এটি আরবী শব্দ ‘আল-হাজম’ থেকে এসেছে। যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। আধুনিক পরিভাষায় Cupping (কাপিং)। হিজামার মাধ্যমে দূষিত রক্ত (Toxin) বের করা হয়। এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভিতরের অরগান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।
হিজামা বা Wet Cupping অতি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে আরব বিশ্বে জনপ্রিয়। নির্দিষ্ট স্থান থেকে সূঁচের মাধ্যমে নেগেটিভ প্রেশার দিয়ে (টেনে/চুষে) নিস্তেজ প্রবাহহীন দূষিত রক্ত বের করে আনা হয়।
এ হিজামা থেরাপী ৩০০০ বৎসরেরও পুরাতন চিকিৎসা পদ্ধতি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে উৎপত্তি হ’লেও চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে চীন, ভারত ও আমেরিকায় বহু পূর্বে থেকেই এটি প্রচলিত ছিল। ১৮ শতক থেকে ইউরোপেও এর প্রচলন রয়েছে।
☎ +88 01887-519729
আমাদের দেশে হিজামাকে সাধারণ অর্থে শিঙা লাগানো বলা হয়। অতি প্রাচীন এ চিকিৎসাপদ্ধতির উৎপত্তি আরবদেশে।হিজামাকে নবীর দেখানো বা বলা চিকিৎসা পদ্ধতি বলা হয়। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজামার উপকারিতা সম্পর্কে উম্মতকে অবহিত করেছেন। তিনি নিজে এ পদ্ধতির চিকিৎসা ব্যবহার করেছেন এমনকি অন্যকে হিজামা পদ্ধতির চিকিৎসা নিতে উৎসাহিতও করেছেন। হিজামার ব্যবহার রাসূলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবাদের মাঝে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল।
হাদিসে আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজামা করেছেন মাথাব্যথার প্রতিষেধক হিসেবে। পিঠের ব্যথার জন্য দুই কাঁধের মাঝে ও ঘাড়ের দু’টি রগে। হিজামার উপকারিতা সম্পর্কে সিহাহ সিত্তার গ্রন্থসমূহে বহু হাদিস রয়েছে। আপনার রোগ হলে যেমন ডাক্তারের কাছে যান। তারপর প্রয়োজন পড়লে অস্ত্রপোচারও করান। তেমনি আপনার রোগের জন্য হিজামা করাবেন।তাহলে ফায়দা স্বরূপ রোগ থেকে ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবেন এবং রাসূল সাঃ এর একটি সুন্নাতের উপরও আমল করা হলো।
জাবির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত যে, নবী করীম (ছাঃ)-এর (পায়ে) যে ব্যথা ছিল, তার জন্য তিনি ইহরাম অবস্থায় হিজামা লাগিয়েছিলেন।[11]
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِيْنَ عُرِجَ بِهِ مَا مَرَّ عَلَى مَلَإٍ مِنْ الْمَلاَئِكَةِ إِلاَّ قَالُوْا عَلَيْكَ بِالْحِجَامَةِ-
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মি‘রাজে যাওয়ার সময় তিনি ফিরিশতাদের যে দলের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন তারা বলেন, ‘আপনি অবশ্যই হিজামা করাবেন’।[12]
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ حَدَّثَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ لَيْلَةَ أُسْرِىَ بِهِ أَنَّهُ لَمْ يَمُرَّ عَلَى مَلإٍ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ إِلاَّ أَمَرُوْهُ أَنْ مُرْ أُمَّتَكَ بِالْحِجَامَةِ-
ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, মি‘রাজের রাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন যে, এই রাতে ফিরিশতাদের যে দলের সম্মুখ দিয়েই তিনি যাচ্ছিলেন তারা বলেছেন, ‘আপনার উম্মতকে হিজামার নির্দেশ দিন’।[13]
হিজামার পদ্ধতি :
হিজামার পূর্বে গোসল করে নেওয়া উত্তম। যদি গোসল না করেন, তবে হিজামার পূর্বে ঘণ্টা খানেক বিশ্রাম নেওয়া ভালো।
খালি পেটে হিজামা করা বা শিঙ্গা লাগানো ভাল :
ইবনে ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘বাসি মুখে শিঙ্গা লাগালে তাতে নিরাময় ও বরকত লাভ হয় এবং জ্ঞান ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়’।[15]
হিজামার উত্তম সময় :
সাধারণত হিজামার জন্য উত্তম সময় হচ্ছে চান্দ্র মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখ। আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘাড়ের দুই পাশের শিরায় এবং ঘাড়ের কাছাকাছি পিঠের ফুলা অংশে হিজামা করাতেন। তিনি মাসের সতের, ঊনিশ ও একুশ তারিখে হিজামা করাতেন।[16] যদি অসুস্থতা বা ব্যথা অনুভূত হয় তবে উক্ত তারিখের অপেক্ষা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হিজামা করানো যাবে।
হিজামার জন্য উত্তম দিন হচ্ছে সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ ... فَإِنِّيْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ فَاحْتَجِمُوْا عَلَى بَرَكَةِ اللهِيَوْمَ الْخَمِيسِ وَاجْتَنِبُوا الْحِجَامَةَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ وَالْجُمُعَةِ وَالسَّبْتِ وَيَوْمَ الْأَحَدِ تَحَرِّيًا وَاحْتَجِمُوْا يَوْمَ الِاثْنَيْنِوَالثُّلاَثَاءِ-
ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর বরকত লাভের আশায় তোমরা বৃহস্পতিবার হিজামা করাও এবং বুধ, শুক্র, শনি ও রবিবার বেছে নেওয়া থেকে বিরত থাক। আর সোম ও মঙ্গলবারে হিজামা করাও’।[17]
উল্লেখ্য যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হিজামা করেছেন মাসের বিভিন্ন সময়ে। যেমন হজ্জের সময়, চান্দ্র মাসের প্রথমে। কারণ তিনি খারাপ মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এতে বুঝা যায়, প্রয়োজনে যে কোন সময় হিজামা করা যায়।
হিজামা থেকে বিরত থাকা :
অসুস্থ, হায়েয, অন্তঃসত্তা, নেফাস এবং দুর্বল শরীরের অধিকারীদেরকে শিঙ্গা লাগানো থেকে বিরত থাকা উচিত।
ছিয়াম বা ইহরাম বাধা অবস্থায় হিজামা লাগানো :
আব্দুল্লাহ বিন আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইহরাম অবস্থায় আধ কপালির কারণে তাঁর মাথায় শিক্ষা লাগান।[18]
ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছায়েম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছিলেন।[19]
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা ২। রক্তদূষণ ৩। উচ্চরক্তচাপ ৪। ঘুমের ব্যাঘাত (insomnia) ৫। স্মৃতিভ্রষ্টতা ৬। অস্থি সন্ধির ব্যাথা/ গেটে বাত ৭। পিঠের ব্যাথা ৮। হাঁটু ব্যাথা ৯। দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথা ব্যাথা ১০। ঘাড়ে ব্যাথা ১১। কোমর ব্যাথা ১২। পায়ে ব্যাথা ১৩। মাংসপেশীর ব্যাথা (muscle strain), মাসল পুল ১৪। দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা ১৫। হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা, ফ্র্যাকচার পেইন ১৬। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা ১৭। সাইনুসাইটিস ১৮। হাঁপানি (asthma) ১৯। হৃদরোগ (Cardiac Disease) ২০। রক্তসংবহন তন্ত্রের সংক্রমন ২১। টনসিলাইটিস, ফ্যারিঞ্জাইটিস, ব্রংকাইটিস ২২। দাঁত/মুখের/জিহ্বার সংক্রমন ২৩। গ্যাস্ট্রিক পেইন, গ্যাস্ট্রিক আলসার, এসিডিটি, esophageal varices ২৪। মুটিয়ে যাওয়া (obesity) ২৫। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseases) ২৬। ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিষ্কাশন ২৭। ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ, ২৮। ডায়াবেটিস (Diabetes) ও ডায়াবেটিক ফুট, ২৯। ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান, ৩০। চুল পড়া (Hair fall), ৩১। মানসিক সমস্যা (Psychological disorder), ৩২। পারকিনসন্স ডিজিজ ৩৩। কিডনির সমস্যা ৩৪। স্পোর্টস ইঞ্জুরি (খেলোয়াড়, আর্মি, কনট্যাক্ট স্পোর্টস) ৩৫। কানের সমস্যা ৩৬। ক্যান্সারের ব্যাথা নিয়ন্ত্রন, ৩৭। লিভার ডিজিজ, পোর্টাল হাইপারটেনশান, ৩৮। হরমোনাল সমস্যা, ৩৯। ব্রেইন ডিজিজ ও ডিজঅর্ডার, ৪০। ক্রনিক কফ ৪১। Erectile Dysfunction (ED) ৪২। ব্রন, ৪৩। সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেমেটোসাস (SLE), ৪৪। অনিয়মিত মাসিক, মেয়েদের অন্যান্য সমস্যা, ৪৫। এডিকশান/ ডিপেন্ডেন্সি (স্লিপিং পিল, ড্রাগস, কফ সিরাপ, জর্দা, সিগারেট, এলকোহল ও অন্যান্য নেশাদ্রব্য) ৪৬। TMJ Dysfunction Syndrome ৪৭। প্যারালাইসিস (স্ট্রোক, মেরুদন্ডে আঘাত, গিয়েন বারে সিন্ড্রোম, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা বেল'স পলসি প্রভৃতি) ৪৮। অস্টিওপোরোসিস (হাড়ের ক্ষয়) ৪৯। Post menopsusal hot flush ৫০। Vaginismus ৫১। vertigo (মাথা ঘোরা)
ক. আরবী মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখের কোন একটি নির্বাচন করবে। খ. সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবারের কোনটিকে নির্বাচন করবে। উল্লেখ্য, তারিখ ও দিনের মধ্যে বিরোধ হলে তারিখকে অগ্রাধিকার দিবে। গ. খালি পেটেই হিজামা করবে। সকালে খালি পেটে হিজামা করা উত্তম। ঘ. ফজরের পর হতে দুপুর ১২টার মধ্যে করবে। ঙ. হিজামার আগের ও পরের দিন সঙ্গম না করা উত্তম।
দুই. জরুরী অবস্থায় যেভাবে করবে। এতে মাস ও দিনের কোনো ধর্তব্য নেই। যখনই সমস্যা তখনই করা যেতে পারে। একসময় রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়া থেকে পড়ে পায়ে আঘাত পাওয়ায় হিজামা করেছিলেন।
হিজামা করার স্থানসমূহ : আনাস বিন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তিন স্থানে ঘাড়ের দু’টি রগে এবং কাঁধে হিজামা করিয়েছেন।[24]
আব্দুল্লাহ বিন আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর মাথায় হিজামা লাগিয়েছিলেন।[25]
আবু কাবশাহ আনমারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) মাথার মাঝখানে এবং দুই কাঁধের মাঝে হিজামা করতেন এবং বলতেন, যে ব্যক্তি নিজ শরীরের এ অংশে হিজামা করাবে, সে তার কোন রোগের চিকিৎসা না করালেও কোন ক্ষতি হবে না।[26]
জাবির (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাড় মচকে গেলে তিনি এর জন্য হিজামা করান।[27]
আনাস বিন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ব্যথার কারণে ইহরাম অবস্থায় তাঁর পায়ের উপরিভাগে হিজামা করিয়েছেন।[28]
ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেছেন, ‘দাঁতে, মুখে এবং গলায় ব্যথা হ’লে থুতনির নীচে হিজামা লাগালে উপকার পাওয়া যায়, যদি তা সঠিক সময়ে করা হয়। এটা মাথা ও চোয়াল শোধন করে।
পায়ের সাফিনায় (যা গোড়ালির বড় শিরা) পাংচারিং করার পরিবর্তে পায়ের পাতার সম্মুখে হিজামা লাগানো যেতে পারে। থাই এবং পায়ের পিছনের গোশতের আলসারের চিকিৎসায় এটি উপকারী। তাছাড়া রক্তস্রাবে বাধা ও অন্ড কোষের চামড়ার ক্ষতে তা ব্যবহারযোগ্য।
উরুতে ব্যথা, চুলকানী ও খোসপাঁচড়ার চিকিৎসা হিসাবে বুকের নিচে হিজামা লাগানো উপকারী। এতে পিঠের গেঁটে বাত, অর্শ, গোদ রোগ, খোসপাঁচড়ার প্রতিরোধে সাহায্য করে।[29]
মাথাব্যথায় হিজামা :
সালমা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, ‘যখন কেউ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে এসে মাথাব্যথার কথা বলত, তখন তিনি তাদের হিজামা করার কথা বলতেন’।[20]
জ্ঞান এবং স্মৃতিবর্ধক :
ইবনে ওমর (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘খালি পেটে হিজামা লাগানো উত্তম। এতে শিফা ও বরকত রয়েছে। এতে জ্ঞান এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়’।[21]
বিষ বা ব্যথা :
আব্দুল্লাহ বিন আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, এক ইহুদী মহিলা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বিষযুক্ত গোশত খেতে দিয়েছিল। তিনি তাকে সংবাদ পাঠিয়ে বললেন, কেন তুমি এ কাজ করলে? মহিলাটি উত্তরে বলল, যদি তুমি সত্যিই আল্লাহর রাসূল হও, তবে আল্লাহ তোমাকে জানিয়ে দিবেন। আর তুমি যদি তাঁর রাসূল না হও, তবে আমি মানুষকে তোমার থেকে নিরাপদ রাখব! যখন আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) এর যন্ত্রণা অনুভব করতে লাগলেন, তিনি হিজামা ব্যবহার করলেন। একদা ইহরাম অবস্থায় তিনি ভ্রমণে বের হ’লেন এবং ঐ বিষের যন্ত্রণা বোধ করলেন, তখন তিনি হিজামা ব্যবহার করলেন’।[22]
যাদু :
ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন যাদু দ্বারা পীড়িত হন তখন তিনি মাথায় শিঙ্গা লাগান এবং এটাই সবচেয়ে উত্তম ঔষধ, যদি সঠিকভাবে করা হয়।[23]
মহিলাদের জন্য হিজামা : জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, উম্মে সালামা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে হিজামা করার জন্য অনুমতি চাইলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে হিজামা লাগিয়ে দিতে আবু তাইবা (রাঃ)-কে আদেশ দিলেন। জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বললেন, আমার মনে হয়, আবু তাইবা তার (উম্মে সালামার) দুধভাই অথবা একজন অপ্রাপ্তবয়ষ্ক বালক ছিলেন।[30]
পরিশেষে বলা যায়, হিজামা নববী চিকিৎসা। এর মাধ্যমে অল্লাহর রহমতে ব্যাক পেইন, উচ্চ রক্তচাপ, পায়ে ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, মাথাব্যথা (মাইগ্রেইন), ঘাড়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, জয়েন্টে পেইন, আর্থাইটিজ, যাদু, বাত, ঘুমের ব্যাঘাত, থাইরয়েড ব্যাঘাত, জ্ঞান এবং স্মৃতিশক্তিহীনতা, ত্বকের বর্জ্য পরিষ্কার, অতিরিক্ত স্রাব নিঃসরণ থামানো, অর্শ, অন্ডকোষ ফোলা, পাঁচড়া, ফোঁড়া ইত্যাদি রোগ ভাল হ’তে পারে।
ডাক্তারদের দ্বারা পরিচালিত হিজামা ক্লিনিক।
নারী ও পুরুষ উভয় থেরাপিস্ট আছেন।
চিকিৎসার সকল উপকরণ ডিসপোজেবল, অর্থাৎ একবার ব্যাবহারের পর ফেলে দেয়া হয়।
নারী ও পুরুষদের জন্য ভিন্ন রুম।
সম্পুর্ণ ব্যাথামুক্ত পদ্ধতি।
60, No Jamal Khan Road.Chittagong.Bangladesh
Facebook :@AlHijamaPointChittagong
Call 01887-519729