি মে‌নে নি‌য়ে তার চি‌কিৎসায় আস্থা রাখুন। পরে সময় পেলামনা ব‌লে মন খারাপ কর‌বেননা, আপনার দরকার সুস্থতা।
গ) ‌সি‌রিয়াল এগুবার জন্য হাউকাউ কর‌বেন না। ম‌নে রাখ‌বেন বিনয়ী ব্য‌ক্তি সর্বত্র আদরনীয়। রোগী বে‌শি ক‌ষ্টে থাক‌লে চমৎকার ক‌রে এ‌টে‌ন্ডেন্ট‌কে বলুন বা সোজা চি‌কিৎসক বরাবর এক‌টি স্লিপ পা‌ঠি‌য়ে দিন "প্রিয় স্যার, আমার রোগী‌টি অবস্থা মুমূর্ষ, আপনার সহৃদয় সহ‌যো‌গিতা কামনা কর‌ছি" টাইপ কিছু লিখুন। চি‌কিৎসক‌দের ৯৯% ই নরম ‌দি‌লের। অনু‌রোধ গ্রহণ না কর‌লে বুঝ‌বেন তি‌নি বা‌কি ১% এর অন্তর্গত,অতএব ধৈর্য্য ধরুন।
ঘ) আ‌গে থে‌কে সুন্দর ক‌রে নি‌জের কথাগু‌লো গু‌ছি‌য়ে দু‌মি‌নিটে বলার প্র্যাক‌টিস করুন। এতে থাক‌বে আপনার কি কি কষ্ট, সব‌চে‌য়ে বে‌শি কোন‌টি, কত‌দিন ধ‌রে? আ‌গের চি‌কিৎসার ফল, কোন ঔষ‌ধে সমস্যা হ‌চ্ছে কিনা? সব এক লাইন ক‌রে। আপনার আ‌গের কোন পুরাতন রোগ আ‌ছে কিনা, যেমন ডায়া‌বে‌টিস, প্রেসার, যক্ষা,হাপা‌নি ইত্যা‌দি। জাস্ট নাম।
ঙ) প্র‌য়োজনীয় কথা বলুন। ‌কোন পুরাতন কাসু‌ন্দি বা কোন ‌কোন ডা: দে‌খি‌য়ে‌ছেন, কোন দেশ সফর ক‌রে‌ছেন, সেখা‌নের হাসপাতাল চকচ‌কে ছিল কিনা, এসব টেনে আন‌বেননা। স্মার্ট‌লোক যেমন সবার পছন্দ, স্মার্ট রোগীদে‌র ডাক্তাররা পছন্দ ক‌রেন।
চ) বিচ্ছু বাচ্চা, অ‌তি পাঙ্কু, পান ‌বি‌ড়ি খাওয়া ভকভ‌কে গন্ধ বা অ‌তি বকবক করা মানুষ‌দের সঙ্গী কর‌লে পৃ‌থিবীর যে‌কোন সেবা সা‌র্ভি‌সের মান প‌ড়ে যায়। সতর্ক থাকুন।
ছ) ম‌হিলা রোগী অবশ্যই হাজ‌বেন্ড বা ম‌হিলা সঙ্গী নি‌য়ে যা‌বেন। তানাহ‌লে চি‌কিৎসক আপনা‌কে দেখ‌তে বাধ্য নন। এটা মে‌ডি‌কেল এ‌থিক্স এর পার্ট। বাচ্চা হ‌লে মা যাওয়াটাই বেস্ট।
জ) চি‌কিৎস‌কের নিকট চি‌কিৎসক‌দের বদনাম কর‌বেননা। আপনার চাচা শ্বশু‌রের নানার খালা‌তো ভাই যে একজন ডাক্তা‌রের হাজ‌বেন্ড,‌ এসব তথ্য চি‌কিৎস‌কের চরম অপছন্দ। গিয়েই কাউ‌কে ফো‌নে লা‌গি‌য়ে, নিন কথা বলুন~ এক‌টি চরম অভদ্রতা। আ‌গে জানুন, কথা বল‌তে তার ‌কোন আপ‌ত্তি আ‌ছে কিনা?
ঝ) পা‌তি সাংবা‌দিক বা রাজনী‌তিবীদ হ‌লে প‌রিচয় গোপন করুন। তবে ভিআই‌পি রাজনী‌তিবীদ, প্রশাসন বা পু‌লি‌শের হাই অ‌ফি‌সিয়াল থাক‌লে রেফা‌রেন্স দিতে পা‌রেন। চি‌কিৎসকরা নি‌জে‌দের জু‌নিয়র ও জ্ঞা‌তিভাই‌দের উপর ভয়ানক সবল ও ক্ষমতাবান হ‌লেও এসব রেফা‌রেন্স‌কে য‌থেষ্ট সমীহ ক‌রেন। স্মার্টলি ‌ডিল কর‌লে, কাজ হ‌তে পা‌রে।
ঞ) যতবার যা‌বেন, দেখুক আর নাই দেখুক, সকল পুরাতন কাগজপত্রগু‌লো নি‌য়ে যা‌বেন। ফ‌লোআ‌পের টাই‌মেও সা‌থে নে‌বেন,য‌দি নি‌ষেধ না থা‌কে। এক্স‌রে/এমআরআই/‌সি‌টিস্ক্যা‌নের শুধু রি‌পোর্ট নয়, বরং ফিল্মও নি‌য়ে যা‌বেন। স্মার্ট রোগীরা সব‌চে নতুন প্রেস‌ক্রিপশন ও পরীক্ষার কাগজ উপ‌রে রে‌খে ডেট অনুসা‌রে সা‌জি‌য়ে ফাইল ক‌রে আ‌নে, সা‌র্ভিসও ভা‌লো পান।
ট) আপনার কি হ‌য়ে‌ছে, সম্ভাব্য কারণ, প‌রিণ‌তি কি, সার‌তে কেমন সময় লাগ‌তে পা‌রে, ব্যয় কেমন হ‌তে পা‌রে, এসব জানতে চাওয়া আপনার অ‌ধিকার। ত‌বে সব মিলি‌য়ে দুতিন মি‌নিট সময় নিন। অ‌ধিক সময় নেয়াটা পেছ‌নের মুমূর্ষ রোগীদের জন্য ক‌ষ্টের কারণ হ‌তে পা‌রে।
ঠ) ‌যেভা‌বে প্রেস‌ক্রিপশন করা, সে নিয়‌মে ঔষধ সেবন করুন। নিয়ম নিষেধগু‌লো স্ট্রিক‌লি ফ‌লো করুন। এ‌তে মহাকল্যাণ থা‌কে। কারণ চি‌কিৎসক যা জা‌নেন, সব আপ‌নি জা‌নেননা। ফা‌র্মেসি‌স্টের কথা শু‌নে কিছু বদলা‌বেন না। যে‌কোন স‌ন্দেহ বা ঔষধ সংক্রান্ত সমস্যায় চি‌কিৎসক‌কেই নক করুন।
ড) ‌যে‌কোন সমস্যা অকপ‌টে বলুন। ভুল হ‌লেও সেটা স্বীকার ক‌রে বিনীতভা‌বে বলুন। তথ্য গোপন কর‌া আপনার জন্য বিপদ ডে‌কে আন‌তে পা‌রে।
ঢ) ‌প্রেস‌ক্রিশন হারা‌নো চি‌কিৎস‌কের দরবা‌রের ক‌বিরা গুনাহ আর উহা‌কে মু‌ড়ির প্যা‌কে‌টের মত কোকড়া‌নো সগীরা গুনাহ। প্র‌য়োজ‌নে ফ‌টোক‌পি বা মোবাই‌লে ছ‌বি তু‌লে মূলটা নিরাপ‌দে রাখুন।
ণ) যত সেবা সা‌র্ভিস, কোনটাই বিনামূ‌ল্যে নয়। ভি‌জিট দেবার মান‌সিকতা নি‌য়েই চেম্বা‌রে যা‌ন। এটা চি‌কিৎস‌কের অ‌ধিকার। তার অ‌ধিকার না দি‌য়ে নি‌জের সুস্থতার চিন্তা করাটা শিশুসুলভ।
ত) দয়া ক‌রে ভি‌জিট নি‌য়ে বা‌র্গে‌নিং কর‌বেননা। আপ‌নি ভি‌জিট দি‌তে সমস্যা ফিল কর‌লে সরাস‌রি চি‌কিৎসক‌কে বলুন। ‌শতকতরা ৯৫ জন চি‌কিৎসক‌ই অত্যন্ত সু‌বি‌বেচক। ত‌বে কা‌রো আপ‌ত্তি থাক‌লে সম্মান করুন, কারণ এ‌টি তার অ‌ধিকার। তিনিই ঠিক কর‌বেন, কা‌র জন্য তার অ‌ধিকার ছাড়‌বেন, কা‌কে ছাড়‌বেন না?ভি‌জিট দেয়া‌কে নি‌জের জন্য সম্মানহা‌নিকর ভাব‌বেননা। ম‌নে রাখ‌বেন আপনার খরচ হওয়া সামান্য টাকার তুলনায় আপনার সুস্থতার মূল্য কো‌টি গুন বে‌শি দামী।

থ) কাউ‌কে দুর্ব্যবহারকারী; রগচটা, কটুভাষী, অসৎ ম‌নে হ‌লে ‌চি‌কিৎসক হিসা‌বে নয়, বরং মানুষ হিসা‌বে এ‌ড়ি‌য়ে চলাই কর্তব্য। মানু‌ষের মা‌ঝে স্বর্গ নরক, মানু‌ষে‌তে সুরাসুর। সুতরাং নি‌জে নিরাপ‌দে থাকুন, অপরজন‌কেও তার নিকট থে‌কে নিরাপদ থাক‌তে বলুন।
দ) একজন ‌চি‌কিৎসক‌কে দেখাবার পর কোন কারণ ছাড়াই আ‌রেকজন‌কে সে‌টি স্ক্রী‌নিং করা‌নো চরম বোকামী। পৃ‌থিবীর সব ব্য‌ক্তি তার নিজস্ব মতামত দে‌বেন। য‌দি আস্থাই না থা‌কে, ত‌বে দেখা‌লেন কেন? আর আস্থা থাক‌লে সেটা‌কে দুর্বল কর‌বেন কেন?
ধ) চি‌কিৎসা নেয়া সমাপ্ত হ‌লে এক‌টি চমৎকার সমাপনী বাক্য বা এক‌টি হা‌সি দিন। থ্যাঙ্কস মে‌সেজ দিন। হ‌তে পা‌রে; আপ‌নি ছি‌লেন ঐ দি‌নের ম‌নে দাগ কে‌টে যাওয়া সেরা রোগী। আপনা‌দের ছোট ছোট এ‌প্রিস‌য়েশন তা‌কে আরও চমৎকার ক‌রে তুল‌বে।
ন) শুধু ব্যবস্থাপত্র বা চি‌কিৎসা নেয়ার আশা কর‌বেননা। ‌চি‌কিৎস‌কের দোয়াও নিন। ম‌নে রাখ‌বেন, আপনার সুস্থতার বিষয়‌টি অবশ্যই তার ‌দোয়ার সা‌থেও সম্প‌র্কিত।
প) কোন চি‌কিৎসকই জে‌নেশু‌নে ভুল বা অপ‌চি‌কিৎসা দেননা। এমন‌কি জা‌নের শত্রু; রোগী হ‌য়ে এলেও উ‌ল্টো চি‌কিৎসা দেননা। সুস্থতার বিষয়‌টির মা‌লিকও তি‌নি নন। তিনি কোন যাদুকর বা ভগবান নন। উ‌নি তার অ‌র্জিত জ্ঞান ও অ‌ভিজ্ঞতা দি‌য়ে রোগ নির্ণ‌য় ও‌ তদনুসা‌রে ব্যবস্থাপত্র প্রদান ক‌রেন। অতএব আস্থা রাখুন, ধৈর্য্য রাখুন। ঘন ঘন ডাক্তার বদলা‌বেন না।
ফ) চি‌কিৎসা ‌নেবার পূ‌র্বে না‌মের শে‌ষে অবশ্যই এম‌বি‌‌বিএস বা বি‌ডিএস (ডেন্টাল) দে‌খে চি‌কিৎসা ‌নিন। ভা‌লো থাকুন, এ কামনা।
ডা মু‌হিব্বুর রহমান রা‌ফে
এম‌বি‌বিএস, বি‌সিএস (স্বাস্থ্য)
এম‌ডি (ফি‌জিক্যাল মে‌ডি‌সিন এন্ড রিহ্যা‌বি‌লি‌টেশন)
‌ফি‌জিয়্যা‌ট্রিস্ট।

19/02/2025

যে মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না সে সবসময় অন্য কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।

14/02/2025

জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো শক্তিশালী একটি লেখা।

সর্বকালের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, "Compound Interest হল এই পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য্য"।
উনার এই কথার সাথে একমত হয়ে SUCCESS Magazine- এর Publisher Darren Hardy একটি বই লিখেন The Compound Effect নামে, যেটি The New York Times Bestseller.
এই বইটিতে কিছু চমৎকার Key Idea আছে যা আমাদের সবাইকে একটা Perfect Life Resolution বানাতে সাহায্য করতে পারে।
আচ্ছা বলুনতো,
কোন মানুষের Successful বা Failure হওয়ার পিছনে Root Factor হিসেবে কাজ করে কোনটা? তার ছোটবেলা, সে কিভাবে বড় হয়েছে, তার পরিবেশ নাকি অন্য কিছু?
লেখকের মতে সেই Root Factor হল তার নিজের নেয়া ছোট ছোট চয়েজগুলো।
এই পুরো পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটাই জিনিস আছে যেটা যদি আমরা চাই তাহলে পুরোপুরিভাবে কন্ট্রোল করতে পারি, সেটা হচ্ছে আমাদের চয়েজ। আর এই চয়েজগুলোই আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আউটকামের জন্য দায়ী।
আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে অফিস থেকে ফেরার পর জিমে যেতে পারেন বা সোফাতে শুয়ে টিভিও দেখতে পারেন। আপনি যদি চান কোন কারনে আপনার বউয়ের সাথে ঝগড়া হওয়ার পর সবকিছু ভুলে পিছনে ফিরে তাকে জড়িয়ে ধরতে পারেন বা আপনার ইগোকে প্রশ্রয় দিয়ে সেখান থেকে বেড়িয়েও আসতে পারেন।
এরকম ছোট ছোট চয়েজগুলোই আমাদের সবকিছুর আউটকামগুলোকে নির্ধারন করে: আপনি সারাজীবন সুস্থ্য থাকবেন নাকি রোগের বয়ে বেড়াবেন, আপনি একটা দীর্ঘ এবং মধুর সম্পর্ক পাবেন নাকি আপনার মেয়েকে জবাব দিতে হবে কেন তার মাকে আপনি ডিভোর্স দিয়েছিলেন।
কিন্তু আমরা এরকম ছোট ছোট চয়েজগুলোতে বেশি মন দিই না, যদি আমি আপনাকে এখন দুটো অপশন দেই: আপনাকে এখন ১ টাকা দিব যেটা আগামী ১ মাস প্রতিদিন দিগুন হবে অথবা এখনই একবারে ১০ কোটি টাকা দিব; তাহলে আপনি এর মধ্যে কোন অফারট নিতে পছন্দ করবেন।
বেশিরভাগ মানুষই, হয়তো প্রায় সবাই ২ নাম্বার অপশন অর্থাৎ ১০ কোটি টাকাই নিবে। আচ্ছা তাহলে আমি ১ নাম্বার অফারটা নিজের কাছে রেখে দিলাম। এবার দেখা যাক ১ মাস পর এর আউটকাম কি আসে।
৫ দিন পর আমার কাছে আছে ১৬ টাকা আর আপনার কাছে ১০ কোটি। ১০ দিন পর আমার কাছে আছে ৫১২ টাকা আর আপনার কাছে সেই ১০ কোটি। ২০ দিন পর আমার কাছে ৫,২৪,২৮৮ আর আপনার কাছে সেই ১০ কোটি টাকা। আপনি এত টাকায় অনেক মজাতেই আছেন।
এবার ৩১ দিন পর আপনার কাছে আছে এখনো সেই ১০ কোটি কিন্তু আমার কাছ আছে ১০৭,৩৭,৪১,৮২৪ অর্থাৎ ১০৭ কোটি টাকা। যেটা কিনা আপনার থেকে ১০ গুন বেশি।
এবার তো বুঝা যাচ্ছে আইনস্টাইন কেন Compound Interest ব্যাপারটাকে 8th Wonder of World বলেছেন। সাকসেস জিনিসটাও ঠিক এই প্যাটার্নটাই ফলো করে।
Darren Hardy বলেছেন, "After 31 months or 31 years, the person who uses the positive nature of the compound effect appears to be an overnight success."
যেমন রুপক অর্থে রাশেদ, বিজয়, জুয়েল তিন বন্ধুর উদাহরন দেখা যাক। তিনজনই একরকম পরিবেশে বড় হয়েছে, একই জায়গায় থাকে আর ইনকাম মোটামুটি একই রকম। আর হ্যা ধরা যাক তিনজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে এবং সবারই ওয়াইফের সাথে একটু মনোমালিন্য চলছে।
নতুন মাস বা বছরের শুরু থেকে রাশেদ সবসময় যা করে সেটাই করতে থাকল, কারন তার মনে হয় এটাতেই সে খুশী আছে। হ্যা শুধু কখনো কখনো সবার ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করা শুরু করল।
অন্যদিকে বিজয় একটি Daily Checklist বানিয়ে নিজের মধ্যে কিছু ছোট ছোট Insignificant Positive Change আনা শুরু করল। যেমন-
১- প্রতিদিন ঘুমানোর আগে একটা ভাল বইয়ের ১০ পৃষ্ঠা পড়া।
২- প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার বা ফেরার সময় গাড়িতে বসে বা সুবিধামত সময়ে ৩০ মিনিট কোন Self Help/Motivational ভিডিও দেখা।
৩- নিজের ডেইলি ডায়েট প্ল্যান থেকে ১২৫ ক্যালরি কমালো।
৪- প্রতিদিন এক্সট্রা অন্তত ২ লিটার পানি খাওয়া।
৫- প্রতিদিন ১ মাইল হাটা।
৬- ব্যবসায়ীক স্বার্থ জড়িত প্রতিদিন অন্তত এমন ২/১ জনকে ফোন দিয়ে খোজখবর নেয়া বা সম্পর্কোন্নয়ন।
৭- নিজের বউকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহে শুধুমাত্র ১ দিন বাইরে ডিনারের জন্য যাওয়া।
এবার অন্যদিকে জুয়েল কিছু ছোট ছোট Insignificant Negative Change আনা শুরু করল। যেমন:
১- প্রতিদিন লাঞ্চে একটু করে জাংকফুড খাওয়া।
২- কাজের চাপের অজুহাতে সপ্তাহে ৩/৪ দিন জিম মিস দেয়া।
৩- প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় ১ বোতল কোল্ডড্রিঙ্কস খাওয়া।
৪- টিভিতে ফেভারিট শো দেখার জন্য ইভিনিং ওয়াক বন্ধ করে দেয়া।
৫- সময়ের অভাবের অজুহাতে অফিসিয়াল যোগাযোগ কমিয়ে দেয়া।
৬- ব্যস্ততার অজুহাতে বউয়ের সাথে বাইরে যাওয়াও বন্ধ করে দিল।
পরব্ররতী ৫ মাসে ৩ বন্ধুর তেমন কোন পার্থক্য দেখা গেল না। ১০ মাস পরেও একই। এবার বিজয় একটু একটু ফ্রাস্ট্রেট হতে লাগল। কেননা এখনো সে কোন পজটিভ রেজাল্ট দেখতে পায়নি তাও সে কোনরকমে জেদ ধরে চালিয়ে গেল, যেখানে জুয়েল কম কাজ করে জীবনকে উপভোগ করতে থাকল। আর রাশেদও খুশিতেই আছে।
কিন্তু ২৫ মাস পর হঠাৎই এদের মধ্যে কিছুটা বড় পার্থক্য দেখতে পাওয়া গেল, আর ২৭ মাস পর সেটা আরো ক্লিয়ারলি দেখতে পাওয়া গেল।
And after 31 months the differences become poles apart.
রাশেদ এখন আরো বেশি কম্পলেইন করে সবার ব্যাপারে। সে বেশিরভাগ সময়ই Bore এবং Purposeless অনুভব করে।
জুয়েল রোজ একটু একটু জাংকফুড খেয়ে এবং জিম বাদ দিয়ে ১৫ কেজি ওজন বাড়ালো, সাথে নানান রোগব্যাধি। যোগাযোগ কমিয়ে দেয়ার ফলে বিজনেসের অবস্থাও খারাপ হতে লাগল। ফলস্বরূপ আর্থিক অবস্থাও খারাপ হয়ে গেল সেই সাথে বউয়ের সাথেও সম্পর্ক খারাপ হয়ে ডিভোর্সের পর্যায়ে চলে গেল।
Small negative changes compounded for 31 months brought a horrific result.
এবার আসা যাক বিজয়ের ব্যাপারে। এই ৩১ মাসে সে প্রায় ৫০ টি বই এবং ৪৬৫ ঘন্টা উপকারী ভিডিও দেখে নিয়েছে যেটাতে তার Knowledge & Wisdom দুটোই আগের থেকে অনেকগুণ বেড়ে গেল।
প্রতিদিন শুধু ১২৫ ক্যালরি কমিয়ে আর ১ মাইল হেটে ১৫ কেজি ওজন কমালো যে কারনে সে এখনো আগের মতই স্লিম আর হ্যান্ডসাম। প্রতিদিন মাত্র ২ লিটার পানি খেয়ে মোট প্রায় দুই হাজার লিটার পানি খেয়ে নিল যা কিনা তার নিজের ভিতরে অনেক রোগকে বেড়ে ওঠা কমিয়ে দিল।
আর প্রতিদিন মাত্র দুইটা কল করে সে মোট ১৮০০ কল দিল যাতে সম্পর্ক ভালো হল ফলে বিজনেসও বাড়তে থাকল।
সপ্তাহে মাত্র একদিন বউকে ডিনারে নিয়ে গিয়ে মোট ১২৪ টা ডিনার ডেট করে ফেলল, যাতে তার বউ খুশী হল, নিজেদের সম্পর্কটাও মজবুত হল।
Strong insignificant changes compounded for 31 months brought an outstanding result for him.
কিন্তু!!
যদি সাকসেস পাওয়া এতটাই সোজা হয় আর আমরা সবাই প্রসেসটাও জানি, তাহলে কেন আমরা এই সূত্রটা ফলো করতে ব্যর্থ হয়ে যাই?
লেখকের মতে চারটি ফাঁদ আছে যার কারনে আমরা ব্যর্থ হই বা Consistency ধরে রাখতে পারি না।
1- Starting Results Are Invisible
ভাবুন যদি আপনি আজ একটা বার্গার খান আর পরদিন সকালে ১৫ কেজি ওজন বাড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠেন তাহলে কি আপনি কোনদিনও একটা বার্গার খেতেন? অথবা আজ একটি সিগারেট খান আর পরদিন সকালে আপনি গলায় ক্যান্সার নিয়ে ঘুম থেকে ওঠেন, তাহলে কি আপনি কোনদিনও একটা সিগারেট খাওয়ার সাহস করতেন?
কিন্তু সমস্যাটা হল শুরুতে কোন পরিবর্তনই চোখে ধরা পরে না। কিছু মাস বা কিছু বছর পর হঠৎ যেন রাতারাতি কিছু ভয়ানক ফলাফল সামনে এসে যায়, যতক্ষণে সেটাকে আটকানোর আর সুযোগ থাকে না।
এই ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে সবসময় এটা মনে রাখতে হবে, "Every choice you make ignites a butterfly effect" মানে আপনাকে সতর্ক হয়ে প্রতিটা চয়েজ মন দিয়ে নিতে হবে।
2-Deceptiveness
লস এঞ্জেলসগামী কোন বিমান যদি ১ ডিগ্রিও Off Route হয়ে যায় তো সেই প্লেন লস এঞ্জেলস থেকে ১৫০ মাইল দূরে অন্য কোন দ্বীপে গিয়ে ল্যান্ড করবে। এবার আপনি ভাবুন যদি আপনিও নিজের জীবনে শুধুমাত্র ১ ডিগ্রীও Off Route হয়ে যান ১০ বা ১৫ বছরের জন্য, তাহলে জীবনের কোথায় গিয়ে ল্যান্ড করবেন!
এটা থেকে বাঁচার জন্য একটা গাইডলাইন থাকা খুবই দরকার। যেমন একটা Daily Checklist যেটা একটা ফুটপ্রিন্টের মত আপনাকে On Track থাকার জন্য সাহায্য করবে। যদি আপনি কোন কারনে কিছুদিনের জন্য অফট্র‍্যাক হয়েও যান তখন এই চেকলিস্টটা আপনাকে অন ট্র‍্যাকে ফিরে আসার জন্য অনেকটা সাহায্য করবে।
3- Immediate Gratification
আপনার কাছে দুটো অপশন আছে, ডিনারের পর আপনি একটা হট চকলেট কেক খেতে পারেন বা শুধু ১ গ্লাস পানি খেতে পারেন। আপনি পানি বেছে নিলেন আর আপনার একটা বন্ধু নিল কেক। বন্ধু খুব আনন্দে ওই কেকটাকে আপনার চোখের সামনে মজা করে খেতে লাগল। আর এদিকে আপনি শুধু পানি খাচ্ছেন যেটার এতটুকুও কোন স্বাদ নেই। তখন কেমন লাগবে আপনার?
এটাই ফাঁদ!
যদি আপনি শর্ট টার্মে দেখেন তাহলে কোন ভাল চয়েজ বেছে নিলে তাতে আপনি কিছুই পান না কিন্তু যদি একটা খারাপ চয়েজকে বেছে নেন তাহলে আপনি অনেক খুশী আর মজা লাভ করেন।
Which is a great paradox.
যেমন Darren Hardy বলেছেন,
"Short term pleasures create long term pains and short term pains create long term pleasures.
জীবনে একবার তো আপনাকে কষ্ট করতেই হবে, আপনি এটাকে Skip করতে পারবেন না। এই কষ্ট দুই ধরনের হয়: Pain of Discipline এবং Pain of regret.
কিন্তু ডিসিপ্লিনের কষ্টে ওজন শুধু কয়েক গ্রাম এবং কিছুদিনের যেখানে রিগ্রেটের কষ্টের ওজন কয়েক টন এবং আজীবনের।
এবার চয়েজ আপনার।
4- What is easy to do is also not easy to do.
চেকলিষ্ট Maintain করা, প্রতিদিন শুধুমাত্র দুই বোতল পানি খাওয়া, ১ মাইল হাটা; এইসব কাজ করা খুবই সহজ।
হ্যা সহজ তো বটেই কিন্তু এটা করা অনেকটা মুশকিলও।
লেখক বলেছেন শুধুমাত্র একটা জিনিস এরকম আছে যেটা Successful এবং Unsuccessful দুধনের লোকেদের মধ্যেই Common, তাদের কেউই ভাল চয়েজটা বেছে নিতে ভালবাসে না।
হ্যা এটাই সত্যি!
হট চকলেট কেকের পরিবর্তে শুধু স্বাদহীন পানি খেতে কেউই ভালবাসে না, কিন্তু সাকসেসফুল লোকেরা তাও যেকোন ভাবে তাদের Will Power বা নিজের Why Power- কে কাজে লাগিয়ে সেই কাজটা করে নেয়।
যেমন মোহাম্মদ আলী বলেছেন,
"I hated every minute of training but I love being a world champion."
তো এই ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য আপনার ওই Why টাকে খুজে বের করতে হবে। এই Why যত পাওয়ারফুল হবে আপনিও ততটাই পাওয়ারফুল হবেন।
So prepare a Checklist on daily basis, which will guide you throughout the year to stay on the right track.
One thing is fixed that you can never escape from the compound effect, either u earn it or you pay for it.

Collected

মৃগীরোগ সংক্রামক কিংবা মানসিক ব্যাধি নয় - এটি একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা। সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে আক্...
10/02/2025

মৃগীরোগ সংক্রামক কিংবা মানসিক ব্যাধি নয় - এটি একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা। সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্বাভাবিক ও পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন।
আসুন, কুসংস্কার ও ভুল ধারণা দূর করে মৃগী রোগীদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই এবং পাশে থাকি!

09/02/2025

ব্রেক আপ ঃ

যখন আপনার , কোন মেয়ের সাথে ব্রেক আপ হয় ভাই, একটু শান্ত হয়ে বসেন, সময় নিন এবং একাকীত্বের আশীর্বাদ উপভোগ করুন, নিজেকে নমনীয় করুন, আত্ম-উন্নতি প্রোগ্রামে নাম লেখান, ভাল খাবার খান, জিমে সময় কাটান, নতুন পোশাক পরেন, ভাল সুগন্ধি লাগান,ভাই বন্ধুদের সাথে আরও বেশি সম্পর্ক করুন, শান্ত হন এবং স্থির থাকুন।

তার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যে বা তাকে নিপীড়নের চেষ্টা করার নামে তাড়াহুড়ো করে বোকার মত অন্য সম্পর্ক শুরু করবেন না।

আপনি সময় নিন এবং নিজেকে একটি সুন্দর ট্রিট দিন কারণ আপনি এইমাত্র সম্পর্কের জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন।

এক বা দুই বছর পরে,আবার শুরু করুন, এবং এই সময়, আপনার প্রাক্তনের চেয়ে অনেক কম বয়সী, মেয়েলি এবং কর্তব্যপরায়ণ একজন মেয়ের সন্ধান করুন এবং বিশ্বাস করুন, আপনি একজনকে খুঁজে পাবেন কারণ ইতোমধ্যে আপনি আপনার জীবনকে সেই উচ্চতায় উন্নীত করেছেন।
এইভাবে ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পুরুষরা ব্রেক-আপের সাথে মোকাবিলা করে।
🥂🙏

Address

14/15 Mehedibag
Chittagong
4000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Prof. Dr. Gias Uddin Sagor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Prof. Dr. Gias Uddin Sagor:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category