Zannat optics and drugs

Zannat optics and drugs A COMPLETE SOLUTION FOR YOUR EYES

12/06/2024

"চোখেও কি স্ট্রোক হতে পারে"
স্ট্রোক কথাটি শুনলেই প্রথমে মস্তিষ্কের কথা মনে হয়। আবার হিটস্ট্রোক শব্দও এখন সবার পরিচিত। প্রচণ্ড গরম, আর্দ্রতার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে অনেকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এমনকি মারাও যান। গরমের দাপটে কিংবা শরীর ডিহাইড্রেটেড (পানিশূন্য) হয়ে পড়লে স্ট্রোক যে চোখেও হতে পারে, সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই ধারণা নেই।
ঘুমের সময় বাদ দিলে বেশির ভাগ সময় চোখ খোলা থাকে। বাতাসে মিশে থাকা ধুলা, ময়লা, জীবাণুর সঙ্গে গরম হাওয়ার আঁচ সরাসরি চোখে এসে লাগে। সেখান থেকেই শুরু হয় প্রদাহ। চোখে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে চোখের প্রেশার বেড়ে যায়। রেটিনা রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে। চিকিৎসায় গাফিলতি করলে দুটি চোখেরই দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে। তা ছাড়া চোখের সঙ্গে মস্তিষ্কেরও সরাসরি যোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রক্তচাপ বা শর্করা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলেও এর প্রভাব চোখের ওপর পড়তে পারে। সে কারণেও চোখে স্ট্রোক হয়।
লক্ষণ
চোখ লাল হয়ে ফুলে সমানে পানি পড়তে পারে।
রেটিনার ওপর রক্তজালিকা ভেসে উঠতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধা দেখা যায়।
চোখে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়ে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়।
সাদা দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকলেও মনে হতে পারে এর গায়ে যেন ধূসর ধূলিকণা ঘুরে বেড়াচ্ছে। একে ‘ফ্লোটার্স’ বলা হয়।
দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। কারও ক্ষেত্রে চোখের নির্দিষ্ট একটি অংশ ঝাপসা হতে পারে। কারও পুরো দৃষ্টিশক্তিই ঝাপসা হয়। পরিস্থিতি জটিল হলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কাও থাকে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চোখে স্ট্রোক হলে তা রোগী বুঝতে পারেন না। তবে চোখের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। একটু সচেতন থাকলে সেই অস্বস্তি টের পাওয়া যায়।
প্রতিরোধ
নিয়মিত ব্যায়াম করে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ বাদাম এবং বীজ খাওয়া। সঙ্গে যদি কিশমিশ, শুকনা ডুমুর খাওয়া যায়, তাহলে আরও ভালো।
ডায়েটে বিটা-ক্যারোটিনযুক্ত খাবার যেমন গাজর, পালংশাক, ব্রকলি, মিষ্টি আলু ও স্ট্রবেরি রাখা যেতে পারে। একান্তই না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন এ সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে।
রোদচশমা ব্যবহার করা।
চোখকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে। যেটুকু সময় চোখ দুটিকে কাজ না করালেই নয়, সেটুকু ছাড়া বাকি সময় চোখ বন্ধ করে রাখতে পারলে ভালো। প্রয়োজনে চোখের হালকা কিছু ব্যায়াম করা যেতে পারে।
ডা. মো. সফিউল ইসলাম, প্রধান জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট ও চক্ষুবিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ চক্ষু হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-২, ঢাকা
colacted

