Dr. Md. Sawkat Hossan

Dr. Md. Sawkat Hossan DR. MD. SAWKAT HOSSAN
MBBS, BCS (Health)
MD (Cardiology)BSMMU, MACP(USA)
Consultant Cardiology, CMCH

সাধারণত আমরা ভাবি, গিরায় গিরায় বা হাড়ে হাড়ে ব্যথা মানেই বাত জ্বর! কিন্তু সবসময় সেটাই হয় না। বাত জ্বর, নামটা যতটা সরল, আস...
21/08/2025

সাধারণত আমরা ভাবি, গিরায় গিরায় বা হাড়ে হাড়ে ব্যথা মানেই বাত জ্বর! কিন্তু সবসময় সেটাই হয় না। বাত জ্বর, নামটা যতটা সরল, আসলে সেটা এক ভয়ানক প্রদাহজনিত রোগ, যা একেবারে ছোট্ট একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে শুরু। এই ক্ষুদ্র শত্রু স্ট্রেপ থ্রোট বা স্কারলেট ফিভার থেকে ছড়ায়, আর তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে — নিজের হার্টের ভালভ, জয়েন্ট এবং স্নায়ুতন্ত্রকেও আক্রমণ করে। সঠিক চিকিৎসা না হলে এই জটিলতা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে, যার প্রভাব বহু বছর পরে পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।

💡 কে সবচেয়ে ঝুঁকিতে?
বাত জ্বর সাধারণত ৫ থেকে ১৫ বছরের শিশু ও কিশোরদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে বিরল ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদেরও হতে পারে। উন্নত দেশগুলোতে দ্রুত চিকিৎসার কারণে এর প্রকোপ অনেকটাই কম, কিন্তু উন্নয়নশীল ও চিকিৎসা-সুবিধা সীমিত এলাকায় এর ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান।

📍 ঝুঁকির প্রধান কারণগুলো হলো:

- চিকিৎসা সেবার সীমাবদ্ধতা
- দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
- ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশ
- পরিবারের কারও পূর্বে বাত জ্বরের ইতিহাস

❤️ হার্টে এর প্রভাব

সব বাত জ্বর রোগীই হার্টে সমস্যায় ভোগেন না, কিন্তু যখন হয়, তা হতে পারে জীবন-সংকটজনক। এই রোগ হার্টের ভালভে দাগ ফেলে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। সময়ের সাথে সাথে এই ক্ষতি বাড়তে বাড়তে রিউম্যাটিক হার্ট ডিজিজ বা হার্ট ফেইলিওর পর্যন্ত গড়াতে পারে। ভয়াবহ দিক হলো—এই ক্ষতি রোগ হওয়ার ১০-২০ বছর পরও প্রকাশ পেতে পারে।

⚠ উপেক্ষা না করার মতো লক্ষণ
- স্ট্রেপ থ্রোট হওয়ার ২-৪ সপ্তাহ পর বাত জ্বরের উপসর্গ দেখা দিতে পারে:
- দীর্ঘস্থায়ী জ্বর
- হাঁটু, গোড়ালি, কনুই বা কব্জিতে ব্যথা ও ফোলাভাব
- বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট
- অবসাদ ও দুর্বলতা
- ত্বকের নীচে ছোট, ব্যথাহীন গুটি
- সমতল বা উঁচু ফুসকুড়ি
- অনিয়ন্ত্রিত হাত-পা নড়াচড়া (সিডেনহ্যাম কোরিয়া)
- হঠাৎ কান্না বা হাসির প্রবণতা

🩺 প্রতিরোধ: আগেভাগে পদক্ষেপ নিন

প্রতিরোধই এখানে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।

গলা ব্যথা, গিলতে অসুবিধা, জ্বর, মাথাব্যথা, পেটব্যথা বা বমি—এসব উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। দ্রুত পরীক্ষা ও অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা বাত জ্বর প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

💊 চিকিৎসা: ধাপে ধাপে যত্ন
বাত জ্বরের চিকিৎসা মূলত দুই ধাপে হয়—

- সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ: অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে স্ট্রেপ্টোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা।
- প্রদাহ কমানো: প্রদাহ-বিরোধী ওষুধ দিয়ে জয়েন্ট ব্যথা ও ফোলাভাব কমানো, গুরুতর ক্ষেত্রে কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার।
- প্রয়োজনে হার্ট ও জয়েন্টের বিশেষায়িত চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত হার্টের ভালভ মেরামত বা প্রতিস্থাপনও করতে হতে পারে।

🔍 দীর্ঘমেয়াদি যত্ন
বাত জ্বর একবার হলে পুনরায় হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই চিকিৎসা শেষ হলেও নিয়মিত চেকআপ অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য রক্ষায় ডাক্তাররা প্রায়ই প্রতিরোধমূলক অ্যান্টিবায়োটিকের পরামর্শ দেন।

📢 শেষ কথা
একটি সাধারণ গলা ব্যথা যদি অবহেলা করা হয়, তার ছায়া বহু বছর ধরে হার্ট ও শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জরুরি, কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বেশি সংবেদনশীল। মনে রাখবেন—দ্রুত সনাক্তকরণ, সঠিক চিকিৎসা এবং নিয়মিত ফলোআপই বাত জ্বর প্রতিরোধের চাবিকাঠি।

19/08/2025

হৃৎস্পন্দন যদি অস্বাভাবিক দ্রুত হয়, তাহলে বুক ধড়ফড় করে। আর যদি হৃৎস্পন্দন অস্বাভাবিক ধীরগতির হয়, তাহলে মাথা ঘোরা, মাথা ঝিমঝিম, হালকা লাগা, মাথা ঘুরে পড়া বা অজ্ঞান হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। বিস্তারিত 👇

ইটিটি (Exercise Tolerance Test): হৃদরোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষাহৃদরোগ আজকের দিনে একটি বহুল আলোচিত ও প্রাণঘাতী ...
17/08/2025

ইটিটি (Exercise Tolerance Test): হৃদরোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা

হৃদরোগ আজকের দিনে একটি বহুল আলোচিত ও প্রাণঘাতী সমস্যা। সময়মতো সঠিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা গ্রহণ করলে এ রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে ব্লক আছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য অন্যতম কার্যকর পরীক্ষা হলো ইটিটি (Exercise Tolerance Test)। চলুন জেনে নেই ইটিটি সম্পর্কে বিস্তারিত।

🩺 ইটিটি কী?

ইটিটি বা Exercise Tolerance Test হলো একটি হার্ট–পরীক্ষা, যেখানে শারীরিক পরিশ্রম করানোর মাধ্যমে হৃদপিণ্ড ও রক্তনালির কার্যক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়। সাধারণত ট্রেডমিল মেশিনে হাঁটার সময় রোগীর ইসিজি (ECG) মাপা হয়। এ সময় হার্টে পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ হচ্ছে কিনা বা ব্লকের কোনো ইঙ্গিত আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।

👨‍⚕️ কারা ইটিটি করবেন?

✅ শারীরিক পরিশ্রম করলে বুকে ব্যথা অনুভব হলে
✅ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টেরল থাকলে
✅ দীর্ঘদিন ধূমপানের অভ্যাস থাকলে
✅ বয়স ৪০ বছরের বেশি হলে
✅ হার্ট অ্যাটাকের পর পুনরায় হার্টের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য

⚙️ ইটিটি কীভাবে করা হয়?

🔹 রোগীকে একটি ট্রেডমিল মেশিনে ৬–৯ মিনিট হাঁটতে হয়
🔹 হাঁটার সময় ক্রমাগত ECG রেকর্ড করা হয়
🔹 পরীক্ষার আগে ও চলাকালীন সময়ে রোগীর ECG ও ইকোকার্ডিওগ্রামের রিপোর্ট সঙ্গে রাখা ভালো
🔹 এভাবে হৃদপিণ্ডের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইটিটি রিপোর্ট তৈরি করেন

⏱️ কখন ইটিটি করা উচিত?

