SufiCentre is a spiritual Institution of distinction with a rich Islamic cultural and Sufi heritage
Our teachings are based on theChishtia Sufi Orde. সুফি সেন্টার কেন?
এসেছো যারা আসোনি যারা, হয়ে পথহারা, তোমাদের সবার নিমন্ত্রণ।
মানুষ বলে জ্ঞানই শক্তি, অথচ আজকের মানুষ হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছে এই জ্ঞানের ধাক্কাতেই।
নতুন-নতুন মতবাদ, এক এক মানুষের এক একরকম চিন্তা,পুরনো ট্র্যাডিশন, নিজের সংস্কার চারদিকে জ্ঞানের ছড়াছড়ি, চিন্তা ও মতবাদের বড় বড় ঢেউ। এবং এর অনেকগুলিই পরস্পর-বিরোধী। মানুষ বিভ্রান্ত।
কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক, কোনটা ভাল কোনটা মন্দ, প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় কোনটি ?
বেছে নিতে অসুবিধা হচ্ছে। বাড়িতে জেনারেশন গ্যাপ, অফিসে মূল্যবোধের সংকট, সমাজে আচার-প্রথার বাহুল্য মানুষ আজ হতবুদ্ধি । এই অবস্থায় পাশ্চাত্য মনোবিজ্ঞান মানুষকে বলে সমাজের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে, খাপ খাওয়াতে। সুফি সেন্টার, এই ধারণার বিপক্ষে কারণ সমাজ অধিকাংশ বিষয়েই অসুস্থ। সুফিরা তাই উত্তরণের পথ দেখিয়েছেন, রূপান্তরের পথ বলেছেন।
পাশ্চাত্য মনোবিজ্ঞান আপনাকে সাহায্য করবে সাধারণ মানুষের মতো চেতনা নিয়ে বেঁচে থাকতে, খুব বেশি হলে, ইঁদুর-দৌড়ে প্রথম হতে বলবে।
সুফি সেন্টার বলছে স্বকীয়তা প্রকাশ করতে। জনতার একজন হয়ে নয়, নতুন মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার কথা বলছে। সিগমুন্ড ফ্রয়েড জীবন-জিজ্ঞাসা তোলেননি। এটা তুললেন জাঁ পল সার্ত্রে, আলবেয়ার কামু, হাইডেগার, ফ্রানজ কাফকা । আরও পরে স্যামুয়েল বেকেট।
উত্তর তাঁরাও পাননি। পাশ্চাত্যের অস্তিত্ববাদী দর্শন তাই বিষাদ দর্শনে পরিণত। জীবন তাৎপর্যহীন, মূল্যবোধ অর্থহীন, মানুষের সমস্ত ইচ্ছা, সবকিছু মূল্যহীন। সার্ত্রে -কামু-কাফকা বেকেট বুদ্ধি দিয়ে এর উত্তর খুঁজছিলেন এবং সামান্য চেষ্টা করেই প্রয়াস ত্যাগ করেছিলেন।
সুফি সেন্টার দেখায়, বিষাদের এই আকুতির পেছনে আছে এক গভীরতর ডাক অন্তরতম সত্তার ডাক "আমি কি তোমাদের প্রভু নই?" (আল কুরআন)।
বিজ্ঞান দিয়ে শরীরকে জানা যায়, জীবনকে নয়। কারণ জীবন এক রহস্য। একে জানা যায় না, অনুভব করা যায়। জীবন কোনো সমস্যা নয়, জীবন এক চ্যালেঞ্জ। এ এক দুঃসাহসিক যাত্ৰা (adventure) অজানার উদ্দেশ্যে। যাত্রাপথের বাহন হচ্ছে সুফি সেন্টার।
মানুষ এত কিছু পড়ছে, শিখছে তবুও তার মনে তৃপ্তি নেই কেন? কারণ, আত্মজ্ঞানের অভাব। আজকের দুনিয়ায় এটিই চলছে। মানুষ অনেক কিছু জানছে, কিন্তু যে মন নিয়ে এই জ্ঞানগুলির প্রয়োগ করবে সেই মন সম্বন্ধে সে কিছু জানেনা, সেই মনটাই বিভ্রান্ত। তাই আপন মনের সন্ধান দিতেই সুফি সেন্টার।
নতুন মনোবিজ্ঞানের সমস্ত তত্ত্ব স্পষ্ট প্রবৃত্তিপূজা;
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রবণতা প্রকটতর হয়ে দেখা দেয় যে, সমস্ত মনস্তাত্ত্বিক এবং মানসিক কারণ প্রকৃতপক্ষে জৈবিক এবং শারীরিক। এ থেকে এই উপসংহার হয় যে, পাশ্চাত্যসমাজ আত্মাকে ইতোমধ্যেই ভুলে গিয়েছে। এখন মন, নফস থেকেও অপরিচিত হয়ে যাচ্ছে। অবশেষে একমাত্র 'দেহই' থেকে গেছে।
মনোবিজ্ঞানের পাশাপাশি এখানে নতুন আরেকটি জ্ঞানের উল্লেখ হওয়া উচিত, যাকে বলা হয় সাইবারনেটিক্স (Cybernetics)। এই জ্ঞানের সাহায্যে কম্পিউটার তৈরি করা হয়। অর্থাৎ এমন সব যন্ত্র, যেগুলো মানুষের মনের কিছু নির্দিষ্ট বিষয় নিজেরাই সম্পাদন করতে পারে।
যেমন জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধান করা, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, এমনকি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা। এই জ্ঞানের পেছনে ভিত্তি হল, মানুষের মন একটি যন্ত্রের মতো কাজ করে। আর যে আইনকানুন যন্ত্রগুলোকে পরিচালনা করে, ঠিক সেই আইনকানুন মনকেও পরিচালনা করে। তাই এই আইনগুলো জানা থাকলে মানুষ মন থেকে যেসব কাজ আদায় করে নেয়, যন্ত্র থেকেও একই কাজ নিতে পারে। ফলে আশা করা যায়, মানুষ যেভাবে মহাবিশ্ব ও প্রকৃতিকে জয় করতে পারে, সেভাবে মনকেও জয় করতে পারে এবং এটিকে তার পছন্দ অনুযায়ী গঠন করতে পারে। অর্থাৎ, মনও আসলে একটি কায়া বা বস্তু। আর বস্তুগত জিনিসের সাথে যে আচরণ করা হয়, মনের সাথেও অনুরূপ আচরণ করা যেতে পারে।
উনিশ শতকের অনেক লোক ‘আধ্যাত্মিকতা' (রূহানী.), ‘আত্মশুদ্ধি' (তাসাউফ) এবং ‘গুপ্ত জ্ঞান' (ইলমে বাতেনী)-এর এই অর্থ গ্রহণ করেছিল যে, এই জিনিসগুলোর উদ্দেশ্য হল মানুষের মনের ‘গোপন শক্তিগুলো' জাগিয়ে তোলা। যেমন কোনো বাহ্যিক উপায় ছাড়াই মানুষের মনে প্রভাব বিস্তার করা, কোনো মাধ্যম ছাড়াই কোনো শহর বা দেশের অবস্থা বলা ইত্যাদি।
কিন্তু উনিশ শতকের বিজ্ঞানীরা এগুলোকে অমূলক চিন্তা ও কুসংস্কার বলতেন। পক্ষান্তরে বিশ শতকের কিছু বিজ্ঞানী এ বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং নীতিগতভাবে এগুলোকে “সম্ভব” বলে বিবেচনা করতে শুরু করেছেন। তারা এ ধরনের মানসিক শক্তিকে ‘অতিন্দ্রিয় উপলব্ধি' বলেন। এই গবেষণায় আগ্রহী এমনকি রাশিয়ার বিজ্ঞানীরাও। এই প্রবণতা থেকে কখনো কখনো এই বিভ্রম হয় যে, বিজ্ঞান এখন আধ্যাত্মিকতা এবং ধর্মের কাছে আসছে। অথচ স্পষ্টতই এই তত্ত্বের ভিত্তিও বস্তুবাদের উপর; বরং এটি আত্মা ও ধর্মের বাস্তবতাকে অস্পষ্ট করে তুলতে আরও সহায়তা করে।
মোদ্দাকথা, কোথাও ধর্মের বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা নেই, সেটা বর্তমান বিজ্ঞান হোক বা মনোবিজ্ঞান বা দর্শন। এ ধরনের লোকেরা ধর্ম এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতি যে অনুরাগ প্রকাশ করে, তার অধিকাংশই প্রতারণা; আদতে কোনো পার্থক্য নেই। এতদিন পর্যন্ত বিজ্ঞান ধর্মের শত্রু হয়ে সামনে এসেছিল, এখন বন্ধু হয়ে আসছে; এটা আরও বিপজ্জনক না হলেও স্পষ্ট না।
ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বিজ্ঞানের ধর্ম নিয়ে অনেক আপত্তি ছিল এবং সন্দেহ- সংশয় জাগিয়েছিল। বিজ্ঞান যুক্তিবাদকে পরিত্যাগ করেছে বলে নতুন বিজ্ঞান এখন এসব পুরোনো আপত্তি পরিত্যাগ করেছে; কিন্তু নতুন বিজ্ঞান ‘যৌনতাবাদ' বা 'জীবনবাদে'র চর্চা শুরু করেছে। সেজন্য সে ধর্মকে নির্মূল করার পরিবর্তে নতুন ধর্ম তৈরি করার চেষ্টা করছে। এই নতুন বিজ্ঞান পুরান বিজ্ঞানের চেয়ে বেশি ধ্বংসাত্মক।
পুরান বিজ্ঞান আল্লাহর অস্তিত্বের অস্বীকারকারী ছিল, নতুন বিজ্ঞান নতুন খোদার আবিষ্কার করছে। এই নতুন ধর্ম আরও বেশি বিভ্রান্তিকর। এসব বিভ্রান্তির চিহ্নকে সহজ পদ্ধতিতে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারে খুব সহজেই সুফিতত্ত্ব। এই কারণেই সুফি সেন্টার।
Sufi Centre is a platform to connect people worldwide to the breadth and depth of meditation practices, the science, techniques, information, community and inspiration about its purpose and its physical, emotional, and spiritual benefits.