29/05/2024

সন্তানের জন্য বাবার লেখা অসাধারন এক চিঠি।ভালো লাগলে আপনার সন্তানদেরও পড়তে দিন❤
প্রিয় সন্তান,,
আমি তোমাকে ৩ টি কারনে এই চিঠিটি লিখছি...
১। জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদিন বাঁচবে।
২। আমি তোমার বাবা, যদি আমি তোমাকে এই কথা না বলি, অন্য কেউ বলবে না।
৩। যা লিখলাম, তা আমার নিজের ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতা- এটা হয়তো তোমাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।
জীবনে চলার পথে এগুলো মনে রাখার চেষ্টা কোরো:
১। যারা তোমার প্রতি সদয় ছিল না, তাঁদের উপর অসন্তোষ পুষে রেখোনা। কারন, তোমার মা এবং আমি ছাড়া, তোমার প্রতি সুবিচার করা কারো দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা। আর যারা তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে - তোমার উচিত সেটার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং কৃতজ্ঞ থাকা। তবে তোমার সতর্ক থাকতে হবে এজন্য যে, প্রতিটি মানুষেরই প্রতি পদক্ষেপের নিজ নিজ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। একজন মানুষ আজ তোমার সাথে ভালো- তার মানে এই নয় যে সে সবসময়ই ভালো থাকবে। কাজেই খুব দ্রুত কাউকে প্রকৃত বন্ধু ভেবোনা। ♦
২। জীবনে কিছুই কিংবা কেউই "অপরিহার্য" নয়, যা তোমার পেতেই হবে। একবার যখন তুমি এ কথাটির গভীরতা অনুধাবন করবে, তখন জীবনের পথ চলা অনেক সহজ হবে - বিশেষ করে যখন বহুল প্রত্যাশিত কিছু হারাবে, কিংবা তোমার তথাকথিত আত্মীয়-স্বজনকে তোমার পাশে পাবেনা। ♦
3. জীবন সংক্ষিপ্ত।
আজ তুমি জীবনকে অবহেলা করলে, কাল জীবন তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে। কাজেই জীবনকে তুমি যতো তাড়াতাড়ি মূল্যায়ন করতে শিখবে, ততোই বেশী উপভোগ করতে পারবে। ♦
৪. ভালবাসা একটি ক্ষণস্থায়ী অনুভূতি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষের মেজাজ আর সময়ের সাথে সাথে এই অনুভূতি বিবর্ণ হবে। যদি তোমার তথাকথিত কাছের মানুষ তোমাকে ছেড়ে চলে যায়, ধৈর্য ধরো, সময় তোমার সব ব্যথা-বিষন্নতা কে ধুয়ে-মুছে দেবে। কখনো প্রেম-ভালবাসার মিষ্টতা এবং সৌন্দর্যকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেনা, আবার ভালবাসা হারিয়ে বিষণ্ণতায়ও অতিরঞ্জিত হবে না।♦
৫. অনেক সফল লোক আছেন যাদের হয়তো উচ্চশিক্ষা ছিলনা- এর অর্থ এই নয় যে তুমিও কঠোর পরিশ্রম বা শিক্ষালাভ ছাড়াই সফল হতে পারবে! তুমি যতোটুকু জ্ঞানই অর্জন করোনা কেন, তাই হলো তোমার জীবনের অস্ত্র। কেউ ছেঁড়া কাঁথা থেকে লাখ টাকার অধিকারী হতেই পারে, তবে এজন্য তাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।♦
৬. আমি আশা করি না যে, আমার বার্ধক্যে তুমি আমাকে আর্থিক সহায়তা দিবে। আবার আমিও তোমার সারাজীবন ধরে তোমাকে অর্থ সহায়তা দিয়ে যাবনা। যখনি তুমি প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখনি বাবা হিসেবে আমার অর্থ-সহায়তা দেবার দিন শেষ। তারপর, তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- তুমি কি পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করবে, নাকি নিজস্ব লিমুজিন হাঁকাবে; গরীব থাকবে নাকি ধনী হবে। ♦
৭. তুমি তোমার কথার মর্যাদা রাখবে, কিন্তু অন্যদের কাছে তা আশা করোনা। মানুষের সাথে ভালো আচরন করবে, তবে অন্যরাও তোমার সাথে ভালো থাকবে- তা প্রত্যাশা করবেনা। যদি তুমি এটি না বুঝতে পারো, তবে শুধু অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণাই পাবে। ♦
৮. আমি অনেক বছর ধরে লটারি কিনেছি, কিন্তু কখনও কোন পুরষ্কার পাইনি। তার মানে হলো এই যে- যদি তুমি সমৃদ্ধি চাও তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিনামূল্যে কোথাও কিছু জুটবে না। ♦
৯. তোমার সাথে আমি কতোটা সময় থাকবো- সেটা কোন ব্যাপার না। বরং চলো আমরা আমাদের একসাথে কাটানো মুহুর্তগুলো উপভোগ করি ...মূল্যায়ন করি। ♦
——————
ভালোবাসা সহ,
তোমার বাবা......
বাবাটি হলেন একজন চাইল্ড সাইকোলজিষ্ট এবং হংকং-এর প্রখ্যাত টিভি সম্প্রচারকারী। তার কথাগুলো বয়োজ্যেষ্ঠ, বয়োকনিষ্ঠ, বৃদ্ধ কিংবা তরুন, শিশু, আমাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য। 🌹
Collected..

10/04/2024
07/04/2024

শয়তান আমাদেরকে দুই-দুইবার পরাজিত করে। প্রথমে সে আমাদেরকে দিয়ে পাপ করায়। এরপর আল্লাহর সীমাহীন ক্ষমা এবং দয়া থেকে আমাদেরকে নিরাশ করে দেয়। অথচ আল্লাহ বলেন, “তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু (যুমার: ৫৩)। কাফির ছাড়া কেউই আল্লাহর করুণা থেকে নিরাশ হয় না।” (ইউসুফ: ৮৭)

তাই আমাদের গুনাহর পরিমান যতই আকাশচুম্বী হোক। আল্লাহর আনুগত্যকে যেন ছেড়ে না দেই। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক রিনিউ করার একটা দরজা অন্তত খোলা রাখি। এই দরজা যতই ক্ষুদ্র হোক। তবুও খোলা রাখি। দরজা বন্ধ রাখলাম তো শয়তানকে জিতিয়ে দিলাম।

আমাদের অন্তরকে আল্লাহ গুনাহের জন্য বানাননি। এটিকে বানিয়েছেন তাঁকে ভালোবাসার জন্য। তাই, আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত থাকলেও আমরা যেন আল্লাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না যাই। আল্লাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে শয়তানের সাথে আমাদের সংযোগ ঘটবে। আর শয়তানের সাথে সংযোগ মানেই চিরস্থায়ী জাহান্নামের সংযোগ।

হে আল্লাহ, আজকের এই মহিমান্বিত রাতে আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন। ‘আমরা তওবা করলে আপনি আমাদের পাপকে নিশ্চিহ্ন করে দিবেন (আনফাল:২৯)। আপনি বারবার ক্ষমা করেন, আপনি নিরন্তর দয়ালু’ (বাকারাহ: ৫৪)।

07/04/2024

- আল্লাহর অঙ্গীকার -

তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো [ সুরা বাকারা-১৫২ ]

আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব [ সুরা গাফির-৬০ ]

যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দিব [ সুরা ইবরাহীম-৭ ]

আল্লাহ কখনও তাদেরকে শাস্তি দেবেন না, যতক্ষণ তারা ক্ষমা চাইতে থাকবে [ সুরা আনফাল-৩৩ ]

07/04/2024

আল্লাহর ওয়াদা- বান্দার গুনাহর পরিমান সমুদ্রের ফেনা রাশির সমান হলেও, বান্দা নিজের ভুল বুঝতে পেরে পাপের অনুশোচনা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া মাত্রই, আল্লাহ তার সব গুনাহ মাফ করে দিবেন।

অন্যদিকে শয়তানের চ্যালেঞ্জ- সে কোনভাবেই মানুষকে তওবা করতে দিবে না। মানুষের মনে নানান আবোল তাবোল সন্দেহ তৈরি করে রাখে। এই করছি করছি করে। সময় পার করে দিয়ে। মানুষকে তওবা বিহীন অবস্থায় তার সাথে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।

তাই আমরা অনেকে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগি। আসলেই কি আমাদের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে? উত্তরে আল্লাহ বলেন, ‘বলে দাও, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর অবিচার করেছো। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না’ (সূরা যুমার: ৫৩)। ‘তোমরা তোমাদের পালনকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয় তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।’ (সূরা নুহ: ১০)।

আসলেই কি আমাদের সব গুনাহই মাফ হয়ে যাবে? আল্লাহ বলেন, ‘তিনি আমাদের পাপকে নিশ্চিহ্ন করে দিবেন! (সূরা আনফাল:২৯)।

আবারও যদি পাপ করি, তাহলে? আল্লাহ বলেন, ‘তিনি বারবার ক্ষমা করেন, তিনি নিরন্তর দয়ালু’ (সূরা বাকারাহ: ৫৪)।

তাহলে কিভাবে ক্ষমা পাবো? আল্লাহ বলেন, ‘বিশুদ্ধচিত্তে তাওবা করলে আল্লাহ পাপ মাফ করে দিবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন’ (সূরা তাহরীম:৮)। অর্থাৎ আল্লাহ সকল গোনাহই ক্ষমা করে দিবেন, তওবার শর্তে।

আর যদি মাফ চেয়ে নেই, তাহলে? আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ অজ্ঞতাবশত: যদি মন্দ কার্য করে। অতঃপর তাওবা করে এবং সংশোধন করে নেয়। তবে তো আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা আন’আম:৫৪)

তওবায় কি আর কোন লাভ আছে? আল্লাহ শুধু ক্ষমাই করেন না। বরং ‘কেউ তওবা করলে, ঈমান আনলে এবং সৎকর্ম করলে। আল্লাহ তাদের পাপরাশিকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তিত করে দেবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা ফুরকান: ৬৮-৭০)

অথচ আল্লাহর এতো প্রতিশ্রুতির পরও, শয়তান আমাদের শুধু ধোঁকা দিতেই থাকে। ‘থাক, কি আর বয়স হয়েছে। এখন না হয় একটু গুনাহ করে নেই। পরে না হয় তওবা করে নিবো’। আর এভাবেই শয়তান আমাদের রক্তের শিরা উপশিরায় ঢুকে আমাদের তওবা করার ইচ্ছাশক্তিকে দুর্বল করে ফেলে। গুনাহকে সহজ স্বাভাবিক করে দেয়। ধীরে ধীরে গুনাহ করার আকাঙ্ক্ষাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে কমিয়ে দেয় তওবা করার সব ইচ্ছাকে। একসময় আর তওবা করার কোন ইচ্ছাই থাকে না। আর আমরা রমজান কিংবা শবে ক্বদরে বা বিশেষ কোন দিনে তওবা করলেও। সেটাও তখন করি একেবারে দায়সারা ভাবে। অর্থ্যাৎ তওবা করি ঠিকই। তবে মুখে মুখে। যার মধ্যে কোন অনুশোচনা নাই। জাষ্ট মুখস্ত পড়ি। ঠোঁট নাড়ি। একদিকে জাস্ট মুখে মুখে তওবা। অন্যদিকে ভেতরে ভেতরে ঠিকই গুনাহ করার ধান্দায় থাকি।

অনেকে আবার ইচ্ছামত গুনাহ করতেই থাকি। ভাবি- ‘আরে, আল্লাহ তো ক্ষমা করে দেবেনই।’ অথচ আল্লাহর দেয়া বিধি-নিষেধের কোনো তোয়াক্কাই করি না। আর এভাবেই কিছু লোক আল্লাহর ক্ষমার অভিলাষ করলেও শেষ পর্যন্ত তওবা না করেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাই!