📍 নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমে বুকে ব্যথা হলে
📍 বয়স ৪০-এর বেশি হলে
📍 ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, বা রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে

⚠️ ইটিটি করার সময় সম্ভাব্য ঝুঁকি

যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরাপদ, তবুও কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে—

❗ তীব্র বুকে ব্যথা
❗ রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া
❗ খুব বিরল ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক

👉 তাই ইটিটি অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে করা উচিত।
👉 পরীক্ষা করার জন্য একেবারে খালি পেটে থাকা জরুরি নয়, তবে হালকা খাবার খেয়ে আসা সুবিধাজনক।

🚫 যাদের ইটিটি করা উচিত নয়

⛔ ECG তে RBBB/LBBB বা উল্লেখযোগ্য ST depression থাকলে
⛔ হৃদরোগের বিশেষ সমস্যা যেমন Aortic stenosis, HOCM বা Pulmonary stenosis থাকলে

💡 ইটিটি পজিটিভ মানেই কি এনজিওগ্রাম প্রয়োজন?

না, ইটিটি পজিটিভ মানেই সরাসরি এনজিওগ্রাম করা জরুরি নয়।

⭐ ইটিটি পজিটিভ হলে বোঝা যায় হার্টে ব্লকের আশঙ্কা বেশি।
⭐ এ অবস্থায় চিকিৎসক সাধারণত ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন।
⭐ কয়েক সপ্তাহ ওষুধ খাওয়ার পরও যদি বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভূত হয়, তবে পরবর্তী ধাপে এনজিওগ্রাম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ইটিটি একটি কার্যকর ও বহুল ব্যবহৃত হৃদরোগ নির্ণয় পরীক্ষা। যারা নিয়মিত বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব করেন, কিংবা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে ইটিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে পরীক্ষাটি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ও পর্যবেক্ষণে করা উচিত।

14/08/2025

বর্ষায় জ্বর, মাথা ও গায়ে ব্যথা, বমি, র‍্যাশ, দুর্বলতা বা জয়েন্ট ব্যথা বাড়ে। মশাবাহিত ও অন্যান্য জীবাণুর সংক্রমণ এই সময়ে বেশি হয়, যা বর্ষা পরবর্তী সময়েও থাকতে পারে। সবসময় পরীক্ষায় কারণ ধরা নাও পড়তে পারে। করনীয় 👇

13/08/2025

💓 কেন হার্ট অ্যাটাক হয়? ২৬ সেকেন্ডে জেনে নিন!

হার্ট অ্যাটাক হয় যখন ধমনীতে ব্লকেজ ঘটে, যা হার্টে রক্ত সরবরাহ কমিয়ে দেয়। চর্বি, কোলেস্টেরল এবং প্লেক জমার কারণে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তাই⚠️ হার্ট অ্যাট্যাকের লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ ও হাসপাতালে যান।

হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরের এক অনন্য ইঞ্জিন, যা প্রতিনিয়ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এই ইঞ্জিনে কোনো সমস্যা হলে প্রায়...
11/08/2025

হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরের এক অনন্য ইঞ্জিন, যা প্রতিনিয়ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এই ইঞ্জিনে কোনো সমস্যা হলে প্রায়শই প্রথম সতর্ক সংকেত আসে তার বৈদ্যুতিক কার্যকলাপে পরিবর্তনের মাধ্যমে। এই পরিবর্তন সনাক্ত করতেই ব্যবহৃত হয় ইসিজি (ECG বা EKG) — ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম। এটি এক ধরনের বিশেষ পরীক্ষা যা হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সংকেত রেকর্ড করে এবং গ্রাফ আকারে উপস্থাপন করে, যাতে চিকিৎসকরা সহজে রোগ নির্ণয় করতে পারেন।

📌 ইসিজি পরীক্ষা কেন জরুরি?

ইসিজি কেবল হার্ট অ্যাটাক বা বড় কোনো হৃদরোগ ধরা পড়ার জন্যই নয়, বরং হৃদপিণ্ডের ছন্দ, গঠন এবং কার্যকারিতা সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। এর মাধ্যমে সনাক্ত করা সম্ভব—

❤️ হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) — চলমান বা পূর্ববর্তী হার্ট অ্যাটাকের প্রমাণ।

⏳ অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (Arrhythmia) — খুব দ্রুত, ধীরে বা অনিয়মিত স্পন্দন।

🫀 হৃদপিণ্ডের আকার বা গঠনের পরিবর্তন — যেমন হৃদপিণ্ডের প্রসারিত হওয়া বা পেশীর ঘন হওয়া।

⚡ ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা — পটাশিয়াম বা ক্যালসিয়ামের মাত্রা অস্বাভাবিক হলে।

⚙️ কীভাবে কাজ করে ইসিজি?
ইসিজি মেশিনের সঙ্গে ইলেক্ট্রোড প্যাড যুক্ত থাকে, যা রোগীর বুকে, হাতে এবং পায়ে বসানো হয়। এগুলো হৃদপিণ্ড থেকে আসা ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক সংকেত সংগ্রহ করে মেশিনে পাঠায়। মেশিন সেগুলোকে একটি ধারাবাহিক গ্রাফে রূপ দেয়, যেখানে প্রতিটি ঢেউ হৃদপিণ্ডের নির্দিষ্ট কার্যকলাপের প্রতিচ্ছবি।

💡 ইসিজি পরীক্ষার সুবিধা
দ্রুত ও ব্যথামুক্ত — মাত্র কয়েক মিনিটে সম্পন্ন হয়, কোনো সূঁচ বা ইনজেকশনের প্রয়োজন হয় না।

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ — অনেক সময় রোগীর উপসর্গ শুরু হওয়ার আগেই সমস্যা ধরা পড়ে।

চিকিৎসা পরিকল্পনা ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ — চিকিৎসকরা সঠিক চিকিৎসা পরিকল্পনা নিতে এবং রোগীর অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

🧪 ইসিজির ধরণ
স্ট্যান্ডার্ড রেস্টিং ইসিজি — রোগী বিশ্রামরত অবস্থায়।

হোল্টার মনিটরিং — ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিধানযোগ্য যন্ত্র, যা দীর্ঘ সময়ের হৃদস্পন্দন রেকর্ড করে।

স্ট্রেস টেস্ট ইসিজি — ট্রেডমিল বা সাইকেলে ব্যায়ামের সময় হৃদপিণ্ডের প্রতিক্রিয়া মাপা হয়।

🛡️ কখন ইসিজি করানো উচিত?
বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা মাথা ঘোরা

অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের অনুভূতি

উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের দীর্ঘ ইতিহাস

পূর্বে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস

বড় কোনো সার্জারির আগে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা

✨ শেষকথা
হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর একটি, কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা ও সময়মতো সঠিক পরীক্ষা অনেক জীবন বাঁচাতে পারে। ইসিজি একটি সহজ, নিরাপদ এবং কার্যকর পরীক্ষা, যা আপনার হৃদপিণ্ডের “ভাষা” অনুবাদ করে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছে দেয়। তাই উপসর্গ দেখা দিলে বা ঝুঁকিতে থাকলে দেরি না করে ইসিজি পরীক্ষা করান — কারণ হৃদয় যত সচল, জীবন তত উজ্জ্বল।

04/08/2025

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে সাধারণত গেঁটে বাত বা বাতের ব্যাথা হয়। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমলে হতে পারে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক। বিস্তারিত 👇

30/07/2025

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩০ কোটি ৪০ লাখ মানুষ হেপাটাইটিস বি ও সিতে আক্রান্ত। এই সংক্রমণের কারণে প্রতি বছর গড়ে ১৩ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছেন। আপনি কি হেপাটাইটিস নিয়ে সচেতন?

অনেক রোগী আমাদের প্রশ্ন করেন EPS Study কি যা হৃদরোগ নির্নয়ে করা হয়। ইলেক্ট্রোফিজিওলজি স্টাডিজ (EPS) হল একটি বিশেষ কার্ডি...
28/07/2025

অনেক রোগী আমাদের প্রশ্ন করেন EPS Study কি যা হৃদরোগ নির্নয়ে করা হয়। ইলেক্ট্রোফিজিওলজি স্টাডিজ (EPS) হল একটি বিশেষ কার্ডিওলজি পরীক্ষা, যা হৃদয়ের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করতে করা হয়। এটি হার্টের অস্বাভাবিক রিদম বা অ্যারিথমিয়া (Arrhythmia) শনাক্ত ও মূল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। হার্ট রিদম বোঝায় হার্টবিটের নিয়মিততা বা ছন্দ। একটি সুস্থ হৃদয়ে বিট হয় সমান সময়ের ব্যবধানে, অর্থাৎ ধুক-ধুক-ধুক করে এক ছন্দে চলে। যদি বিটের মধ্যে সময়ের ফারাক থাকে বা বিট অনিয়মিত হয়, তখন তাকে বলে Arrhythmia বা হার্ট রিদমের সমস্যা।

🩺 কেন EPS করা হয়?
EPS করা হয় নিম্নলিখিত কারণে:

🔹 রোগীর হৃদস্পন্দন খুব দ্রুত (Tachycardia), খুব ধীরে (Bradycardia), বা অনিয়মিত হলে
🔹 হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে
🔹 পেসমেকার বা ICD বসানোর আগে
🔹 অ্যাবলেশন (Ablation Therapy) এর পূর্বে সঠিক উৎস নির্ধারণে
🔹 পূর্বের হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক সার্কুলেশন সমস্যার পরে ঝুঁকি মূল্যায়নে

👨‍⚕️ কে এই পরীক্ষা করেন?
EPS একটি জটিল প্রক্রিয়া যা শুধুমাত্র অভিজ্ঞ ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট দ্বারা সম্পন্ন করা হয়। এটি সাধারণত বিশেষায়িত হাসপাতালের Cath Lab (ক্যাথেটার ল্যাব)-এ করা হয়। চট্টগ্রামে এখনো এটি চালু হয়নি তবে আমরা আশাবাদী শীঘ্রই এটি চালু হবে।

📊 EPS এর আউটপুট বা ফলাফল কী?
EPS পরীক্ষা দ্বারা বোঝা যায়:

✔️ হৃদযন্ত্রের কোন অংশ থেকে অস্বাভাবিক স্পন্দন শুরু হচ্ছে
✔️ কোন বৈদ্যুতিক পথের সমস্যা রয়েছে
✔️ অ্যারিথমিয়া কতটা বিপজ্জনক
✔️ কোন চিকিৎসা (যেমন: ওষুধ, অ্যাবলেশন বা পেসমেকার) সবচেয়ে কার্যকর হবে

⚠️ সতর্কতা ও ঝুঁকি:
যদিও EPS একটি নিরাপদ প্রক্রিয়া, তবুও এতে কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকি থাকতে পারে:

🔸 রক্তপাত (catheter insertion site থেকে)
🔸 সংক্রমণ
🔸 হৃদস্পন্দনে সমস্যা বা হঠাৎ অ্যারিথমিয়া
🔸 খুব কম ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রে ছিদ্র বা স্ট্রোকের ঝুঁকি

তবে এই পরীক্ষাটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত সাবধানে করা হয় এবং ঝুঁকি কমিয়ে আনা হয়।

🔚 শেষ কথা
ইলেক্ট্রোফিজিওলজি স্টাডিজ (EPS) একটি উন্নত, নির্ভরযোগ্য ও জীবনরক্ষাকারী পরীক্ষা — যা সঠিক সময়ে করলে হৃদরোগের সঠিক কারণ নির্ণয় ও সফল চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়।

আপনার হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হলে বা হার্টের ঝুঁকির বিষয়ে সন্দেহ থাকলে একজন কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

24/07/2025

কিছু নবজাতক জন্মের সময় হৃদ্‌রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।নবজাতকের জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে কি না, বুঝবেন কীভাবে, চিকিৎসা কী জানুন কমেন্টে 👇

21/07/2025

🌍 অনেকক্ষণ বসে থাকার পর হঠাৎ দাঁড়াতেই মনে হলো—পৃথিবীটা যেন ঘুরছে! একটু পর বুঝলেন, এটা ভূমিকম্প নয় বরং রক্তচাপ কমে যাওয়ার ফলেই এমন মাথা ঘোরা।
🤔 কেন এমন হয়? কীভাবে সামাল দিবেন, বিস্তারিত জানুন কমেন্টে 👇

আপনার শরীরে রক্তের গ্লুকোজ (চিনির) মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা মানেই আপনি নিরাপদ - এই ধারনা কিন্তু সম্পূর্ণ সঠিক নয়। টাইপ ২ ...
17/07/2025

আপনার শরীরে রক্তের গ্লুকোজ (চিনির) মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা মানেই আপনি নিরাপদ - এই ধারনা কিন্তু সম্পূর্ণ সঠিক নয়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস শুধু রক্তের চিনির মাত্রা নয়, আপনার হৃদয়কে আক্রান্ত করার অন্যতম বড় কারণ। আজকে বিশ্বজুড়ে যেসব মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের অধিকাংশই জানেন না - এই রোগটি ধীরে ধীরে হৃদয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে নষ্ট করে দেয়।

🔍 বাস্তব চিত্র:

টাইপ ২ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হল হৃদরোগ ও স্ট্রোক।

একজন সুস্থ নারীর তুলনায় একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৪ গুণ বেশি।

পুরুষদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি দুই গুণ বেশি।

এগুলো কোনো গুজব নয়—এসব তথ্য গবেষণাভিত্তিক। আর এসব জানার পর যদি আপনি এখনো নিশ্চুপ থাকেন, তাহলে আপনি নিজের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।

❤️ কেন ডায়াবেটিস হৃদয়ের জন্য বিপজ্জনক?

১. রক্তনালীর ক্ষতি: উচ্চ রক্তে গ্লুকোজ ধীরে ধীরে রক্তনালী নষ্ট করে, যার ফলে হৃদয়ে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়।

২. উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল: ডায়াবেটিস শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমাতে সাহায্য করে, যা ধমনিকে সরু করে তোলে।

৩. প্রদাহ: ডায়াবেটিস শরীরে দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ তৈরি করে, যা হৃদয়ের কোষ ধ্বংস করতে পারে।

৪. হৃদস্পন্দনের ভারসাম্যহীনতা: ডায়াবেটিস হৃদস্পন্দনের ছন্দে প্রভাব ফেলে, যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।

🛡️ নিজের হৃদয়কে রক্ষা করতে এখনই করুন নিচের কাজগুলো:

🔹 নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করুন: শুধু গ্লুকোজ নয়, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলও নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
🔹 ভালো খাদ্য বেছে নিন: ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার, কম লবণ ও চিনি — এটাই হৃদয়বান্ধব খাদ্য তালিকা।
🔹 ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন বা হালকা এক্সারসাইজ করুন।
🔹 ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন: এগুলো হার্ট ও রক্তনালীর ক্ষতি করে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।
🔹 ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ দুইটাই বাড়িয়ে দেয়।
🔹 স্ট্রেস কমান: মানসিক চাপ হৃদয়ের বড় শত্রু। মেডিটেশন, প্রার্থনা বা নিজের ভালো লাগার কাজগুলো করুন।
🔹 চিকিৎসকের সাথে থাকুন সংযুক্ত: নিজের মেডিকেল হিস্টোরি নিয়ে ডাক্তারকে সব জানান এবং নিয়মিত ফলোআপে যান।

📢 মনে রাখবেন:
👉 ডায়াবেটিস থেকে হৃদরোগে পৌঁছানোটা একেবারে ধীরে ধীরে ঘটে—অনেকটা নীরবে।
👉 যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের ইতিহাস আছে, তাদের জন্য ঝুঁকি আরও বেশি।
👉 তাই, আপনার বয়স যতই হোক না কেন, এখন থেকেই সচেতন হন।

এই পোস্টটি শুধু আপনার জন্য নয়—আপনার মা, বাবা, ভাই, বোন, স্বামী, স্ত্রী, সন্তানের জন্যও হতে পারে একটি জীবন বাঁচানোর বার্তা।

Address

94/103, Katalganj Road
Chittagong
4000

Opening Hours

Monday 15:00 - 21:00
Tuesday 15:00 - 21:00
Wednesday 15:00 - 21:00
Thursday 15:00 - 21:00
Saturday 15:00 - 21:00
Sunday 15:00 - 21:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md. Sawkat Hossan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram