Dr. Hasan Murad

Dr. Hasan Murad We care for your most precious assets.Providing care to newborns,infants,children and adolescents.

Providing best care to diabetic patients and skin disease patients.

26/09/2025

ফ্যাটি লিভার ঠেকাতে যেসব খাবার বন্ধ করতে হবেঃ

১)চিনি। চিনি ফ্যাটি লিভারের প্রধানতম কারন, বাসায় চিনি রাখা বন্ধ করে দিন, চিনিজাতীয় খাবার বাইরে থেকে আনা বা ঘরে তৈরি করা থামান। সবার ওজন কমবে, ফ্যাটি লিভারও কমবে।

২)সফট ড্রিংক্স ও সুইটেন্ড এনার্জি ড্রিংক্স+ফ্রুট জ্যুসঃ সম্ভবত বাংলাদেশে মদের কাজটা সফট ড্রিংক্সই সেরে দিচ্ছে। বিএসএমএমইউতে হওয়া গবেষনা অনুযায়ী দেশের প্রতি তিনজনে একজন ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। নিঃসন্দেহে এর পেছনে প্রধানতম ভুমিকা সফট ড্রিংক্সের। হেলদি মনে করে অনেকেই বাচ্চাদের গাদা গাদা সুগার দেয়া ফ্রুট জ্যুস খাওয়ান, এনার্জি ড্রিংক্স খান তরুণদের অনেকেই। দিজ অল আর হিডেন কন্ট্রিবিউটরস বিহাইন্ড ফ্যাটি লিভার।

৩)সয়াবিন-সানফ্লাওয়ার রিফাইন্ড অয়েলঃ এগুলোতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের পরিমান ওমেগা-৬ এর তুলনায় অত্যন্ত কম, (সানফ্লাওয়ারে শুন্যের কাছাকাছি)। ওমেগা-৬ টক্সিসিটি আমাদের সব ধরনের ইনফ্ল্যামাটরি ডিজিজের রিস্ক ফ্যাক্টর বাড়ায়।
৪)আটা-ময়দাঃ আটা ময়দার গ্লুটেন এবং অপিওয়েড ইফেক্ট আমাদের ইনফ্ল্যামেশান বাড়ায় ও প্রসেসড ফুডে এডিক্ট করে। আটার রুটি অনেকেই হেলদি বলেন, বাস্তবে, জেনেটিক্যালি মডিফাইড আটা আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি করে।
৫)চকোলেট-আইসক্রিমঃ এগুলো সুগার ফ্যাক্টরি বেইসিক্যালি। সেদিন এক রোগী আমূলের ডার্ক চকোলেটের ইনগ্রেডিয়েন্টস লিস্ট পাঠালেন। আমি দেখলাম, হাফ পাউন্ড চকোলেটের মধ্যে ৪৩ গ্রাম সুগার!!! আইসক্রিমের কথা আর নাই বলি।
৬)ফ্রাইড চিকেন ও অন্যান্য প্রসেসড চিকেন আইটেমঃ মুরগীর গোশত-ট্রান্স ফ্যাট-মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট-গ্লুটেনের এক ভয়াবহ কম্বিনেশান হচ্ছে ফ্রাইড চিকেন। বিশেষভাবে কম বয়সীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের হার বাড়ায় এর বিশেষ ভুমিকা আছে।
৭)পিৎজা, পাস্তা ও বার্গারঃ পিৎজা, পাস্তা ও বার্গার প্রত্যেকটার কেমিক্যাল কম্পোজিশন এক কথায় ভয়াবহ। চিনি, জিএমও ট্রান্স ফ্যাট-গ্লুটেন, এমএসজি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, এক্সট্রা সোডিয়াম সবকিছু আছে এগুলোয়।

