Dr. Md. Sawkat Hossan

Dr. Md. Sawkat Hossan DR. MD. SAWKAT HOSSAN
MBBS, BCS (Health)
MD (Cardiology)BSMMU, MACP(USA)
Consultant Cardiology, CMCH

14/10/2025

কারও কারও প্রস্রাবে ফেনা বা বুদ্‌বুদ হয়। প্রস্রাবে ফেনা হলেই যে আপনাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, তা নয়। একজন সুস্থ ব্যক্তির মাঝেমধ্যে প্রস্রাবে কিছুটা ফেনা হতেই পারে। কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে 👇

07/10/2025

কিডনি ও হৃদ্‌রোগ একে অপরের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলে কার্ডিওরেনাল সিনড্রোম বা সিআরএস। বিশ্বব্যাপী অসংক্রামক রোগের মধ্যে কিডনি রোগ (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডি) ও হৃদ্‌রোগ (কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ বা সিভিডি) আজ মহামারি আকার ধারণ করেছে। কীভাবে প্রতিরোধ করবেন জানুন কমেন্টে 👇

01/10/2025

ওয়ারফারিন (Warfarin) সেবনের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ এটি একটি রক্ত পাতলা করার ওষুধ (anticoagulant)। ঠিকমতো না মানলে রক্তক্ষরণ বা জটিলতা হতে পারে।

ওয়ারফারিন নেওয়ার সময় সতর্কতা
1. ডোজ মেনে চলা
• ডাক্তার যে ডোজ বলেছেন, ঠিক সেটাই খেতে হবে।
• নিজে থেকে ডোজ বাড়ানো/কমানো যাবে না।
2. রক্ত পরীক্ষা (INR test)
• নিয়মিত INR পরীক্ষা করতে হবে।
• INR বেশি হলে রক্তক্ষরণ হতে পারে, কম হলে clot (জমাট বাঁধা) হতে পারে।
3. খাবারের বিষয়ে সতর্কতা
• ভিটামিন K সমৃদ্ধ খাবার (পালং শাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, সবুজ শাকসবজি) বেশি/কম খাওয়ার ফলে ওষুধের কার্যকারিতা বদলাতে পারে।
• প্রতিদিন প্রায় একই রকম পরিমাণে শাকসবজি খাওয়া ভালো।
• অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে।
4. অন্যান্য ওষুধের সাথে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া
• ব্যথানাশক (NSAIDs যেমন Brufen, Diclofenac, Aspirin), কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, হার্বাল/আয়ুর্বেদিক ওষুধ ওয়ারফারিনের সাথে খেলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
• নতুন কোনো ওষুধ নেওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারকে জানাতে হবে।
5. রক্তক্ষরণের লক্ষণ খেয়াল রাখা
• মাড়ি বা নাক দিয়ে রক্ত পড়া
• প্রস্রাব বা পায়খানায় রক্ত আসা
• সহজে নীল দাগ হয়ে যাওয়া
• মাথা ঘোরা, দুর্বল লাগা
👉 এসব হলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
6. অপারেশন/দাঁতের চিকিৎসার আগে
• ডাক্তার/ডেন্টিস্টকে জানাতে হবে যে ওয়ারফারিন চলছে।
7. গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
• গর্ভাবস্থায় ওয়ারফারিন বিপজ্জনক হতে পারে। সন্তান ধারণের পরিকল্পনা থাকলে ডাক্তারকে জানাতে হবে।

👉 সংক্ষেপে: ওয়ারফারিন খাওয়ার সময় নিয়মিত INR পরীক্ষা, খাবার ও ওষুধের প্রতি সতর্কতা, রক্তক্ষরণের লক্ষণ খেয়াল রাখা খুবই জরুরি।

আলহামদুলিল্লাহ্‌! পার্কভিউ হসপিটালে এখন থেকে মঙ্গলবার ও শুক্রবার ব্যাতীত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রোগী দেখ...
15/09/2025

