Dr. Iqbal Mahmud

Dr. Iqbal Mahmud MBBS , BCS
MD(Cardiology), MACP (USA)
Fellowship on Interventional Cardiology,Fortis New Delhi,India

আমাদের কাছে যখন অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (অ্যারিথমিয়া) সমস্যায় কোনো রোগী আসেন, তখন অনেক সময় আমরা হল্টার মনিটর পরীক্ষা করার পরা...
04/08/2025

আমাদের কাছে যখন অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (অ্যারিথমিয়া) সমস্যায় কোনো রোগী আসেন, তখন অনেক সময় আমরা হল্টার মনিটর পরীক্ষা করার পরামর্শ দিই। এই পরীক্ষায় একটি ছোট পোর্টেবল ডিভাইস ব্যবহার করে রোগীর হার্টবিট ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত নিয়মিত রেকর্ড করা হয়।

আজ চলুন জেনে নেই এই হল্টার মনিটর পরীক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত।

🤔হল্টার মনিটর কী?

হল্টার মনিটর হলো একটি ছোট ও পোর্টেবল মেডিকেল ডিভাইস, যা ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা (বা তারও বেশি সময়) ধরে হৃদয়ের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ নিয়মিত রেকর্ড করে। এটি মূলত অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (অ্যারিথমিয়া) শনাক্ত, ওষুধ বা চিকিৎসার কার্যকারিতা যাচাই এবং হার্টের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহার হয়।

🤷‍♂️কেন এটি দরকার?

হল্টার মনিটর এমন কিছু হার্টের সমস্যা ধরতে সাহায্য করে, যেগুলো সাধারণ ইসিজি (ECG)-তে ধরা পড়ে না। এটি দরকার হয় যখন:

🔹 হঠাৎ করে বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়ার ঘটনা ঘটে
🔹 ওষুধ বা পেসমেকার কতটা কাজ করছে সেটা যাচাই করতে হয়
🔹 দীর্ঘ সময় ধরে হার্টের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে হয়
🔹 কারো হৃৎপিণ্ডে অনিয়ম আছে বলে সন্দেহ হয়

🧐 এটি কীভাবে কাজ করে?
১️⃣ ইলেকট্রোড লাগানো হয় বুকের ওপর ছোট স্টিকারের মতো করে
২️⃣ রেকর্ডিং ডিভাইস কোমরে বা গলায় ঝুলিয়ে রাখা হয়
৩️⃣ রোগীকে ডায়েরি রাখতে বলা হয়, যাতে কখন কী উপসর্গ হয়েছে তা লেখা থাকে
৪️⃣ পরীক্ষা শেষে ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে দেখা যায় হার্টের ছন্দ স্বাভাবিক ছিল কিনা

👉কাদের জন্য এই মনিটর দরকার?

☑️ অ্যারিথমিয়া (অনিয়মিত হার্টবিট) আছে যাদের
☑️ যাদের হঠাৎ মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়ার অভ্যাস আছে
☑️ যাদের হার্টের ওষুধ বা চিকিৎসা চলছে
☑️ যাদের পেসমেকার বসানো আছে

পরীক্ষার আগে কী করবেন?
✔️ গোসল সেরে নিন (পরীক্ষার সময় ডিভাইস ভিজানো যাবে না)
✔️ ত্বকে কোনো লোশন বা তেল লাগাবেন না
✔️ ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরুন
✔️ যেসব ওষুধ খাচ্ছেন, সেগুলো ডাক্তারকে জানিয়ে রাখুন

পরীক্ষার সময় কী করতে হবে?
🔸 প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজ করুন
🔸 শুধু সাবান-পানি বা ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন
🔸 ধড়ফড়, মাথা ঘোরা ইত্যাদি হলে, ঠিক কতটায় কী হচ্ছিল তা লিখে রাখুন

পরীক্ষার পর কী হয়?
✅ মনিটর খুলে দেওয়া হয়
✅ রেকর্ড করা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হয় কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না
✅ ডাক্তার ফলাফল বুঝিয়ে দেন এবং পরবর্তী করণীয় ঠিক করেন

হল্টার মনিটরের সুবিধা
🌟 হৃদয়ের কার্যকলাপ দীর্ঘসময় রেকর্ড করে
🌟 কোনো অস্ত্রোপচার লাগে না – এটা পুরোপুরি নিরাপদ
🌟 উপসর্গের সাথে হার্টবিটের সম্পর্ক বোঝা যায়
🌟 রোগ নির্ণয়ে অনেক সাহায্য করে

কিছু সীমাবদ্ধতা
⚠️ সবসময় হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে না – কারণ সব অনিয়ম পর্যবেক্ষণের সময় নাও হতে পারে
⚠️ গোসল বা পানিতে ভেজা কাজ এড়াতে হয়
⚠️ ত্বকে হালকা জ্বালা বা অস্বস্তি হতে পারে

সাধারণ কিছু প্রশ্ন
১. এটি কেন ব্যবহার হয়?
হার্টবিট অনিয়ম, ওষুধের কাজ বা অজ্ঞান হওয়ার কারণ জানার জন্য।

২. পরা কি অস্বস্তিকর?
না, এটি হালকা এবং সহজে বহনযোগ্য।

৩. গোসল করা যাবে?
না, ডিভাইস ভেজানো যাবে না।

৪. উপসর্গের ডায়েরি কীভাবে লিখব?
যখন ধড়ফড় বা মাথা ঘোরা হবে, তখন সময় লিখে নিন এবং আপনি তখন কী করছিলেন সেটাও লিখুন।

৫. সব ধরনের হার্ট সমস্যা ধরতে পারে?
না, শুধু পরীক্ষার সময় হলে ধরা পড়ে।

৬. ব্যায়াম করা যাবে?
হালকা ব্যায়াম করা যাবে, তবে জোরে কিছু এড়িয়ে চলুন।

৭. কত দিনে রিপোর্ট পাওয়া যায়?
সাধারণত কয়েক দিন থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে।

৮. ওষুধ কি ফলাফলে প্রভাব ফেলে?
হ্যাঁ, তাই আপনি কী ওষুধ খাচ্ছেন সেটা আগেই জানান।

৯. অস্বাভাবিক ফলাফল হলে কী হবে?
ডাক্তার নতুন চিকিৎসা বা পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন।

পরিশেষে
হল্টার মনিটর একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, যা হার্টের কার্যকলাপ বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। যাদের হার্টের সমস্যা আছে বা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তাদের জন্য এই মনিটর একটি নির্ভরযোগ্য সমাধান হতে পারে।

সম্প্রতি প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে গায়ক এ কে রাতুল আকস্মিকভাবে জিমে শরীরচর্চার সময় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ...
03/08/2025

সম্প্রতি প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে গায়ক এ কে রাতুল আকস্মিকভাবে জিমে শরীরচর্চার সময় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর আগেও ক্রিকেটার তামিম ইকবাল প্র্যাকটিসের সময় হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছিলেন। আবার আমরা শুনি অহরহ সকালে মর্নিং ওয়াক কিংবা ম্যারাথনে দৌড়ানোর সময় হার্ট এট্যাক হয়েছে। অথচ হৃদ্‌পিণ্ড সুস্থ রাখতে চিকিৎসকেরাই তো নিয়মিত ব্যায়ামের পরামর্শ দেন। তাহলে ব্যায়াম কি কখনো হিতে বিপরীত হতে পারে?

👉শরীরচর্চা ও হৃদ্‌পিণ্ডের সম্পর্ক
শরীরচর্চার ফলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং হৃৎপিণ্ডকে বাড়তি শ্রম দিতে হয়। নিয়মিত ও সঠিকভাবে শরীরচর্চা করলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে। তবে হঠাৎ অতিরিক্ত ব্যায়াম, বিশেষ করে ভারী বা হাই ইনটেনসিটি ওয়ার্কআউট, হৃৎপিণ্ডে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এতে হৃদ্‌পিণ্ডে রক্তপ্রবাহে সমস্যা দেখা দিলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তৈরি হয়।

👉কেন জিমে ও শরীরচর্চা বা ম্যারাথনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি?

জিম, হাই-ইন্টেনসিটি ওয়ার্কআউট, কিংবা ম্যারাথনের মতো তীব্র ব্যায়ামে শরীরের ওপর হঠাৎ প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এ সময় হৃৎপিণ্ডকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি রক্ত পাম্প করতে হয়। বিশেষ করে যাঁদের হৃৎপিণ্ডে আগে থেকেই অজানা কোনো ব্লক বা রক্তপ্রবাহজনিত সমস্যা থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই বাড়তি চাপ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

✅ হঠাৎ অতিরিক্ত রক্তচাপ ও হার্টবিট বৃদ্ধি: ভারী ব্যায়ামে হৃৎপিণ্ডের গতি অনেক বেড়ে যায়, যা হঠাৎ হৃদ্‌রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
✅ অজানা হার্ট কন্ডিশন: অনেকে জানেন না তাঁদের হৃদ্‌পিণ্ডে সমস্যা আছে। শরীরচর্চার সময়ই প্রথম লক্ষণ দেখা দেয়।
✅ ডিহাইড্রেশন ও ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স: অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর থেকে লবণ ও তরল পদার্থ বেরিয়ে গেলে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য হারায়, যা হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়।
✅ অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা এনার্জি ড্রিংক: অনেকে জিমে যাওয়ার আগে এনার্জি ড্রিংক খান, যা হৃদ্‌পিণ্ডের গতি হঠাৎ বাড়িয়ে তোলে।
✅ ভুল ওয়ার্কআউট মেথড: ওয়ার্ম-আপ ছাড়া সরাসরি ভারী ব্যায়াম শুরু করলে শরীর প্রস্তুত না থাকায় ঝুঁকি বেড়ে যায়।
✅ জেনেটিক কারণ: পরিবারে কারও হৃদ্‌রোগের ইতিহাস থাকলে জিম বা দৌড়ের সময় হঠাৎ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

👉কারা বেশি ঝুঁকিতে?
☑️ আগে থেকে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত
☑️ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিস থাকলে
☑️ ধূমপায়ী বা অতিরিক্ত ক্যাফেইন/এনার্জি ড্রিংক গ্রহণকারী
☑️ পরিবারের কারও হৃদ্‌রোগের ইতিহাস থাকলে
☑️ পানিশূন্যতা বা লবণের ঘাটতি থাকলে

কী সতর্কতা নেওয়া উচিত?
🔹 ব্যায়াম শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন — নিজেকে সুস্থ মনে করলেও চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া ভারী ব্যায়াম শুরু করবেন না।
🔹 শরীরের প্রতি মনোযোগ দিন — ব্যায়ামের সময় অসুস্থ বোধ করলে সাথে সাথে থামুন।
🔹 ধীরে শুরু করুন — হঠাৎ ভারী ব্যায়াম নয়, ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়ান।
🔹 ওয়ার্মআপ ও কুল ডাউন অপরিহার্য — ব্যায়ামের আগে ও পরে প্রস্তুতি ও বিশ্রামের সময় অবশ্যই রাখুন।
🔹 পানি ও ইলেকট্রোলাইট গ্রহণ করুন — শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হলে লবণপানি বা ইলেকট্রোলাইট ড্রিংক গ্রহণ করুন।
🔹 সঠিক জিম নির্বাচন করুন — এমন জিমে যান যেখানে জরুরি চিকিৎসা দিতে পারা ট্রেনার থাকে।
🔹 হার্ট রেট মনিটর ব্যবহার করুন — যদি আপনার হৃদ্‌যন্ত্র অতিরিক্ত চাপ নিতে না পারে, তাহলে হার্টবিট মনিটর ওয়াচ বা রিস্টব্যান্ড ব্যবহার করুন।