আমরা যদি আসলেই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। তাহলে মনের মধ্যে তীব্র অনুশোচনা আনি। লজ্জিত হই। দৃঢ প্রতিজ্ঞা করি। আর কখনই গুনাহ করবো না। আজ থেকে ফুলস্টপ। সোজা রিটার্ন। নিজেকে কঠিনতম বিপদসংকুল মনে করি। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। আল্লাহর সাথে নিরিবিলি কথা বলি। কান্নাকাটি করি। চোখে অশ্রু আনি। মনটা পাথর হয়ে গেলেও কান্নার চেষ্টা করি। আরবী না জানলে। কিংবা দোয়ায় কি বলছি, সেটা না বুঝলে। নিজের ভাষাতেই আল্লাহর সাথে কথা বলি। ক্ষমা চাই। চাইতেই থাকি। আন্তরিকতার সাথে নিজের সব অপরাধগুলো স্বীকার করে নেই। যেকোন মূল্যে নাছোড় বান্দার মতো কান্নাকাটি করে ক্ষমা চাইতেই থাকি। চাইতেই থাকি। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহর রহমতের সাগরে দয়ার জোয়ার বয়ে যাবে। কারন আল্লাহ ক্ষমাশীল। আল্লাহ ক্ষমা করতেই পছন্দ করেন। আর আল্লাহ তো সর্বদাই অপেক্ষমাণ আমাদের তওবা মন্জুর করার জন্য। আর আল্লাহর চেয়ে শ্রেষ্ঠতম ক্ষমাশীল আর কে আছেন?

06/04/2024

★ ২৭তম রোজার তারাবীহ ★
[সর্বাধিক দলিলসম্বলিত সম্ভাবনাময় মহিমান্বিত লাইলাতুল ক্বদরের রাত]

আজ শনিবার এশার নামাজের পর (সর্বাধিক দলিলসম্বলিত সম্ভাবনাময় মহিমান্বিত লাইলাতুল ক্বদরের রাতে) ২৭তম রোজার তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের শেষ পারা (৩০তম পারা) তেলাওয়াত সম্পন্ন করা হবে।

৩০তম পারা থেকে (সুরা নাবা এর ১নং আয়াত থেকে সুরা নাস এর শেষ আয়াত পর্যন্ত) সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হল:-

•নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে, সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে। [ সুরা নাবা-২১,২২ ]

•এই দিবস সত্য। অতঃপর যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে (নিজের জন্য) ঠিকানা তৈরী করুক। [ সুরা নাবা-৩৯ ]

•যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে; এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। [ সুরা নাজিয়াত-৩৭-৩৯ ]

•পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত। [ সুরা নাজিয়াত-৪০-৪১ ]

•যেদিন তারা একে দেখবে, সেদিন মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক সকাল অবস্থান করেছে। [ সুরা নাজিয়াত-৪৬ ]

•সেদিন মানুষ পলায়ন করবে তার ভাইয়ের কাছ থেকে, তার মাতা, তার পিতা, তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে। সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের একটাই চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে। [ সুরা আ’বাসা, ৩৪-৩৭ ]

•যখন আমলনামা খোলা হবে, যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে, যখন জাহান্নামের অগ্নি প্রজ্বলিত করা হবে, এবং যখন জান্নাত সন্নিকটবর্তী হবে, তখন প্রত্যেকেই জেনে নিবে সে কি উপস্থিত করেছে। [ সুরা তাকভীর-১০-১৪ ]

•আপনি জানেন, বিচার দিবস কি? যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কতৃত্ব হবে আল্লাহর। [ সুরা ইনফিতার-১৮-১৯ ]

•নিশ্চয়ই সৎলোকগণ থাকবে পরম আরামে, সিংহাসনে বসে অবলোকন করবে। আপনি তাদের মুখমন্ডলে স্বাচ্ছন্দ্যের সজীবতা দেখতে পাবেন। তাদেরকে মোহর করা বিশুদ্ধ পানীয় পান করানো হবে। তার মোহর হবে কস্তুরী। এ বিষয়ে প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করা উচিত। [ সুরা মুতাফফিফীন-২২-২৬ ]

•যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে, তার হিসাব-নিকাশ সহজে হয়ে যাবে এবং সে তার পরিবার-পরিজনের কাছে হৃষ্টচিত্তে ফিরে যাবে [ সুরা ইনশিকাক-৭-৯ ]

•এবং যাকে তার আমলনামা পিঠের পশ্চাদ্দিক থেকে দেয়া হবে, সে মৃত্যুকে আহবান করবে, এবং জাহান্নামে প্রবেশ করবে। সেতো (দুনিয়াতে) তার পরিবার-পরিজনের মধ্যে আনন্দিতই ছিল। সে মনে করত যে, সে কখনও ফিরে যাবে না। কেন যাবে না, তার পালনকর্তা তো তাকে দেখতেন। [ সুরা ইনশিকাক-১০-১৫ ]

•যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকে নিপীড়ন করেছে, অতঃপর তওবা করেনি, তাদের জন্যে আছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে দহন যন্ত্রণা। [ সুরা বুরূজ-১০ ]

•যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ। এটাই মহাসাফল্য। [ সুরা বুরূজ-১১ ]

•মানুষের ভেবে দেখা উচিত যে, কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে। সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে। নিশ্চয় তিনি তাকে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম। [ সুরা তারিক-৫-৮ ]

•নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যার ফয়সালাকারী। এবং এটা উপহাস নয়। [ সুরা তারিক-১৩-১৪ ]

•নিশ্চয়ই সে সাফল্য লাভ করবে, যে শুদ্ধ হয় এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, এবং অতঃপর নামায আদায় করে। বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও, অথচ পরকালের জীবনই তো সর্বোৎকৃষ্ট ও চিরস্থায়ী। [ সুরা আ’লা-১৪-১৭ ]

•যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে তারাই হতভাগা। তারা অগ্নিপরিবেষ্টিত অবস্থায় বন্দী থাকবে। [ সুরা বা’লাদ-১৯,২০ ]

•যে দান করে এবং আল্লাহভীরু হয়, এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে, আমি তাকে সুখের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব। [ সুরা লাইল-৫-৭ ]

•নিশ্চয় কষ্টের পর স্বস্তি রয়েছে। নিশ্চয় কষ্টের পর স্বস্তি রয়েছে। [ সুরা ইনশিরাহ-৫,৬ ]

•আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দরতর অবয়বে। [ সুরা তীন-৪ ]

•পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাটবদ্ধ রক্ত থেকে। পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। যিনি শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। [ সুরা আলাক-১-৫ ]

•নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি ক্বদরের রাতে। আর ক্বদরের রাত সম্বন্ধে আপনি কি জানেন? ক্বদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, বিরাজ করে ফজরের সূচনা পর্যন্ত। [ সুরা ক্বদর-১-৫ ]

•যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা।
তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে তাদের প্রতিদান চিরকাল বসবাসের জান্নাত, যার তলদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এটা তার জন্যে, যে তার পালনকর্তাকে ভয় কর। [ সুরা বাইয়্যেনাহ-৭,৮ ]

•প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে; এমনকি, তোমরা কবরে পৌছে যাও। [ সুরা তাকাসুর-১,২ ]

•কসম সময়ের, নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের। [ সুরা আসর-১-৩ ]

•প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর জন্য দুর্ভোগ। [ সুরা হুমাযা-১ ]

•দুর্ভোগ সেসব নামাযীর, যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর। [ সুরা মাউন-৪,৫ ]

•নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ। [ সুরা কাউসার-১-৩ ]

•বলুন, হে কাফেরকূল, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি; এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর। তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের ধর্ম (শিরক) তোমাদের জন্যে এবং আমার ধর্ম (ইসলাম) আমার জন্যে। [ সুরা কাফিরূন-১-৬ ]

•বলুন, আল্লাহ এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী;
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি; এবং তার সমতুল্য কেউ নেই। [ সুরা ইখলাস-১-৪ ]

•বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার; তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে; অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়; গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে; এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে। [ সুরা ফালাক-১-৫ ]

•বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার নিকট, মানুষের অধিপতির নিকট, মানুষের মা'বুদের নিকট। তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও যে আত্নগোপন করে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে। [ সুরা নাস-১-৬ ]

05/04/2024

★ ২৬তম রোজার তারাবীহ ★

আজ শুক্রবার এশার নামাজের পর ২৬তম রোজার [শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় শেষ দশকের একটি রাত] তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের ২৯তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।

২৯তম পারা (সুরা মুলকের ১নং আয়াত থেকে সুরা মুরসালাতের ৫০নং আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হল:-

•তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টিতে কোন খুঁত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টি ফেরাও; কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি? [ সুরা মুলক-৩ ]

•অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। [ সুরা মুলক-৪ ]

•নিশ্চয় যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখে ভয় করে, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। [ সুরা মুলক-১২ ]

•মুত্তাকীদের জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে ভোগ বিলাসবহুল জান্নাত। [ সুরা কালাম-৩৪ ]

•যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে, একটি মাত্র ফুৎকার; এবং পৃথিবী ও পর্বতমালা উত্তোলিত হবে ও চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয়া হবে, সেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে। সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে ও বিক্ষিপ্ত হবে। এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আট জন ফেরেশতা আপনার পালনকর্তার আরশকে তাদের উর্ধ্বে ধারন করবে। সেদিন তোমাদেরকে উপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন কিছু গোপন থাকবে না। [ সুরা হাক্বকাহ-১৩-১৮ ]

•ফেরেশতাদেরকে বলা হবেঃ ধর ওকে গলায় বেড়ি পড়িয়ে দাও, অতঃপর নিক্ষেপ কর জাহান্নামে। অতঃপর তাকে শৃঙ্খলিত কর সত্তর হাত দীর্ঘ এক শিকলে। নিশ্চয় সে মহান আল্লাহতে বিশ্বাসী ছিল না।এবং মিসকীনকে আহার্য দিতে উৎসাহিত করত না। অতএব, আজকের দিন এখানে তার কোন সূহৃদ নাই। এবং কোন খাদ্য নাই, ক্ষত-নিঃসৃত পুঁজ ব্যতীত। গোনাহগার ব্যতীত কেউ এটা খাবে না। [ সুরা হাক্বকাহ-৩০-৩৭ ]

•সেদিন আকাশ হবে গলিত তামার মত। এবং পর্বতসমূহ হবে রঙ্গীন পশমের মত, বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না। যদিও একে অপরকে দেখতে পাবে। সেদিন গোনাহগার ব্যক্তি পনস্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ততিকে, তার স্ত্রীকে, তার ভ্রাতাকে, তার গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত, এবং পৃথিবীর সবকিছুকে; অতঃপর নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে। কখনই নয়। নিশ্চয় এটা লেলিহান অগ্নি। যা চামড়া তুলে দিবে। [ সুরা মা’য়ারিজ-৮-১৬ ]

•তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে। [ সুরা নূহ- ১৫, ১৬ ]

•তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না। তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। [ সুরা জ্বীন-২৬,২৭ ]

•আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি এবাদতের জন্যে দন্ডায়মান হন রাত্রির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও এক-তৃতীয়াংশ, এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দন্ডায়মান হয়। আল্লাহ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ন হয়েছেন। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। [ সুরা মুযযাম্মিল-২০ ]

•অপরাধীদের সম্পর্কে বলা হবেঃ তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নীত করেছে? তারা বলবেঃ আমরা নামায পড়তাম না, অভাবগ্রস্তকে আহার্য্য দিতাম না, আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম। এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম। আমাদের নিকট মৃত্যুর আগমন পর্যন্ত। [ সুরা মুদ্দাসসির-৪১-৪৭ ]

•মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে? সে কি স্খলিত বীর্য ছিল না? অতঃপর সে ছিল রক্তপিন্ড, অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন। অতঃপর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন যুগল নর ও নারী। তবুও কি সেই আল্লাহ মৃতদেরকে জীবিত করতে সক্ষম নন? [ সুরা কিয়ামা’হ- ৩৬-৪০ ]

•তারা আল্লাহর প্রেমে অভাবগ্রস্ত, এতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে। তারা বলেঃ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না। আমরা আমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের ভয় রাখি। অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে সেদিনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন এবং তাদেরকে দিবেন সজীবতা ও আনন্দ। এবং তাদের সবরের প্রতিদানে তাদেরকে দিবেন জান্নাত ও রেশমী পোশাক। [ সুরা দা’হর-৮-১২ ]

•সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। এটা এমন দিন, যেদিন কেউ কথা বলবে না।এবং কাউকে তওবা করার অনুমতি দেয়া হবে না। [ সুরা মুরসালাত-৩৪-৩৬ ]

04/04/2024

★ ২৫তম রোজার তারাবীহ ★
[শবে ক্বদরের অধিকতর সম্ভাবনাময় বেজোড় একটি রাত]

আজ বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর ২৫তম রোজার (সম্ভাবনাময় শবে ক্বদরের রাতে) তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের ২৮তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।

২৮তম পারা (সুরা মুজাদালাহর ১নং আয়াত থেকে সুরা তাহরীমের ১২নং আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো :-

•আপনি কি অনুধাবন করেননি যে, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, আল্লাহ তা জানেন? তিন ব্যক্তির মধ্যে এমন কোন গোপন পরামর্শ হয় না যাতে তিনি চতুর্থ হিসাবে উপস্থিত না থাকেন; এবং পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে এমন কোন গোপন পরামর্শ হয় না যাতে তিনি ষষ্ঠ হিসাবে উপস্থিত না থাকেন; তারা এতদপেক্ষা কম হোক বা বেশী হোক, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তিনি তাদের সাথে আছেন। তারা যা করে, তিনি কেয়ামতের দিন তা তাদেরকে জানিয়ে দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। [ সুরা মুজাদালাহ-৭ ]

•আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন সম্প্রদায় আপনি পাবেন না যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচারীদের ভালোবাসে; হোক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে। [ সুরা মুজাদালাহ-২২ ]

•তাদের তুলনা হচ্ছে শয়তানের মত, যে মানুষকে কাফের হতে বলে। অতঃপর যখন সে কাফের হয়, তখন শয়তান বলেঃ তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিশ্বপালনকর্তা আল্লাহ তা'আলাকে ভয় করি। ফলে উভয়ের পরিনাম হবে জাহান্নাম এবং চিরকাল তথায় বসবাস করবে। এটাই জালেমদের কর্মফল। [ সুরা হাশর-১৬,১৭ ]

•মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ তা'আলাকে ভয় কর। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, আগামীকালের জন্যে সে কি প্রেরণ করে, তা চিন্তা করা। আল্লাহ তা'আলাকে ভয় কর। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা'আলা সে সম্পর্কে খবর রাখেন। [ সুরা হাশর-১৮ ]

•যদি আমি এই কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা'আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। [ সুরা হাশর-২১ ]

•তোমাদের আত্মীয়-স্বজন ও সন্তান-সন্ততি কিয়ামতের দিন কোন উপকারে আসবে না। তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন। [ সুরা মুমতাহিনা-৩ ]

•ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। [ সুরা মুমতাহিনা-৮ ]

•আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাইতো জালেম। [ সুরা মুমতাহিনা-৯ ]

•মুমিনগণ, আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট, তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে, যেমন কাফেররা নিরাশ হয়ে গেছে সমাধিস্থদের বিষয়ে। [ সুরা মুমতাহিনা-১৩ ]

•মুমিনগণ, তোমরা যা কর না, তা কেন বল?
তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর দৃষ্টিতে খুবই অসন্তোষজনক। [ সুরা সফ-২,৩ ]

•যারা আল্লাহর পথে লড়াই করে সারিবদ্ধভাবে সীসাগালানো প্রাচীরের মত, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। [ সুরা সফ-৪ ]

•স্মরণ কর, যখন মরিয়ম-তনয় ঈসা বললঃ হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম আহমদ। অতঃপর যখন সে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বললঃ এ তো এক প্রকাশ্য যাদু। [ সুরা সফ-৬ ]

•তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর নূর নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। [ সুরা সফ-৮ ]

•মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে? তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ। [ সুরা সফ-১০,১১ ]

•মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম, যদি তোমরা বুঝ। [ সুরা জুম’য়া-৯ ]

•অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর; ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। [ সুরা জুম’য়া-১০ ]

•মুমিনগণ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। [ সুরা মুনাফিক্বুন-৯ ]

•আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সাদকাহ করতাম এবং সৎ কর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। [ সুরা মুনাফিক্বুন-১০ ]

•প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন। [ সুরা মুনাফিক্বুন-১১ ]

•আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিরেকে কোন বিপদ আসে না এবং যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। [ সুরা তাগাবুন-১১ ]

•তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো কেবল পরীক্ষা। আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার। [ সুরা তাগাবুন-১৫ ]

•তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও, তখন তাদেরকে তালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে, এবং ইদ্দত গণনা করে, এবং তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করে। তোমরা তাদেরকে তাদের গৃহ থেকে বহিস্কার করো না এবং তারাও যেন বের না হয়; যদি না তারা কোন সুস্পষ্ট নির্লজ্জ কাজে লিপ্ত হয়। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমালংঘন করে, সে নিজেরই অনিষ্ট করে। সে জানে না, হয়তো আল্লাহ এই তালাকের পর কোন নতুন উপায় করে দেবেন। [ সুরা তালাক-১ ]

•অতঃপর তাদের ইদ্দতকাল পূরন হলে, হয় তাদেরকে যথোপযুক্ত পন্থায় রেখে দেবে অথবা যথোপযুক্ত পন্থায় ছেড়ে দেবে; এবং তোমাদের মধ্য থেকে দু'জন নির্ভরযোগ্য লোককে সাক্ষী রাখবে। তোমরা আল্লাহর জন্য সঠিক সাক্ষ্য দিও। এতদ্দ্বারা যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির ব্যবস্থা করে দেবেন। [ সুরা তালাক-২ ]

•তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার সমস্যার সমাধান সহজ করে দিবেন। [ সুরা তালাক-৪ ]

•মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর। যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ তা'আলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তাই করে। [ সুরা তাহরীম-৬ ]

•মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ তা'আলার কাছে তওবা কর, আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। সেদিন নবী এবং তাঁর বিশ্বাসী সহচরদেরকে আল্লাহ অপদস্থ করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানদিকে ছুটোছুটি করবে। তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে পূর্ণতা দান করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান। [ সুরা তাহরীম-৮ ]

03/04/2024

★ ২৪তম রোজার তারাবীহ ★

আজ বুধবার এশার নামাজের পর ২৪তম রোজার রাতে (শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় শেষ দশকের একটি রাত) তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের ২৭তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।

২৭তম পারা (সুরা যারিয়া’ত এর ৩১নং আয়াত থেকে সুরা হাদীদের ২৯নং আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হল:-

•আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর। [ সুরা যারিয়া’ত-৪৯ ]

•আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি। [ সুরা যারিয়া’ত-৫৬ ]

•নিশ্চয় খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নেয়ামতে। তারা উপভোগ করবে যা তাদের পালনকর্তা তাদের দেবেন এবং তিনি জাহান্নামের আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা করবেন। তাদেরকে বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার প্রতিফলস্বরূপ তোমরা তৃপ্ত হয়ে পানাহার কর। তারা শ্রেণীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব।
যারা ঈমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামী হয়, আমি তাদেরকে তাদের সন্তান-সন্ততির সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের আমল বিন্দুমাত্রও হ্রাস করব না।
প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃত কর্মের জন্য দায়ী।
আমি তাদেরকে দেব ফল-মূল এবং মাংস যা তারা চাইবে।
সেখানে তারা একে অপরকে পানপাত্র দেবে; যাতে অসার বকাবকি নেই এবং পাপকর্মও নেই। সুরক্ষিত মুক্তাসদৃশ কিশোররা তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। [ সুরা তুর-১৭-২৪ ]

•আপনার পালনকর্তার নির্দেশের অপেক্ষায় সবর করুন। আপনি আমার দৃষ্টির সামনেই রয়েছেন এবং আপনি আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন যখন আপনি শয্যা ত্যাগ করেন। এবং রাত্রির কিছু অংশে এবং তারকা অস্ত গমনের পর তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন। [ সুরা তুর-৪৮,৪৯ ]

