জম জম হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার

  • Home
  • Bangladesh
  • Chittagong
  • জম জম হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার

জম জম হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ২৪ ঘন্টায় নরমাল ডেলিভারী, সিজার, ডায়াগনস্টিক এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তাদের নিয়মিত কনসালটেশন সুবিধা।

28/06/2025

ডায়াবেটিস নিয়ে সমাজে অনেক ভুল ধারণা বা মিথ ছড়িয়ে আছে, যা রোগী এবং পরিবারের জন্য বিভ্রান্তিকর। এগুলো দূর করা খুবই জরুরি।
নীচে ডায়াবেটিস নিয়ে ১৫টি প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো:
💉 ডায়াবেটিস নিয়ে ১৫টি ভুল ধারণা ও সঠিক ব্যাখ্যা
1️⃣ ❌ মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়
✅ সত্য:
👉 অতিরিক্ত ক্যালরি ও শর্করা দীর্ঘদিন ধরে গ্রহণ করলে ওজন বাড়ে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
👉 তবে শুধু মিষ্টি খাওয়া এককভাবে ডায়াবেটিসের কারণ নয়।
👉 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:
টাইপ-২ ডায়াবেটিস ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থেকে হয়, যা জেনেটিক ও পরিবেশগত কারণে হয়।
2️⃣ ❌ ডায়াবেটিস মানেই ইন্সুলিন নিতেই হবে
✅ সত্য:
👉 টাইপ-১ ডায়াবেটিসে ইন্সুলিন দরকার।
👉 তবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রথমে খাবার ও জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, প্রয়োজনে ওষুধ বা পরে ইন্সুলিন লাগে।
👉 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:
টাইপ-২ রোগীর প্যানক্রিয়াস কিছুটা ইনসুলিন তৈরি করতে পারে।
3️⃣ ❌ ডায়াবেটিসে ফল একদম খাওয়া যাবে না
✅ সত্য:
👉 ফল খাওয়া যাবে তবে পরিমাণ ও গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনুযায়ী।
👉 বেশি মিষ্টি ফল সীমিত রাখতে হবে।
👉 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:
ফল ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
4️⃣ ❌ ডায়াবেটিস ছোঁয়াচে রোগ
✅ সত্য:
👉 এটি সংক্রামক নয়, জিন ও জীবনযাত্রার কারণে হয়।
5️⃣ ❌ ওষুধ শুরু করলে আজীবন খেতেই হবে
✅ সত্য:
👉 অনেক ক্ষেত্রে ওজন কমানো, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামে ওষুধের প্রয়োজন কমে যায়।
👉 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের “রিমিশন” সম্ভব, তবে নিয়মিত মনিটরিং জরুরি।
6️⃣ ❌ ডায়াবেটিস হলে কোনো মিষ্টি একদমই খাওয়া যাবে না
✅ সত্য:
👉 সামান্য পরিমাণে ও পরিকল্পিতভাবে খাবারে মিষ্টি রাখা যায়।
👉 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:
সামান্য শর্করার প্রভাব খাবারের সামগ্রিক কার্বে মিশে যায়।
7️⃣ ❌ ডায়াবেটিসে ইনজেকশন মানেই রোগ খুব খারাপ
✅ সত্য:
👉 অনেক সময় শুধুমাত্র খাবার ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে না এলে ইন্সুলিন যোগ করতে হয়।
👉 এতে রোগের অবনতি নয় বরং সঠিক নিয়ন্ত্রণ বোঝায়।
8️⃣ ❌ ডায়াবেটিসে শুধু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করলেই হবে
✅ সত্য:
👉 রক্তচাপ, কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
👉 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:
এসব ফ্যাক্টর না নিয়ন্ত্রণ করলে কিডনি, চোখ ও হার্টের ক্ষতি হয়।
9️⃣ ❌ ডায়াবেটিসের ওষুধ লিভার/কিডনি নষ্ট করে
✅ সত্য:
👉 সঠিক মাত্রায় ও নিয়মিত পরীক্ষা করে ওষুধ সুরক্ষিত।
👉 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:
মেটফরমিন লিভারনির্ভর নয়, কিডনির কাজ ঠিক থাকলে নিরাপদ।
1️⃣0️⃣ ❌ ডায়াবেটিস শুধু মোটা মানুষের হয়
✅ সত্য:
👉 অনেক রোগীর ওজন স্বাভাবিক বা কম হলেও টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়।
👉 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:
জেনেটিক, লাইফস্টাইল ও প্যানক্রিয়াসের ক্ষমতা বড় ভূমিকা রাখে।
1️⃣1️⃣ ❌ ডায়াবেটিস মানে জীবন শেষ
✅ সত্য:
👉 নিয়মিত চিকিৎসা, খাদ্য, ব্যায়াম ও জীবনযাপন পরিবর্তনে সুস্থ জীবন সম্ভব।
👉 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:
ডায়াবেটিস ক্রনিক ম্যানেজেবল ডিজিজ, সঠিক নিয়ন্ত্রণে জটিলতা রোধ করা যায়।
1️⃣2️⃣ ❌ ডায়াবেটিস হলে ব্যায়াম করা যাবে না
✅ সত্য:
👉 ব্যায়াম রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায়।
👉 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:
মাংসপেশি গ্লুকোজ ব্যবহার বাড়ায় এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।
1️⃣3️⃣ ❌ ডায়াবেটিসের রোগীরা দুধ খেতে পারবে না
✅ সত্য:
👉 পরিমিত পরিমাণে কম ফ্যাটের দুধ খাওয়া যাবে।
👉 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:
দুধে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন আছে।
1️⃣4️⃣ ❌ ডায়াবেটিস মানেই ইনসুলিন শট দিতে হবে দিনে বারবার
✅ সত্য:
👉 টাইপ-২ রোগীদের বেশিরভাগই ওষুধে নিয়ন্ত্রিত থাকে।
👉 টাইপ-১ রোগীদের দিনে একাধিকবার ইনসুলিন দরকার।
1️⃣5️⃣ ❌ ডায়াবেটিসের ভেষজ বা ঘরোয়া চিকিৎসায় একেবারে ঠিক হয়ে যাবে
✅ সত্য:
👉 কোনো প্রমাণ নেই যে ভেষজ চিকিৎসা ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ সারায়।
👉 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:
বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা বাদ দিলে জটিলতা বাড়ে।

🛑 মনে রাখুন 👇
✅ সঠিক তথ্য নিন
✅ নিয়মিত ডাক্তার দেখান
✅ খাদ্য ও ব্যায়ামের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করুন
✅ নিজেকে দোষারোপ করবেন না
পরিবারে কথা বলা বন্ধু সার্কেলে কোন ডায়াবেটিক থাকলে অবশ্যই শেয়ার করে দিন যাতে সকলের সতর্ক হোন , এছাড়া এ ধরনের স্বাস্থ্য টিপস প্রয়োজনীয় মনে হলে পেইজে ফলো দিয়ে রাখুন।
🏷️
#ডায়াবেটিসমিথভেঙেদিন 💪 #ডায়াবেটিসজ্ঞান 📘
#সঠিকতথ্য 🌿 #ডায়াবেটিসনিয়ন্ত্রণ 🩺
#স্বাস্থ্যকরজীবন 🏃‍♂️ #মায়েরযত্ন 🧕
#ডায়াবেটিসওকোনোপরিসমাপ্তি নয় ✨
#গবেষণাভিত্তিকতথ্য 🔬 #ডায়াবেটিসপ্রশ্ন 🧠
#পুষ্টি 🍎 #ডায়াবেটিস

