Dr. Robiul Hossen Chowdhury

Dr. Robiul Hossen Chowdhury নবজাতক,শিশু-কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ;
মেডিসিন,বাতব্যথা,এলার্জি-চর্মরোগ অভিজ্ঞ।
রক্তপাতহীন ও ব্যথামুক্ত ডিভাইস কসমেটিক খৎনা করা হয়।

03/10/2025

আমার লিস্টে বহুদিন ধরেই একটা মেয়ে আছে। সাধারণ আর দশটা বাঙালি মেয়ের মতোই ভদ্র সদ্র ছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। নরমাল রিলস ভিডিও এগুলো শেয়ার দিত ফেসবুকে।

হটাৎ একদিন দেখি ফেসবুকে সে মাছ ভাজার ভিডিও দিচ্ছে। মাছ ভাজা দুই দিন চালিয়ে এরপর শুরু করলো আলু ভাজা, বেগুন ভাজা। ভাজা ভাজি আরও এক সপ্তাহ চালালো। এরপর শুরু করলো আম ভর্তা, জাম ভর্তা, কাঠালের বিচি ভর্তা হাবিজাবি। কিন্তু লাইক পায় ৪/৫ টা। কমেন্ট প্রায় নেই বললেই চলে।

তার ১০/১২ দিন পর দেখি ভাজা ভাজি ভর্তা সব আউট। এবার সে ঘুম থেকে উঠে কিভাবে জানালার পর্দা সরায় সেটা ভিডিও করে দেখাতে লাগলো। ভিডিও করার সময় নিজের পাছা উচু করে ধরে যাতে আকর্ষনীয় দেখা যায়। এই ভিডিওতে সে ১৪৫ টি লাইক পায়।

আমি সবকিছুই সুক্ষ্ণভাবে অবজারভ করছিলাম। এই লাইন পেয়ে সে আরও উজ্জীবিত হয়। পরের ভিডিওতে সে আরও বেশী করে পাছা দেখানো শুরু করলো। এই ভিডিওতেও লাইক পেল প্রায় ২০০! এরপর সে সারাদিন একবার ঘরের পর্দা ঠিক করে, একবার রান্না ঘরে কি জানি খুঁজে, আবার ঘর ঝাড়ু দেয়। সব ই করে পাছা দুলিয়ে। তার লাইকের সংখ্যা বাড়তে লাগলো।

মাস তিনেক পর সে আরও খোলামেলা হলো। এবার ব্রা এর সাথে শাড়ী পরে ভিডিও করে। মায়ের শাড়ি নাকি। বেডারা হুমড়ি খেয়ে পরছে তার ভিডিওতে। তারপর একটা সময় দেখি হাফপ্যান্ট আর ব্রা পরে রিসোর্টে। কার সাথে গেছে সেগুলো অজানা। অশ্লীল পোজ দিয়ে বিভিন্ন ছবি। সান কিস করেছে নাকি তারে। হাফ নগ্ন, অশ্লীল ছবির এই সিরিজ চালালো প্রায় এক সপ্তাহ। এরপর দেখি তার ভিডিওতে আর তেমন লাইক নেই। সে অনেক চেষ্টা করছে। পারলে ন্যাংটা হয়ে যায়। তারপরেও লাইক তেমন নেই।

কিছুদিন পর সে শুরু করলো ব্রা আর হাফপ্যান্ট পরে ডান্স। ডান্স মানে দাঁড়িয়ে থেকে একটু বুক আর পাছা নাচানো আর কি। আর হাত দুটোকে অযথাই এদিক সেদিক নাড়ানো। হাস্যকর এক নাচ। এতেও লাইক আসে না। তারপর সে একদিন ঘোষনা দিলো, সব ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে ফেলে দিবে। কেউই নাকি লাইক দেয় না। সবাই তাকে হিংসা করে। মাস তিনেক তাকে আর ফেসবুকে তেমন দেখি নি। আমিও তার কথা ভুলে গেছি।

গুলশানে একটা হোটেলে আমার মিটিং ছিল কয়েকদিন আগে। আমি মিটিং এর এক ফাঁকে লবিতে নামছিলাম লিফট দিয়ে। লিফটে দেখি সেই মেয়ে। সাথে একটা বয়স্ক লোক। আমার বাবার বয়সী হবে। সম্ভবত তারা রুম চেক আউট করছে। লোকটা লিফটের মধ্যেই তার কোমড়ে হাত দিয়ে ধরে রেখেছে। আমাকে দেখে মেয়েটা কোমড় থেকে লোকটার হাত সরিয়ে দিলো। আমি মেয়েটাকে চমকে দিয়ে তার নাম ধরে বললাম, " *** কেমন আছেন? মেয়েটি বললো, সরি আমি আপনাকে চিনতে পারছি না। আমি বললাম না চিনলেও সমস্য নেই৷" অথচ এই মেয়ে টানা ৬ মাস আমাকে মেসেজ দিয়ে গেছে। আমি একটা সিংগেল রিপ্লাই পর্যন্ত দেই নি। আর আজ সে নাকি আমাকে চিনতে পারছে না।

একটা সাধারণ নিন্মবিত্ত ঘরের মেয়ে শুধুমাত্র ফেসবুকের এই মনিটাইজেশনের ফাঁদে পরে বে** হয়ে গেল। এরকম আরও অহরহ হচ্ছে। আমাদের সামাজিক কাঠামোই এক সময় নষ্ট করে একদম এলোমেলো করে দিবে এই মনিটাইজেশন। মাত্র কেবল শুরু। ঘরে ঘরে যখন বে* তৈরী হয়ে যাবে সেদিন কথাটা বুঝবেন।
Collected

03/10/2025
01/10/2025

কালকে বিকেল বেলা রাউজানের চেম্বার বন্ধ থাকবে।
সকালে আলিফ এ খোলা থাকবে।
বিশেষ প্রয়োজনে হোয়াটস অ্যাপ—01676893854

01/10/2025

মা হওয়ার এই যাত্রাটা খুব সুন্দর, কিন্তু চ্যালেঞ্জিংও বটে। একজন শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমি প্রতিদিন অসংখ্য নতুন মায়ের গল্প শুনি। এই পোস্টটা তাদের জন্য, যারা এই অসাধারণ জার্নিটার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
​প্রিয় হবু মা,
​আপনাদের এই যাত্রাটা আমার চোখে অসাধারণ। প্রথম দিন থেকে শুরু করে যখন ছোট্ট প্রাণের অস্তিত্ব অনুভব করেন, তারপর পেটে বাচ্চার নড়াচড়া... এই অনুভূতিগুলো কেবল একজন মাই বোঝেন। এই দিনগুলোতে আপনার শরীর এবং মনে অনেক পরিবর্তন আসে। কখনো কখনো ভয় লাগতে পারে, ক্লান্তি আসতে পারে, তবে মনে রাখবেন, আপনার ভেতরের এই ছোট্ট মানুষটির জন্য আপনিই সবচেয়ে বড় শক্তির উৎস।
​শিশুর জন্মদানের পর নতুন অধ্যায় শুরু হয়। এই সময়টায় শরীরকে সময় দিন সুস্থ হওয়ার জন্য। মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখুন। আপনার শিশু আপনার উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল, আর তাই আপনার সুস্থ থাকাটা খুব জরুরি। কোনো কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা হলে বা কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করতে পারেন।
​মনে রাখবেন, প্রত্যেকটি মা-ই অসাধারণ। আপনি আপনার সন্তানকে যে ভালোবাসা আর যত্ন দিচ্ছেন, তার তুলনা হয় না। আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠায় আপনিই প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক।
​ভালোবাসা নেবেন।

30/09/2025

আগামী বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র রাউজান চেম্বার(বিকেল বেলা)বন্ধ থাকবে।
সকালবেলা আলিফ হসপিটাল এ থাকব ইনশাআল্লাহ।

30/09/2025

৭ মাস থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের ওজন বাড়ানোর খাবার তালিকা--

🌴৭–১২ মাস

বুকের দুধ/ফর্মুলা (দিনে ৪–৬ বার)

চাল বা ওটস দিয়ে পাতলা খিচুড়ি

আলু, কুমড়া, গাজর, মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে চটকে দেওয়া

কলা, পাকা পেঁপে, আপেলের সেদ্ধ মাখানো

ডিমের কুসুম (সেদ্ধ, সপ্তাহে ৩–৪ বার)

ডাল স্যুপ

সামান্য পরিমাণ ঘি বা তেল দিয়ে খিচুড়ি

🌼১–২ বছর

ভাত + ডাল + সবজি + মাখন বা ঘি

ডিম (প্রতিদিন ১টা)

মাছ বা মুরগি (সেদ্ধ বা ঝোল)

দুধ (প্রতিদিন ২ কাপ)

কলা, আম, পেঁপে, আঙুর, খেজুর

হালকা খিচুড়ি, ডাল স্যুপ

আলু ভর্তা, ডিম ভর্তা, পনির

🍁২–৫ বছর

প্রতিদিন ৩ বেলা ভাত/রুটি/ওটস

মাছ, মুরগি, গরু/খাসি (সেদ্ধ/ঝোল)

ডিম প্রতিদিন ১টা

দুধ/দই ২–৩ কাপ

কলা, আম, খেজুর, আঙুর, কাঁঠাল

বাদাম গুঁড়া বা পেস্ট (যদি অ্যালার্জি না থাকে)

ঘরে তৈরি হালুয়া, ডিম পোড়া, পরোটা + ডাল

☘️৬–৯ বছর

নাস্তা: দুধ + ডিম + পাউরুটি/পরোটা + ফল

দুপুর: ভাত + মাছ/মুরগি + ডাল + সবজি + ডিম

বিকেল: দই + ফল + বাদাম

রাত: ভাত/রুটি + মাংস/মাছ + সবজি

সপ্তাহে অন্তত ২–৩ দিন ডালিয়া/ওটস/পায়েস

মধু বা ঘি সামান্য ব্যবহার করা যায়

🌱১০–১২ বছর

নাস্তা: দুধ + ডিম/অমলেট + পরোটা/পাউরুটি + ফল

স্কুল টিফিন: স্যান্ডউইচ (ডিম/চিকেন), ফল, বাদাম

দুপুর: ভাত + মাছ/চিকেন/মাংস + ডাল + সবজি

বিকেল: ফলের স্মুদি (দুধ + কলা/আম/খেজুর)

রাত: ভাত/রুটি + ডিম + সবজি + মাছ/চিকেন

সপ্তাহে ২ দিন লাল মাংস (গরু/খাসি)

দুধ/দই প্রতিদিন ২–৩ কাপ

ওজন বাড়াতে ঘি/তেল/বাদাম-পেস্ট ব্যবহার করা যায়।

29/09/2025

🍼 শিশুর সলিড খাবার শুরু করার সম্পূর্ণ গাইড (৬ মাস বয়স থেকে)
---
✅ সলিড খাবার কখন শুরু করবেন?

সাধারণত ৬ মাস বয়সে যখন নিচের লক্ষণগুলো দেখা দেয় তখন সলিড শুরু করা যায়:

নিজে বসতে পারে (সহায়তা নিয়ে হলেও)

মুখে হাত বা জিনিস নিতে আগ্রহী

খাওয়ার সময় মুখে পানি আসে বা চুষে ফেলার চেষ্টা করে

মুখে খাবার দিলে ঠেলে বের না করে (tongue-thrust reflex কমে এসেছে)

---

📋 শুরুর নিয়ম (সংক্ষেপে):

বিষয় বিস্তারিত

🕐 সময় দিনে ১ বার, সকালে বা দুপুরে যখন বাচ্চা সতেজ
🥄 পরিমাণ ১-২ চামচ দিয়ে শুরু, ধীরে ধীরে বাড়ান
🧪 নতুন খাবার নিয়ম ৩ দিন এক খাবার দিন (3-day rule)
❌ এড়িয়ে চলুন লবণ, চিনি, গরুর দুধ, মধু, মসলা
🍼 দুধ চলবে বুকের দুধ বা ফর্মুলা আগের মতোই চালিয়ে যান

---

🍽️ প্রথম ৭ দিনের সলিড খাবার রুটিন

🗓️ দিন 🥣 খাবার পরিমাণ মন্তব্য

✅ দিন ১ ভাতের পাতলা পেস্ট (ভাত + পানি) ১-২ চামচ চাল সেদ্ধ করে পানি দিয়ে ম্যাশ করে নিন
✅ দিন ২ একই খাবার ২-৩ চামচ সহ্যশক্তি দেখুন
✅ দিন ৩ সেদ্ধ কুমড়া (ম্যাশ করে) ১-২ চামচ নরম ও মিষ্টি স্বাদের জন্য উপযুক্ত
✅ দিন ৪ কুমড়া + ভাতের পেস্ট ২-৩ চামচ মিশ্র স্বাদ পরিচিত করান
✅ দিন ৫ পাকা কলা (ম্যাশ করে) ১-২ চামচ চামচে বা ফিঙ্গার ফুড হিসেবেও দিতে পারেন
✅ দিন ৬ সেদ্ধ আপেল (স্টিম করে ছেঁকে) ১-২ চামচ গরম জল দিয়ে স্টিম করুন
✅ দিন ৭ সুজি (পানি দিয়ে রান্না করা, নরম ও পাতলা) ২-৩ চামচ হালকা ঘি দিলে চলবে, দুধ নয়

🧼 খাওয়ার পরে: ২-৩ চামচ উষ্ণ পানি খাওয়ান (অতিরিক্ত না)

---

🛍️ সলিড খাবার খাওয়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টস ও ব্যবহার

প্রোডাক্ট কাজ

🥣 ম্যাশ বাটি (Masher Bowl) সবজি, ভাত, ফল ইত্যাদি ম্যাশ করে পরিবেশনে
🥄 সিলিকন চামচ কোমল, দাঁতের জন্য নিরাপদ, খাওয়ানো সহজ
🥄 দুই মাথা চামচ একদিকে খাওয়ানো, অন্যদিকে তুলতে সুবিধা
🍼 সিলিকন মাম্পট ফিডার ফল বা নরম খাবার শিশুকে চুষে খাওয়ার উপযোগী
🍇 ফল চুসনি (Fruit Nibbler) নিরাপদভাবে টুকরো ফল চুষে খাওয়ার জন্য
👶 ফিঙ্গার ব্রাশ খাওয়ার পর মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করার জন্য
🐟 মাছ আকৃতির প্লেট / সেকশনড প্লেট বিভিন্ন খাবার আলাদা করে পরিবেশন করতে সুবিধা
🧼 সিলিকন ফিডার ওয়াশ / ক্লিনার লিকুইড বাচ্চার ব্যবহার্য সবকিছু পরিষ্কার রাখতে নিরাপদ ।

---

📌 সতর্কতা ও পরামর্শ:

নতুন খাবারে অ্যালার্জির লক্ষণ (র‍্যাশ, বমি, পায়খানায় পরিবর্তন) হলে বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

খাওয়ানোর সময় চাপ নয়, যেন মজার সময় হয়

খাওয়ার পর মুখ ও হাত পরিষ্কার রাখুন

সব ব্যবহৃত প্রোডাক্ট প্রতিবার ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে রাখুন

---

একটা ছোট্ট শিশু, ধুলোবালিতে খেলাধুলা করতে করতে মুখে ফোসকা উঠে গেল, হাত-পায়ে লাল দাগ। মা ভয়ভীতিতে দৌড়ে ফার্মেসিতে গেলেন। ...
29/09/2025

একটা ছোট্ট শিশু, ধুলোবালিতে খেলাধুলা করতে করতে মুখে ফোসকা উঠে গেল, হাত-পায়ে লাল দাগ। মা ভয়ভীতিতে দৌড়ে ফার্মেসিতে গেলেন। ফার্মেসির দোকানদার স্টেরয়েড মলম দিলেন। মা সরল বিশ্বাসে এনে ভাবলেন “ঠিক হয়ে যাবে,”

কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যে—ঘা ছড়িয়ে গেল মুখ, পিঠ, হাত-পা। শিশুটি ঘুমাতে পারছে না, খেতে পারছে না। প্রতিটা চুলকানি যেন তার ছোট্ট শরীরকে ভেঙে দিচ্ছে। মা শুধু শিশুকে কোলে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন, মনে করছে, “আমার সন্তান এত কষ্টে, আমি কিছুই করতে পারছি না।”

পরদিন সকালে মা তার শিশুকে পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিলেন, তিনি বললেন—“স্ক্যাবিস হয়েছে, স্ক্যাবিসের ওষুধ নাও।”

কিন্তু প্রকৃত সত্য ডায়াগনসিস— শিশুর শরীরে ইমপেটিগো হয়েছে, এটা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ।

অথচ ভুল চিকিৎসার কারণে শিশুর যন্ত্রণার মাত্রা আরো বেড়ে গেল। সঠিক চিকিৎসা না নিলে, এমন সংক্রমণ মারাত্মক হয়ে যেতে পারে, শিশু জীবন ঝুঁকিতে পড়ে।

এমন পরিস্থিতিতে যা করতে হবে:
১. শিশুর যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় শিশুকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের দেখান
২. ভুল মলম বা স্টেরয়েড ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
৩. শিশুর চর্ম সংক্রমিত জায়গা পরিষ্কার রাখুন
৪. শিশুর জন্য আলাদা তোয়ালে ও জামা ব্যবহার করুন
৫. শিশুর জন্য শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দিন

সঠিক চিকিৎসা পেলে শিশু আবার হাসবে, খেলবে, ঘুমাবে। ভুল চিকিৎসা ও অবহেলা শিশুর কষ্ট দীর্ঘায়িত করে, জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে।

আমাদের দায়িত্ব – একটি শিশুর কান্না যেন আর ভুল চিকিৎসার কারণে দীর্ঘায়িত না হয়। শিশুর হাসি রক্ষা করাই আমাদের মানবিক কর্তব্য।

একটা ছোট্ট প্রাণ যেন আর কষ্টে না থাকে, চলুন সবাই সচেতন হই।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ

ডা. মানিক মজুমদার
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

লিভার কেন বড় হয়?মানুষের শরীরে পেটের ওপরের ডান অংশে লিভার বা যকৃতের অবস্থান। আমরা যেসব খাবার খাই, সেগুলোর হজমের জন্য বিপা...
28/09/2025

লিভার কেন বড় হয়?
মানুষের শরীরে পেটের ওপরের ডান অংশে লিভার বা যকৃতের অবস্থান। আমরা যেসব খাবার খাই, সেগুলোর হজমের জন্য বিপাকক্রিয়া ঘটে যকৃতে। যকৃৎ হজমে সহায়ক পিত্তরস তৈরি করে। শরীরের বিভিন্ন বর্জ্য নিষ্কাশনে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। শরীরের অতিরিক্ত চিনিকে যকৃৎ গ্লাইকোজেন হিসেবে জমা রাখে, যা সঞ্চিত শক্তির অন্যতম উৎস। অনেক সময় পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে দেখা যায়, যকৃতের আকার বড় হয়ে গেছে। তখন মনে প্রশ্ন জাগে, যকৃৎ কেন বড় হয়?

কারণ:
১)কিছু কিছু ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে যকৃৎ বড় হতে পারে। যেমন হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই। এ ছাড়া শরীরে হারপিস সিম্পলেকস, ইবস্টেন বার ভাইরাস এবং সাইটোমেগালো ভাইরাসের সংক্রমণ হলেও যকৃৎ বড় হয়।

২)ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ যেমন: সালমোনেলা টাইফি, মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস প্রভৃতির কারণে যকৃৎ বড় হতে পারে। এ ছাড়া কিছু কিছু ছত্রাকের সংক্রমণেও যকৃৎ বড় হয়ে থাকতে পারে।

৩)শরীরের বিপাক প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দিলে অনেক সময় যকৃৎ বড় হয়ে যায়। যকৃতে অতিরিক্ত চর্বি জমার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসায় বিলম্ব হলে ক্যান্সার হতে পারে। তখন যকৃৎ বড় হয়ে যায়।

৪)শরীরের অন্যান্য জায়গার টিউমার কিংবা ক্যান্সার যকৃতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তখন যকৃৎ বড় হয়ে থাকতে পারে। অনেক সময় যকৃতেও সিস্ট, টিউমার কিংবা ক্যান্সার হতে পারে। ওই সময় যকৃৎ স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হয়।

৫)ফুসফুস, হৃৎপিন্ড ও রক্তনালির কিছু রোগের কারণেও অতিরিক্ত রক্ত জমে যকৃৎ বড় হয়ে থাকতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপানের অভ্যাস যকৃৎ বড় হওয়ার অন্যতম কারণ।

যেসব উপসর্গ দেখা যায়-
অনেক সময় যকৃৎ বড় হয়ে গেলেও মানুষের শরীরে তেমন কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। এর ফলে ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন না তিনি যকৃতের সমস্যায় ভুগছেন। শুধু পরীক্ষার মাধ্যমে এই সমস্যা শনাক্ত হয়। তবে পেটের ডান দিকে ওপরের অংশে বাড়তি চাপ লাগা, ব্যথা হওয়া কিংবা চাকা অনুভব করা প্রাথমিক অবস্থায় এমন উপসর্গ থাকতে পারে। অনেক সময় যকৃৎ বড় হয়ে গিয়ে জন্ডিস হতে পারে। এই কারণে চোখসহ পুরো শরীর হলুদাভ হওয়া, রক্ত বমি ও রক্ত পায়খানা হওয়া, চুলকানি দেখা দেওয়া, পেট ও পায়ে পানি আসার মতো উপসর্গ থাকতে পারে।

করণীয়:

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

ছবিতে ঠোঁটের ভেতরে যে ছোট ছোট সাদা দাগ দেখা যাচ্ছে, সেটি Aphthous ulcer (মুখের ঘা/মাউথ আলসার)।♦️এপথাস আলসারের বৈশিষ্ট্য:...
28/09/2025

ছবিতে ঠোঁটের ভেতরে যে ছোট ছোট সাদা দাগ দেখা যাচ্ছে, সেটি Aphthous ulcer (মুখের ঘা/মাউথ আলসার)।

♦️এপথাস আলসারের বৈশিষ্ট্য:

-সাধারণত ঠোঁটের ভেতরে, জিহ্বায়, বা গালের ভেতরে হয়

-চারপাশ লালচে আর মাঝে সাদা/হালকা হলুদ দাগ থাকে

-ব্যথা করে, বিশেষ করে খাওয়ার সময়

-সাধারণত ১–২ সপ্তাহে নিজে নিজেই সেরে যায়

♦️হওয়ার কারণ:

-ভিটামিন (B12, ফোলেট, আয়রন) ঘাটতি

-মানসিক চাপ ও ঘুমের অভাব

-হরমোন পরিবর্তন

-দাঁতের ব্রাশ/খাবারের কারণে মুখে ছোট ইনজুরি

-কিছু খাবার (ঝাল, টক, চকলেট ইত্যাদি)

♦️করণীয়:

-নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন

-ঝাল, টক, গরম খাবার এড়িয়ে চলুন

-প্রচুর পানি খান

-স্যালাইন ওয়াটার বা মাউথওয়াশ দিয়ে কুলি করুন

-প্রয়োজন হলে টপিকাল জেল/অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা যায়

-বারবার হলে রক্ত পরীক্ষা করে ভিটামিন ঘাটতি আছে কিনা দেখা জরুরি

এটি সাধারণত চিন্তার কারণ নয়, তবে বারবার বা খুব বড়/ব্যথাযুক্ত হলে ডাক্তার দেখানো উচিত।

“ আমার শিশু এত রাগী কেন ?“'আমার শিশু এত রাগী কেন?' - আপনার এই প্রশ্নের উত্তর কি আপনারই অজান্তে লুকিয়ে আছে?আপনার আদরের স...
28/09/2025

“ আমার শিশু এত রাগী কেন ?“

'আমার শিশু এত রাগী কেন?' - আপনার এই প্রশ্নের উত্তর কি আপনারই অজান্তে লুকিয়ে আছে?

আপনার আদরের সন্তানটি কি ইদানিং খুব বেশি রেগে যাচ্ছে? ছোটখাটো বিষয়ে মেজাজ হারাচ্ছে, চিৎকার করছে, অথবা জেদ করছে? আপনি হয়তো ভাবছেন, "আমার সন্তান এমনটা আগে ছিল না, হঠাৎ করে কী হলো?" আসলে, শিশুদের এই রাগ বা বিরক্তির পেছনে আমাদেরই কিছু আচরণ বা পরিবেশের প্রভাব থাকতে পারে।

আমাদের সন্তানের রাগ বা জেদ হঠাৎ করে তৈরি হয় না, এর পেছনে কিছু নির্দিষ্ট কারণ লুকিয়ে থাকে, যা আমরা হয়তো খেয়ালও করি না।

শিশুরা কেন বেশি রাগী হয়?

১. সবসময় আদর-আবদার পূরণ করা: যখন একটি শিশুর সব আবদার পূরণ করা হয় এবং সে কোনো 'না' শুনতে পায় না, তখন তার মধ্যে জেদি মনোভাব তৈরি হয়। পরে যখন সে কোনো বিষয়ে বাধা পায়, তখন সে রেগে যায়।

২. পরিবারের ঝগড়া বা টেনশন দেখা: শিশুরা খুব সংবেদনশীল। যদি তারা পরিবারে বাবা-মায়ের ঝগড়া বা টেনশনের পরিবেশ দেখে, তাহলে তাদের মনেও চাপ তৈরি হয়, যা রাগের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে।

৩. অতিরিক্ত মোবাইল বা কার্টুন আসক্তি: মোবাইল বা কার্টুন আসক্তি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশকে প্রভাবিত করে। এতে তারা ধৈর্য হারাতে পারে এবং সামান্য কিছুতেই রেগে যেতে পারে।

৪. সঠিকভাবে কথা না শোনা বা উপেক্ষা করা: যদি একটি শিশু মনে করে যে তার বাবা-মা তার কথাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বা তাকে উপেক্ষা করছেন, তখন সে মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য রাগের আশ্রয় নিতে পারে।

৫. মানসিক চাপ বা স্কুলের পড়ার চাপ: স্কুল বা পরীক্ষার চাপ, অথবা বন্ধুদের সাথে সমস্যা—এগুলো শিশুদের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে, যা রাগের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে।

করণীয় কী?

আপনার সন্তানের রাগের কারণ খুঁজে বের করুন এবং তাকে ভালোবাসার সাথে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন।

* তার সব আবদার পূরণ না করে, তাকে সীমা বোঝান।

* পরিবারে শান্ত পরিবেশ বজায় রাখুন।

* মোবাইল বা কার্টুনের প্রতি আসক্তি কমান।

* তার কথা শুনুন এবং তাকে সময় দিন।

* স্কুলের চাপ সম্পর্কে তার সাথে আলোচনা করুন।

মনে রাখবেন, আপনার ভালোবাসা, ধৈর্য এবং সঠিক দিকনির্দেশনাই আপনার সন্তানকে একজন শান্ত ও ধৈর্যশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Robiul Hossen Chowdhury posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category