18/10/2025
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি ২০০৬ সালের প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক সেক্টর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি ধারাবাহিক ভাবে সেক্টরের প্রতিনিধিগণের সাথে মাসিক, ত্রৈমাসিক সভা এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে মতবিনিমযয় সভা আয়োজন করে থাকে।
অথরিটি'র উদ্যোগে ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে মমতার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের (রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর চাঁদপুর) ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান, এমআরএ। সভাপতিত্ব করেন মমতার প্রধান নির্বাহী ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবক রফিক আহামদ।
অথরিটির পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এর সঞ্চালনায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, এক্সিকিউটিভভাইস চেয়ারম্যান, এমআরএ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এমআরএ'র নির্বাহী পরিচালক জনাব মো: নূরে আলম মেহেদী। ক্ষুদ্রঋণ সেক্টরের হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করেন এমআরএ'র পরিচালক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
আঞ্চলিক এ সভায় চট্টগ্রামে বিভাগে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত ৭৬ টি ক্ষুদ্রঋন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীগন তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেজ সমুহ তুলে ধরেন। এছাড়া চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান (কোডেক, প্রত্যাশী, এনআরডিএস, ইপসা সহ অন্যান্য) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণ বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক ঋণ প্রবাহ ও অন্যান্য ঋণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অর্থায়নকারী সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধনের উপর আলোকপাত করেন। তিনি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম/অসঙ্গতি দুরীকরণ, সিআইবি প্রতিষ্ঠা, অথরিটির আইন-বিধি ও সাকুলার পরিপালনে গুরুত্বারোপের পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণ খাতের অবদান তুলে ধরেন। সভায় উল্লেখ করা হয় যে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ক্ষুদ্রঋণ খাতে প্রায় ৩.৫ কোটি গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ২ লক্ষ ৭৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে আর্থিক অধিগম্যতার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নিয়মিত ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে অর্থের প্রবাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, ক্ষুদ্রঋণ খাতে তহবিল বাবদ ৪৩% অর্থের যোগান আনে গ্রাহক সঞ্চয় থেকে, ৩৪% প্রতিষ্ঠানের মূলধন তহবিল, ১২% বাণ্যিজিক ব্যাংক এবং ৭% অর্থের যোগান আসে পিকেএসএফ ঋণ হতে। অথরিটি নিয়মিতভাবে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের অর্থ প্রবাহ সুনিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। অথরিটি থেকে বৈদেশিক ঋণ, বন্ড ইস্যু, ব্যাংক ঋণ গ্রহন, গৃহায়ন ঋণের বিষয়ে প্রতিষ্ঠান গুলোকে প্রত্যয়নপত্র প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে যা ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করছে