খেয়াল করেন, এই প্রতিটা খাবারই জড়িত আপনার স্ন্যাকিংয়ের সাথে।

স্ন্যাকিং কমান, আপনার লিভারকে সুস্থ রাখুন

20/06/2025
20/06/2025

শিশুর হঠাৎ পেটব্যথা
-----------------------
শিশুর পেটে ব্যথা হলে মা-বাবা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। হওয়ারই কথা। কেননা, শিশুরা পেটব্যথা শুরু হলে কাঁদে এবং কখনো কখনো ব্যথায় কাতরাতে থাকে। আবার প্রায়ই পেটব্যথা হলে বেশির ভাগ মানুষ ভাবেন—ও কিছু নয়, হয়তো কৃমি হয়েছে। তবে পেটব্যথা হলেই কৃমির সংক্রমণ ভেবে নেওয়া ঠিক নয়। শিশুদের পেটব্যথার আছে অনেক কারণ, যেমন: চকলেট, জুস বা বাইরের জীবাণু পেটে গেলে পেটে ব্যথা করে। বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানের ভারী খাবারও অনেকের সহ্য হয় না। পেটে সংক্রমণ বা গ্যাস, খাবারে অ্যালার্জি, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রস্রাবে সংক্রমণ, বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যা ছাড়াও টিউমার, অ্যাপেন্ডিসাইটিসসহ বিভিন্ন সার্জিক্যাল সমস্যাতেও শিশুর পেটে ব্যথা হতে পারে। বিষয়টিকে তাই উড়িয়ে দেওয়ার কিছু নেই।
পেটে গ্যাস কিংবা সংক্রমণ হলে উপযুক্ত ওষুধে সেরে যায়, তবে শিশুকে এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় শেখানো দরকার। খাওয়ার আগে-পরে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং মুখে নোংরা হাত না দেওয়া ইত্যাদি প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কৃমি হলে পেটব্যথার সময়টিতে কৃমির ওষুধ না দিয়ে ব্যথা কমার দু-তিন দিন পরে খাওয়ানো ভালো। সার্জিক্যাল কারণ থাকলে শিশুবিষয়ক সার্জনের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
শিশুর পেটব্যথা অনেক সময় মানসিক কারণেও হয়। শিশু স্কুলে যেতে না চাইলে, পড়া ভালো না লাগলে, পরিবারে অশান্তি থাকলে, বন্ধুরা কোনো বিষয় নিয়ে উত্ত্যক্ত করলে, হঠাৎ বাসা পরিবর্তন বা বন্ধু পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে পেটব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই ব্যথা কিন্তু ইচ্ছাকৃত নয় বরং তার মনের গহিনে যে টানাপোড়েন চলে, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে পেটে ব্যথার মাধ্যমে। এসব ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে কিছু পাওয়া যায় না। তবে সাধারণ কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায়, সন্তানের ব্যথা মানসিক নাকি কোনো শারীরিক সমস্যার কারণেই হচ্ছে। লক্ষণগুলো হলো:
১. তিন বছরের নিচে পেটে ব্যথা হলে তা সাধারণত রোগের কারণেই হয়ে থাকে।
২. রোগের কারণে ব্যথা হলে শিশুরা সুনির্দিষ্টভাবে ব্যথার জায়গাটা দেখাতে পারে আর মানসিক কারণে হলে সেভাবে দেখাতে পারে না বা একেকবার একেক স্থানে দেখায়।
৩. ব্যথার সঙ্গে জ্বর, র্যাশ, হাড়ে ব্যথা, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হলে বুঝতে হবে, অবশ্যই সে ব্যথার নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে।
৪. ব্যথার কারণে শিশুর ঘুম ভেঙে গেলে কখনোই তা মানসিক নয়।
মনোরোগের কারণে ব্যথা হলে শিশুসন্তানকে মানসিক সমর্থন দিতে হবে। বকাঝকা না করে কারণটা বের করতে হবে এবং অবশ্যই শিশু ও কিশোর মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিতে হবে।

কখন হাসপাতালে নেবেন
ব্যথা যদি খুব তীব্র হয়, অনবরত বমি হয়, পেট শক্ত হয়ে যায়—সে ক্ষেত্রে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সুনির্দিষ্ট কারণ জানার আগে শিশুকে কিছুই খাওয়ানো উচিত নয়।

09/05/2025

জিংকসমৃদ্ধ খাবার কেন খাবেন?
---------------------------------
আমাদের শরীরে তিনশর বেশি এনজাইমের সঠিক পরিচালনের জন্য জিংক বা দস্তার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। প্রতিদিন আমাদের শরীরের জন্য ১৫ মিলিগ্রাম জিংকের প্রয়োজন হয়।
জিংকের অভাবজনিত সমস্যা
গর্ভকালীন জিংকের ঘাটতি জন্মগত ত্রুটি, কম ওজনের শিশু জন্ম দেওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়; দেহের বৃদ্ধি রোধ, দৈহিক অপরিপক্বতা বা বামনত্ব হতে পারে; জিংকের অভাবে ডায়রিয়া বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও কনজাংকটিভার প্রদাহ, পায়ে বা জিহ্বায় ক্ষত, মুখের চারপাশে ক্ষত, একজিমা, ব্রণ বা সোরিয়াসিসজাতীয় ত্বকের সমস্যা, ছত্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণজনিত অসুস্থতা এবং শরীরের ক্ষত শুকাতে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়; এর অভাবে চুল পড়ে যায়, পুরুষের প্রজননক্ষমতাও কমে যায়; মানসিক দুর্বলতা, আচরণগত অস্বাভাবিকতা, অমনোযোগিতা, বিষণ্নতা, সিজোফ্রেনিয়া, ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়।
শরীরে জিংকের অভাবের কারণ
পুষ্টিহীনতা, ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ, কিডনি সমস্যা, অতিরিক্ত মদ্যপান, লিভারের সমস্যা ইত্যাদি।
কী কী খাবারে জিংক থাকে?
গরু ও ভেড়ার মাংসে উচ্চমাত্রায় জিংক রয়েছে। সামুদ্রিক মাছ, গরু-খাসির কলিজা, আটা-ময়দার রুটি, দুগ্ধজাত খাদ্য, শিমজাতীয় উদ্ভিদ, মসুর ডাল, চীনাবাদাম, মাশরুম, সয়াবিন ও ঝিনুকে জিংক পাওয়া যায়।

ডা.হাসান মুরাদ
নবজাতক,শিশু ও কিশোর রোগ চিকিৎসক
ডায়াবেটিস, বাতব্যাথা ও চর্মরোগ অভিজ্ঞ

05/01/2024

✔️ ডায়াবেটিস এর জন্য স্ক্রিনিং (লক্ষন ছাড়া ডায়াবেটিসের পরীক্ষা) কখন করব?

সাধারনত টাইপ-১ ডায়াবেটিসের তীব্র লক্ষণ নিয়ে (যেমন অতিরিক্ত ব্লাড সুগার) আমাদের কাছে আসে। কিন্তু টাইপ- ২ ডায়াবেটিসের এক তৃতীয়াংশ রোগী কেবল মাত্র ডায়াবেটিস জনিত জটিলতা নিয়ে প্রথম বারের মতন ডাক্তারের কাছে আসেন।

সুতরাং যারা ঝুকির মধ্যে রয়েছে কিন্তু কোন ধরনের লক্ষণ নাই তাদের স্ক্রিনিং (লক্ষন ছাড়া ডায়াবেটিসের পরীক্ষা) এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস সনাক্ত করতে হবে।

কখন একজন লক্ষণ ছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ডায়াবেটিস পরীক্ষা করবঃ

1️⃣ ৪৫ বছরের উর্ধ্বে যে কোন মানুষ বিশেষ করে যদি তাদের BMI ২০কেজি/মি বেশী হয়। এ ক্ষেত্রে যদি স্বাভাবিক থাকে, প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর পুনরায় স্ক্রিনিং (লক্ষন ছাড়া ডায়াবেটিসের পরীক্ষা) করতে হবে।

2️⃣ কিছু কিছু অবস্থার কারনে কম বয়সী মানুষের ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে।

যাদের ওজন বেশী অর্থাৎ BMI>= ২৫ কেজি/মি এবং এর সাথে সাথে নিম্ন বর্ণিত ঝুঁকি রয়েছেঃ

▪️ যারা শারীরিক পরিশ্রম কম করে।

▪️ যাদের নিকট পরিবার অর্থাৎ মা, বাবা, ভাই, বোনের ডায়াবেটিস রয়েছে।

▪️ যে সকল মায়েদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ছিল।

▪️ যাদের হাই ব্লাড প্রেশার রয়েছে(১৪০/৯০)

▪️ যাদের পূর্বে পরীক্ষায় IGT অথবা IFG ছিল।

▪️ যে সকল মেয়েরা পলি সিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমে (PCOS) ভুগছেন।

▪️ যে সকল রোগীর রক্তনালীর অসুখে ভুগছেন।

✔️ কখন আমরা বাচ্চাদের টাইপ- ২ ডায়াবেটিসের জন্য পরীক্ষা করবঃ

অতিরিক্ত ওজন এবং এর সাথে নিম্নের ঝুঁকি সমূহের যেকোন ২টি থাকলে।

▪️ পরিবারে ডায়াবেটিস থাকলে

▪️ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর লক্ষণ থাকলে যেমন উচ্চ রক্ত চাপ, রক্তে চর্বির আধিক্য, একান্থসিস নেগ্রিকেন্স, PCOS।

✔️ কখন করবঃ ১০ বছর বয়সে অথবা বয়স সন্ধি কালে।

✔️ কতদিন পর পরঃ প্রতি ২ বছর পর পর।

Address

Chittagong

Telephone

+8801818879387

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Hasan Murad posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Hasan Murad:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category