18/09/2022
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বীদা
____________________
১। নবী করীম (ﷺ) নূর এর সৃষ্টি (যাতী বা সিফাতি এ’ নিয়ে বিতর্ক করা উচিত নয়)।
২। নবী করীম (ﷺ)-এর মা-বাবা - নাজাত প্রাপ্ত /মুক্ত/জান্নাতী।
৩। নবী-রাসুলগন (সমস্ত নবীগন) নিষ্পাপ।
৪। নবী করীম (ﷺ) শাফায়াতের অধিকারী/তিনি শফীউল মুজনবীন (গুনাহগারের শাফায়াতকারী)।
৫। মিলাদ ও কেয়াম জায়েয।
৬। হুজুুর (ﷺ) এবং আউলিয়া কেরামের উসিলা গ্রহন জায়েয।
৭। আল্লাহ্ তা’য়ালা হুজুর পুরনূর (ﷺ)-কে অফুরন্ত এলমে গায়েব আ’তা করেছেন।
৮। নবী করীম (ﷺ) আমাদের মত মানুষ নন।
৯। হুজুর (ﷺ) আখেরী নবী এবং তাঁর পরে আর কোন নবীর আগমন হবে না।
১০। নবী করীম (ﷺ) নাম উচ্চারিত হলে আদব দেখাতে হবে (সাল্লালাহু আলাইহিসালাম বলা, নখ চুম্বন (ইমাম দায়লামী (رحمة الله), কিতাব- আল মুসনাদুল ফেরদাউস) করা ইত্যাদি।
১১। হুজুর (ﷺ) হলেন হায়াতুন্নবী (ﷺ)। নিয়ত করে তাঁর রওজা যিয়ারত ও তাঁকে দাড়িয়ে সালাম জায়েয।
১২। হুজুর (ﷺ) হাজির-নাযির ।
১৩। ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন করা ও দাঁড়িয়ে সালাম করা উত্তম কাজ।
১৪। হুজুর (ﷺ)-এর মি’রাজ স্বশরীরে হয়েছে এবং শ’বে মি’রাজ উদযাপন জায়েয।
১৫। সাহাবায়ে কেরাম ও আহলে বাইয়েতের ব্যাপারে কোন বেয়াদবীপূর্ন আচরন করা যাবে না। তাঁরা সত্যের মাপ-কাঠি।
১৬। মোনাজাত-০৫ ওয়াক্ত নামাজের পর হাত তুলে দোয়া করা জায়েজ । ইহা হাদীস সমর্থীত।
১৭। মাযার/কবর যিয়ারত মুস্তাহাব কাজ। ভাল কাজ। কবর যিয়ারতের নিয়তে বের হওয়া জায়েয।
১৮। তাসউক চর্চা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং অপরিহার্য্য কাজ।
১৯। কারামতে আউলিয়া হক্ব।
২০। মাযহাবের অনুসরন অপরিহার্য্য।
২১। শ’বে বরাত উদযাপন জায়েজ এবং ঐ রাত্রের এবাদত অত্যন্ত বরকতময়।
বর্তমান যুগে কিছু অল্প বয়স্ক ও স্বল্প শিক্ষীত মানুষ উপরোক্ত আক্বীদা সমূহকে শুধু অস্বীকারই করেনা, বরং এ’সমস্ত আক্বীদায় বিশ্বাসী মুরুব্বিগণের বিরুদ্ধে মারাত্বক কুৎসা রটনা করছে ও মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এমনকি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের জীবিত অনুসারীদের হত্যার ফতোয়া দিচ্ছে। তাদের আক্রমন থেকে ইমামে আযম আবু হানিফা (رحمة الله) ও বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (رحمة الله) পর্যন্ত বাদ পড়েননি। এ প্রসঙ্গে রাসুল (ﷺ)-এর একখানা হাদীস স্মরন করা যেতে পারে। যখন স্বল্প শিক্ষিত লোকজন কুরআন-হাদীসের সাথে সামঞ্জস্যহীন নতুন নতুন চিন্তা-চেতনার অবতারনা করবে, তখন তার পরিনতিতে পৃথিবীতে রক্তিম ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, ভুমিধস, আকাশ থেকে প্রস্তর নিক্ষেপ ইত্যাদি আযাব উপর্যুপরি আসতে থাকবে। যে সমস্ত বদ আক্বীদার কারণে এমন সব আযাব আসবে তার সংখ্যা হাদীস শরীফ অনুযায়ী মোট ১৫টি। তন্মধ্যে শেষোক্তটি হলোঃ-
“উম্মতের নবীনরা প্রবীনদেরকে অভিশপ্ত করবে।” (তিরমিযী শরিফ)