আলহামদুলিল্লাহ্‌! পার্কভিউ হসপিটালে এখন থেকে মঙ্গলবার ও শুক্রবার ব্যাতীত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রোগী দেখবো।

সিরিয়াল নিতে যোগাযোগ করুন 01312-016191 নাম্বারে।

12/09/2025

ঘুমের অভাব বা অনিদ্রা হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং মৃত্যুঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। তাই হৃদ্‌রোগীদের জন্য সঠিক ভঙ্গিতে ঘুমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই কোন ভঙ্গি হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী আর কোনটি ক্ষতিকর। 👇

08/09/2025

প্রাপ্তবয়স্ক একজন ব্যক্তির জন্য ২৪ ঘণ্টায় ৪-৮ বার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক। এর চেয়ে কম কিংবা বেশি হলেও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন। কেন 👇

ট্রপোনিন হলো তিন ধরনের প্রোটিনের সমষ্টি—Troponin C, I ও T। এগুলো পেশীর সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত রক্তে ট্রপোনিনের মা...
31/08/2025

ট্রপোনিন হলো তিন ধরনের প্রোটিনের সমষ্টি—Troponin C, I ও T। এগুলো পেশীর সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত রক্তে ট্রপোনিনের মাত্রা খুব কম থাকে। কিন্তু যখন হৃদপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় (যেমন হার্ট অ্যাটাকের সময়), তখন এই প্রোটিন রক্তে দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

ট্রপোনিন টেস্ট কীভাবে কাজ করে?

👉 রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ট্রপোনিন I বা Troponin T এর মাত্রা মাপা হয়।
👉 মাত্রা বেড়ে গেলে বোঝা যায় হৃদপেশীর ক্ষতি বা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।
👉 সঠিকভাবে নির্ণয়ের জন্য প্রায়শই ২৪ ঘণ্টায় একাধিকবার এই পরীক্ষা করা হয়, যাতে ট্রপোনিনের ওঠানামা ধরা যায়।

স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক মাত্রা

✅ স্বাভাবিক সীমা: সাধারণত 0.04 ng/L এর নিচে।
⚠️ উচ্চ মাত্রা: উচ্চ সংবেদনশীল Troponin T টেস্টে 14 ng/L বা তার বেশি হলে হার্টের ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।
📈 ট্রপোনিন ৩–৬ ঘণ্টার মধ্যে বাড়তে শুরু করে এবং ১০–১৪ দিন পর্যন্ত উঁচু থাকতে পারে।

কেন ট্রপোনিন বাড়ে?

হার্ট অ্যাটাক ছাড়াও অনেক কারণ ট্রপোনিন বাড়াতে পারে:

💔 হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা
❤️ মায়োকার্ডাইটিস (হৃদপেশীর প্রদাহ)
🫀 এন্ডোকার্ডাইটিস
🩸 কার্ডিওমায়োপ্যাথি
🚑 পালমোনারি এম্বোলিজম
🧬 কিডনি রোগ
🦠 সেপসিস বা মারাত্মক সংক্রমণ
💊 কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
☠️ কোকেইনের মতো ড্রাগস ব্যবহার
🩹 হঠাৎ বুকে আঘাত পাওয়া

পরীক্ষার সময় কী আশা করা যায়?

- রক্তের নমুনা বাহুর শিরা থেকে নেওয়া হয়
- হালকা ব্যথা বা ফোলাভাব হতে পারে
- একইসাথে ECG/EKG করা হয় হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক পরিবর্তন দেখতে
- কখনও কখনও CT Scan, Echocardiography বা Angiography দরকার হতে পারে

ট্রপোনিন কমানোর উপায়

ট্রপোনিনের মাত্রা কমানোর জন্য প্রথমে এর মূল কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসা জরুরি। পাশাপাশি—

🥦 স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ
🏃 নিয়মিত ব্যায়াম
💊 ডাক্তারি পরামর্শে কোলেস্টেরল বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ
🩺 উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে স্ট্যাটিন ওষুধ ব্যবহার

❓ FAQ – ট্রপোনিন টেস্ট সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্ন

১. ট্রপোনিন টেস্ট কেন করা হয়?

