12/06/2024
অনেকে ভাবেন, সব প্রোটিন সোর্স সেইম। যে কোন এক জায়গা থেকে প্রোটিন নিলেই হল।
আসলে সব প্রোটিন সোর্স সেইম না। এদের ডিফারেন্স হয় মূলত ৩ টা দিক দিয়ে।
১। কিছু কিছু প্রোটিন কমপ্লিট প্রোটিন। অর্থাৎ এতে সবগুলো এসেনসিয়াল এমিনো এসিড আছে, যা হাই কোয়ালিটি প্রোটিন। সব প্রাণীজ প্রোটিন বা এনিম্যাল প্রোটিন এই দলে পড়ে।
অপরদিকে, কিছু কিছু প্রোটিন ইনকমপ্লিট প্রোটিন, অর্থাৎ এতে সবগুলো এসেনসিয়াল এমিনো এসিড নেই। বেশিরভাগ উদ্ভিজ্য প্রোটিন বা প্ল্যান্ট প্রোটিন এই দলের।
২। সব প্রোটিনের বায়োএভেইলেবিলিটি সেইম না।
অর্থাৎ যতটুকু খাচ্ছেন, তার কতটুকু শরীর শোষণ করতে পারছে।
এক্ষেত্রেও প্রাণীজ প্রোটিন এগিয়ে, প্রানীজ প্রোটিনের বায়োএভেইলিবিলিটি সাধারণত বেশি।
৩। একটা খাবারে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিনের সাথে আর কি কি থাকছে সেটাও প্রোটিনের কোয়ালিটি নির্ধারণ করেন।
যেমন চিকেন, ফিশ, প্রোটিন পাউডার এই সবে প্রায় পুরোটাই প্রোটিন। এগুলো গুড প্রোটিন সোর্স।
আবার ডাল, বাদাম এসবে প্রোটিন থাকলেও, প্রোটিনের থেকে অনেক বেশি পরিমানে থাকে শর্করা কিংবা ফ্যাট।
এই বিচারেও এনিম্যাল প্রোটিন, উদ্ভিজ্য প্রোটিনের থেকে এগিয়ে।
সুতরাং প্রোটিন খালি নিলেই হলো না, কোন সোর্স থেকে নিচ্ছেন সেটাও বিবেচনা করতে হবে।