© Dr Miskat Aziz

26/06/2025

বাচ্চার বাবা মাদের ইউনিভার্সেল অভিযোগ বাচ্চা খাবার খায় না , বাচ্চার পেট ভরলেও বাবা মায়ের মন ভরে না , তারা চান বাচ্চা তাদের মত পেট ভরে খাবে 💥 তার চেয়েও সবচেয়ে বড় ভুল যেটা করে, ভুল সময়ে খাবার দেয়ার কারণে বাচ্চা না খেলে সেটাও হয়ে যায় বাচ্চার দোষ, যে বাচ্চা খাচ্ছে না। না লাগলে বড়রা না যেমন খায় না বাচ্চারাও খাবে না । বাচ্চার খাদ্যাভাসের উপর তার খাওয়ার সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই প্রত্যেক বাবা-মার জানা উচিত কখন বাচ্চাকে খাবার দিতে হবে এবং কখন জোর করা যাবে না ।

🕒 শিশুকে খাবার খাওয়ানোর ভুল সময় ❌

১. 😠 রেগে গেলে বা কাঁদলে
👉কেন না খাওয়ানো উচিত:
🛡️খাওয়ার প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হয়
🛡️হজমে সমস্যা হয়
🛡️বাচ্চা খাবারটিকে "শাস্তি" মনে করতে পারে
২. 💤 ঘুমের আগে একেবারে ঠিক সময়ে
👉কেন না খাওয়ানো উচিত:
🛡️ঘুমের মধ্যে খাবার হজম হয় না
🛡️পেট ভরে গেলে আরামদায়ক ঘুম হয় না
🛡️গ্যাস-অম্বল বা ঢেকুর সমস্যা হতে পারে
৩. 🤒 জ্বর বা অসুস্থ অবস্থায় জোর করে খাওয়ানো
👉কেন না খাওয়ানো উচিত:
🛡️শিশুর খাওয়ার ইচ্ছা না থাকলে জোর করে খাওয়ালে বমি হতে পারে
🛡️হজমে ব্যাঘাত ঘটে
🛡️বাচ্চার খারাপ স্মৃতি তৈরি হয়
৪. 📱📺 মোবাইল বা টিভি দেখতে দেখতে খাওয়ানো
👉কেন না খাওয়ানো উচিত:
🛡️মনোযোগ থাকে স্ক্রিনে, খাবারে নয়
🛡️ওভারইটিং বা আন্ডারইটিং হতে পারে
🛡️ভবিষ্যতে স্ক্রিন ছাড়া খেতে না চাওয়ার প্রবণতা বাড়ে
৫. 🏃‍♂️ খেলাধুলার ঠিক পরেই খাওয়ানো
👉কেন না খাওয়ানো উচিত:
🛡️তখন শরীর উত্তপ্ত থাকে, হজমশক্তি কম থাকে
🛡️বমি বা অস্বস্তি হতে পারে

✅ শিশুকে খাওয়ানোর উপযুক্ত সময়:

🟢 ১. শান্ত ও আরামদায়ক অবস্থায় থাকলে
👉 তখন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে
👉 খাবারে মনোযোগ থাকে
🟢 ২. নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী
👉 প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ালে হজম ভালো হয়
👉 শিশুর শরীর সময় বুঝে ক্ষুধা অনুভব করে
🟢 ৩. ক্ষুধার্ত হলে, কিন্তু অতিরিক্ত না হলে
👉 অতিরিক্ত ক্ষুধা থাকলে শিশুর মেজাজ খারাপ থাকতে পারে
👉 হালকা ক্ষুধা খাওয়ার আগ্রহ বাড়ায়
🟢 ৪. ঘুম থেকে ওঠার অন্তত ৩০ মিনিট পর
👉 তখন শরীর জেগে ওঠে
👉 হজম শক্তি ভালোভাবে কাজ করে
🟢 ৫. খাওয়ার সময় পরিবারের সাথে বসে খাওয়ানো
👉 শিশুরা অনুকরণ করে শেখে
👉 পরিবার খেলে তারাও উৎসাহিত হয় খেতে

🔚 উপসংহার:
শিশুর খাওয়ানোর সময় নির্বাচনে সাবধান থাকা দরকার। ভুল সময়ে খাওয়ালে শিশুর শরীর ও মনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই শিশুর স্বাভাবিক রুটিন, মানসিক অবস্থা ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বুঝে খাওয়ানোই সবচেয়ে কার্যকরী।
আপনি বাবা কিংবা মা হয়ে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দেন , যারা পরিবারে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন। পেজের নতুন হলে ফলো দিয়ে রাখুন নিত্য নতুন প্রতিদিন এমন টিপস পেতে।

#শিশুরস্বাস্থ্য 👶 #খাবারেরনিয়ম 🍚 #শিশুরপুষ্টি 🥦 #সঠিকভুল 🔄 #মায়েরজানুন 🧕 #প্যারেন্টিংগাইড 🍼 #শিশুরপছন্দ 😍 #খাওয়ানোরনিয়ম 🕒 #প্যারেন্টিং 💡 #শিশু 🌱

© Dr Miskat Aziz

23/06/2025

🔍 জিভ বলছে তোমার শরীরের গোপন কথা! অবহেলা নয় বরং জানো এখনই! 👅👅
🩷 সুস্থ জিভ সাধারণত হালকা গোলাপি রঙের হয়। যদি রঙের ভিন্নতা দেখা যায়, তবে তা শরীরের ভেতরের কোনো সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে! ⚠️

👇 নিচের রঙগুলো দেখে জেনে নিন আপনার জিভ কী বলছে 👇

1️⃣ সাদা জিভ 🏳️
👉 মুখে ফাঙ্গাস সংক্রমণ (oral thrush)
👉 খারাপ ওরাল হাইজিন
👉 লিউকোপ্লাকিয়া (precancerous অবস্থা)

2️⃣ লাল জিভ 🔴
👉 ভিটামিন B12 বা ফলেটের ঘাটতি
👉 স্কারলেট ফিভার বা কাওয়াসাকি ডিজিজ
👉 কিছু ওষুধ বা খাবারে এলার্জিক রিঅ্যাকশন

3️⃣ হলুদ জিভ 💛
👉 খারাপ মুখগহ্বর পরিষ্কার
👉 ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
👉 কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

4️⃣ কালো জিভ ⚫
👉 ধূমপান
👉 ওরাল হাইজিনের অভাব
👉 "Black Hairy Tongue" — জিভের papillae লম্বা হয়ে ব্যাকটেরিয়া আটকে রাখে

5️⃣ নীল বা বেগুনি জিভ 💙💜
👉 রক্ত চলাচলের সমস্যা
👉 অক্সিজেন ঘাটতি
👉 হার্ট বা রক্তের রোগ

6️⃣ ধূসর জিভ ⚙️
👉 হজমের সমস্যা
👉 পেপটিক আলসার
👉 অপরিচ্ছন্নতা

7️⃣ কমলা / সবুজ / বাদামি জিভ 🟠🟢🤎
👉 খাদ্যাভ্যাস, কিছু ওষুধ বা রঙিন পানীয়ের প্রভাবে হতে পারে
👉 এছাড়াও কিছু নির্দিষ্ট রোগের লক্ষণও হতে পারে

🩺 যদি আপনার জিভের রঙ দীর্ঘ সময় ধরে অস্বাভাবিক থাকে, অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ জিভের রঙ আপনার শরীরের আয়না হতে পারে।

🔖 #জিভেররঙে_স্বাস্থ্য #স্বাস্থ্য_বার্তা #জিভ_বলছে_সব #জিভেরভিন্ন_রঙ #বাংলা_স্বাস্থ্য_পোস্ট

© Dr Miskat Aziz

13/06/2025

🛑 আপনার শরীর এই ১০টি সংকেত দিচ্ছে? ক্যান্সারের পূর্বাভাস নয় তো ! 🛑
👉 অবহেলা নয়, সচেতন হন আজই।

🧬 ১০টি লক্ষণ যা ক্যান্সারের সতর্ক সংকেত হতে পারে:

1️⃣হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া (কারণ ছাড়াই) : হঠাৎ করে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড , ব্যায়াম বা ডায়েট ছাড়াই ৫ কেজি বা তার বেশি ওজন কমে গেলে তা ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে। বিশেষ করে পাকস্থলি, অগ্ন্যাশয়, ফুসফুস বা খাদ্যনালীর ক্যান্সারে এমনটা দেখা যায়।
2️⃣ সবসময় ক্লান্ত লাগা বা দীর্ঘস্থায়ী জ্বর : কোনো পরিষ্কার কারণ ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে হালকা জ্বর থাকা বা সবসময় ক্লান্ত অনুভব করা শরীরের অভ্যন্তরীণ কোনো অসুস্থতা যেমন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। রক্তের ক্যান্সার (যেমন লিউকেমিয়া) এ এমন হয়।
3️⃣ চামড়ায় আঁচিল বা দাগের রঙ ও আকার বদলানো : শরীরের আঁচিল বা ত্বকের কোনো দাগ হঠাৎ রঙ বদলানো, বড় হওয়া বা রক্তপাত শুরু করলে তা স্কিন ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে।
4️⃣ দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা কফে রক্ত আসা : দীর্ঘদিন ধরে কাশি থাকা বা কফে রক্ত আসা ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি ধূমপায়ী হন।
5️⃣ বদহজম, বমি বা খাওয়ার অনিচ্ছা : দীর্ঘদিন ধরে বদহজম, ঢেকুর ওঠা, অরুচি বা বমির প্রবণতা পাকস্থলি বা অন্ত্রের ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে।
6️⃣ মল বা প্রস্রাবে রক্ত থাকা : মলে বা প্রস্রাবে রক্ত থাকা, বিশেষ করে ব্যথাহীন অবস্থায়, কোলন, রেকটাল বা মূত্রথলির ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
7️⃣ স্তন, গলা বা শরীরের কোথাও চাকা/গাঁট অনুভব হওয়া : স্তন, গলা, বগল বা অণ্ডকোষে চাকা বা গাঁট দেখা দিলে তা ক্যান্সারের প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।
8️⃣ গলার স্বর বসে যাওয়া বা দীর্ঘস্থায়ী কণ্ঠ পরিবর্তন : গলার ক্যান্সার বা থাইরয়েড ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে কণ্ঠ পরিবর্তন হতে পারে।
9️⃣ ঘা বা ক্ষত দীর্ঘদিনেও না শুকানো : মুখে বা শরীরের অন্য কোথাও কোনো ক্ষত বা আলসার ৩ সপ্তাহের বেশি সময়েও না শুকালে তা ক্যান্সার নির্দেশ করতে পারে, বিশেষত ওরাল ক্যান্সার।
🔟 মাসিক ব্যতিরেকে যোনিপথে রক্তপাত (বিশেষত মেনোপজের পর) , মাসিক ছাড়াও যোনিপথে রক্তপাত, সঙ্গমের পর রক্ত পড়া বা মেনোপজের পর রক্তপাত — এগুলো জরায়ু বা জরায়ুমুখ ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

🔍 যা করবেন:
✅ কোনো লক্ষণ যদি ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
✅ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন , প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ।
✅ নিজে সচেতন হোন, অন্যকেও সচেতন করুন।

❤️‍🔥 সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন। ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
#ক্যান্সার #স্বাস্থ্যসচেতনতা #সতর্কতা #ক্যান্সারলক্ষণ
#বাংলায়স্বাস্থ্য #রোগপ্রতিরোধ
#সচেতনহোন #বাঁচুন #ভাইরালপোস্ট

🔁 শেয়ার করুন, একজনের জীবনও যদি বাঁচে — সেটাই সার্থকতা। 🙌

📌 শেষ কথা:
এই উপসর্গগুলোর যে কোনোটি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা স্বাভাবিকের চেয়ে আলাদা মনে হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত হলে সফল চিকিৎসার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

© Dr Miskat Aziz

01/06/2025

🧴 ব্রণ নিয়ে সবকিছু জানুন – সচেতন হোন, সুন্দর থাকুন! 🧼

🔍 ব্রণ (Acne) হলো এক ধরনের ত্বকের রোগ যা আমাদের তেলগ্রন্থি ও চুলের গোড়ায় (hair follicles)-এ তেল ও মৃতকোষ জমে গিয়ে তৈরি হয়।

❓ কেন হয় ব্রণ?
• অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ
• হরমোনের পরিবর্তন (বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিতে)
• স্ট্রেস, ঘুমের অভাব
• অনিয়মিত স্কিন কেয়ার
• খাদ্যাভ্যাস (দুধজাত খাবার, বেশি চিনি ইত্যাদি)

📆 বয়স ও স্থান:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১২–২৫ বছর বয়সে হয়। তবে বড় বয়সেও হতে পারে। সাধারণত মুখ, গলা, বুক, পিঠ ও কাঁধে বেশি দেখা যায়।

⚠️ লক্ষণ ও উপসর্গ:
লালচে ফুসকুড়ি, ব্ল্যাকহেড, হোয়াইটহেড, ব্যথাযুক্ত পুঁজযুক্ত গাঁটে রূপ নেয়।

🧾 ব্রণের দাগ কেন হয়?
দাগ হয় কারণ:
• নখ দিয়ে ঘষাঘষি বা চুলকানো
• ইনফেকশন হওয়া
• গভীর ফোঁড়া

🔬 ব্রণের ধরনগুলো:

✅ব্ল্যাকহেডস
✅হোয়াইটহেডস
✅প্যাপিউল
✅পাস্টিউল
✅নোডিউল
✅সিস্টিক (সবচেয়ে জটিল)

🛡️ প্রতিরোধে করণীয়:

• প্রতিদিন মুখ ধোয়া
• নিয়মিত শ্যাম্পু করা
• তেলতেলে প্রসাধনী এড়ানো
• পরিষ্কার তোয়ালে ও বালিশের কাভার ব্যবহার
• নিয়মিত ঘুম ও পানি পান

💊 ব্যবহৃত ওষুধ ও ক্রিম:
• বেনজাইল পারঅক্সাইড
• স্যালিসিলিক অ্যাসিড
• অ্যাডাপালিন
• আইসো ট্রিটিনোইন
• অ্যান্টিবায়োটিক জেল
• এন্টিবায়োটিক ( সিরিয়াস ক্ষেত্রে )
(চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার নয়)

💆‍♀️ প্রসিডিউর:

• কেমিক্যাল পিলিং
• লেজার থেরাপি
• ডার্মা রোলার / মাইক্রোনিডলিং
• একনে এক্সট্রাকশন

🏠 ঘরোয়া পদ্ধতি:

• নিমপাতার পেস্ট
• অ্যালোভেরা জেল
• মধু ও দারচিনির প্যাক
• বরফের চেপ

👨‍⚕️ কখন ডাক্তার দেখাবেন?

• ব্রণ অনেকদিন ধরে হচ্ছে
• প্রচণ্ড ব্যথা বা ফোঁড়ার মত হচ্ছে
• দাগ-ছোপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে
• ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে না

🌿 সুন্দর ত্বক চাইলে, সচেতনতা ও নিয়মিত যত্নই প্রধান অস্ত্র। মনে রাখুন, ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা, তবে অবহেলা করলে দাগ ও আত্মবিশ্বাসের ক্ষতি হতে পারে। শেয়ার করে টাইমলাইনে রাখুন যাতে আপনার প্রিয়জন সচেতন হতে পারে।

🔖

© Dr Miskat Aziz

23/05/2025

ফ্যাটি লিভার কি?
ফ্যাটি লিভার বা হেপাটিক স্টিয়াটোসিস হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে যায়। এটি মূলত দুই ধরনের হতে পারে:

✅ অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (AFLD) – অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণে হয়।
✅ নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD) – অ্যালকোহল না খেয়েও হয়, যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বেশি দেখা যায়।

🧑‍⚕️ কেন হয়?
ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণগুলো হলো:

✅স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজন
✅টাইপ-২ ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেজিস্টেন্স
✅উচ্চ কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইড
✅অতিরিক্ত চিনি ও প্রসেসড খাবার খাওয়া
✅ব্যায়ামের অভাব
✅কিছু ওষুধ যেমন স্টেরয়েড
✅দ্রুত ওজন কমানো

🚨 প্রতিরোধের উপায়:

✅সুষম ও পরিমিত খাদ্যগ্রহণ
✅নিয়মিত ব্যায়াম
✅ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
✅অ্যালকোহল পরিহার করা
✅রক্তে চিনি ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা

🦠 খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত?

💊 যা খাবেন:

✅সবুজ শাকসবজি (পালং, মুলা শাক, ঢেঁড়শ)
✅ফলমূল (বেরি, আপেল, পেয়ারা)
✅ওটস, ব্রাউন রাইস, দুধের বিকল্প (সোয়া/বাদাম দুধ)
✅মাছ (বিশেষ করে ওমেগা-৩ যুক্ত যেমন সামন, সারডিন)
✅জলপাই তেল ও বাদাম

❌ যা এড়াবেন:

⭐ভাজাপোড়া ও প্রসেসড খাবার
⭐সফট ড্রিংকস, চিনিযুক্ত পানীয়
⭐অতিরিক্ত লবণ
⭐সাদা ভাত ও চিনি

👉 ওষুধ ছাড়া নিরাময় সম্ভব?
হ্যাঁ, যদি রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তবে শুধুমাত্র খাদ্য ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় সম্ভব।

🔥 কি কি পরীক্ষা করা হয়ে থাকে?
👉 লিভার ফাংশন টেস্ট (LFT)
👉 আল্ট্রাসোনোগ্রাফি (USG) – লিভারে চর্বি আছে কিনা দেখতে
👉 FibroScan – লিভার স্কার আছে কিনা বুঝতে
👉 লিপিড প্রোফাইল – কোলেস্টেরল পরিমাপ
👉 HbA1c – ডায়াবেটিস পরিক্ষা

⭐ কি কি ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে?
ফ্যাটি লিভারের নির্দিষ্ট ওষুধ নেই, তবে নিচের ওষুধগুলো ব্যবহৃত হতে পারে:

✅মেটফর্মিন – ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কমাতে
✅ভিটামিন E – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে
✅পিওগ্লিটাজোন – বিশেষ ক্ষেত্রে
✅লিভার সাপোর্ট সাপ্লিমেন্টস (যেমন সিলিমারিন, লিভ-৫২)
✅ সেড়োগ্লেটাজার

NB: সব ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।

🧑‍⚕️ কি কি ঘরোয়া পদ্ধতি কাজে দেয়?

✅প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম
✅লেবুর রস ও হালকা গরম পানি সকালে খাওয়া
✅আদা, হলুদ ও দারচিনির পানীয়
✅গ্রিন টি
✅নিয়মিত পানি পান

🦠 কোন সাপ্লিমেন্ট সহায়ক হতে পারে?
⭐সিলিমারিন (Milk Thistle)
⭐Omega-3 ফ্যাটি অ্যাসিড
⭐ভিটামিন E (প্রাকৃতিক উৎস থেকে)
⭐অ্যাপল সাইডার ভিনেগার (সীমিত পরিমাণে)

🚨 ফ্যাটি লিভারের জটিলতা কী হতে পারে?
👉 লিভার ফাইব্রোসিস (আঁশ গঠন)
👉 সিরোসিস (লিভার সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়া)
👉 লিভার ক্যানসার
👉 হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি

🧑‍⚕️কখন ডাক্তারের পরামর্শ জরুরি?

✅অবসাদ ও দুর্বলতা অতিরিক্ত হলে
✅পেটের ডান পাশে ব্যথা বা ভারী ভাব
✅জন্ডিসের লক্ষণ (চোখ ও চামড়া হলুদ হওয়া)
✅হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
✅পরীক্ষায় লিভার এনজাইম বেড়ে গেলে

বিশেষ দ্রষ্টব্য :
অনেকের ধারণা অনুযায়ী নিচের দুটি ওষুধ এখনো ফ্যাটি লিভারের ব্যবহার হয়ে থাকে আসলে এর যৌক্তিকতা কতটুকু এ বিষয়ে একটু না লিখলেই নয় ।
আর্সোডিওক্সিকলিক অ্যাসিড (Ursodeoxycholic Acid - UDCA) ও ওবেটিকলিক অ্যাসিড (Obeticholic Acid - OCA) — এই দুটি ওষুধ ফ্যাটি লিভার, বিশেষ করে নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটোহেপাটাইটিস (NASH) ও লিভার ফাইব্রোসিসের ক্ষেত্রে কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা দেওয়া হলো:

১. আর্সোডিওক্সিকলিক অ্যাসিড (UDCA):
মূলত ব্যবহৃত হয়:

✅প্রাথমিকভাবে পিত্তনালী সম্পর্কিত রোগ (Primary Biliary Cholangitis - PBC) এর জন্য।
✅কিছু ক্ষেত্রে NAFLD/NASH-এ ব্যবহারের চেষ্টা হয়েছে।

ফ্যাটি লিভারে ভূমিকা:

✅UDCA একটি হাইড্রোফিলিক (পানিপ্রিয়) বাইল অ্যাসিড, যা লিভার কোষের সুরক্ষা দেয়।
✅এটি লিভারের প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে।

তবে, এখনও NAFLD বা NASH-এর জন্য প্রথম সারির চিকিৎসা নয়।
কিছু ছোট ক্লিনিকাল ট্রায়ালে উপকার পাওয়া গেলেও বড় পরিসরে কার্যকারিতা এখনও নিশ্চিত নয়।

২. ওবেটিকলিক অ্যাসিড (Obeticholic Acid - OCA):
মূলত ব্যবহৃত হয়:

✅প্রাথমিকভাবে Primary Biliary Cholangitis (PBC)-এর চিকিৎসায়।
✅বর্তমানে NASH-এ ব্যবহারের জন্য গবেষণার অধীন (Resmetirom এর মতো নতুন ওষুধের সাথে)।

ফ্যাটি লিভারে ভূমিকা:

✅এটি FXR (Farnesoid X receptor) নামক একটি নিউক্লিয়ার রিসেপ্টরের ওপর কাজ করে।
✅এই রিসেপ্টরের অ্যাকটিভেশন লিভারে চর্বি জমা, প্রদাহ এবং ফাইব্রোসিস কমাতে সাহায্য করে।
✅NASH-এ কিছু ফেজ ৩ ট্রায়ালে দেখা গেছে যে OCA লিভার ফাইব্রোসিস উন্নত করতে পারে।

তবে এটি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার (যেমন চুলকানি, কোলেস্টেরল পরিবর্তন) জন্য পরিচিত।

⭐ সারাংশ:
UDCA: নিরাপদ, কিন্তু ফ্যাটি লিভারে স্পষ্ট উপকারিতা সীমিত ও নিশ্চিত নয়।
OCA: NASH ও ফাইব্রোসিসে ভবিষ্যতে কার্যকর হতে পারে, তবে এখনো সাধারণ ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত নয় (বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ট্রায়াল বা অফ-লেবেল ব্যবহারে)।
তাই সতর্ক হোন সুস্থ থাকুন , পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন।

#ফ্যাটিলিভার

© Dr Miskat Aziz

21/05/2025

হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি করবেন? এনিমিয়া সম্পর্কে জানুন সবকিছু!
🧑‍⚕️ হিমোগ্লোবিন কি?
হিমোগ্লোবিন হলো এক ধরনের প্রোটিন যা আমাদের রক্তের লাল কণিকায় (RBC) থাকে। এটি ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেয়। পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও এটি বহন করে।

⭐ হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্তশূন্যতা?

✅পুরুষদের ক্ষেত্রে: হিমোগ্লোবিন ১৩.৫ g/dL এর কম হলে
✅নারীদের ক্ষেত্রে: ১২ g/dL এর কম হলে
✅শিশুদের ক্ষেত্রে: বয়স অনুযায়ী কম হলে রক্তশূন্যতা ধরা হয়।

🚨 রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া কেন হয়? বিস্তারিত কারণ:

১. আয়রনের ঘাটতি – খাদ্যে পর্যাপ্ত লৌহ না থাকলে।
২. ফলেট ও ভিটামিন B12 এর অভাব – বিশেষত নিরামিষভোজীদের মধ্যে।
৩. রক্তক্ষরণ – দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব বা পেটের ভিতরে রক্তপাত।
৪. জেনেটিক রোগ – যেমন থ্যালাসেমিয়া, সিকল সেল।
৫. ক্রনিক অসুখ – কিডনি, ক্যান্সার বা হরমোনের সমস্যা।
৬. গর্ভাবস্থা – এই সময়ে রক্তের চাহিদা বেড়ে যায়।
৭. পরজীবী সংক্রমণ – কৃমি বা ম্যালেরিয়ার কারণে রক্তশূন্যতা হতে পারে।

🚨 রক্তশূন্যতার (Anemia) প্রকৃত কারণ নির্ণয় করতে রোগীর উপসর্গ অনুযায়ী নিচের মোট ৮–১২টি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করা যেতে পারে। এতে বোঝা যায় এনিমিয়া কোন ধরনের এবং কেন হচ্ছে।

১. Complete Blood Count (CBC)
•হিমোগ্লোবিন (Hb)
•হেমাটোক্রিট (Hct)
•RBC কাউন্ট
•MCV, MCH, MCHC (রক্ত কণিকার আকার ও গঠন বিশ্লেষণ)
→ এনিমিয়ার ধরন (মাইক্রোসাইটিক/ম্যাক্রোসাইটিক) বুঝতে সাহায্য করে।
২. Peripheral Blood Smear (PBS)
মাইক্রোস্কোপে রক্তের কোষ পরীক্ষা
→ থ্যালাসেমিয়া, সিকল সেল, হেমোলাইটিক এনিমিয়া শনাক্ত করতে সহায়ক।
৩. Serum Ferritin
শরীরে আয়রনের মজুত আছে কিনা বোঝার জন্য।
→ আয়রন-ঘাটতি এনিমিয়া নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
৪. Serum Iron, TIBC (Total Iron Binding Capacity), Transferrin Saturation
আয়রনের শোষণ ও পরিবহনের সক্ষমতা নির্ণয় করে।
→ আয়রনের ঘাটতি নাকি অতিরিক্ত আয়রন—তা বোঝা যায়।
৫. Vitamin B12 এবং Folate লেভেল
মেগালোব্লাস্টিক এনিমিয়া নির্ণয়ের জন্য অপরিহার্য।
→ নিরামিষভোজী বা বৃদ্ধদের মধ্যে ঘাটতির প্রবণতা বেশি।
৬. Reticulocyte Count
নতুন রক্তকণিকার উৎপাদনের হার জানাতে সাহায্য করে।
→ হাড়ের অস্থিমজ্জা কাজ করছে কিনা বোঝা যায়।
৭. Liver Function Test (LFT)
জন্ডিস বা হেমোলাইটিক এনিমিয়ার কারণে এনিমিয়া হচ্ছে কিনা বোঝা যায়।
৮. Kidney Function Test (KFT / Creatinine, Urea)
কিডনি কাজ না করলে ইরিথ্রোপয়েটিন হরমোন কমে গিয়ে এনিমিয়া হতে পারে।
৯. Hemoglobin Electrophoresis
থ্যালাসেমিয়া বা সিকল সেল এনিমিয়া শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
১০. Coombs Test (Direct & Indirect)
অটোইমিউন হেমোলাইটিক এনিমিয়া নির্ণয়ে ব্যবহৃত।
১১. Bone Marrow Aspiration (প্রয়োজনে)
অ্যাপ্লাস্টিক এনিমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার সন্দেহ হলে হাড়ের অস্থিমজ্জা পরীক্ষা।
১২. Stool Occult Blood Test / Endoscopy / Colonoscopy
গোপনে রক্তক্ষরণ (পেট বা অন্ত্র থেকে) হচ্ছে কিনা বোঝার জন্য।

💊 শীর্ষ ১০ টি খাবার যা রক্তশূন্যতা কমায়:

১. পালং শাক
২. কলা
৩. ডিম
৪. লাল মাংস (লিভার সহ)
৫. আপেল
৬. বীটরুট
৭. কিশমিশ
৮. ডাল ও ছোলা
৯. গ্রিন পেঁয়াজ
১০. আয়রন-ফর্টিফায়েড সিরিয়াল

✅ রক্তশূন্যতা কিভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব?

⭐সুষম খাদ্য গ্রহণ
⭐আয়রন ও ভিটামিন C যুক্ত খাবার একসাথে খাওয়া (শোষণ বাড়ায়)
⭐নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
⭐কৃমির ঔষধ সঠিক সময়ে খাওয়া
⭐গর্ভবতী নারীদের আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট খাওয়া
⭐ পিরিয়ড কালীন অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহ অথবা পাইলস অথবা পেটে আলসার থাকলে তার দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া।

🧑‍⚕️ কোন কোন ক্ষেত্রে বারবার রক্ত দিতে হয়?

⭐থ্যালাসেমিয়া রোগীদের
⭐ক্যান্সার বা কিডনি রোগীদের
⭐বড় অপারেশনের পরে
⭐দুর্ঘটনায় গুরুতর রক্তক্ষরণ হলে

🚨 থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য বিশেষ বার্তা:
আপনারা নিয়মিত রক্ত গ্রহণ করেন। তাই প্রতিবার রক্ত নেয়ার আগে হিমোগ্লোবিন, আয়রন স্তর এবং লিভার/হার্টের কার্যকারিতা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আয়রনের মাত্রা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে চিলেশন থেরাপি নিতে হবে।

🧑‍⚕️ রক্তশূন্যতা কয় ধরনের?

১. আয়রন ঘাটতিজনিত
২. ভিটামিন B12 বা ফলেট ঘাটতিজনিত
৩. অ্যাপ্লাস্টিক এনিমিয়া
৪. হেমোলাইটিক এনিমিয়া
৫. সিকল সেল ও থ্যালাসেমিয়া

✅ কি কি সাপ্লিমেন্ট খেতে হয় এবং কত দিন খেতে হয়?

⭐আয়রন ট্যাবলেট: সাধারণত দিনে ১–২ বার, ৩–৬ মাস।
⭐ফলিক অ্যাসিড: গর্ভবতী নারীদের প্রতিদিন।
⭐ভিটামিন B12: ইনজেকশন বা মুখে খাওয়ার বড়ি, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
⭐ক্যালসিয়াম ও জিঙ্ক: কিছু ক্ষেত্রে পরিপূরক হিসেবে দেওয়া হয়।

উপসংহার:

রক্তশূন্যতা একটা উপসর্গ, রোগ নয়। তাই এর পেছনের কারণ নির্ভর করে রোগীর বয়স, খাদ্যাভ্যাস, ও অন্যান্য উপসর্গের ওপর। উপযুক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসক সঠিক কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা পরিকল্পনা করেন। আপনার হিমোগ্লোবিন কম কিনা জানার জন্য রক্ত পরীক্ষা করুন। রক্তশূন্যতা গোপন শত্রু—তা অবহেলা করলে বিপদ ডেকে আনতে পারে। সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন!

#রক্তশূন্যতা #হিমোগ্লোবিন
#স্বাস্থ্য_সচেতনতা #এনিমিয়া
#থ্যালাসেমিয়া #আয়রনযুক্ত_খাবার
#স্বাস্থ্য_টিপস #হেলদি_ডায়েট
#বাংলা_স্বাস্থ্য_পোস্ট #হেলথ_এডুকেশন

© Dr Miskat Aziz

15/05/2025

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা? জেনে নিন কারণ, প্রতিকার ও করণীয় – এক পোস্টে সমাধান!
আজকাল গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন হয় এই সমস্যা, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন, কবে ওষুধ খাবেন – এসব জানলে সমস্যার সমাধান অনেক সহজ!

✅ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কেন হয়?

⭐অনিয়মিত খাওয়া
⭐তেলে ভাজা বা ঝাল খাবার
⭐অতিরিক্ত চা/কফি
⭐ধূমপান, অ্যালকোহল
⭐মানসিক চাপ

✅ পেটে অতিরিক্ত গ্যাস প্রতিরোধে করণীয়:
⭐সময়মতো খাওয়া
⭐হালকা ও সুষম খাবার
⭐বেশি পানি পান
⭐বেশি চর্বিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার
⭐ধীরেসুস্থে খাওয়া

✅ কোন ওষুধ কখন খাবেন:

⭐ সাধারণ সমস্যা হলে ওমিপ্রাজল/ইসোমিপ্রাজল
⭐গ্যাস কমাতে স্যিমেথিকন / ডমপেরিডন
⭐অ্যাসিড দূর করতে / বুক জ্বালাপোড়া থাকলে, অ্যান্টাসিড সিরাপ (জেলাসিল, ডাইজিন ইত্যাদি)
🚨 তবে বারবার সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।

💊 অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের ভূমিকা:

⭐ খাবারের আগে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চা চামচ মিশিয়ে খেতে পারেন।
হজমে সাহায্য করে, তবে কারো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বাড়তি অ্যাসিড বাড়াতে পারে — সাবধানে ব্যবহার করুন

💿 আরও ঘরোয়া প্রতিকার:
⭐আদা চা
⭐জিরা/ধনিয়া ভেজানো পানি
⭐সাদা চালের ভাত
⭐কলা, টকদই
⭐হালকা হেঁশেলে রান্না

🚨 ঘন ঘন গ্যাস্ট্রিক থেকে আলসার হলে:

⭐PPI ওষুধ (যেমন ওমিপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল) লং কোর্সে নিতে হতে পারে
⭐H. pylori সংক্রমণ থাকলে অ্যান্টিবায়োটিক

✅ যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন:
🕸️ কোলা/সফট ড্রিঙ্ক
🕸️ ঝাল-মসলা
🕸️ ভাজাপোড়া
🕸️ চকলেট, পেঁয়াজ, টক ফল

✅ গ্যাস্ট্রিকের পরীক্ষা:
⭐এন্ডোস্কপি
⭐আলট্রাসোনো
⭐H. pylori টেস্ট

✅ কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:

⭐ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে
⭐রক্ত বমি বা কালো পায়খানা
⭐খাবারে অরুচি ও ওজন কমে গেলে
⭐গ্যাসের ওষুধেও আরাম না পেলে

✅ গ্যাস্ট্রিক রোগীদের খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত:
⭐দিনে ৪-৫ বার অল্প করে খাওয়া
⭐হালকা রান্না
⭐দুধ বা দই
⭐রিফাইন্ড খাবার নয়, ফাইবারযুক্ত খাবার ⭐অর্গানিক খাবার
⭐চর্বি ও তেল কম খাওয়া, বিশেষ করে হাইড্রোজেনেটেড তেলে রান্না করা

🚨 গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দীর্ঘদিন খেলে ক্যান্সার হতে পারে – সত্য না মিথ্যা? 🔥
সংশয় কোথা থেকে এসেছে?

PPI জাতীয় ওষুধ পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন অনেক কমিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে অ্যাসিড কম থাকলে পাকস্থলীতে কিছু পরিবর্তন হয়, যেমন:
⭐Hypochlorhydria (অ্যাসিডের ঘাটতি)
⭐Hypergastrinemia (গ্যাস্ট্রিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া)
⭐Chronic Atrophic Gastritis (পাকস্থলীর লাইনিং ক্ষয়)

এই কারণগুলো পাকস্থলীর ক্যান্সার বা gastric adenocarcinoma-এর ঝুঁকি কিছুটা বাড়াতে পারে। তার মানে এই নয় কিছুদিন বেশি খেলেই ক্যান্সার হয়ে যাবে, বিষয়টা শুধুমাত্র ঝুঁকির পরিমাণ বাড়ায় তবে বাংলাদেশের যে খাদ্যাভ্যাস তাতে করে রেকমেন্ডেড দোজের থেকেও বেশি দিন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ প্রেসক্রাইব হয়ে থাকে চিকিৎসকের অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী।

🧑‍⚕️ গবেষণালব্ধ তথ্য ও রেফারেন্স:

1. BMJ, 2017 (British Medical Journal)
শিরোনাম: Long term use of proton pump inhibitors and risk of gastric cancer: population based study

গবেষণায় 63,000-এর বেশি রোগী বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যারা দীর্ঘদিন (>1 বছর) PPI খেয়েছেন এবং H. pylori ইনফেকশনও ছিল, তাদের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের ঝুঁকি 2-3 গুণ বেশি ছিল।
Source: BMJ 2017;359:j4388

2. Gastroenterology, 2018
গবেষণায় বলা হয়, PPI দীর্ঘদিন খাওয়ার ফলে gastric fundic polyps বা লাইট ক্যান্সারাস পরিবর্তন দেখা যেতে পারে, তবে এগুলো খুবই বিরল।
Source: Gastroenterology, 2018

3. FDA (US Food & Drug Administration)
FDA বলছে, PPI জাতীয় ওষুধ দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি (যেমন ক্যালসিয়াম শোষণে সমস্যা, কিডনি রোগ, আন্ত্রিক সংক্রমণ) বাড়লেও সরাসরি ক্যান্সারের নিশ্চিত প্রমাণ এখনো নেই।
Source: FDA Drug Safety Communication

✅ সংক্ষেপে সিদ্ধান্ত ( সারমর্ম ) :
⭐PPI ওষুধ দীর্ঘদিন খাওয়ার ফলে কিছু ঝুঁকি যেমন H. pylori সংক্রমণ থাকলে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা বাড়তে পারে।
⭐তবে যাদের H. pylori নেই, তাদের ঝুঁকি খুবই কম এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদ।
⭐চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বহুদিন ওষুধ চালিয়ে যাওয়া ঠিক নয়।

🚨 সতর্কতা ও পরামর্শ:
⭐PPI ওষুধ ৪–৮ সপ্তাহের বেশি খেতে হলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন।
⭐H. pylori ইনফেকশন থাকলে চিকিৎসা করুন।
⭐বারবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে এন্ডোস্কপি ও অন্যান্য পরীক্ষা করিয়ে নিন।

🚨 সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন!

#গ্যাস্ট্রিক_সমস্যা #পেটের_গ্যাস
#ঘরোয়া_চিকিৎসা #হেলদি_লাইফস্টাইল
#পেট_ব্যথা #ডাইজেস্টিভ_হেলথ
#বাংলা_স্বাস্থ্য_পোস্ট

© Dr Miskat Aziz

09/05/2025

স্ক্যাবিস (Scabies) একটি ছোঁয়াচে চর্মরোগ, যা Sarcoptes scabiei নামক একটি ক্ষুদ্রাকৃতি পরজীবী (mites) এর কারণে হয়ে থাকে। এটি ত্বকের নিচে গর্ত করে ডিম পাড়ে, ফলে তীব্র চুলকানি (বিশেষ করে রাতের বেলায়)এবং ফুসকুড়ির সৃষ্টি হয়।

✅ স্ক্যাবিস কীভাবে ছড়ায়?

সরাসরি ত্বক-ত্বক সংস্পর্শে: দীর্ঘসময় ধরে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শে (যেমন একসাথে ঘুমানো বা আলিঙ্গন করা) স্ক্যাবিস সহজেই ছড়াতে পারে।

পোশাক, বিছানাপত্র বা তোয়ালে শেয়ার করলে: আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সামগ্রী থেকে পরজীবী অন্য ব্যক্তির শরীরে চলে যেতে পারে।

সংক্রমিত পরিবেশে বসবাস: পরিবারের একাধিক সদস্য বা হোস্টেলে, জেলে, নার্সিং হোমে ও মাদ্রাসায় দ্রুত ছড়ায়।

✅ স্ক্যাবিসের উপসর্গ:

স্ক্যাবিসের উপসর্গগুলো সাধারণত সংক্রমণের ২ থেকে ৬ সপ্তাহ পর শুরু হয় (প্রথমবার আক্রান্ত হলে)। তবে যদি আগে কখনো স্ক্যাবিস হয়ে থাকে, তাহলে উপসর্গ ১–৪ দিনের মধ্যেই দেখা দিতে পারে।

✅ স্ক্যাবিসের প্রধান উপসর্গগুলো:

তীব্র চুলকানি (প্রধান উপসর্গ):
বিশেষ করে রাতে বেশি হয়।

শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ত্বকে ফুসকুড়ি বা গুটি (Papules, Vesicles):

ছোট ছোট গুটি বা ফোঁড়ার মতো দেখা যায়।

ঘষাঘষির কারণে র‍্যাশ আরও খারাপ হতে পারে।

ত্বকে সরু সরু সুড়ঙ্গ বা গর্তের মতো দাগ (Burrows):

মাইটস গর্ত করে এগুলো তৈরি করে।

সাধারণত আঙুলের ফাঁকে, কব্জি, কনুই, স্তনের নিচে, নাভি, পেট, কোমর, পাছা, পুরুষদের যৌনাঙ্গ, মহিলাদের স্তনের চারপাশে দেখা যায়।

ঘা বা ইনফেকশন:

অতিরিক্ত চুলকানোর কারণে ত্বকে ক্ষত তৈরি হয়ে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হতে পারে (যেমন ইম্পেটিগো)।

ঘুমের ব্যাঘাত :

চুলকানির কারণে ঘুমানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।

✅ শিশুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লক্ষণ:

তালু, পা, মুখমণ্ডলে স্ক্যাবিস হতে পারে (প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় ব্যতিক্রম)।

অতিরিক্ত কাঁন্না , খিটখিটে স্বভাব, খাওয়ায় অনীহা দেখা দিতে পারে।

✅ স্ক্যাবিস কীভাবে ছড়ায়?

সরাসরি ত্বক-ত্বক সংস্পর্শে: দীর্ঘসময় ধরে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শে (যেমন একসাথে ঘুমানো বা আলিঙ্গন করা) স্ক্যাবিস সহজেই ছড়াতে পারে।

পোশাক, বিছানাপত্র বা তোয়ালে শেয়ার করলে: আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সামগ্রী থেকে পরজীবী অন্য ব্যক্তির শরীরে চলে যেতে পারে।

সংক্রমিত পরিবেশে বসবাস: পরিবারের একাধিক সদস্য বা হোস্টেলে, জেলে, নার্সিং হোমে দ্রুত ছড়ায়।

✅ স্ক্যাবিস আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা কী?

পুরো শরীরে (গলায় ও মুখ বাদে) স্ক্যাবিসের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।

সাধারণত রাতে মাখানো হয় এবং ৮–১৪ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলা হয়।

একই পরিবারের সকল সদস্যকে একসাথে চিকিৎসা দিতে হয়—even যদি উপসর্গ না-ও থাকে।

চুলকানি ও চর্মর‍্যাশ কমাতে অ্যান্টিহিস্টামিন বা চুলকানিনাশক লোশন ব্যবহার করা হয়।

✅ কী কী ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে?

পারমেথ্রিন (Permethrin) 5% ক্রিম – সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও কার্যকর। এটি রাতে মেখে সকালে ধুয়ে ফেলতে হয়।

বেঞ্জাইল বেনজোয়েট (Benzyl Benzoate) 25% – প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহৃত, তবে চামড়ায় জ্বালা করতে পারে।

আইভারমেকটিন (Ivermectin) – মুখে খাওয়ার ওষুধ, যারা ক্রিম সহ্য করতে পারে না বা গুরুতর স্ক্যাবিসে আক্রান্ত তাদের জন্য কার্যকর।

সালফার ওষুধ (Sulfur ointment) – শিশু ও গর্ভবতীদের জন্য নিরাপদ, তবে গন্ধ ও ময়লা হতে পারে।

✅ স্ক্যাবিস প্রতিরোধে করণীয়:

আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, বিছানার চাদর, তোয়ালে গরম পানিতে ধুয়ে ও শুকিয়ে নিন।

পরিবারের সব সদস্যকে একসাথে চিকিৎসা দিন।

সংক্রমিত অবস্থায় শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

ঘন ঘন হাত ধোয়া ও ব্যক্তিগত পরিছন্নতা বজায় রাখা।

✅ কখন ডাক্তার দেখানো বাধ্যতামূলক?

২-৩ সপ্তাহ চিকিৎসা নেওয়ার পরও চুলকানি ও ফুসকুড়ি না কমলে।

যদি গর্ভবতী নারী, শিশু বা অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তি আক্রান্ত হন।

যদি ত্বকে ময়লা জমে, ইনফেকশন বা ঘা হয়ে যায়।

যদি কোনো ব্যক্তি ঘনঘন স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হন।

এটা বর্তমানে এক রকমের মহামারি আকার ধারণ করতেছে , তাই জনস্বার্থে শেয়ার করে আপনার প্রিয়জনকে সতর্ক করুন।

#চর্মরোগ #স্বাস্থ্যসচেতনতা, #স্ক্যাবিসচিকিৎসা #রোগপ্রতিরোধ, #ত্বকের_সুরক্ষা

© Dr Miskat Aziz

09/05/2025

🦠 দাউদ (Ringworm): জানুন, বুঝুন, বাঁচুন! 🛑 দাউদ হলো এক ধরনের ছোঁয়াচে ছত্রাকজনিত চর্মরোগ, যা শরীরের যেকোনো স্থানে হতে পারে। রিং-এর মতো লালচে চুলকানিময় ফুসকুড়ি এর মূল লক্ষণ।

🔍 কিভাবে হয়?

✅ ঘাম, আর্দ্রতা ও অপরিচ্ছন্নতা
✅ সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ
✅ তোয়ালে, জামাকাপড়, বিছানার চাদর ভাগাভাগি করলে

🔬 কোন ছত্রাকের কারণে কোন ধরনের দাউদ হয়?

T. rubrum → Tinea corporis (শরীর)

T. mentagrophytes → Tinea cruris (কুঁচকি)

M. canis → Tinea capitis (মাথা)

E. floccosum → Tinea pedis (পা)

T. tonsurans → Tinea barbae (দাড়ি/গোঁফ)

🚨 উপসর্গগুলো কী?
🔥 বৃত্তাকার লাল দাগ ও চুলকানি
🔥 ফুসকুড়ি, চামড়া উঠা
🔥 পায়ের তালু ফাটা, মাথায় খুশকি ও চুল পড়া
🔥 রাতে চুলকানি বাড়ে

💊 চিকিৎসা ও ওষুধ:

🧴 Clotrimazole, Miconazole, Terbinafine , luliconazole , setraconazol (ক্রিম)
💊 Itraconazole, Fluconazole , Terbinafin Voriconazole (মুখে খাওয়ার ওষুধ)
⚠️ সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করা জরুরি ।
⚠️ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েড ব্যবহার করবেন না ।

🧪 পরীক্ষা লাগতে পারে:

🔬 KOH স্কিন স্ক্র্যাপ
🔬 Wood’s Lamp Test
🔬 Fungal Culture (বারবার হলে)

🛡️ প্রতিরোধের উপায়:

✔️ প্রতিদিন গোসল
✔️ কাপড়, তোয়ালে গরম পানিতে ধোয়া
✔️ ঘাম কমানো ও ত্বক শুকনো রাখা
✔️ জামাকাপড় অন্যের সঙ্গে ভাগ না করা

⚠️ ভালো হয়ে আবার হলে করণীয়:

🔁 পরিবারের সবাইকে একসাথে চিকিৎসা দিন
🔁 ব্যবহৃত সব জিনিস জীবাণুমুক্ত করুন
🔁 ওষুধ পরিবর্তন না করে ডাক্তার দেখান
🔁 ফাঙ্গাস চিহ্নিত করে চিকিৎসা নিন

🏥 কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

🚨 ৩ সপ্তাহেও না কমলে
🚨 শিশু বা গর্ভবতী হলে
🚨 ইনফেকশন বা ফোড়া হলে
🚨 অনেক জায়গায় ছড়ালে
🚨 বারবার আক্রান্ত হলে

🔖
, #দাউদ, #চর্মরোগ, , , #স্বাস্থ্যবিধি, , , , #ডাক্তারের_পরামর্শ

বর্তমানে অনেকেই সমস্যাটায় ভুগছে , তাই শেয়ার করে রাখুন হয়তো কারো কাজে আসতে পারে
© Dr Miskat Aziz

03/05/2025

একজন ফেসবুকের ফ্রেন্ড জানতে চেয়েছিলেন আইবিএস সম্বন্ধে । আইবিএস (IBS) কী? কেন হয়? প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কীভাবে করবেন?

আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable Bowel Syndrome) হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী পেটের সমস্যা, যা হজমে ব্যাঘাত ঘটায় কিন্তু এটি ক্যানসার বা আলসারের মতো প্রাণঘাতী নয়। তবে এটি জীবনযাত্রার মান অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।

কেন হয়?

* অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা
* অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া
* অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, কফি বা দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ
* হজম প্রক্রিয়ার স্নায়বিক গোলমাল

কারা বেশি আক্রান্ত হন?

* ২০-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়
* নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হন
* যাদের মানসিক চাপ বেশি, তাদের ঝুঁকি বেশি
* পরিবারে কারো IBS থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়

লক্ষণসমূহ:

* পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি
* বদহজম
* ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য (বা দুটোই পালাক্রমে)
* পেটে মোচড়ানো ব্যথা, যা পায়খানা করার পর কিছুটা উপশম হয়

প্রতিরোধে করণীয়:

* প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া
* মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
* উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া
* পর্যাপ্ত পানি পান
* ঘুম ও ব্যায়ামে নিয়ম মেনে চলা

চিকিৎসা ও ঘরোয়া পদ্ধতি:

* আদা, পুদিনা ও মেথি IBS উপশমে সহায়ক
* হালকা গরম পানিতে লেবু ও মধু খেতে পারেন
* যোগব্যায়াম ও ধ্যান (Meditation) কাজে আসে

ঔষধ: (চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী)

* অ্যান্টি-স্পাজমোডিক ওষুধ (যেমন: Mebeverine)
* প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল
* কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ
* অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট (কোনো ক্ষেত্রে)

মনে রাখবেন:
IBS সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য না হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব — জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন , নিয়ন্ত্রিত খাদ্য ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে

#পেটেরসমস্যা #হজমজনিতসমস্যা #স্বাস্থ্যসচেতনতা #ঘরোয়াচিকিৎসা ্রতিরোধ #পেটব্যথা #স্বাস্থ্যকরজীবন #ডায়রিয়াঔষুধ

আপনার পরিচিত কেউ যদি দীর্ঘদিন পেটের সমস্যায় ভোগেন, পোস্টটি শেয়ার করুন — সচেতনতা ছড়িয়ে দিন।

© Dr Miskat Aziz

Address

Nusrat Dalia Memorial Tower , Hathazari Upazila Health Complex
Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when জম জম হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to জম জম হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category