•যারা বড় বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য থেকে বেঁচে থাকে, ছোটখাট অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার ক্ষমা অপরিসীম। তিনি তোমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন; যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা থেকে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে ভ্রুণরুপে অবস্থান কর। অতএব তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। তিনি ভাল জানেন কে মুত্তাকী। [ সুরা নাজম-৩২ ]

•কোন ব্যক্তি অপরের গোনাহ বহন করবে না। এবং মানুষ তাই পায়, যা সে করে।[ সুরা নাজম-৩৮,৩৯ ]

•আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছে কি? [ সুরা ক্বামার-১৭ ]

•নিশ্চয়ই অপরাধীরা পথভ্রষ্ট ও বিকারগ্রস্ত। যেদিন তাদেরকে মুখ হিঁচড়ে টেনে নেয়া হবে জাহান্নামের দিকে; বলা হবেঃ জাহান্নামের আযাব আস্বাদন কর। [ সুরা ক্বামার-৪৭,৪৮ ]

•তাদের সমস্ত কার্যকলাপ আমলনামায় লিপিবদ্ধ আছে। ছোট ও বড় সবই লিপিবদ্ধ। [ সুরা ক্বামার-৫২,৫৩ ]

•তোমরা ওজনের ন্যায্য মান প্রতিষ্ঠিত কর এবং ওজনে কম দিয়ো না। [ সুরা আর-রহমান-৯ ]

•তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে। এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে? [ সুরা আর-রহমান-১৪-১৬ ]

•ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংসশীল। একমাত্র আপনার মহিমাময় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া। [ সুরা আর-রহমান-২৬,২৭ ]

•এটাই জাহান্নাম, যাকে অপরাধীরা মিথ্যা বলত। তারা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মধ্যে ছুটোছুটি করবে। [ সুরা আর-রহমান-৪৩,৪৪ ]

•উত্তম কাজের প্রতিদান উত্তম পুরস্কার ব্যতীত আর কি হতে পারে? [ সুরা আর-রহমান-৬০ ]

•যখন কিয়ামতের ঘটনা ঘটবে, এটার সংঘটন অস্বীকার করার কেউ থাকবে না। এটা কেহকে করে দেবে নীচু, কেহকে করে দেবে সমুন্নত। যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী। এবং পর্বতমালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। অতঃপর তা হয়ে যাবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণা। [ সুরা ওয়াক্বিয়া-১-৬ ]

•যারা ডান দিকে থাকবে, কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল। তারা থাকবে এক উদ্যানে, যেখানে থাকবে কাঁটাবিহীন কুল বৃক্ষ। এবং কাঁদি কাঁদি কলায়, এবং দীর্ঘ ছায়ায় এবং প্রবাহিত পানিতে, ও প্রচুর ফল-মূলে, যা শেষ হবার নয় এবং নিষিদ্ধও নয়। আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়। আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।
অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী।সোহাগিনী, সমবয়স্কা। (এ সবই) ডান দিকের লোকদের জন্যে। [ সুরা ওয়াক্বিয়া-২৭-৩৮ ]

•বাম দিকের লোক, কত না হতভাগা বামদিকের দল। তারা থাকবে প্রখর বাষ্পে এবং উত্তপ্ত পানিতে, এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়। যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়।
তারাতো ইতিপূর্বে মগ্ন ছিল ভোগবিলাসে। এবং তারা সদাসর্বদা ঘোরতর পাপকর্মে ডুবে থাকত। তারা বলতঃ আমরা যখন মরে অস্থি ও মৃত্তিকায় পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি পুনরুত্থিত হব? এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণও! বলুনঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ,
সবাই একত্রিত হবে এক নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। অতঃপর হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যারোপকারীগণ। তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে, অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে, অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি। পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়। কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন। [ সুরা ওয়াক্বিয়া-৪১-৫৬ ]

•তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই ব্যপ্ত, তিনিই গুপ্ত এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক অবহিত। [ সুরা হাদীদ-৩ ]

•তোমরা যেখানেই থাক না কেন তিনি তোমাদের সাথেই আছেন । তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন। [ সুরা হাদীদ-৪ ]

•কে সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে উত্তম ধার দিবে? এরপর তিনি তার জন্যে তা বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন এবং তার জন্যে রয়েছে সম্মানিত পুরস্কার। [ সুরা হাদীদ-১১ ]

•নিশ্চয় দানশীল ব্যক্তি ও দানশীলা নারী, যারা আল্লাহকে উত্তমরূপে ধার দেয়, তাদেরকে দেয়া হবে বহুগুণ বেশী এবং তাদের জন্যে রয়েছে সম্মানজনক পুরস্কার। [ সুরা হাদীদ-১৮ ]

•মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি নিজে অনুগ্রহের দ্বিগুণ অংশ তোমাদেরকে দিবেন। তোমাদেরকে দিবেন জ্যোতি, যার সাহায্যে তোমরা চলবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। [ সুরা হাদীদ-২৮ ]

Address

Lichubagan Bus Station Chandraghona Rangunia
Chittagong
4531

Telephone

+8801760296772

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Zannat optics and drugs posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Zannat optics and drugs:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram