https://www.facebook.com/1431050817210607/

Dr. Ishteaq Aziz Khan, Chittagong (2025)

26/02/2025

💎রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা🩺

রমজান মাস মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র একটি মাস। এই মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোজা রাখেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই মাসে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কারণ, দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকার কারণে তাদের শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই রমজান মাস শুরুর আগেই ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত তাদের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা।
♦️♦️ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রমজানের প্রস্তুতি♦️♦️

রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য কিছু বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। নিচে কয়েকটি প্রস্তুতি উল্লেখ করা হলো:
১. চিকিৎসকের পরামর্শ:🩺 রমজান মাস শুরুর আগে ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই তাদের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। চিকিৎসক রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন এবং ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:🥑🫛🌽🥕🥦🍎✅ 🍪🚫রমজান মাসে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। সেহরি এবং ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার এবং মিষ্টি খাবার পরিহার করতে হবে।
৩. নিয়মিত রক্তে শর্করা পরীক্ষা:🧪 রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত রক্তে শর্করা পরীক্ষা করা উচিত। রক্তে শর্করা কমে গেলে বা বেড়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. পর্যাপ্ত পানি পান: 💧ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে শরীর পানিশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
*রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা*
সেহরি: সেহরিতে জটিল শর্করা, প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। যেমন- লাল চালের ভাত, সবজি, মাছ বা মাংস, ডিম এবং ফল।
ইফতার: ইফতারে খেজুর, ফল, সবজির সালাদ, এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যেতে পারে। অতিরিক্ত মিষ্টি এবং তৈলাক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
❤️ রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ কিছু পরামর্শ ❤️
১. নিয়মিত ওষুধ সেবন: চিকিৎসক যেভাবে ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়েছেন, সেভাবে নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে।
২. ইনসুলিন ব্যবহারকারী রোগীদের সতর্কতা: যারা ইনসুলিন ব্যবহার করেন, তাদের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনসুলিনের মাত্রা পরিবর্তন করা।
৩. অতিরিক্ত পরিশ্রম পরিহার: রমজান মাসে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪. রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার লক্ষণ: রক্তে শর্করা কমে গেলে মাথা ঘোরা, দুর্বল লাগা, এবং ঘাম হতে পারে। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫. রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ: রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে অতিরিক্ত তৃষ্ণা, ঘন ঘন প্রস্রাব এবং দুর্বল লাগতে পারে। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৬. রোজা ভাঙার নিয়ম: রক্তে শর্করা খুব কমে গেলে বা বেড়ে গেলে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য উপরে উল্লেখিত পরামর্শগুলো মেনে চলা জরুরি। কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

💎ডা. ইশতিয়াক আজিজ খান (MBBS, ডিপ্লোমা ইন ডায়াবেটিস, MSc ডায়াবেটিস, এন্ডোক্রাইন এবং মেটাবলিক ডিজঅর্ডার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রেরণাদায়ক বক্তা)
Chevron Diagnostic Center, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম।