05/02/2024
হিজামা ,
হিজামা (حِجَامَة)একটি নববী চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটি আরবী শব্দ আল-হাজম থেকে এসেছে, যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। এটি একটি ছোট আকারের সার্জিকাল চিকিৎসা;যেখানে নেগেটিভ সাকশানের মাধ্যমে শরীর থেকে রোগ তৈরী করে- এমন সব জিনিস (Toxin) এবং রোগের কারণে তৈরী হওয়া জিনিসগুলো শুষে বের করে আনা হয়। এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভিতরের অর্গান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়। এই চিকিৎসা ব্যবস্থা বহু প্রাচীন। আগে বাঁশ কিংবা প্রাণীর শিং ব্যবহার করে এই চিকিৎসা করা হত,কিন্তু বর্তমানে সাধারণত গ্লাস কিংবা প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহার করে এটা করা হয়। এই চিকিৎসা পুরোপুরি বিজ্ঞান সম্মত এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন ওষুধের প্রয়োজন হয়না বলে উন্নত বিশ্বে এটি এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় অল্টারনেটিভ ট্রিটমেন্ট সিস্টেম।
হিজামা সংক্রান্ত কিছু হাদিস শরীফ:
“নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।” [ মুসলিম: ২২০৫]
"হযরত জিব্রাঈল আমাকে জানিয়েছেন যে, মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব উপায় অবলম্বন করে, তম্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম।” [ আল-হাকিম, ৭৪৭০] মুসলিম ১৫৭৭, বুখারি ৫৬৯৬
“আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।”[ সুনানে তিরমিযী: ২০৫৩]
“খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম। এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে জ্ঞান ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।” [সুনানে ইবনে মাজাহ, : ৩৪৮৭]
★ "হিজামা গ্রহণকারী কতোই উত্তম লোক! সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে!"
হিজামার মাধ্যমে যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকেঃ
মাথাব্যাথা
মাইগ্রেন
ঘাড় ও কাঁধে ব্যাথা
সারভাইকাল স্পন্ডিলাইসিস
পিঠের ব্যাথা
মেরুদন্ড ব্যাথা
পেট ব্যাথা
কোমর ব্যাথা
হাড়ক্ষয় জনিত ব্যথা
সায়াটিকা
হাটু ব্যথা
হাটুর নিচে চাবানো ব্যথা
গোড়ালি ব্যাথা
বাতের ব্যথা
গেঁটে বাত
রিউম্যাটয়েড আরথ্রাইটিস
ক্যান্সারের ব্যাথা নিয়ন্ত্রণ
সাইনোসাইটিস
টনসিল সমস্যা
চুলপড়া
ব্রন
চর্মরোগ
সোরিয়াসিস
এক্সিমা
অর্শ্ব,পাইলস, ফিস্টুলা
গ্যাস্ট্রিক, আলসার
উচ্চ রক্তচাপ
নিম্ন রক্তচাপ
এলার্জি
এজমা
ব্রঙ্কাইটিস
হৃদরোগ
হৃদপিণ্ডের ব্লক
থায়রয়েড সমস্যা
কোলেস্টেরল সমস্যা
ডায়বেটিস
চুলপড়া
অনিদ্রা
কিডনির রোগ
কিডনিতে পাথর
প্রস্রাবের বিভিন্ন সমস্যা
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
প্রস্রাবে ইনফেকশন
হজম সমস্যা
ক্ষুধামন্দা
কোষ্ঠকাঠিন্য
আইবিএস
ফ্যাটি লিভার
পিত্তথলির পাথর
জন্ডিস
হেপাটাইটিস বি
কানের বিভিন্ন সমস্যা
চোখের বিভিন্ন সমস্যা
অনিদ্রা
ব্রেন স্ট্রোক
প্যারালাইসিস
মানসিক রোগ
বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা
মৃগী রোগ
ট্রাইজেমিনাল নিউরেলজিয়া
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস
সেরেব্রাল পালসি
ফেসিয়াল বেলস পালসি
পারকিনসন্স ডিজিজ
সৃতিশক্তির দুর্বলতা
প্রস্টেট সমস্যা
যৌনরোগ
দ্রুত বীর্যপাত
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন
অণ্ডকোষের শিরারোগ
মাসিক জনিত সমস্যা
ব্যাথাযুক্ত মাসিক
অনিয়মিত মাসিক
স্রাব সমস্যা
মেনোপজ জটিলতা
PCOD
বন্ধাত্ব
বিভিন্ন হরমোনাল সমস্যা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
হিজামা সংক্রান্ত কিছু হাদিস-
নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।” [ মুসলিম: ২২০৫]
"হযরত জিব্রাঈল আমাকে জানিয়েছেন যে, মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব উপায় অবলম্বন করে, তম্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম।” [ আল-হাকিম, ৭৪৭০] মুসলিম ১৫৭৭, বুখারি ৫৬৯৬
“আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।”[ সুনানে তিরমিযী: ২০৫৩]
“খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম। এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে জ্ঞান ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।” [সুনানে ইবনে মাজাহ, : ৩৪৮৭]
★ "হিজামা গ্রহণকারী কতোই উত্তম লোক! সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে!" [সুনানে তিরমিযী; ২০৫৩]
★ হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত;
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“কেউ হিজামা করতে চাইলে সে যেন আরবী মাসের ১৭, ১৯ কিংবা ২১ তম দিনকে নির্বাচিত করে। রক্তচাপের কারণে যেন তোমাদের কারো মৃত্যু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে"। [ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীছ নম্বর : ৩৪৮৬]
★ হযরত আনাস (রা:)থেকে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও। কারণ, কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে।” [আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর : ৭৪৮২]
★ আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাঁধের দু’ পার্শ্বে এবং কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে হিজামা লাগাতেন এবং তিনি ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখে হিজামা লাগাতেন। [শারহুস সুন্নাহ, হা/৩২৩৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৪৬৪; মিশকাত, হা/৪৫৪৬]