👉 হৃদপিণ্ডের ক্ষতি বা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য ট্রপোনিন টেস্ট করা হয়।

২. স্বাভাবিক ট্রপোনিন লেভেল কত হওয়া উচিত?

👉 সাধারণত 0.04 ng/L এর নিচে স্বাভাবিক ধরা হয়।

৩. ট্রপোনিন বাড়লে কি সবসময় হার্ট অ্যাটাক বোঝায়?

👉 না, কিডনি রোগ, সেপসিস, পালমোনারি এম্বোলিজমসহ আরও অনেক কারণে ট্রপোনিন বাড়তে পারে।

৪. ট্রপোনিন কমাতে কী করতে হবে?

👉 মূল কারণ চিকিৎসা করতে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও নিয়মিত ফলোআপ দরকার।

৫. ট্রপোনিন কতদিন পর্যন্ত রক্তে থাকে?

👉 সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের পর ১০–১৪ দিন পর্যন্ত রক্তে উঁচু থাকতে পারে।

27/08/2025

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের প্রকাশিত গবেষণায় জানা গেল, যাঁদের হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর বা স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে, তাদের লক্ষনগুলি ১২ বছর আগেই টের পাওয়া যায়! বিস্তারিত 👇

25/08/2025

আপনার কি উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা রয়েছে? তবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন, যা জানা জরুরি👇

সাধারণত আমরা ভাবি, গিরায় গিরায় বা হাড়ে হাড়ে ব্যথা মানেই বাত জ্বর! কিন্তু সবসময় সেটাই হয় না। বাত জ্বর, নামটা যতটা সরল, আস...
21/08/2025

সাধারণত আমরা ভাবি, গিরায় গিরায় বা হাড়ে হাড়ে ব্যথা মানেই বাত জ্বর! কিন্তু সবসময় সেটাই হয় না। বাত জ্বর, নামটা যতটা সরল, আসলে সেটা এক ভয়ানক প্রদাহজনিত রোগ, যা একেবারে ছোট্ট একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে শুরু। এই ক্ষুদ্র শত্রু স্ট্রেপ থ্রোট বা স্কারলেট ফিভার থেকে ছড়ায়, আর তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে — নিজের হার্টের ভালভ, জয়েন্ট এবং স্নায়ুতন্ত্রকেও আক্রমণ করে। সঠিক চিকিৎসা না হলে এই জটিলতা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে, যার প্রভাব বহু বছর পরে পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।

💡 কে সবচেয়ে ঝুঁকিতে?
বাত জ্বর সাধারণত ৫ থেকে ১৫ বছরের শিশু ও কিশোরদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে বিরল ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদেরও হতে পারে। উন্নত দেশগুলোতে দ্রুত চিকিৎসার কারণে এর প্রকোপ অনেকটাই কম, কিন্তু উন্নয়নশীল ও চিকিৎসা-সুবিধা সীমিত এলাকায় এর ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান।

📍 ঝুঁকির প্রধান কারণগুলো হলো:

- চিকিৎসা সেবার সীমাবদ্ধতা
- দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
- ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশ
- পরিবারের কারও পূর্বে বাত জ্বরের ইতিহাস

❤️ হার্টে এর প্রভাব

সব বাত জ্বর রোগীই হার্টে সমস্যায় ভোগেন না, কিন্তু যখন হয়, তা হতে পারে জীবন-সংকটজনক। এই রোগ হার্টের ভালভে দাগ ফেলে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। সময়ের সাথে সাথে এই ক্ষতি বাড়তে বাড়তে রিউম্যাটিক হার্ট ডিজিজ বা হার্ট ফেইলিওর পর্যন্ত গড়াতে পারে। ভয়াবহ দিক হলো—এই ক্ষতি রোগ হওয়ার ১০-২০ বছর পরও প্রকাশ পেতে পারে।

⚠ উপেক্ষা না করার মতো লক্ষণ
- স্ট্রেপ থ্রোট হওয়ার ২-৪ সপ্তাহ পর বাত জ্বরের উপসর্গ দেখা দিতে পারে:
- দীর্ঘস্থায়ী জ্বর
- হাঁটু, গোড়ালি, কনুই বা কব্জিতে ব্যথা ও ফোলাভাব
- বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট
- অবসাদ ও দুর্বলতা
- ত্বকের নীচে ছোট, ব্যথাহীন গুটি
- সমতল বা উঁচু ফুসকুড়ি
- অনিয়ন্ত্রিত হাত-পা নড়াচড়া (সিডেনহ্যাম কোরিয়া)
- হঠাৎ কান্না বা হাসির প্রবণতা

🩺 প্রতিরোধ: আগেভাগে পদক্ষেপ নিন

প্রতিরোধই এখানে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।

গলা ব্যথা, গিলতে অসুবিধা, জ্বর, মাথাব্যথা, পেটব্যথা বা বমি—এসব উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। দ্রুত পরীক্ষা ও অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা বাত জ্বর প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

💊 চিকিৎসা: ধাপে ধাপে যত্ন
বাত জ্বরের চিকিৎসা মূলত দুই ধাপে হয়—

- সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ: অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে স্ট্রেপ্টোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা।
- প্রদাহ কমানো: প্রদাহ-বিরোধী ওষুধ দিয়ে জয়েন্ট ব্যথা ও ফোলাভাব কমানো, গুরুতর ক্ষেত্রে কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার।
- প্রয়োজনে হার্ট ও জয়েন্টের বিশেষায়িত চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত হার্টের ভালভ মেরামত বা প্রতিস্থাপনও করতে হতে পারে।

🔍 দীর্ঘমেয়াদি যত্ন
বাত জ্বর একবার হলে পুনরায় হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই চিকিৎসা শেষ হলেও নিয়মিত চেকআপ অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য রক্ষায় ডাক্তাররা প্রায়ই প্রতিরোধমূলক অ্যান্টিবায়োটিকের পরামর্শ দেন।

📢 শেষ কথা
একটি সাধারণ গলা ব্যথা যদি অবহেলা করা হয়, তার ছায়া বহু বছর ধরে হার্ট ও শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জরুরি, কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বেশি সংবেদনশীল। মনে রাখবেন—দ্রুত সনাক্তকরণ, সঠিক চিকিৎসা এবং নিয়মিত ফলোআপই বাত জ্বর প্রতিরোধের চাবিকাঠি।

19/08/2025

হৃৎস্পন্দন যদি অস্বাভাবিক দ্রুত হয়, তাহলে বুক ধড়ফড় করে। আর যদি হৃৎস্পন্দন অস্বাভাবিক ধীরগতির হয়, তাহলে মাথা ঘোরা, মাথা ঝিমঝিম, হালকা লাগা, মাথা ঘুরে পড়া বা অজ্ঞান হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। বিস্তারিত 👇

ইটিটি (Exercise Tolerance Test): হৃদরোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষাহৃদরোগ আজকের দিনে একটি বহুল আলোচিত ও প্রাণঘাতী ...
17/08/2025

ইটিটি (Exercise Tolerance Test): হৃদরোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা

হৃদরোগ আজকের দিনে একটি বহুল আলোচিত ও প্রাণঘাতী সমস্যা। সময়মতো সঠিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা গ্রহণ করলে এ রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে ব্লক আছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য অন্যতম কার্যকর পরীক্ষা হলো ইটিটি (Exercise Tolerance Test)। চলুন জেনে নেই ইটিটি সম্পর্কে বিস্তারিত।

🩺 ইটিটি কী?

ইটিটি বা Exercise Tolerance Test হলো একটি হার্ট–পরীক্ষা, যেখানে শারীরিক পরিশ্রম করানোর মাধ্যমে হৃদপিণ্ড ও রক্তনালির কার্যক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়। সাধারণত ট্রেডমিল মেশিনে হাঁটার সময় রোগীর ইসিজি (ECG) মাপা হয়। এ সময় হার্টে পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ হচ্ছে কিনা বা ব্লকের কোনো ইঙ্গিত আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।

👨‍⚕️ কারা ইটিটি করবেন?

✅ শারীরিক পরিশ্রম করলে বুকে ব্যথা অনুভব হলে
✅ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টেরল থাকলে
✅ দীর্ঘদিন ধূমপানের অভ্যাস থাকলে
✅ বয়স ৪০ বছরের বেশি হলে
✅ হার্ট অ্যাটাকের পর পুনরায় হার্টের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য

⚙️ ইটিটি কীভাবে করা হয়?

🔹 রোগীকে একটি ট্রেডমিল মেশিনে ৬–৯ মিনিট হাঁটতে হয়
🔹 হাঁটার সময় ক্রমাগত ECG রেকর্ড করা হয়
🔹 পরীক্ষার আগে ও চলাকালীন সময়ে রোগীর ECG ও ইকোকার্ডিওগ্রামের রিপোর্ট সঙ্গে রাখা ভালো
🔹 এভাবে হৃদপিণ্ডের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইটিটি রিপোর্ট তৈরি করেন

⏱️ কখন ইটিটি করা উচিত?

📍 নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমে বুকে ব্যথা হলে
📍 বয়স ৪০-এর বেশি হলে
📍 ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, বা রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে

⚠️ ইটিটি করার সময় সম্ভাব্য ঝুঁকি

যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরাপদ, তবুও কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে—

❗ তীব্র বুকে ব্যথা
❗ রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া
❗ খুব বিরল ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক

👉 তাই ইটিটি অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে করা উচিত।
👉 পরীক্ষা করার জন্য একেবারে খালি পেটে থাকা জরুরি নয়, তবে হালকা খাবার খেয়ে আসা সুবিধাজনক।

🚫 যাদের ইটিটি করা উচিত নয়

⛔ ECG তে RBBB/LBBB বা উল্লেখযোগ্য ST depression থাকলে
⛔ হৃদরোগের বিশেষ সমস্যা যেমন Aortic stenosis, HOCM বা Pulmonary stenosis থাকলে

💡 ইটিটি পজিটিভ মানেই কি এনজিওগ্রাম প্রয়োজন?

না, ইটিটি পজিটিভ মানেই সরাসরি এনজিওগ্রাম করা জরুরি নয়।

⭐ ইটিটি পজিটিভ হলে বোঝা যায় হার্টে ব্লকের আশঙ্কা বেশি।
⭐ এ অবস্থায় চিকিৎসক সাধারণত ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন।
⭐ কয়েক সপ্তাহ ওষুধ খাওয়ার পরও যদি বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভূত হয়, তবে পরবর্তী ধাপে এনজিওগ্রাম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ইটিটি একটি কার্যকর ও বহুল ব্যবহৃত হৃদরোগ নির্ণয় পরীক্ষা। যারা নিয়মিত বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব করেন, কিংবা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে ইটিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে পরীক্ষাটি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ও পর্যবেক্ষণে করা উচিত।

Address

94/103, Katalganj Road
Chittagong
4000

Opening Hours

Monday 15:00 - 21:00
Tuesday 15:00 - 21:00
Wednesday 15:00 - 21:00
Thursday 15:00 - 21:00
Saturday 15:00 - 21:00
Sunday 15:00 - 21:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md. Sawkat Hossan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram