19/06/2024
সুত্র নিপাত --ভগবান চুন্দকে বলিলেন, ‘জগতে চারি প্রকার শ্রমণ আছেন। কিন্তু, পঞ্চম নাই। তুমি যখন আমার সম্মুখে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়াছ তদ্ধেতু তোমার অবগতির জন্য সেই চারি প্রকার কী কী তাহা প্রকাশ করিতেছি। যথা-মার্গজিন, মার্গদেশক, মার্গজীবী এবং মার্গদূষী এই চারি প্রকার শ্রমণ বিদ্যমান।
তখন কর্মকার পুত্র বলিলেন, ‘বুদ্ধগণ, কাহাকে মার্গজিন বলেন? মার্গদেশক অতুলনীয় কেন? মার্গজীবী ও মার্গদূষী সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করিতেছি। তাহা আমার নিকট প্রকাশ করুন।
১. ভগবান চুন্দকে বলিলেন, যিনি সন্দেহ মুক্ত, দুঃখশল্য অপসৃত; নির্বাণে অভিরমিত, লোভহীন দেব-মনুষ্যলোকের নায়ক। বুদ্ধগণ, তাঁহাকেই মার্গজিন বলেন।
২. যিনি এই জগতে সর্বোত্তমকে সর্বোত্তমভাবে জ্ঞাত হইয়া; জগতে নির্বাণধর্ম বর্ণনা করেন এবং অতি সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেন; সেই সন্দেহবিনাশী কামলালসামুক্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের ভিক্ষুকে মার্গদেশক বলা হয়।
৩. যিনি নির্বাণধর্ম অতি সুন্দরভাবে দেশনা করেন এবং যিনি শীল সংযমের দ্বারা কায়-ইন্দ্রিয়াদিতে সুসংযত এবং স্মৃতিমান হইয়া উত্তমধর্ম অনুশীলন করেন; সেই তৃতীয় পর্যায়ের ভিক্ষুই মার্গজীবী নামে কথিত হন।
৪. ধার্মিকের বেশে অহংকারী, কুলদূষক বা গৃহীদের শ্রদ্ধা ও ধর্মীয় গারবতা নষ্টকারী, চঞ্চল, মায়াবী, অসংযত, অন্তঃসারহীন আলাপচারী এবং অন্যায় প্রদুষ্ট আচরণকারী ভিক্ষুই মার্গদূষী বলিয়া অভিহিত হন।
(বর্তমানে ৪ নং টায় বেশি মনে হয়)..