15/12/2022
দাঁত সুস্থ রাখতে স্কেলিং :
হাত দিয়ে খাবার শেষে তৎক্ষণাত ধুয়ে ফেলা সহজ, কিন্তু দেরি হলে সাবান বা অন্য মাধ্যম প্রয়োজন। তেমনি সঠিক নিয়মে ও সঠিক সময়ে মুখ পরিষ্কার না করলে দাঁতের পৃষ্ঠে জমে ক্ষতিকর পদার্থ। বিশেষ যন্ত্র দিয়ে তা নিরাপদভাবে পরিষ্কার করার নাম স্কেলিং। মূলত আলট্রাসনিক বা হাত স্কেলারের মাধ্যমে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়। কত দিন পরপর স্কেলিং করতে হবে সেটা নির্ভর করে মুখের স্বাস্থ্য সচেতনতার ওপর, নিয়ম মাফিক দাঁত পরিষ্কার, ফ্লস ব্যবহার, খাদ্যাভ্যাস, শরীরের অবস্থা, দাঁতের গঠন, লালার স্বাভাবিকতা ইত্যাদির ওপর।
উপকারিতা : মাড়ি ও দাঁতের স্বাভাবিক সংযুক্তি নষ্ট হলে সুস্থ করে, দাঁতের ফাঁকে খাবার জমা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, মন গড়া পদ্ধতিতে মুখ পরিষ্কার- ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুরক্ষা দেয়। মুখ গহ্বরকে রোগমুক্ত রাখে। মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতে অবাঞ্ছিত দাগ দূর হয়। ধূমপায়ীদের জন্য অতি জরুরি।
সাময়িক অস্বস্তি : স্কেলিং অনেকটা ব্যথামুক্ত চিকিৎসা, তবে মাড়ি রোগের তীব্রতা বাড়লে দাঁত শিন শিন ও মাড়িতে ব্যথা লাগতে পারে। চিকিৎসা শেষে ২ থেকে ৩ দিন বেশি ঠাণ্ডা পানি বা শক্ত খাবার না খাওয়া ভালো। সাময়িক দাঁতে অতিসংবেদনশীলতা অনুভব হতে পারে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে অল্প সময়ে সব স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। ধূমপান, পান, জর্দা পরিহার করা উচিত।
সাবধানতা : শরীরের অন্য কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, লিভারের রোগ, রক্তের কোনো রোগ যেমন এনিমিয়া, হিমোফেলিয়া বা ক্যানসার বা প্রেগনেন্সির বিষয় থাকলে স্পষ্টভাবে বলতে হবে। কোনো রক্ত পাতলা রাখা ওষুধ সেবন করলে তাও জানাতে হবে। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসককে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়।
স্কেলিং অতি সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি হলেও চিকিৎসকের পর্যাপ্ত জ্ঞান ও যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করণে অবহেলা থাকলে রোগীর বিপদ হতে পারে, তাই বিডিএস ডিগ্রিধারী বৈধ চিকিৎসক খুঁজে নিন