03/10/2025
আমার লিস্টে বহুদিন ধরেই একটা মেয়ে আছে। সাধারণ আর দশটা বাঙালি মেয়ের মতোই ভদ্র সদ্র ছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। নরমাল রিলস ভিডিও এগুলো শেয়ার দিত ফেসবুকে।
হটাৎ একদিন দেখি ফেসবুকে সে মাছ ভাজার ভিডিও দিচ্ছে। মাছ ভাজা দুই দিন চালিয়ে এরপর শুরু করলো আলু ভাজা, বেগুন ভাজা। ভাজা ভাজি আরও এক সপ্তাহ চালালো। এরপর শুরু করলো আম ভর্তা, জাম ভর্তা, কাঠালের বিচি ভর্তা হাবিজাবি। কিন্তু লাইক পায় ৪/৫ টা। কমেন্ট প্রায় নেই বললেই চলে।
তার ১০/১২ দিন পর দেখি ভাজা ভাজি ভর্তা সব আউট। এবার সে ঘুম থেকে উঠে কিভাবে জানালার পর্দা সরায় সেটা ভিডিও করে দেখাতে লাগলো। ভিডিও করার সময় নিজের পাছা উচু করে ধরে যাতে আকর্ষনীয় দেখা যায়। এই ভিডিওতে সে ১৪৫ টি লাইক পায়।
আমি সবকিছুই সুক্ষ্ণভাবে অবজারভ করছিলাম। এই লাইন পেয়ে সে আরও উজ্জীবিত হয়। পরের ভিডিওতে সে আরও বেশী করে পাছা দেখানো শুরু করলো। এই ভিডিওতেও লাইক পেল প্রায় ২০০! এরপর সে সারাদিন একবার ঘরের পর্দা ঠিক করে, একবার রান্না ঘরে কি জানি খুঁজে, আবার ঘর ঝাড়ু দেয়। সব ই করে পাছা দুলিয়ে। তার লাইকের সংখ্যা বাড়তে লাগলো।
মাস তিনেক পর সে আরও খোলামেলা হলো। এবার ব্রা এর সাথে শাড়ী পরে ভিডিও করে। মায়ের শাড়ি নাকি। বেডারা হুমড়ি খেয়ে পরছে তার ভিডিওতে। তারপর একটা সময় দেখি হাফপ্যান্ট আর ব্রা পরে রিসোর্টে। কার সাথে গেছে সেগুলো অজানা। অশ্লীল পোজ দিয়ে বিভিন্ন ছবি। সান কিস করেছে নাকি তারে। হাফ নগ্ন, অশ্লীল ছবির এই সিরিজ চালালো প্রায় এক সপ্তাহ। এরপর দেখি তার ভিডিওতে আর তেমন লাইক নেই। সে অনেক চেষ্টা করছে। পারলে ন্যাংটা হয়ে যায়। তারপরেও লাইক তেমন নেই।
কিছুদিন পর সে শুরু করলো ব্রা আর হাফপ্যান্ট পরে ডান্স। ডান্স মানে দাঁড়িয়ে থেকে একটু বুক আর পাছা নাচানো আর কি। আর হাত দুটোকে অযথাই এদিক সেদিক নাড়ানো। হাস্যকর এক নাচ। এতেও লাইক আসে না। তারপর সে একদিন ঘোষনা দিলো, সব ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে ফেলে দিবে। কেউই নাকি লাইক দেয় না। সবাই তাকে হিংসা করে। মাস তিনেক তাকে আর ফেসবুকে তেমন দেখি নি। আমিও তার কথা ভুলে গেছি।
গুলশানে একটা হোটেলে আমার মিটিং ছিল কয়েকদিন আগে। আমি মিটিং এর এক ফাঁকে লবিতে নামছিলাম লিফট দিয়ে। লিফটে দেখি সেই মেয়ে। সাথে একটা বয়স্ক লোক। আমার বাবার বয়সী হবে। সম্ভবত তারা রুম চেক আউট করছে। লোকটা লিফটের মধ্যেই তার কোমড়ে হাত দিয়ে ধরে রেখেছে। আমাকে দেখে মেয়েটা কোমড় থেকে লোকটার হাত সরিয়ে দিলো। আমি মেয়েটাকে চমকে দিয়ে তার নাম ধরে বললাম, " *** কেমন আছেন? মেয়েটি বললো, সরি আমি আপনাকে চিনতে পারছি না। আমি বললাম না চিনলেও সমস্য নেই৷" অথচ এই মেয়ে টানা ৬ মাস আমাকে মেসেজ দিয়ে গেছে। আমি একটা সিংগেল রিপ্লাই পর্যন্ত দেই নি। আর আজ সে নাকি আমাকে চিনতে পারছে না।
একটা সাধারণ নিন্মবিত্ত ঘরের মেয়ে শুধুমাত্র ফেসবুকের এই মনিটাইজেশনের ফাঁদে পরে বে** হয়ে গেল। এরকম আরও অহরহ হচ্ছে। আমাদের সামাজিক কাঠামোই এক সময় নষ্ট করে একদম এলোমেলো করে দিবে এই মনিটাইজেশন। মাত্র কেবল শুরু। ঘরে ঘরে যখন বে* তৈরী হয়ে যাবে সেদিন কথাটা বুঝবেন।
Collected