👉কখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন?
🔸 ব্যায়ামের সময় বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, বা হৃৎপিণ্ডের গতির অস্বাভাবিকতা অনুভব করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম বন্ধ করুন এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। দেরি করলে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি।

হার্ট অ্যাটাক  পরবর্তী জীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য শুধু ওষুধ বা চিকিৎসাই একমাত্র বিষয় নয়, সঠিক খাদ্যাভ্যাসও অত্যন্...
25/07/2025

হার্ট অ্যাটাক পরবর্তী জীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য শুধু ওষুধ বা চিকিৎসাই একমাত্র বিষয় নয়, সঠিক খাদ্যাভ্যাসও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি সুষম ও হার্ট বান্ধব খাদ্য তালিকা হৃদযন্ত্রকে পুনরায় শক্তি জোগাতে, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ভবিষ্যতে দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

✅ কী খাওয়া উচিত:

ফলমূল ও শাকসবজি:
হৃদরোগীদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত। বিশেষ করে পাতাযুক্ত সবুজ শাক (যেমন—পালং, কলমি), গাজর, বিট রুট, বেবি কর্ন, আপেল ইত্যাদি খাবার ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এই উপাদানগুলো কোষকে রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং রক্তনালীর কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

আঁশযুক্ত শস্যদানা:
ওটস, লাল চাল, লাল আটা, গম ইত্যাদি শস্যে থাকা দ্রবণীয় আঁশ শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এগুলো দীর্ঘস্থায়ী শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে এবং হজমে সহায়তা করে, যা হার্ট সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।

চর্বিহীন প্রোটিন:
হৃদরোগীদের জন্য চর্বিমুক্ত প্রোটিন গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চামড়াহীন মুরগি,মাছ ও উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন (যেমন—ডাল, ছোলা) দেহের কোষ পুনর্গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তৈলাক্ত মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমিয়ে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড হ্রাস করে।

স্বাস্থ্যকর চর্বি:
সব চর্বি ক্ষতিকর নয়। অলিভ অয়েল, বাদাম, বাদামের তেল, অ্যাভোকাডো ইত্যাদিতে থাকা মনো-আনস্যাচুরেটেড ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী। এগুলো খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।

লো-ফ্যাট ডেইরি:
লো-ফ্যাট দুধ, দই এবং পনির ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস। তবে অবশ্যই ফ্যাটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে যাতে অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে না যায়। উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার হার্টের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

লবণ ও চিনি সীমিত করা:
উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ অতিরিক্ত লবণ ও চিনি। তাই রান্নায় অপ্রয়োজনীয় লবণ ব্যবহার কমাতে হবে, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়াতে হবে এবং মিষ্টি জাতীয় পানীয় বা খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি খাবার (যেমন—ফলমূল) বেছে নেওয়া ভালো।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পানীয়:
গরম ভেষজ চা, গ্রিন টি বা মিশ্র ভেষজ পানীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে যা রক্তনালী রক্ষা ও প্রদাহ হ্রাসে সহায়তা করে। তবে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় কম খাওয়া উত্তম।

পর্যাপ্ত পানি পান:
হৃদরোগীদের জন্য দিনে পর্যাপ্ত পানি পান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলীয় ঘাটতি রক্ত ঘনত্ব বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানি সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর বিকল্প।

কিছু নির্দিষ্ট ডায়েট পরিকল্পনা:

ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট:
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের এই ডায়েট বিশ্বব্যাপী হৃদয়বান্ধব খাদ্য পরিকল্পনা হিসেবে পরিচিত। এতে ফলমূল, শাকসবজি, মটর ও শিমজাতীয় খাবার, দানাদার শস্য এবং ওলিভ অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ডায়েট হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।

উদ্ভিদভিত্তিক ডায়েট:
এই খাদ্যাভ্যাসে প্রাণিজ উৎস থেকে আসা খাবার (বিশেষ করে মাংস ও চর্বি) খুব কম খাওয়া হয় বা একেবারেই বাদ দেওয়া হয়। ফল, শাকসবজি, বাদাম, দানাদার শস্য ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের মাধ্যমে এই ডায়েট গঠিত। এটি শুধু হৃদরোগ নয়, বরং ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদির ঝুঁকিও কমায়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে নতুন উপাদান যুক্ত করার আগে অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
- চর্বিযুক্ত লাল মাংস পরিহার করুন।
- খাবার নির্বাচনে মনোযোগী হোন এবং খাদ্য প্রস্তুত করার সময় তেল ও লবণের পরিমাণ কম রাখুন।
- প্রক্রিয়াজাত বা জাঙ্ক ফুড পুরোপুরি পরিহার করুন।
- সপ্তাহে অন্তত ৩–৪ দিন মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।

হার্ট অ্যাটাকের পর জীবন বদলে যায়—তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আপনি আবারও সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। প্রতিটি খাবার যেন হৃদয়ের পক্ষে নিরাপদ হয়, সেটাই হওয়া উচিত আমাদের প্রতিদিনের লক্ষ্য। খাবারই হতে পারে আপনার সবচেয়ে বড় ওষুধ।

মায়োকার্ডাইটিস হলো হৃদযন্ত্রের মাংসপেশি (myocardium)-তে প্রদাহের একটি অবস্থা। এই প্রদাহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে - ভাইরাস,...
16/07/2025

মায়োকার্ডাইটিস হলো হৃদযন্ত্রের মাংসপেশি (myocardium)-তে প্রদাহের একটি অবস্থা। এই প্রদাহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে - ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস, অটোইমিউন রোগ, বা কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এতে হার্টের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে এবং হার্ট দুর্বল হয়ে পড়ে।

🧪 মায়োকার্ডাইটিস কীভাবে বুঝবেন?
মায়োকার্ডাইটিসের উপসর্গগুলো অনেক সময় সাধারণ ভাইরাসজনিত জ্বরের মতোই হতে পারে, যেমন:

🔹 বুক ধড়ফড় করা বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
🔹 শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
🔹 দুর্বলতা বা অতিরিক্ত ক্লান্তি
🔹 বুকে ব্যথা
🔹 হাত-পা ফুলে যাওয়া (হার্ট ফেলিওরের লক্ষণ)

🔬 কিভাবে শনাক্ত করা হয়?
✅ ইসিজি (ECG): হৃদযন্ত্রের বৈদ্যুতিক কার্যক্রমে পরিবর্তন ধরা পড়ে।
✅ ইকোকার্ডিওগ্রাফি (Echo): হার্টের পাম্পিং ফাংশন দেখা হয়।
✅ ট্রোপোনিন বা অন্যান্য রক্ত পরীক্ষা: হার্ট অ্যাটাক না হলেও ট্রোপোনিন বাড়তে পারে।
✅ কার্ডিয়াক MRI: হার্ট টিস্যুর প্রদাহ শনাক্তে কার্যকর।

🦟 ডেঙ্গু ও মায়োকার্ডাইটিস
ডেঙ্গু ভাইরাস শুধু রক্তনালিকে প্রভাবিত করে না, হৃদপিণ্ডের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গুতে হার্টের জটিলতা দেখা যায়—যেমন মায়োকার্ডাইটিস, পেরিকার্ডাইটিস বা কার্ডিওমায়োপ্যাথি।

ডেঙ্গুতে মায়োকার্ডাইটিসের লক্ষণ:
🔸 জ্বর কমে যাওয়ার পর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট
🔸 বুক ধড়ফড়ানো
🔸 অচেতন হওয়া বা ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়া
🔸 হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে যাওয়া

এগুলোকে উপেক্ষা করলে প্রাণঘাতী পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

🏥 চিকিৎসা
মায়োকার্ডাইটিসের চিকিৎসা নির্ভর করে উপসর্গ ও জটিলতার মাত্রার ওপর:

🔹 বিশ্রাম (বিশেষ করে হালকা ক্ষেত্রে)
🔹 ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে সাপোর্টিভ কেয়ার
🔹 হার্ট ফেইলিওরের ক্ষেত্রে ওষুধ (ACE inhibitor, beta-blocker ইত্যাদি)
🔹 গুরুতর ক্ষেত্রে ICU তে চিকিৎসা ও মনিটরিং

⚠️ সতর্কতা
👉 ডেঙ্গু রোগী যদি জ্বর ছাড়াও শ্বাসকষ্ট, অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা বুক ধড়ফড় করার উপসর্গে ভোগেন, তবে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নেয়া জরুরি।
👉 কোনো অবস্থায়ই এই লক্ষণগুলোকে অবহেলা করা উচিত নয়।

অনেকেই জানতে চান - এনজিওগ্রাম কী এবং এটি কীভাবে হৃদরোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে?আসলে এটি একটি বিশেষ ধরনের পরীক্ষা, যার মাধ্যমে...
08/07/2025

অনেকেই জানতে চান - এনজিওগ্রাম কী এবং এটি কীভাবে হৃদরোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে?

আসলে এটি একটি বিশেষ ধরনের পরীক্ষা, যার মাধ্যমে হার্টের রক্তনালিগুলোর প্রকৃত অবস্থা সরাসরি দেখা যায়। কখনো কখনো ইসিজি, ইকো বা ইটিটি স্বাভাবিক থাকলেও রক্তনালিতে ব্লক থাকতে পারে, যা শুধু এনজিওগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা সম্ভব।

✅ এনজিওগ্রাম কী?

📷 এক ধরনের এক্স-রে পরীক্ষা
🩸 এখানে হাত বা পায়ের রক্তনালী দিয়ে ক্যাথেটারের মাধ্যমে হার্টের রক্তনালীতে কনট্রাস্ট বা ডাই ( এক ধরনের মেডিসিন)পুশ করে হার্টের রক্তনালির ব্লক দেখা হয়
🧪এনজিওগ্রামের মাধ্যমে ব্লক কোথায়, কতটা, কত পার্সেন্ট তা নির্ণয় করা যায়।

🔍 কখন করা প্রয়োজন?
- হার্ট এটাকের পর
- হার্ট ফেইল, কার্ডিওমায়োপ্যাথির কারণ জানতে
- বুকে ব্যথা বা চাপ
-হার্টের কারনে অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
- ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল এসব রোগীদের হার্টের সমস্যা নিশ্চিত হতে।
- ইসিজি বা ইকো রিপোর্টে হার্টের সমস্যা ধরা পড়লে

⚙️ পদ্ধতি (প্রক্রিয়া):

1. এনজিওগ্রাম এক সময় কুচকির ( Femoral) রক্তনালি দিয়ে করা হতো, যেটা তুলনামূলক কষ্টদায়ক ছিল। এখন আমরা সাধারণত ডান হাতের রক্তনালী দিয়ে করে থাকি। যেখানে একটা ইনসুলিন সিরিঞ্জ দিয়ে লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়া হয়। রোগী শুধু মাত্র ইনসুলিন দেয়ার মতো ব্যথা বোধ করেন। হাতে এনজিওগ্রাম করলে সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে রোগীরা দুই ঘন্টা পর বাসায় চলে যেতে পারেন।

2. এনেন্থেসিয়া দেয়ার পর হাতের রক্তনালী তে একটা সরু টিউব (ক্যাথেটার) প্রবেশ করানো হয়। যেটা সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত।

3. এরপর এই টিউব দিয়ে ডাই পুশ করে এক্স-রে তে ছবি তোলা হয়। ব্যস এনজিওগ্রাম শেষ।
4. সাধারণত একটা এনজিওগ্রাম করতে ১০-২০ মিনিট সময় লাগে। তবে এনজিওগ্রামের আগে রক্তের বেশ কিছু ফিটনেস টেস্ট দেখে নিতে হয়।

5. সবশেষে রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা নির্ধারণঃ ব্লক অনুযায়ী কখনো ঔষধ, কখনো রিং বা এনজিওপ্লাস্টি, কখনো আবার বাইপাস প্রয়োজন পড়ে।

🛡️ সম্ভাব্য ঝুঁকি (খুব কম):

- অল্প রক্তপাত বা ব্যথা
- অ্যালার্জি
- কিডনিতে সাময়িক চাপ
- ১০০০০ মানুষের এনজিওগ্রাম করলে ১ জনের খুব বিরল কিছু জটিলতা হতে পারে। যেটা খুবই রেয়ার।

🧾 পরীক্ষার পর করণীয়:

- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে
- পরিমাণ মতো পানি খেতে হবে
- হাতে পা পায়ের ক্যাথেটার প্রবেশের স্থানে ভার না দেওয়া, এক সপ্তাহ ঐ হাত দিয়ে ভারী জিনিস না আলগানো। পায়ে করা হলে পা ভাঁজ করে নিচে / মাটিতে না বসা।
- রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন।

❌ এনজিওগ্রাম নিয়ে ভুল ধারণা

🚫 এটা অপারেশন বা হৃদরোগের চিকিৎসা নয় বরং হৃদরোগ নির্নয়ের পরীক্ষা।
🚫 শুধু এনজিওগ্রামে কোন ব্লক খোলে না
🚫 এনজিওগ্রাম করলেই সব সময় রিং বা বাইপাস লাগে না।
🚫 এটাতে তেমন কোন ব্যথা নাই। এটা শুধুই এক্সরে এর মতো একটা পরীক্ষা।


কারা এনজিওগ্রাম করেনঃ

সাধারণত হৃদরোগের উপর ডিগ্রীধারী ও প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিষ্টরা করে থাকেন।

✅ স্মরণে রাখুন:

🕒 সময়মতো এনজিওগ্রাম মানে সময়মতো সঠিক চিকিৎসা
🧑‍⚕️ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শই নিরাপদ পথ
❤️ সচেতন থাকুন, হৃদয়কে সুস্থ রাখুন

আপনার হৃদয়ের খবর রাখুন —প্রয়োজনে এনজিওগ্রাম জানাবে তার ভিতরের কথা।

অনেকেই অল্প পরিশ্রমে বুকে চাপ বা ব্যথা, অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া, হাঁটলে ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করেন। এসব উপসর্গ হতে পা...
02/07/2025

অনেকেই অল্প পরিশ্রমে বুকে চাপ বা ব্যথা, অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া, হাঁটলে ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করেন। এসব উপসর্গ হতে পারে হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ব্লক (Coronary Artery Disease)হওয়ার ইঙ্গিত। এসব ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সঠিক রোগ ডায়াগনোসিস খুবই জরুরি।

সাম্প্রতিক সময়ে হৃদরোগ নির্ণয়ে একটি আধুনিক, কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি হচ্ছে সিটি করোনারি এনজিওগ্রাম (CT Coronary Angiogram)।
সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে অনেকেই আবার সিটি এনজিওগ্রাম নিয়ে অতিরিক্ত আগ্রহী।আসুন জেনে নি সিটি এনজিওগ্রামের খুঁটিনাটি।

🩺 সিটি এনজিওগ্রাম কী?

সিটি এনজিওগ্রাম একটি নন-ইনভেসিভ (কাটাছেঁড়াবিহীন) পরীক্ষা, যেখানে সিটি স্ক্যান মেশিন ও কনট্রাস্ট ডাই ব্যবহার করে হৃদপিণ্ডের ধমনিগুলো (coronary arteries) পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। এতে বোঝা যায় ধমনিতে ব্লক বা সরু হওয়া আছে কিনা।

⚙️ কিভাবে করা হয় এই পরীক্ষা?
🔹 রোগীর হাতের শিরাতে একটি IV লাইনের মাধ্যমে বিশেষ ডাই (contrast dye) প্রবেশ করানো হয়
🔹 সেই ডাই রক্তনালিতে মিশে গেলে সিটি স্ক্যান মেশিন দিয়ে হৃদপিণ্ডের ছবি তোলা হয়
🔹 প্রয়োজনে পরীক্ষার আগে হার্টরেট কমাতে বিটা-ব্লকার ও নাইট্রোগ্লিসারিন দেওয়া হয়
🔹সিটি এনজিওগ্রামের সময় হার্টবিট প্রতি মিনিটে ৬০-৭০ থাকতে হয়।

✅ কার জন্য এই পরীক্ষা উপযুক্ত?

❤️ যাদের বুকে ব্যথা আছে কিন্তু নিশ্চিত না এটি হৃদরোগ কি না এবং যাদেন হৃদরোগের
🧬 রিস্ক ফ্যাক্টর আছে (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, পারিবারিক ইতিহাস)

📉 যাদের প্রাথমিক ইসিজি, ইকো বা ট্রেডমিল টেস্টে সন্দেহজনক ফল মানে ডেফিনিটলি বলতে পারে নাই আসলেই হৃদরোগ আছে কিনা।

❌ কারা এই পরীক্ষা করতে পারবেন না?
🤰 গর্ভবতী নারী (রেডিয়েশনের ঝুঁকি থাকায়)
🚱 যাদের কিডনির সমস্যা আছে (কনট্রাষ্ট/ ডাই কিডনিতে প্রভাব ফেলতে পারে)
⚠️ যাদের কনট্রাস্ট ডাইয়ে অ্যালার্জি আছে
💓 যাদের হার্টরেট খুব অনিয়মিত এবং অনিয়ন্ত্রিত।
✒️ যাদের বুকের আকৃতি ঠিক নাই।
🔥 যারা শ্বাস ধরে রাখতে পারেন না।

🎯 এই পরীক্ষার উপকারিতা কী?

🔍 খুব দ্রুত ও মোটামুটি নিখুঁতভাবে ধমনিতে ব্লক আছে কিনা তা জানা যায়।

🔪 কোনো কাটা বা সার্জারির প্রয়োজন হয় না
🔄 অনেক ক্ষেত্রেই স্ট্যান্ডার্ড এনজিওগ্রামের বিকল্প হতে পারে

⏱️ রোগ নির্ণয় ত্বরান্বিত হয়, চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যায়

📝 পরীক্ষার পরে করণীয়
💧 প্রচুর পানি পান করতে হবে ডাই শরীর থেকে বের করতে
🏃‍♂️ স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাওয়া যায় একই দিনে
📃 রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসক পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবেন

হার্ট অ্যাটাক বা বাইপাস সার্জারির পর সঠিক নিয়ম মেনে ব্যায়াম করলে তা হৃদরোগীদের জন্য শুধু নিরাপদই নয়, বরং এটি এটাক পরবর্ত...
25/06/2025

হার্ট অ্যাটাক বা বাইপাস সার্জারির পর সঠিক নিয়ম মেনে ব্যায়াম করলে তা হৃদরোগীদের জন্য শুধু নিরাপদই নয়, বরং এটি এটাক পরবর্তী চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ব্যায়াম হৃদপিণ্ডকে আরও সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে, খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়।

পাশাপাশি এটি স্ট্রেস কমায়, মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনে।

🔹 হার্ট অ্যাটাকের সাত দিন পর থেকেই স্বাভাবিক কাজকর্মের মতো কয়েক মিনিট করে হাঁটাহাঁটি শুরু করা যায়। প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ মিনিট করে সময় বাড়িয়ে এক মাসে পৌঁছে যান আধা ঘণ্টা হাঁটায়।

🔹 বাইপাস সার্জারি বা রিং পরানো রোগীরাও একই নিয়মে হাঁটা শুরু করতে পারেন।

🔹 তবে গাড়ি চালাতে চাইলে হার্ট এটাকের পর ২ সপ্তাহ আর সার্জারীর পর ৪ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।

⚠️ কিছু ক্ষেত্রে ব্যায়াম করা উচিত নয়:

✒️অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
✒️হার্টের ভালভ চুপসে যাওয়া
✒️জন্মগত হার্টের জটিলতা
✒️অত্যন্ত অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ

😮‍💨 হার্ট ফেইলিউরের রোগীরা সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যেতে পারেন। তারা ততটুকুই হাঁটবেন যতটুকুতে শ্বাসকষ্ট বা অতিরিক্ত ক্লান্তি না হয়, বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব না হয়।

✅ হৃদরোগীদের জন্য ব্যায়ামের ৭টি নিরাপদ নিয়ম:
1️⃣ ব্যায়ামের আগে ৫ মিনিট ওয়ার্ম আপ এবং শেষে ৫ মিনিট কুল ডাউন
2️⃣ ভারি ব্যায়ামের পরিবর্তে হালকা হাঁটাহাঁটি বা জগিং
3️⃣ প্রতিদিন একই সময়ে হাঁটুন—সকাল বা বিকেল, তবে ভরা পেটে নয়
4️⃣ একটানা হাঁটতে কষ্ট হলে ভাগ করে হাঁটুন
5️⃣ বাড়ির কাছাকাছি বা কাউকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটুন, যাতে হঠাৎ অসুস্থ হলে সাহায্য পাওয়া যায়
6️⃣ বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব করলে জিভের নিচে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে দিন
7️⃣ ব্যায়ামের পরপরই গোসল নয়—আগে ১০–১৫ মিনিট বিশ্রাম নিন ও পানি পান করুন

🩺 মনে রাখবেন—আপনার হৃদয় যেমন ভালোবাসায় বাঁচে, তেমনি সঠিক যত্নে সুস্থ থাকে।
ব্যায়াম করুন, তবে শরীরকে বুঝে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। সঠিক রুটিনই হতে পারে দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর সেরা উপায়। ❤️

অনেক মানুষের আকস্মিক মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কতটা অপ্রত্যাশিত হতে পারে। জ্ঞান হারানোর কিছুক্ষ...
15/06/2025

অনেক মানুষের আকস্মিক মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কতটা অপ্রত্যাশিত হতে পারে।

জ্ঞান হারানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে নেওয়া হলেও, অনেক সময়ই চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই অল্প সময়ের ব্যবধানে একটি কার্যকর ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা গেলে, হয়তো ফলাফল ভিন্নও হতে পারত।

এই চিকিৎসা পদ্ধতির নাম সিপিআর (CPR) — কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন।

কেউ যদি হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় বা হৃদস্পন্দন থেমে যায়, তখন দ্রুত সিপিআর প্রয়োগ করলে তিনি ফিরে পেতে পারেন নতুন জীবন, হয়ে উঠতে পারেন আবার সুস্থ্য।

⚠️ কেন শিখবেন সিপিআর?
✅ জীবন-মৃত্যুর মাঝে সময় খুব কম—মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিট।
✅ এই সময়ের মধ্যে সিপিআর দিলে রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন শুরু হয়
✅ চিকিৎসক আসার আগেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন লাইফসেভার।
✅ বিশ্বের বহু দেশে স্কুল থেকেই এটি শেখানো হয়—বাংলাদেশেও এই বিষয়ে সচেতনতা জরুরি

📌 কখন সিপিআর দিতে হয়?
- হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে
- শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ থাকলে
- হৃদস্পন্দন বন্ধ হলে
- পানিতে ডুবে যাওয়ার পর
- বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বা দুর্ঘটনায় গুরুতর আঘাত পেলে

🧠 সিপিআরের ৭টি ধাপ (CPR Step-by-Step Guide)

❶ পরিস্থিতি ও পরিবেশ যাচাই করুন
প্রথমেই নিশ্চিত হোন আপনি এবং ভুক্তভোগী—উভয়েই নিরাপদ জায়গায় আছেন কি না।
যেমন: আগুন, ট্রাফিক, বিদ্যুৎ বা গ্যাস লিক ইত্যাদি ঝুঁকি থাকলে আগে সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে আসুন।

❷ সাড়া বা জ্ঞান আছে কিনা পরীক্ষা করুনঃ
ভুক্তভোগীর কাঁধে হাত দিয়ে জোরে জোরে বলুন:
"আপনি কি ঠিক আছেন?"
কোনো নড়াচড়া, চোখের পলক বা সাড়া না পেলে ধরে নিন সে অচেতন।

❸ জরুরি নম্বরে কল করুন (৯৯৯)
সঙ্গে কেউ থাকলে তাকে বলুন জরুরি সেবায় কল দিতে এবং AED (যদি থাকে) নিয়ে আসতে।
আপনি একা থাকলে, ফোনে স্পিকার অন করে CPR শুরু করুন এবং একসঙ্গে সাহায্যের জন্য ডাকুন।

❹ ভুক্তভোগীকে চিৎ করে শুইয়ে দিন ও শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করুনঃ

ভুক্তভোগীকে শক্ত সমতল জায়গায় চিৎ করে শুইয়ে দিন।
মাথা সামান্য পেছনে ঠেলে, চিবুক উঁচু করে নাক-মুখের কাছে মুখ রাখুন।
৮–১০ সেকেন্ড পর্যবেক্ষণ করুন:

- বুক উঠছে কি না
- নিঃশ্বাসের শব্দ আছে কি না
- নিঃশ্বাসের বাতাস গালে লাগছে কি না
- শ্বাস-প্রশ্বাস না পেলে সিপিআর শুরু করুন।

❺ বুকে চাপ (Chest Compressions) দিনঃ

- ভুক্তভোগীর বুকের মাঝখানে (নিপল লাইনের মাঝ বরাবর) দুই হাতের তালু একটার ওপর আরেকটা রেখে চাপ দিন।
- আপনার কনুই সোজা রাখুন, কাঁধ বুকের ওপরে রেখে শরীরের ওজন ব্যবহার করুন।
- প্রতি মিনিটে ১০০–১২০ বার গতিতে বুকের প্রায় ২ ইঞ্চি (৫ সেমি) গভীরে চাপ দিন।
- প্রত্যেক চাপের পর বুক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে দিন।
- গুনে গুনে ৩০ বার চাপ দিন (compressions)।

❻ মুখে মুখ দিয়ে শ্বাস দিন (Rescue Breaths)

- ৩০ বার চাপ দেওয়ার পর মাথা পেছনে ঠেলে চিবুক উঠিয়ে দিন (head tilt–chin lift)।
- নাক চেপে ধরে ভুক্তভোগীর মুখে আপনার মুখ লাগিয়ে ধীরে ধীরে ১ সেকেন্ডে দুইবার ফুঁ দিন।
- প্রতিটি শ্বাস দেওয়ার পর দেখুন বুক উঠছে কি না।
- শ্বাস দেওয়ার সময় বুক না উঠলে, মাথা-পজিশন ঠিক করে আবার দিন।

❼ চালিয়ে যান যতক্ষণ না সাহায্য আসে বা ভুক্তভোগী সাড়া দেয়

- CPR চক্র চালিয়ে যান: ৩০ বার বুকের চাপ + ২ বার শ্বাস।
যতক্ষণ না:
- ভুক্তভোগী সাড়া দিচ্ছে বা শ্বাস নিচ্ছে
- প্রশিক্ষিত সাহায্যকারী (EMT/Paramedic) এসে পৌঁছেছে
- আপনি অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন এবং চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না

⚠️ গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

- শিশু বা নবজাতকের ক্ষেত্রে বুকের চাপ হালকা ও দুই আঙুল দিয়ে দেওয়া হয়।
- যদি মুখে শ্বাস দেওয়া সম্ভব না হয় (ঝুঁকি বা অস্বস্তি), তাহলে শুধু বুকের চাপ দিয়েও CPR চালিয়ে যেতে পারেন — একে বলে Hands-Only CPR।
- AED (Automated External Defibrillator) থাকলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার করুন।

🫱 সঠিক সময়ে CPR প্রয়োগ আপনার হাতে ফিরিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ। শিখুন, শেখান, প্রয়োগ করুন

11/06/2025
ঈদ মোবারক। আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের ইবাদত, কুরবানী কবুল করুন।
07/06/2025

ঈদ মোবারক। আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের ইবাদত, কুরবানী কবুল করুন।

ঈদ মানেই উৎসব, আনন্দ, আর নানা রকম মুখরোচক খাবার! তবে এই উৎসবের খাদ্য তালিকা যেন আমাদের শরীরের জন্য বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়, স...
06/06/2025

ঈদ মানেই উৎসব, আনন্দ, আর নানা রকম মুখরোচক খাবার! তবে এই উৎসবের খাদ্য তালিকা যেন আমাদের শরীরের জন্য বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়, সে বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। বিশেষ করে যাঁরা হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরলজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য খাদ্যাভ্যাসে সতর্কতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই লেখায় তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগের পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ঠিক রাখা যায়—সুষম খাদ্য, পরিমিতিবোধ, নিয়মিত ব্যায়াম ও জীবনধারায় পরিবর্তনের মাধ্যমে।

❤️ হৃদ্‌রোগ ও কোরবানির ঈদে সচেতনতা

🟢 হৃদ্‌রোগ ও রক্তনালির সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য অতিরিক্ত তেল, চর্বি ও ট্রান্সফ্যাট খাওয়া কঠোরভাবে বারণ।
🟢 ঈদে মাংস খাওয়া একেবারে নিষেধ নয়, তবে পরিমিতি বজায় রাখা জরুরি।
🟢 মাংসের দৃশ্যমান সাদা চর্বি অংশ বাদ দিন।
🟢 ভুনা বা বার বার তেলে ভাঁজা মাংস, Heavily fried খাবার এড়িয়ে চলুন।
🟢 নিয়মিত হাঁটা, ব্যায়াম এবং চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ চালিয়ে যান।

🧠 মানসিক প্রস্তুতি ও পরিমিতিবোধ

🟢 ঈদ কিংবা যেকোনো উৎসবে পরিমিতিবোধ বজায় রাখতে চাই মানসিক দৃঢ়তা।
🟢 সিদ্ধান্ত নিন “আগামীকাল থেকে নয়”, এখনই শুরু করুন।
🟢 স্বাস্থ্যসচেতন জীবনযাপন শুরু হোক এই মুহূর্ত থেকেই।

⚖️ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

🥗 উপায় ১: খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

🟢 শর্করা কমান: ভাত, আলু, চিনি, মিষ্টি ইত্যাদি কম খান।
🟢 খান: পরিমাণমতো চর্বি, মাছ, সাদা মাংস, ডিম (কুসুমসহ), প্রচুর শাকসবজি ও সালাদ।
🟢 দিনে কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করুন।

🚶‍♀️ উপায় ২: নিয়মিত ব্যায়াম

🟢 সপ্তাহে ৫ দিন, দিনে ৩০–৪০ মিনিট জোরে হাঁটুন—এভাবে যেন ঘাম ঝরে ও হৃদস্পন্দন ১২০ পৌঁছায়।
🟢 ব্যায়াম শুধু ওজন কমায় না, বরং—

❤️ হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখে
🩸 ব্লক মুক্ত রাখে
⚡ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কমায়
😊 মানসিক প্রশান্তি আনে

⚠️ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন

🟢 উচ্চ রক্তচাপ (Silent Killer) প্রায় ৯০% ক্ষেত্রে উপসর্গহীন।
🟢 এটি হার্ট, কিডনি, মস্তিষ্ক, চোখ ও পায়ের রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
🟢 নিয়মিত চেকআপ ও ওষুধ গ্রহণে অবহেলা নয়।

🍬 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন

🟢 বছরে অন্তত একবার ডায়াবেটিস টেস্ট করুন।
🟢 একটি মাত্র টেস্ট যথেষ্ট নয়—করুন দুইটি: নাশতার ২ ঘণ্টা পরের সুগার, HbA1C (৩ মাসের গড়)
🟢 প্রথম ধাপ: ডায়েট + ব্যায়াম
🟢 প্রয়োজনে খাবার বড়ি বা ইনসুলিন নিন চিকিৎসকের পরামর্শে।

🚭 ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য বর্জন করুন
🟢 সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল, তামাকজাত দ্রব্য ও অ্যালকোহল সম্পূর্ণরূপে বর্জন করুন।
🟢 এগুলো রক্তচাপ বাড়ায় ও হার্টের ক্ষতি করে।

🧪 কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন
🟢 যাঁদের আগে হার্ট অ্যাটাক, ব্লক, বা স্ট্রোক হয়েছে—তাঁদের জন্য দুটি ওষুধ চিরকাল চালিয়ে যাওয়া উচিত:

🩺 কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ
💉 রক্ত পাতলা করার ওষুধ

✨ ঈদ হোক স্বাস্থ্যকর, আনন্দময় ও ভারসাম্যপূর্ণ। সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন! 🌙

নিয়মিত বাড়িতে রক্তচাপ পরিমাপ করা অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি রয়েছে বা আগে থেকে এই সমস্যা আছে। হা...
21/05/2025

নিয়মিত বাড়িতে রক্তচাপ পরিমাপ করা অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি রয়েছে বা আগে থেকে এই সমস্যা আছে। হাসপাতাল, ক্লিনিক বা চিকিৎসকের চেম্বারে যেসব ম্যানুয়াল ম্যানোমিটার দেখা যায়, সেগুলো সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হলে এই যন্ত্র চালানোর পদ্ধতিটি ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। বর্তমানে বাজারে সহজে ব্যবহারযোগ্য অটোমেটেড রক্তচাপ পরিমাপক যন্ত্র পাওয়া যায়, যা ঘরে ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনক। তবে যন্ত্রটি সঠিকভাবে রিডিং দিচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।

Address

94/103, Katalganj Road, Panchlaish
Chittagong
4000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Iqbal Mahmud posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram